এক ভয়ংকর অন্ধকারে মুসলিম বিশ্ব, উসমানীয়/অটোমান খিলাফাত ধংসের পর বিশ্ব রাজনীতির স্টেজ হতে মুসলিমদের বিদায়। সোস্যালিজম, কম্যুনিজম, বাথিজমের মতো নিত্য নতুন মতবাদে মুসলিম যুবকরা ঝুঁকে পড়েছে। ওদের ইসলামের পথ দেখানোর কেউ নেই। জাতীয়তাবাদের ন্যারো ডিফিনেশানে মুসলিম বিশ্ব হয়ে পড়েছে খন্ড খন্ড। ঠিক সেই সময়ে ১৯২৯ সালে হাসানুল বান্না এসব দেখে ব্যাথিত হন। শুরু করেন মুসলিম ব্রাদারস, কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে কায়রো হয়ে সমগ্র মিশরে।
ইসলাম ইস দ্যা সলুশান এই মন্ত্রে চললেও হাসানুল বান্না উপনিবেশিকবাদ, শিক্ষা, গনস্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যাবস্হাপনায় নজর দেন। শিক্ষা এবং চ্যারিটির কাজেই এরা বেশী মনোযোগ দেয়।
ব্রাদারহুড সূফি ও সালাফি সংমিশ্রন। তখন মিশর ছিলো ব্রিটিস উপনেবিশেকদের দখলে। ফিলিস্তিনের হামাসের যেমন মিলিটারি উইং ইজ্জাদিন আল-কাশেম আছে, তেমনি মুসলিম ব্রাদারহুডের ও মিলিটারি উইং ছিলো। তাদের কাজ হলো ব্রিটিস বাহিনিীর বিরুদ্বে আক্রমন এবং পোষা পুলিশদের আক্রমন প্রতিহত করা। সর্বশেষে বৃটিশ পুতুল বাদশাহ ফারুকের প্রধামন্ত্রী মাহমুদ পাশাকে ব্রাদারহুডের এক ছাত্র পুলিশের ছদ্মবেশে হত্যা করে। বিপরীত বদলায় পুতুল বাদশাহ ফারুকের বডিগার্ডরা হাসানুল বান্নাকে হত্যা করে। ব্রিটিসদের কাছ থেকে স্বাধীনতা চিনিয়ে আনতে প্রান দিতে হলো ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতাকে।
হাসানুল বান্নার শহীদ হওয়ার পর হাসানুল হুদাইবী এই সংগঠনের হাল ধরেন বিশ বছর। ব্রাদারহুডের খুব ভয়ংকর সময়কালে তিনিই দলের হাল ধরেন। সাইয়্যেদ কুতুব,মোহাম্মদ কুতুব যোগ দেওয়ার ওদের লিখনিতে পলিটিক্যাল ইসলামের রুপরেখা ফুটে উঠে। মুসলিম ব্রদাহুড ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বর্তমানে প্রায় ৮০ টার মতো দেশে ব্রাদারহুডের শাখা আছে। ১৯৫২ তে নাগিব ও নাসের মতো কিছু ফ্রী অফিসার গঠন করে মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে চুক্তি করে ব্রিটিস পুতুল বাদশাহকে উৎখাত করার। গদি উল্টিয়ে দেয় মুসলিম ব্রাদারহুড ও কিছু জেনারেলরা মিলে। কিন্তু হায়! আর্মি জেনারেলরা ব্রাদাহুডের সাথে ক্ষমতা শেয়ার করতে অস্বীকার করে। উল্টা ব্রাদারহুডের লোকদের উপর প্রচন্ড দমন নিপীড়ন চালায়। গ্রেফতার করা হয় এর সামনের সারির সকল নেতাকে।
কারাগারে বসেই অনেকগুলো বই এবং কোরানের তাফসীর লিখে ফেলেন সাইয়েদ কুতুব। এর মধ্যে একটা বইয়ের নাম মাইলস্টোন। মাইলস্টোন বইয়ে কুতুব মুসলিম বিশ্বের শাসকদের দূর্নিতিগ্রস্থ বলেন এবং এদের উৎখাত করতে ডাক দেন। তিনি বলেন এই করাপ্টেড শাসকদের জন্যে সাধারন জনগনও করাপ্টেড হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে পতিত হচ্ছে সবাই সেল্ফিশ ইনডিভাইডুয়ালিজমে। মাইলস্টোন প্রকাশ পাওয়ার পর মিশরের ঐ সময়কারকার প্রেসিডেন্ট আব্দের নাসের ক্ষুব্দ হন ও কুতুবকে ফাঁসিতে ঝুলান।
মুসলিমদের আল-কোরানের মতই বাথিজমে বিশ্বাস করার জন্যে সকল আরববাসীকে আহবান জানায় তারা। এই সেক্যুলার বাথপার্টি মিশর ও সিরিয়া অনেকদিন এবং কিছু দিনের জন্যে ইরাক একসাথে মুসলিমদের খিলাফাতেরর মতো ইউনাইটেড আরব রিপাবলিকের অধীনে ছিলো। বাথিজমের প্রতিস্ঠাতা ছিলো মাইকেল আফলাক।
আমেরিকাঃ আব্দের নাসেরের সময় মিশরের ব্রাদারহুডের উপর ভয়ংকর দমন নিপীড়ন চলে। কিছু ব্রাদারহুড তখন পালিয়ে আমেরিকায় চলে যায়। এরাই ১৯৬৩ সালে MSA মুসলিম স্টুডেন এসোসোয়েশান গঠন করে। তারপর করে ইসলামিক সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকা ISNA । এদের কাজ হলো ক্যাম্পাসে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে সাহায্য করা। নর্থ আমেরিকাতে এখন ইসনা এখন সবচেয়ে বড় ইসলামিক সংগঠন। ডঃউইলিয়াম ক্যাম্পবেলের সাথে ডাঃযাকির নায়িকের যে ডিবেট হয় "কোরান এন্ড বাইবেলঃ ইন দ্যা লাইট অফ দি সাইন্স" নামে তা ইসনার তত্বাবধানেই হয়েছে।
সিরিয়াঃ সাইয়েদ কুতুবের মুসলিম দূর্নিতীগ্রস্থ শাসকেদের উৎখাতের আহবানে সিরিয়ার মুসলিম ব্রাদারহুড সাড়া দেয় ১৯৮১-৮২ তে। হাফেজ আল- আসাদ লৌহপিষ্টে ওটা দমন করে, যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হামা ম্যস্যাকার। আমেরিকা ঐ গনহত্যাটা খুশী মনে দেখেছে, রাশিয়া সম্পূর্নভাবে অস্র,গোলাবারুদ ও ট্রেনিং দিয়ে সাহায্য করেছে সিরিয়াকে।
লিবিয়াঃ লিবিয়ায় ব্রাদারহুডকে চরমভাবে দমন করা তৎকালিন সোভিয়েতদের পাঁ চাটা গাদ্দাফী। ব্রাদারহুডের লোকদের হত্যা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের জন্যে একটা কারন হলেই যথেস্ট যে সে ব্রাদারহুড করে। গাদ্দাফি শাসিত লিবিয়ার স্টেট টিভিতে মাঝে মাঝে ব্রাদারহুডের লোকজনদের দেখা যেতো, তবে তা রাস্তার বিভিন্ন ল্যাম্পোস্টে ফাঁসিতে ঝুলানো ব্রাদারহুডের লাশ।
ইরাকঃ সেক্যুলার বার্থ পার্টির সাদ্দাম হোসেন শাসিত ইরাকেও ব্রাদারহুডকে কঠোরভাবে দমন করা হয়। মাথা উঠাতেই দেয়নি সে।
সৌদিআরবঃ ব্রাদাহুডের সাথে সৌদির ভালো সম্পর্কে গেছে শুধুমাত্র বাদশাহ ফয়সালের সময়। বাদশাহ ফায়সালকে সবাই ভালো শাসক হিসেবে সম্বোধন করতো। এজন্যেই অবশ্য তাকে হত্যা করা হয়। তার অনুরোধেই সাইয়েদ কুতুবের ছোট ভাই ও বোন মোহাম্মদ কুতুব ও আমেনা কুতুবকে জেল হতে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সৌদিতে থাকতে দেওয়া হয়। ফায়সাল পরবর্তী সব সৌদি শাসকই ব্রাদারহুডের ভয়ে ভীত থকতো। যদি না এদের আইডিওলজী দিয়ে শেখদের গদীটা উল্টিয়ে দেওয়া হয়। এবারও হোসনী মোবারক যেন ক্ষমতায় থাকে তার জন্যে শেখ আবদুল্লাহ কতো তদ্ভিরই না করেছে। সৌদি, আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েতে কেউ যদি ব্রাদারহুডের আইডিয়োলোজী ধারন করে তাহলে তাকে কোন সরকারী চারকরিতে নেওয়া হয় না, বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে।
কেন ব্রাদারহুড মিশরে জনপ্রিয়ঃ মুসলিম ব্রাদারহুডকে একটা রাজনৈতিক সংগঠন না বলে একটা চ্যারিটি সংগঠন বলাই ভালো। ব্রাদারহুডের লোকদের দ্বারা পরিচালিত অনেকগুলো হাসপাতাল আছে সারা মিশর জুড়ে। সবার জন্যেই উন্মুক্ত। চিকিৎসা শেষে কারো সামর্থ থাকলে টাকা দেয়, সামর্থ না থাকলে দেয় না। ব্রাদারহুডের ডাক্তাররা অন্য হাসপাতালে চাকরী করলে এরা শুক্রবারেও বিশ্রাম না নিয়ে বিনা ফিতে রোগী দেখে। সারা মিশর জুড়ে ব্রাদারহুডের অফিসগুলোকে মনে হবে একেকটা চ্যারিটি অফিস। শীতকালে গরীবদের জন্যে গরম কাপড় চোপড়ে ভরা থাকে। গ্রামে ও প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রাদারহুডের কর্মীরা নিজ মাথায় আটার বস্তা নিয়ে গরীবদের মাঝে দিয়ে আসে। এরা আসলেই আন্তরিক। এরা যাদের সেবা করে যাচ্ছে তাদের কাছে ভোট ও চাচ্ছে না, বা সমর্থক ফর্ম ও পুরন করাচ্ছে না। মিশরেতো এরা ব্যান ভোট দিয়ে করবে কি! আজ আশিটা বছর ধরে এমন দমন নিপীড়নের পরেও ওরা তাদের লোকজনদের সাহায্য করে যাচ্ছে। মিশরের সাধারন মানুষেরা এসব মনে রাখছে। প্রথমবারের মত যখন ফ্রী নির্বাচন হয় মিশরের লোকেরা ঠিকই ব্যালেটের মাধ্যেমে তার জানান দিচ্ছে। বিপরীতে মিশরের সেক্যুলারগুলা এলিট/ভিআইপি/করাপ্টেড এবং জনবিচ্ছিন্ন তুরস্কের মতই।
আমাদের দেশেই অনেকেই বলবে, ক্ষমতায় না গেলে দেশ সেবা করা যায় না। তাদের জন্যে উধাহারন হয়ে থাকবে মুসলিম ব্রাদারহুড। যারা ক্ষমতায় না গিয়েও বরং ভয়ংকর নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে ও সাধারন লোকদের সাহায্য করে গিয়েছে।
লেখক : ব্লগার মজলুম
জীবন মৃত্যুর এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মিশরের প্রাক্তন স্বৈরশাসক হুসনি মোবারক। দীর্ঘ ত্রিশ বৎসর ধরে মিশরের বুকে জগদ্দল পাথরের মত বসে থেকে তিনি বিনা কারণে হাজার হাজার ইখওয়ান কর্মীকে কেবলমাত্র ইসলামি আন্দোলন করার অপরাধে(!) হত্যা করেছেন। নানান ছলে বিচারের নামে এক একটা প্রহসনের মাধ্যমে তিনি ফাঁসিতে লটকিয়েছেন। জেল জুলুমের মাধ্যমে তিনি ইখওয়ানের কর্মীদের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছেন। তিনি তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করিয়েছেন সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে। হুসনির আমলে মিশরীয় যুবকেরা মুখে দাঁড়ি পর্যন্ত রাখার সাহস পেত না। যুবক বয়সের কেউ নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়তে গেলেই সে হয়ে যেত তার গুপ্ত বাহিনীর টার্গেট। কিছুদিন পরেই সে যুবক কারাগারে বন্দী, আর না হয় গুম।
১২ই ফেব্র“য়ারী ১৯৪৯ এর এক বিকেলে শহীদ করে দেয়া হলো ইসলামি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ হাসান আল বান্নাকে। ২৯শে অগাষ্ট ১৯৬৬ তে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হলো ইসলামি আন্দোলনের আর এক স্বপ্নপুরুষ সে দেশের এক সময়ের প্রধান বিচারক মুহাম্মদ কুতুবকেও। যার হাত দিয়ে রচিত হয়েছিল ফি জ্বিলালিল কুরআনের মত বিষ্ময়কর এক সৃষ্টি। যার হাত দিয়ে রচিত হয়েছিল ‘মাইলস্টোন’ এর মত এক বই!
যে দেশে হাসান আল বান্নার মত প্রভাবশালী নেতাকে প্রকাশ্য দিনের বেলায় হত্যা করেও সরকার টিকে যেতে পারে, যে দেশে প্রধান বিচারপতির মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকেও প্রহসনের বিচার করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া যেতে পারে, যে দেশে জয়নাব আল গাজ্জালীর মত মহীয়ষী নারীকে জেলখানার মধ্যে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত অত্যাচার করেও সরকার টিকে যেতে পারে, সে দেশে সাধারণ ইখওয়ান কর্মীদের প্রতি সরকার কতটা কট্টর ও বৈরী ছিল, সে কথা কেবল ভুক্তভূগীরাই বলতে পারবেন।
পূর্বসূরী স্বৈরশাসক জামান আব্দুন নাসের আর আনওয়ারুস সাদাত, কারো থেকেই কম যান নি আজকে মৃত্যুপথযাত্রী হুসনি মোবারক। আমার মিশরীয় বন্ধুদের দেখেছি দেশে ছুটিতে যাবার আগে মুখের দাঁড়ি কেটে ফেলতে, প্রশ্ন করলে ছল ছল চোখে হুসনির দিকে ইংগিত করে জবাব দিয়েছেন ‘এ্যহনা আয়েশীন মাআল ফেরাউন’ আমরা ফেরাউনের সাথে বসবাস করছি!
আজ সেই ফেরাউন, একবিংশ শতাব্দীর ফেরাউন যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত, কারাগারের সংকীর্ণতায় যার দিন রাত কাটে হু-হুতাসে, সেই ফেরাউন নিশ্চয়ই দেখছেন তিনি মিশর থেকে ইসলামি আন্দোলনকে বিতাড়িত করতে পারেন নি। মিশরের মাটির প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা জুড়ে ইসলাম আসন গেড়ে বসে আছে। সংকীর্ণ হয়েছে কেবল স্বৈরাচার ফেরাউনের নিজের পরিসরই।
এমনই হয়। এটাই হলো নিয়তির লিখন। আজ নীলের অগণিত স্রোতের চেয়েও পূরো মিশর জুড়ে ইসলামি আন্দোলনের ঢেউ। এতেই ভেসে যাবে ফেরআউনের স্বপ্নস্বাধ। তিরিশ বৎসর ক্ষমতার মোহে অন্ধ থেকে যে কর্মী বাহিনীকে জনাব হুসনি মোবারক নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছেন সেই তারাই যখন পূরো মিশরবাসীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতার মঞ্চে, ঠিক তখন. ঠিক সেই সময়টাতেই ফেরাউন কারগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে, সকল ক্ষমতার মালিকের দরবারে প্রশ্নোত্তরের প্রতিক্ষায়!
ইতিহাসের এ ক্রান্তিকালে কি কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবেন না? এ গোলার্ধের কোণে কোণে যত স্বৈরাচার আর দূরাচার ইসলামি আন্দোলন দমনে নিয়োজিত রয়েছে, তারা এ ঘটনা থেকে কি কোন শিক্ষা নেবে? শুনেছি ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।
তা না নিক। কিন্তু ইসলামি আন্দোলনের প্রতিটি নেতা কর্মীকে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। চূলচেরা বিশ্লেষণ করে তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। জানতে হবে, সেই ১৯৪৯ থেকে শুরু করে এই ২০১২ পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৩ বৎসর ধরে কতটা ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন। বুঝতে হবে কতটা নির্যাতন সয়ে, কতটা শ্রম আর ত্যাগ স্বীকার করে আজ তারা সাফল্যের এ স্তরে টেনে এনেছেন ইসলামি আন্দোলনকে, এ কাফেলাকে। শিক্ষা নিতে হবে তাদের কলা কৌশল থেকে। তাদের ত্যাগ আর তিতিক্ষা থেকে। শিখতে হবে তাদের ভূল ভ্রান্তি থেকেও।
মিশরে বিজয়ী ইখওয়ানুল মুসলেমিনের নির্বাচনী প্রতীক হলো দাঁড়িপাল্লা.. অত্যাচার - নির্যাতন, নিষিদ্ধ হওয়া, কারাভোগ আর আন্দোলনের কৌশল, জনসম্পৃক্ততা, সামাজিক জনসেবামূলক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অবশ্য মিশরের ইসলামী আন্দোলনের সাথে উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলনের যোজন যোজন পার্থক্য.. যেদিন এই পার্থক্য কমে শূণ্য হবে, সেদিন ই এই মাটিতে আমরা আল্লাহর দ্বীনের বিজয় দেখার আশা করতে পারি.. |
0 comments: