পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ (পুলিশ সদস্যসহ দুই শতাধিক আহত, জামায়াতের চার নেতাসহ আটক দুই শতাধিক)
রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যনগর চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ ক’টি জেলায় সোমবার জামায়াতের পূর্ব-ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও জলকামান ব্যবহার করে। এসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জামায়াতের দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়িসহ ১৩টি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে।
এ ঘটনায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। জামায়াতের শীর্ষ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে পূর্ব-ঘোষিত দুই দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। জামায়াতের শীর্ষ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে পূর্ব-ঘোষিত দুই দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার বিকালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রঘোষিত কমর্সূচি অনুযায়ী বিকেল ৪টায় কাকরাইল এলাকায় কেন্দ্রীয় ও মহানগরীয় নেতৃবৃন্দের উপিস্থিতিতে বিশাল শান্তিপূণ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে হাজার হাজার জামায়াত-শিবিরকর্মী ও সাধারণ জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে তীব্র গণপ্রিতেরাধ গড়ে তোলে। কর্মসূচিতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে মতিঝিল, কাকরাইল, বিজয়নগর, শান্তিনগর ও পল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে পুলিশ ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
জামায়াত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে চলে যাওয়ার পর পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
এসময় পুলিশের নির্দয় পিটুনি থেকে রেহাই পাননি নিরপরাধ পথচারীরাও। সংঘর্ষের সময় পুলিশ পাঁচ শতাধিক রাউন্ড টিয়ার শেল ও গুলিবর্ষন করে। আশপাশের বাসাবাড়ি, অফিস ও দোকানপাটের লোকজন এমনকি বধির স্কুলের ছাত্ররাও পুলিশের নির্মমতা থেকে রেহাই পায়নি। পুলিশ আশপাশের হাসপাতাল ও হোটেল রেস্তোরাঁয় ঢুকেও অমানুষিক নির্যাতন চালায় । ইসলামী ব্যাংক হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও পুলিশের আক্রমণের শিকার হন। পুলিশ রোগীদের হাসাপাতাল থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে নির্যাতন চালায়।
ফলে একপর্যায়ে সাধারণ জনতাও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ৫টি গাড়িসহ ১৩টি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে, ভাংচুর করে আরো অর্ধশতাধিক যানবাহন। গ্রেফতারকৃতদের পল্টন থানায় নিয়ে সেখানে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। রাস্তায় প্রায় দুই ঘন্টা যানবাহনে আগুন জ্বললেও তা নেভানো চেষ্টা করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
এসময় পুলিশের নির্দয় পিটুনি থেকে রেহাই পাননি নিরপরাধ পথচারীরাও। সংঘর্ষের সময় পুলিশ পাঁচ শতাধিক রাউন্ড টিয়ার শেল ও গুলিবর্ষন করে। আশপাশের বাসাবাড়ি, অফিস ও দোকানপাটের লোকজন এমনকি বধির স্কুলের ছাত্ররাও পুলিশের নির্মমতা থেকে রেহাই পায়নি। পুলিশ আশপাশের হাসপাতাল ও হোটেল রেস্তোরাঁয় ঢুকেও অমানুষিক নির্যাতন চালায় । ইসলামী ব্যাংক হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও পুলিশের আক্রমণের শিকার হন। পুলিশ রোগীদের হাসাপাতাল থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে নির্যাতন চালায়।
ফলে একপর্যায়ে সাধারণ জনতাও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ৫টি গাড়িসহ ১৩টি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে, ভাংচুর করে আরো অর্ধশতাধিক যানবাহন। গ্রেফতারকৃতদের পল্টন থানায় নিয়ে সেখানে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। রাস্তায় প্রায় দুই ঘন্টা যানবাহনে আগুন জ্বললেও তা নেভানো চেষ্টা করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
এদিকে সংঘর্ষের একপর্যায়ে সাদা পোশাকের কিছু লোককে লাঠি হাতে রাস্তায় দেখা যায়। তরাও নিরপরাধ পথচারীদের মারধর করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন। জামায়াতের ইসলামী অভিযোগ করেছে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় ছাত্রলীগ জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় চালিয়েছে।
এ ঘটনায় রাতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ ও আবদুর রবকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘর্ষের সময় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে মোট ২২৬ জন আটক করা
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতারা দাবি করেছেন,পুলিশি হামলায় সন্ধা ৭টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাতেই চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফার এবং আরো অন্তত চার শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। সারা দেশে একইভাবে হামলা চালিয়ে ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক এবং ৫/৬’শ নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটি্ম আজহারুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন সরকার নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে ও বিদেশী এজেন্ডা বাস্তাবায়নের জন্য জামায়াতের ইসলামীর শান্তিপূর্ণ কমসূচিতে হামলা চালিয়েছে।তিনি বলেন,জামায়াতে ইসলামী কোনো নিষিদ্ধ দল নয়। নির্বাচন কমিশনের একটি নিবন্ধীত দল ।তারপরও সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক কোনো কর্মসূচি করতে দিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন ।
এদিকে সোমবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের এক বৈঠকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে সরকার নিজেদের পতন ত্বরান্বিত করছে। তিনি অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে আবুল আসাদের মুক্তির জোর দাবি জানান।
এদিকে ঘটনার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় চারটি মামলায় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামসহ মোট ১৮৩ জন আসামির ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর প্রতিবাদে জামায়াত ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেছেন।
18.09.2011
NTV Policer sathe Jamat neta Kormi der Songgorser por ATM Azharul islam saho 15 leader areast (http://t.co/pq8sBENw )
Bangla vision sara deshe jamat and police songhorso (http://t.co/4XPfVCKZ )
ETV Policer sathe Jamat neta Kormi der Songgorse Bijoy nagor Kakrail alaka kurukhetro (http://t.co/wFPkpqir )
DTV jamat and police er songhorsher por bijoy nagor elakay CL er michil (http://t.co/3uSRMCo6)
সূত্র : ব্লগার নীল-গোলাপ
0 comments: