ইসলামী জীবন-ধারার মূল ভিত্তি হইতেছে তাওহীদ। তাওহীদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ-কোন কিছুকে এক ও একক বলে স্বীকার করা। ইসলামী পরিভাষায় তাওহীদ বলিতে বুঝায় সৃষ্টিকর্তাকে এক ও অদ্বিতীয় রূপে বিশ্বাস করা। নিখিল সৃষ্টি করিয়াছেন যে মহান শক্তিমান সত্তা তিনি এক; কোন দিক দিয়াই তাঁহার কোন শরীক নাই। ইসলামের পরিভাষায় তিনিই হলেন আল্লাহ তাআলা।
চারিদিকে বিস্তৃত এই বিশাল বিশ্ব প্রকৃতির বাহ্যরূপ মনোরম শ্যামল শোভা মানুষের মনকে মুগ্ধ করে, মানুষের মনে জাগাইয়া দেয় এক অসীম ক্ষমতাশীল সৃষ্টিকর্তার অতুলনীয় শক্তি ও প্রতিভার কথা। দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের অস্তিত্ব বাঁচাইয়া রাখার জন্য পৃথিবীর এই বিরাট কারখানাটিকে অহর্নিশ একান্তভাবে কর্মব্যস্ত হইয়া থাকিতে হয়। ধানের একটি চারা অংকুরিত হইতে পারে না, যতক্ষণ না এই বিশ্বপ্রকৃতির বুকে নিহিত প্রয়োজনীয় সমগ্র উপাদান উহার লালন পালনের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবর্ধনের জন্য নিজ নিজ শক্তি পূর্ণরূপে নিযুক্ত করিয়া দেয়। মাটি দেয় দাঁড়াইবার আশ্রয়-শিকড় ছড়াইবার জন্য নরম বিস্তৃত ভূমি; বৃষ্টি দেয় পানির অংশ। সূর্যের উত্তাপ, শিশিরের শীতলতা আর বায়ুর কোমল স্নেহের স্পর্শ এই সবই নির্দিষ্ট নিয়মে ও পরিমাণে মিলিত হয় বীজ বপন করার সঙ্গে সঙ্গে। আর তাহার পরই ধানের একটি গাছ উহার শীর্ষ-দেশে সোনালী বর্ণের কয়েকটি ছড়া সৃষ্টি করিতে পারে, তাহার পূর্বে নয়। এমন কি, এই উপাদনগুলি সমানভাবে সমাবেশ না হইলে পৃথিবীর একটি জিনিসও সৃষ্টি হইতে পারে না। কিন্তু কেন এইরূপ হয়?
মায়ের গর্ভে এক ফোঁটা শুক্র কেন সৃষ্টি করিবে হাড়-মাংস, অস্থিমজ্জা বিশিষ্ট একটা সুঠাম, সুগঠিত ও পূর্ণাঙ্গ মানবদেহ। সূর্য চন্দ্রের উদয়-অস্ত,রাত্র দিনের আবর্তন, বায়ুর গতি ও ঋতুর পরিবর্তন হয় কিরূপে? কে সৃষ্টি করিল এই বিরাট বিশাল বিশ্বলোককে? মানুষের মনে এই জিজ্ঞাসা শুধু আদিমই নয়-সম্পূর্ণ রূপে মৌলিক, চিরন্তন ও শাশ্বত। এই প্রশ্নের একমাত্র জাওয়াব এই যে, সারে জাহানের একজন সৃষ্টিকর্তা রহিয়াছেন, তিনিই নিজ ক্ষমতায় নিজেরই পরিকল্পনা অনুযায়ী সৃষ্টি করিয়াছেন গোটা বিশ্বকে। তাহারই নির্ধারিত বিধান অনুসারে সৃষ্টিলোকের প্রত্যেকটি কাজই অনুষ্ঠিত হয়, আকষ্কিকভাবে একটি দুর্ঘটনা হিসাবে আপনা আপনিই সৃষ্টি হয় নাই এই বিশ্বলোক। কার্যকরণ সমন্বিত এই দুনিয়ার কোন কিছুই বিনা কারণে কর্মের কর্তা ছাড়া কিছুতেই সম্পন্ন হইতে পারে না। কাজেই এই বিরাট বিশ্ব-ভুবনের পশ্চাতেও রহিয়াছে এক অসীম ক্ষমতাশালী সৃষ্টিকর্তা। এমন একটা দোকানের কথা কেহই ধারণা করিতে পারে না, যেখানে আপনা আপনিই রীতিমত কেনা বেচা চলিতেছে, মূল্য দেওয়া-নেওয়া হইতেছে, এক জিনিস বিক্রি হইয়া যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আসিয়া ভর্তি হইতেছে আরও অনেক দ্রব্য-সম্ভার-অথচ দোকানী সেখানে কেহই নাই। যন্ত্র-বিজ্ঞানের যুগে এমন কোন যন্ত্র আবিষ্কৃত হইতে পারিলেও উহার পশ্চাতেই এই বিশ্বলোকের সৃষ্টি হইয়াছে মনে করিলেও প্রশ্ন হয়: সেই জড়কে। সৃষ্টি করিল কে, জড়ের ভিতরে কোথা হইতে সমাবিষ্ট হইল এই বিষ্ময়কর বিশ্ব সৃষ্টির মত অলোকিক ক্ষমতা সম্পন্ন জড় কে নিত্য নতুন বিশ্লেষণ দিয়া জড়কে তুলিয়া ধরিতে হইয়াছে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র শক্তি-উৎস রূপে! বলিতে হইবে আল্লাহ বিদ্বেষীদের ইহা আংশিকভাবে হইলেও সেই সৃষ্টিকর্তারই স্বীকৃতি যাঁহার পরিপূর্ণ পরিচয় রহিয়াছে কুরআন মজিদে। আল্লাহ তাআলাই সেই জড় দ্বারা সৃষ্টি করিয়েছেন নিখিল বিশ্ব ভূবনকে ।তাঁহারই ক্ষমতার অনিবার্য প্রভাবে জড় হইতে জীবন ও চৈতন্য আর অ-মন হইতে মন-এ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভব হইয়াছে।
বিশ্বসৃষ্টি যেমন কোন সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন সম্ভব হইতে পারে নাই, অনুরূপভাবে সে সৃষ্টিকর্তা একজন না হইয়া-একাধিক হইলেও এই সৃষ্টিলোক কিছুতেই অস্তিত্ব লাভ করিতে পারিত না। একাধিক স্বাধীন স্বেচ্ছাচারী, স্বয়ংসম্পূর্ণ, ক্ষমতাশীল সত্তার অস্তিত্ব যেমন অসম্ভব, এই বিশ্ব সৃষ্টির ব্যাপারে তাহাদের সকলেরই অংশীদারিত্ব স্বীকার করাও হাস্যকর! বিশ্ব ভূবনের চারিদিকে যে নিবিড় সামঞ্জস্য ও গভীর ঐক্য বিদ্যামান কোথাও কোন একটি ক্ষেত্রেও নিয়মের কিছুমাত্র ব্যতিক্রম দেখা যায় না; ইহা সম্ভব হইত না যদি এখানে একাধিক স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষমতাশালীর নিরংকুশ কর্তৃত্ব কার্যকর হইত। নিখিল-বিশ্বভূবনকে তাহা হইলে সুন্দর ও অজস্র শোভায় মন্ডিত নিখুঁত এক ঐক্য রূপে দেখিতে পাওয়া যাইত না। কারণ বিভিন্ন রুচি ও বহু স্বতন্ত্র নিরুংকুশ ইচ্ছার সংঘর্ষে কোন শৃংখলা ও সামঞ্জস্যপূর্ণ জিনিস হইতে পারেনা। একথা অনুস্বীকার্য!
তাহছাড়া, আকাশ ও পৃথিবীর ব্যবস্থাপক ও পরিচালক যদি ভিন্ন ভিন্ন হইতে, কিংবা এইসব অসংখ্যা রুচি ও ইচ্ছার লীলাক্ষেত্র হইত এই জগত, অথবা ভাল ও মন্দ, আলো ও অন্ধাকারের সৃষ্টিকর্তা যদি আলাদা হইত, তাহা হইলে বিশ্বভূবনের এই বিপুল ও বিভিন্ন অংশ উপাদানের মধ্যে এইরূপ নিবিড় মিলন, ঐক্য ও সামঞ্জস্য থাকিতে পারিত না। বরং তাহাদের একজনের সাথে অন্যজনের এবং একটি উপাদানের সহিত অন্য উপাদানের অনিবার্য সংঘর্ষে সৃষ্টি জগত কোন দিন যে চূর্ণ বিচূর্ণ হইয়া মহাশূন্যে বিলিন হইয়া যাইত, তাহার কোনই ইয়াত্তা ছিলনা। বিশ্ব-প্রকৃতির বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে বাহ্য দৃষ্টিতে মৌলিক উপাদান সম্পূর্ণরূপে এক ও অভিন্ন। মাটির গভীরে হাজার হাজার মাইল নিন্ম-দেশের এক টুকরা ধাতু, আটলান্টিক মহাসাগারের অতল গভীরে একটি শুক্তি, আর লক্ষকোটি মাইল ঊর্দ্ধলোকের নিষ্প্রভ কোন নক্ষত্রের একটি কংকর পাশাপাশি রাখিয়া অণুবীক্ষণের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করিলে এই কয়টি উপাদানিক একত্ব ও অভিন্নতা দর্শনে বিষ্ময়ের সীমা থাকিবেনা এই তিনটি বস্তুর মৌলিক উপাদাদ হইতেছে সেই বিদ্যুৎ-কণা যাহা একটি ধূলিকণা, ফুলের পাঁপড়ি খন্ড, শিশির বিন্দু, ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহগুলিতে সমানভাবে বর্তমান। সৃষ্টকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার এবং তাহার একত্ববাদের উপর ভিত্তি স্থাপন করা হইয়াছে ইসলামী জীবন ব্যবস্থায়। ইসলামের তাওহীদ একটি দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক সত্য মাত্র নয়। মানুষের ব্যবহারিক জীবনের পরিপূর্ণ ক্ষেত্রেও একমাত্র ভিত্তি এই তাওহীদ। বস্তুত ; এই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করিলে, তাঁহাকে এক ও একক মানিয়া লইলেও কোনই লাভ হয় না, যদি না মানুষের বাস্তব কর্মজীবনে তাহার অনিবার্য প্রভাবকে স্বীকার করা হয়। তাই বিরাট বৃক্ষের সাথে তাওহীদের তওলনা করা চলে। নির্দিষ্ট একটি গাছকে স্বীকার করিলে উহার বীজ ও শিকড় হইতে শুরু করিয়া উহার কান্ড, শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল ও ফল সব কিছুই স্বীকার করিয়া নিতে হয়, অন্যথায় বৃক্ষকে স্বীকার করা সম্পূর্ণ অর্থহীন হইয়া যায়। তাই আল্লাহ তাআলা শুধু সৃষ্টিকর্তাই নহে; তিনি পালনকর্তা, রক্ষাকর্তা, পরিচালক ও ব্যবস্থাপকও বটে। মানুষের জীবনদাতা, মৃত্যুদাতা, আল্লাহ ছাড়া কেহ নাই কেহ হইতে পারেনা । ভয় করিতে হয়, মাথা নাত করা যায়, জীবিকার জন্য প্রর্থনা করা যায় একমাত্র তাঁহারই সম্মুখে। সমগ্র জীবন ভরিয়া তাঁহারই সন্তোষ লাভ করার জন্য কাজ করিতে হয় সকল মানুষকে। সমগ্র জীবন ভরিয়া তাঁহারই সন্তোষ লাভ করার জন্য কাজ করিতে হয় সকল মানুষকে। কারণ মানুষের ক্ষতি বা কল্যাণ করিতে পারে, সকল প্রকার দু:খ-মুসীবৎ হইতে রক্ষা করিতে পারে-আল্লাহ ছাড়া এমন কেহ কোথাও নাই।
ইসলাম কেবল সৃষ্টিকর্তা হিসাবেই আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় বলিয়া স্বীকার করা হয় নাই, মানুষের বাস্তব কর্মজীবনে ও জীবনের প্রত্যেকটি কাজে ও প্রত্যেকটি ব্যাপারে একমাত্র তাঁহারই নিরুংকুশ প্রাধান্য ও কর্তৃত্বও স্বীকার করিতে হইবে। অন্যথায় আল্লাহকে স্বীকার করা, আর না করা দুই-ই সমান। ইসলামী জীবন ব্যবস্থার ইহাই দার্শনিক ভিত্তি। ইহারই উপর ভিত্তি করিয়া রচনা করা হইয়াছে ইসলামের বিস্তারিত বাস্তব ও ব্যবহারিক কর্মবিধি।
মানুষের ব্যবহারিক জীবনের প্রধানত : পাঁচটি বিভাগ রহিয়াছে। এই পাঁচটি বিভাগের সমষ্টিগত রূপই হইতেছে মানুষের সমগ্র জীবন। তাওহীদের আলোকে প্রত্যেকটিরই সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ এখানে করা যাইতেছে।
প্রথম, মানুষের আকীদা-বিশ্বাস ও ইবাদাত-বন্দেগীর দিক। এখানে তাওহীদের অর্থ হইবে এই যে, মানুষের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রক্ষাকর্তা, ভয় করার যোগ্য হিসাবে এক আল্লাহ ছাড়া আর কাহাকেও স্বীকার করিবে না। মানুষ একান্তভাবে আল্লাহরই সম্মুখে মাথা নত করিবে, জীবন ভরিয়া কেবল তাঁহারই দাসত্ব করিবে। তাঁহারই একনিষ্ঠ অনুগত দাস হিসাবে জীবন যাপন করিবে।
দ্বিতীয়, মানুষের সমাজ জীবন। সমাজ জীবনে তাওহীদের মূল কথা হইতেছে সৃষ্টিকর্তার একত্বের অনুরূপ সমগ্র মানুষের ঐক্য। পৃথিবীর সকল মানুষ এক-একই বংশ হইতে উদ্ভুত; দেশ, কাল, বংশ, জাতি, বর্ণ, ভাষা, ভৌগলিক সীমারেখা বা অর্থনৈতিক শ্রেণীবিভাগ দ্বারা মানুষের মধ্যে কোনরূপ বৈষম্য সৃষ্টি করা যায় না। কেহ এখানে উচ্চ নয়, কেহ নীচ নয়, কেহ কাহারো প্রভু, হর্তা-কর্তা নয়।
তৃতীয়, মানুষের রাজনৈতিক দিক। মানুষকে সমাজবদ্ধ হইয়াই বসবাস করিতে হয়। আর সমাজবদ্ধ মানুষের রক্ষণাবেক্ষণ, তাহাদের মধ্যে সুবিচার স্থাপন রাষ্ট্র ব্যতীত সম্ভব নহে। রাষ্ট্রের দুইটি দিক প্রধান, একটি উহার উপর প্রভুত্ব ও নিরুংকুশ কর্তৃত্ব করারঅধিকার-যাহার উপর স্থাপিত হয় রাষ্ট্রের ভিত্তি, আর অপরটি হইতেছে আইন-বিধান রচনা। এই দুইটির দিক দিয়াই একমাত্র আল্লাহ তাআলারাই নিরুংকুশ প্রভুত্বো আইন রচনার অধিকার স্বীকার করিতে হইবে এবং তাঁহাকেই প্রভু বলিয়া মানিয়া লইয়া তাঁহারই দেওয়া বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করিতে হইবে। মানুষের প্রভুত্ব ও মানুষের আইন রচনার নিরংকুশ অধিকার স্বীকার করা পরিষ্কার শিরক।
চতুর্থ, মানুষের অর্থনৈতিক দিক। সারে জাহানের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। অতএব তিনিই সব কিছুর একমাত্র মালিক। তাঁহারই একচ্ছত্র মালিকানা ভিত্তিতে আর মানুষের প্রতিনিধিমূলক ভোগাধিকারের ভিত্তিতে রচিত হইবে মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। তাওহিদী অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত মালিকানার নিরংকুশ অধিকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তাওহিদী অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত মালিকানার নিরুংকুশ অধিকার বা পুঁজিবাদ কিংবা ব্যক্তিগত মালিকানা হরণ করিয়া রাষ্ট্রীয়করণ অন্য কথায় সমাজতন্ত্রও স্বীকৃত নয়।
পঞ্চম হইতেছে আন্তর্জাতিক জীবন। প্রথমোল্লেখিত চারটি বিভাগে তাওহীদ-আল্লাহর একত্বকে স্বীকার না করার দরুণই সৃষ্টি হয় আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব-সংগ্রাম। অন্য মানুষের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করিয়া সংশ্লিষ্ট দেশের ধনমাল স্বাধীনভাবে লুন্ঠন করিয়া ও অন্য মানুষের উপরে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ও আভিজাত্য স্থাপনের জন্যই একদল মানুষ অপর মানব সমাজের উপর প্রবল বিক্রমে ঝাঁপাইয়া পড়ে। আর যতদিন মানব সমাজে তাওহীদ স্বীকৃত না হইবে, তাওহীদী বিধান অনুযায়ী যতদিন না মানুষের ব্যক্তি জীবন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন গঠন করা হইবে, ততদিন এই আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্বের অবসান হইতে পারে না। বর্তমান বিশ্ব সমস্যারও একমাত্র সমাধান এএই তাওহীদ। ইসলামের পটভূমিকায় দাঁড়াইয়া বিশ্বমানবকে আহ্বান জানানো হইয়াছে কুরআনের এই ভাষায় :
বল, হে কিতাবধারী লোকেরা, তোমরা আস এমন একটি বাণীর দিকে যাহা তোমাদের আমাদের মাঝে সর্বোতভাবে সমান। আর তাহা এই যে, আমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কাহারও দাসত্ব করিব না, তাঁহার সহিত কোন কিছুকেই শরীক কিরব না এবং আল্লাহকে বাদ দিয়া পরষ্পরকেও রব্বরূপে গ্রহণ করিব না।
তাহারা যদি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ না করে, তবে তোমরা বল :তোমরা সাক্ষী থাকিও যে, আমরা কিন্তু এক আল্লাহর নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্ম-সমর্পণকারী মুসলিম।
(একটি রেডিও কথিকা)
0 comments: