শহীদে শহীদে জনপদ শেষ...
লহুতে লহুতে ছেয়েছে এ-দেশ..
তবুও কেন যে হে মেহেরবান..
কুরআনের সে-সমাজ
করোনা দান! ..
কি অপরাধ! - হায় আমাদের..
করো নির্দেশ..!
এই ছবিটা দেখার পর আপনি নিজেকে স্থির রাখতে পারবেন?? এভাবে জবাই করে হত্যা করেছে আরিফ ভাইকে। কলেজের ড্রেস পরে কলেজে যাচ্ছিলেন এই ভাইটি। ১০-১২ জন জঙ্গী জানোয়ার ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দা, রামদা, চুরি দিয়ে এলোপাতাড়ী কোপ দিয়ে পশুর মত জবাই করে দিয়েছে।
সন্ত্রাসী কতৃক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবির কর্মী আরিফুল ইসলামকে হত্যা ও পুলিশের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
মিথ্যাচার করে খুনিদের আড়াল করতে চাইছে পুলিশ-ছাত্রশিবির
কলেজে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী কর্তৃক শিবির কর্মী আরিফুল ইসলামকে হত্যা ও হত্যাকান্ড নিয়ে পুলিশের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, নানা কৌশলে পরিকল্পিত ভাবে একের পর এক শিবির নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। আজ সকাল ৯টায় কলেজে যাওয়া পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফুঁলকুড়ি ইসলামিক একাডেমি এলাকায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে শিবির কর্মী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র, স্থানীয় রেহাইচর হঠাৎপাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আরিফুল ইসলামকে। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি গোলাম মর্তুজা কোন তদন্ত বা সাক্ষী প্রমাণ ছাড়াই অভ্যন্তরীন কোন্দলে খুন হয়েছে বলে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। ছাত্রশিবিরের দ্বীর্ঘ পথ চলায় অভ্যন্তরীন কোন্দল দূরে থাক সামান্য কথা কাটাকাটিরও নজির নেই, যা দেশবাসীর মত পুলিশ কর্মকর্তাও ভাল ভাবেই জানেন। এর পরও এই হত্যাকান্ডের ব্যপারে পুলিশের এমন বক্তব্য জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সচেতন ছাত্রজনতা মনে করে, খুনিরা পুলিশের দৃষ্টির বাইরে নয় এবং খুনিদের বাঁচাতেই পুলিশ কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের যে ভয়ঙ্কর রুপ দেশবাসী দীর্ঘদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সারা দেশে দেখে আসছেন তারই আরেকটি নিকৃষ্ট উদাহরণ এ বর্বর হত্যাকান্ড। নিরাপরাধ একজন মেধাবী ছাত্রকে হত্যা ও এই বর্বরতা নিয়ে মিথ্যাচার একই সুত্রে গাথা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সরকার বা পুলিশ প্রশাসন যদি খুনিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পুলিশ আর সন্ত্রাসীদের একই চোখে দেখবে জনগণ। পুলিশের এ ক্ষেত্রে চাতুরতা বা ব্যর্থতা দেখানো অর্থ তারা আরেকটি নৃশংস খুনকে উৎসাহিত করছেন। দেশবাসী আর কোন মেধাবী ছাত্রের লাশ বহনে প্রস্তুত নয়। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশ কর্মকর্তার মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রজনতা নিজেরাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। আর তখন যে কোন পরিস্থিতির জন্য ব্যর্থ প্রশাসনকেই দায়ী থাকতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং পুলিশের মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
(মো. জামাল উদ্দিন)
সহকারী প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
0 comments: