DownLoad : বাংলা | English | Arabic
প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা একজন পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সমাজ সেবক আব্দুল কাদের মোল্লা ১৯৪৮ সালের ১৪ই আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পরপর দুই(২) বার ১৯৮২ এবং ১৯৮৩ সালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করি যে, তাকে ১৩ই জুলাই ২০১০ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন থেকে কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীতে পল্লবী থানার মামলা নং-৬০(১)০৮ এবং কেরানীগঞ্জ থানাধীন মামলা নং-৩০(১২)০৭ এ গ্রেফতার দেখায়। এরপর ২২শে জুলাই ২০১০ তারিখে আইসিটিবিডি মিস কেস নং-০১/২০১০ এ কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে আটক রাখা হয় যার কারণে ‘‘ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অব আর্বিট্রেরি ডিটেনশন’’সহ আরো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসমূহ তাকেসহ অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার জন্য বর্তমান সরকারকে আহবান জানায়।
জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠেনা।১৯৭২ সালের শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে হলে প্রত্যাবর্তন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। দালাল আইনে ৩৭ হাজার লোকের নামে মামলা করা হলেও তখন তার নামে কোথাও একটি জিডিও করা হয়নি। তিনি ১৯৭৪-৭৫ সালে উদয়ন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন - যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র জগন্নাথ হল ও সলিমুল্লাহ হলের মাঝা মাঝি অবস্থিত। ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেন। কোন হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত থাকলে তিনি সত্তরের দশকের এ উত্তাল সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থেকে অধ্যায়ন করা এবং ঢাকা শহরের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারা কিভাবে সম্ভবপর হয় যৌক্তিক কারণে সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই ৪২ বছর পর বর্তমান সরকার মানবতাবিরোধী বিচারের নামে মিরপুরের কসাই কাদেরকে কাদের মোল্লা হিসাবে চিহ্নিত করে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে দন্ডাদেশ প্রদান করেছে যা আইনের শাসন ও মানবাধিকারের চরম লংঘন । তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো অসত্য ও বিদ্ধেষপূর্ণ। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমূহ সংক্ষিপ্তভাবে পর্যালোচনা করলে সে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসে।
ট্রাইব্যুনালে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার বিরম্নদ্ধে ৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম চার্জটি হলো মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পল্লবকে হত্যা করা। এই চার্জে রাষ্ট্রপক্ষর দ্বিতীয় সাক্ষী সৈয়দ শহিদুল হক মামা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, তিনি শুনেছেন কাদের মোল্লার নির্দেশে আক্তার গুন্ডা পল্লবকে ঠাটারি বাজার থেকে ধরে এনে মিরপুরে হত্যা করে। কিন্তু তিনি কার কাছ থেকে শুনেছেন এ ব্যাপারে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নি। বরঞ্চ তিনি বলেন, ‘‘আমি জনতার কাফেলার কাছ থেকে শুনেছি’’। রাষ্ট্রপক্ষের অপর সাক্ষী সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কলেছেন যে, তিনি শুনেছেন মিরপুর বাংলা কলেজের একজন ছাত্রকে কাদের মোল্লার নির্দেশে হত্যা করা হয়। কিন্তু কার নিকট থেকে শুনেছেন সে কথা তিনি জেরায় উত্তর দিতে পারেন নি। কাদের মোল্লার পক্ষের সাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্যদেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী শাহেরা, তিনি শহীদ পল্লবের ভাবী। তিনি বলেন, তিনি কখনও শহীদ পল্লবের হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কাদের মোল্লার নাম শুনেননি। শুধু তাই নয় তদন্তকারী কর্মকর্তা তার কোন প্রকার জবানবন্দি গ্রহণ না করে কাদের মোল্লার নাম জড়িয়ে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি জমা দেন।
এই চার্জের অন্যতম স্বাক্ষী শহিদুল হক মামা,যিনি ১ ও ২ নং চার্জের স্বাক্ষী, ২০/০৪/২০১২ ইং তারিখে বিটিভি’তে প্রচারিত ‘রনাঙ্গনের দিনগুলি’ নামক এক অনুষ্ঠানে উক্ত চার্জের ঘটনাগুলো বর্ণনা করেন। কিন্তু সে বর্ণনায় আসামীর নাম জড়িয়ে কোন ঘটনার উল্লেখ করেন নি। অথচ ট্রাইব্যুনাল উপরোক্ত চার্জে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে ১৫ বছরে কারাদন্ড প্রদান করেন।
দ্বিতীয় চার্জে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে শহীদ কবি মেহেরুন্নেসা হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চার্জে স্বাক্ষী দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী-২: সৈয়দ শহিদুল হক মামা, রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী-৪: কবি কাজী রোজী, রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী-১০: সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম। উক্ত স্বাক্ষীদের কেউই জনাব আব্দূল কাদের মোল্লার এই ঘটনাটি দেখেন নি এবং তারা কার কাছ থেকে শুনেছেন তাও ট্রাইব্যুনালে বলতে পারেন নি।
রাষ্ট্রপক্ষের-২ নং স্বাক্ষী বলেন, তিনি শুনেছেন কবি মেহেরুন্নেসাকে কাদের মোল্লার নির্দেশে হত্যা করা হয় কিন্তু তিনি কার মাধ্যমে শুনেছেন কিভাবে শুনেছেন তা আসামী পক্ষের প্রশ্নের উত্তরে জবাব দিতে পারেননি। রাষ্ট্রপক্ষের-৪ নং স্বাক্ষী কবি কাজী রোজী বলেন তিনি শুনেছেন কাদের মোল্লার নেতৃত্বে বিহারীরা শহীদ কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা করেন। কিন্তু কাদের মোল্লা কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা করেছেন কিনা তিনি তা শুনেননি। অপরদিকে তার ২০১১ সালের জুন মাসে প্রকাশিত ‘শহীদ কবি মেহেরুন্নেসা’ নামক বইয়ে তিনি শহীদ কবি মেহেরুন্নেসার মৃত্যুর ব্যাপারে বিষদভাবে লিখেন। কিন্তু তিনি তার বইয়ে কাদের মোল্লার নাম কোথাও উল্লেখ করেননি। রাষ্ট্রপক্ষের-১০ নং স্বাক্ষী বলেন শহীদ কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা করেছে বিহারী এবং এই হত্যার ব্যাপারে তিনি কোন ভাবেই কাদের মোল্লাকে জড়িত করেননি। এই চার্জে প্রসিকিউশন তাদের মামলা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে ব্যার্থ হয়েছে তা সত্ত্বেও জনাব কাদের মোল্লাকে আইন বহির্ভূতভাবে ট্রাইব্যুনাল ১৫ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
তৃতীয় চার্জে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আইনজীবী এবং বুদ্ধিজীবী খন্দকার আবু তালেব হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এই চার্জে স্বাক্ষী দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের-৫ নং স্বাক্ষী খন্দকার আবুল আহসান এবং রাষ্ট্রপক্ষের-১০ নং স্বাক্ষী সৈয়দ আব্দুল কাউয়ুম। তারা উভয়ে শোনা স্বাক্ষী এবং তারা কেউ সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেনি খন্দকার আবু তালেব হত্যাকাণ্ডের সাথে আব্দুল কাদের মোল্লা জড়িত। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে মিরপুরের জল্লাদখানায় সংরক্ষিত শহীদদের জীবনী এবং শহীদ পরিবারের বিভিন্ন জনের জবানবন্দী সংরক্ষণ করা হয়েছে তা আসামী পক্ষ সংগ্রহ করে বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়। উক্ত জবানবন্দীতে দেখা যায় রাষ্ট্রপক্ষের-৪ নং স্বাক্ষী কাজী রোজী তার লেখা বই ‘শহীদ কবি মেহেরুন্নেছা’ তে খন্দকার আবু তালেব হত্যার জন্য বিহারী হালিমকে দায়ী করেন। সেখানে তিনি কেন আব্দুল কাদের মোল্লার নাম উল্লেখ করেননি জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “কাদের মোল্লার ভয়ে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।” আইনজীবিগণ প্রশ্ন করেন, “আপনার বই প্রকাশ হয়েছে ২০১১ সালে আর আব্দুল কাদের মোল্লা গ্রেফতার হন ২০১০ সালে তাহলে তিনি কিভাবে আপনাকে ভীতি প্রদর্শণ করলেন?” রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষী কাজী রোজি এর কোন জবাব দিতে পারেননি। অথচ মাননীয় ট্রাইব্যুনাল শুধুমাত্র শোনা স্বাক্ষীর উপর ভিত্তি করে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে ১৫ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে।
পঞ্চম চার্জে পল্লবীর আলোবদি গ্রামে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে। এই চার্জে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের-৬ নং স্বাক্ষী শফিউদ্দিন মোল্লা এবং রাষ্ট্রপক্ষের-৯ নং স্বাক্ষী আমির হোসেন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষের-৬ নং স্বাক্ষী তার প্রদত্ত জবানবন্দিতে বলেছেন, ঘটনার আগে তার পুরো পরিবার প্রাণভয়ে সাভারস্থ সারুলিয়া গ্রামে চলে যায়। তিনি না গিয়ে ঘটনার দিন পার্শ্ববর্তী ঝোপ থেকে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে গুলি করতে দেখেছেন। অপরদিকে তার আপন ছোট ভাই (আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষের-৫ নং স্বাক্ষী)আলতাফ উদ্দিন মোল্লা বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে স্বাক্ষ দেন যে, ঘটনার পূর্বে তাদের পুরো পরিবার পালিয়ে গিয়েছিল সাভারস্থ সারুলিয়া গ্রামে এবং তার বড় ভাই শফিউদ্দিন মোল্লাও তাদের সাথে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সুতরাং তার ঘটনা দেখার কোন প্রশ্নই আসে না এবং তিনি মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের-৯ নং স্বাক্ষী আমির হোসেন মোল্লা মিরপুর এলাকার লাট ভাই হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৩ ডিসেম্বর ২০০১ ইং তারিখে অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় ১৫/০৫/২০১২ ইং তারিখে হাইকোর্টের বর্তমান একজন বিচারপতি মহোদয়ের জায়গা দখলের অভিযোগে সম্প্রতি কারা ভোগ করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমিদখল এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে শতাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। তিনি ২৫/০১/২০০৮ ইং তারিখে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন নিজামী, মুজাহিদ এবং কাদের মোল্লা আলোবদি গ্রাম আক্রমন করে এবং ঘটনার সময় সে দুয়ারী পাড়াস্থ এক ডোবায় আশ্রয় নেয় যা আলোবদি গ্রাম থেকে ৪ মাইল দুরে অবস্থিত। অথচ ২৬/০৮/২০১২ ইং তারিখে তিনি মাননীয় ট্রাইব্যুনালে এসে বলেন ঘটনার সময় তিনি আলোবদি গ্রামে ছিলেন এবং ঘটনার সময় তিনি আব্দুল কাদের মোল্লাকে গুলি করতে দেখেছেন।
উপরোক্ত বর্ণনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে প্রসিকিউশনের স্বাক্ষীবৃন্দ ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থে ট্রাইব্যুনালের সামনে অসত্য স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও মাননীয় ট্রাইব্যুনাল উক্ত অভিযোগে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
ষষ্ঠ চার্জে প্রসিকিউশন জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে হযরত আলী লসকর এবং তার পরিবারকে হত্যার ব্যাপারে অভিযোগ আনেন, যার একমাত্র স্বাক্ষী হল মোমেনা বেগম রাষ্ট্রপক্ষের-৩ নং স্বাক্ষী। তিনি বলেন যে, তিনি কাদের মোল্লাকে দেখেননি। জনৈক কামাল ও আক্কাস মোল্লার কাছ থেকে শুনেছেন যে তার বাবাকে কাদের মোল্লা হত্যা করেছে।
একই সাক্ষী মোমেনা বেগম তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা বিষয়ে ২০০৭ সালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন, ঘটনার দুই দিন আগে তিনি শ্বশুরবাড়ি চলে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। কোর্টে বলেন, ঘটনাস্থলে তিনি উপস্থিত ছিলেন আর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত বক্তব্যে দেখা যায় তিনি ঘটনার দুই দিন আগে শ্বশুর বাড়ি চলে যান।
অথচ মাননীয় ট্রাইব্যুনল উক্ত অভিযোগে মাত্র একজন স্বাক্ষীর মুখ থেকে শুনে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষ থেকে তার স্বাক্ষী-২ সুশীল চন্দ্র মন্ডল ট্রাইব্যুনালে এসে বলেন যে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা স্বাধীনতার পুরো সময় ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফরিদপুরের সদরপুর গ্রামে ছিলেন এবং সেখানকার ধলা মিয়া পীর সাহেবের বাড়িতে থেকে তার সন্তানদের পড়াতেন। আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষের-৩ নং স্বাক্ষী মোসলেম উদ্দিন আহমেদ যিনি ফরিদপুরে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনিও বলেন কাদের মোল্লা সাহেব স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময় ফরিদপুরের সদরপুরে ছিলেন এবং ধলা মিয়া পীর সাহেবের ছেলে মেয়েদের পড়াতেন।এবং আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষের ৬ নং স্বাক্ষী জনাব হাফেজ এ, আই, এম লোকমান যিনি ১৯৭১ সালে শহিদুল্লাহ হলের ইমাম ছিলেন এবং যে হলে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা থাকতেন। তিনি বলেন যে, ৭ই মার্চের পর তিনি জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে হল ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে দেখেছিলেন এবং কাদের মোল্লা ১৯৭২ সালের শেষের দিকে বাড়ি থেকে আবার প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।
সম্মানীত দেশবাসী
আপনারা জানেন যে, ২০১২ সালের ৯, ১০ এবং ১২ ডিসেম্বর দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ ক্যালেংকারীতে আমার দেখতে পাই যে, সেখানেও তারা জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে কখন শাস্তি দিবে তার তারিখ নির্ধারণ করছেন। ১৪ই অক্টোবর বিচারপতি নিজামুল হক ও জিয়াউদ্দিনের কথোপকথনের এক পর্যায়ে বলেন যে, ‘আপনি কাদের মোল্লারে ঢিল দেন। ঢিল দিয়া বাকিগুলোরে সামনে আগান। কেননা, ঐ যে এ্যাবসেন যে আছে ওর নাম জানি কি… ও বাচ্চু হেরে দিয়া শুরু করেন…. এরপর আপনারা তিন চারটা রায় দিয়া দেন অসুবিধা নাই কোন….’
প্রিয় দেশবাসী
এ থেকে প্রমানিত হয় জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়ার ঘটনাটি সুপরিকল্পিত।এই কথোপকথনের পথ ধরে জনাব আবুল কালাম আযাদের মামলা ২৫ শে নভেম্বর শুরু হওয়ার পর এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যায় এবং মাননীয় ট্রাইব্যুনাল ২১শে জানুয়ারি ২০১৩ রায় ঘোষণা করেন এবং গত ৫ই ফেব্রুয়ারি আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয় এই ৫ই ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখটি মাননীয় ট্রাইব্যুনাল ঘোষনার আগে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার মিশরে রাষ্ট্রীয় সফরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রায়ের তারিখ উল্লেখ করেন। যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে সরকারী নির্দেশনায় এ রায় দেয়া হয়েছে।এটা সুষ্পষ্ট যে, প্রসিকিউশনের স্বাক্ষীদের মনগড়া ও ইতিহাসের ঘৃর্ণতম মিথ্যাচারের উপর ভিত্তি করে এবং আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষের স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে মাননীয় ট্রাইব্যুনাল জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সরকার নির্দেশিত ছকে দন্ড প্রদান করেছেন যা দেশে বিদেশে সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট, বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ রায় হিসাবে সমালোচিত হয়েছে তাই জনগন মনে করে প্রতিহিংসার এ রায় প্রত্যাহার করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
জাতির কাছে আমাদের প্রশ্ন
আব্দুল কাদের মোল্লা যদি কথিত হত্যাকান্ড ও অপরাধের সাথে সত্যিই জড়িত থাকবেন তাহলে কি করে তিনি
১. ১৯৭২ সালের শেষের দিক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র হিসাবে হলে অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়ন অব্যাহত রাখতে পারলেন?
২. ১৯৭৪ এবং ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং জগন্নাথ হলের মাঝা মাঝি অবস্থিত উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কিভাবে কর্মরত থাকতে পারলেন?
৩. ১৯৭৭সালে বাংলাদেশ রাইফেলস কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারলেন?
৪. তিনি যদি সত্যিই এমন চিহ্ণত অপরাধী হবেন তাহলে কি করে ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে ২বার সাংবাদিকদের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন?
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
ঢাকা মহানগরী
WE WANT JUSTICE: WE WANT RELEASE OF ABDUL QUADER MOLLAH
Honorable Citizens of Bangladesh
It is in your consideration that Abdul Qader Mollah is renowned politician and well known personality involved in numerous social institutes and activities in independent Bangladesh. He was born in 1948 on 14th of August in Faridpur. Currently his is discharging the responsibility of Assistant Secretary General of Bangladesh Jamaat-e-Islami. He was elected as the Vice President of Dhaka Journalists’ Union for two consecutive terms in 1982 and 1983.
We are experiencing in grave concern that he was arrested from the Supreme Court premise on 13th July of 2010 without any single charge or warrant against him. Later he was shown arrest in case number 60(1)08 filed in Pallabi police station and case number 30(12)07 of Keraniganj Police station of Dhaka. Later he was shown arrest in the case of ICTBD Case 01/2010 without any specific or concrete charge. He was remain imprisoned until December 2011, for nearly one and half year, without any specific charges against him. In context of the imprisonment without charges, The UN Working Group of Arbitrary Detention and other national and international organizations requested Bangladesh government to release him.
Dear Citizens
We strongly say that Abdul Qader Mollah was never involved in any sort of crime against humanity during the liberation war of Bangladesh in 1971. He stayed in his village during the war and returned to his academic institute Dhaka University in 1972 following the war and restarted his academia staying at Shahidullah Hall as a residential student. Later he completed his Masters from the Institution of Education and Research securing First Class First position.
After the independence of Bangladesh, the erstwhile government enacted the Collaborators Act to try the personnel involved in aiding and abetting the Pakistani forces in committing war crimes. At least 37 thousand native Bangladeshi people were accused under that act. As Abdul Quader Mollah was not involved in any kind of such activities, not a single General Diary (GD) was filed against him. During 1974-75, he was teacher of Udayan School, a prestigious academic institute inside the campus of Dhaka University, adjacent to Jagannath Hall and Salimullah Hall (SM Hall) of the university. During 1977, he was appointed as a Senior Teacher at Bangladesh Rifles Public School and College. If Abdul Quader Mollah was involved in any single crime against humanity or in war crimes, how could he then be allowed to stay in Dhaka University and conduct job at the heart of the campus while all the collaborators and abettors of Pakistani forces were on toe during the turbulent days of 70s?
Only to materialize political vendetta and as per the plan of eliminating political dissidents, the allegations of crimes against humanity are brought against the Jamaat leader. Allegations against Kosai Kader, an accused of war crimes, have been replaced against of Abdul Quader Mollah and the Jamaat leader has been convicted in false, ill- motivated and politically prepared allegations of crimes against humanity in the tribunal set up by a radical secular government in Bangladesh. A synopsis, and detailed later on, of the judgment against Abdul Quader Mollah would bring the light.
The 6 charges and judgment against Abdul Quader Mollah
Charge One
The first charge brought against Abdul Quader Mollah is killing Pallab, a freedom fighter. Second witness of the Prosecution Shahidul Haque Mama gave statement at the tribunal. In the statement, Shahidul Haque Mama claimed he heard “a group of people seized Pallab from Thataribazar in the capital and brought him to Mirpur. Later Quader Mollah ordered to kill Pallab”. Shahidul Haque Mama was asked from whom he had heard that incident, but he could not reply. His reply was ‘ I have heard it from the stream of people of Mirpur’.
Shahidul Haque Mama, also the prosecution witness of the charge 2 against Abdul Quader Mollah, described the incidents of the charges 1 and 2 in Bangladesh Television (BTV) broadcast documentary ‘Ronangoner Dinguli’ ( Days of the Battlefield). In his description in the government run television, Shahidul Haque Mama didn’t mention name of Abdul Quader Mollah.
Another witness of the prosecution Syed Abdul Qaium said at the tribunal that he has heard that Pallab was killed as Quader Mollah ordered to kill Pallab. But the prosecution witness couldn’t say a single name from whom he has heard that Quader Mollah either ordered to kill Pallab or in charge of commissioning the killing.
Most amazingly, the prosecution witness and only witness of Pallab’s killing; daughter-in-law of Pallab, Shahera gave statement in favor of Quader Mollah. She said the family members have never heard of Quader Mollah in line with Pallab’s killing. However, the investigation officer didn’t take witness of the in-law of Pallab but enlisted name of Abdul Quader Mollah as the accused of killing Pallab.
Ignoring the stark anomalies and lack of evidences, the tribunal ordered Abdul Quader Mollah 15 years imprisonment for ‘complicity’ in commission of Pallab killing.
Charge Two
In this charge, Abdul Quader Mollah is accused of killing poet Meherunnesa. Prosecution witness- 2 Shahidul Haque Mama, Prosecution witness- 4 Poet Kazi Rozi, and prosecution witness -10 Syed Abdul Qaium have also gave statement against Abdul Quader Mollah in the second charge. None of the witnesses had seen the incident and no witness couldn’t tell name of a person from whom they have heard the incident of killing of Poet Meherunnesa.
Second witness of the prosecution Shahidul Haque Mama has heard that poet Meherunnesa had been killed upon the order of Abdul Quader Mollah. But he couldn’t tell the tribunal from whom he has heard the incident. Poet Kazi Rozi has told the Tribunal that Poet Meherunnesa was killed by a group Biharis (Urdu speaking people staying in the erstwhile East Pakistan following 1947) upon the order of Quader Mollah. However, she didn’t hear whether Quader Mollah had killed poet Meherunnesa. During June of 2011, poet Kazi Rozi published a book titled Shahid Kabi Meherunnesa. She has written in detail description of killing of poet Meherunnesa. But name of Abdul Quader Molla is found nowhere in her book let alone as killer of poet Meherunnesa.
Prosecution witness Syed Abdul Qaium told the tribunal that Biharis had killed poet Meherunnesa. The prosecution witness also didn’t put name of Quader Mollah in connection to the killing of poet Meherunnesa. The prosecution totally failed to prove the charges against Abdul Quader Mollah, but the tribunal ordered 15 years of imprisonment for this charge.
Charge Three
In the charge three, Abdul Quader Mollah has been accused of killing intellectual and journalist Khandakar Abu Taleb. Prosecution witness- 5 Khandakar Abul Ahsan and Prosecution witness-10 Syed Abdul Qaium have given statement against Abdul Quader Mollah. Like of the first two charges, both of these two witnesses have told the tribunal that they had heard of the incident. Any of them couldn’t specifically tell about involvement of Quader Mollah in that killing. Collecting from the memorial in Mirpur, the defense counsel submitted the biographies and recorded interviews of the family members and other documents of the martyrs. In the recorded evidences it is found that poet Kazi Rozi has mentioned Bihari Halim as the killer of Khandakar Abu Taleb. In the Tribunal Poet Kazi Rozi was asked why she didn’t mention name of Abdul Quader Mollah as the killer of Khandakar Abu Taleb. Poet Kazi Rozi replied that she didn’t mention the name in fear. Abdul Quader Mollah was arrested in July 2010 and Kazi Rozi has published her book in 2011. The defense asked poet Kazi Rozi how could a person staying inside jail may threaten her while the trial of crimes against humanity was going. The defense also asked about the rationality of threatening a witness by an accused of committing crimes against humanity. But poet Kazi Rozi could not put any words to that question. However, on the basis of the witnesses who have heard the incident, the Tribunal handed down 15 years imprisonment to Abdul Quader Mollah.
Charge Five
In this charge, Abdul Quader Mollah is accused of carrying mass killing at Alobdi village. Prosecution witness -6 Shafiuddin Mollah and Prosecution witness-9 Ameer Hossen Mollah have given statement against Abdul Quader Mollah. Prosecution witness Shafiuddin Mollah claimed their whole family left for Sarulia village of Savar in fear of life. Instead of going with the family members, he stayed behind a bush and watched Abdul Quader Mollah firing on the people. But his younger brother Altaf Hossen Mollah confirmed the Tribunal that all members of their family went to Sarulia village so as his elder brother Sahfiuddin Mollah was with them. So there was no chance of watching the scene staying beside bushes and his statement was totally false.
Another prosecution witness Ameer Hossen Mollah is a notorious terrorist of Mirpur area. Locally he is known as ‘Laat Bhai’ ( gang leader). On 13th December of 2001, law enforcers arrested him with illegal arms. Recently, 15/05/102; he has been freed from jail being convicted of occupying land of a sitting judge of the High Court. This person filed a case at Pallabi police station on 25/01/2008 alleging that he watched Nizami, Mujahid and Quader Mollah attacking Alobdi village. He claimed in the case that he took shelter in a pond at Duaripara, at least four miles away from Alobdi village, and watched the accused leading the attack. However, on 26/08/2012 he told the Tribunal that he was at Alobdi village during the time of ‘attack’ and he watched Quader Mollah firing on the people.
These witness statements proves how anomalous the statements are so as these points prove the ill-motivation of the filed charges. But the Tribunal has ordered life time imprisonment of Abdul Quader Mollah accepting these statements.
Charge Six
Abdul Quader Mollah is accused of killing Hazrat Ali Laskar and his family members in this charge. The only witness of the charge is Momena Begum, prosecution witness- 3. She told the tribunal that she heard from some Kamal and Akkas Mollah that Abdul Quader Mollah had killed her father. This witness gave statement about the killing of her father and rape of the family members to the Liberation War Museum during 2007. In her description to the Liberation War Museum, she told that she had left for her in-law house before two days of the day of killing. As she was in her in-laws house, she remained alive. However, in the tribunal, Momena Begum told she was present at the scene.
Acknowledging the only statement, the Tribunal handed down life time imprisonment to Abdul Quader Mollah.
Where was Abdul Quader Mollah during the war?
The witnessed of Abdul Quader Mollah confirmed the Tribunal that during the war ,Quader Mollah stayed at Sadarpur village of Faridpur. Defense witness-2, Shushil Chandra Mondal told the Tribunal that since the war of liberation to till November of 1972, Abdul Quader Mollah stayed at the house of Dhola Mia Peer Saheb ( an elderly respected religious person). Shushil Chandra also confirmed that Abdul Quader Mollah used teach children of the Dhola Mia. Defense witness-3 Moslem Uddin Ahmed, who as a headmaster of a school in Faridpur, told the Tribunal that Abdul Quader Mollah stayed at the house of Dhola Mia Peer Saheb at Sadarpur of Faridpur and used to teach the children of the family. Defense witness-6 Hafez ( who have memorized the entire Quran) A I M Lokman, who was the Imam ( head of the Islamic Prayer in a Mosque) of Shahidull Hall Mosque of Dhaka University; told the Tribunal that he saw Abdul Quader Mollah leaving the Hall following 7th of March of 1971. He also informed the Tribunal that Abdul Quader Mollah returned to Hall during the late of 1972.
Honored Citizens
You have already known from the Daily Amaar Desh of 9,10 and 12 December of 2012 about the Skype scandal of the resigned Chairman of the International Crimes Tribunal Justice Nizamul Haque Nasim. In the Skype conversation, it was revealed that they fixed even the timeline of handing down the verdict against Abdul Quader Mollah. From the Skype conversation of Nizamul Haque Nasim and Ahmad Ziauddin of 14th October, we found the conversation-
“ Let the verdict of Quader Mollah be a bit slow. Let the other cases be advanced in the meantime. That one who is absent…I guess what is his name…Oh! Bacchu ( Abul Kalam Azad), start the case of Bacchu Razakar. Start giving verdicts with Bacchu. Later you can declare other three or four in a row. Then there would be no problem”.
Distinguished Citizens
These entire proceedings show that the verdict against Abdul Quader Mollah was preplanned and well sketched. Following the Skype conversation, the Tribunal started the case against Bacchu Razakar ( Abul Kalam Azad) from 25th of November of 2012. Later on 21st January 2013, verdict was declared against Abul Kalam Azad. In the same planned flow, verdict was declared against Abdul Quader Mollah on 5th February. Not only the context, Home Minister of the incumbent radical secular Awami League government Mohiuddin Khan Alamgir confirmed the verdict date against Abdul Quader Mollah at a program while visiting Egypt. This regular flow chart shows that the verdict has been declared in line with the government’s direction. It is now clearly revealed that the Tribunal have declared the verdict accepting the ill-sketched statements of the prosecution witnesses and rejecting the statements of defense witnesses to materialize the government’s planned verdict. The people now find the verdict as perverse, false, controversial and debated. They believe the verdict must be cancelled and Abdul Quader Mollah should be freed from prison.
Last few Questions to the Conscience
If Abdul Quader Mollah was truly involved in the alleged crimes then how could he
- Had stayed at Shahidullah Hall of Dhaka University as a residential student after returning from Faridpur at late 1972?
- Had worked as Teacher of Udayan School, prestigious institution adjacent to Jagannath Hall and Salimullah Hall inside Dhaka University during the days of 1974 and 1975?
- Had been appointed as Senior Teacher and Principal (acting) of Bangladesh Rifles School and College during 1977?
- Had been elected as the Vice President of Dhaka Journalists’ Union for two consecutive times in 1982 and 1983?
Bangladesh Jammat-e-Islami
Dhaka City
أيها الشعب الفضلاء!
السلام عليكم و رحمة الله
إنكم تعلمون بأن "السيد عبد القادر ملا" رجل سياسى معروف و خادم المجتمع ولد فى يوم ال 14 لشهر أغسطس عام 1948 ميلاديا- و هو مساعد أمين العام للجماعة الإسلامية بنغلاديش حاليا- قد أنتخب مرتين على التوالى فى منصب نائب مدير للنقابة الصحفيين سنة 1982 و 1983م –
ولكن للأسف الشديد لاحظنا أنه قد اعتقل فى تاريخ ال13 يوليو عام 2010 ميلاديا من حرم المحكمة الاستئنافية فى العاصمة داكا بلا تهمة معينة و كُتب فى سبب اعتقاله بأنه اعتقل فى شكوى رقم 60 (1) 08 المقامة فى مخفر الشرطة لبوللوبى و رقم 30 (12) 07 المقامة فى مخفر "الشرطة كيرانى غنج"- و بعد ذلك تم إضافة سبب الاعتقال فى شكوى رقم 01/2010 المقامة فى "محكمة جريمة ضد حقوق الإنسان" (تم تغييره من "محكمة جريمة الحرب") فى 22 يوليو 2010 ميلاديا بدون أى تهمة معينة- حتى تم حبسه فى السجن حتى ديسمبر 2011 بدون أى تهمة معينة مخالفة للقوانين- و لذلك كثير من المؤسسات المحلية و الدولية لحقوق الإنسان طلبوا إلى الحكومة لاطلاق سراحه هو و رجال سياسيىين الآخرين المحبوسين فى السجن على وجه السرعة، من ضمن هذه المؤسسات "The UN Working Group of Arbitrary Detention " -
ان السيد عبد القادر ملا لا يمكن أن يكون من المقترفين فى الجريمة عند حرب الاستقلال- لأنه رجع إلى سكن الجامعة لجامعة داكا المسمى "قاعة شهيد الله" كطالب و تخرج من معهد التعليم و البحوث بالدرجة الأولى و حصل على المرتبة الأولى فى القسم- لم يوجد أى شكوى عليه فى مخافر الشرطة رغم أنه تم مرافعة طلب المحاكمة على 37 ألفا من المواطنين فى تهمة مساعدة المحتلين- كان أستاذا لمدرسة "أوديون" عام 1974-1975 التى تقع بين سكن الجامعى "قاعة جوغونات" و "قاعة سليم الله" داخل حرم الجامعة- و فى عام 1977م شارك فى "مدرسة و كلية العامة للقوات النظامية" ككبار الأساتذة- و بعد ذالك عمل مديرا مؤكلا للمدرسة-
هنا يطرح السؤال لو كان مقترفا فى الجريمة عند الحرب كيف يمكنه مواصلة الدراسة فى الجامعة و التدريس فى كبار مؤسسة التعليم بعد الحرب بأيام قليلة و هو ساكن فى سكن الجامعة؟ و أن الوقت حينئذ كان صعبا جدا- أجل، فقط لحسدهم السياسى بعد 42 عاما من الحرب رافعت الحكومة الشكوى عليه بتهمة انه هو "القادر الجزار" المشهور فى ميرفور و حكم عليه بالحبس مدى الحياة بتهمة كاذبة و بطريقة درامية التى تعكس القانون وحقوق الإنسان بأكملها- و الشكاوى المقامة عليه كلها كذب و افتراء حسدا عليه- عند التحقيق لهذه الاتهامات باختصار يتبين هذه الحقيقة-
تم القضاء علي عبد القادر ملا اعتمادا على 6 شكاوى-
أولا: أول تهمة هى قتل "بللوب" فى ميرفور- فى هذه التهمة أدى الشهادة "السيد شهيد الحق ماما" الشاهد الثانى لطرف الحكومة- قال فى الشهادة بأنه سمع أنه جاء "أختار غندا" ب "بللوب" إلى ميرفور فى سوق "التاتارى" و قتله بأمر عبد القادر ملا- و لكنه لم يجب جوابا شافيا عندما سئل ممن سمعت هذا؟ قال: سمعت من شعب ميرفور- و قال شاهد آخر "عبد القيوم" أنه سمع أن طالبا لكلية البنغالية قد قُتل بأمر "السيد عبد القادر ملا"- عندما سئل فى المناقشة ممن سمعت هذا لم يجب جوابا شافيا- و أدت الشهادة فى طرف الحكومة "شاهرة" و هى زوجة أخى "بللوب"- قالت: هى لم تسمع أحدا اسمه عبد القادر ملا اقترف فى جريمة قتل "بللوب"- ليس هذا فحسب، بل المحقق لم يقبل قولها و أضاف اسم عبد القادر ملا من عنده فى المستندات و قدمه إلى المحكمة كشهادة لها-
علما بأن أحدا من شهداء هذه التهمة "شهيد الحق ماما" الذى كان شاهدا لتهمة الأولى و الثانية: هو الذى تحدث عن هذه الحادثة فى تاريخ 20/4/2012 فى حلقة تليفيزيونية بنغلاديش، و لكنه لم يسم أحدا، و لكن لجنة القضاة حكم عليه لهذه التهمة بالحبس 15 عاما-
ثانيا: التهمة الثانية المقامة ضده هى تهمة قتل شاعرة "ماهر النساء"- أدى الشهادة فى طرف الحكومة لهذه التهمة الشاهد الثانى نفسه "السيد شهيد الحق ماما"، الشاهد الرابع: الشاعر روجى القاضى، والشاهد العاشر السيد عبد القيوم- هؤلاء لم يروا هذه الحادثة- من أين سمعوا؟؟ لم يستطيعوا الإجابة عند المناقشة فى المحكمة-
قال الشاهد الثانى: أنه سمع بأن الشاعرة "ماهر النساء" قُتلت بأمر السيد عبد القادر ملا لكنه لم يستطيع الإجابة عن مصدر السمع- قال الشاهد الرابع "الشاعر الروجى القاضى" بأنه سمع أن الشاعرة "ماهر النساء" قُتلت بالبحاريين بسيادة "السيد عبد القادر ملا"- و لكنه لم يسمع بأن السيد عبد القادر ملا قتلها- من جهة أخرى هو الذى كتب الكتاب المسمى "الشاعرة الشهيدة ماهر النساء" المنشور فى شهر يونيو 2011 و تحدث فيه عن الشاعرة "ماهر النساء" بالتفصيل و لم يذكر في كتابه اسم عبد القادر ملا شيئا- و قال الشاهد العاشر أن الشاعرة ماهر النساء قتلها البحارييون و لم يذكر عبدَ القادر ملا كقاتلها- فى الحقيقة ان الحكومة لم يستطع اثبات التهمة، و لكنه حكم عليه بحبس 15 عاما الذى لا يوافق القانون-
ثالثا: أقيمت ضد السيد عبد القادر ملا تهمة قتل المحامي و مفكر "خندكار أبى طالب"- و أدى الشهادة فيه الشاهد الخامس "خندكار أبو الأحسن" و الشاهد العاشر "السيد عبد القيوم" كلاهما شاهد سماعى لم يجب جوابا شافيا بأن "السيد عبد القادر ملا" كان مشاركا فى قتل أبى طالب- هناك متحف حرب الاستقلال يحتفظ حياة الشهداء و أقوال أقربائه فى مجزرة ميرفور- و هذه المستندات تم تقديمه من المدعى عليه إلى المحكمة خلال المحاكمة- يرى فيها بأن الشاهد الرابع "الروجى القاضى" كتب فى كتابه المسمى "الشاعرة الشهيدة ماهر النساء" بأن المسئولية فى قتل أبى طالب للحليمة البيحارية- لما سئل لماذا لم يذكر اسم "السيد عبد القادر ملا" فى كتابه؟ قال لخوف عبد القادر ملا- سأله محاميو "السيد عبد القادر ملا" نشرت كتابك فى 2011 و عبد القادر ملا اعتقل فى 2010 إذن كيف يخوفك؟ الشاهد لم يجب إجابة سليمة لهذا السؤال- و لكن المحكمة حكم عليه بالحبس 15 عاما-
خامسا: أقيمت تهمة أخرى ضد "السيد عبد القادر ملا" عن حادثة القتل فى قرية "ألو بودى" فى "بللوبى"- أشهد فى هذه الشكوى الشاهد السادس "شهيد الدين ملا" و الشاهد التاسع "أمير حسين ملا"- قال الشاهد السادس فى قوله:
قبل الحادثة فرت الأسرة بأكملها خوفا إلى ساروليا قريبا من مدينة "سافار" لكنه لم يفر بل يتخبأ جنب الشجيرة و رأى "السيد عبد القادر ملا" يطلق النار- من جهة أخرى قال شقيقه "ألطف الدين" و هو الشاهد لطرف "السيد عبد القادر ملا" فى شهادته بأن الأسرة بأكملها فرت وأخوه أيضا فر معهم- إذن يستحيل أن يرى هذه الحادثة بل هو أدى شهادة كاذبة- و الشاهد التاسع "أمير الدين ملا" المعروف فى ميرفور باسم "لات باى" هو الذى اعتقل فى ال13 من ديسمبر 2001 م مع الأسلحة غير قانونية- ليس هذا فحسب ففى 15/5/2012 م سجن لتهمة غصب الأرض لأحدى قضاة المحكمة العليا- كذالك عنده أكثر من مائة قضية مقامة فى المحكمة منها: اتهامات الغصب، النهب، و أسلحة غير قانونية- هو الذى سجل الشكوى فى 25/1/2012 م فى مخفر شرطة "بللوبى"- و اشتكى بأن النظامى (مطيع الرحمن النظامى : أمير الجماعة الإسلامية) و مجاهد (أمين عام للجماعة الإسلامية) و السيد عبد القادر ملا هجموا فى قرية "ألوبودى" و فى ذلك الحين التجأ فى منطقة "دوارى بارا" بعيدا من قرية "ألوبودى" ب4 كيلومتر- ولكنه قال فى شهادته فى المحكمة أنه كان فى ذلك الحين فى قرية "ألوبودى" و رأى "السيد عبد القادر ملا" يطلق النار-
من هذه البيانات يتبين بأن الشهود أدوا شهادة الزور فى المحكمة لأجل الحصول على فائدة شخصية أو حزبية- و لكن للعجب العجاب أن المحكمة حكمت عليه فى هذه التهمة بالحبس مدى الحياة-
سادسا: مدعى العام رفع عليه الشكوى لقتل "حضرت على وأسرته" و شاهدها "مؤمنة بيغوم" الشاهدة الثالثة فقط- قالت فى شهادتها: انها ما رأت "السيد عبد القادر ملا" أصلا- بل سمعت من "كمال" و "عقاص ملا" بأن عبد القادر ملا قتل اباها-
الشاهدة هذه نفسها "مؤمنة بيغوم" أبدت رأيها فى قتل أعضاء أسرتها و الاغتصاب أمام متحف حرب الاستقلال عام 2007م، و قالت في بيانها عن هذه الحادثة بأنها ذهبت إلى بيت زوجها قبل هذه الحادثة بيومين و لذلك نجت من الدمار- لكنها قالت فى المحكمة هى التى كانت حاضرة فى المكان- رغم أن المستندات الموجودات فى المتحف تؤكد أنها ذهبت إلى بيت زوجها قبل الحادثة بيومين- و لكن المحكمة حكمت على عبد القادر ملا بالحبس مدى الحياة لهذه التهمة و بشهادة شاهدة واحدة فقط-
و قال الشاهد الثانى من طرف عبد القادر ملا "سوشيل سوندرا ماندال" بأن عبد القادر ملا كان يمكث فى كامل أوقات الحرب فى "قرية سدربور" فى محافظة "فريدبور" و مكث فيها حتى شهر نوفمبر 1972م و كان يدرس أبناء "الشيخ دولا ميا" فى بيته- و قال الشاهد الثالث من طرف عبد القادر "مسلم الدين" الذى كان مديرا لمدرسة واحدة: أن "السيد عبد القادر ملا" كان فى "سدر بور" فى محافظة "فريدبور" و يدرس أبناء و بنات "الشيخ دولا ميا" و قال الشاهد السادس: السيد حافظ أ.أى. م. لقمان الذى كان إماما للمسجد فى سكن الجامعة "قاعة شهيد الله" السكن الذى كان يسكن فيها "السيد عبد القادر ملا" خلال الدراسة بالجامعة - قال هو الذى رأى "السيد عبد القادر ملا" يغادر السكن بعد السادس من مارس و فى نهاية عام 1972م رجع من بيته إلى السكن-
ايها الشعب الحبيب!
أنتم تعلمون أن البيانات المكتشفة من محاورة القاضى "نظام الحق نسيم" (قاضى هذه المحكمة) فى إسكيب ماسنجر و المنشورة فى جريدة "بلادى" (أمَردِيشْ) فى تاريخ 9 و10 و 12 فى شهر ديسمبر 2012 م رأينا فيها أنه حدد موعد إصدار القرار لقضية السيد عبد القادر ملا-
فى يوم ال14 من شهر أكتوبر قيل فى المحاورة بين القاضى نظام الحق و ضياء الدين:
"أمهل "لقضية عبد القادر ملا" و قدم قضية الآخر- ما اسمه الذى هو غائب؟ نعم، هو "باسسو" (اختصار اسم المتهم الآخر) ابدأ به ثم قم بإصدار القرار ثلاثة أو أربعة لا بأس به.........
أيها الشعب الحبيب!
يتبين من هذا أن محاولة إصدار العقوبة ضد "السيد عبد القادر ملا" هى التى كانت تعتمد على المؤامرة التى تمت الإتفاق عليها فيما بينهم- بناء على هذا انتهت محاكمة "أبى الكلام آزاد" (باسسو) بعد ما بدأت قضيته فى 25 نوفمبر 2012 خلال شهر كامل- و تم إصدار القرار فى ال21 من شهر يناير 2013م- و تم إصدار القرار ل"السيد عبد القادر ملا" فى ال5 من فبراير- ليس هذا فحسب بل إن هذا الموعد أعلن عنه الوزير الداخلية عندما سافر إلى جمهورية مصر العربية فى سفر رسمى و هذا الذى تم الإعلان عنه قبل إعلانه من جهة المحكمة- و هو نفسه ذكر تاريخ إصدار القرار- يتضح من هذا بأن هذا القرار قد صدر بأوامر الحكومة تماما-
من الواضح أن شهادة شهود المدعى العام هى شهادة الزور التى تعتمد على الكذب الحقير التاريخى- و تم إصدار القرار وفق تخطيط الحكومة المتفق عليها بالإعراض عن شهادة شهود "السيد عبد القادر ملا" تماما- و هذه القرار هى قرار متنحى و مختلف فيه و عليها علامات الإستفهام- و لذلك يطلب الناس إطلاق سراحه فى أسرع وقت ممكن ، لأنه قرار يعتمد على الحسد-
سؤالنا تجاه الشعب-------
لو كان "السيد عبد القادر ملا" مشهورا فى اقتراف جريمة القتل و الدمار فكيف هو------
1- استطاع مواصلة الدراسة فى جامعة داكا ساكنا فى سكن الجامعة "قاعة شهيد الله" فى نهاية عام 1972م بعد الحرب؟
2- كيف عمل كمدرس فى مدرسة "أوديون" بين قاعة "سليم الله" و قاعة "جاغونات"؟
3- كيف قام بمسئولية مدير المدرسة المؤكل و منصب كبار الأساتذة فى "مدرسة و كلية العامة للقوات النظامية"؟
4- لو كان عنده الشهرة فى اقتراف جريمة القتل فكيف انتخب فى منصب نائب المدير عام 1982 و 1983م لمؤسسة بارزة لنقابة الصحفيين فى داكا؟
الجماعة الإسلامية بنغلاديش
منطقة مدينة دكا الكبرى
0 comments: