৪৮) সেই সময়ের কথা একটু মনে করো যখন শয়তান এদের কার্যকলাপ ওদের চোখে ঔজ্জ্বল্যময় করে দেখিয়েছিল এবং এদেরকে বলেছিল, আজ তোমাদের ওপর কেউ বিজয়ী হতে পারে না এবং আমি তোমাদের সাথে আছি৷ কিন্তু যখন উভয় বাহিনীর সামানাসামনি মোকাবিলা শুরু হলো তখনই সে পিছনের দিকে ফিরে গেলো এবং বলতে লাগলোঃ তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই৷ আমি এমন কিছু দেখছি যা তোমরা দেখো না৷ আমি আল্লাহকে ভয় পাচ্ছি৷ আল্লাহ বড় কঠোর শাস্তিদাতা৷
____________________
৪৯) যখন মুনাফিকরা এবং যাদের দিলে রোগ আছে তারা সবাই বলছিল, এদের দীনই তো এদের মাথা বিগড়ে দিয়েছে৷ *৩৯ অথচ যদি কেউ আল্লাহর ওপর ভরসা করে তাহলে আল্লাহ অবশ্যি বড়ই পরাক্রান্ত ও জ্ঞানী ৷
*৩৯ . অর্থাৎ মদীনার মুনাফীক গোষ্ঠি এবং বৈষয়িক স্বার্থ পূজায় ও আল্লাহর প্রতি গাফলতির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ যুদ্ধের সাজ সরঞ্জামহীন মুষ্টিমেয় লোকের একটি দলকে কুরাইশদের মত বিরাট শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করতে দেখে নিজেদের মধ্যে এ মর্মে বলাবলি করছিল যে, এরা আসলে নিজেদের ধর্মীয় আবেগে উন্মাদ হয়ে গেছে৷ এ যুদ্ধে এদের ধ্বংস অনিবার্য৷ কিন্তু এই নবী (সা) এদের কানে এমন মন্ত্র ফুঁকে দিয়েছে যার ফলে এরা বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়ে গেছে এবং সামনে মৃত্যু গূহা দেখেও তার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ছে৷
________________________________________
৫০) হায়, যদি তোমরা সেই অবস্থা দেখতে পেতে যখন ফেরেশতারা নিহত কাফেরদের রূহ কবয করেছিল৷ তারা তাদের চেহারায় ও পিঠে আঘাত করছিল এবং বলে চলছিল নাও এবং জ্বালাপোড়ার শাস্তি ভোগ করো ৷
.
________________________________________
৫১) এ হচ্ছে সেই অপকর্মের প্রতিফল যা তোমরা আগেই করে রেখে এসেছো৷ নয়তো আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর জুলুমকারী নন৷
.
________________________________________
৫২) এ ব্যাপারটি তাদের সাথে ঠিক তেমনিভাবে ঘটেছে যেমন ফেরাউনের লোকদেরও তাদের আগের অন্যান্য লোকদের সাথে ঘটে এসেছে৷ তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ মেনে নিতে অস্বীকার করেছে৷ ফলে তাদের গোনাহের ওপর আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন৷ আল্লাহ ক্ষমতাশালী এবং কঠোর শাস্তিদাতা৷
.
________________________________________
৫৩) এটা ঠিক আল্লাহর এ রীতি অনুযায়ী হয়েছে, যে রীতি অনুযায়ী তিনি কোন জাতিকে কোন নিয়ামত দান করে ততক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে কোন পরিবর্তন সাধন করেন না যতক্ষন না সেই জাতি নিজেই নিজের কর্মনীতির পরিবর্তন সাধন করে৷ *৪০ আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন৷
*৪০ . অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত কোন জাতি নিজেকে আল্লাহর নিয়ামতের পুরোপুরি অনুপযুক্ত প্রমান না করে থাকে ততক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ তার কাছ থেকে নিজের নিয়ামত ছিনিয়ে নেন না ৷
.
________________________________________
৫৪) ফেরাউনের লোকজন ও তাদের আগের জাতিদের সাথে যা কিছু ঘটেছে এ রীতি অনুযায়ীই ঘটেছে৷ তারা নিজেদের রবের নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা সাব্যস্থ করেছে৷ ফলে তাদের গুনাহের জন্য আমি তাদের কে ধ্বংস করেছি এবং ফেরাউনের লোক -লস্করকে ডুবিয়ে দিয়েছি৷ এরা সবাই ছিল জালেম৷
________________________________________
0 comments: