ধর্ষক এবং সন্ত্রাসী চে গুয়েভারা পৃথিবীর ইতিহাসে বিখ্যাত নাস্তিকদের অন্যতম ||
বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিরা কিছু সত্য ইতিহাসকে অচল করে দিয়েছে । যেগুলো অচল হবার মত ছিলনা । তার মধ্য একটি হলো নাস্তিক চে গুয়েভারাকে হিরো বানানো । বাংলাদেশর মুসলমানরাও অজান্তে যাকে বীর হিসাবে নমঃ নমঃ করে। মুসলমানদের ব্যাগে, টুপিতে, কাপড়ে যার ছবিলীলা ।। কে ইনি জানেন ? একজন কুখ্যাত কসাই । son of monkey, বাংলাদেশী ফিরাউন, নাস্তিক মগাচীফ মহিউদ্দিন, পারভেজ আলমদের আদি পিতা ।
প্রিয় পাঠক প্লিজ, মাথা ঠান্ডা রেখে পোষ্টটা বুঝে পড়ুন ।
এই চে গুয়েভারা পৃথিবীর ইতিহাসে বিখ্যাত নাস্তিকদের অন্যতম (১) । আমাদের দেশের পত্রিকাওয়ালারা চে গুয়েভারার জন্ম কিবা মৃত্যু দিনে পারলে তার মুখে ফুল চন্দন দেয় । কিন্ত চে গুয়েভারার কুখ্যাত কর্মকান্ড তুলে ধরতে একদম নারাজ। চলুন তার আসল জগৎ জেনে আসি........
ছোটবেলা থেকেই তাকে ক্লাশের বন্ধুরা নোংরামির জন্য শুকর বলে ডাকত । ১০ দিনে একবার গোসল আর ৭-৮ দিন পরপর জামা বদলাতেন (২) । এক সময় নাস্তিক, কমিউনিষ্ট সমাজতন্ত্রবাদীদের সংস্পর্শে এসে সন্ত্রাসবাদের দেখা পান । আমাদের দেশের সংবাদজীবিরা তাকে হিরো বললেও খ্যাতিমান বিশ্লেষকরা তাকে The killing man, The murderer., হিসাবে তুলে ধরেছেন (৩)। তিনি অনেক সংগ্রামই পরিচালনা করেছেন । তার মধ্যো একটা হল কিউবা আক্রমন। শান্তি প্রতিষ্ঠার অযুহাতে চে গুয়েভারা কিউবা আক্রমন কালে সেখানে শত শত নারী, পুরুষ, শিশু হত্যা করেন । তখন কিউবায় রাষ্ট ক্ষমতায় ছিল বাতিস্তা সরকার । বাতিস্তা সরকারকে পরাজিত করে তিনি রাহুল ও ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোগীতায় সরকার গঠন করেন।। লোভী চে গুয়েভারা ঐ সরকারের বিভিন্ন পদ একাই দখল করেন ::যেমন শিল্পমন্ত্রী, জাতীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর ( ৪) । এটা নাস্তিকদের সাধারণ মনোবৃত্তি, কৌশলে ভোগদখল।। যেন উপরেরটাও খেতে পারে নিচের টাও কুঁড়োতে পারে । যেসব সাংবাদিক , রাজনীতিবিদ , কবি সাহিত্যিক তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল যুদ্ধের পরে তাদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করেন আবার তার হেড পদও দখল করেন । চিন্তা করে দেখুন এরা কতটা ক্ষমটা লিপ্সু । এই নাস্তিক কুকর্মা, ট্রাইবুনালের আসামিদের খুঁটির সাথে বেঁধে মাথায় খুলি বরাবর গুলি করে তাদের মস্তক চূর্ণ বিচূর্ণ করার হুকুম দেন । এমনকি এই সন্ত্রাসী ৬ মাসের এক অন্তঃস্বত্তা মহিলার পেটে গুলি করে হত্যা করতেও দ্বিধা করেননি (৫) । আহ্ । একেবারে সহিহ নাস্তিকতার নিয়ম। ধর্ম মেনে আর লাভ কি ? ধর্ম মানলেই ঝামেলা । খুন করলে গুনাহ, মিথ্যা বললে গুনাহ ইত্যাদি ইত্যাদি । তাই ধর্মই বাদ। এই সন্ত্রাসীকে উইকিপিডিয়াতেও নিষ্ঠুর বলা হয়েছে । কিউবার la cabana নামক জায়গায় তার এই হত্যানামার সাক্ষী javier arzuga (৭৬ বছর) নামক ব্যক্তি যিনি বর্তমানে puerto rico তে বসবাস করেন ।তিনি বলেন এই কসাই আমার সাখাতে ডজন ডজন মানুষ কুত্তার মত হত্যা করেছে। চে ব্যাংক ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল(৬)। এই লোকটার এত খুন খারাপির পিছনে উদ্দেশ্য ছিল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা । যে সমাজতন্ত্রের মূল কথাই হল সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করা যাবেনা । অথচ তার সময়ই চীনে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল । তখন চীনের সামাজিক অবস্থা কেমন অসভ্য ছিল তার একটা উদাহরণ শুনুন। চীনা সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৫৩ সালের এপ্রিল মাসে চীন সফর করেন ইন্ডিয়ান ডেলিগেশনের সদস্য ব্রজকিশোর শাস্ত্রী । তিনি ছয় সপ্তাহকাল চীন সফর করে শ্রমিকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন । তিনি বলেন "" সেকি মর্মান্তিক দৃশ্য। আমি সেখানে হালের সঙ্গে বলদের বদলে মেয়েদের বাঁধা দেখেছি । "" বুঝলেনতো গুয়েভারার আদের্শর নমুনা । শুধু এটাই নয় এই সমাজতন্ত্রী নাস্তিক কমিউনিষ্টরা কোটি কোটি মানুষকে গরু ছাগলের মত খুন করেছে ( ৭) ।
তাই এই সমাজতন্ত্রীদের রুখতে হাজার হাজার আলেমরা একসময় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে । তারা এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন।। সমাজতন্ত্রবাদী নাস্তিক রাষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েই মোল্লা ওমর তার একটি চোখ হারান ।
অপরদিকে তাকে হিরো বলা হলেও গুয়েভারা কিন্ত তার জীবনের বেশিরভাগ যুদ্ধ গুলোতেই ব্যর্থ। যেমন নিকারাগুয়া, কঙ্গো, পানামা , হাইতি, বলিভিয়া । এই সবগুলোতে সে ব্যার্থ । l
প্রিয় পাঠক, আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে এই কুখ্যাত ব্যর্থ সন্ত্রাসীর এমন হিরো হিরো ইমেজ গড়ে উঠলো কেমন করে ? দেখুন বর্তমান জামানার ইসলাম বিদ্বেষী মালালাকে কেউ চিনত না । কিন্ত মিডিয়াগুলো তাকে এমন বীরঙ্গনা বানিয়ে ছাড়লো যে শেষে তাকে নোবেল দেবার জিকির জপা হল । গুয়েভারার বেলায় ও এমনটাই করা হয়েছিল । তার বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রো কিছু সংবাদ জীবিকে কবুতরের মত পুষেছিল যাদের সামনে টাকা ছিটালেই উড়ে এসে হাতে বসত। তাদের মধ্যো অন্যতম ছিল নিউ ইয়র্ক টাইমসের হারবার্ট ম্যাথিউ , CBS এর এড ম্যুরো ও ড্যান রাদার, ABC র বারবারা ওয়াল্টার্স (৮)। এরাই গুয়েভারাকে হিরো বানাতে সাহায্য করেছিল। বর্তমান কালেও যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অসভ্যদের হিরো বানানো হয় তার প্রমান আছে । যেমন মৃত্তিক ব্যান্ড দলকে এদেশের ৫% লোকও চিনেনা । অথচ তাদেরকে নিয়ে মাঝে মাঝেই প্রথম আলো বড় বড় ফিচার ছাপে । কেন জানেন ? কারন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এই ব্যান্ড দলকে হিরো বানাবার জন্য । প্রথম আলো পত্রিকা কিন্তু গুয়েভারার জন্ম কিবা মৃত্যু দিনেও বড় বড় ফিচার ছাপে। কারন প্রথম আলো সম্পাদক নিজেও সমাজতন্ত্রী ।
এত কিছু স্বত্তেও এই কুখ্যাত নাস্তিক রেহাই পায়নি । আল্লাহ তাআলা গুয়েভারার কলিজায় জাহান্নমের আগুন জ্বালানোর আগে দুনিয়াতেও তাকে চূর্ণ বির্চূণ করেছেন।। যুদ্ধের সময় বলিভিয়ার আর্মিরা তাকে শুধু হত্যাই করেনি পরবর্তীতে ত।র দুই হাত কেটেও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল( ৯) । পাপীদের শাস্তি এমনি হয় ।
তাই যে সমস্ত ভাইয়েরা না জেনে নাস্তিক গুয়েভারার ছবি যুক্ত ব্যাগ, শার্ট, টুপি ব্যাবহার করে তাদের সতর্ক করা দরকার । তাদের বোঝানো দরকার আমাদের বাংলাদেশী শরীরে কিউবার কোন কসাই নাস্তিকের ছবি থাকতে পারেনা । no more che......
*★ ছবিতে লাল চিহ্নত গুয়েভারার ছবি যুক্ত জিনিস।
তথ্যসূত্র :::
১. http://en.wikipedia.org/…/List_of_atheist_activists_and_edu…
২. http://listverse.com/…/top-10-things-you-didnt-know-about-…/
৩+৪+৬. http://www.independent.org/newsroom/article.asp?id=1535
৫+
৭.The black book of communism.
৯. http://en.wikipedia.org/wiki/The_Hands_of_Che_Guevara
উপরের বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার জন্য আরও পড়ুন::
১.exposing the real face of Che Guevara
author :: Humberto Fontova.
২.The longest romance : The mainstream media and Fidel Castro
author :: Humberto Fontova
৩.Che Guavara myth and the future of liberty.
author :: Alvaro Vorga Llosa
Picture : চে গুয়েভারার ঐতিহাসিক
ছবির সন্ধান মিলেছে
স্পেনের একটি ছোট শহর রিক্লা-য় ধর্ষক এবং সন্ত্রাসী , নাস্তিক চে গুয়েভারা আর্নেস্টো চে গুয়েভারাকে হত্যার পরপরই তোলা বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ছবির খোঁজ পাওয়া গেছে। এএফপির এক আলোকচিত্রী ওই ছবিগুলো তুলেছিলেন।
১৯৬৭ সালের অক্টোবরে বলিভিয়ার এক সেনার গুলিতে চে গুয়েভারা নিহত হন। এর পরপরই আটটি ছবি তোলা হয়। ছবিতে দেখা যায়, নিহত চে-র মরদেহ একটি স্ট্রেচারে শোয়ানো এবং তার চোখ দুটো খোলা। মুখে ঘন কালো দাড়ি। খোলা বুক রক্ত ও ধুলাবালি মাখা। সংবাদসূত্র : ডেইলি মেইল
- লেখাঃ লিঙ্ক
0 comments: