ইসলামী সংগঠন

*সংগঠন শব্দের অর্থ সংঘবদ্ধকরন। এর বিশেষ অর্থ দলবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ জীবন।
*ইকামতে দীনের কাজ আঞ্জাম দেয় যেই সংগঠন তাকেই বলা হয় ইসলামী সংগঠন।
*ইসলামী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইকামতে দীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরয।
*সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন কায়েম হতে পারে না। সংগঠিত উদ্যোগ ছাড়া ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্য বিকাশ সাধন সম্ভবপর নয়। সংগঠন সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশ,
*তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে (অর্থাৎ ইসলামকে) আকড়ে ধর। (আল ইমরান: ১০৩)

সংগঠন সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের (সা:)বাণী         
আরবী
আমি তোমাদেরকে পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি আল্লাহ আমাকে ঐগুলোর নির্দেশ দিয়েছেন। (বিষয়গুলো হচ্ছে)সংগঠন, নেতৃ নির্দেশ শ্রবণ,নেতৃ নির্দেশ পালন, আল্লাহর অপছন্দনীয় সবকিছু বর্জন এবং আল্লাহর পথে জিহাদ। যেই ব্যক্তি ইসলামী সংগঠন ত্যাগ এক বিঘৎ পরিমাণ দূরে সরে গেছে সে নিজের গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলেছে, তবে সে যদি সংগঠনে প্রত্যাবর্তন করে তো স্বতন্ত্র কথা। আর যেই ব্যক্তি জাহিলিয়াতের দিকে আহ্বান জানায় সে জাহান্নামী।‍” সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম এবং সাওম পালন করা সত্ত্বেও?” আল্লাহর রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)বললেন, সালাত কায়েম, সাওম পালন এবং মুসলীম বলে দাবী করা সত্ত্বেও।”
                                          -আহমাদ ও হাকেম
 আরবী      
“তিনজন লোক কোন নির্জন প্রান্তরে থাকলেও একজনকে আমীর না বানিয়ে থাকা জায়েয নয়।” আরবী  
“তিনজন লোক সফরে বের হলে তারা যেন তাদের একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়।”
-সুনানি আবী দাঊদ.  আরবী
“যেই ব্যক্তি জান্নাতের আনন্দ উপভোগ করতে চায় সে যেন সংগঠনকে আকড়ে ধরে।”
-সহীহ মুসালিম আরবী
“যেই ব্যক্তি জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু।-সহীহ মুসলীম
সংগঠন সম্পর্কে উমার ইবনুল খাত্তাবের(রা)উক্তি, আরবী
“সংগঠন ছাড়া ইসলাম নেই।নেতৃত্ব ছাড়া সংগঠন আনুগত্য ছাড়া নেতৃত্ব নেই।”
এ সব আয়াত,হাদীস এবং উক্তি থেকে প্রমাণিত হয় যে-
(১)মুমিনদেরকে সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করতে হবে।
(২)এককভাবে জীবন যাপন করার অধিকার তাদের নাই।
(৩)একক জীবন যাপনকারী শইতানের শিকারে পরিণত হয়।
(৪)ইসলামী সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া জাহিলিয়াতে প্রত্যাবর্তনের শামিল।
(৫)সংগঠন না থাকলে ইসলাম সগৌরবে টিকে থকতে পারে না।
ইসলামী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া কোন সখের ব্যাপার নয়। ইসলামী সংগঠনের অর্ন্তভুক্ত না হওয়া আল্লাহ ও রাসুলের(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)নির্দেশের সুস্পষ্ট লংঘন। পক্ষান্তরে আল্লাহ ও তার রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি ঈমানের অনিবার্য দাবী হচ্ছে সংঘবদ্ধ জীবন যাপন।
  
ইসলামী সংগঠনের উপাদান

নেতৃত্ব, কর্মী বাহিনী এবং সংগঠন পরিচালনা বিধি- এই তিনটি হচ্ছে সংগঠনের উপাদান। ইসলামী নেতৃত্ব, ইসলামী কর্মী বাহিনী এবং ইসলামী পরিচালনা বিধি- এই তিনটি হচ্ছে ইসলামী সংগঠনের উপাদান।
যেই নেতৃত্ব  ইসলামের আলোকে আত্মগঠন  করে শুধুমাত্র আল্লাহর দীনের প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মনিয়োগ ও কর্মী বাহিনী পরিচালনা করে সেই নেতৃত্বই ইসলামী নেতৃত্ব।

যেই কর্মী বাহিনী দুনিয়াবি কোন স্বার্থে তাড়িত না হয়ে কেবল আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী নেতৃত্বের অধীনে সময়,শক্তি ও অর্থের কুরবানী দিতে থাকে তা-ই ইসলামী কর্মী বাহিনী।

নেতা ছাড়া সংগঠন হয় না। তেমনি কর্মী ছাড়া শুধু নেতার উপস্থিতিতেই সংগঠন হয় না। নেতা ও কর্মী বাহিনী মিলিত হলে সম্ভাবনার দিক যেমন ফুটে ওঠে,তেমনি এর সমস্যার দিকও আছে। সেই কারণেই নেতৃত্ব ও কর্মী বাহিনী যাতে নিজেদের দায়িত্ব, ও কর্তব্য ও অধিকারের সীমারেখা সঠিকভাবে জেনে নিতে পারে তার জন্য সংগঠনে কিছু পরিচালনা বিধি থাকে। আধুনিক পরিভাষায় এসব বিধি-বিধি-বিধানের নাম সংগঠন। ইসলামী সংগঠনের মূল বিধি-বিধান আল কুরআন ও আসসুন্নাহ। অবশ্য আল কুরআন ও আসসুন্নাহর শিক্ষার ভিত্তিতে রচিত সংবিধানও ইসলামী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই সংবিধান যেহেতু আল কুরআন ও আসসুন্নাহর শিক্ষার ভিত্তিতে রচিত হয় এবং ইসলামী সংগঠনের পরিচালনা ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেহেতু একে পবিত্র দলিল গণ্য করা হয় এবং এর কোন ধারা লঙ্ঘন করা এবং এর কোন ধারা লঙ্ঘন করাকে শৃঙ্খলা বিরোধী তৎপরতা রূপে চিহ্নিত করা হয়।
মূলত: নেতৃত্ব,কর্মী বাহিনী এবং পরিচালনা বিধি নিয়েই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। চলার পথে আরাও অনেক কিছু উপাদান যুক্ত হয়ে একে সমৃদ্ধ করে তোলে।
ইসলামী সংগঠন ও ইকামতে দীন
সমাজের চাকা গতিশীল। পরিবর্তনের ধারা এখানে লেগেই আছে। আকাঙ্খিত অনাকাঙ্খিত অনেক পরিবর্তনই এখানে ঘটে চলেছে। এই পরিবর্তন অনাকাঙ্খিত ঘটে চলেছে এই পরিবর্তন অনাকাঙ্খিত ধারায় প্রবাহিত হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে সমাজ জীবনে ইসলামের অনুপস্থিতি। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকার কারণেই সমাজে অশান্তি ও অস্বস্তি বিরাজ করে। আর এই অশান্তি ও অস্বস্তি থেকে বাঁচবার তাগিদে মানব প্রকৃতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মানুষের মনের ক্ষোভ অসন্তোষে এবং অসন্তোষ বিদ্রোহে পরিণত হয়। এভাবেই মানব সমাজে পরিবর্তনের পালা চলতে থাকে।
যখনই একটা পরিবর্তন ঘটে তখন মানুষ একটু স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তারা বুঝতে পারে যে তারা যা দেখেছে তা মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই না। নতুন বোতলে পুরোনো মদই তাদের সামনে এসেছে। অশান্তি ও অস্বস্তি জগদ্দল পাথরের মতোই তাদের ওপর চেপে আছে এথেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, এভাবে প্রকৃত শান্তি ও স্বস্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়।
সমাজ পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় নিজস্ব ভূমিকা পালনের জন্যই ইসলামের আগমন। ইসলাম মানব সমাজকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে একে নতুন ধাঁচে গড়ে তুলে মানব গোষ্ঠীর ও শান্তি ও স্বস্তির নিশ্চয়তা বিধানের প্রয়োজনেই ইসলাম মানুষের ব্যক্তি জীবনের ক্ষুদ্র গণ্ডী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবনের বৃহৎ গণ্ডী পর্যন্ত সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হতে চায়।
তবে ইসলাম নিজে নিজেই সমাজে কায়েম হয়ে যায় না। কোন ব্যক্তির একক প্রচেষ্টার মাধ্যমেও ইসলাম কায়েম হতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন একদল মানুষের উদ্যোগ, সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।
ইসলামকে সমাজ জীবনে করার পন্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে মত পার্থক্য হওয়াই স্বাভাবিক ছিলো। মত পার্থক্যের চক্করে পড়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বিঘ্নিত হোক, এটা আল্লাহ চাননি। তাই তিনি জীবন বিধান পাঠানোর সাথে সাথে  রাসূলও পাঠিয়েছেন জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পদ্ধতি শিক্ষা দেবার জন্য। আমাদের জন্য শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কর্মপন্থাই একমাত্র  অনুসরণীয় কর্মপন্থা।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পরিচালনার জন্য যেই সংগঠন গড়ে ওঠে তা মানুষকে আল্লাহর পথে আসার জন্য আহ্বান জানাতে থাকে । যারা এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে সংগঠন তাদেরকে সংঘবদ্ধ করে সুসংগঠিত শক্তিতে পরিণত করে এবং তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই হয় ঘুণে ধরা সমাজকে আঘাত হেনে ভেঙ্গে ফেলার  এবং ইসলামী মূল্যমানের ওপর নতুন সমাজ বিনির্মাণের প্রধান উপাদান। ইসলামী সংগঠনেরে লোকদের দ্বারা যখন সরকার গঠিত হয় তখন সমাজের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সকল স্তরে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় জীবনের সবদিক ও বিভাগে। সমাজ থেকে রাজনৈতিক যুলম, অর্থনৈতিক শোষণ, সামাজিক ভেদাভেদ এবং অশ্লীলতা দুর হয়। সমাজের সর্বত্র কল্যাণের প্লাবন সৃষ্টি হয়। অশান্তি আর অস্বস্তির অভিশাপ থেকে মানুষ মুক্তি লাভ করে।                                           
  
ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্য
সংক্ষেপে বলা যায় ইসলামী সংগঠনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)প্রদর্শিত পন্থায় মানব সমাজে কায়েম করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন।
আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের উপায় হচ্ছে আল্লাহ যেই উদ্দেশ্যে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সেই উদ্দেশ্য সাধন করা। আর মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হচ্ছে আল্লাহর আবেদ হিসাবে আল্লাহর বিধান মুতাবেক আত্মগঠন,পরিবার গঠন,দল গঠন ও রাষ্ট্র গঠন।
মনে রাখা দরকার যে, ইসলামী রাষ্ট্র দুনিয়ার বুকে মানুষের জন্য অতি বড়ো একটি নিয়ামত। যেই জনগোষ্ঠী এই নিয়ামতের কদর করতে প্রস্তুত নয় আল্লাহ রাব্বুল ‍আলামীন খামখাই তাদেরকে এতোবড় নিয়ামত দান করেন না। তাই যুগে যুগে দুনিয়ার অকৃতজ্ঞ কওমগুলো ইসলামী রাষ্ট্রের মতো নিয়ামত থেকে বঞ্চিতই থেকে গেছে।
অকৃতজ্ঞ মানবগোষ্ঠী ইসলামী রাষ্ট্রের মতো একটি খাস নিয়ামত থেকে বঞ্চিত থাকলেও তাতে কিন্তু কর্মীদের ব্যর্থতার কিছুই নেই। কারণ যারা ইখলাসের সাথে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার নরবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন এবং আখিরাতের মহা পুরস্কার তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখেন। ইসলামী সরকার গঠন করে তার পৃষ্টপোষকতায় আল্লাহর দীন কায়েম করার সুযোগ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সেই ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব যার চিন্তাধারায় আখিরাত প্রাধান্য পায়নি।

ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামো

ইসলামী সংগঠনে একটি বিশেষ নেতৃত্ব কাঠামো আছে। আল্লাহর রাসূলের(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)বাণী এবং আসহাবে অনুশীলন আমাদেরকে ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা দান করে।
আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)জীবনের শেষভাগে কোন কোন সাহাবী মুসলিম উম্মাহর পরবর্তী নেতৃত্ব সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করেন। তার পর কে নেতা হবেন এটাই ছিল তাদের জিজ্ঞাসা। তদের নিকট এটা সুস্পষ্ট ছিলো যে আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)পর একজন ব্যক্তিই হবেন তাদের নেতা। তবে কোন ব্যক্তি নেতা হলে ভালো হবে এটাই তারা রাসূলর(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে আল্লাৱহর রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)বলেন,  
   আরবী
তোমরা যদি আবু বকরকে আমীর বানাও তাকে পাবে আমানতদার,দুনিয়ার প্রতি নির্মোহ এবং আখিরাতের প্রতি আকৃষ্ট। তোমরা যদি উমারকে আমীর বানাও তাকে পাবে শক্তিধর, আমানতদার এবং আল্লাহর ব্যাপারে সে কোন নিন্দুকের নিন্দায় পরোয়া করবে না। আর যদি আলীকে আমীর বানাও- আমার মনে হয় না তোমরা করবে- তাহলে তাকে পাবে পথ প্রদর্শনকারী ও পথ প্রাপ্ত ব্যক্তি। সে তোমাদেরকে সঠিক পথ চালাবে।”
-    মুসনাদে আহমাদ
আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই জওয়াব থেকে আমরা দুটো মূলনীতি পাই। প্রথম মূলনীতি হচ্ছে, মুসলিমদের আমীর একজনই হবেন। পজিশন একজনকেই দেয়া হবে, একাধিক ব্যক্তিকে নয়। দ্বিতীয় মূলনীতি হচ্ছে, মুসলীমগন তদের মধ্যে একজন আমীর নির্বাচিত করে নেবেন তাদের স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে।
সাহাবীগণের প্রশ্নের জওয়াবে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করতেন তাহলে সাহাবীগণ সেই ব্যক্তিকে আমীর হিসাবে গ্রহণ করে বাইয়াত করা বাধ্যতামূলক মনে করতেন। আল্লাহর রসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)মুসলীম উম্মাহকে আমীর নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বাধীন রেখেছেন। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর ইচ্ছাও ছিল তাই। তা না হলে আল্লাহ ওহী পাঠিয়ে তার পছন্দনীয় বিকল্প ব্যবস্থা রসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাধ্যমে উম্মতকে জানিয়ে দিতেন।



ভিউ





এই বইয়ের অন্যান্য অধ্যায়: লা

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম