মিথ্যা সাক্ষীদাতা মোহন মুন্সির আসমানী শাস্তি

বিগত দুদিন ধরে (১৯.০৪.২০১৫) অনলাইনে ছবিসহ এই নিউজ প্রচারিত হচ্ছে। নির্ভরযোগ্য অনেক মিডিয়াই শেয়ার করছেন নিউজটা অথেনটিক ডকুমেন্ট সহ।


শহীদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধের সাক্ষী মোহন মুন্সি গুরুতর অসুস্থ
শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে পচন

কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের মামলার অন্যতম সাক্ষী মনোয়ার হোসেন খান ওরফে মোহন মুন্সি গুরুতর অসুস্থ। তিনি গত ৫ অক্টোবর শুক্রবার পর্যন্ত তার শেরপুর শহরের বাগরাকসার বাসায় অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে বাসা থেকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে দেখে তার শরীরের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।



মোহন মুন্সি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে শেরপুর শহরের নয়ানিবাজারের সুরেন্দ্রমোহন সাহার বাসায় আলবদর ক্যাম্প দারোয়ানের কাজ করেছেন বলে দাবি করেন। সাক্ষ্য দিয়ে আসার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা জানান, মোহন মুন্সি ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।  তার শরীরে পচন দেখা দিয়েছে।


কেউ লিখেছে, মোহোন মুন্সি ল্যাট্রিনের ময়লার মাঝে পা ফসকে পড়ে যায়। এরপর থেকেই তার শরীরে পচন শুরু হয়।









কামারুজ্জামানের রিভিউ খারিজ হওয়ার পর এটিএন বাংলায় তার বিপক্ষের সাক্ষী মোহন মুন্সী সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। মোহন মুন্সী বলেছিলেন আদালতে যে জবানবন্দী তিনি দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে সত্য, তিনি যদি কোনও মিথ্যা বলে থাকেন তাহলে ফাঁসি কার্যকরের পর আল্লাহ যেন তার বিচার করেন। ঘটনা হল গত কয়েকদিন আগে মোহন মুন্সী প্রাকৃতিক কাজ সমাধা করতে গিয়ে টয়লেটের বর্জ্যের মধ্যে পড়ে যান। এর পর তিনি সেখান থেকে বেঁচে ফিরলেও তার সারা গায়ে ইনফেকশন শুরু হয়। এখন শেরপুর হাসপাতালে তার শরীর পচছে। এখন আপনারা যারা চেতনা ধর্মের অনুসারী তারা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন। মোহন মুন্সী যে চ্যালেঞ্জমুলক দোয়া করেছিলেন, তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন যে তিনি যদি কোনও মিথ্যা বলে থাকেন তাহলে ফাঁসি কার্যকরের পর আল্লাহ যেন তার বিচার করেন। আমি মনে করি তার এই চ্যালেঞ্জটা আল্লাহ গ্রহণ করেছেন এবং নিদর্শন হিসেবে দুনিয়ার বুকেই আংশিক সাজা আল্লাহ তাকে দিচ্ছেন। যে সাজায় আছে কষ্ট, অপমান ও জিল্লতি। আর আল্লাহ সত্য স্বত্বা, আমরা তার পক্ষ থেকে কামারুজ্জামানের শাহাদাতকে যেভাবে প্রশ্নাতীতভাবে মেনে নিয়েছি ঠিক তেমনি মেনে নিয়েছি দুনিয়ার বুকে মিথ্যাবাদীদের আংশিক বিচারকেও। আমাদের জন্য আল্লাহর সিধ্যান্তই চূড়ান্ত এবং আমরা তার উপরই আস্থাশীল।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম