কিছু লোকের ধারণা, মুসলমানরা সংগঠিত হলেই তাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তারা মনে করেন, মুসলমানরা এক কেন্দ্রে, এক প্লাটফরমে এবং একক নেতৃত্বের অধীনে একত্রিত হয়ে গেলেই “ইসলামী রাষ্ট্র” কিংবা “স্বাধীন ভারত স্বাধীন ইসলাম” এর উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে। কিন্তু মূলত এটাও জাতিপূজা ধরণেরই প্রোগ্রাম। এভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা অবাস্তব কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। জাতি হিসাবে যারাই নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে, নিঃসন্দেহে এধরণের প্রোগ্রামই তারা গ্রহণ করবে। চাই তারা হিন্দু জাতি হোক, বা শিখ। কিংবা জার্মান হোক বা ইতালীয়। আসলে, জাতির প্রেমে নিমজ্জিত নেতা ঝোপ বুঝে কোপ মারতে পারদর্শী হয়ে থাকে। কর্তৃত্ব চালানো এবং দল পরিচালনার যোগ্যতা পুরোমাত্রায় তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে। যে কোন জাতির মস্তক উন্নত করার ব্যাপারে এ ধরণের নেতা খুবই উপযোগী হয়ে থাকে। চাই সে হিটলার হোক কিংবা মুসোলিনী। অনুরূপ হাজরো লাখো নওজোয়ান যদি এ ধরণের কেনো নেতার নেতৃত্বে সুশৃংখলভাবে আন্দোলন করতে পারে, তবে বিশ্বের বুকে যে কোন জাতির শির উন্নত হতে পারে। চাই তারা জাপানী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হোক, কিংবা চৈনিক, তাতে কিছুই যায় আসে না।
একইভাবে “মুসলমান” যদি একটি বংশগত কিংবা ঐতিহাসিক জাতির নাম হয়ে থাকে আর উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে সেই জাতিটির উন্নতি সাধন, তবে তার বাস্তব সম্মত উপায় সেটাই, যা প্রস্তাব করা হচ্ছে। এর ফলে একটি জাতীয় রাষ্ট্রও অর্জিত হতে পারে। কিংবা কমপক্ষে দেশ শাসনে ভাল একটা অংশীদারিত্ব লাভ হতে পারে। কিন্তু ইসলামী বিপব এবং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিক থেকে এটাকে প্রথম পদক্ষেপও বলা যেতে পারেনা। বরঞ্চ এ এক বিপরীত পদক্ষেপ।
বর্তমানে মুসলমান নামে যে জাতিটি এদেশে বাস করছে, তাতে ভালমন্দ সকল প্রকার লোকই বিদ্যমান রয়েছে। চরিত্রগত দিক থেকে কাফিরদের মধ্যে যতো প্রকার লোক পাওয়া যায়, ততো প্রকার লোক এ জাতিটির মধ্যেও বর্তমান। কোনো কাফির জাতি আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্যে যত লোক যোগাড় করতে পারবে, সম্ভবত এ জাতিটিও সে কাজের জন্যে ততো লোক একত্র করতে পারবে। সুদ, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, জিনা, ব্যভিচার, মিথ্যা ও ধোকাবাজিসহ যাবতীয় নৈতিক অপরাধের কাজে এ জাতিটি কাফিরদের থেকে কিছুমাত্র কম পারদর্শী নয়। পেট ভর্তি করা এবং অর্থ উপার্জনের জন্যে কাফিররা যতো পথ অবলম্বন করে, এ জাতির লোকেরাও ঠিক ততো পথই অবলম্বন করে। জেনে বুঝে নিজ মোয়াক্কেলকে জিতানোর জন্যে একদল মুসলিম উকিল প্রকৃত সত্যকে চাপা দেবার সময় ঠিক ততোটাই খোদার ভয়হীন হয়ে থাকে, যতোটা হয়ে থাকে একজন অমুসলিম আইনজীবি। একজন মুসলিম ধনশালী সম্পদের প্রাচুর্য দ্বারা এবং একজন মুসলিম শাসক ক্ষমতার দাপটে ঠিক সেসব কাজই করে, যা করে থাকে অমুসলিম ধনী আর শাসকরা।
যে জাতি নৈতিক দিক থেকে এতোটা অধঃপতিত হয়েছে, তার সব ধরণের জগাখিচুড়ী চরিত্রের লোকদের একত্রিত ও সংগঠিত করে দিলেই, কিংবা রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে শৃগালের মতো চাতুর্য শিখিয়ে, অথবা সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নেকড়ের মতো হিংস্র করে গড়ে তোলার মাধ্যমে জংগলের কর্তৃত্ব লাভ করা হয়তো সহজ হতে পারে। কিন্তু আমার কিছুতেই বুঝে আসেনা, তাদের দ্বারা আল্লাহর কালেমাকে বিজয়ী করার কাজ কিভাবে সম্ভব হতে পারে? এমতাবস্থায় কে তাদের নৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দেবে? কে হবে তাদের সম্মুখে শ্রদ্ধাবনত? তাদের দেখে কার অন্তর হবে ইসলামের জন্যে আবেগাপ্লুত? তাদের “পবিত্র জীবন ধারার” মাধ্যমে ‘ইয়াদখুলূনা ফি দ্বীনিল্লাহী আফওয়াজা’-এর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য কিভাবে দেখানো যেতে পারে? কোথায় স্বীকৃতি পাবে তাদের আধ্যাত্বিক নেতৃত্ব? নিজেদের মুক্তির জন্যে বিশ্বের কোন্ লোকেরা তাদের স্বাগত জানাবে?
আল্লাহর কালেমা বিজয় যে জিনিসের নাম, তার জন্যে তো এমন সব কর্মী বাহিনীরই প্রয়োজন, যারা হবে আল্লাহর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। কোনো প্রকার লাভ ক্ষতির পরোয়া না করেই আল্লাহর আইন ও বিধানের উপর যারা থাকবে অটল অবিচল। মূলতঃ আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্যে এরকম একদল লোকেরই প্রয়োজন। চাই তারা বংশগত মুসলমানের মধ্য থেকেই এগিয়ে আসুক, কিংবা আসুক অপর কোনো জাতি থেকে, তাতে কিছুই যায় আসেনা। আমাদের জাতির উপরে বর্ণিত ধরণের পঁচিশ পঞ্চাশ লাখ লোকের মেলা অপেক্ষা এরকম দশজন মর্দে মুমিন আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার কাজে অধিকতর মূল্যবান। সেরকম বিপুল তাম্রমুদ্রার ভাণ্ডার ইসলামের কোন কাজে আসবে না, যেগুলোর উপর স্বর্ণমুদ্রার মোহরাংকিত করা হয়েছে। মুদ্রার এইসব বহিরাংকন দেখার আগে ইসলাম জানতে চায়, এগুলোর অভ্যন্তরেও সত্যিই সোনা আছে কি? জাল স্বর্ণমুদ্রার বিরাট স্তুপ অপেক্ষা আল্লাহর দ্বীনের কাজে একটি খাঁটি স্বর্ণমুদ্রাও অধিকতর মুল্যবান।
এছাড়া আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার আন্দোলনের জন্যে প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যারা সেইসব নীতিমালা থেকে এক ইঞ্চিও বিচ্যুত হতে প্রস্তুত নয়, যেগুলো প্রতিষ্ঠার জন্যে ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে। এই আদর্শিক দৃঢ়তার ফলে সকল মুসলমানকে যদি না খেয়েও মরতে হয়, এমনকি তাদেরকে যদি হত্যাও করা হয়, তবু তাদের নেতৃবৃন্দ বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি বরদাশত করতে প্রস্তুত হবেনা।
যে নেতৃত্ব কেবল জাতির স্বার্থ দেখে, আদর্শকে জলাঞ্জলী দিয়ে জাতির লাভালাভের জন্যে যে কোনো পন্থা অবলম্বন করতে দ্বিধাবোধ করেনা এবং যার অন্তর খোদার ভয়শূন্য, আলাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মহান কাজে তা যে নিরেট অযোগ্য, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অতঃপর দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা দেখুন। ‘হাওয়ার গতি যে দিকে, চলো সবে সেদিকে’, এই বিখ্যাত প্রবাদটির উপর বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার মূলনীতি প্রতিষ্ঠিত। এই শিক্ষা ব্যবস্থা এ মহান ইসলামের সেবার জন্যে কি করে উপযুক্ত হতে পারে, যার অটুট ফয়সালা হচ্ছেঃ হাওয়ার গতি যেদিকেই বয়ে যাক না কেনো, তোমাদেরকে সর্বাবস্থায় আল্লাহর নির্ধারিত পথেই চলতে হবে।
আমি অত্যন্ত আস্থার সাথে আপনাদেরকে বলছি, আপনাদের হাতে একখন্ড স্বাধীন ভূমির কর্তৃত্ব পরিচালনার দায়িত্ব যদি অর্পণও করা হয়, আপনারা মাত্র একদিনও সে রাষ্ট্রটি ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে চালাতে সক্ষম হবেননা। একটি ইসলামী রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী, আইন আদালত, সামরিক বাহিনী, রাজস্ব, অর্থব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পররাষ্ট্রনীতি পরিচলানার জন্যে যে ধরণের পরিগঠিত মানসিকতা এবং উন্নত নৈতিক শক্তি সম্পন্ন একদল লোকের প্রয়োজন, তার কোন ব্যবস্থাই আপনারা করেননি। বর্তমানে দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, তা থেকে অনৈসলামী রাষ্ট্রের সচিব এবং মন্ত্রী পর্যন্ত সংগ্রহ করা যেতে পারে। কিন্তু মনে কিছু করবেন না, তা থেকে একটি ইসলামী আদালতের চাপরাসী এবং ইসলামী পুলিশ বাহিনীর জন্যে সাধারণ কনস্টেবল পর্যন্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না।
এই তিক্ত সত্য কথাটি কেবল আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কেই প্রযোজ্য নয়। বরঞ্চ আমাদের প্রাচীন মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কেও সমানভাবে প্রযোজ্য। এই লোকগুলো তো কোনো প্রকার আন্দোলন এবং বিপ্লবেরই পক্ষপাতী নয়। এই শিক্ষা ব্যবস্থা এতোটা প্রাচীন ও অকর্মণ্য হয়ে গেছে যে, আধুনিক কালের ইসলামী রাষ্ট্রের জন্যে বিচারপতি, অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা পরিচালক এবং রাষ্ট্রদূত সরবরাহ করার ব্যাপারে তা সম্পূর্ণ অনুপযোগী হযে পড়েছে। এভাবে কোনো একটি দিক থেকেও কোনো প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই যারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে, তাদের মন মস্তিষ্কে যে ইসলামী রাষ্ট্রের কোনো ধারণাই বর্তমান নেই, তাতে কোনো প্রকার সন্দেহ থাকতে পারেনা।
কেউ কেউ এমন অসার পরিকল্পনাও পোষণ করেন যে, অনৈসলামী ধাঁচে হলেও একবার মুসলমানদের একটি জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাক। পরে ধীরে ধীরে শিক্ষা ব্যবস্থা ও নৈতিক চরিত্র সংশোধনের মাধ্যমে সেটাকে ইসলামী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা যাবে। কিন্তু ইতিহাস, রাষ্ট্র বিজ্ঞান এবং সমাজ বিজ্ঞান সম্পর্কে সামান্য যা কিছু অধ্যয়ন করেছি, তার ভিত্তিতে আমি বলতে চাই, এ অসার কল্পনার কখনো বাস্তব রূপ লাভ করা সম্ভব নয়। এ অবাস্তব কল্পসা যদি বাস্তব রূপ লাভ করে, তবে আমি মনে করবো সেটা এক অলৌকিক কাজ। একথা আমি আগেও বলেছি, রাষ্ট্র ব্যবস্থা সমাজ জীবনের গভীর তলদেশ পর্যন্ত শিকড় গেড়ে থাকে।
তাই যতক্ষণ না সমাজ জীবনে বিপ্লব সাধিত হবে, ততোক্ষণ পর্যস্ত কোনো কৃত্রিম পদ্ধতিতে রাষ্ট্র বিপ্লব সাধন করা সম্ভব নয়। হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীযের মতো বিরাট যোগ্যতা সম্পন্ন শাসক পর্যন্ত এ পন্থায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর পক্ষে একটি বিরাট সংখ্যক তাবেয়ী এবং তাবে তাবেয়ীর সমর্থক থাকা সত্ত্বেও তিনি যে এ উদ্যোগে ব্যর্থ হলেন, তার কারণ হলো, সামগ্রিকভাবে তখনকার সমাজ এ পরিবর্তন ও বিপ্লবের জন্যে প্রস্তুত ছিলোনা। মুহাম্মাদ তুঘলক এবং আলমগীরের মতো শক্তিশালী বাদশাহগণ নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে উন্নত দ্বীনদারীর অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোনো প্রকার পরিবর্তন ও বিপ্লব সাধন করতে পারেননি। খলীফা মামুনুর রশীদের মতো পরাক্রমশালী শাসক পর্যন্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন করা তো দূরের কথা, তার বাহ্যিক রূপটিতে সামান্য পরিবর্তন করতে চেয়েও ব্যর্থকাম হন। এ হচ্ছে সে সময়কার অবস্থা, যখন এক ব্যক্তির শক্তি ও ক্ষমতা অনেক কিছুই করতে পারতো। এমতাবস্থায় গণতান্ত্রিক নীতির উপর যে রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হবে, এই বুনিয়াদী পরিবর্তন সংশোধনের কাজে তা কি করে সাহায্যকারী হতে পারে? একথা কিছুতেই আমার বুঝে আসে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ক্ষমতা তো সেইসব লোকদের হাতেই আসবে, যারা ভোটারদের সমর্থন লাভ করতে সক্ষম হবে। ভোটারদের মধ্যে যদি ইসলামী চিন্তা ও মানসিকতাই সৃষ্টি না হয়, যথার্থ ইসলামী নৈতিক চরিত্র গঠনের আগ্রহই যদি তাদের না থাকে এবং ইসলামের সেই সুবিচারপূর্ণ অলংঘনীয় মূলনীতিসমূহ তারা মেনে চলতে প্রস্তুত না হয়, যেগুলোর ভিত্তিতে ইসলামী হুকুমাত পরিচালিত হবে, তবে তাদের ভোটে কখনো খাঁটি মুসলমান নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে আসতে পারবে না। এ পন্থায়তো কেবলমাত্র ঐসব লোকেরাই নেতৃত্ব হাসিল করবে, যারা আদমশুমারী অনুযায়ী মুসলমান বটে, কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি, কর্মনীতি এবং কর্মপন্থার দিক থেকে তাদের গায়ে ইসলামের বাতাসও লাগেনি।
স্বাধীন মুসলিম দেশে এ ধরণের লোকদের হাতে নেতৃত্ব আসার অর্থ হচ্ছে আমরা ঠিক সে জায়গায়ই অবস্থান করবো, যেখানে অবস্থান করছিল অমুসলিম সরকার। বরং এ ধরণের মুসলিম সরকার আমাদেরকে তার চাইতেও নিকৃষ্ট অবস্থায় নিয়ে যাবে। কেননা, যে “জাতীয় রাষ্ট্রের” উপর ইসলামের উপর লেবেল প্রদর্শন করা হবে, ইসলামী বিপবের পথ রোধ করার ক্ষেত্রে তার দুঃসাহস হবে অসুমলিমদের চাইতেও অধিক। যেসব কাজে অমুসলিম সরকার কারাদন্ডের শাস্তি প্রদান করে, সেইসব ব্যাপারে এ ধরণের “মুসলিম জাতীয়তাবাদী সরকার” ফাঁসি ও নির্বাসনের শাস্তি প্রদান করবে। এরপরও এধরণের রাষ্ট্র ও সরকারের নেতারা বেঁচে থাকা অবস্থায় থাকবেন। ‘গাজী’ আর মরণের পর ‘রহমাতুল্লাহি আলাইহি’। এধরণের “জাতীয় রাষ্ট্র” ইসলামী বিপ্লবের পক্ষে সামান্যতম সহায়ক হবে বলে চিন্তা করাটাও মারাত্মক ভুল।
প্রশ্ন হলো, সেই রাষ্ট্রেও যদি আমাদেরকে সামাজিক জীবনের বুনিয়াদ পরিবর্তন করার সংগ্রাম করতেই হয় এবং রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ছাড়াই নিজেদের ত্যাগ ও কুরবানীর মাধ্যমে তা করতে হয়, তবে আজ থেকেই আমরা সেই কর্মপন্থা অবলম্বন করবোনা কেন? তথাকথিত সেই মুসলিম রাষ্ট্রের অপেক্ষায় কেন আমরা সময় এবং তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় শক্তি ব্যয় করবো, যে রাষ্ট্র সম্পর্কে আমরা জানি, তা আমাদের উদ্দেশ্য হাসিলের পথে কোনো উপকারে আসবে না, বরঞ্চ অনেকটা প্রতিবন্ধকই প্রমাণিত হবে।
অধ্যায় ০৬ : অবাস্তব ধারণা- কল্পনা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
0 comments: