১. নামায শারীরিক, মানসিক ও আত্তিক উন্নতির সহায়ক:
হযরত হাফেজ ইবনে কাইয়্যুম রহ. তাঁর বিখ্যাত ‘‘যাদুল মাআ’দ” গ্রন্থে লিখেছেনঃ মু’মিনের নামায,
* রুজি ও জীবিকা আকর্ষন করে।
* স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
* রোগ ব্যধি নিরাময় করে।
* মানসিক শক্তি সঞ্চয় করে।
* চেহারা সুন্দর ও উজ্জ্বল করে।
* অন্তর প্রফুল্ল করে।
* অংগ প্রত্যংগে আনন্দের সঞ্চায় করে।
* যাবতীয় অলসতা দূর করে এবং বক্ষ প্রশস্ত করে।
* আত্মার খাদ্য যোগায়।
* আল্লাহর নিয়ামত সমূহের হিফাজত করে।
২. নামায পূর্ণ শিফা বা সর্বরোগ নিরাময়ের মহৌষধ :
হাদীস শরীফে আছে, একবার হযরত আবু হোরায়রা রা. উপুড় হয়ে শুইয়ে ছিলেন। নবী করীম সা. তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন ঃ “তোমার কি পিঠে ব্যাথা করছে? আবু হোরায়রা বললেনঃ জী হাঁ।” নবী করীম সা. বললেনঃ “উঠ নামায পড়। নামাযে শিফা রয়েছে। (আরোগ্য গুণ রয়েছে)।
{জামে ছগীর}
৩. নামায বরকত ও শান্তি লাভের মাধ্যম :
হযরত আবু দারদা রা. বলেনঃ আমি নবী করীম সা. থেকে বলতে শুনেছি, মসজিদ হল মুত্তাকী লোকদের ঘর। আল্লাহর ওয়াদা এই যে, যে অধিকাংশ সময় মসজিদে কাটাবে আমি তার প্রতি রহমত বর্ষন করব। তাকে আরামে ও শান্তিতে রাখব। পুলসিরাত পার হওয়া সহজ করে দিব এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকব। {ফাজায়েলে নামায}
* হযরত মুজাহিদ রা. বলেনঃ যারা নামাযের ওয়াক্ত জানার জন্য যতœবান থাকে, তাদের জীবনে সেইরূপ বরকত দেখা দেয় যেরূপ বরকত দেখা দিয়েছিল হযরত ইব্রাহীম আ. ও তাঁর সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে।
{র্দুরে মনছুর}
৪. নামায মা’রেফাতের নূর এবং শত্র“ দমনের অস্ত্র স্বরূপ
* হাদীস শরীফে এসেছে নামায দ্বারা মা’রেফাতের নূর সৃষ্টি হয়। দো’য়া কবুল হয়, জীবিকায় বরকত হয়। নামায ঈমানের মূল, দেহের শান্তি এবং শত্র“ দমনের অস্ত্র স্বরূপ। {তাম্বিহুল গাফেলীন}
‘মুনাব্বিহাত’ গ্রন্থে আছে, আল্লাহ তা’আলা নামাযীকে প্রিয়পাত্র রূপে বরণ করেন, তাকে সুস্বাস্থ্য দান করেন, তার ঘরে বরকত দান করেন। তার মুখমন্ডলে নেক্কার লোকদের চেহারার নূর ফুটে উঠে। {ফাজায়েলে নামায}}
৫. নামায আযাব নাযিলের পথে বাঁধা স্বরূপ :
হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, নবী করীম সা. ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ্ তা’য়ালা বলেনঃ আমি কোন কোন স্থানে আযাব নাযিল করার ইচ্ছা করি, কিন্তু যখন সেখানে এমন লোকদেরকে দেখি যারা মসজিদ সমূহ আবাদ করে রাখে, আল্লাহর ওয়াস্তে একে অন্যকে ভালবাসে এবং শেষ রাত্রে উঠে আল্লাহর নিকট গুনাহ্ মাফের জন্য দো’য়া করে, তখন সেই আযাব নাযিল স্থগিত করে দেই। {দুররে মনসুর, ফাজায়েলে নামায}
নামাযের বিভিন্ন অংশের ছওয়াব ও পুরস্কার :
নামাযের জন্য সামগ্রিকভাবে দুনিয়া ও আখেরাতের অফুরন্ত ছওয়াব ও পুরস্কার রয়েছে, সে সম্পর্কে ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এবারে নামাযের বিভিন্ন অংশের জন্য যে বিশেষ ছওয়াব ও পুরস্কার রয়েছে তার সামান্য মাত্র নিম্নে বর্ণনা করা হল ।
১. তাকবীর ‘আল্লাহু আকবর’ বলার ছওয়াব
* নামাযের প্রথম তাকবীর সমগ্র পৃথিবী ও উহার মধ্যবর্তী যাবতীয় সম্পদ অপেক্ষা উত্তম।
* নামাযী যখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলে তখন উহা আসমান যমীনের প্রতিটি বস্তুকেই খুশী করে দেয়।
* তাকবীরে উলা যদি ইমামের সাথে আদায় করা হয়, উহার ছওয়াব একহাজার উট দান করার ছওয়াব অপেক্ষা ও অধিক।
২. কিরাআত পাঠের ছওয়াব ::
* নামাযের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় কুরআন শরীফ পাঠ করলে এক একটি হরফের বিনিময়ে একশত নেকী লাভ হয়, একশত গুনাহ্ মাফ হয় এবং বেহেশতে তার একশত দরজা বুলন্দ হয়। আর বসা অবস্থায় পড়লে এর অর্ধেক পুরস্কার পাবে।
* সমস্ত সূরা ফাতিহায় ইমামের সাথে শরীক হতে পারলে ঐ নামাযী কোন জিহাদের প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত জিহাদ করার সওয়াব পাবে।
৩. কিয়াম তথা নামাযে দাঁড়ানোর ছওয়াব
* বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযে দন্ডায়মান থাকে তার মাথার উপর ততক্ষণ বৃষ্টির মত রহমত বর্ষিত হতে থাকে। {জামে ছগীর}
* বান্দা যখন নামাযের মধ্যে দাঁড়ায়, তখন তার জন্য আসমানের সমস্ত দরজা খুলে দেয়া হয় এবং আল্লাহ্ ও বান্দার মধ্যে যত আধ্যাত্মিক পরদার বাঁধা রয়েছে, তা দূর করে দেয়া হয়।
* নামাযে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালে কিয়ামতের দিন পুলছিরাত পার হওয়া খুব সহজ হবে।
৪. রুকু করার ছওয়াব :
* বান্দা যখন রুকুতে যায়, তখন সে তার ওজন সমতূল্য স্বর্ণ দান করার ছওয়াব পায়।
* রুকু’র তাসবীহ পড়ার সংগে সংগে নামাযী ব্যক্তি তাওরাত, জুবুর ইনজীল ও পবিত্র কুরআনসহ সকল আসমানী কিতাব তিলাওয়াত করার ছওয়াব লাভ করে।
৫. সিজ্দাহ করার ছওয়াব :
* নবী করীম সা. বলেছেনঃ তোমরা যদি আমার সাথে বেহেশতে থাকতে চাও, তাহলে আল্লাহ্কে অধিক পরিমাণে সিজদাহ্ করে আমার সহায়তা কর। {মুসলিম}
* আদম সন্তানরা যখন সিজদাহ্ করে, তখন শয়তান কাঁদতে কাঁদতে দৌঁড়াতে থাকে এবং বলতে থাকেঃ আফসোস! মানুষকে সিজদা করার আদেশ করা হয়েছে, তারা সিজদা করে জান্নাত খরিদ করে নিতেছে। অথচ আমাকে যখন সিজদার হুকুম করা হয়েছিল, তখন আমি উহা অমান্য করে জাহান্নামী হয়ে গেলাম।
* হুজুর সা. বলেছেন সিজদা অবস্থায় বান্দা সবচাইতে বেশী আল্লাহর নিকটবর্তী হয়, যা অন্যকোন ইবাদতে হয়না; সুতরাং সিজদা অবস্থায় তোমরা বেশী দো’য়া করতে থাক। {মুসলিম}
* নামাযী যখন সিজদা করে তখন সমস্ত জ্বীন ও ইনছানের সংখ্যা বরাবর ছওয়াব পায়।
৬. তাশাহ্হুদ
নামাযী যখন তাশাহ্হুদ পড়ার জন্য বসে, তখন সে ধৈর্যশীলদের সওয়াব লাভ করে, অর্থাৎ সে হযরত আইয়ুব আ. , হযরত ইয়া’কুব আ. , হযরত ইয়াহ্ইয়া আ., প্রমুখ আম্বিয়াদের সওয়াব লাভ করে। বস্তুতঃ আল্লাহ তায়া’লা যে কোন আমলের জন্য যাকে যত ইচ্ছা নেকী দান করতে পারেন। {মাজালিছে ছুন্নিয়া}
৭. তাশাহ্হুদের সময় অঙ্গুলি ইশারার ছওয়াব :
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেনঃ তাশাহ্হুদের সময়ে অঙ্গুলি দ্বারা এইরূপ ইশারা করা শয়তানের উপর তলোয়ার ও বর্শা প্রভৃতি মারার চেয়েও অধিক মারাত্মক। {মসনদে আহমদ}
৮. দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব
আমাদের আলেম সমাজ লিখেছেনঃ জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে কমপক্ষে একবার নবী বলে সাক্ষ্য দেয়া যেমন-ফরয, তেমনি জীবনে একবার তাঁর প্রতি দরূদ পাঠ করাও ফরয।
* নবী করীম সা. বলেনঃ যে একবার আমার উপর দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তাকে উহার বিনিময়ে দশটি রহমত দান করেন, দশটি গুনাহ্ মাফ করেন এবং দশটি দরজা বুলন্দ করেন। {নাসায়ী}
* রাসূলুল্লাহ সা. বলেনঃ কিয়ামতের দিন ঐ সকল লোক আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যারা আমার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ পড়বে। {তিরমিযী}
* হযরত ওমর রা. বলেনঃ যতক্ষণ পর্যন্ত হুজুর আকরাম সা. এর উপর দরূদ পড়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত দো’য়া আসমান ও জমীনের মধ্যবর্তী স্থানে ঝুলে থাকে। {তিরমিযী}
৯. ছালাম দেয়ার ছওয়াব :
নামাযী যখন নামায শেষ করে ছালাম ফিরায়, তখন উহার বিনিময়ে আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেন এবং বলেনঃ এখন তুমি যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ কর। { শরহে আরবাইনা নববীয়া}
হযরত হাফেজ ইবনে কাইয়্যুম রহ. তাঁর বিখ্যাত ‘‘যাদুল মাআ’দ” গ্রন্থে লিখেছেনঃ মু’মিনের নামায,
* রুজি ও জীবিকা আকর্ষন করে।
* স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
* রোগ ব্যধি নিরাময় করে।
* মানসিক শক্তি সঞ্চয় করে।
* চেহারা সুন্দর ও উজ্জ্বল করে।
* অন্তর প্রফুল্ল করে।
* অংগ প্রত্যংগে আনন্দের সঞ্চায় করে।
* যাবতীয় অলসতা দূর করে এবং বক্ষ প্রশস্ত করে।
* আত্মার খাদ্য যোগায়।
* আল্লাহর নিয়ামত সমূহের হিফাজত করে।
২. নামায পূর্ণ শিফা বা সর্বরোগ নিরাময়ের মহৌষধ :
হাদীস শরীফে আছে, একবার হযরত আবু হোরায়রা রা. উপুড় হয়ে শুইয়ে ছিলেন। নবী করীম সা. তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন ঃ “তোমার কি পিঠে ব্যাথা করছে? আবু হোরায়রা বললেনঃ জী হাঁ।” নবী করীম সা. বললেনঃ “উঠ নামায পড়। নামাযে শিফা রয়েছে। (আরোগ্য গুণ রয়েছে)।
{জামে ছগীর}
৩. নামায বরকত ও শান্তি লাভের মাধ্যম :
হযরত আবু দারদা রা. বলেনঃ আমি নবী করীম সা. থেকে বলতে শুনেছি, মসজিদ হল মুত্তাকী লোকদের ঘর। আল্লাহর ওয়াদা এই যে, যে অধিকাংশ সময় মসজিদে কাটাবে আমি তার প্রতি রহমত বর্ষন করব। তাকে আরামে ও শান্তিতে রাখব। পুলসিরাত পার হওয়া সহজ করে দিব এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকব। {ফাজায়েলে নামায}
* হযরত মুজাহিদ রা. বলেনঃ যারা নামাযের ওয়াক্ত জানার জন্য যতœবান থাকে, তাদের জীবনে সেইরূপ বরকত দেখা দেয় যেরূপ বরকত দেখা দিয়েছিল হযরত ইব্রাহীম আ. ও তাঁর সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে।
{র্দুরে মনছুর}
৪. নামায মা’রেফাতের নূর এবং শত্র“ দমনের অস্ত্র স্বরূপ
* হাদীস শরীফে এসেছে নামায দ্বারা মা’রেফাতের নূর সৃষ্টি হয়। দো’য়া কবুল হয়, জীবিকায় বরকত হয়। নামায ঈমানের মূল, দেহের শান্তি এবং শত্র“ দমনের অস্ত্র স্বরূপ। {তাম্বিহুল গাফেলীন}
‘মুনাব্বিহাত’ গ্রন্থে আছে, আল্লাহ তা’আলা নামাযীকে প্রিয়পাত্র রূপে বরণ করেন, তাকে সুস্বাস্থ্য দান করেন, তার ঘরে বরকত দান করেন। তার মুখমন্ডলে নেক্কার লোকদের চেহারার নূর ফুটে উঠে। {ফাজায়েলে নামায}}
৫. নামায আযাব নাযিলের পথে বাঁধা স্বরূপ :
হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, নবী করীম সা. ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ্ তা’য়ালা বলেনঃ আমি কোন কোন স্থানে আযাব নাযিল করার ইচ্ছা করি, কিন্তু যখন সেখানে এমন লোকদেরকে দেখি যারা মসজিদ সমূহ আবাদ করে রাখে, আল্লাহর ওয়াস্তে একে অন্যকে ভালবাসে এবং শেষ রাত্রে উঠে আল্লাহর নিকট গুনাহ্ মাফের জন্য দো’য়া করে, তখন সেই আযাব নাযিল স্থগিত করে দেই। {দুররে মনসুর, ফাজায়েলে নামায}
নামাযের বিভিন্ন অংশের ছওয়াব ও পুরস্কার :
নামাযের জন্য সামগ্রিকভাবে দুনিয়া ও আখেরাতের অফুরন্ত ছওয়াব ও পুরস্কার রয়েছে, সে সম্পর্কে ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এবারে নামাযের বিভিন্ন অংশের জন্য যে বিশেষ ছওয়াব ও পুরস্কার রয়েছে তার সামান্য মাত্র নিম্নে বর্ণনা করা হল ।
১. তাকবীর ‘আল্লাহু আকবর’ বলার ছওয়াব
* নামাযের প্রথম তাকবীর সমগ্র পৃথিবী ও উহার মধ্যবর্তী যাবতীয় সম্পদ অপেক্ষা উত্তম।
* নামাযী যখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলে তখন উহা আসমান যমীনের প্রতিটি বস্তুকেই খুশী করে দেয়।
* তাকবীরে উলা যদি ইমামের সাথে আদায় করা হয়, উহার ছওয়াব একহাজার উট দান করার ছওয়াব অপেক্ষা ও অধিক।
২. কিরাআত পাঠের ছওয়াব ::
* নামাযের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় কুরআন শরীফ পাঠ করলে এক একটি হরফের বিনিময়ে একশত নেকী লাভ হয়, একশত গুনাহ্ মাফ হয় এবং বেহেশতে তার একশত দরজা বুলন্দ হয়। আর বসা অবস্থায় পড়লে এর অর্ধেক পুরস্কার পাবে।
* সমস্ত সূরা ফাতিহায় ইমামের সাথে শরীক হতে পারলে ঐ নামাযী কোন জিহাদের প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত জিহাদ করার সওয়াব পাবে।
৩. কিয়াম তথা নামাযে দাঁড়ানোর ছওয়াব
* বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযে দন্ডায়মান থাকে তার মাথার উপর ততক্ষণ বৃষ্টির মত রহমত বর্ষিত হতে থাকে। {জামে ছগীর}
* বান্দা যখন নামাযের মধ্যে দাঁড়ায়, তখন তার জন্য আসমানের সমস্ত দরজা খুলে দেয়া হয় এবং আল্লাহ্ ও বান্দার মধ্যে যত আধ্যাত্মিক পরদার বাঁধা রয়েছে, তা দূর করে দেয়া হয়।
* নামাযে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালে কিয়ামতের দিন পুলছিরাত পার হওয়া খুব সহজ হবে।
৪. রুকু করার ছওয়াব :
* বান্দা যখন রুকুতে যায়, তখন সে তার ওজন সমতূল্য স্বর্ণ দান করার ছওয়াব পায়।
* রুকু’র তাসবীহ পড়ার সংগে সংগে নামাযী ব্যক্তি তাওরাত, জুবুর ইনজীল ও পবিত্র কুরআনসহ সকল আসমানী কিতাব তিলাওয়াত করার ছওয়াব লাভ করে।
৫. সিজ্দাহ করার ছওয়াব :
* নবী করীম সা. বলেছেনঃ তোমরা যদি আমার সাথে বেহেশতে থাকতে চাও, তাহলে আল্লাহ্কে অধিক পরিমাণে সিজদাহ্ করে আমার সহায়তা কর। {মুসলিম}
* আদম সন্তানরা যখন সিজদাহ্ করে, তখন শয়তান কাঁদতে কাঁদতে দৌঁড়াতে থাকে এবং বলতে থাকেঃ আফসোস! মানুষকে সিজদা করার আদেশ করা হয়েছে, তারা সিজদা করে জান্নাত খরিদ করে নিতেছে। অথচ আমাকে যখন সিজদার হুকুম করা হয়েছিল, তখন আমি উহা অমান্য করে জাহান্নামী হয়ে গেলাম।
* হুজুর সা. বলেছেন সিজদা অবস্থায় বান্দা সবচাইতে বেশী আল্লাহর নিকটবর্তী হয়, যা অন্যকোন ইবাদতে হয়না; সুতরাং সিজদা অবস্থায় তোমরা বেশী দো’য়া করতে থাক। {মুসলিম}
* নামাযী যখন সিজদা করে তখন সমস্ত জ্বীন ও ইনছানের সংখ্যা বরাবর ছওয়াব পায়।
৬. তাশাহ্হুদ
নামাযী যখন তাশাহ্হুদ পড়ার জন্য বসে, তখন সে ধৈর্যশীলদের সওয়াব লাভ করে, অর্থাৎ সে হযরত আইয়ুব আ. , হযরত ইয়া’কুব আ. , হযরত ইয়াহ্ইয়া আ., প্রমুখ আম্বিয়াদের সওয়াব লাভ করে। বস্তুতঃ আল্লাহ তায়া’লা যে কোন আমলের জন্য যাকে যত ইচ্ছা নেকী দান করতে পারেন। {মাজালিছে ছুন্নিয়া}
৭. তাশাহ্হুদের সময় অঙ্গুলি ইশারার ছওয়াব :
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেনঃ তাশাহ্হুদের সময়ে অঙ্গুলি দ্বারা এইরূপ ইশারা করা শয়তানের উপর তলোয়ার ও বর্শা প্রভৃতি মারার চেয়েও অধিক মারাত্মক। {মসনদে আহমদ}
৮. দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব
আমাদের আলেম সমাজ লিখেছেনঃ জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে কমপক্ষে একবার নবী বলে সাক্ষ্য দেয়া যেমন-ফরয, তেমনি জীবনে একবার তাঁর প্রতি দরূদ পাঠ করাও ফরয।
* নবী করীম সা. বলেনঃ যে একবার আমার উপর দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তাকে উহার বিনিময়ে দশটি রহমত দান করেন, দশটি গুনাহ্ মাফ করেন এবং দশটি দরজা বুলন্দ করেন। {নাসায়ী}
* রাসূলুল্লাহ সা. বলেনঃ কিয়ামতের দিন ঐ সকল লোক আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যারা আমার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ পড়বে। {তিরমিযী}
* হযরত ওমর রা. বলেনঃ যতক্ষণ পর্যন্ত হুজুর আকরাম সা. এর উপর দরূদ পড়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত দো’য়া আসমান ও জমীনের মধ্যবর্তী স্থানে ঝুলে থাকে। {তিরমিযী}
৯. ছালাম দেয়ার ছওয়াব :
নামাযী যখন নামায শেষ করে ছালাম ফিরায়, তখন উহার বিনিময়ে আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেন এবং বলেনঃ এখন তুমি যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ কর। { শরহে আরবাইনা নববীয়া}
-ফয়সল মাহমুদ
0 comments: