ফাঁসির মঞ্চেও হাসলেন কামারুজ্জামান

শীর্ষ নিউজ ডটকম, ঢাকা :  জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করে শহীদ করা হয়েছে।

ফাঁসি কার্যকরের সময় তিনি ফাঁসির মঞ্চে হেঁটে যান এবং ফাঁসি দেয়ার কয়েক মিনিট আগে জল্লাদ এর সাথে হেসে হেসে কথা বলেন বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে।

কারাসূত্রে আরো জানা যায়, এর আগে শেষ খাবার হিসেবে মুরগির মাংস ও ইলিশ মাছ দিয়ে সাদাভাত খেয়েছেন কামারুজ্জামান।

তার আগে গোসল করেন।

রাত ১০ টার পরে কার্যকর করা হয় ফাঁসির মাধ্যমে শাহাদাৎ।






ফাঁসির মঞ্চেও হাসিমুখে যে প্রান , তার নাকের ডগায় তখন নিশ্চিত জান্নাতের সুঘ্রান- আল্লাহু আকবার

শহীদ কামারুজ্জামান জান্নাতের পাখি হয়ে উড়ছেন নিশ্চয় । যে মানুষটি জানেন যে আর কিছুক্ষনের মধ্যে সে মারা যাবে সে কি করে ধীর স্থীর থাকে ! কোন অপরাধী তার মৃত্যুতে এত ধীরস্থীর থাকতে পারেনা পারেনা পারেনা ! আল্লাহর কাছে যাবার জন্যে যারা উদগ্রীব থাকে এ শুধু তাদের পক্ষেই সম্ভব !

কারাসূত্রে জানা যায়, শেষ
খাবার হিসেবে মুরগির
মাংস ও ইলিশ মাছ
দিয়ে সাদাভাত খেয়েছেন
কামারুজ্জামান অত্যন্ত ধীরে সুস্থে। তার আগে গোসল করেন তিনি।

ফাঁসি কার্যকরের সময় তিনি ফাঁসির মঞ্চে হেঁটে যান এবং ফাঁসি দেয়ার কয়েক মিনিট আগে জল্লাদ এর সাথে হেসে হেসে কথা বলেন বলে
কারাগার সূত্রে জানা
গেছে। মনে হচ্ছিল তিনি তার প্রিয় বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছেন শিডিউল দাওয়াত খেতে ! এ ছিল তার মনের একান্ত অভিলাষঃ যে দিন থেকে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছি সেদিন থেকেই শহীদ হবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি !

হে আল্লাহ ! এই নিরাপরাধ মানুষটিকে তুমি জান্নাতের পাখি বানিয়ে রেখ চিরকাল !



ফাঁসির মঞ্চে কামারুজ্জামান ছিলেন ধীর, স্থির এবং নির্ভিক।

 স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তিনি যখন ফাঁসির মঞ্চে যান তখন কোনো ভয়ভীতি কাজ করেনি তার মাঝে। ছিল না কোন অস্থিরতা।

কারাগার সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, রাতে গোসল শেষে এশার নামাজ আদায়ের পর নফল নামাজ পড়েন কামারুজ্জামান। ফাঁসির মঞ্চে নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি জায়নামাজে কুরআন তেলাওয়াতে রত ছিলেন।

এসময় কামারুজ্জামানের সেলের অতি নিকটেই চলে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ। ফাঁসি কার্যকরের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা মঞ্চের পাশে গিয়ে বসেন। সোয়া নয়টায় সেলের মধ্যে কামারুজ্জামানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসক। 


নয়টা ৩৫ মিনিটে ১২ জনের একটি কারা কমান্ডো অবস্থান নেয় কামারুজ্জামানের সেলের পাশে। এরপর তওবা পাঠের পর্ব আসে। কামারুজ্জামান বলেন আমি নিজের তওবা নিজে পড়ব। জেলসুপার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ইমাম কর্তৃক তওবা পড়াতে হবে।

তওবা পড়ানোর পর কামারুজ্জামানকে রাত ১০টা ২০ মিনিটে ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কামারুজ্জামান তখন বলেন, আমি নির্দোষ। আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। এরপর তিনি দোয়া এবং কুরআনের আয়াত পড়তে থাকেন। এভাবেই দোয়া পড়তে পড়তে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান স্বাভাবিক গতিতে।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম