আপনি কি এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারবেন , যেখানে এক ক্লাসে এক বছরের সিলেবাস ৪০ বছর পড়ানো হয় ? আপনার অবশ্যই জানা আছে , কি মনে পড়ল ? আপনি যদি ধর্মনিরপেক্ষতার কোন দৃষ্টান্ত দেখতে চান , এ জন্য আপনার এলাকার মসজিদে গেলেই হবে ।উনারা আকাশের উপরের আর জমিনের নিচের বিষয় নিয়ে ব্যস্ত আছেন । মাঝখানের পৃথিবীটা উনারা ইজারা দিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তির কাছে । আর ঠিক এই লোক গুলাই মসজিদ থেকে বের হবার পর ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অস্র ধরতেও তাদের হাত কাপেনা ।একজন যুবককে আপনি টঙ্গী রাস্তা চিনাবেন , খুব অল্প দিনেই ছেলেটি বুড়ো হয়ে যাবে ।বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পাসে যে যুবকের পোশাক চলাফেরা দেখে আপনি তাকে নিশ্চিত আল্লাহর ওলি বলে ধারনা করে নেন । রাতের আধারে ঠিক এই লোকটিই সমাজতান্ত্রিক ও নাস্তিক ছাত্রনেতাদের কাছে ইসলামী ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং বিচার দাবী করেন । আপনি উনাদেরকে জিজ্ঞেস করুন ভাই হিদায়াতের জন্য কি পড়ব ? আপনাকে এমন এক বইয়ের নাম বলা হবে যার প্রায় অর্ধেকটা মিথ্যা , বানোয়াট এবং রেফারেন্স বিহীন বক্তব্য । আপনি যদি কুরান পড়তে চান তাহলে আপনাকে যতটা সম্ভব বুঝাবে যাতে আপনি কোনোভাবেই কুরআন না পড়েন । আপনাকে এমন সব পরিমাণ সওয়াবের হিসাব নিকাশ করে দিবে যাতে আপনি বুঝতে পারবেন যে জীবনে যাই করুন না কেন এত পরিমাণ সওয়াব থাকতে জান্নাত ঠেকায় কে ?
আমি কোনো তাত্ত্বিক আলোচনায় যাচ্ছিনা ,কারণ যারা তাবলীগ করেন তারা নিজেরাও একথা দাবী করেন না যে ,তাবলীগ কোন ইসলামী আন্দোলন কিংবা তাবলীগ এ দেশের ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ।তাহলে তাবলীগ আসলে কি চায় ?
তাদের বক্তব্য শুনলে আপনি যা বুঝবেন তা হল ,সকল মানুষ ঈমান ওয়ালা হয়ে যাক ,সকল মানুষ আল্লাহ ওয়ালা হয়ে যাক এ জাতীয় কিছু পরিভাষা তারা ব্যবহার করেন ।একজন সাধারণ মুসলমান যিনি স্বল্প শিক্ষিত অথবা অশিক্ষিত কিংবা শিক্ষিত তবে ইসলাম সম্পর্কে তার কোনো ধারনা নেই ।এ জাতীয় একজন লোকেক আপনি যখন এই সহজ রাস্তা দেখাবেন , যেখানে জেল নেই , জুলুম নেই , নির্যাতন নেই বরং পৈত্তিক মুসলমানদের সহযোগিতা তো আছেই , এমনকি ইসলামের দুশমনদের ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাবেন । তাহলে জান্নাত নামক চির কাঙ্ক্ষিত বস্তুর এত সহজ রাস্তা কে ছাড়ে বলেন ?
তাবলীগ জামাতের সার্বিক কর্মকাণ্ড বিবেচনা করুন আপনার কাছে যদি ইসলামের পুরো চেহারাটা পরিষ্কার থাকে ।আপনি যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হন ,তাহলে আপনি ঠিক বুঝতে পারবেন তাদের এ সকল কর্মকাণ্ড সত্যিকার অর্থেই ইসলামের খেদমত কিংবা কল্যাণ বেশি হচ্ছে নাকি অকল্যাণ ?
* যে মানুষরা তাবলীগের সাথে জড়িত তাদেরকে আপনি লাখোবার অনুরোধ করেও কুরআনের তাফসীর পড়াতে পারবেন না ।
* উনাদেরকে আপনি হাজারো অনুরোধ এবং নসিহত করে কুরআন এবং সহীহ হাদিস থেকে অনেক বিশুদ্ধ রেফারেন্স দেবার পরেও উনারা বুখারী শরীফ পড়েন না
* ইসলামকে তাবলীগ জামাত পরিপূর্ণ জীবন বিধান মনে করেন না ,ব্যক্তিগতভাবে তাবলীগের কেউ কেউ মনে করলেও একটি সংগঠন হিসাবে তাবলীগ পুরোপুরি ধর্মনিরপেক্ষ ।
* পবিত্র কোরানের অনেক আয়াত কে তাবলীগ সরাসুরি অস্বীকার করেন ,যেমন জিহাদ সম্পর্কে কুরআনের শতাধিক আয়াত নিয়ে তাবলীগ জীবনেও আলোচনা করেনা ,কেউ আলোচনা করতে চাইলেও তারা শুনতে রাজী হন না ।তারা নিজেদেরকে এই দায়িত্ব থেকে মুক্ত মনে করেন ।
* পবিত্র কুরআনে রাষ্ট্রব্যবস্থা , বিচার পদ্ধতি , অর্থনীতি ,সংস্কৃতি ,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ,দেশের নেতা নির্বাচন ,জাতীয় নিরাপত্তা সার্ববৌমত্ত্ব ,নারীর অধিকার ,নারী শিক্ষা , ইত্যাদি বিষয়ে যে বিশদ আলোচনা এবং কর্তব্য নির্দেশ করেছে ,তাবলীগ সজ্ঞানে ইচ্ছাকৃত-ভাবে এই সব বিষয় বর্জন করে এবং নিজেদেরকে ইত্যাদি বিষয়ের দায়িত্ব থেকে মুক্ত মনে করে ।যেটা কুফরির সমপর্যায়ের কাজ এবং ক্ষেত্র বিশেষ কুফরি ।
* রাসুলের(সঃ) জীবন থেকে তার চুল, দাড়ি, পোশাক পরিচ্ছেদ এবং ব্যবহারিক জীবনের কিছু বিষয়কেই তারা নবীর সুন্নাত এবং সীরাত হিসাবে নির্ধারণ করেছে ।রাসুল যে দাওয়াত দিতেন তারা সেই দাওয়াত দেন না ।তাবলীগ কখনোই তার লোকদেরকে রাসুলের কোনো সিরাত গ্রন্থ পড়তে বলেন না ।এক বাক্যে বললে রাসুলের জীবনকে তারা আংশিক অনুসরণ করেন এবং এটাকেই তারা নবীর প্রদর্শিত পথ বলে দাবী করেন ।
* রাসুল (সঃ) এর জীবন থেকে সহজ এবং আরামের বিষয় গুলিকে ১০০ ভাগ গ্রহণ এবং কষ্টের এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলিকে শতভাগ বর্জন ।
* উনারা শুধুমাত্র মিষ্টি খাবেন ,মিসওয়াক করে জান্নাতে চলে যাবেন ,আমার তো কোনো সমস্যা নেই ।কিন্তু সমস্যা হল উনারা কিছু কিছু সুন্নাত এবং নফল (এবং কিছু আদৌ সুন্নত নয়)এমন বিষয় কে ফরজ অথবা তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ করেছেন ।যেটা ভয়াবহ অন্যায় ।এবং কিছু ফরজ এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ কে নফল এবং অপ্রয়োজনীয় হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন যেটা সরাসুরি কুফরি ।
* তাবলীগ কিছু মানুষকে প্রাথমিক শিক্ষা দেন ।যে জন্য তাবলীগ সবচেয়ে বেশী ধন্যবাদ পেতে পারেন ।এবার প্রশ্ন হচ্ছে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিশ্চয়ই একজন মানুষের শিক্ষা জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু তিনি যদি কাউকে সারা জীবন এই স্কুলেই থাকতে বলেন অথবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষাই একজন মানুষের জন্য যথেষ্ট বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি তাকে কি বলবেন । আমাদের তাবলীগের ভাইয়েরা প্রথম তাবলীগে গেলে যে প্রাথমিক শিক্ষা পান সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য ।একেবারেই অশিক্ষিত অথবা অর্ধ শিক্ষিত এই মানুষ দেরকে কম পক্ষে নামাজ পড়া শিখানো হচ্ছে ।কিন্তু উনারা মনে করেন এই শিক্ষাই যথেষ্ট ।
মাওলানা মওদুদী এর লেখা একটা রেফারেন্সবিহীন (আসলেই মওদুদীর লেখা কিনা তা নিশ্চিৎ নয়) প্রবন্ধ রয়েছে এ প্রসঙ্গে। দেখুন..
তাবলীগ সম্পর্কে মাওলানা মওদূদীর মূল্যায়ণ |
* চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনটা ঠিক সেটা নিশ্চয়ই কোনো প্রকৌশলীর বলার কাজ না ।এই পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো গ্রহণযোগ্য আলেম তাবলীগ করেন না ।সামাজিক কারণে যেভাবে অনেক বিদায়াতের বিরোধিতা করা হয় না , ঠিক তেমনি কারণে তাবলীগের এই সব কাজের বিরোধিতা করা হয় না ।
* ইসলামী পরিভাষা গুলিকে অসম্মান করেছেন । যেমন ধরুন হিজরতের মত একটা মর্যাদার কাজ কে উনারা তিনদিনের জামাতের মধ্যে নির্ধারণ করেছেন । কাউকে ইস্তিঞ্জার সময় কুলুপ এগিয়ে দেওয়াই হল আনসার , আর জিহাদ শব্দকেই পরিবর্তন করে মোজাহিদা নামকরণ করেছেন ,১৫/২০ কেজি ওজনের নোংরা ব্যাগ নিয়ে হাটাই হল মোজাহিদা ।ইসলামের মত আধুনিক চমৎকার একটি ধর্মকে কুরুচিপূর্ণ কাজ দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন ।যেমন একটা উদাহরণ দেই ।টয়লেটে যাবার পর হাতে কুলুপ নিয়ে নিজের গোপন অঙ্গ ধরে মোটামুটি ৫/১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করেন লোকজনের সামনে । এবং পাশাপাশি আরেক হাত দিয়ে মিসওয়াক করেন এবং কথাও বলেন । মিসওয়াক করার পর মিসওয়াকের উন্মুক্ত মাথাটি বাহিরে রেখে জামার বুক পকেটে রেখে দেন ।(বমি আসছে )
* শুধু তাবলীগের দুর্নাম করাই আমার লিখার উদ্দেশ্য নয় আজ থেকে শুরু হয়েছে ইসলামের নামে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মনিরপেক্ষ সমাবেশ । রোড টু টঙ্গী shortcut way to jannat .
* এই সংগঠনটি কে বা কারা পিছন থেকে পরিচালনা করেন ।অধিকাংশ মানুষ ই তা জানেনা ।ওরিয়েন্টালিষ্টদের একটা বিশাল অংশ এই জামাতে পরিচালনা করেন বলে মানুষ বলাবুলি করেন ।(এবারের বিশ্বিজতেমায়ও বাটা স্পন্সর করেছেন ।)
* তাদের অধিকাংশ বক্তব্য ই কুরআন ও সহীহ হাদিস থেকে নেওয়া হয় না ।এবং মিথ্যা ও বানোয়াট কথাই বেশী ।৫% ইসলামকে ১০০% বলে প্রচার করেন ।এবং শতভাগ ইসলামের বিশ্বাস করেন না ।
* এদেশের কখনো ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র কায়েম হলে যারা এর তীব্র বিরোধিতা করবেন ।তাবলীগ তার প্রথম সারিতে থাকবে ।
আমি জানি অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত করবেন ।বাস্তবে কাগজে কলমে না হলেও তাবলীগ আওয়ামীলীগের একটি এক্সটেনশন ।জীবনের সকল দিকে আপনি আল্লাহ কে অমান্য করবেন এবং আওয়ামীলীগ করবেন ।এবং মসজিদে গিয়ে শুধু আল্লাহ কে মানবেন ।এবং আপনি যখন কাজের অযোগ্য হবেন অথবা অলস হবেন অথবা ব্যর্থ হবেন অথবা জীবন সংসারের এই যন্ত্রণা থেকে বাচতে চাইবেন তাহলে আপনার জন্য এই একটাই রাস্তা রোড টু কাকরাইল ।যারা সাধারন মানুষ না বুঝে এসব করেন আল্লাহ হয়ত তাদের মাফ করে দিবেন ।কিন্তু যারা বুঝে শুনে আল্লাহর সাথে এই জাতীয় প্রতারণায় নিয়োজিত তাদের দিল্লির মুরব্বী এবং জেরুজালেমর মুরব্বীদের সাথে আল্লাহ তাদের ও ন্যায় বিচার করবেন ।
ব্লগার ম এর ব্লগ থেকে কপি
2 comments:
perfect one ...
vai onader nie r o kisu likhun.doa kori onara jano bujte paren