আমি একজন শিবির কর্মী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় শিবিরের কর্মী হয়েছি। এসএসসি পরীক্ষার পূর্বেই শিবিরের সাথী হিসেবে শপথ নিয়েছি। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছি। তবে এখনও সদস্য হতে পারিনি।
শিবিরের কর্মী হতে হলে আটটি কাজ করতে হয়। যেমন, প্রতিদিন কুরআন ও হাদিস বুঝে অধ্যয়ন করা, নিয়মিত ইসলামী সাহিত্য পাঠ করা, ইসলামের নৈতিক বিধানগুলো মেনে চলা, দাওয়াতি কাজ করা, রিপোর্ট রাখা, প্রোগ্রামসমূহে উপস্থিত হওয়া, অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালন করা এবং বায়তুলমালে এয়ানত দেয়া। সে অনুযায়ী সেই স্কুল জীবন থেকেই ব্যাক্তিগত রিপোর্ট রাখছি। ব্লগের অনেকেই বলেন শিবির করলে টাকা পাওয়া যায়, মাসে মাসে, নির্দিষ্ট হারে। কিন্তু আমি কোনদিন টাকা পাইনি। বরং কর্মী হবার পর থেকে টাকা দিয়ে আসছি। যেদিন কর্মী হয়েছি সেদিন আমাকে বলা হয়েছে তুমি কত দিতে পারবে? আমি ভেবে চিন্তে বললাম ২ টাকা। এরপর দিন গেল টাকার পরিমানও বাড়লো। কালের বিবর্তনে এখন আমার সে টাকা দেয়ার পরিমাণ দাড়িয়েছে মাসে ১৫০।
সাথী হয়েছি প্রায় ১০ বছর হতে চললো, এখনও সদস্য হতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালিন সভাপতি বেলাল হোসেন ভাইকে অক্ষেপ করে বললাম, ভাই সদস্য তো হতে পারলামনা । তিনি বললেন তোমাকে তো সদস্য বানাতেই চাই । কিন্তু তুমি নামাজ কাজা বন্ধ করতে পারোনা। বই গুলো শেষ করতে পারনি। - কথাটা মিথ্যে ছিলনা। একশ পনেরটা বই পড়তে হয় সদস্য হতে হলে। আমার তখনও বই বাকি প্রায় ৪৫%। আর নামাজ বিগত ছয় মাসের মধ্যে কাজ্বা থাকতে পারবেনা। আমার দুই-তিন মাস পরপরই নামাজ কাজ্বা হয়ে যেত।
আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমি সদস্য- প্রার্থী। গত ১০ মাসে আমার নামাজ কাজা নেই । এখন বই বাকি ১৫টি। তবে প্রতিটিই প্রায় ৩০০পৃষ্ঠার ওপরে।
আমি বর্তমানে একজন ওয়ার্ড সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার ওয়ার্ডে সাথী সংখ্যা ১০। এক ঝাক কর্মী তো রয়েছেই। সাথীদের মধ্য থেকে ১০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত মাসে এয়ানত(চাঁদা) দিয়ে থাকে। আর কর্মীরা যে যার সামর্থ অনুযায়ী, তবে মাসিক। এছাড়া প্রতিমাসে বিভিন্ন শুভাকাঙ্খিরা টাকা দিয়ে থাকেন। উর্ধতন সংগঠনকে মাসে পরিশোধ করি ১৪০০ টাকা। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে থাকি। বিশেষ টাকার প্রয়োজন হলে কর্মীভাইদের নিকট সমস্যা তুলে ধরি, শুভাকাঙ্খীদের কাছে যাই। তারা সাধ্যমত দান করেন। আশা করি শিবিরের টাকার বিষয়টি স্পষ্ট করতে পেরেছি।
শিবির করতে এসে আমার জীবনের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন কুরআন পাঠ করতে হয়। কম হলে কৈফিয়ত দিতে হয়। এ ছাড়া হাদিস, ইসলামী সাহিত্য, পাঠ্যপুস্তক এগুলোও নিয়মিত করতে হয়। এবং প্রত্যেকটির জন্যই জবাব দিতে হয়। আমিও আমার ওয়ার্ডের সাথীদের এই বিষয়গুলো সাধ্যমত তদারক করার চেষ্টা করি। সাথীরা তদারক করে কর্মীদের। আমি সব কর্মীদের নিকট যাওয়ার সুযোগ পাইনা।
মাদ্রাসায় পড়িনি তবে কুরআন তেলাওয়াতে তাদের কারো চেয়ে অশুদ্ধ হবেনা আশা করি। ব্যক্তিগত জীবনে পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করি। রাস্তায় নামলেই সাথী, কর্মী, সমর্থকদের চোখের প্রহরায় থাকি। অর্থাৎ নফসের প্ররোচনায় পড়ে অনৈতিকতার পথে পা বাড়াতে গেলেও শিবির এবং ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় আমাকে বাধা দেয়। পরীক্ষার হলে যে যা কিছূ করুক, আমি ঘাড় ফিরাতে গেলেও আমার অবস্থান আমাকে বাধ্য করে মাথা সোজা রাখতে। এক অদৃশ্য প্রোটেকশন আমাকে সোজা পথে চলতে বাধ্য করে। এ তৃপ্তি, এ প্রশান্তি বর্ণনা করে বলা অসম্ভব। বন্ধুরা নিজেরা যে যাই বলুক, আমি উপস্থিত থাকলে হিসেব করে কথা বলে। আমার অনেক লীগ, দল, এবং বাম বন্ধূ রয়েছে। এক ছাত্রলীগের বন্ধুর বক্তব্য হচ্ছে- "দোস্ত, অনেক শিবির পিটাইছি, সামনেও পিটাব, তবে নিশ্চিত থাক, তোমার গায়ে হাত তুলবো না, কাউকে তুলতেও দেবনা।" হ্যা এটাই আমাদের নৈতিক অস্ত্র।
শিবির কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আর ইসলাম একাকি পালন সম্ভব নয়। আল্লাহর রসুলের দেখানো পথেই ইসলাম পালন করতে হবে। ছাত্রদের মধ্যে ইসলামের কাজকরা দলগুলোর মধ্যে শিবিরকে সবচেয়ে পারফেক্ট মনে হয়েছে, তাই শিবির করি। তবে আমরা নিজেদেরকে ইসলামের সোল এজেন্ট মনে করিনা। বাংলাদেশের খুব স্বল্প সংখ্যক ছাত্রই শিবির করে। বাকিরা সবাই খারাপ, ভুলেও এমন কথা বলিনা। শিবির করেনা এমন অসংখ্য ছেলে আছে যারা আমার চেয়ে ভাল। তবে ভাল বানানোর সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশে শিবিরকেই সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি ইসলামী দলকে শ্রদ্ধা করি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বললেও আমরা নিশ্চুপ থাকি। আওয়ামী লীগ বিএনপির নীতির প্রতি আমাদের বিরোধিতা রয়েছে, কিন্তু ব্যাক্তি হিসেবে কোন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর প্রতি আমাদের কোন ঘৃণা নেই।
অগোছালো অনেক কথাই বললাম। বিশেষ কোন প্রশ্ন থাকলে আসতে পারে। অনেকেই হয়তো রাজাকার বলে গালি দিবেন। অসুবিধে নেই। রাজাকার শব্দের অর্থও যখন জানিনা, সেই শৈশব থেকেই রাজাকার গালি শুনে আসছি। প্রথম প্রথম কান গরম হয়ে যেত। নালিশ করতাম নেতাদের কাছে। এখন সয়ে গেছে। এখন আবার কর্মীরা আমার কাছে এসে নালিশ করে। আমি শান্তনা দেই । আর অশ্লীল কথা বলবেননা দয়া করে। আমার ক্লাসমেটরা পর্যন্ত আমার সামনে অশ্লীল কথা বলা থেকে বিরত থাকে। আজকের মত এখানেই ।
লেখক : হলদে ডানা
আমাদের ব্রেনওয়াশ যেভাবে করা হয়
১.এক্স খুব ভালো ব্যবহার করে আমার সাথে, এত মিষ্টি করে সালাম দেয় ভালো না লেগে উপায় নেই
২.এক্স খুব স্মার্ট এবং ফিটফাট থাকে-তার মাথার চুল আচড়ানো, মুখের দাড়ি গোছানো-পোশাক ধবধবে পরিষ্কার
৩.এক্সকে কখনও কোন খারাপ কথা বলতে শুনিনা, সিগারেট খেতে দেখি না
৪.এক্স নামাজ পড়ে ৫ ওয়াক্ত মসজিদে গিয়ে
৫.এক্স এর বন্ধুরাও সবাই খুব ভালো- ঠিক এক্সের মত
৬.এক্স আমাকে সুন্দর সুন্দর পত্রিকা-গল্পের বই উপহার দেয়, ওগুলো এত মজার যে পাওয়ামাত্র পড়ে শেষ করে ফেলি ।
৭.এক্স ও তার বন্ধুরা কুইজ প্রতিযোগীতা, রচনা প্রতিযোগীতা এসবের আয়োজন করে । আমি তাতে খুব আগ্রহ নিয়ে অংশ নেই । রচনা প্রতিযোগিতায় ফাষ্র্ট হয়ে যাই কোনোবার।
৮.এক্সদের পিকনিকে ও যেতে হয় এরপর আমার । উফ, সে কি পিকনিক, হুলস্থুল কান্ড । গাড়িতে যাই আমরা । কি মিষ্টি মিস্টি গান শোনায় ওদের শিল্পীরা- কত কৌতুক বলে-অভিনয় করে, আমরা হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরিয়ে ফেলি । সবকিছু হয় খুব সাজানো গোছানো, কোন অনিয়ম নেই
৯.এক্সকে একদিন গালাগালি করে পাড়ার কিছু ছেলে । ওদের কে সবাই বখাটে ছেলে বলে । ওরা একদিন দেখি এক্সকে থাপ্পর মারলো, আমার এত কষ্ট হলো সেদিন ।
১০.আমার সেবার জ্বর হল । এক্স ও তার বন্ধুরা আমাকে যে কতবার দেখতে এসেছে তার ইয়াত্তা নেই । আমার আব্বু-আম্মু কখনও এক্সদের দেখতে পারে না । এরপর থেকে তারাও এক্সদের পছন্দ করতে শুরু করলো । এমনকি আম্মু দেখি বলছে, ছেলেটা কি সুন্দর করে সালাম দিয়ে খালাম্মা বলে ডাকলো !
ধীরে ধীরে এক্সরা আমাকে নিয়ে আসে আলোকিত এক ভুবনে । যে ভুবনের বাসিন্দারা কখনও কোন খারাপ কাজ করেনা , কাউকে অনর্থক কষ্ট দেয়না, সবাইকে ভালোবাসে আপনজনের মত ।যে ভুবনের বাসিন্দারা প্রত্যেকে জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাকে । যে ভুবনের বাসিন্দাদের প্রত্যেকের মনে গেঁথে গেছে সোনালী যুগের সাহাবী-জীবন যাপনের বাসনা ।
এক্সদের ভালোকাজের পরিমান এত বেশি-এতবেশি চোখ ধাধানো যে তার তোড়ে ভেসে যায় বখাটেদের গালিগালাজ আর এক্সদের বিরুদ্ধে তুলে ধরা যাবতীয় অপবাদ ।আমি হয়ে যাই পুরোপুরি ব্রেনওয়াশড !!!
লেখক : ভালো
০৫ থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাংবিধানিক কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করলেও এই সংগঠনকে চিনি আরো অন্তত ৬-৭ বছর আগে থেকে পিকনিক-কুইজ প্রতিযোগীতা-রচনা প্রতিযোগিতা আর পত্রিকা স্টিকারের জাঁকজমকপূর্ণ জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে সেই থেকে একটু একটু করে কাছে টেনে নিয়েছে এই সংগঠন । আলসেমি আর ফাঁকিবাজ ধরনের বৈশিষ্টের কারনে পুরোপুরি মিলে যেতে সময় লেগেছে অনেক...
ইসলামী ছাত্রশিবির এবং জামায়াতে ইসলামী । জামায়াত ইসলামী নিয়ে মাথাব্যাথা কখনোই অনুভব করিনাই, তাদের কারো সাথে কখনোই কোন ধরনের কথা পর্যন্ত হয়েছে বলে মনে পড়েনা । আবেগের সবটুকু শিবিরকে নিয়েই । জেনে এসেছি শিবির জামায়াতের কোন অংগ সংগঠন না । তবে.. কিছুটা দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছি, একই আদর্শের ধারক উভয় সঙ্গঠন । একটি কাজ করে শুধুমাত্র ছাত্র-অংগনে অন্যটা সবকিছু নিয়ে...
অপরিমেয় নেগেটিভ প্রচারনা । অগনিত অভিযোগ ! অসংখ্য অন্যায়ের দায় কাঁধে চাপানো হচ্ছৈ প্রতিটা মুহুর্তে..
তবুও জানপ্রাণ দিয়ে-অন্তরের সবটুকু ভালোবাসা নিয়ে আকড়ে ধরে আছি.. দাঁত কামরে ধরে আছি প্রিয় এই সঙ্গঠনকে ... এর কারন কি ? একেবারে অহেতুক ?
পৃথিবীর গাধাতম মানুষটার ও তো ন্যুনতম এটুকু জ্ঞান আছে যে এমন খারাপ সংগঠনের সাথে জড়িয়ে থাকার কোন মানে হয়না-সব জেনে শুনে... পাগল তো নই... অথবা আমি পাগল হলেও আরো লক্ষটা ছাত্রের সবাই তো মাথাখারাপ পাগল না...
আমার প্রথম ও প্রধানতম পরিচয়, আমি মুসলমান - আমি বিশ্বাসী - আমি বিশ্বাসী আল-কুরআনের প্রতিটা নির্দেশনায়.. আমি বিশ্বাসী মৃত্যু পরবর্তী জীবনের হিসেব-নিকেশে... আল কুরআনের নির্দেশনা ? কি সেটা ? খুব সহজসরল আর সাধারণ ভাষায় বলা যায় .."তোমাদের জন্য রাসুলের জীবনে রয়েছে সবচেয়ে উত্তম আদর্শ".. আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ সা: এর জীবনকে অনুসরন করা, তার কর্মপদ্ধতি অনুকরন করা ছাড়া আর কোন ধরনের-কোন অবস্থার জীবনব্যবস্থা অনুসরন করে মৃত্যুর পরের জীবনে পার পাওয়া যাবেনা.. কোন সন্দেহ নেই - সামান্যতম সন্দেহ নেই .. একজন বিশ্বাসী মুসলমানও এটায় সন্দেহ করতেও পারবে না...
আমাকে জানতে হয়েছে আল্লাহর রাসুলের জীবন, সেটা কিরকম !!! আমি যেমনটা জেনেছি..লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী মুসলমানও সেটা জানেন ! আল্লার রাসুল সা: নামাজ পড়া শেখানো আর রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে শেখানোর জন্য তার জীবন ব্যায় করেন নাই...
তিনি তার জীবন ব্যায় করেছেন, সব ধরনের প্রভুত্ব আর সব ধরনের জীবনব্যবস্থা ধ্বংস করে একমাত্র "লা শারীক আল্লাহ" র প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠিত করার জন্য । পৃথিবীর প্রতিটি কাজে থাকবে আল্লাহর কাছ থেকে সরাসরি প্রাপ্ত আল-কুরআনে বর্নিত নির্দেশনার সুনিবিড় অনুসরণ... এর কোন বিকল্প নেই...
আল্লাহর রজ্জুকে ধারন করা , সীসাঢালা প্রাচীরের মত করে সারিবদ্ধ থাকা , জামায়াতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করা..এগুলো সরাসরি কুরআনের নির্দেশ । কিভাবে এ নির্দেশ অমান্য করে আমি বা আমরা দলছাড়া মেষপালের একাকী মেষের মত বিচরণ করতে পারি ? সংগঠনবদ্ধ হওয়া ব্যতীত ইসলাম নামের কোন ধর্মেরই অস্তিত্ব থাকেনা..অনুসরনযোগ্য মানুষটি, যিনি আল্লাহর রাসুল..তিনি শিখিয়ে ও দেখিয়ে গেছেন...বিচ্ছিন্ন সব মানবসন্তানদেরকে সংঘব্ধ হয়ে থাকতেই হবে... এর-ও কোনই বিকল্প নেই...
এখন এলো সংগঠন বেছে নেবার পালা... কাকে বেছে নেবো ? খুবসহজ তিনটি অপশন চলে আসবে যেকোন বিচক্ষণ আর নিজের প্রতি শুভাকাংখী মানুষের মনে..
১. আমাকে যে বা যেই ইসলামী সংগঠনটি এসব শেখার ব্যবস্থা করে দিলো
২. তাকে ভালো না লাগলে অন্য কোন ইসলামী সংগঠন
৩. কাউকেই যুক্তি-জ্ঞান ও বিবেকের সাথে মিলাতে না পারলে নিজে একটি ইসলামী সংগঠন গড়ে তোলা...
লক্ষ্য করুন.. প্রতিটা ক্ষেত্রেই আপনাকে অবশ্য অবশ্যই ইসলামী সংগঠনভুক্ত হয়ে থাকতেই হবে..যদি আপনি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাসী (মুমিন) মানুষ হন...
যাহোক.. ইসলামী ছাত্রশিবির নামের ছাত্রসংগঠনটি ব্রেনওয়াশ করেই ফেললো..অন্তর্ভুক্ত করে ফেললো তার সব কর্মপদ্ধতি আর আদর্শের সাথে...
কিন্তু এ যে শিবির !!!
খুব খারাপ !!
- শিবির রগ কাটে !
: জ্বী না... অন্তত একদশক সময় ধরে খুব আন্তরিকতা নিয়েই এই সংগঠনের প্রতিটি কাজের খবর রেখেছি.. একটা ঘটনাও এরকম ঘটেনাই.. উল্টোটা ঘটলো বেশ কয়েকবার.. শিবির কর্মীদের রগে আক্রমন চালানো হলো মিডিয়া কাভারেজের মধ্যেই !
-তারপর ? শিবির তো ভন্ড ! ইসলামের নামে রাজনীতি করে - ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে !
: কই ? আমি তো এরকম পেলাম না ! আমি তো আল্লাহর রাসুলের জীবনী পুংখানুপুংখ ভাবে জেনেছি.. আমি তো নিজে কুরআনের আয়াতগুলো পড়ে দেখেছি...সেখানে যেসব কথা বলা হয়েছে, তা থেকেই তো শিবিরকে তার কাজের পদ্ধতি ঠিক করতে দেখলাম পুরোটা সময় জুড়ে ! কুরআন আর রাসুলের জীবনী জানা এই আমি এবং আমার মত আরো লক্ষটা ছাত্রকে কি করে সম্ভব কুরআন বিরোধী কোন ব্যবস্থা মেনে নিতে !
- তবুও শিবির খারাপ ! শিবির মানেই খারাপ ! কোন কারনের দরকার নাই !
: তাই? না !! শিবিরের কর্মীদেরকে আমি সিগারেট খেতে দেখিনাই । উগ্র কথা বলতে শুনিনাই কোনদিন..কারো সাথে অহেতুক খারাপ আচরন করতে দেখিনাই একজনকেও...প্রত্যেককে নামাজী পেয়েছি...প্রত্যেককে সত্যবাদী-নি:স্বর্থ আর ভদ্র হিসেবে দেখেছি..তবুও খারাপ ? কোন কুল কিনারা খুজে পাইনা আমি.. এই পচে যাওয়া নষ্ট সমাজের মাঝে একটা বা দুইটা ভালো গুণের ছেলেরাই তো হীরার মত জ্বলজ্বল করে । সেখানে এতবেশি ভালো ভালো ছেলেগুলোর একত্রিত সংগঠন..সেটাকে খারাপ বলার কোন মানেই খুজে পাইনা !
- আচ্ছা ! ঠিক আছে, তোমরা ভালো..কিন্তু এটা আসলেই ভন্ডামী..তোমাদের আগের প্রজন্ম অন্য নাম নিয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচুর অন্যায় করেছে । হত্যা করেছে - খুন করেছে...
: যদিও বিশ্বাস করার মত বাস্তবতা কখনোই খুজে পাইনি, তবুও ধরে নিলাম এই অভিযোগ সত্য । "ইসলামী ছাত্রসংঘ" ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অবর্নণীয় অন্যায় করেছে ... কিন্তু ??? ভেবে দেখি আমি.. সেই সংঘের তো মৃত্যু ঘটিয়ে দেয়া হয়েছে !! সেই সংঘের নাম ও নাই..সেই সংঘের কোন "খুনি" "রাজাকার" কর্মীও এখন এই-আমার ছাত্র সংগঠনটির সাথে জড়িত নেই । এখানে আমার দায়টা ঠিক কোথায় ?
আমি তো সর্বান্তকরনে সব কিছুকে ভালোই পেলাম ! সব ভালো দেখেই নিজেকে বিলিয়ে দিলাম.. আমি তো মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত এই সার্বভৌম রাষ্ট্রটির কল্যানকামী (আমার অন্তরটাতো আমি সবচেয়ে ভালো জানি) ..আমি বললাম, এই যে ছাত্রশিবির, তুমি কি এটা স্বীকার করো ? ছাত্রশিবির বিশাল বিজয় র্যালি করলো, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পর্যন্ত স্কলারশীপের ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার আকাংখাকে সম্মানিত করলো
তারপর ? সবকিছুতে ভালো আর কুরআন অনুসারী হবার পরে কনফিউশান ছিলো এই জায়গাটায়.. শিবির কি এদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি দায়বদ্ধ ? শিবির আবার স্বাধীনতা বিরোধি নাতো... আমার কনফিউশনের এই জায়গাটাও তো পরিস্কার হয়ে গেলো !!
তবুও ... ?
আমি নিজের বিবেকের কাছে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবার পরেও আপনাদের কাছ থেকে জানতে আগ্রহী...
ক. আমি/আমরা ছাত্রশিবিরের সাথে থাকবো
খ. আমি/আমরা অন্য কোন ইসলামী (যারা রাসুলের পুরোপুরি অনুসরণ শেখাবে) সংগঠনের সাথে জড়িয়ে যাবো (কোন সে সংগঠন ? )
গ. আমি/আমরা নিজেরাই কোন একটা নতুন সংগঠন করে তুলবো যা হবে নবী মুহাম্মদ সা: এর পরিপূর্ণ অনুসরণকারী ..
বলুন দয়া করে.. এর বাইরে আমাদের অন্য কোন পথ কি খোলা আছে ? যদি আসলেই থাকে, আমরা জানিনা.. দয়া করে সে পথের যৌক্তিকতা বুঝিয়ে দিন.. একটু সময় .. অল্প একটু সময় চাই আপনার কাছে...
কি করবো ? কি করলে সবাইকে তুষ্ট করা সম্ভব ? সংঘ ছেড়ে দিয়ে শিবির তো হলাম.. এরপর যদি বলেন শিবিরের ও মৃত্যু ঘটাতে হবে.. তারপর ? মুমিন জীবনের বাস্তবতার কারনে আরেকটা নতুন সংগঠন তো গড়ে তুলতেই হবে ! সে নতুনকে কি রেহাই দেয়া হবে অভিযোগ থেকে ?
নিম্চয়ই হবেনা..
আছে কোন উপায় ? এই পৃথিবীতে সুন্দর-সুখী-সুশৃংখল আর শান্তির সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা আর পরবর্তী জীবনে আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের... ?
০৫ থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাংবিধানিক কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করলেও এই সংগঠনকে চিনি আরো অন্তত ৬-৭ বছর আগে থেকে পিকনিক-কুইজ প্রতিযোগীতা-রচনা প্রতিযোগিতা আর পত্রিকা স্টিকারের জাঁকজমকপূর্ণ জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে সেই থেকে একটু একটু করে কাছে টেনে নিয়েছে এই সংগঠন । আলসেমি আর ফাঁকিবাজ ধরনের বৈশিষ্টের কারনে পুরোপুরি মিলে যেতে সময় লেগেছে অনেক...
ইসলামী ছাত্রশিবির এবং জামায়াতে ইসলামী । জামায়াত ইসলামী নিয়ে মাথাব্যাথা কখনোই অনুভব করিনাই, তাদের কারো সাথে কখনোই কোন ধরনের কথা পর্যন্ত হয়েছে বলে মনে পড়েনা । আবেগের সবটুকু শিবিরকে নিয়েই । জেনে এসেছি শিবির জামায়াতের কোন অংগ সংগঠন না । তবে.. কিছুটা দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছি, একই আদর্শের ধারক উভয় সঙ্গঠন । একটি কাজ করে শুধুমাত্র ছাত্র-অংগনে অন্যটা সবকিছু নিয়ে...
অপরিমেয় নেগেটিভ প্রচারনা । অগনিত অভিযোগ ! অসংখ্য অন্যায়ের দায় কাঁধে চাপানো হচ্ছৈ প্রতিটা মুহুর্তে..
তবুও জানপ্রাণ দিয়ে-অন্তরের সবটুকু ভালোবাসা নিয়ে আকড়ে ধরে আছি.. দাঁত কামরে ধরে আছি প্রিয় এই সঙ্গঠনকে ... এর কারন কি ? একেবারে অহেতুক ?
পৃথিবীর গাধাতম মানুষটার ও তো ন্যুনতম এটুকু জ্ঞান আছে যে এমন খারাপ সংগঠনের সাথে জড়িয়ে থাকার কোন মানে হয়না-সব জেনে শুনে... পাগল তো নই... অথবা আমি পাগল হলেও আরো লক্ষটা ছাত্রের সবাই তো মাথাখারাপ পাগল না...
আমার প্রথম ও প্রধানতম পরিচয়, আমি মুসলমান - আমি বিশ্বাসী - আমি বিশ্বাসী আল-কুরআনের প্রতিটা নির্দেশনায়.. আমি বিশ্বাসী মৃত্যু পরবর্তী জীবনের হিসেব-নিকেশে... আল কুরআনের নির্দেশনা ? কি সেটা ? খুব সহজসরল আর সাধারণ ভাষায় বলা যায় .."তোমাদের জন্য রাসুলের জীবনে রয়েছে সবচেয়ে উত্তম আদর্শ".. আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ সা: এর জীবনকে অনুসরন করা, তার কর্মপদ্ধতি অনুকরন করা ছাড়া আর কোন ধরনের-কোন অবস্থার জীবনব্যবস্থা অনুসরন করে মৃত্যুর পরের জীবনে পার পাওয়া যাবেনা.. কোন সন্দেহ নেই - সামান্যতম সন্দেহ নেই .. একজন বিশ্বাসী মুসলমানও এটায় সন্দেহ করতেও পারবে না...
আমাকে জানতে হয়েছে আল্লাহর রাসুলের জীবন, সেটা কিরকম !!! আমি যেমনটা জেনেছি..লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী মুসলমানও সেটা জানেন ! আল্লার রাসুল সা: নামাজ পড়া শেখানো আর রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে শেখানোর জন্য তার জীবন ব্যায় করেন নাই...
তিনি তার জীবন ব্যায় করেছেন, সব ধরনের প্রভুত্ব আর সব ধরনের জীবনব্যবস্থা ধ্বংস করে একমাত্র "লা শারীক আল্লাহ" র প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠিত করার জন্য । পৃথিবীর প্রতিটি কাজে থাকবে আল্লাহর কাছ থেকে সরাসরি প্রাপ্ত আল-কুরআনে বর্নিত নির্দেশনার সুনিবিড় অনুসরণ... এর কোন বিকল্প নেই...
আল্লাহর রজ্জুকে ধারন করা , সীসাঢালা প্রাচীরের মত করে সারিবদ্ধ থাকা , জামায়াতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করা..এগুলো সরাসরি কুরআনের নির্দেশ । কিভাবে এ নির্দেশ অমান্য করে আমি বা আমরা দলছাড়া মেষপালের একাকী মেষের মত বিচরণ করতে পারি ? সংগঠনবদ্ধ হওয়া ব্যতীত ইসলাম নামের কোন ধর্মেরই অস্তিত্ব থাকেনা..অনুসরনযোগ্য মানুষটি, যিনি আল্লাহর রাসুল..তিনি শিখিয়ে ও দেখিয়ে গেছেন...বিচ্ছিন্ন সব মানবসন্তানদেরকে সংঘব্ধ হয়ে থাকতেই হবে... এর-ও কোনই বিকল্প নেই...
এখন এলো সংগঠন বেছে নেবার পালা... কাকে বেছে নেবো ? খুবসহজ তিনটি অপশন চলে আসবে যেকোন বিচক্ষণ আর নিজের প্রতি শুভাকাংখী মানুষের মনে..
১. আমাকে যে বা যেই ইসলামী সংগঠনটি এসব শেখার ব্যবস্থা করে দিলো
২. তাকে ভালো না লাগলে অন্য কোন ইসলামী সংগঠন
৩. কাউকেই যুক্তি-জ্ঞান ও বিবেকের সাথে মিলাতে না পারলে নিজে একটি ইসলামী সংগঠন গড়ে তোলা...
লক্ষ্য করুন.. প্রতিটা ক্ষেত্রেই আপনাকে অবশ্য অবশ্যই ইসলামী সংগঠনভুক্ত হয়ে থাকতেই হবে..যদি আপনি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাসী (মুমিন) মানুষ হন...
যাহোক.. ইসলামী ছাত্রশিবির নামের ছাত্রসংগঠনটি ব্রেনওয়াশ করেই ফেললো..অন্তর্ভুক্ত করে ফেললো তার সব কর্মপদ্ধতি আর আদর্শের সাথে...
কিন্তু এ যে শিবির !!!
খুব খারাপ !!
- শিবির রগ কাটে !
: জ্বী না... অন্তত একদশক সময় ধরে খুব আন্তরিকতা নিয়েই এই সংগঠনের প্রতিটি কাজের খবর রেখেছি.. একটা ঘটনাও এরকম ঘটেনাই.. উল্টোটা ঘটলো বেশ কয়েকবার.. শিবির কর্মীদের রগে আক্রমন চালানো হলো মিডিয়া কাভারেজের মধ্যেই !
-তারপর ? শিবির তো ভন্ড ! ইসলামের নামে রাজনীতি করে - ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে !
: কই ? আমি তো এরকম পেলাম না ! আমি তো আল্লাহর রাসুলের জীবনী পুংখানুপুংখ ভাবে জেনেছি.. আমি তো নিজে কুরআনের আয়াতগুলো পড়ে দেখেছি...সেখানে যেসব কথা বলা হয়েছে, তা থেকেই তো শিবিরকে তার কাজের পদ্ধতি ঠিক করতে দেখলাম পুরোটা সময় জুড়ে ! কুরআন আর রাসুলের জীবনী জানা এই আমি এবং আমার মত আরো লক্ষটা ছাত্রকে কি করে সম্ভব কুরআন বিরোধী কোন ব্যবস্থা মেনে নিতে !
- তবুও শিবির খারাপ ! শিবির মানেই খারাপ ! কোন কারনের দরকার নাই !
: তাই? না !! শিবিরের কর্মীদেরকে আমি সিগারেট খেতে দেখিনাই । উগ্র কথা বলতে শুনিনাই কোনদিন..কারো সাথে অহেতুক খারাপ আচরন করতে দেখিনাই একজনকেও...প্রত্যেককে নামাজী পেয়েছি...প্রত্যেককে সত্যবাদী-নি:স্বর্থ আর ভদ্র হিসেবে দেখেছি..তবুও খারাপ ? কোন কুল কিনারা খুজে পাইনা আমি.. এই পচে যাওয়া নষ্ট সমাজের মাঝে একটা বা দুইটা ভালো গুণের ছেলেরাই তো হীরার মত জ্বলজ্বল করে । সেখানে এতবেশি ভালো ভালো ছেলেগুলোর একত্রিত সংগঠন..সেটাকে খারাপ বলার কোন মানেই খুজে পাইনা !
- আচ্ছা ! ঠিক আছে, তোমরা ভালো..কিন্তু এটা আসলেই ভন্ডামী..তোমাদের আগের প্রজন্ম অন্য নাম নিয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচুর অন্যায় করেছে । হত্যা করেছে - খুন করেছে...
: যদিও বিশ্বাস করার মত বাস্তবতা কখনোই খুজে পাইনি, তবুও ধরে নিলাম এই অভিযোগ সত্য । "ইসলামী ছাত্রসংঘ" ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অবর্নণীয় অন্যায় করেছে ... কিন্তু ??? ভেবে দেখি আমি.. সেই সংঘের তো মৃত্যু ঘটিয়ে দেয়া হয়েছে !! সেই সংঘের নাম ও নাই..সেই সংঘের কোন "খুনি" "রাজাকার" কর্মীও এখন এই-আমার ছাত্র সংগঠনটির সাথে জড়িত নেই । এখানে আমার দায়টা ঠিক কোথায় ?
আমি তো সর্বান্তকরনে সব কিছুকে ভালোই পেলাম ! সব ভালো দেখেই নিজেকে বিলিয়ে দিলাম.. আমি তো মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত এই সার্বভৌম রাষ্ট্রটির কল্যানকামী (আমার অন্তরটাতো আমি সবচেয়ে ভালো জানি) ..আমি বললাম, এই যে ছাত্রশিবির, তুমি কি এটা স্বীকার করো ? ছাত্রশিবির বিশাল বিজয় র্যালি করলো, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পর্যন্ত স্কলারশীপের ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার আকাংখাকে সম্মানিত করলো
তারপর ? সবকিছুতে ভালো আর কুরআন অনুসারী হবার পরে কনফিউশান ছিলো এই জায়গাটায়.. শিবির কি এদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি দায়বদ্ধ ? শিবির আবার স্বাধীনতা বিরোধি নাতো... আমার কনফিউশনের এই জায়গাটাও তো পরিস্কার হয়ে গেলো !!
তবুও ... ?
আমি নিজের বিবেকের কাছে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবার পরেও আপনাদের কাছ থেকে জানতে আগ্রহী...
ক. আমি/আমরা ছাত্রশিবিরের সাথে থাকবো
খ. আমি/আমরা অন্য কোন ইসলামী (যারা রাসুলের পুরোপুরি অনুসরণ শেখাবে) সংগঠনের সাথে জড়িয়ে যাবো (কোন সে সংগঠন ? )
গ. আমি/আমরা নিজেরাই কোন একটা নতুন সংগঠন করে তুলবো যা হবে নবী মুহাম্মদ সা: এর পরিপূর্ণ অনুসরণকারী ..
বলুন দয়া করে.. এর বাইরে আমাদের অন্য কোন পথ কি খোলা আছে ? যদি আসলেই থাকে, আমরা জানিনা.. দয়া করে সে পথের যৌক্তিকতা বুঝিয়ে দিন.. একটু সময় .. অল্প একটু সময় চাই আপনার কাছে...
কি করবো ? কি করলে সবাইকে তুষ্ট করা সম্ভব ? সংঘ ছেড়ে দিয়ে শিবির তো হলাম.. এরপর যদি বলেন শিবিরের ও মৃত্যু ঘটাতে হবে.. তারপর ? মুমিন জীবনের বাস্তবতার কারনে আরেকটা নতুন সংগঠন তো গড়ে তুলতেই হবে ! সে নতুনকে কি রেহাই দেয়া হবে অভিযোগ থেকে ?
নিম্চয়ই হবেনা..
আছে কোন উপায় ? এই পৃথিবীতে সুন্দর-সুখী-সুশৃংখল আর শান্তির সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা আর পরবর্তী জীবনে আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের... ?
7 comments:
http://www.priyoboi.com/2010/07/blog-post_3941.html
Bangladesh Islami catro shibir er moto Islami songoton ar nai.. Allah jeno tader monjile maksud e powce dai. Amin!!
Jodi Rattrio Sontrash tader upor choraw na hoto tara onek dor agute parto. Akon shibir korer age sinta korte hoy, awami sontraser attach er kota, kono reason sara arrest hober kota, kona koran sara gum/khoon hober kota. Janina Allah kon din a obosta teke amader rehai diben, to ami sure more than 80% general student shibir k and tader kormo kando k like kore mon pran diye. Sodo Rattrio sontraser er jonno ta express korte parena
sibir er neta der jobai korum
Amar kono montobbo nai. coker pani kano jani badha mantecena. allah amader sohay hon. amin.
jamat-shibir-er kobor rochona korte hobe ei banglar matite.
ইসলামী ছাত্রশিবির একটি উত্তম ছাত্র সংগঠন। আল্লাহ্ তুমি সকল সময় এই সংগঠন কে সাহায্য কর।সাতক্ষীরা এলাকার খবর সহ বিভিন্ন যাইগার গুরুত্বপূর্ণ তথের জন্য ঘুরে আসুন শিবির শ্যামনগর