প্রথমে জানব শিক্ষা কি ? শিক্ষিত ব্যক্তি কে ?যে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে পশু সুলভ আচরণ থেকে নিজেকে মনুষত্ব সুলভ আচরনে বিকশিত করা য়ায় তাই শিক্ষা । কোন ব্যক্তির মধ্যে যে movement এর মাধ্যমে সভ্যতা, ভাল মন্দ বিচার করার শক্তি ,ন্যায় অন্যায় বা সত্য্ মিথ্যা যাচাই করার মত মনবিক বল প্রকাশ পায় তিনিই শিক্ষিত ব্যক্তি ।
প্রশ্ন করতে পারেন আমি প্রথমেই পশু সুলভ আচরন বললাম কেন ?ধরেন একটা গরু সকালে মাঠে যায় ,সারাদিন খায় ,যাবর কাটে ,মলমুত্র ত্যাগ করে । এটাই তার প্রতিদিনের কাজ ।আর যদি মানুষও খাওয়া ,ঘুম আর ত্যাগ করা এই জৈবিক চক্রের মধ্যে আবদ্দ্ব থাকে তাহলে মানুষ আর গরুর মধ্যে প্রার্থক্য কোথায় ?বরং কুশিক্ষিত মানুষকে লোভ –লালসা স্বার্থবাদিতা ,কামান্ধতা, নেশাখোরী ,নীচতা ,ক্রোধ ইত্যাদি বদ অভ্যাস গুলো পেয়ে বসে ।পশু তার মালিককে খুশি করার জন্য মালিকের আদেশ নিষেধ মেনে চলার মত জ্ঞান রাখে ।কিন্তু মানুষ নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তার মালিকের আদেশ নিষেধ প্রতি খেয়াল না করে নৈতিক মানবিক দিক দিয়ে পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায় ।পশু তার ক্ষুদা নিবারনের জন্য খাদ্য যোগার করতে গিয়ে নখ ও দাঁত ব্যবহার করছে ।কিন্তু মানুষ ক্ষুদা নিবারনের পরও লোভ লালসা হিংসা ইত্যাদির কারনে নিজ ধর্মের লোকদের হত্যা করছে ।
শিক্ষা যে কোন একটা জাতির মেরুদন্ড ।শিক্ষা ছাড়া জাতি বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে। শিক্ষা ব্যতীত সমাজের অন্যায় ,অবিচার , শোষন ,জুলুম ইত্যাদি অপরাধ কচুরি ফেনার মত বিস্তার লাভ করে বিশ্বের কোন দরবারে সে জাতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। কোরআনের নাযিল করা প্রথম শব্দ হল “ইকর” মানে পড় ।ইসলামে আরও বলা হয়েছে
‘জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নরনারীর উপর ফরজ’ ।
হাদীসে বলা হয়েছে –‘ জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদুর চীন দেশে চলে যাও’’ এখানে ছেলে মেয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয় নাই ।জ্ঞান অর্জনের জন্য ইসলাম দুই জনকেই সমর্থন করেছেন ।
একজন বিধর্মী রাজা নেপোলিয়ান বোনার্পাটও বুঝতে পেরেছেন মেয়েদের শিক্ষার অনেক প্রয়োজন ।তাই তিনি জোরাল ভাবে বলেছেন “ তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও। আমি তোমাদের উপহার দিব একটা শিক্ষিত জাতি”। আমাদের দেশে শিক্ষিত বলতে শুধু নিজের নাম টা লিখতে পারলেই হলো । আর আগের দিনে তো যদি বিদেশী স্বামীর চিঠি পড়তে পারেন বা উত্তর লিখতে পারলেই শিক্ষিত ধরা হত ।যে ঠিঠি পড়তে গিয়ে বেচারা স্বামী হযত বার বার চশমার পাওয়ার পরিবর্তন করতে হত ।
আমাদের বাংলা দেশে শহরে শিক্ষা ব্যবস্থার মান কিছুটা উন্নয়ণ হলেও গ্রাম অঞ্চলে তেমন উন্নয়ণ হয় নাই ।তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ঝরে পড়ার হার ছেলেদের তুলনায় মেয়েদর অনেক বেশী । কারন আমাদের দেশে অভিভাবকরা ছেলেদের শিক্ষার প্রতি মেয়েদর তুলনায় অনেক বেশি সচেতন ।তাই প্রাথমিক শিক্ষার পর অনেক মেয়ে আর পড়া চালিয়ে যেতে পারে না ।
আর যারা মাধ্যমিক স্কুলে পড়তে যান তারা অনেক বাধা বিপত্তির সন্মুখীন হতে হয় । এর মাঝেও অনেকে ঝরে পড়ে য়ায় ।S.S.C পরীক্ষা পর্যন্ত অনেকে অনেকে যেতে পারেন না।আর যারা পাস করতে পারেন S.S.C তাদের অনেকেই কলেজে ভর্তি হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেন না ।কিছু কিছু বাবা মা সমাজের নিজের মান সম্মানের কথা ভেবে বা মেয়ের জন্য ভাল পাত্র পাওয়ার লোভে বা নিজের বিবেকের তাড়নায় কলেজে পড়ার সুযোগ করে দেন ।H.S.C পাস করার পর ৭৫% মেয়েরই পড়া থেমে যায় ।
এই বার শুরু হয় মেয়ের জন্য বিয়ের পাত্র দেখা বা বাছাই করার পর্ব ।কারন কন্যা বিদায় করতে পারলে বাবা মা মুক্তি পায়। সেখানে কি আর মেয়ের উচ্চ শক্ষার কথা ভাবার সময় আছে ।হয়ত সে স্বামীর ঘরে গিয়ে সংসারের ভার সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে । এর মাঝে পড়ার কথা ভাবার সময় কোথায় ?তার কষ্টে অর্জিত সনদ পত্র গুলা প্রথমে ঝকঝকে থাকলেও পরে সেই গুলা গরের কোন জীর্ণশীর্ন বাক্সে ধুলা বালির মাঝে পড়ে থাকে ।উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন তার মন থেকে চোরা বালির মাঝে হারিয়ে য়ায় ।হয়তো এখানেই নিভে যাবে প্রতিভার উজ্জ্বল ত্বেজদীপ্ত সূর্য্য টা ।
মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় বাঁধা :
মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা নিতে অনেক বাধার সন্মুখীন হতে হয় । যা ছেলেদের বেলায় মোটেও আসে না ।বরং বাবা মা বুক ভরা ভালবাসা আর উৎসাহ দিয়ে ছেলেকে অগ্রসর করতে চান প্রান পণে ।কারণ ছেলেরা হল মা বাবার কাছে সাত রাজার ধন একটা মানিকের মত ।তাই এখানে মেয়ের বেলায় পুজি খাটালে লাভ ক্ষতির অঙ্ক কষলে দেখা যাবে ব্যবসায় লালবাতি জ্বলবে ।বলা বাহুল্য আমি দেখেছি মুরগীর রানটা দেয় ছেলে পাতে আর গলার হাড়টা আর পাটা আসে মেয়ের পাতে ।হায়রে আমাদের সমাজের এই অবহেলা আর দুচোখা নিয়ম কবে পরিবর্তন হবে ।
দ্বিতীয়তঃ অর্থনৈতিক অবস্হাও কম দায়ী না।নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে মেয়েদের শিক্ষার বেলায় একই অবস্হা বিরাজ করে ।তারা মনে করেন আমাদের অভাবের সংসারের হাল ধরতে একটা ছেলে যত তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসতে পারবে একটা মেয়ে টা পারে না ।কারন ঐ পরিবারের যিনি মা তিনিও তার মা বাবার জন্য তেমন কিছু করতে পারে নাই ।তাহলে ঐ মা কিভাবে বুঝবেন এই মেয়েও ওনার সংসারের হাল ধরবেন।কিন্তু উনি স্বামীকে দেখেছেন তার পরিবার ও সংসারের মা বাবার জন্য অনেক কিছু করতে পেরেছেন ।
তৃতীয়তঃ TEEN AGE এর মেয়েদের বিয়ের চাপও বেশী থাকে। উচ্চ শিক্ষা নিতে গেলে মেদের কুড়ি বছর বয়স পার হয়ে যায় ।ওরে সর্বনাশ ! তা হলে তো এই মেয়ে কুড়িতে বুড়ি হয়ে গেছে ।তাকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিলে যদি কেউ করে তাও চিন্তার বিষয় সংসার করার মত শক্তি কি আর এই বুড়ির আছে ?তার মানে এই বাবা মা সমাজে অসম্মানিত হয়ে গেল ।তাই লজ্জিত বাবা নরম সুরে মেয়েকে বলে 'মা তোমার কাছে আমার অনুরোধ তুমি বিয়েতে রাজি হয়ে যাও । তোমার কারনে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না’।তখন পিতা ভক্ত মেয়ের আর কিছু বলার থাকে না ।
চতুর্থতঃ উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে পর্দা ও নিরাপত্তাহীনতা কম বাধা নয় । আমাদের সমাজে বর্তমানে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগের মত অনেকটা কন্যা সন্তান জন্ম নিলে মা বাবার মুখের হাসি থেমে যায় ।কারন নিজের মেয়ের মান সম্মান ইজ্জত আবরু করা বর্তমানে কঠিন ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।সমাজে বখাটে যুবক দের উপদ্রব এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে দিনে দুপুরে ও মেয়েদের শ্লীলতাহানী করতে তাদের বিবেকে বাধা দেয় না ।কারন তারা পশুর চেয়েও অধম ।তাই তারা ধর্ষনের সেঞ্চুরী আর ইফটেজিং এর মত নতুন নতুন অপরাধ সমাজকে উপহার দিচ্ছে ।
পঞ্চমতঃ বিয়ের পর শিক্ষা নিবেন তাতে বাধা দেন স্বামী ।স্বামীর প্রথমেই মাথায় আসে স্ত্রী যদি উচ্চ শিক্ষিত সম্মানের দিক থেকে ওনাকে ওভারটেক করেন ।কারন উনি ভাবেন “আমি H.S.C পাস , গাড়ি বাড়ি অনেক কিছুর জোরে একটা H.S.C পাস মেয়েকে বিয়ে করে ফেললাম । এখন স্ত্রীকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমার উপরে তার সম্মান চলে যায় তা হলে সমাজে আমি মুখ দেখাব কিভাবে । “ আবার অনেকে ভাবেন বউকে পড়ালে বেশী চালাক হয়ে যায় ।তাহলে ভুল বুঝায়ে বা ঠকিয়ে অন্যায় গুলা চাপানো যাবে না ।বা যদি আবার চাকরী করতে চায় তাও তো সমস্যা ।কারন চাকুরী ক্ষেত্রে অন্য শিক্ষিত পুরুষ দের দেখে কি জানি কি করে বসে ।হায়রে পুরুষ ।
ষষ্ঠত: ভাগ্যের জোরে স্বামী অনেক ভাল পেয়ে গেলেন। হাতের মেহেদীর রং না মুচতে শরৎ এর মেঘের মত হঠাৎ বাধা হয়ে দাঁড়ালেন স্বামীর পরিবারের অন্যান্যরা।
প্রশ্ন করতে পারেন আমি প্রথমেই পশু সুলভ আচরন বললাম কেন ?ধরেন একটা গরু সকালে মাঠে যায় ,সারাদিন খায় ,যাবর কাটে ,মলমুত্র ত্যাগ করে । এটাই তার প্রতিদিনের কাজ ।আর যদি মানুষও খাওয়া ,ঘুম আর ত্যাগ করা এই জৈবিক চক্রের মধ্যে আবদ্দ্ব থাকে তাহলে মানুষ আর গরুর মধ্যে প্রার্থক্য কোথায় ?বরং কুশিক্ষিত মানুষকে লোভ –লালসা স্বার্থবাদিতা ,কামান্ধতা, নেশাখোরী ,নীচতা ,ক্রোধ ইত্যাদি বদ অভ্যাস গুলো পেয়ে বসে ।পশু তার মালিককে খুশি করার জন্য মালিকের আদেশ নিষেধ মেনে চলার মত জ্ঞান রাখে ।কিন্তু মানুষ নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তার মালিকের আদেশ নিষেধ প্রতি খেয়াল না করে নৈতিক মানবিক দিক দিয়ে পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায় ।পশু তার ক্ষুদা নিবারনের জন্য খাদ্য যোগার করতে গিয়ে নখ ও দাঁত ব্যবহার করছে ।কিন্তু মানুষ ক্ষুদা নিবারনের পরও লোভ লালসা হিংসা ইত্যাদির কারনে নিজ ধর্মের লোকদের হত্যা করছে ।
শিক্ষা যে কোন একটা জাতির মেরুদন্ড ।শিক্ষা ছাড়া জাতি বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে। শিক্ষা ব্যতীত সমাজের অন্যায় ,অবিচার , শোষন ,জুলুম ইত্যাদি অপরাধ কচুরি ফেনার মত বিস্তার লাভ করে বিশ্বের কোন দরবারে সে জাতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। কোরআনের নাযিল করা প্রথম শব্দ হল “ইকর” মানে পড় ।ইসলামে আরও বলা হয়েছে
‘জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নরনারীর উপর ফরজ’ ।
হাদীসে বলা হয়েছে –‘ জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদুর চীন দেশে চলে যাও’’ এখানে ছেলে মেয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয় নাই ।জ্ঞান অর্জনের জন্য ইসলাম দুই জনকেই সমর্থন করেছেন ।
একজন বিধর্মী রাজা নেপোলিয়ান বোনার্পাটও বুঝতে পেরেছেন মেয়েদের শিক্ষার অনেক প্রয়োজন ।তাই তিনি জোরাল ভাবে বলেছেন “ তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও। আমি তোমাদের উপহার দিব একটা শিক্ষিত জাতি”। আমাদের দেশে শিক্ষিত বলতে শুধু নিজের নাম টা লিখতে পারলেই হলো । আর আগের দিনে তো যদি বিদেশী স্বামীর চিঠি পড়তে পারেন বা উত্তর লিখতে পারলেই শিক্ষিত ধরা হত ।যে ঠিঠি পড়তে গিয়ে বেচারা স্বামী হযত বার বার চশমার পাওয়ার পরিবর্তন করতে হত ।
আমাদের বাংলা দেশে শহরে শিক্ষা ব্যবস্থার মান কিছুটা উন্নয়ণ হলেও গ্রাম অঞ্চলে তেমন উন্নয়ণ হয় নাই ।তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ঝরে পড়ার হার ছেলেদের তুলনায় মেয়েদর অনেক বেশী । কারন আমাদের দেশে অভিভাবকরা ছেলেদের শিক্ষার প্রতি মেয়েদর তুলনায় অনেক বেশি সচেতন ।তাই প্রাথমিক শিক্ষার পর অনেক মেয়ে আর পড়া চালিয়ে যেতে পারে না ।
আর যারা মাধ্যমিক স্কুলে পড়তে যান তারা অনেক বাধা বিপত্তির সন্মুখীন হতে হয় । এর মাঝেও অনেকে ঝরে পড়ে য়ায় ।S.S.C পরীক্ষা পর্যন্ত অনেকে অনেকে যেতে পারেন না।আর যারা পাস করতে পারেন S.S.C তাদের অনেকেই কলেজে ভর্তি হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেন না ।কিছু কিছু বাবা মা সমাজের নিজের মান সম্মানের কথা ভেবে বা মেয়ের জন্য ভাল পাত্র পাওয়ার লোভে বা নিজের বিবেকের তাড়নায় কলেজে পড়ার সুযোগ করে দেন ।H.S.C পাস করার পর ৭৫% মেয়েরই পড়া থেমে যায় ।
এই বার শুরু হয় মেয়ের জন্য বিয়ের পাত্র দেখা বা বাছাই করার পর্ব ।কারন কন্যা বিদায় করতে পারলে বাবা মা মুক্তি পায়। সেখানে কি আর মেয়ের উচ্চ শক্ষার কথা ভাবার সময় আছে ।হয়ত সে স্বামীর ঘরে গিয়ে সংসারের ভার সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে । এর মাঝে পড়ার কথা ভাবার সময় কোথায় ?তার কষ্টে অর্জিত সনদ পত্র গুলা প্রথমে ঝকঝকে থাকলেও পরে সেই গুলা গরের কোন জীর্ণশীর্ন বাক্সে ধুলা বালির মাঝে পড়ে থাকে ।উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন তার মন থেকে চোরা বালির মাঝে হারিয়ে য়ায় ।হয়তো এখানেই নিভে যাবে প্রতিভার উজ্জ্বল ত্বেজদীপ্ত সূর্য্য টা ।
মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় বাঁধা :
মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা নিতে অনেক বাধার সন্মুখীন হতে হয় । যা ছেলেদের বেলায় মোটেও আসে না ।বরং বাবা মা বুক ভরা ভালবাসা আর উৎসাহ দিয়ে ছেলেকে অগ্রসর করতে চান প্রান পণে ।কারণ ছেলেরা হল মা বাবার কাছে সাত রাজার ধন একটা মানিকের মত ।তাই এখানে মেয়ের বেলায় পুজি খাটালে লাভ ক্ষতির অঙ্ক কষলে দেখা যাবে ব্যবসায় লালবাতি জ্বলবে ।বলা বাহুল্য আমি দেখেছি মুরগীর রানটা দেয় ছেলে পাতে আর গলার হাড়টা আর পাটা আসে মেয়ের পাতে ।হায়রে আমাদের সমাজের এই অবহেলা আর দুচোখা নিয়ম কবে পরিবর্তন হবে ।
দ্বিতীয়তঃ অর্থনৈতিক অবস্হাও কম দায়ী না।নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে মেয়েদের শিক্ষার বেলায় একই অবস্হা বিরাজ করে ।তারা মনে করেন আমাদের অভাবের সংসারের হাল ধরতে একটা ছেলে যত তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসতে পারবে একটা মেয়ে টা পারে না ।কারন ঐ পরিবারের যিনি মা তিনিও তার মা বাবার জন্য তেমন কিছু করতে পারে নাই ।তাহলে ঐ মা কিভাবে বুঝবেন এই মেয়েও ওনার সংসারের হাল ধরবেন।কিন্তু উনি স্বামীকে দেখেছেন তার পরিবার ও সংসারের মা বাবার জন্য অনেক কিছু করতে পেরেছেন ।
তৃতীয়তঃ TEEN AGE এর মেয়েদের বিয়ের চাপও বেশী থাকে। উচ্চ শিক্ষা নিতে গেলে মেদের কুড়ি বছর বয়স পার হয়ে যায় ।ওরে সর্বনাশ ! তা হলে তো এই মেয়ে কুড়িতে বুড়ি হয়ে গেছে ।তাকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিলে যদি কেউ করে তাও চিন্তার বিষয় সংসার করার মত শক্তি কি আর এই বুড়ির আছে ?তার মানে এই বাবা মা সমাজে অসম্মানিত হয়ে গেল ।তাই লজ্জিত বাবা নরম সুরে মেয়েকে বলে 'মা তোমার কাছে আমার অনুরোধ তুমি বিয়েতে রাজি হয়ে যাও । তোমার কারনে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না’।তখন পিতা ভক্ত মেয়ের আর কিছু বলার থাকে না ।
চতুর্থতঃ উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে পর্দা ও নিরাপত্তাহীনতা কম বাধা নয় । আমাদের সমাজে বর্তমানে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগের মত অনেকটা কন্যা সন্তান জন্ম নিলে মা বাবার মুখের হাসি থেমে যায় ।কারন নিজের মেয়ের মান সম্মান ইজ্জত আবরু করা বর্তমানে কঠিন ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।সমাজে বখাটে যুবক দের উপদ্রব এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে দিনে দুপুরে ও মেয়েদের শ্লীলতাহানী করতে তাদের বিবেকে বাধা দেয় না ।কারন তারা পশুর চেয়েও অধম ।তাই তারা ধর্ষনের সেঞ্চুরী আর ইফটেজিং এর মত নতুন নতুন অপরাধ সমাজকে উপহার দিচ্ছে ।
পঞ্চমতঃ বিয়ের পর শিক্ষা নিবেন তাতে বাধা দেন স্বামী ।স্বামীর প্রথমেই মাথায় আসে স্ত্রী যদি উচ্চ শিক্ষিত সম্মানের দিক থেকে ওনাকে ওভারটেক করেন ।কারন উনি ভাবেন “আমি H.S.C পাস , গাড়ি বাড়ি অনেক কিছুর জোরে একটা H.S.C পাস মেয়েকে বিয়ে করে ফেললাম । এখন স্ত্রীকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমার উপরে তার সম্মান চলে যায় তা হলে সমাজে আমি মুখ দেখাব কিভাবে । “ আবার অনেকে ভাবেন বউকে পড়ালে বেশী চালাক হয়ে যায় ।তাহলে ভুল বুঝায়ে বা ঠকিয়ে অন্যায় গুলা চাপানো যাবে না ।বা যদি আবার চাকরী করতে চায় তাও তো সমস্যা ।কারন চাকুরী ক্ষেত্রে অন্য শিক্ষিত পুরুষ দের দেখে কি জানি কি করে বসে ।হায়রে পুরুষ ।
ষষ্ঠত: ভাগ্যের জোরে স্বামী অনেক ভাল পেয়ে গেলেন। হাতের মেহেদীর রং না মুচতে শরৎ এর মেঘের মত হঠাৎ বাধা হয়ে দাঁড়ালেন স্বামীর পরিবারের অন্যান্যরা।
শ্বশুর,শ্বাশুড়ী,ননদ,জা,দেবর ,ভাসুর আরো অনেকেই তাদের আদরের ছেলেটিকে বুঝায় বিয়ে করেছ বউ নিয়ে ঘর সংসার করার জন্য । সেখানে বউ কে পড়ানো কি প্রয়োজন ? কাজের লোকও বউ আসার পর বিদায় দিয়েছি ।তাই এখন সংসারের সব কাজ বউ করবে ।যেমন :স্বামীর সেবা ,বাচ্চা পালা,ননদ জা দের মাথা আছড়ায়ে বেনী করে দেওয়া ,সবার গোসল করে ফেলে আসা কাপড় গুলো ধুয়ে দেওয়া আরও কত কি ।এর পর কি আর বউ বেচারনির উচ্চ শিক্ষার সখ থাকে ? কারণ সব ঠিকমত না পেলে হাতে না মারলেও মুখে মারিবে শতবার । যা মেয়েটির হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়।ক্ষত হৃদয়ে লবন দেওয়ার মত মা বাবা তুলে গালি ও শুনতে হয়।
সপ্তমত: মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ সুবিধার অভাব একটি বড় বাধা ।শহর গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্হা আছে ।যদিও তা ছেলে মেয়েদের একসাথে ধাক্কাধাক্কি করে উঠতে হয় ।উঠেও দেখতে হয় মেেদের সীমিত কয়েকটি সীট ছেলেদের দখলে ।মফস্বলে তারও কোনো ব্যবস্থা নেই । বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অনেক দূরে দূরে ।সেখানেও যেতে হয় পায়ে হেটে বা টেম্পো বা ভ্যানে ।সেখানে পাঠিয়ে মেয়ের অভিভাবক দুচিন্তায় পেটের ভাত চাল করে পেলেন। কারন মেয়েটা মান ইজ্জত নিয়ে ঘরে ফিরে আসতে পারেন কিনা।
পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই ।লাইব্রেরী গুলোতে সীমিত সংখ্যক বই।চাহিদার তুলনায় অতি অপ্রতুল । বাজারেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বই গুলোর প্রচুর দাম ।অনেকেই কিনতে পারে না। আবার শিক্ষকরা শ্রেণী কক্ষে ভালভাবে না পড়ায়ে প্রাইভেট বা কোচিং এ আসার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকে । আর যারা ডাকে সাড়া দিয়ে পড়তে পারেন ভাল পাস করায়ে দেন ।যারা ডাকে সাড়া দিতে পারবেন না তাদের কপালে থাকে কম নম্বর বা ফেলের মত দূর্ভোগ ।তা ছাড়া এইসব প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের মান ইজ্জতের কোন নিরাপত্তা থাকে না ।কারন শকুনের চোখ আছে সব জায়গায় ।
পরিত্রানের উপায় :
সপ্তমত: মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ সুবিধার অভাব একটি বড় বাধা ।শহর গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্হা আছে ।যদিও তা ছেলে মেয়েদের একসাথে ধাক্কাধাক্কি করে উঠতে হয় ।উঠেও দেখতে হয় মেেদের সীমিত কয়েকটি সীট ছেলেদের দখলে ।মফস্বলে তারও কোনো ব্যবস্থা নেই । বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অনেক দূরে দূরে ।সেখানেও যেতে হয় পায়ে হেটে বা টেম্পো বা ভ্যানে ।সেখানে পাঠিয়ে মেয়ের অভিভাবক দুচিন্তায় পেটের ভাত চাল করে পেলেন। কারন মেয়েটা মান ইজ্জত নিয়ে ঘরে ফিরে আসতে পারেন কিনা।
পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই ।লাইব্রেরী গুলোতে সীমিত সংখ্যক বই।চাহিদার তুলনায় অতি অপ্রতুল । বাজারেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বই গুলোর প্রচুর দাম ।অনেকেই কিনতে পারে না। আবার শিক্ষকরা শ্রেণী কক্ষে ভালভাবে না পড়ায়ে প্রাইভেট বা কোচিং এ আসার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকে । আর যারা ডাকে সাড়া দিয়ে পড়তে পারেন ভাল পাস করায়ে দেন ।যারা ডাকে সাড়া দিতে পারবেন না তাদের কপালে থাকে কম নম্বর বা ফেলের মত দূর্ভোগ ।তা ছাড়া এইসব প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের মান ইজ্জতের কোন নিরাপত্তা থাকে না ।কারন শকুনের চোখ আছে সব জায়গায় ।
পরিত্রানের উপায় :
যতো রকমের বাঁধার পাহাড় আসুক না কেন মেয়েদের সব বাঁধা অতিক্রম করে ইনশাল্লাহ অগ্রসর হতে হবে । সমাজের সব ঝনঝাটের ভিতর দিয়ে নিজের লক্ষো স্থলে পৌছতে হবে । এই জন্য চাই সর্ব প্রথমে মেয়েরা ইসলামী আকিদায় বিশ্বাসী ও দৃড় ঈমানের বলে বলিয়ান হওয়া। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে সংকল্প বদ্দ্ব হওয়া চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ।
বলা বাহুল্য আমার অষ্ঠম শ্রেণী পাস করার পর বিয়ে হয় । আমি যৌথ সংসারের থেকেই s.s.c পাস করি ।আমার যৌথ সংসারের ঝামেলা সামলায়ে ৬ বছর পর সব রকমের কঠিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আমাকে H.S.C পাস করতে হয়।আল্লাহর সাহায্য কামনা করেছি আর ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা করেছি । কারন আমি ভেবেছি , আমি ৫ ছেলের মা হয়েছি তাতে কি হয়েছে আমাকে মনোবল অটুট রেখে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতেই হবে ।কারন এই সমাজে আমার নিজের একটি পরিচয় প্রয়োজন ।
উচ্চ শিক্ষা মেয়েদের প্রয়োজন নিজের একটা পরিচয়ের জন্য , ইসলামকে সঠিক ভাবে জানার জন্য ও মানার জন্য , ইসলামের দাওয়াত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত দের মাঝে পৌছে দেওয়ার জন্য । একজন মহিলা ডাক্তার বা ব্যারিস্টারের কাছে একজন ননগ্রেজুয়েট ইসলামের কথা বলতে গেলে সে মন দিয়ে তার কথা শুনতে চাইবে না ।কারন সে তার সমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা বহন করে না ।
স্বামী ও সংসারের দায়িত্ব পালনের জন্য একজন নারীর ইলেমী যোগ্যতা ,আমলী যোগ্যতা ও ক্যারিয়ার প্রয়োজন আছে। কারন এর মাধ্যমে তিনি সুন্দর ভাবে দিকনির্দেশনা সংসার চালাতে পারেন।বাচ্চা গর্ভেধারণ থেকে শুরু করে বাচ্চা পালন ও তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য একজন মায়ের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন আছে।আমি B.ED ও M.ED করার পর আমি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি ।তখন আমি আমার এক বান্ধবীদের বলছি “বাংলাদেশের প্রতিটি মাকে B.ED ওM.ED করানো উচিত “।
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য আপনাকে হতে হবে ধৈর্য্যশীল। কারণ আপনি কারো মেয়ে ,কারো বোন ,কারো বউ, কারো ছেলের বউ বা একটা পরিবারের রক্ষনাবেক্ষনকারী ।।তাই তাদের ন্যায্য দায়িত্ব আপনাকে পালন করতে হবে ।সুরা বাকারায় ১৫৩ নং আয়াতে ধৈর্য্যশীলকে আল্লাহ ভালবাসেন তা বলা হয়েছে ।আমি দিনের বেলায় পরতে পারতাম না তাই রাতেই পরতাম আর আল্লাহকে বলতাম “ইয়া আল্লাহ এই রাত টা শুধু তোমার আর আমার” ।এখন আমি রাতটাকে বেশি কাজে লাগাই।
আরেকটা বড়ো কৌশল হল আপনাকে নিস্বার্থ ভাবে সবাইকে ভালবাসতে হবে আল্লাহ খুশীর জ়ন্য ।ভালবাসার দুটো অংশ একটা হল সেক্রিপাইজ আরকটি কম্পোমাইজ ।আপনার স্বামী বা অন্যরা যতই কঠিন হক না কেন তারা ইনশাল্লাহ আপনার ভালবাসায় সিক্ত হবেন।
আপনাকেও ভালবাসবেন আর আপনার ইচ্ছা ভাসনার মূল্যায়ন করবেন।আপনি আপনার স্বামীর মনের চাহিদা যদি ১৬ আনা পূরণ করেন তা ইনশাল্লাহ ৮ আনা হলেও পূরন করবেন ।কারণ মেয়েদর ভালবাসার কাছে ছেলেদের কঠিন মনও নরম হয়ে যায় ।পাহাড় থেকে ঝর্ণা ঝরে আবার পাথরেও ফুল ফোটে ।
আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রমী হতে হবে।আপনি যদি অবিবাহিত হন তা হলে উচ্চ শিক্ষার জন্য আপনাকে বাবার সংসারে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে ।আর যদি স্বামীর সংসারে থাকেন তা হলেও কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে লা। পরিশ্রম সৌভাগ্যর প্রসূতি স্বরুপ ।
আমার এখন মনে পড়ে আমি H.S.C পরীক্ষার সময় ৯০ আটার রুটি বানায়ে ,সারদিনে যৌথ সংসারের সারাদিনের রান্না , আমার ১বছর, ২বছর ,৩বছরের বাচ্চাদের গোসল করায়ে ও খাওয়াে রেখে যেতে হয়েছে ।বাচ্চাদের বাবা ছিল জাপান তাই আমাকে সাহায্য করার মত কেউ ছিল না।আলহামদুলিল্লাহ । তিনি আমাকে অনেক সাহায্য আর শক্তি দান করেছেন।
বাবা মা কে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে। মেয়ে মানেই অকল্যান এটা ভাবা ঠিক হবে ণা। ছেলে মেয়েকে এক রকম ভাবতে হবে ।খাওয়ার বেলায়ও এই চিন্তা মাথায় রাখতে হবে ।ইসলামের কাঠ গড়ায় দাড়াতে হবে। ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করলে মেয়েকেও সেই সুযোগ দান করুন।
অর্থনৈতিক দিক থেকে নিজের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিজে বহন করুন । বাবা মায়ের উপর বোঝা হয়ে থাকবেন না ।আত্ননির্ভরশীল হতে চেষ্টা করা উচিত । যেমন টিউশনি ,পারটাইম চাকুরি ,বিভিন্ন সেলাইয়ের কাজ ইত্যাদি ।বাবা মাকে বুঝাতে হবে আপনি তাদের জন্য বোঝা নন ।
পর্দা পালনের মাধ্যমে বাবা মা , স্বামী বা অন্যদের চিন্তা করা যায় ।কারন হিজাব পড়া মেয়েরা আজ পর্যন্ত ইফটিজিং বা ধর্ষনের শিকার হন নাই ।যেমন একটা কলা বা আম ছিলে রাখলে সেগুলো মাছি বা পোকামাকড় কে আমন্ত্রন জানায় তাদের গায়ে জীবানু ছড়ানোর জন্য ।তেমনি বেপর্দা নারীও পুরুষদের আমন্ত্রন জানায় তাদের কাছে আসার জন্য ।আমরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে যতটা সাবধান থাকব পর্দার ব্যাপারে ততই আমাদের সুযোগ বেড়ে যাবে।
বলা বাহুল্য আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছেলে মেয়েরা আমাকে ভাবী বলে ডাকত ।কারন আমার দেবর আমার পাশের ডিপার্টমেন্টে পড়ত ।হিজাব ও নেকাব পরা থাকায় তাদের অনেকেই অন্য বোরকা পরা মেয়েদের ভাবী ডেকে বকা শুনতে হত ।এটা বলার উদ্দেশ্য এই তারা আমাকে খুব সম্মান শ্রদ্ধা করত ।আমাদের সমাজে ওরাষ্টে ইসলামী পরিপূর্ণ ব্যবস্থা চালু নাই তাই আমাদের দেশের মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ।তাই আমাদের দেশের সরকার যদি মেয়েদের উচচ শিক্ষার আলাদা যানবাহন ,আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,আলাদা লাইব্রেরী ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা চালু করত তা মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা নিতে সুবিধা হত ।ছেলেমেয়ের যৌথ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকার ফলে অপরাধ বেড়েই যাচ্চে আর শিক্ষার মান খারপ হচছ ।
আমার এই লিখার পিছনে উদ্দেশ্য একটাই আমরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হ্ইয়ে আমাদের সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত মেয়েরা তাদের ন্যায্য অধিকার যেনো ফিরে পায়। ইসলাম মেয়েদের যে অধিকার দিয়েছে তাও যেনো তারা ফিরে পায় । অশিক্ষিত মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে সমাজে তাদের উপর যে অন্যায় অবিচার হচ্ছে তা দূর করা। মেয়েদের কে দিয়ে যে সব অসামাজিক কাজ করনো হচ্ছে তা বন্ধ করা ।ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে নিজের উচ্চ শিক্ষাকে কল্যানমুখী কাজে লাগানো।
সব শেষে আল্লাহ আমার এই ক্ষুদ্র চেষ্টা কবুল করে নিক আর আমার এই লেখার মাধ্যমে ইসলাম মেয়েদের মর্যাদা দিয়েছেন তা যেন উচ্চ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত বাস্তবায়ন করার তাওফিক আল্লাহ দান করুন আমীন।
আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রমী হতে হবে।আপনি যদি অবিবাহিত হন তা হলে উচ্চ শিক্ষার জন্য আপনাকে বাবার সংসারে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে ।আর যদি স্বামীর সংসারে থাকেন তা হলেও কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে লা। পরিশ্রম সৌভাগ্যর প্রসূতি স্বরুপ ।
আমার এখন মনে পড়ে আমি H.S.C পরীক্ষার সময় ৯০ আটার রুটি বানায়ে ,সারদিনে যৌথ সংসারের সারাদিনের রান্না , আমার ১বছর, ২বছর ,৩বছরের বাচ্চাদের গোসল করায়ে ও খাওয়াে রেখে যেতে হয়েছে ।বাচ্চাদের বাবা ছিল জাপান তাই আমাকে সাহায্য করার মত কেউ ছিল না।আলহামদুলিল্লাহ । তিনি আমাকে অনেক সাহায্য আর শক্তি দান করেছেন।
বাবা মা কে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে। মেয়ে মানেই অকল্যান এটা ভাবা ঠিক হবে ণা। ছেলে মেয়েকে এক রকম ভাবতে হবে ।খাওয়ার বেলায়ও এই চিন্তা মাথায় রাখতে হবে ।ইসলামের কাঠ গড়ায় দাড়াতে হবে। ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করলে মেয়েকেও সেই সুযোগ দান করুন।
অর্থনৈতিক দিক থেকে নিজের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিজে বহন করুন । বাবা মায়ের উপর বোঝা হয়ে থাকবেন না ।আত্ননির্ভরশীল হতে চেষ্টা করা উচিত । যেমন টিউশনি ,পারটাইম চাকুরি ,বিভিন্ন সেলাইয়ের কাজ ইত্যাদি ।বাবা মাকে বুঝাতে হবে আপনি তাদের জন্য বোঝা নন ।
পর্দা পালনের মাধ্যমে বাবা মা , স্বামী বা অন্যদের চিন্তা করা যায় ।কারন হিজাব পড়া মেয়েরা আজ পর্যন্ত ইফটিজিং বা ধর্ষনের শিকার হন নাই ।যেমন একটা কলা বা আম ছিলে রাখলে সেগুলো মাছি বা পোকামাকড় কে আমন্ত্রন জানায় তাদের গায়ে জীবানু ছড়ানোর জন্য ।তেমনি বেপর্দা নারীও পুরুষদের আমন্ত্রন জানায় তাদের কাছে আসার জন্য ।আমরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে যতটা সাবধান থাকব পর্দার ব্যাপারে ততই আমাদের সুযোগ বেড়ে যাবে।
বলা বাহুল্য আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছেলে মেয়েরা আমাকে ভাবী বলে ডাকত ।কারন আমার দেবর আমার পাশের ডিপার্টমেন্টে পড়ত ।হিজাব ও নেকাব পরা থাকায় তাদের অনেকেই অন্য বোরকা পরা মেয়েদের ভাবী ডেকে বকা শুনতে হত ।এটা বলার উদ্দেশ্য এই তারা আমাকে খুব সম্মান শ্রদ্ধা করত ।আমাদের সমাজে ওরাষ্টে ইসলামী পরিপূর্ণ ব্যবস্থা চালু নাই তাই আমাদের দেশের মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ।তাই আমাদের দেশের সরকার যদি মেয়েদের উচচ শিক্ষার আলাদা যানবাহন ,আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,আলাদা লাইব্রেরী ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা চালু করত তা মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা নিতে সুবিধা হত ।ছেলেমেয়ের যৌথ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকার ফলে অপরাধ বেড়েই যাচ্চে আর শিক্ষার মান খারপ হচছ ।
আমার এই লিখার পিছনে উদ্দেশ্য একটাই আমরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হ্ইয়ে আমাদের সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত মেয়েরা তাদের ন্যায্য অধিকার যেনো ফিরে পায়। ইসলাম মেয়েদের যে অধিকার দিয়েছে তাও যেনো তারা ফিরে পায় । অশিক্ষিত মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে সমাজে তাদের উপর যে অন্যায় অবিচার হচ্ছে তা দূর করা। মেয়েদের কে দিয়ে যে সব অসামাজিক কাজ করনো হচ্ছে তা বন্ধ করা ।ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে নিজের উচ্চ শিক্ষাকে কল্যানমুখী কাজে লাগানো।
সব শেষে আল্লাহ আমার এই ক্ষুদ্র চেষ্টা কবুল করে নিক আর আমার এই লেখার মাধ্যমে ইসলাম মেয়েদের মর্যাদা দিয়েছেন তা যেন উচ্চ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত বাস্তবায়ন করার তাওফিক আল্লাহ দান করুন আমীন।
রাইটার : পারভীন-সুলতানা
0 comments: