প্রথম অধ্যায় : ঈমান - নামায - রোযা - হজ্জ - যাকাত

ঈমান

কুরআন
هُدًى لِلْمُتَّقِيْنَ ـ اَلَّذِيْنَ يُوْمِنُوَ نَ بِالْغِيْبَ وَيُقِيْمُوْنَ الصَلوَةَ وَمَمَّا رَزَقْنَهُمْ يُنْفِقُوْنَ ـ وَالَّذِيْنَ يُوْمِنُوْنَ بِمَآ اُنْزِلَ اِلَيْكَ وَمَمآ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالاخِرَةِ هُمْ يُوْقِنُوْنَ ـ
উচ্চারণ: হুদাললিন মুত্তাকীন, আল্লাযীনা ইউমিনূনা বিলগাইবি ওয়া ইউকীমূনাছ ছালাতা ওয়া মিম্মা রাযাকনাহুম ইউনফিকূন। ওয়াল্লাযীনা ইউমিনূনা বিমা উনযিলা ইলাইকা ওয়া মা উনযিলা মিন কাবলিকা ওয়া বিলআখিরাতি হুম ইউকিনূন।

(‌১) (আল কুরআন) সেইসব মুত্তাকীর জন্য হেদায়েত (পথ নির্দেশ), যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। আর (হে নবী) আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও আপনার পূর্বে (নবীদের প্রতি যা নাযিল হয়েছিলো তাতেও ঈমান আনে ও পরকালে যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। (সূরা আল-বাকারা : ২-৪)
يآاَيُّهَا الَّذِيْنَ اَمُنُوْ ادْخُلُوْا فِىْ السِلَّمِ كَآفَّةً وَلاَ تَتًّبِعُوْا خُطُوْتِ الشَّيْطنِ اِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِيْنَ ـ
উচ্চারণ: ইয়াআউহাল্লাযীনা আমানুদখুলূ ফিসসিলামি কাফফাতান ওয়া লা তাত্তাবিয়ূ খুতুওয়াতিশ শাইতানি ইন্নাহূ লাকুম আদুওউম মুবীন।

(২) হে ঈমানদারগণ! তোমরা পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে (শয়তান) তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন। (সূরা আল-বাকারা: ২০৮)
مَنْ امَنَ بِاللَّهِ وَالْيُوْمِ الأَخِرِ وَعَمِلَ صَلَحًا فَلَهُمْ اجْرَهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلاَخَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَهُمْ يَحْزَنُوْنَ ـ
উচ্চারণ: মান আমানা বিল্লাহি ওযাল ওয়াওমিল ওয়া আমিলা ছালিহান ফালাহুম আজরুহুম ইনদা রাব্বিহিম ওয়া লা খাওফুন আলাইহিম ওয়া লাহুম ইয়াহযানূন।

(৩) যারা ঈমান আল্লাহ ও পরকালে এবং সৎকাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের পক্ষে থেকে মহাপুরষ্কার এবং তাদের কোনো ভয় নেই, তারা চিন্তাগ্রস্তও হবে না। (সূরা আল-বাকারা: ৬২)
فَمَنْ يُكْفُرْ بِالطَّاغُوْتِ وَيوُمِنْ بِاللَّهِ فَقَدِ اِسْتَمْيسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثُقى لااَنْفِصَامَ لَهَا ـ
উচ্চারণ: ফামাই ইয়াকফুর বিত্তাগূতি ওয়া ইউমিন বিল্লাহি ফাকাদিসতামসাকা বিলউরওয়াতিল উছকা লানফিছামা লাহা।

(৪) অত:পর যে তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে সে এমন এক মজবুত রজ্জু ধারণ কর যা কখনো ছিঁড়বার নয়। (সূরা বাকারা: ২৫৬)
فَامِنُوْ بِاللهِ وَرَسُلِه وَانْ تُوْمِنُوْا وَتَتَّقُوْا فَلَكُمْ اَجْرٌ عَظِيْمُ ـ
উচ্চারণ: ফাআমিন বিল্লাহি ওয়া রুসূলিহী ওয়া ইন তুমিনূ ওয়া তাত্তাকূ ফালাকুম আজরুন আযীম।

(৫) অতএব তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি ও রাসূলের প্রতি। যদি তোমরা ঈমান আনো এবং তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে তোমাদের জন্য বিরাট পুরষ্কার রয়েছে। (সূরা আলে ইমরান: ১৭৯)
اِنَّمَا الْمُوْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ امَنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِه ـ
উচ্চারণ: ইন্নামাল মুমিনূনাল্লাযীনা আমানূ বিল্লাহি ওয়া রাসূলিহী।

(৬) মুমিন মূলত তারাই আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি যাদের দৃঢ় ঈমান রয়েছে। (সূরা নূর: ৬২)

হাদীস
1. عَنْ عَمَرِوَيْنِ عَبَسَةُ (رض) قَالَ قُلْتُ يَارَسُوْلَ اللهِ (صلعم) مَا الْلايْمَانُ ؟ قَالَ الصَّبْرُ وَالسًمَاحَةُ ـ (مسلم)

(১) হযরত আমর বিন আবাসা (রা) হতে বর্ণিত, আমি রাসূল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ঈমান কি? জবাবে তিনি বলেলেন, ছবর (ধৈর্য ও সহনশীলতা) এবং ছামাহাত (দানশীলতা), নমনীয়তা ও উদারতা) হচ্ছে ঈমান। (মুসলিম)
2. عن عباس (رض) قال قال رسول الله (صلعم) ذاق طعم الايمان من رضى بالله رباوبالاسلام دينا وبمحمد رسولا ـ (بخارى ومسلم)

(২) হযরত আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আল্লাহ কে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ (সা) কে রাসূল হিসেবে কবুল করেছে, সেই ব্যক্তি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ লাভ করেছে। (বুখারী, মুসলিম)
عنْ انس (رض) عن النبى (صلعم) قال لايُومن احدكم حتى يحب لاخيه مايحب لنفسه ـ (بخارى و مسلم)

(৩) হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেছেন, নবী করীম (সা) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে হতে কেহই ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (বুখারী, মুসলিম)


 নামায

কুরআন

واقم الصلوة ـ ان الصلوة تنهى عن الفحشاء والمنكرـ (عنكبوت ـ 45)
উচ্চারণ: ওয়া আকিমিছ ছালাতা, ইন্নাছ ছালাতা তানহা আনিল ফাহশায়ী ওয়াল মুনকার।

(১) নামায কায়েম কর। নি:সন্দেহে নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ হতে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবূত : ৪৫)
واقيمو الصلوة واتو الزكوة واركعوا مع الركعين ـ (بقرة : 43)

উচ্চারণ: ওয়া আকীমুছ ছালাতা ওয়া আতুয যাকাতা ওয়ারকায়ূ মাআ’র রাকিঈন।

(২) নামায কায়েম কর, যাকাত আদায় কর এবং রুকূকারীদের সাথে একত্রিত হয়ে রুকূ কর। (সূরা বাকারা: ৪৩)

واستعينوا بالصبر والصلوة ـ وانها لكبيرة الا على الخشعين ـ (بقرة : 45)
উচ্চারণ: ওয়াসতাঈনূ বিছবরি ওয়াছালাতি, ওয়া ইন্নাহা লাকাবিরাতুন ইল্লা আআলাল খশিঈন।

(৩) তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও।নামায নি:সন্দেহে একটি কঠিন কাজ, কিন্তু সেই অনুগত বান্দাদের পক্ষে তা মোটেই কঠিন নয়। (সূরা বাকারা : ৪৫)
আরো দেখুন: সূরা মাউন : ৪-৫, সূরা বাকারা: ১১০, ২৩৮ সূরা তাওবা : ৫, ১১, ৭৭ সূরা মায়েদা: ১২, ৫৫, সূরা হজ্জ: ৪১, সূরা মরিয়ম: ৩১, ৫৫, সূরা আম্বিয়া: ৭৩)

হাদীস
عن ابى هريرة (رض) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس صلاة اثقال على المنافقين من الفجر والعسشاء ولو يعلمون ما فيهما لاتوهما ولو حبوا ـ (بخاري ـ مسلم)

(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূল (সা) বলেছেন, মোনাফিকদের পক্ষে ফজর ও এশা অপেক্ষা কোন ভারী সালাত নেই। যদি তারা জানতো তারে মধ্যে কি আছে তাহলে তার জন্য হামাগুড়ি দিয়েও আসতো। (বুখারী, মুসলিম)

عن ابى عمر قال قال رسول الله (ص) الوقت الاول من الصلوة رضوان الله والوقت الاخر عفو الله ـ (ترمذي)

(২) হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, সালাতের প্রথম সময় (অর্থ্যাৎ প্রথম ওয়াক্তে আদায়) হচ্ছে আল্লাহর সন্তোষ এবং শেষ সময় (সালাত আদায়) হচ্ছে আল্লাহর ক্ষমা (অর্থ্যাৎ এতে সন্তুষ্টি পাওয়া যায় না, গুনাহ থেকে বাঁচা যায় মাত্র। (তিরমিযী)




 রোযা

কুরআন

يايها الذين امنوا كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون ـ (بقرة :185)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ কুতিবা আ’লাইকুমুছ ছিয়ামু কামা কুতিবা আ’লাল্লাযীনা মিন কাবলিকুম লাআ’ল্লাকুম তাত্তাকূন।
(১) হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য রোযা ফরয করা করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতদের উপর। আশা করা যায় তোমাদের মধ্যে তাওকয়ার গুণ ও বৈশিষ্ট্য জাগ্রত হবে। (সূরা বাকারা: ১৮৩)

فمن شهد منكم الشهر فليصمه ومن كان مريضا او على سفر فعدة من ايام اخر ـ (بقرة : 185)
উচ্চারণ: : ফামান শাহিদা মিনকুমুশ শাহরা ফালাইয়াছুমহু, ওয়া মান কানা মারীদান আও আ’লা সাফারিন ফাঈ’দ্দাতুম মিন আইয়ামিন উখর।
(২) আজ হতে যে বেক্তিই এ মাসের সম্মুখীন হবে তার পক্ষে পূর্ণ মাসের রোযা রাখা একান্ত কর্তব্য। আর যদি কেহ অসুস্থ হয় কিংবাপ ভ্রমণ কার্যে ব্যস্ত থাকে তবে সে যেন অন্যান্য দিনে এ রোযা পূর্ণ করে নেয়। (সূরা বাকারা: ১৮৫)

احل لكم ليكة الصيام الرفث الى نسآيكم ـ هن لباس لكم وانتم لباس لهن ـ (بقرة : 187)
উচ্চারণ: : উহিল্লা লাকুম লাইলাতাছ ছিয়ামির রাফাছু ইয়া নিসায়িকুম, হুন্না লিবাসুল লাকুম ওয়া আনতুম লিবাসুল্লাহুন্না।
(৩) রোযার সময় রাত্রি বেলা স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করে দেয়া হয়েছে। তারা তোমাদের পক্ষে পোশাকস্বরূপ আর তোমাদেরও তাদের জন্য পোশাকরূপ। (সূরা বাকারা: ১৮৭)
আরো দেখুন: সূরা বাকারা: ১৮৪, ১৮৬ আয়াত)

হাদীস
عن ابى هريرة (رض) قال قال رسول الله (صلعم) من لم يدع قول الزور والعمل به فليس لله حاخة فى ان يدع طعامه وشرابه ـ (بخاري ـ مسلم )
(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং তদনুযায়ী আমল পরিত্যাগ করতে পারলো না, তবে এমন ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করার আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। (বুখারী)

عن ابى هريرة (رض) قال قال رسول الله (صلعم) من صام رمضان ايمانا واحتسابا غفرله ماتقدم من ذنبه ـ (بخارى ـ مسلم)
(২) হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ঈমান ও (হিসাব নিকাশের) চেতনাসহ রোযা রাখবে তার পূর্বের সকল গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারী, মুসলিম)

عن عائشة (رض) قالت قال رسول الله (صلعم) من مات وعليه صيام صام عنه وليه ـ (بخاري ـ مسلم )
(৩) হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি মারা গেছে আর ফরয রোযা তার উপর (কাযা) আছে, তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে রোযা (কাযা) আদায় করবে। (বুখারী, মুসলিম)

হজ্জ

কুরআন

ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا ـ ومن كفر فان الله غنى عن العلمين ـ (ال عمران : 97)
উচ্চারণ: : ওয়া লিল্লাহি আ’লান্নাসি হিজ্জুল বাইতি মানিসতাতআ ইলাইহি সাবিলান, ওয়া মান কাফরা ফাইন্নাল্লাহা গানিয়্যি আ’নিল আ’লামীন।
(১) মানুষের উপর আল্লাহর এ অধিকার যে, বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছাবার শক্তি সামর্থ্য যে রাখে, সে যেন হজ্জ করে এবং যে এ নির্দৈশ অমান্য করে কুফরীর আচরণ করবে, তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ বিশ্ব প্রকৃতির ওপর অবস্থানকারীদের মুখাপেক্ষী নন। (সূরা আলে ইমরান: ৯৭)

الحج اشهر معلومت ـ فمن فرض فيهن الحج فلا رفث ولافسوق ولاجدال فى الحج ـ (بقرة : 197)
উচ্চারণ: : আলহাজ্জু আশহুরুম মালূমাত, ফামান ফারদা ফিরহিন্নাল হাজ্জা ফালা রাফাছা ওয়া লা ফুসূকা ওয় লা জিদালা ফিলহাজ।
(২) হজ্জের মাসসমূহ সকলেরই জ্ঞাত। যে ব্যক্তি এই নির্দিষ্ট মাসসমূহে হজ্জের নিয়্যত করবে তাকে এ দিক দিয়ে সতর্ক থাকতে হবে যে, হজ্জকালীন সময়ে তার দ্বারা যেন কোন পাশবিক লালসা তৃপ্তির কাজ কোন জ্বেনা-ব্যভিচার, কোন রকমের লড়াই-ঝগড়ার কথাবার্তা অনুষ্ঠিত না হয়। (সূরা বাকারা : ১৯৭)

واذن فى الناس بالحج يأتوك رجالا وعلى كل ضامر يأتين من كل فج عميق ـ (حج : 27)
উচ্চারণ: : ওয়া আযাযিন ফিন্নাসি বিলহাজ্জি ইয়া’তূকা রিজালাও ওয়া আ’লা কুল্লি দামিরিন ইয়া’তিনা মিন কুল্লি ফাজ্জিন আ’মীক।
(৩) আর লোকদের মধ্যে হজ্জের ঘোষণা করে দাও, তারা তোমাদের নিকট দূরবর্তী স্থান হতে পায়ে হেটে ও উটের উপর সওয়ার হয়ে আসবে। (সূরা হজ্জ: ২৭)
আরো দেখুন: সূরা বাকারা: ১৫৮, ১৮৯, ১৯৬, ১৯৭, সূরা মায়িদা: ১, ৯৫, সূরা হজ্জ: ২৬, ২৭, ২৯, ৩২, ৩৩।

হাদীস
عن ابى هريرة قال قال رسول الله (صلعم) من حج لله فلم يرفث ولم يفسق رجل كيوم ولدته امه ـ (بخاري ـ مسلم)
(১) হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, যে বেক্তি কামনা-বাসনা (স্ত্রী সংঙ্গম ও আল্লাহর নাফরমানী হতে বিরত থেকে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার্থে হজ্জ কার্য সমাধা করবে যে যেনো মার্তৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হয়ে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন করলো। (বুখারী-মুসলিম)

عن جابر ان النبى (صلعم) قال البقرة عن سبعة والجزور عن سبعة ـ (مسلم ـ ابوداود)
(২) হযরত জাবের (রা) বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, গরু সাত জনের পক্ষ থেকে এবং উট সাত জনের পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে। (মুসলিম, আবু দাউদ)

قال رسول الله (ص) من وجد سنة ولم يضح فلا يقربن مصلانا ـ (ابن ماجة)
(৩) রাসূলুল্লাহ (সা) বর্ণনা করেছে, সামর্থ্য থাকতে যে কুরবানী করে না যেনো আমার ঈদগাহের ধারে কাছেও না আসে। (ইবনে মাজাহ)
যাকাত

কুরআন

وانفقوا من طيبات ماكسبنم ومما اخرجنا لكم من الارض ـ (ال عمران)
উচ্চারণ: : ওয়া আনফিকূ মিন তায়্যিবাতি মা কাসাবাতুম ওয়া মিম্মা আখরাজানা লাকুম মিনাল আরদ।
(১) ব্যয় করো তোমরা তোমাদের উপর্জিত হালাল সম্পদের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্যে যমিন থেকে বের করেছি তার অংশ (অর্থ্যাৎ ওশর দাও) সূরা আলে ইমরান)

وما اتيتم من زكوة تريدون وجه الله فأولئك هم المضعفون ـ (الروم ـ 39)
উচ্চারণ: : ওয়া মা আতাইতুম মিন যাকাতিন তুরীদূনা ওয়াজহাল্লাহি ফাউলাইকা হুমুল মূদঈফূন।
(২) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তোমরা যাকাত দাও, যাকাত দানকারী প্রকৃতপক্ষে তার মাল বর্ধিত করে। (সূরা আর-রূম : ৩৯)

واقيموا الصلوة واتو الزكوة وما تقدموا لانفسكم من خير تجدوه عند الله ان الله بما تعملون بصير ـ (بقرة : 110)
উচ্চারণ: : ওয়া আকীমুছ ছালাতা ওয়া আতুয যাকাত, ওয়া মা তুকাদ্দিমূ লিআনফুসিকুম মিন খাইরিন তাজিদূহ ইনদাল্লাহ, ইন্নাল্লাহা বিমা তামালূনা বাছির।
(৩) তোমরা সালাত কায়েম কারো এবং যাকাত দাও তোমরা নিজের জন্যে যা ভালো কাজ আগে-ভাগে করতে তা তোমারা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু করো, নিশ্চয় আল্লাহ তা দেখেন। (সূরা আল বাকারা: ২৪,২৫)
আরো দেখুন: সূরা বাকারা: ৮৩,১১৭,২৭৩, সূরা তওবা : ৬০,১০৩, সূরা বায়িন্যাহু: ৫, সূরা মায়ারিজ : ২৪,২৫।

হাদীস
عن رافع بن خديج قال قال رسول الله (صلعم) العامل على الصدقة بالحق كالحق كالغازي فى سبيل الله حتى يرجع فى بيتة ـ (ابوداواد ـ ترمذي)
(১) হযরত রাফে ইবনে খাদিজ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, সঠিকভাবে যাকাত আদায়কারী কর্মচারীর মর্যাদা আল্লাহর পথে জিহাদকারী ব্যক্তির সমতূল্য। এমনকি সে বাড়ীতে ফিরে না আসা পর্যন্ত উক্ত মর্যাদায় ভূষিত থাকে। (আবূ দাউদ, তিরমিযী)

عن عائشة قالت سمعت رسول الله (صلعم) يقول ما خالطت الزكاة مالا قط الا اهلكته ـ (الشافعي ـ والبخاري)
(২) হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে মালে যাকাত মিশাবে নিশ্চয় তাকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। (শাফেয়ী-বুখারী)

عن ابن عمر قال قال رسول الله (صلعم) من استفاد مالا فلا زكاة فيه حتى يحول عليه الحول ـ (ترمذي)
(৩) হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো সম্পদের মালিক হয়েছে, যে পর্যন্ত না উক্ত সম্পদ তার কাছে এক বছর থাকে সে পর্যন্ত তাকে তার যাকাত দিতে হবে না। (তিরমিযী)

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম