গতকাল দেয়া স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে একজন হিতাকাঙ্ক্ষী ভাই লিখেছেন,
…”ভাই একটা জিনিস জানার খুব ইচ্ছা। আপনি কি কোনো কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। আমি যতদূর জানি কওমি মাদ্রাসায় internet বা computer ব্যাবহার করতে দেওয়া হয়না। হেফাজত ইসলামের মতিঝিল আন্দোলন এর সময় যখন তারা বলেছেন যে ‘বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়’ তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও কমে গিয়েছে। এর মাঝে আপনাকে দেখে একটু অবাক হচ্ছি। ভাই আপনি FB বা internet চালানো শিখলেন কিভাবে। আর ভাই দেশের কওমি মাদ্রাসা এবং প্রযুক্তি শিক্ষার উপর কিছু যদি মন্তব্য করেন তাহলে কিছুটা খুশি হই। ধন্যবাদ।”
ভাইয়ের উত্তরে লেখা মন্তব্যটি নিম্নরূপ:
“প্রিয় ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ আমি কওমী মাদ্রাসার একজন গর্বিত ছাত্র, এবং বর্তমানেও কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছি।
কওমী মাদ্রাসায় সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই, তবে এর অর্থ এই নয় যে, কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে না, বা করতে পারে না। কওমী মাদ্রাসার হাজার হাজার ছাত্র বর্তমানে ফেইসুবকসহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়া ও ব্লগগুলোতে একটিভ। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ওয়েবসাইট খুলে অনলাইনে নিজেদের পদচারণা বাড়াচ্ছে কওমীর ছাত্ররা।
‘বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়’ – কথাটা একটা উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষীয়ান শিক্ষকবৃন্দের অনেকেই কম্পিউটার ঠিক মতো চালাতে পারেন না, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে জানেন না। স্মার্টফোন দিয়ে যে কথা বলার চেয়ে বেশি আরো অনেক কিছু করা যায়, এটাও অনেকে জানেন না। ইউরোপ-আমেরিকার অনেক বর্ষীয়ান মানুষও কম্পিউটারের বিভিন্ন ব্যবহার ও ইন্টারনেটে ফেইসবুক ছাড়া অন্য কিছু করা তেমন পারেন না। অনেকে শিখছেন বৃদ্ধ বয়সে।
এই না-জানাটা কোনো দোষ নয়। ইন্টারনেট সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে খুব বেশি দিন হয় নি। বছর পনেরর মতো হবে, ইন্টারনেটের সয়লাব হয়েছে। আর আমাদের দেশে এর ব্যবহার বেড়েছে বড় জোড় গত পাঁচ-সাত বছরে।
ঠিক তেমনি, কওমী মাদ্রাসার একজন বর্ষীয়ান শিক্ষকের কাছেও বিষয়গুলো পরিষ্কার নয়। অথচ নতুন প্রজন্মের আলিমরা স্মার্টফোনে মাকতাবা শামেলার মতো ডিজিটাল লাইব্রেরী নিয়ে ঘুরছেন, যা বর্ষীয়ানদের কাছে এখনো আশ্চর্য।
তো, মিডিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খুঁজে খুঁজে ওই শিক্ষকদেরই সাক্ষাতকার নিয়েছে, যাদের কাছ থেকে এমন কথা বের করতে পারবে, “বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়”। আমাদের মতো সারা দেশে হাজারো কওমী শিক্ষার্থী/ আলেম তখনো ছিলেন, আর এখন তো বেড়েছে আরো অনেক বেশি। কিন্তু মিডিয়া তাদের খুঁজে পায় নি (বা খুঁজে নি!)।
যাহোক, গত বছরের পর থেকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে কওমী মাদ্রাসাগুলো আরো যত্নশীল হচ্ছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগে দশটি কম্পিউটার বিশিষ্ট একটি কম্পিউটার বিভাগ খোলা হয়েছে, ইফতা বিভাগে কম্পিউটার রয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগ সহই, অনলাইনেও ফাতওয়া দেয়া হচ্ছে। জামিয়াতুল আস’আদেও ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিনিয়ত ফাতওয়া দেয়া হচ্ছে। জামিয়া রাহমানিয়াও অনলাইনে ফাতওয়া দিচ্ছে। হাটহাজারী মাদ্রাসা সম্প্রতি নতুন আঙ্গিকে অনলাইনে এসেছে। অনেক আলিম ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট করে সামনে আসছেন। ফেইসবুকে তো সক্রিয় আছেনই। ফেইসবুকে সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের শক্ত প্লাটফর্ম রয়েছে। এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে রানা প্লাজার আহত-নিহতদের পরিবারদেরকে সাহায্য করা হয়েছে, শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে, সম্প্রতি সেখানে সীরাত এ্যাপ ও ওয়েবসাইট বিনির্মাণ পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা চলছে। কওমী মাদ্রাসায় কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় বেশ কিছু সেমিনারও আয়োজিত হয়েছে ও হচ্ছে।
সবশেষে বলবো, কওমী মাদ্রাসাগুলো মজলুম। যাদের ব্যাপারে একটি বারও সামান্যতম অন্যায়ের প্রমাণ পাওয়া যায় নি, তাদেরকে বারবার বিভিন্নভাবে জঙ্গী বলে সমাজের কাছে হেয় করা হচ্ছে। বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালানোর বক্তব্যের বিষয়টা এমনই।
আপনি চাইলে কওমী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে পারেন, অন্যদেরকেও জানাতে পারেন। একই সাথে বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসায় প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে পারেন, বা প্রদানে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। অনেক মাদ্রাসার কম্পিউটার প্রয়োজন, ইন্টারনেট মডেম প্রয়োজন। স্কুলগুলোতে নানা উপায়ে বিভিন্ন সময় কম্পিউটার আসে, ল্যাপটপ আসে। কিন্তু কওমী মাদ্রাসাগুলোতে আসে না। কাজেই আমাদের দ্বীনী ভাই-বোনদেরকেই এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন। আমীন। (লেখাঃ ইউসুফ সুলতান এর ব্লগ থেকে কপি)
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
হে ইসলাম-প্রিয় বাঙালী বাংলাদেশী তরুণ, এসো উচ্চকণ্ঠে উচ্চারণ করি...
সীনা টানটান, সাহস দৃঢ়, গর্বিত বিশ্বাস
এই মাটিতে শেকড় আমার বৈধ বসবাস!!!
গজামঞ্চ এভাবেই বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায় |
ভাইয়ের উত্তরে লেখা মন্তব্যটি নিম্নরূপ:
“প্রিয় ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ আমি কওমী মাদ্রাসার একজন গর্বিত ছাত্র, এবং বর্তমানেও কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছি।
কওমী মাদ্রাসায় সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই, তবে এর অর্থ এই নয় যে, কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে না, বা করতে পারে না। কওমী মাদ্রাসার হাজার হাজার ছাত্র বর্তমানে ফেইসুবকসহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়া ও ব্লগগুলোতে একটিভ। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ওয়েবসাইট খুলে অনলাইনে নিজেদের পদচারণা বাড়াচ্ছে কওমীর ছাত্ররা।
‘বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়’ – কথাটা একটা উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষীয়ান শিক্ষকবৃন্দের অনেকেই কম্পিউটার ঠিক মতো চালাতে পারেন না, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে জানেন না। স্মার্টফোন দিয়ে যে কথা বলার চেয়ে বেশি আরো অনেক কিছু করা যায়, এটাও অনেকে জানেন না। ইউরোপ-আমেরিকার অনেক বর্ষীয়ান মানুষও কম্পিউটারের বিভিন্ন ব্যবহার ও ইন্টারনেটে ফেইসবুক ছাড়া অন্য কিছু করা তেমন পারেন না। অনেকে শিখছেন বৃদ্ধ বয়সে।
এই না-জানাটা কোনো দোষ নয়। ইন্টারনেট সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে খুব বেশি দিন হয় নি। বছর পনেরর মতো হবে, ইন্টারনেটের সয়লাব হয়েছে। আর আমাদের দেশে এর ব্যবহার বেড়েছে বড় জোড় গত পাঁচ-সাত বছরে।
ঠিক তেমনি, কওমী মাদ্রাসার একজন বর্ষীয়ান শিক্ষকের কাছেও বিষয়গুলো পরিষ্কার নয়। অথচ নতুন প্রজন্মের আলিমরা স্মার্টফোনে মাকতাবা শামেলার মতো ডিজিটাল লাইব্রেরী নিয়ে ঘুরছেন, যা বর্ষীয়ানদের কাছে এখনো আশ্চর্য।
তো, মিডিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খুঁজে খুঁজে ওই শিক্ষকদেরই সাক্ষাতকার নিয়েছে, যাদের কাছ থেকে এমন কথা বের করতে পারবে, “বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়”। আমাদের মতো সারা দেশে হাজারো কওমী শিক্ষার্থী/ আলেম তখনো ছিলেন, আর এখন তো বেড়েছে আরো অনেক বেশি। কিন্তু মিডিয়া তাদের খুঁজে পায় নি (বা খুঁজে নি!)।
যাহোক, গত বছরের পর থেকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে কওমী মাদ্রাসাগুলো আরো যত্নশীল হচ্ছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগে দশটি কম্পিউটার বিশিষ্ট একটি কম্পিউটার বিভাগ খোলা হয়েছে, ইফতা বিভাগে কম্পিউটার রয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগ সহই, অনলাইনেও ফাতওয়া দেয়া হচ্ছে। জামিয়াতুল আস’আদেও ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিনিয়ত ফাতওয়া দেয়া হচ্ছে। জামিয়া রাহমানিয়াও অনলাইনে ফাতওয়া দিচ্ছে। হাটহাজারী মাদ্রাসা সম্প্রতি নতুন আঙ্গিকে অনলাইনে এসেছে। অনেক আলিম ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট করে সামনে আসছেন। ফেইসবুকে তো সক্রিয় আছেনই। ফেইসবুকে সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের শক্ত প্লাটফর্ম রয়েছে। এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে রানা প্লাজার আহত-নিহতদের পরিবারদেরকে সাহায্য করা হয়েছে, শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে, সম্প্রতি সেখানে সীরাত এ্যাপ ও ওয়েবসাইট বিনির্মাণ পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা চলছে। কওমী মাদ্রাসায় কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় বেশ কিছু সেমিনারও আয়োজিত হয়েছে ও হচ্ছে।
সবশেষে বলবো, কওমী মাদ্রাসাগুলো মজলুম। যাদের ব্যাপারে একটি বারও সামান্যতম অন্যায়ের প্রমাণ পাওয়া যায় নি, তাদেরকে বারবার বিভিন্নভাবে জঙ্গী বলে সমাজের কাছে হেয় করা হচ্ছে। বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালানোর বক্তব্যের বিষয়টা এমনই।
আপনি চাইলে কওমী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে পারেন, অন্যদেরকেও জানাতে পারেন। একই সাথে বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসায় প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে পারেন, বা প্রদানে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। অনেক মাদ্রাসার কম্পিউটার প্রয়োজন, ইন্টারনেট মডেম প্রয়োজন। স্কুলগুলোতে নানা উপায়ে বিভিন্ন সময় কম্পিউটার আসে, ল্যাপটপ আসে। কিন্তু কওমী মাদ্রাসাগুলোতে আসে না। কাজেই আমাদের দ্বীনী ভাই-বোনদেরকেই এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন। আমীন। (লেখাঃ ইউসুফ সুলতান এর ব্লগ থেকে কপি)
শাহাবাগী নাস্তিকদের অভয়ারণ্য ইসলাম অবমাননার ব্লগ সামহোয়্যারের বলগ দিয়ে বানানো ব্যানার |
শাহাবাগীদের লালনকারী আওয়ামী সরকারের বলগ |
ধর্মনিরপেক্ষ শাহাবাগীর ধর্ম |
শাহাবাগী চেতনা মূর্তির(স্যরি, ভাস্কর্য) মাথায় (ক্রিকেট টীমের বিজয়ে উল্লসিত এই চেতনাধারী কওমী নন বলে রক্ষা) |
শাহাবাগী পীযুষের বউয়ের চেতনা কুকুরের গায়ে আমার দেশের পতাকা জড়ানোতে |
শহীদ মিনারে সত্যি-সত্যি শুয়োর চড়ালো গজামঞ্চ! একসেলেন্ত!!! |
বলগ দিয়ে সাংবাদ সম্মেলন করে শাহাবাগীদের গডফাদারেরা |
অবুঝ শিশুদের প্রতারনার ফাঁদে ফেলে নাস্তিক্যবাদী ছাত্রইউনিয়নের রাজনীতি |
বিজ্ঞান-অন্যমনস্কদের বলগ |
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
হে ইসলাম-প্রিয় বাঙালী বাংলাদেশী তরুণ, এসো উচ্চকণ্ঠে উচ্চারণ করি...
সীনা টানটান, সাহস দৃঢ়, গর্বিত বিশ্বাস
এই মাটিতে শেকড় আমার বৈধ বসবাস!!!
0 comments: