ভিডিও ডকুমেন্টারী ► পুলিশি রাষ্ট্র বাংলাদেশ! ► নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রামাণ্যচিত্র!






অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিরোধী দলের ডাকা হরতালের সময় র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতন এবং বিনা ওয়ারেন্টে বিরোধী দলের কর্মীদের আটক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তা ম্লান করে দিয়েছে। কারণ কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। সাধারণ নাগরিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। যদিও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি । (বিস্তারিত)





বর্তমান সরকারের আমলে নানাভাবে সংবাদপত্র, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল দৈনিক আমার দেশ, গ্রেফতার করা হয়েছিল সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। গ্রেফতারই শেষ কথা নয়—তার ওপর করা হয় পাশবিক নির্যাতন। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে—চ্যানেল ওয়ান, নিষেধ করা হয়েছে যমুনা টিভির পরীক্ষামূলক সম্প্রচার। বর্তমানে বন্ধ আছে শীর্ষ কাগজ ও শীর্ষ নিউজডটকম এবং জেলে আছেন সম্পাদক। মাত্র কয়েকদিন আগে সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। আসাদ সাহেব একজন সজ্জন, পণ্ডিত ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে এহেন আচরণ কেবল অসহিষ্ণু সরকারই করতে পারে। এই মাত্র সেদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিক্ষোভ করার সময় ১৫ জন সাংবাদিককে আসামি করে মামলা দেয়া হয়। অফিসে ঢুকে বাংলাভিশনের সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটানো হয়। এমন ঘটনা অনেক, শত শত। (বিস্তারিত)



ইসলামে ন্যায় ও ইনসাফ এবং মানুষ হিসেবে মানুষের যেসব অধিকার থাকার প্রয়োজন, তার সবই পূর্ণাঙ্গভাবে দেয়া হয়েছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) কর্তৃক এবং তা চূড়ান্ত ও নিরঙ্কুশ। কোনো পরিস্থিতিতে কোনো দুর্বলতার বশবর্তী হয়ে তাতে হেরফের করার অধিকার কারও নেই। আল্লাহ বলেন, কোনো জাতির (অথবা জনগোষ্ঠীর) শত্রুতাচরণ যেন তোমাদের (তাদের প্রতি) ন্যায় না করতে বাধ্য করে, তোমরা ন্যায় কর। তা আল্লাহভীতির অতি নিকটবর্তী। অন্যত্র বলা হয়েছে—‘ন্যায় কর, যদি তা তোমার নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধে অথবা তোমার নিজের বিরুদ্ধেও করতে হয়।’ এ নির্দেশগুলো মান্য করে নজির সৃষ্টি করার উদাহরণে পরিপূর্ণ ইসলামের ইতিহাস। (বিস্তারিত)



অবশ্য সেসব রাষ্ট্রে মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা যতটা সম্মান পায়, তার সঙ্গে আমাদের দেশের তুলনা করলে আপন মাতৃভূমিতে নরক যন্ত্রণার বাস্তবতা প্রকট হয়ে ওঠে। দিন যত যাচ্ছে, এ যন্ত্রণার তীব্রতা ততই বাড়ছে। বর্তমান সরকারের আমলে এসে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, আমরা মানুষের পর্যায়ে আসলে আছি কিনা। ১৯৫২ সালে প্রশ্ন ছিল—আমরা কোন্ ভাষায় কথা বলব। ১৯৭১ সালে প্রশ্ন দেখা দিল—আমরা আদৌ কথা বলতে পারব কিনা। আর এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি, কথা আর কাজে মিল না থাকার মজাটা কেমন! (বিস্তারিত)


আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনবিদ ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, রাষ্ট্র ও ক্ষমতাসীন দলই মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল হোতা হিসেবে কাজ করে। রাষ্ট্রের মদত ছাড়া কারও পক্ষেই আইন ভঙ্গ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, যে কোনো বিবেচনায় দেশের সর্বজনীন মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নতুন করে এখন গুপ্তহত্যা ও গুম-আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে দেশবাসীকে। (বিস্তারিত)


মানবাধিকার রক্ষায় মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানে যেভাবে থাকার আশা করেছিলাম, তা হয়নি। আইনের ছাত্র হিসেবে আমার মত হচ্ছে, যেহেতু সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তাই সংবিধানকে বারবার সংশোধন, পরিবর্তন করা যায় না এবং ঠিকও নয়। তবে উচ্চ আদালত প্রগতিশীল ব্যাখ্যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারকে মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। (বিস্তারিত)



বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ‘টক টক’ টকশো কিংবা সচিত্র প্রতিবেদন দেখে, সংবাদপত্রের পাতা উল্টিয়ে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবেদন পড়ে আপনি বিভ্রান্ত হয়েছেন এবং সোনালি বর্তমান সম্পর্কে আপনার মনে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হয়েছে। মানসিক প্রশান্তির জন্য অতিদ্রুত আপনি এসব বিভ্রান্তিকর তথ্যসূত্রগুলো থেকে আপনার নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করুন। (বিস্তারিত)


উপায়ান্তর না পেয়ে রুবেল কোনো মতে বাড়ির আপনজনদের কাছে আসতে চেয়েছিল। হয়তো ভেবেছিল তারা তাকে রক্ষা করতে পারবে। কিন্তু বাড়িতে তখন তার ভাবী ছাড়া আর কেউ ছিল না। রুবেলের অবস্থা দেখে তিনি আর্তনাদ করে উঠেছিলেন। রুবেলের জন্য তিনি গোয়েন্দা পুলিশদের করুণা ভিক্ষা চেয়েছিলেন।

http://www.amardeshonline.com/img/news/sup_reman-ek-borboroter-nam.jpg


বাংলাদেশে মানবাধিকারের অবস্থা আজ কোন পর্যায়ে? এ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সঙ্গে গণতন্ত্র শব্দটির প্রতি লিখিত আনুগত্যের স্বীকৃতি মিললেও শুরু থেকেই এদেশে লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। শাসকশ্রেণী মানবাধিকারকে গণতন্ত্রের অন্যতম উপাদান হিসেবে ভাবতে পারেননি। তাই স্বাধীনতার প্রথম তিন বছরে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেই সূত্রপাত ঘটে বিনা বিচারে বন্দিদশায় হত্যা, শিক্ষাঙ্গনে নিজদলীয় প্রতিপক্ষকে একসঙ্গে হত্যা করা, বিরোধীদের দমনের জন্য বিশেষ বাহিনী গঠন করে গুম, খুন ও নির্যাতনের ব্যবস্থা করা। বন্দি অবস্থায় সিরাজ শিকদারকে হত্যার ঘটনার কথা আজও অনেকের মনে আছে। (বিস্তারিত)

http://www.amardeshonline.com/img/news/sup_manobadhiker-amar-odhik.jpg



সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে গিয়ে চমকপ্রদ বক্তৃতার মধ্যে তিনি তার কাজ সীমিত রাখছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা নিয়ে এখন বিস্তর প্রশ্ন ও অভিযোগ দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সমর্থক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের সদস্য ড. মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দেয়ায় কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। (বিস্তারিত)


http://a7.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/311746_250759091641760_143827169001620_768788_456319101_n.jpg

সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে ‘পুলিশিং প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রতিবেদনে পুলিশের কাজ ও মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি কঠিন প্রশ্নের অবতারণা করা হয়েছিল। ‘শিল্প পুলিশ’ গঠনের পরপরই ‘ক্যাম্পাস পুলিশ’ গঠনের সরকারি উদ্যোগ মহলবিশেষকে ভাবিয়ে তুলেছে, ‘তাহলে বাংলাদেশকে কি একটি পুলিশ স্টেটে রূপান্তর করার চেষ্টা হচ্ছে!’ বর্তমান সরকারের অভিপ্রায় সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত যে একাধিক মন্তব্য শোনা যাচ্ছে, তার মধ্যে ‘ফ্যাসিস্ট স্টেট’, পুলিশ স্টেট এবং বাকশাল ধরনের একদলীয় স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র ও দুরভিসন্ধির অভিযোগ এসেছে। (বিস্তারিত)



এরকম ঔদ্ধত্যের আরেকটি পরিচয় পাওয়া গেল সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একটি উক্তি থেকে। তিনি প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো রকম আলাপ-আলোচনার সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা ভাবা যায় না। সরকারি ও বিরোধী দল কথা বলবে, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক জাতীয় ইস্যুতে মতবিনিময় করবে, এটাই আমেরিকা, ব্রিটেন বা ভারতেও হয়ে থাকে। শেখ হাসিনা কেবল আলোচনার সম্ভাবনাকেই বাতিল করেননি, তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, সেটাও গণতান্ত্রিক ও শালীনতাপূর্ণ নয়। (বিস্তারিত)



মানবাধিকার সনদ একটি ঘোষণা। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এই ঘোষণা দেয়া হয়। প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এই সনদ ঘোষিত হয়।(বিস্তারিত)





রাষ্ট্রপতির কাণ্ড দেখুন। এ বছরের কথাই ধরি। তিনি ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দু’টি ঘটনায় অভিযুক্ত খুনের আসামির দণ্ড মওকুফ করে দিয়েছেন। দু’টিই দেশের আলোচিত খুনের ঘটনা। আপনি হত্যা করে মাফ পেয়ে যাবেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হলেই তারা ক্ষমা পাবে। এটা কি বিচার? এটা কি সরকার? এটা কি রাষ্ট্র? জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক হত্যার প্রধান আসামি আহসান হাবীব টিটুর দণ্ড রাষ্ট্রপতি মওকুফ করে দিয়েছেন। ক্ষমা করে দিয়েছেন। গত ১৭ জুলাই রাতে রাজধানীর আমিনবাজারে ডাকাত বানিয়ে গণপিটুনিতে ৬ জন ছাত্রকে মেরে ফেলা হয়। কী মর্মান্তিক! বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। গত ২৭ জুলাই নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে ৬ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ দাবি করে। এর মধ্যে টেকেরবাজার মোড়ে মারা হয় ৩ জনকে। বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘সময়’ গত ৭ অগাস্ট কিশোর শামসুদ্দিন মিলনকে হত্যা করার যে ভিডিও চিত্র প্রচার করেছে, সেটা আমরা অনেকেই দেখেছি।(বিস্তারিত)



বলা হলো, ‘বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে রাজনীতি করলে বা কিছু বললে টুঁটি ছিঁড়ে ফেলবো’ (মোহন রায়হান, পৃষ্ঠা-৭৬)। সে সময় শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে ফেলার দায়ে এক ব্যক্তির কান কেটে ফেলা হয়। বাংলার বাণীর খবর থেকেই জানা যায়, শেখ মুজিবের সমালোচনা করার অপরাধে (!) রংপুরে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গুম, খুন, দলন, দমন, নির্যাতনের তাণ্ডব বেড়ে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের রণহুঙ্কার অর্থাত্ প্রকাশ্যে হত্যার জন্য এক ধরনের অনুমতি দেয়ার পর। তিনি এক জনসভায় ঘোষণা করেন, ‘নকশাল দেখামাত্র গুলি কর।’ নকশাল বলতে তিনি বুঝিয়েছিলেন প্রতিবাদী বাম রাজনীতির নেতা-কর্মীদের। (বিস্তারিত)










0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম