নামাজে পড়া অন্যান্য তাসবীহ ও দোয়ার মাধ্যমেও আল্লাহ নামাজীর মুখ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলিয়ে বা স্বীকার করিয়ে নেন। তাই প্রতিটি নামাজীর নামাজে পড়া প্রতিটি তাসবীহ ও দোয়ার অর্থ ও ব্যাখ্যা ভাল করে জানা ও বুঝা উচিত এবং তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডেও তার প্রতিফলন হওয়া উচিত। অন্যথায় আল্লাহর শাস্তি থেকে তাদের কেউই উদ্ধার করতে পারবে না।
কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত নামক উপাসনামূলক ইবাদাতগুলো এবং মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্যের মধ্যে সম্পর্ক
বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের দুরবস্থার অন্যতম প্রধান একটি কারণ হচ্ছে, কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপসনামূলক ইবাদাত এবং আল্লাহর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য- এ দুটো বিষয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক না জানা বা না বুঝা অথবা এ ব্যাপারে অস্পষ্ট ধারণা।
মানুষ সৃষ্টির আল্লাহর উদ্দেশ্য হচ্ছে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সামনে রেখে কুরআনে বর্ণিত সকল ন্যায়ের বাস্তবায়ন ও অন্যায়ের প্রতিরোধের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ করা’। এটি ‘পবিত্র কুরআন-হাদীস ও বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য’ শিরোনামের বইটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। মানুষ সৃষ্টির এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের একমাত্র পথ হচ্ছে, ইসলামী জীবনব্যবস্থাকে বিজয়ীশক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। আর এটিই হচ্ছে, নবী-রাসূল আ. পাঠানোর আল্লাহর উদ্দেশ্য। এ বিষয়টি ‘পবিত্র কুরআন-হাদীস ও বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী নবী-রাসূল আ. পাঠানোর উদ্দেশ্য এবং তাঁদের সঠিক অনুসরণের মাপকাঠি’ নামক বইতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
সুধী পাঠক, আমরা মানুষেরা যখন কোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করি তখন প্রথমে ঐ উদ্দেশ্য সাধনের উপযোগী লোক তৈরি করার জন্যে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করি। এ বক্তব্য যে চিরসত্য (ঊঃবৎহধষ ঞৎঁঃয), তা আশা করি কেউ অস্বীকার করবেন না। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে। ধরুন, ‘দেশের স্বাধীনতা রা করা’। পৃথিবীতে যত সরকার আছে তাদের সবারই এটি একটি প্রধান উদ্দেশ্য। আর এই উদ্দেশ্য সুষ্ঠুভাবে সাধন করার জন্যে, পৃথিবীর সকল সরকারই উপযুক্ত প্রোগ্রামের মাধ্যমে একটি দ বাহিনী গড়ে তোলে, যাকে সেনাবাহিনী বলা হয়। ঠিক এভাবেই, পৃথিবীর মানুষ যখনই কোন উদ্দেশ্য সাধন করতে চেয়েছে, তখনই প্রথমে সে উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে উপযুক্ত প্রোগ্রামের মাধ্যমে যোগ্য লোক বা জনশক্তি তৈরি করেছে।
আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সামনে রেখে কুরআনে বর্ণিত সকল ন্যায়ের বাস্তবায়ন ও অন্যায়ের প্রতিরোধ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি করার জন্যেও তাহলে অবশ্যই আগে উপযুক্ত লোক তৈরি করা দরকার। কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে মানুষের জ্ঞানে যদি এ বুদ্ধি এসে থাকে, তবে সেই মানুষের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর জ্ঞানে এ বুদ্ধি আসে নাই -এ কথা চিন্তা করাও মহাপাপ। তাই আল্লাহ যে উদ্দেশ্যে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপযোগী লোক তৈরি করার প্রোগ্রামও তিনি অবশ্যই দিয়েছেন। আল্লাহর সেই প্রোগ্রাম হচ্ছে- কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত। এই পাঁচটি আনুষ্ঠানিক ইবাদাতের প্রতিটির উদ্দেশ্য জেনে, তার অনুষ্ঠানটি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে তা থেকে আল্লাহর দিতে চাওয়া শিক্ষাগুলো যদি মানুষ বুঝে-শুনে, মানে-প্রাণে গ্রহণ করে এবং তারপর সেই শিক্ষাকে তাদের ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রয়োগ করার জন্যে প্রস্তুত হয়ে যায়, তবেই এমন লোকবল তৈরি হবে, যারা আল্লাহর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের উপযোগী হবে। এটিই হচ্ছে কুরআন অনুযায়ী মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্যের সঙ্গে কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাতের সম্পর্ক।
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য এবং এই পাঁচটি আমলের মধ্যকার এই সম্পর্ক বুঝে নিয়ে মুসলমানরা যতদিন এই আমলগুলো করেছিল এবং তাদের সকল কর্মকাণ্ড সে অনুযায়ী পরিচালনা করেছিল, ততদিন তারা পৃথিবীতে সকল দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ ও বিজয়ী ছিল। পরবর্তীতে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাপারে কুরআনের পরিবর্তে ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার দরুন, অধিকাংশ সাধারণ মুসলমান তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য, সেই উদ্দেশ্য সাধনের পথ এবং এর সঙ্গে এই পাঁচটি আমলের সম্পর্ক, এ সব কিছুর ব্যাপারে কুরআনে বর্ণিত বক্তব্য থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে। তাই মুসলমানদের যদি আবার পৃথিবীতে সব দিকে শ্রেষ্ঠ ও বিজয়ী হতে হয়, তবে আবার তাদের ঐ সব ব্যাপারে কুরআনের দিকে ফিরে আসতে হবে। এ রকম যে এক সময় হবে, তা আল্লাহ জানতেন, তাই তিনি কুরআনের সূরা আরাফের ৩ নং আয়াতে তাঁর চিরন্তন বক্তব্যে বলেছেন :
اتَّبِعُوا مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُوْا مِنْ دُوْنِهِ أَوْلِيَاءَط
অর্থ: হে লোকেরা, তোমাদের রবের তরফ থেকে তোমাদের প্রতি যা কিছু নাযিল করা হয়েছে, তাই মেনে চল এবং ঐগুলোকে বাদ দিয়ে অন্যকোন আউলিয়াদের (অভিভাবকদের) অনুসরণ কর না।
ব্যাখ্যা: বক্তব্যটি এত সুস্পষ্ট যে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। কুরআনের বেশির ভাগ বক্তব্য এই রকম স্পষ্ট। আল্লাহ বলেছেন যে, তোমাদের জীবন পরিচালনার ব্যাপারে যে সকল মৌলিক বিষয় আমি কিতাবে (কুরআনে) উল্লেখ করেছি, শুধু সেগুলো অনুসরণ কর। এর পরিবর্তে কোন ওলি, পীর, দরবেশ, বুজুর্গ, মাওলানা, মুরব্বি, চিন্তাবিদ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি কাউকেই অনুসরণ কর না। অর্থাৎ তারা যদি কুরআন অনুযায়ী কথা বলে, তবে তা তোমরা শুনবে ও মানবে। আর তা না হলে তাদের মনগড়া কথা কোনক্রমেই মানবে না।
আনুষ্ঠানিক উপাসনাগুলোর মধ্যে নামাজকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়ার কারণ
আনুষ্ঠানিক উপাসনাগুলোর থেকে দিতে চাওয়া শিক্ষাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নামাজের অনুষ্ঠান থেকে বাস্তবভাবে যত ব্যাপক শিক্ষা দিতে চাওয়া হয়েছে অন্য চারটি থেকে তা নয়। ঐ শিক্ষাগুলোই যদি কোন ব্যক্তি বা সমাজজীবনে বাস্তবে উপস্থিত থাকে তবে সেখানে ইসলাম বিরুদ্ধ কোন কাজ উপস্থিত থাকতে পারে না এবং সে সমাজ একটি সুখী, সমৃদ্ধ, সুশৃঙ্খল ও প্রগতিশীল সমাজ হতে বাধ্য। আর তাইতো আল্লাহ নামাজের উদ্দেশ্য বলেছেন মানুষের ব্যক্তি ও সমাজজীবন থেকে ইসলামের দৃষ্টিতে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ দূর করা।
কোন সমাজ থেকে ইসলামের দৃষ্টিতে অশ্লীল ও নিষিদ্ধ বিষয়গুলো দূর হয়ে গেলে সে স্থান শূন্য থাকবে না। সে স্থান ইসলামের দৃষ্টিতে সিদ্ধ ও অশ্লীল নয় এমন কাজে ভরপুর হয়ে যাবে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি ও সমাজে নামাজের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়ে গেলে সেখানে আল্লাহর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। কারণ পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সামনে রেখে কুরআনে বর্ণিত সকল ন্যায়ের বাস্তবায়ন ও অন্যায়ের প্রতিরোধের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ করা।’ আর এ জন্যেই নামাজকে ইসলামী জীবনবিধানে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
নামাজ এবং রাসূল সা., সাহাবায়ে কিরাম ও ইসলামের প্রাথমিক যুগের মুসলমানদের ব্যক্তি ও সামাজিক অবস্থা
রাসূল সা., সাহাবায়ে কেরাম ও ইসলামের প্রাথমিক যুগের মুসলমানরা যে নামাজকে শুধু অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে পালন করেননি বরং নামাজের প্রতিটি অনুষ্ঠান নিষ্ঠার সঙ্গে করে তা থেকে দিতে চাওয়া শিক্ষাগুলো নিয়ে সে শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজজীবনে সুনিপুণভাবে প্রয়োগ করেছিলেন, তা সহজেই বুঝা যায় উনাদের সময়কার ব্যক্তি ও সমাজের অবস্থা পর্যালোচনা করলে। উনাদের ব্যক্তি ও সমাজ থেকে ইসলামের দৃষ্টিতে যে সকল কাজ অশ্লীল ও নিষিদ্ধ, তা যে সমূলে উৎপাটিত হয়ে গিয়েছিল, তা সে সময়কার ইতিহাস যিনি জানেন তিনিই এক বাক্যে স্বীকার করবেন।
শেষ কথা
রাসূল সা. ও সাহাবায়ে কেরামগণ দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর কয়েকশত বছর পর্যন্ত নামাজের শিক্ষা অনুযায়ী মুসলমানদের ব্যক্তি ও সমাজজীবন চলেছিল। তারপর ধীরে ধীরে নামাজের শিক্ষাগুলোর গুরুত্ব কমিয়ে তার অনুষ্ঠানকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশি। বর্তমান মুসলিমবিশ্বে নামাজ শুধু একটি অনুষ্ঠানসর্বস্ব ইবাদাত বা কাজ। নামাজের অনুষ্ঠানটি সঠিকভাবে মুসলমানদের শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে মক্তব, মাদ্রাসা, মসজিদ, তাবলীগ জামাত, বিভিন্ন ইসলামী দল নানাভাবে চেষ্টা করে থাকে। এটি অবশ্যই দরকার। কিন্তু পাশাপাশি যখন দেখি, নামাজের শিক্ষাগুলো সম্বন্ধে একেবারেই কোন জ্ঞান দেয়া হচ্ছে না বা আলোচনা করা হচ্ছে না, তখন শুধু অবাকই হই না, মনটা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্তও হয়ে যায়, শয়তানের কৃতকার্যতা দেখে। কারণ, সূরা বাকারার ১৭৭ নং আয়াতে আল্লাহ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, নামাজকে শুধু অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে পালন করাতে কোন সওয়াব নেই। ভাবতেও অবাক লাগে, কুরআনের এত গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য একটি বক্তব্য, কিভাবে মুসলমানদের চোখ এড়িয়ে গেল বা কিভাবে তারা এটিকে অগ্রাহ্য করল!
তাই নামাজ নামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমলটি পালন করে বর্তমান বিশ্ব মুসলমানদের যদি সওয়াব পেতে হয় বা নামাজকে ব্যর্থতার অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে হয় বা নামাজের মাধ্যমে তাদের দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনে শান্তি আনতে হয়, তবে সকলকে অবশ্যই নিম্নের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে-
১. আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সামনে রেখে নামাজ আদায় করতে হবে।
২. নামাজের কুরআনে বর্ণিত উদ্দেশ্যটি জানতে হবে এবং নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সে উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে কিনা বা হবে কিনা, তা সকল সময় খেয়াল রাখতে হবে।
৩. নামাজের অনুষ্ঠানটিকে পাথেয় অর্থাৎ নামাজের উদ্দেশ্য সাধনের মাধ্যম মনে করে পালন করতে হবে।
৪. নামাজের প্রতিটি অনুষ্ঠান আরকান-আহকাম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।
৫. প্রতিটি অনুষ্ঠান থেকে মহান আল্লাহর দিতে চাওয়া শিক্ষাগুলো বুঝে বুঝে মনে-প্রাণে গ্রহণ করতে হবে।
৬. সে শিক্ষা নামাজের উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে ‘কায়েম’ করতে হবে।
পুস্তিকায় কোন ভুল-ত্র“টি ধরা পড়লে সকল পাঠকের ঈমানী দায়িত্ব আমাকে তা ধরিয়ে দেয়া এবং আমার ঈমানী দায়িত্ব সে তথ্য সঠিক হলে ভুল শুধরিয়ে পরবর্তী সংস্করণে তা ছাপানো।
মহান আল্লাহ মুসলমান জাতিকে আবার নামাজকে কায়েম করার তৌফিক দান করুন -এ দোয়া করে এবং আপনাদের দোয়া চেয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফিজ!
অধ্যায় ০৮ : আনুষ্ঠানিক উপাসনাগুলোর মধ্যে নামাজকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়ার কারণ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
0 comments: