খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি, ক্ষুধা পেলে লবন- ভাত।।
মাঠে সোনার ফসল দিও
গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়;
আমার হৃদয় ভরা শান্তি দিও
সেই ত আমার আবে হায়াত।।
আমায় দিয়ে কারও ক্ষতি হয়না যেন দুনিয়ায়,
আমি কারো ভয় না করি, মোরেও কেহ যেন ভয় না পায়।
(যবে) মসজিদে যাই তোমারি টানে
(যেন) মন নাহি ধায় দুনিয়া- পানে,
(আমি) ঈদের চাঁদ দেখি যেন
আসলে দুঃখের আঁধার রাত।।
সাহারাতে ফুটলরে ফুল রঙ্গীন গুলে- লালা
সাহারাতে ফুটলরে ফুল রঙ্গীন গুলে- লালা
সেই ফুলেরই খোশবুতে আজ দুনিয়া মাতোয়ালা।।
সে ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি চাঁদ- সুরুয, গ্রহ- তারায়
ঝুঁকে পড়ে চুমে সে ফুল নীল গগন নিরালা।।
সেই ফুলেরই রওশনীতে আরশ কুর্শী রওশন,
সেই ফুলেরই রং লেগে আজ ত্রিভুবন উজালা।।
সেই ফুলেরই গুলিস্তানে আসে লাখো পাখী,
সে ফুলেরে ধরতে বুকে দোলে রে ডাল- পালা।।
চাহে সে ফুন জীন ও ইনসান হুর পরী ফেরেশতায়,
ফকীর দরবেশ বাদশাহ চাহে করতে গলে মালা।।
চেনে রসিক ভোমরা বুলবুল সেই ফুলের ঠিকানা,
কেউ বলে হযরত মোহাম্মদ কেউ বা কমলীওয়ালা।।
মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে
মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে।
তাই কি রে তোর কন্ঠের গান এমন মধুর লাগে।।
ওরে গোলাব নিরিবিলি
(বুঝি) নবীর কদম ছুঁইয়েছিলি
(তাই) তাঁর কদমের খোশবু আজ ও তোর আতরে জাগে।।
মোর নবীরে লুকিয়ে দেখে
তাঁর পেশানীর জ্যোতি মেখে
ওরে ও চাঁদ, রাঙ্গলী কি তুই গভীর অনুরাগে।।
ওরে ভ্রমর, তুই কি প্রথম
চুমেছিলি নবীর কদম,
আজও গুনগুনিয়ে সেই খুশী কি জানাস রে গুলবাগে।।
তৌহিদেরো মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম
তৌহিদেরো মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।
ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি, খোদায়ী কালাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামেরই রশি ধরে যাই আল্লার পথে,
ঐ নামেরই ভেলায় চড়ে ভাসি নূরের স্রোতে,
ঐ নামের বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামের দামন ধরে আছি আমার কিসের ভয়
ঐ নামের গুনে পাব আমি খোদার পরিচয়।
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশতি তাঞ্জাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
হেরা হ’তে হেলে দুলে
হেরা হ’তে হেলে দুলে
নুরানী তনু ও কে আসে, হায়!
সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা
খুলে খুলে যায়-
সে যে আমার কামলীওয়ালা
কামলিওয়ালা।।
তার ভাবে বিভোল রাংগা পায়ের তলে
পর্বত জংগল টলমল টলে,
খোরমা খেজুর বাদাম জাফরানী ফুল
ঝ’রে ঝ’রে যায়।।
সে যে আমার কামলিওয়ালা
কামলিওয়ালা।।
আসমানে মেঘ চলে ছায়া দিতে,
পাহাড়ের অঁসু গলে ঝর্ণার পানিতে,
বিজলী চায় মালা হ’তে
পূর্ণিমা চাঁদ তাঁর মুকুট হ’তে চায়।
সে যে আমার কামলীওয়ালা
কামলিওয়ালা।।
তওফিক দাও খোদা
তওফিক দাও খোদা
মুসলিম- জাহাঁ পুনঃ হক আবাদ।
দাও সেই হারানো সুলতানত,
দাও সেই বাহু, সেই দিল আযাদ।।
দাও সেই হামজা সেই বীর অলীদ
দাও সেই ওমর হারুন আল রশিদ
দাও সেই সালাহউদ্দিন আবার
পাপ দুনিয়াতে চলুক জেহাদ।।
দাও বে-দেরেগ তেগ জুলফিকার
খয়রব জয়ীশেরে- খেদার,
দাও সে খলিফা সে হাশমাত
দাও সে মদিনা সে বাগদাদ।।
দাও সেই হামজা সেই বীর অলীদ
দাও সেই ওমর হারুন আল রশিদ
দাও সেই সালাহউদ্দিন আবার
পাপ দুনিয়াতে চলুক জেহাদ।।
দাও সে রুমী সাদী হাফিজ
সেই জামী খৈয়াম সে তবরিজ;
দাও সে বাবর সেই শাহজাহান
সেই তাজমহলের স্বপ্ন সাধ।।
দাও ভায়ে ভায়ে সেই মিলন
সেই স্বার্থত্যাগ সেই দৃপ্ত মন,
হোক বিশ্ব- মুসলিম এক জামাত
উড়ুক নিশান ফের যুক্ত চাঁদ।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
দিও তৃষ্ণা পেলে ঠান্ডা পানি, ক্ষুধা পেলে লবন- ভাত।।
মাঠে সোনার ফসল দিও
গৃহ ভরা বন্ধু প্রিয়;
আমার হৃদয় ভরা শান্তি দিও
সেই ত আমার আবে হায়াত।।
আমায় দিয়ে কারও ক্ষতি হয়না যেন দুনিয়ায়,
আমি কারো ভয় না করি, মোরেও কেহ যেন ভয় না পায়।
(যবে) মসজিদে যাই তোমারি টানে
(যেন) মন নাহি ধায় দুনিয়া- পানে,
(আমি) ঈদের চাঁদ দেখি যেন
আসলে দুঃখের আঁধার রাত।।
সাহারাতে ফুটলরে ফুল রঙ্গীন গুলে- লালা
সাহারাতে ফুটলরে ফুল রঙ্গীন গুলে- লালা
সেই ফুলেরই খোশবুতে আজ দুনিয়া মাতোয়ালা।।
সে ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি চাঁদ- সুরুয, গ্রহ- তারায়
ঝুঁকে পড়ে চুমে সে ফুল নীল গগন নিরালা।।
সেই ফুলেরই রওশনীতে আরশ কুর্শী রওশন,
সেই ফুলেরই রং লেগে আজ ত্রিভুবন উজালা।।
সেই ফুলেরই গুলিস্তানে আসে লাখো পাখী,
সে ফুলেরে ধরতে বুকে দোলে রে ডাল- পালা।।
চাহে সে ফুন জীন ও ইনসান হুর পরী ফেরেশতায়,
ফকীর দরবেশ বাদশাহ চাহে করতে গলে মালা।।
চেনে রসিক ভোমরা বুলবুল সেই ফুলের ঠিকানা,
কেউ বলে হযরত মোহাম্মদ কেউ বা কমলীওয়ালা।।
মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে
মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে।
তাই কি রে তোর কন্ঠের গান এমন মধুর লাগে।।
ওরে গোলাব নিরিবিলি
(বুঝি) নবীর কদম ছুঁইয়েছিলি
(তাই) তাঁর কদমের খোশবু আজ ও তোর আতরে জাগে।।
মোর নবীরে লুকিয়ে দেখে
তাঁর পেশানীর জ্যোতি মেখে
ওরে ও চাঁদ, রাঙ্গলী কি তুই গভীর অনুরাগে।।
ওরে ভ্রমর, তুই কি প্রথম
চুমেছিলি নবীর কদম,
আজও গুনগুনিয়ে সেই খুশী কি জানাস রে গুলবাগে।।
তৌহিদেরো মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম
তৌহিদেরো মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।
ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি, খোদায়ী কালাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামেরই রশি ধরে যাই আল্লার পথে,
ঐ নামেরই ভেলায় চড়ে ভাসি নূরের স্রোতে,
ঐ নামের বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামের দামন ধরে আছি আমার কিসের ভয়
ঐ নামের গুনে পাব আমি খোদার পরিচয়।
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশতি তাঞ্জাম
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
হেরা হ’তে হেলে দুলে
হেরা হ’তে হেলে দুলে
নুরানী তনু ও কে আসে, হায়!
সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা
খুলে খুলে যায়-
সে যে আমার কামলীওয়ালা
কামলিওয়ালা।।
তার ভাবে বিভোল রাংগা পায়ের তলে
পর্বত জংগল টলমল টলে,
খোরমা খেজুর বাদাম জাফরানী ফুল
ঝ’রে ঝ’রে যায়।।
সে যে আমার কামলিওয়ালা
কামলিওয়ালা।।
আসমানে মেঘ চলে ছায়া দিতে,
পাহাড়ের অঁসু গলে ঝর্ণার পানিতে,
বিজলী চায় মালা হ’তে
পূর্ণিমা চাঁদ তাঁর মুকুট হ’তে চায়।
সে যে আমার কামলীওয়ালা
কামলিওয়ালা।।
তওফিক দাও খোদা
তওফিক দাও খোদা
মুসলিম- জাহাঁ পুনঃ হক আবাদ।
দাও সেই হারানো সুলতানত,
দাও সেই বাহু, সেই দিল আযাদ।।
দাও সেই হামজা সেই বীর অলীদ
দাও সেই ওমর হারুন আল রশিদ
দাও সেই সালাহউদ্দিন আবার
পাপ দুনিয়াতে চলুক জেহাদ।।
দাও বে-দেরেগ তেগ জুলফিকার
খয়রব জয়ীশেরে- খেদার,
দাও সে খলিফা সে হাশমাত
দাও সে মদিনা সে বাগদাদ।।
দাও সেই হামজা সেই বীর অলীদ
দাও সেই ওমর হারুন আল রশিদ
দাও সেই সালাহউদ্দিন আবার
পাপ দুনিয়াতে চলুক জেহাদ।।
দাও সে রুমী সাদী হাফিজ
সেই জামী খৈয়াম সে তবরিজ;
দাও সে বাবর সেই শাহজাহান
সেই তাজমহলের স্বপ্ন সাধ।।
দাও ভায়ে ভায়ে সেই মিলন
সেই স্বার্থত্যাগ সেই দৃপ্ত মন,
হোক বিশ্ব- মুসলিম এক জামাত
উড়ুক নিশান ফের যুক্ত চাঁদ।।
-কাজী নজরুল ইসলাম-
লেখক : ব্লগার সীমানা পেরিয়ে
0 comments: