১৯ বছরের তরুণের নির্দেশ তামিল করলেন মেজর-কর্ণেলরা!!

সত্যি এ এক বিরল দৃষ্টান্ত! মাত্র ১৯ বছর বয়সের একজন তরুন নির্দেশ দিলেন সেনাবাহীনির প্রাপ্তবয়ষ্ক মেজর, কর্ণেল আর ব্রিগেডিয়ারদের। আর সাথে সাথেই তারা নত মস্তকে তা তামিল করলেন!!

না, এই তরুন সেকালের কোনো রাজার আদরের পুত্র ছিলেন না যে মেজর সাহেবরা নির্দেশ তামিল করতে বাধ্য ছিলেন। তিনি সাধারন একজন তরুণই ছিলেন।

সেই বিস্ময়কর তরুণের কথা একটু পরেই বলি, আগে কিছু আইকিউ টেষ্ট-



এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হলো। এখন সাক্ষী বিচারককে বলছে, আমি তাকে সরাসরি হত্যা করতে দেখিনি, সাইদুরের কাছে শুনেছি। সাইদুর বলেছিলো সেও নাকি নিজে দেখেনি, মকবুলের কাছে শুনেছে।জানা গেলো মকবুল এখনো জীবিত থাকা সত্বেও তাকে সাক্ষী করা হয়নি।

এবার আপনাকে বলতে হবে এটা বিচার? নাকি তামাশা??

> আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলো অনেক বছর আগে আপনি জনৈক প্রিন্সিপালকে নির্যাতন করেছেন। ৩ জন সাক্ষী জবানবন্দীতে ঘটনাটি ঘটার ৩ রকম তারিখের কথা বললেন। আশ্চর্যের ব্যপার হলো, যাকে নির্যাতন করা হয়েছে সেই প্রিন্সিপাল এখনো জীবিত থাকলেও তাকে সাক্ষী করা হয়নি। এমনকি অভিযুক্ত ব্যাক্তি বলার পরও তাকে হাজির করা হয়নি।

আপনাকে বলতে হবে, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি আছে?

 জনৈক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো সে যুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষ মেরে লাশ ট্রাকে করে আক্কেলপুর থেকে বেআক্কেলপুরে নিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে জানা গেলো সেই যুদ্ধের সময় আক্কেলপুর থেকে বেআক্কেলপুরে ট্রাক চলাচলের কোনো রাস্তাই ছিলো না।

আপনাকে বলতে হবে, এই অভিযোগ যদি বিচারক বিশ্বাস করে তাহলে সেই বিচার কি আক্কেল? নাকি বেয়াক্কেল?

আপনি ধর্ষণ করেছেন। না মানে ধরে নেন একজন অভিযোগ করলো যে আপনি তাকে ধর্ষণ করেছেন। এখন বিচারকের সামনে ঐ ধর্ষিতা(অন্য কারো দ্বারা ধর্ষিতা হতে পারে) বললো যে, ধর্ষণের অনেক পর থেকে তিনি ধর্ষককে(?) চিনেন, তবে মুরব্বিদের কাছ থেকে শুনেছেন এই ব্যাক্তি নাকি তাকে ধর্ষণ করেছে!!!

আপনাকে বলতে হবে…, না না এবার আপনাকে কিছুই বলতে হবেনা, জাষ্ট জানতে চাই এই কাহিনী শুনার পর আপনি সজ্ঞানে আছেন তো? নাকি মূর্ছা গেলেন?



এবার আসি সেই তরুণের কথায়। যার অঙ্গুলি হেলনে কাত চিত হতো মেজর কর্ণেলরা।

হুম…. উপরোক্ত কাহিনীগুলো একটিও বানোয়াট নয়। অনেকে হয়তো ইতোমধ্যেই আঁচ করে ফেলেছেন।

উপরোক্ত অভিযোগগুলো যার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগও আনা হয়েছে যে, তিনি নাকি ৪০ বছর আগে মেজর কর্ণেলদের নির্দেশ দিয়ে শত শত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যখন তিনি ছিলেন মাত্র ১৯ বছরের স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া তরুণ!!

এসব অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়ে দিয়েছে কিছু বিচারক! যেই বিচারকরা সেই অলমাঈটি মহা বিচারকের কথা বেমালুম ভুলে গেছে!!

এবার নিশ্চই চিনতে পেরেছেন এককালের সেই তরুণকে।

প্রতিমূহুর্তে জান্নাতের প্রহর গুণতে থাকা সেই তরুণের জন্য সবাই দোয়া করবেন, প্লীজ....।

হয়তো তিনি জান্নাতে গিয়ে সত্যি সত্যিই নির্দেশ দিবেন আল্লাহর নিয়োজিত মেজর কর্ণেলদের....

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম