অধ্যায়-০৩ : সাবধান

রাসূলুল্লাহ (সা:) এরশাদ করেছেন :

“আমার পরে মহিলা ফিৎনাই পুরষদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্হ করবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
বহু চিন্তা, গবেষণা ও পর্যবেক্ষনের পর ইসলামের শত্ররা এই সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছে যে, মহিলাদের চরিত্র ধ্বংসের মাধ্যমেই গোটা সমাজকে ধ্বংস করে দেয়া যায়।

তাই মানবতার শত্রু ইয়াহুদীদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক রাব্বী বলেছেন যে : “এমন যন্ত্র আছে, যা উম্মতে মুহাম্মাদীকে ধ্বংসের ব্যাপারে এক হাজার কর্মীর চেয়েও অধিক কার্যকর তা হল চরিত্রহীন মহিলা। সুতরাং এদের ধ্বংস করতে হলে প্রবৃত্তির অনুসরণের দিকে ঠেলে দাও।

আরেক রাব্বী এমনও বলেছেন যে : “আমাদের উচিত আধুনিকতার নামে মেয়েদের নগ্নতা, বেহায়পনা ও চরিত্রহীনতার দিকে ঠেলে দেয়া। কেননা যে দিন আমরা এদের উলঙ্গ করে চরিত্রহীন অবস্হায় ছেড়ে দিতে পারব, তখন তারাই হবে এমন এক দুঃসাহসী বিজয়িনী সৈনিক, যারা উম্মতে মহাম্মাদীকে ধ্বংস করে সার্থক বিজয় নিয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসবে।”


ভয়াবহ পরিণতি

যারা চায় আকর্ষিতা হয়ে সমাজ-বিধ্বংসী বোমায় পরিণত হতে তাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাকের ঘোষণা, যা কোর’আনের ভাষায় :

“যারা চায় বা কামনা করে যে, ঈমানদার লোকদের মধ্যে নির্লজ্জতা (ব্যভিচার) বিস্তার লাভ করুক। নিশ্চয়ই তাদের জন্যে দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েচে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির। আর আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।” (সূরা নূর, ২৪: আয়াত ১৯)

বোন হে,

একটু চিন্তা কর, আল্লাহর এই ঘোষণা হল শুধু তাদের জন্যে, যারা মনে মনে চায় বা আকাঙ্খা করে, কিন্তু বাস্তবে যারা মু’মিনদের মধ্যে এই ব্যভিচার বিস্তারে ব্যস্ত ও তৎপর তাদের পরিণতি কি হবে?

(একদল জাহান্নামী, যাদের আল্লাহর রাসূলও (সা:) দেখেন নি, কিন্তু আমরা দেখছি।)

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুলস্নাহ (সা:) এরশাদ করেছেন :

“দুই দল নিকৃষ্ট জাহান্নামী, যাদের আমিও দেখিনি, এদের একটি হল এমন একদল লোক, যাদের হাতে সর্বদাই থাকে চাবুক যা দেখতে গরুর লেজের ন্যায় দেখায়, যা দিয়ে তারা মানুষকে প্রহার করে। (অর্থাৎ যারা সর্বদাই অন্যায়ভাবে মানুষদের প্রতি যুলুম করে চলে)। আর অপর দলটি হল এমন মহিলা যারা অর্ধনগ্ন অবস্হায় কাপড় পরিধান করে। ফলে তারা লোকদের আকৃষ্ট ও আকর্ষণ করে এবং তারাও হয় দুষ্ট লোকদের দ্বারা আকর্ষীতা এবং ব্যাভিচারের শিকার। তাদের মাথা যেন উঁচু কুঁজ বিশিষ্ট চলনৱ উটের ন্যায়। এরা কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি জান্নাতের গন্ধও পাবে না। পরিশেষে রাসূলুল্লাহ (সা:) জাহান্নামে এদরে অবস্হানের দূরত্বের আধিক্য বুঝাতে বলেছেন : “জান্নাতের সুঘ্রাণ এত এত দুরত্ব থেকেও পাওয়া যাবে।”

উল্লেখিত হাদীস শরীফে রাসূল (সা:) দুষ্ট-লম্পট চরিত্রহীনা ও অসভ্য মহিলাদের এক পরিচিতি তুলে ধরেছেন।
আল্লাহর রাসূল (সা:) বলেছেন, তারা হল :

“পোষাক পরিহিতা উলঙ্গ অর্থাৎ এমনভাবে কাপড় পরে, যাতে তাদের অর্ধনগ্ন দেখায় অথবা এমন কাপড় পরে যাতে তার শরীরের সকল অঙ্গ-প্রতঙ্গ এমনিতেই ষ্পষ্ট দেখা যায়।।”

আল্লাহ্‌র আনুগত্য থেকে বিমুখ এবং আকৃষ্টকারিণী, যে লজ্জা শরম কি তা বুঝেই না এবং পর্দার ধারে কাছেও আসে না বরং সর্বদা নিজের প্রবৃত্তিকেই অনুসরণ করে চলে।

আকৃষ্ট বা আকর্ষিতা। যে চলাফেরা ও কাজকর্মের দ্বারা পরপুরষ কর্তৃক আকৃষ্ট হয়, ব্যভিচারিত হয়। কিন্তু সে এতে কোন অপমান বোধতো করেই না বরং এটাই সে চায়।

অর্থাৎ, তাদের মাথা হল উঁচু কুঁজ বিশিষ্ট চলন্ত উটের ন্যায়। এই সমস্ত মেয়েরা নিজেদের চুলকে উপর দিকে দাঁড় করিয়ে বাঁধে এবং হাটার সময় মাথাটাকে উন্মুক্ত করে উটের ন্যায় অগ্রসর হয়।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম