এখন আমি জামায়াতের বিরুদ্ধে সম্প্রতি পরিচালিত ব্যাপক প্রচার অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বরতে চাই। যুক্তিসংগত ও প্রামাণভিত্তিক মতদ্বৈততা-যার উদ্দেশ্য নিজে বুঝা ও অপরকে বুঝার সুযোগ দেয়া এবং মূলে সদুদ্দেশ্য ও সত্যপ্রীতি সক্রিয় রয়েছে-আমরা তা কখনো অপছন্দ করিনি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও এর ব্যতিক্রম হবে না। আমরা যখন বহুবার অপরের সাথে এ ধরণের মত প্রকাশ করেছি, তখন অপরকে কেন এ অধিকার হতে আমরা বঞ্চিত করবো। কিন্তু আফসোস এই যে, আমাদের বিরুদ্ধবাদীদের মধ্যে এ নীতি অনুসরণকারীদের সংখ্যা খুবই কম। তাদের মধ্যে অধিকাংশই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ও অপবাদ আমদের রচনাবলীকে বিকৃত করে নিজেদের ইচ্ছামত তার ব্যাখ্যা প্রচার করেছেন। এই সমস্ত কাজ আমাদের অথবা জনসাধারণের কল্যাণের জন্য নয় বরং আমাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের উত্তেজিত করে তোলে এবং ইসলামী জীবন ব্যবস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য আমরা যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, তা বানচাল করাই এসবের মূল লক্ষ্য।
মিথ্যার এ ঝড়-ঝঞ্ঝার মূলে বিভিন্ন দল বিশেষভাবে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ ও তাদের সহায্যে পুষ্ট পত্রিকাগুলো রয়েছে, কালণ এরা এ দেশে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের আন্দোলনকে নিজেদের জন্য বিপদজ্জনক বলে মনে করে। অপরদিকে রয়েছে পাশ্চাত্যের আল্লাহদ্রোহী ও ধর্মবিরোধী মতবাদের ধারক ও বাহক গোষ্ঠী, এদের নিকট চিন্তা ও কার্যকলাপের লাগামহীন স্বধীনতার উপর ইসলামী মত-বিশ্বাস ও নৈতিক চিরত্রের বিধি-নিষেধ অসহ্য বিবেচিত হচ্ছে। তৃতীয় দিকে রয়েছে বিভিন্ন গুমরাহ দল, তারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভবনায় অত্যন্ত শংকাবোধ করছে। কারণ তারা জানে যে, এ দেশে সত্য সত্যই ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হলে তাদের বিভ্রান্তিকর কারসাজির পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের বিরুদ্ধে আর যে দলটি রয়েছে তারা হচ্ছে কম্যুনিষ্ট। তারাও একথা ভালো করেই জানেন যে, তাদের পথে সত্যিই যদি কোনো কঠিন প্রতিবন্ধক থাকে তবে তা হচ্ছে একমাত্র জামায়াতে ইসলামী। এ দলগুলোর বিরোধিতাকে অনেকটা স্বাভাবিক বলা চলে। বরঞ্চ এরা যদি আমাদের বিরোধিতা না করতো, তবে তাই আশ্চার্যজনক হতো। কারণ, মিথ্যার কদর্যতা দ্বারা সত্যকে প্রলিপ্ত করায় এদের কোনো আপত্তি নেই। কাজেই এদের এ আচরণ মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু যে বিষয়ে আমাদের বিরোধী দলের মধ্যে কিছু আলেমও শামিল রয়েছেন। আরো পরিতাপের বিষয় এই যে, মিথ্যা প্রচারে ও অপপ্রচারে এ মহান ব্যক্তিগণ তাদের গুমরাহ সহযোগীদেরও হার মানাচ্ছে। এ শেষোক্ত আঘাতটি বাস্তবিক আমাদের জন্য চরম বেদনাদায়ক। কিন্তু এর কারণ এই নয় যে, আমরা তাদের শক্তি সামর্থ দেখে শংকিত হয়েছি, বরং এজন্য যে, এসব ছাহেবানকে দীনদার ও আল্লাহভীরু বলে মনে করতাম এবং তাদের বর্তমান চেহারা দেখতে আমরা কোনো দিন প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের মনে তো এ আশাই ছিলো যে, ইসলামী বিপ্লব সাধনের এ প্রচেষ্টায় তাঁরাই অগ্রনায়কের ভূমিকা গ্রহণ করবেন আর আমরা শুধু তাঁদেরই পদাংক অনুসরণ করবো মাত্র। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, তাঁরা কাম্যুনিষ্ট, হাদীস অমান্যকারী, কাদীয়ানী এবং পাশ্চাত্যের আল্লাহদোহী ও ধর্মবিরোধী মতবাদের ধারক ও বাহকদের সাথে এক সারিতে দাঁড়িয়ে তাদের কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে আমাদের উপর আঘাত হেনেছে।
হায়! তাঁরা মুহূর্তের জন্যও যদি একথাটি ভেবে দেখতেন যে, এরূপ করার ফলে তারা কাকে ছেড়ে কাকে গ্রহণ করছেন।
যা-ই হোক, আমাদের বিরুদ্ধে যখন চারদিক হতেই আক্রমণ ও বিরোধিতা চলছে-তখন জামায়াতের কর্মীগণকে এ ব্যাপারে ও কয়েকটি কথা বলা আবশ্যক বোধ করছি।
এ প্রসংগে আমার প্রথম কথা যে, আপনারা কোনো অবস্থাতেই উত্তেজিত হবেন না। নিজেদের কথা, মেজায সকল অবস্থায়ই আয়ত্বাধীন রাখবেন। যখনই উত্তেজনামূলক অবস্থা দেখা দিবে আপনারা এটাকে শয়তানের চক্রান্ত মনে করে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রর্থনা করবেন। প্রকৃতপক্ষে আমাদের এ আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য শয়তানই এরূপ চালবাযী শুরু করেছে। সে একদিকে আমাদের বিরোধী দলকে গিয়ে উস্কানি দিচ্ছে এবং তা দ্বারা আমাদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে, অপরদিকে আমাদেরকে উত্তেজিত করার জন্য চেষ্টায় রত হয়েছে, যেন আমরা উত্তর-প্রত্যুত্তরে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে পড়ি আর আমাদের একাজই যেন কোনো মতে সম্পন্ন না হয়, এটাই তার বাসনা। কারণ, আমাদের মূল লক্ষ্যবস্তুটি তার নিকট অত্যন্ত অপ্রিয়। কাজেই আমাদের পক্ষে কোনো অবস্থাতেই তার চালে পড়া উচিত নয়।
দ্বিতীয়, বিভিন্ন আলেম এবং তাদের শাগরেদ ও ভক্ত-অনুরক্তদের ব্যবহারে আপনারা যতই মনক্ষুন্ন হোন না কেন, তা শুধু দুঃখ ক্ষোভ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রাখবেন, এটাকে কোনো মতেই ঘৃণায় পরিণত হতে দিবেন না। কতিপয় আলেমর বাড়াবাড়ির ফলে ইতিপূর্বে একদল লোক গোটা আলেম সমাজকেই নিন্দাযোগ্য সাব্যস্ত করে গালি গালাযে রত হয়েছে। কেবল এখানেই শেষ নয়, এর পরিণতিতে মূল দীনি ইলম কে পর্যন্ত নিন্দানীয় বলে প্রচার করা হয়েছে, সেরূপ ভুলের যাতে পুনাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন। আপনারা স্মরণ রাখবেন যে, আল্লাহর আলেমদের অধিকাংশই সত্যনিষ্ঠ ও আদর্শবাদী। তাঁদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ যোগ্যতম সহকর্মী আপনারা লাভ করেছেন এবং এ ধরনের কর্মীদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তৃতীয় কথা এই যে, বাইরের আক্রমণ প্রতিরোধ করার কাজ আপনারা আমার উপরই ন্যস্ত করুন। আপনারা শুধু নিজ নিজ কর্তব্য সম্পাদন করতে থাকনু। প্রয়োজন অনুসারে আত্মরক্ষায় দায়িত্ব আমিই পালন করবো অথবা জামায়াতের দায়িত্বশীল লোকদের মাধ্যমে তা করানো হবে। আপনাদের কাজ শুধু এটা যে, কোনো প্রকার মিথ্যা অভিযোগ আপনাদের সামনে উত্থাপন করা হলে জামায়াতের পুস্তকাদি হতে তার জবাব অভিযোগকারীর সামনে পেশ করবেন। এরপরও যদি কেউ তর্ক করতে চায়, তবে তাকে সালাম জানিয়ে অন্য কাজে মনোনিবেশ করবেন। যাকে পথ চলতে হবে, তার জন্য সর্বোত্তম নীতি এটাই যে, পথের কাঁটায় পরিধানের বস্ত্র জড়িয়ে পড়লে এক মুহূর্ত সেখানে বসে না থাকে কাপড়ের সেই অংশটুকু ছিড়ে ফেলে লক্ষ্য পথে অগ্রসর হতে হবে।
চতুর্থ কথা এই যে, বিরোধিতা যতই অহেতুক হোক না কেন এর জবাবদানের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত সীমা কখনো লংঘন করবেন না। প্রত্যেকটি শব্দ বলা কিংবা লেখার পূর্বে তা সত্যের পরিপন্থী কিনা এবং আল্লাহর দরবারে তার হিসেব পেশ করতে পারেবন কিনা তা আপনি উত্তমরূপে বিচার-বিবেচনা করে দেখবেন। আপনার বিরুদ্ধবাদীরা আল্লাহকে ভয় করুক কিংবা না করুক আপনাকেই ভয় করে চলতে হবে।
পঞ্চম কথাএই যে, বিরোধিতা ফলে আপনাদের আন্দোলনের জন্য সাফল্য ও অগ্রগতির যে অপূর্ব সুযোগ উপস্থিত হয়েছে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করুন। আল্লাহ তাআলা এভাবে আপনার বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনারা এতে ভীত না হয়ে এ সুযোগে কাজ করে নিন। আরবে নবী করীম (স) এর বিরুদ্ধে যখন এ ধরনের অপপ্রচার চলছিলো, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে ...বলে খোশ খবর দিয়েছেন।
আমাদের উচিত শোকর আদায় করা, কারণ, একদিকে সরকার ক্রমাগত সার্কুলার জারী করে সরকারী কর্মচারীদের সাথে আমাদের পরিচয় লাভের মূল্যবান সুযোগ করে দিয়েছেন। অপরদিকে গুমরাহ দলগুলো নিজ মহলে আমাদেরকে পরিচিত করে তুলছে। এছাড়া যে সমস্ত আলেম আমাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারী করেছেন তাঁরাও দেশের ধর্মীয় ভাবধারাসম্পন্ন এলাকার সর্বত্র আমাদের সম্পর্কে প্রচার করেছেন। এ বিপুল প্রচার আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করলে বিশ বছরেও সম্ভব হতো না। এখন আমাদের কাজ হলো যেসব জায়গায় আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার হয়েছে, সেখানে আমাদের সঠিক পরিচয় দিতে হবে। ইনশাআল্লাহ এতে আমাদের দ্বিগুণ লাভ হবে। যারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের রহস্য উপলদ্ধি করতে পারবে, তাঁরা শুধূ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আস্থা-ই স্থাপন করবেন না, বরং তাঁরা শুধু জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আস্থা-ই স্থাপন করবেন না, বরং তাঁদের নিকট আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বাহাদুরীও ধরা পড়ে যাবে। সত্য ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত ষড়যন্ত্রের সুস্পষ্ট প্রমাণ প্রত্যক্ষ্য করার পর তাঁদের মনে বিরুদ্ধাবাদীদের সম্পর্কে যে শ্রদ্ধাভাবটি রয়েছে, তাও বিলিন হয়ে যাবে। এজন্যই আল্লাহ তাআলা শয়তানের চক্রান্তকে বিশেষ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। সে তাঁর অনুগামীদের হাতে এমন হাতিয়ার তুলে দেয়, যা সাময়িকভাবে বড়ই কার্যকরী মনে হলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যবাহারকারীদের মূল শিরা-ই কেটে ফেলে। পরিশেষে আমি জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট আলেম কর্মীগণকে বলতে চাই যে, আপনারা নিজ নিজ গোত্রের আলেমগণকে বিষেষভাবে বুঝিয়ে দিন, তাঁদের সাথে ব্যক্তিগত কিংবা সংঘবদ্ধভাবে দেখা-সক্ষাত ও চিঠি-পত্র আদান-প্রদান করবেন। তাদেরকে আপনারা বুঝিয়ে বলুনঃ আপনারা যা করেছেন, তার পরিণাম চিন্তা করেছেন কি? ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে আপনাদের সাথে আধুনিক শিক্ষিত লোকদের যে বিরোধ দেখা দিয়েছিলো তার ফলে শুধু আধুনিক শিক্ষিত লোকদের যে বিরোধ দেখা দিয়েছিলো তার ফলে শুধু আপনাদের নয়, বরং ইসলামী আধুনিক শিক্ষিতদের মধ্যে থেকে একদল যোগ্যতম ব্যক্তিকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করতে শুরু করেছে এবং দীনের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও আকর্ষণের ফলেই তারা আপনাদের নিকটবর্তী হচ্ছে, ঠিক এ সময়েই আপনারা জামায়াতের বিরুদ্ধে আক্রমণ অভিযান শুর উ করলেন। তাও আবার এমন ন্যাক্কারজনক পন্থায় যে, আধুনিক শিক্ষিতগণ তো দূরের কথা, আপনাদের শাগরেদগণের মনেও আপনাদের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সমস্ত কার্যকলাপ দ্বারা আপনাদের কি উপকারটা হবে বলে আশা করেন। একথাতো আপনারও জানেন যে, এদেশে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন ও তা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করা অন্তত আপনাদের কাজ নয়। এ কাজ বরং আপনাদের পরিবর্তে আধুনিক শিক্ষিত লোকেরাই করতে পারেন, যারা ইসলামী আদর্শ অনুসারে নিজেদের চিন্তাধারা, কার্যকলাপ ও নৈতিক চরিত্রের সংশোধন-পুনর্গঠন করেছে। আর তারাই এখন জামায়াতে ইসলামীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এদের বাদ দিয়ে এ শ্রেণীর লোকদের মধ্যে সক্রিয় ও শক্তিশালী ইসলামী ভাবাপন্ন কোনো দলের অস্তিত্বও আপনারা প্রমাণ করতে পারবেন না। আর আপনাদেরও তো এরূপ ক্ষমতা নেই যে, তাদের মধ্যে থেকে এমন কোনো দল আপনারা গড়ে তুলবেন। এমতবস্থায় আপনারা জামায়াতে ইসলামীর বিরোধিতা করতে থাকলে এর পরিষ্কার অর্থ দাঁড়াবে যে, আপনারা যে কোনো ফাসেক-ফাজের ও গুমরাহ দলের নেতৃত্ব স্বচ্ছন্দে বরদাশত করতে পারেন, কিন্তু আপনাদের সহ্য হয় না কেবলমাত্র দীনদার দলের নেতৃত্ব, সত্যিই কি আপনারা এ ভূমিকা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন? এবং এজন্য আল্লাহর কাছে যে জবাবদিহি করতে হবে তার পরিণাম কি দাঁড়াতে পারে, তাও ভেবে দেখেছেন কি? যদি ধরেও নেয়া যায় যে, কতিপয় ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর সাথে আপনাদের মতবিরোধ রয়েছে, তবে তা নিয়ে আন্দোলন করার উপযুক্ত সময় কি এটাই? এসব মতবিরোধ কি সাক্ষাত, আলাপ-আলোচনা কিংবা অন্য কোনো উপায়ে দূর করা সম্ভব ছিলো না? এ বিষয়টা কি এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে, জামায়াতের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারী করা, প্রচারপত্র ছড়ানো এবং পুস্তিকা প্রকাশ ছাড়া গত্যন্তর ছিলো না। এতসব আয়োজন যদি সত্যিই অপরিহার্য ছিলো এবং আপনারা একান্তই দীনের উদ্দেশ্য এহেন মহৎ(?) কাজে ব্রতী হয়ে থাকেন, তবে জিজ্ঞেস করি, এ উদ্দেশ্য কি কেউ অপরের বক্তব্যকে বিকৃত করে এবং সে যা বলেনি তাই তার উপর চাপিয়ে দিয়ে থাকে? এবং তার রচনা দ্বারা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও কি তা আকঁড়িয়ে থাকে? আমাদের জামায়াতে বিভিন্ন দীনি মাদ্রাসায় শিক্ষাপ্রাপ্ত যেসব কর্মী রয়েছেন এই সকল কথা তাঁদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের বুযর্গানদের থেকে স্পষ্পভাবে আমি বলতে চাই যে, দেওবন্দ ও মাযাহেরুল উলুমের বুযর্গান এ নিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রচার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন যে, পাক-ভারতের সর্বত্র তাঁদের শাগরেদগণ ছড়িয়ে রয়েছেন। কাজেই তাঁরা যদি কোনো ফতোয়া কিংবা প্রচারপত্র প্রকাশ করেন,তবে সমস্ত দেওবন্দী ও মাযাহেরী শাগরেদ চোখ বন্ধ করে নিছক গুরুভক্তি ও উপদলীয় বিদ্বেষ নিয়ে চারদিকে থেকে তাঁদের সুরে সুর মিলিয়ে জামায়াতের উপর হামলা চালাতে থাকবে। এমতবস্থায় তাঁদের ভ্রান্ত ধারণা দূর করা এবং তাঁদেরকে একথা বুঝিয়ে বলা আপনাদেরই কর্তব্য যে, দেওবন্দ ও মাযহেরুল উলুম হতে আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা অবশ্যই হাসিল করেছি; কিন্তু ঈমান বিক্রি করতে শিখিনি। কুরআন ও হাদীসের শিক্ষার পরও যদি কেউ সত্য ও ন্যায়পরায়নতার পরিবর্তে ওস্তাদ ও পীর পূজাই শিখলে এবং ইসলামী ভাবধারার পরিবর্তে উপদলীয় কোন্দলেই অভ্যস্ত হলো, তবে তাতে লাভ কি?
অধ্যায় ১৫ : বিরোধিতা
☼→
হেদায়াত
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
0 comments: