প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলোর করনীয়

প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান
অনুবাদ: বুরহান উদ্দিন

মানবতার মুক্তির জন্য ও মানুষের শান্তির জন্য আমাদের কে অস্ত্র তৈরি ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তারা মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য বানাচ্ছে। আমেরিকা লৌহিত সাগরে তার রণতরী মোতায়েন করে ইরাকের বাগদাদে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এন্ত্রাফার রণতরী ইস্তানবুলে আসার পর আমাদের একটি পার্লামেন্টারি গ্রুপ কে পাঠিয়েছিলাম সেটাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। তারা আসার পর আমাকে তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিল।

 তারা বলেন যে, প্রথমে আমাদের কে ক্যাপ্টেন এর রুমে দেখানো হয়। এরপর আমাদের কে রনতরির ভেতর ক্যাপ্টেন এর গেস্ট রুমে নেওয়া হয়। সেখানে নারী পুরুষ একসাথে বসে আছে, সবার পেছনে কফি গরম করার চুলা, সামনে টেবিল, সবাই কফির পাত্রে আরামের চুমুক দিচ্ছে আর গল্প করছে।

এরপর তারা বলল যে, আমরা এখন আপনাদেরকে আমাদের কার্যপ্রণালী প্রদর্শন করব। এই রনতরি থেকে একটি ক্ষেপনাস্ত্র ১০ হাজার মাইল দুরের যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই কথা বলার পর বসার জায়গা থেকে একজন তার সামনের পর্দায় সতর্কতার সাথে তাকানোর পর ক্যাপ্টেন তার কাছে এসে বললো, কফি রেখে আমার কথা শোনেন । আপনি এই ক্ষেপনাস্ত্রটা অমুক মহাসাগরের অমুক জায়গায় নিক্ষেপ করবেন। সেই ব্যক্তি তার কফির কাপ রেখে ডানে ফিরে কন্ট্রোল বাটন এ চাপ দিলো। ক্যাপ্টেন এসে পর্দায় ফিরে বললেন, আগুন রেডি??

বাটন চাপার কিছুক্ষণ পর আমাদেরকে টেলিভিশনে দেখানো হল, ক্ষেপনাস্ত্র তার সেই লক্ষ্য বস্তুতেই আঘাত হেনেছে। অর্থাৎ সবচেয়ে বড় জুলুম হল, কফি টেবিলে বসে শুধু মাত্র ডানে বামে ফিরেই তারা লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানার মত প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে।

এখন আপনি বলেন, আমি আমার অধিকার রক্ষা করব কিভাবে? আমেরিকার ৪০ টি রণতরী আছে। তাহলে আপনি কি ৪০ টি রণতরী বানাবেন? ইরানের পারমানবিক প্লান্টে হামলা চালাবে তারা। আপনি ৪০ টি বানাতে বানাতে আমেরিকা আরো ৮০ টি বানাবে। তাহলে আমরা কিভাবে তাঁদের মোকাবেলা করব?? আমার দিকে তাকান আমার দিকে। মহান আল্লাহ রাব্বূল আলামীণ রহমান ও রহীম।

আপনারা কী জানেন প্রযুক্তি কী? প্রযুক্তি হল আপনি ঐ রণতরীর ভেতরে এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করে পাঠাবেন যে, ক্যাপ্টেন কোন সংকেতই বুজতে পারবে না।  তার নিক্ষিপ্ত ক্ষেপনাস্ত্র- ইলেক্ট্রনিক রিমোট এর সাহায্যে আকাশেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তার দিকে ফিরিয়ে তার যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস করে দিবেন।

প্রযুক্তি আল্লাহ তালার একটি বড় রহমত। অনুন্নত দেশগুলো এর সাহায্যে উন্নত দেশের হূমকী থেকে রণতরী না বানিয়েও নিজের দেশকে রক্ষা করতে পারে । তার সে রণতরী তোমার আওতায় ইচ্ছামত হামলা করে সেটাকে শেষ করে দাও। আপনারা হয়তো মনে করতেছেন Sir আপনি এগুলা কী আজব কথা বলেন? আজব না, আপনারা কী জানেন না আমি একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিক প্রফেসর?? বছরের পর বছর আমি এগুলো নিয়ে গবেষণা করেছি ? আমি সব টেকনিক এখানে বলা নিরাপদ মনে করছি না। আপনি এমন একটি যন্ত্র আবিস্কার করবেন যেটা দিয়ে তার রণতরী  আনায়াসে ধ্বংস করা সম্ভব। তাদের এরকম ১০০ টী বিমান ঘাটি- রণতরী আছে। আর তার ১০০ বিলিয়ন ডলার এর সম্পদ  ৫ লাখ ডলার এর তৈরি যন্ত্র দিয়ে ধ্বংস করে দিতে পারবেন। এই ভাবে  আপনি কিভাবে ধ্বংস করে দিবে তাকে??? আপনার ইমান দিয়ে, ইমান দিয়ে।

আমরা যখন এই প্রযুক্তি আবিস্কার করে তাঁদের  বলব যে, "এখন আসেন। সে তার মান সম্মান এর স্বার্থে নিজের অনিচ্ছা সত্তেও আসবে। আমি তাকে বলব, এখানে বসো, আমাকে দেখ। তুমি এখন পর্যন্ত কত রক্তপাত ঘটিয়েছ! আমাদের হত্যা করেছ। কিন্তু আমরা উমার ইবনুল খাত্তাব এর উত্তরসূরি ; আমরা সুলতান সালাহুদ্দিন আয়ুবির উত্তরসূরি ; আমরা সুলতান মুহাম্মাদ ফাতির উত্তরসূরি। আমরা তোমাদের কে ধ্বংস করার জন্য আসি নাই। আমরা দয়ার সাগর মুহাম্মাদ স. এর উম্মত। আমরা তোমাদের অধিকারও তোমাদের দিতে চাই। আমাদের পুর্বপুরুষরা যেভাবে তোমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন নাই আমরাও তোমাদের  বঞ্চিত করব না। আমরা সবার অধিকার  ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা হককে সবসময় সবার উপরে স্থান দেই। কিন্তু আমরা শক্তির প্রয়োজনীয়তাও জানি। ”


শক্তি যখন হক পন্থিদের হাতে থাকে তখনি শক্তি সবচেয়ে সম্মান জনক অবস্থায় থাকে’। আমরা এইভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী হব। শক্তিশালি একটি তুর্কী গড়ব ও নতুন দুনিয়া গড়ব। ইনশাল্লাহ ।।

লিঙ্ক

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম