গীবত
কুরআন
يَآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا اِجْتَنِبُوْا مِّنَ الْظَِّنَ ـ اِنَّ بَعْضَ الظًَّنِّ اِثْمٌ وَّلاَ تَجَسَّسُوْا وَلاَيَغْتَبْْ بّعْضُكُمْ بَعْضًا اَيْحِبُّ اَحَدُكُمْ اَنْ يَّاكُلَ لَحْمَ اَخِيْهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوْهُ ـ وَاتَّقُوْ اللهَ اِنَّ اللهَ تَوَّبٌ رًّحِيْمٌ ـ
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়াহাল্লাযীনা আমানূজতানিবূ কাছীরাম মিনায যান্নি, ইন্না বা’দায যান্নি ইছমুন ওয়া লা তাজাসসাসূ ওয়া লা ইয়াগতাব বা’দুকুম বা’দান আইয়হিব্বু আহাদুকুম আই ইয়া’কুলা লাহমা আখীহি মাইতান ফাকারিহতুমূহু, ওয়াত্তাকুল্লাহা ইন্নাল্লাহা তাওওয়াবুর রাহীম।
(১) হে ঈমানদারগণ! লোকেরা, তোমরা অনেকটা ধারণা পোষণ হতে বিরক্ত থেকো, কেননা কোন কোন ধারণা পাপ হয়ে থাকে। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় খোঁজাখুজি করো না। আর একে অন্যের গীবত করো না, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে তার মৃত ভাইয়ের গোশতা খাওয়া পছন্দ করে? তোমরা নিজেরাইতো তার প্রতি ঘৃণা পোষণ করে থাকো। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ খুব বেশী তওবা কবুলকারী এবং দয়াবান। (সূরা হুজরাত : ১২)
لاَيُحِبُّ اللهَ الْجَهْرَ بَاسًُّوْءِ مِنَ الْقَوْلِ اِلاَّ مَنْ ظُلِمَ ـ
উচ্চারণ: : লা ইয়ুহিব্বুল্লাহুল জাহরা বিসসূয়ি মিনাল কাওলি ইল্লা মান যুলিম।
(২) আল্লাহ মন্দ কথা প্রকাশ করা ভালবাসেন না, তবে কারো উপর যুলুম করা হয়ে থাকলে অন্য কথা। (সূরা নিসা: ১৪৮)
হাদীস
عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ (صلعم) قَالَ اَتَدْرُوْنَ مَاالْغِيْبَةُ قَالُوْا اَللهُ وَرَسُوْلُهُ اَعْلَمُ قَالَ ذِكْرُكَ اَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ قِيْلَ اَفْرَءَيْتَ اِنْ كَانَ فِيْ اَخيْ مَااَقُوْلُ؟ قَالَ اِنْ كَنَا فِيْهَ مَاتَقُوْلُ فَقَدْ اِغْتَبْتَه‘ وَاِنْ لَّمْ تَكُنْ فِيْهِ مَاتَقْوْلُ فَقَدْ بَهَتَّهُ ـ
(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, একদা নবী করীম (সা) বললেন, তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে? সাহাবীরা জওয়াব দিলেন আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই সবচেয়ে ভাল জানেন। হুজুর (সা) বললেন গীবত হল তুমি তোমার মুসলমান ভাইয়ের বর্ণনা.....(সা) কে প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর নবী! আমি যা কিছু বলব তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রেও কি তা গীবত হবে? রাসূল (সা) জওয়াব দিলেন তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে সেটা হবে গীবত। আর যদি না পাওয়া যায় তাহলে হবে বোহতান। (মুসলিম)
কুরআন
يَآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا اِجْتَنِبُوْا مِّنَ الْظَِّنَ ـ اِنَّ بَعْضَ الظًَّنِّ اِثْمٌ وَّلاَ تَجَسَّسُوْا وَلاَيَغْتَبْْ بّعْضُكُمْ بَعْضًا اَيْحِبُّ اَحَدُكُمْ اَنْ يَّاكُلَ لَحْمَ اَخِيْهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوْهُ ـ وَاتَّقُوْ اللهَ اِنَّ اللهَ تَوَّبٌ رًّحِيْمٌ ـ
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়াহাল্লাযীনা আমানূজতানিবূ কাছীরাম মিনায যান্নি, ইন্না বা’দায যান্নি ইছমুন ওয়া লা তাজাসসাসূ ওয়া লা ইয়াগতাব বা’দুকুম বা’দান আইয়হিব্বু আহাদুকুম আই ইয়া’কুলা লাহমা আখীহি মাইতান ফাকারিহতুমূহু, ওয়াত্তাকুল্লাহা ইন্নাল্লাহা তাওওয়াবুর রাহীম।
(১) হে ঈমানদারগণ! লোকেরা, তোমরা অনেকটা ধারণা পোষণ হতে বিরক্ত থেকো, কেননা কোন কোন ধারণা পাপ হয়ে থাকে। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় খোঁজাখুজি করো না। আর একে অন্যের গীবত করো না, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে তার মৃত ভাইয়ের গোশতা খাওয়া পছন্দ করে? তোমরা নিজেরাইতো তার প্রতি ঘৃণা পোষণ করে থাকো। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ খুব বেশী তওবা কবুলকারী এবং দয়াবান। (সূরা হুজরাত : ১২)
لاَيُحِبُّ اللهَ الْجَهْرَ بَاسًُّوْءِ مِنَ الْقَوْلِ اِلاَّ مَنْ ظُلِمَ ـ
উচ্চারণ: : লা ইয়ুহিব্বুল্লাহুল জাহরা বিসসূয়ি মিনাল কাওলি ইল্লা মান যুলিম।
(২) আল্লাহ মন্দ কথা প্রকাশ করা ভালবাসেন না, তবে কারো উপর যুলুম করা হয়ে থাকলে অন্য কথা। (সূরা নিসা: ১৪৮)
হাদীস
عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ (صلعم) قَالَ اَتَدْرُوْنَ مَاالْغِيْبَةُ قَالُوْا اَللهُ وَرَسُوْلُهُ اَعْلَمُ قَالَ ذِكْرُكَ اَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ قِيْلَ اَفْرَءَيْتَ اِنْ كَانَ فِيْ اَخيْ مَااَقُوْلُ؟ قَالَ اِنْ كَنَا فِيْهَ مَاتَقُوْلُ فَقَدْ اِغْتَبْتَه‘ وَاِنْ لَّمْ تَكُنْ فِيْهِ مَاتَقْوْلُ فَقَدْ بَهَتَّهُ ـ
(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, একদা নবী করীম (সা) বললেন, তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে? সাহাবীরা জওয়াব দিলেন আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই সবচেয়ে ভাল জানেন। হুজুর (সা) বললেন গীবত হল তুমি তোমার মুসলমান ভাইয়ের বর্ণনা.....(সা) কে প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর নবী! আমি যা কিছু বলব তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রেও কি তা গীবত হবে? রাসূল (সা) জওয়াব দিলেন তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে সেটা হবে গীবত। আর যদি না পাওয়া যায় তাহলে হবে বোহতান। (মুসলিম)
মুমিনের গুণাবলী
কুরআন
اِنَّمَا كََانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِيْنَ اِذَا دَعُوْا اَلَى اللهِ وَرَسُوْلَه لِيْحْكُمُمَ بِيْنَهُمْ اِنْ يَّقُوْلُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا ـ وَأُوْلئِكَ هُمُ المُفْلِحُوْنَ ـ
উচ্চারণ: : ইন্নামা কানা কাওয়াল মু’মিনীনা ইযা দাউ’ ইলাল্লাহি ওয়া রুসূলিহী লিইয়াহকুমা বাইনাহুম আন ইয়াকূলূ সামি’না ওয়া আতা’না, ওয়া উলায়িকা হুমুল মুফলিহূন।
(১) মুমিনদের বৈশিষ্ট্য এই যে, যখন তাদের মাঝে ফায়সালার জন্যে আল্লাহ ও রাসূলের (বিধানের) প্রতি ডাকা হয়, তখন বলেন, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আর এরূপ লোকেরাই প্রকৃত সফলকাম। (সূরা আন-নূর : ৫১)
اَلَّذِيْنَ امَنُوْا وَتَطْمَئِنًُّ قُلُوْبُهُمْ بِذِكْرِ اللهِ اَلاَ بِذِكْرِ اللهِ اَلاَ بِذِكْرِ اللهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوْبُ ـ
উচ্চারণ: : আল্লাযীনা ওয়া তাতমাইন্নু কুলূবুহুম বিযিকরিল্লাহি আলা বিযিকরিল্লাহি তাতমাইনুল কুলূব।
(২) যারা মুমিন আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। (প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরে প্রশান্তি এসে থাকে।) জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণ আসলে সেই জিনিস যার দ্বারা দিল পরম শান্তি ও স্বস্তি লাভ করে থাকে। (সূরা রা’দ : ২৮)
لاَيَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُوْنَ الْكَفِرِيْنَ اَوْلِيَاءَ مِنْ دُوْنَ الْمُؤْمِنِيْنَ ـ
উচ্চারণ: : লা ইয়াত্তাখিযিল মু’মিনীনাল কাফিরীনা আওলিয়া মিন দূনিল মু’মিনীন।
(৩) মুমিনের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে যে, তারা মুমিন ছাড়া কাফেরদেরকে কখনো নিজেদের বন্ধু পৃষ্ঠপোষক বানায় না (সূরা আলে ইমরান : ২৮)
انَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ اِخْوَةُ ـ
উচ্চারণ: : ইন্নামাল মু’মিনূনা ইখয়াতুন।
(৪) মুমিনের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে যে, তারা একে অপরের ভাই। (সূরা হুজরাত : ১০)
আরো দেখুন : সূলা আনফাল : ২, সূরা ইমরান ; ১৬০, সূরা হুজরাত : ৫।
হাদীস
عَنْ اَبْىْ هُرَيْرَةَ (رض) رسُوْلَ اللهِ (صلعم) قَالَ الْمُؤْمِنُ مَالَفُ وَلاَخَيْرَ فِيْمَنْ لاَيَالَفُ وَلاًَيُوْلَفُ ـ
(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, মুমিন মহব্বত ও দয়ার প্রতীক। ঐ ব্যক্তির মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, যে কারো সাথে মহব্বত রাখে না এবং মহব্বত প্রাপ্ত হয় না। (বুখারী)
عَنْ اِبْنِ عَبَّاسِ (رض) قَالَ سَمَعْتُ رَسُوْلَ اللهَ (صلعم) يَقُوْلُ لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بَالَّذِيْ يَشْبَعُ وَجَارَهُ جَائْعُ اِلى جَنْبِهِ ـ
(২) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা) কে বলতে শুনেছি : সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যে পেট পুরে খায়, অথচ পাশেই তার প্রতিবেশী ক্ষুধার যাতনায় ভুগে।
عَنْ اَبْيْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ رَسُوْلُ اللهَ (صلعم) لاَيُلْدَعُ الْمُؤْمِنُ مِنْ حُجْرٍ وَّاحِدٍ مَّرَّتَيَْنَ ـ
(৩) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, মুমিন এক গর্তে দু’বার নিপতিত হয় না। (বুখারী, মুসলিম)
عَنِ النُّعْمَانَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) الْمُؤْمِنُوْنَ كَرَجُلٍ وَّاحِدٍ اِنِ اَشْتَكي عَيْنُُهُ اِشْتَكي كُلُّهُ اِنْ اِشْتَكَي رَأْسَهُ اِشْتَكَى كُلُّهُ ـ
(৪) হযরত নু’মান (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, সমস্ত মুমিন একই ব্যক্তি সত্তার মত। যখন তার চোখে যন্ত্রণা হয়, তখন তার গোটা শরীরেই তা অনুভব করে। যদি তার মাথা ব্যাথা হয় তাতে তার গোটা শরীরই বিচলিত হয়ে পড়ে। (মিশকাত)
কুরআন
اِنَّمَا كََانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِيْنَ اِذَا دَعُوْا اَلَى اللهِ وَرَسُوْلَه لِيْحْكُمُمَ بِيْنَهُمْ اِنْ يَّقُوْلُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا ـ وَأُوْلئِكَ هُمُ المُفْلِحُوْنَ ـ
উচ্চারণ: : ইন্নামা কানা কাওয়াল মু’মিনীনা ইযা দাউ’ ইলাল্লাহি ওয়া রুসূলিহী লিইয়াহকুমা বাইনাহুম আন ইয়াকূলূ সামি’না ওয়া আতা’না, ওয়া উলায়িকা হুমুল মুফলিহূন।
(১) মুমিনদের বৈশিষ্ট্য এই যে, যখন তাদের মাঝে ফায়সালার জন্যে আল্লাহ ও রাসূলের (বিধানের) প্রতি ডাকা হয়, তখন বলেন, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আর এরূপ লোকেরাই প্রকৃত সফলকাম। (সূরা আন-নূর : ৫১)
اَلَّذِيْنَ امَنُوْا وَتَطْمَئِنًُّ قُلُوْبُهُمْ بِذِكْرِ اللهِ اَلاَ بِذِكْرِ اللهِ اَلاَ بِذِكْرِ اللهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوْبُ ـ
উচ্চারণ: : আল্লাযীনা ওয়া তাতমাইন্নু কুলূবুহুম বিযিকরিল্লাহি আলা বিযিকরিল্লাহি তাতমাইনুল কুলূব।
(২) যারা মুমিন আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। (প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরে প্রশান্তি এসে থাকে।) জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণ আসলে সেই জিনিস যার দ্বারা দিল পরম শান্তি ও স্বস্তি লাভ করে থাকে। (সূরা রা’দ : ২৮)
لاَيَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُوْنَ الْكَفِرِيْنَ اَوْلِيَاءَ مِنْ دُوْنَ الْمُؤْمِنِيْنَ ـ
উচ্চারণ: : লা ইয়াত্তাখিযিল মু’মিনীনাল কাফিরীনা আওলিয়া মিন দূনিল মু’মিনীন।
(৩) মুমিনের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে যে, তারা মুমিন ছাড়া কাফেরদেরকে কখনো নিজেদের বন্ধু পৃষ্ঠপোষক বানায় না (সূরা আলে ইমরান : ২৮)
انَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ اِخْوَةُ ـ
উচ্চারণ: : ইন্নামাল মু’মিনূনা ইখয়াতুন।
(৪) মুমিনের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে যে, তারা একে অপরের ভাই। (সূরা হুজরাত : ১০)
আরো দেখুন : সূলা আনফাল : ২, সূরা ইমরান ; ১৬০, সূরা হুজরাত : ৫।
হাদীস
عَنْ اَبْىْ هُرَيْرَةَ (رض) رسُوْلَ اللهِ (صلعم) قَالَ الْمُؤْمِنُ مَالَفُ وَلاَخَيْرَ فِيْمَنْ لاَيَالَفُ وَلاًَيُوْلَفُ ـ
(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, মুমিন মহব্বত ও দয়ার প্রতীক। ঐ ব্যক্তির মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, যে কারো সাথে মহব্বত রাখে না এবং মহব্বত প্রাপ্ত হয় না। (বুখারী)
عَنْ اِبْنِ عَبَّاسِ (رض) قَالَ سَمَعْتُ رَسُوْلَ اللهَ (صلعم) يَقُوْلُ لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بَالَّذِيْ يَشْبَعُ وَجَارَهُ جَائْعُ اِلى جَنْبِهِ ـ
(২) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা) কে বলতে শুনেছি : সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যে পেট পুরে খায়, অথচ পাশেই তার প্রতিবেশী ক্ষুধার যাতনায় ভুগে।
عَنْ اَبْيْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ رَسُوْلُ اللهَ (صلعم) لاَيُلْدَعُ الْمُؤْمِنُ مِنْ حُجْرٍ وَّاحِدٍ مَّرَّتَيَْنَ ـ
(৩) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, মুমিন এক গর্তে দু’বার নিপতিত হয় না। (বুখারী, মুসলিম)
عَنِ النُّعْمَانَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) الْمُؤْمِنُوْنَ كَرَجُلٍ وَّاحِدٍ اِنِ اَشْتَكي عَيْنُُهُ اِشْتَكي كُلُّهُ اِنْ اِشْتَكَي رَأْسَهُ اِشْتَكَى كُلُّهُ ـ
(৪) হযরত নু’মান (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, সমস্ত মুমিন একই ব্যক্তি সত্তার মত। যখন তার চোখে যন্ত্রণা হয়, তখন তার গোটা শরীরেই তা অনুভব করে। যদি তার মাথা ব্যাথা হয় তাতে তার গোটা শরীরই বিচলিত হয়ে পড়ে। (মিশকাত)
বাইয়াত
কুরআন
اِنَّ اللهَ اشْتَري مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اَنْفُسِهُمْ وَاَمْوَالَهُمْ بِاَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ط يُقَاتِلُوْنَ فِيْ سِبِيْلِ اللهِ فِي سِبِيْلِ اللهَ فِيْقَتُلُوْنَ وَيُقْتَلَوْنَ قف وَعْدًا عَلَيْه حَقَّا فِي التَّوْرةِ وَالاْنْجِيْلِ وَالْقُوْانِ ط وَمَنْ اَوْفِي بَعَهْدِه مِنَ اللهَ فَاسْتَبْشِرُوْا بِبَيْعِكُمْ الَّذِيْ بَايَعْتُمْ بِه ط وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ ـ
উচ্চারণ: : ইন্নাশাহাশতারা মিনাল মু’মিনীনা আনফুছাহুম অআমওয়ালাহুম বিআন্না লাহুমুল জ্বান্নাহ, ইয়ুক্বাতিলূনা ফী সাবীলিল্লাহি ফাইয়াক্বতুলূনা। অইয়ুক্বতালূন: অ’দান আলাইহি হাক্কান ফিত তাওরাতি অল ইনজীলি অলকুরআন; অমান আওফা বি’আহদিহী মিনাল্লাহি ফাছাতাবশিরূ বিবাই’ইকুমুল্লাযী বাইয়া’তুম বিহী; অযালিকা হুয়াল ফাওযুল আযীম।
(১) নিশ্চয় আল্লাহ খরিদ করে নিয়েছেন মুমিনদের থেকে তাদের জ্ঞান ও তাদের মাল এর বিনিময়ে যে, অবশ্যই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে, কখনও হত্যা করে এবং কখনও নিহত হয়। তাওরাত ও কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে। আল্লাহর চাইতে নিজের ওয়াদা অধিক পালনকারী আর কে আছে? সুতরাং তোমরা আনন্দ কর তোমাদের সে সওদার জন্য যা তোমরা তাঁর সাথে করেছ। আর তা হল বিরাট সাফল্য।
اِنِّ الَّذِيْنَ يُبَايُعُْوْنَكَ اِنَّمَا يُباَيِعُوْنَ اللهَ ـ يَدُ اللهَ فِوْقَ اَيْدِيْهِمْ ـ
উচ্চারণ: : ইন্নাযীনা ইয়ুবায়িউ’নাকা ইন্নামা ইয়ুবায়িই’নাল্লাহা, ইয়াদুল্লাহি ফাওকা আইদিহিম।
(১) হে রাসূল! যেসব লোক আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল, তারা আসলে আল্লাহর নিকটই বাইয়াত হচ্ছিল। তাদের হাতের উপর আল্লাহর কৃদরতের হাত ছিল।
لَقَدْ رَضْيِ اللهَ عَنِ الْمُؤْمِنُوْنَ اِذْ يُبَايِعُوْنَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ ـ
উচ্চারণ: : লাকাদ রাদিয়াল্লাহু আ’নিল মু’মিনীনা ইয ইয়ুবায়িউ’নাকা তাহতাশ শাজারাহ।
(২) হে রাসূল! আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা গাছের নীচে আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল। (সূরা ফাতহ : ১৮)
فَلْيُقَاتِلْ فِيْ سَبِيْلِ اللهَ الًّذِيْنَ يَشْرُوْنَ الْحَيوَةَ الدُّنْيَا بِالاَخِرَةِ ـ وَمَنْ يًُّقَاتِلْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ فِيُقْتَلْ اَوْيَغْلِبْ فِسُوْفَ نُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمَا ـ
উচ্চারণ: : ফালইয়ুকাতিল ফী সাবীল্লাযীনা ইয়াশরূনাল হায়াতাদ দুনইয়া বিলআখিরাতি, ওয়া মাই ইয়ূকাতিল ফী সাবীলিল্লাহি ফালইয়াকতুল আও ইয়াগলিব ফাসাওফা নু’তীহি আজরান আযীমা।
(৩) আল্লাহর পথে লড়াই করা উচিত তাদের যারা দুনিয়ার জীবনকে বিক্রি করে দেয় আখিরাতের বিনিময়ে। আর যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয় অথবা গাজী হয় উভয়কে আমি সীমাহীন প্রতিবাদ দেবো। (সূরা নিসা : ৭৪)
بَلى مَنْ اَوْفي بِعَهْدِه وَاتَّقي فَاِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِيْنَ ـ
উচ্চারণ: : বালা মান আওফা’হদিহী ওয়াত্তাকা ফাইন্নাল্লাহা ইয়ুহিব্বুল মুত্তাকীন।
(৪) যে ব্যক্তি তার ওয়াদা (প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ করবে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করবে, সে আল্লাহ পাকের প্রিয়জন হবে। আর নিশ্চিতভাবে আল্লাহ পাক মুত্তাকীদের ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)
হাদীস
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ (رض) عَنِ النَّبِيْ (صلعم) قَالَ مَنْ مَاتَ وَلَيْسَ فِيْ عُنُقِه بَيْعَ’ُ مَاتَ مَيْتَةً جَاهِلِيْةً ـ (مسلم)
(১) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) রাসূলে পাক (সা) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,যে ব্যক্তি বাইয়াতের বন্ধন ছাড়াই মারা গেল সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুবরণ করল। (মুসলিম)
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنْ دِيْنَارٍ (رض) اَنَّهُ سًمِعَ اللهِ بْنْ عُمَرَ (رض) يُقَوْلُ كُنَّا نَبَايِعْ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ يَقًُوْلُ لََنَا فِيْهَا اِسْتَطَيْعْتُمْ ـ (مسلم)
(২) আব্দুল্লাহ ইবনে দিনার (রা) হতে বর্ণিত, তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা রাসূল (সা) এর কাছে বাইয়াত গ্রহণ করতাম, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপর এবং তিনি আমাদের সামর্থ্য উক্ত আমল করার অনুমতি দিয়েছেন। (মুসলিম)
কুরআন
اِنَّ اللهَ اشْتَري مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اَنْفُسِهُمْ وَاَمْوَالَهُمْ بِاَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ط يُقَاتِلُوْنَ فِيْ سِبِيْلِ اللهِ فِي سِبِيْلِ اللهَ فِيْقَتُلُوْنَ وَيُقْتَلَوْنَ قف وَعْدًا عَلَيْه حَقَّا فِي التَّوْرةِ وَالاْنْجِيْلِ وَالْقُوْانِ ط وَمَنْ اَوْفِي بَعَهْدِه مِنَ اللهَ فَاسْتَبْشِرُوْا بِبَيْعِكُمْ الَّذِيْ بَايَعْتُمْ بِه ط وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ ـ
উচ্চারণ: : ইন্নাশাহাশতারা মিনাল মু’মিনীনা আনফুছাহুম অআমওয়ালাহুম বিআন্না লাহুমুল জ্বান্নাহ, ইয়ুক্বাতিলূনা ফী সাবীলিল্লাহি ফাইয়াক্বতুলূনা। অইয়ুক্বতালূন: অ’দান আলাইহি হাক্কান ফিত তাওরাতি অল ইনজীলি অলকুরআন; অমান আওফা বি’আহদিহী মিনাল্লাহি ফাছাতাবশিরূ বিবাই’ইকুমুল্লাযী বাইয়া’তুম বিহী; অযালিকা হুয়াল ফাওযুল আযীম।
(১) নিশ্চয় আল্লাহ খরিদ করে নিয়েছেন মুমিনদের থেকে তাদের জ্ঞান ও তাদের মাল এর বিনিময়ে যে, অবশ্যই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে, কখনও হত্যা করে এবং কখনও নিহত হয়। তাওরাত ও কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে। আল্লাহর চাইতে নিজের ওয়াদা অধিক পালনকারী আর কে আছে? সুতরাং তোমরা আনন্দ কর তোমাদের সে সওদার জন্য যা তোমরা তাঁর সাথে করেছ। আর তা হল বিরাট সাফল্য।
اِنِّ الَّذِيْنَ يُبَايُعُْوْنَكَ اِنَّمَا يُباَيِعُوْنَ اللهَ ـ يَدُ اللهَ فِوْقَ اَيْدِيْهِمْ ـ
উচ্চারণ: : ইন্নাযীনা ইয়ুবায়িউ’নাকা ইন্নামা ইয়ুবায়িই’নাল্লাহা, ইয়াদুল্লাহি ফাওকা আইদিহিম।
(১) হে রাসূল! যেসব লোক আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল, তারা আসলে আল্লাহর নিকটই বাইয়াত হচ্ছিল। তাদের হাতের উপর আল্লাহর কৃদরতের হাত ছিল।
لَقَدْ رَضْيِ اللهَ عَنِ الْمُؤْمِنُوْنَ اِذْ يُبَايِعُوْنَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ ـ
উচ্চারণ: : লাকাদ রাদিয়াল্লাহু আ’নিল মু’মিনীনা ইয ইয়ুবায়িউ’নাকা তাহতাশ শাজারাহ।
(২) হে রাসূল! আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা গাছের নীচে আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল। (সূরা ফাতহ : ১৮)
فَلْيُقَاتِلْ فِيْ سَبِيْلِ اللهَ الًّذِيْنَ يَشْرُوْنَ الْحَيوَةَ الدُّنْيَا بِالاَخِرَةِ ـ وَمَنْ يًُّقَاتِلْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ فِيُقْتَلْ اَوْيَغْلِبْ فِسُوْفَ نُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمَا ـ
উচ্চারণ: : ফালইয়ুকাতিল ফী সাবীল্লাযীনা ইয়াশরূনাল হায়াতাদ দুনইয়া বিলআখিরাতি, ওয়া মাই ইয়ূকাতিল ফী সাবীলিল্লাহি ফালইয়াকতুল আও ইয়াগলিব ফাসাওফা নু’তীহি আজরান আযীমা।
(৩) আল্লাহর পথে লড়াই করা উচিত তাদের যারা দুনিয়ার জীবনকে বিক্রি করে দেয় আখিরাতের বিনিময়ে। আর যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয় অথবা গাজী হয় উভয়কে আমি সীমাহীন প্রতিবাদ দেবো। (সূরা নিসা : ৭৪)
بَلى مَنْ اَوْفي بِعَهْدِه وَاتَّقي فَاِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِيْنَ ـ
উচ্চারণ: : বালা মান আওফা’হদিহী ওয়াত্তাকা ফাইন্নাল্লাহা ইয়ুহিব্বুল মুত্তাকীন।
(৪) যে ব্যক্তি তার ওয়াদা (প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ করবে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করবে, সে আল্লাহ পাকের প্রিয়জন হবে। আর নিশ্চিতভাবে আল্লাহ পাক মুত্তাকীদের ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)
হাদীস
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ (رض) عَنِ النَّبِيْ (صلعم) قَالَ مَنْ مَاتَ وَلَيْسَ فِيْ عُنُقِه بَيْعَ’ُ مَاتَ مَيْتَةً جَاهِلِيْةً ـ (مسلم)
(১) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) রাসূলে পাক (সা) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,যে ব্যক্তি বাইয়াতের বন্ধন ছাড়াই মারা গেল সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুবরণ করল। (মুসলিম)
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنْ دِيْنَارٍ (رض) اَنَّهُ سًمِعَ اللهِ بْنْ عُمَرَ (رض) يُقَوْلُ كُنَّا نَبَايِعْ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ يَقًُوْلُ لََنَا فِيْهَا اِسْتَطَيْعْتُمْ ـ (مسلم)
(২) আব্দুল্লাহ ইবনে দিনার (রা) হতে বর্ণিত, তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা রাসূল (সা) এর কাছে বাইয়াত গ্রহণ করতাম, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপর এবং তিনি আমাদের সামর্থ্য উক্ত আমল করার অনুমতি দিয়েছেন। (মুসলিম)
আনুগত্য
কুরআন
يَآَيُّهَا االَّذِيْنَ اَمَنُوا اَطَيْعُوْا اللهَ وَاَطِيْعُوْا الرَّسُوْالَ وَاُوْلِيْ الاَمْرِ مِنْكُمْ ـ (نساء :59)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ আতিক’ল্লাহা ওয়া আতিউ’র রাসূলা ওয়া উ’লিল আমরি মিনকুম।
(১) হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে থেকে যে উকিল আমর তার আনুগত্য কর। (সূরা নিসা : ৫৯)
وَمَنْ يٌُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَه يُدْخِلْهُ جَنَّتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الاَنْهَارُ خلِدِيْنَ فِيْهَا ـ وَذَلِكَ الْفَوْزُ العَظِيْمُ ـ (نساء : 13)
উচ্চারণ: : ওয়া মাই ইয়ুতিয়ি’ল্লাহা ওয়া রাসূলাহূ ইয়ুদখিলহু জান্নাতিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারি খালিদীনা ফীহা, ওয়া যালিকাল ফাউযুল আযীম।
(২) যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, আল্লাহ তাকে এমন জান্নাতে দাখিল করবেন যার নির্দেশ হতে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হতে থাকবে এবং তারা অনন্তকাল তাতে অবস্থান করবে। আর প্রকৃতপক্ষে তাই হচ্ছে বিরাট সফলতা। (সূরা : নিসা :১৩)
وَاَطِيْعُوْا اللهَ وَالرَّسُوْلَ لَعَلَّّكُمْ تُرْحَمُوْنَ ـ امران : 132)
উচ্চারণ: : ওয়া আতীউ’ল্লাহ ওয়াররাসূলা লাআ’ল্লাকুম তুরহামূন।
(৩) এবং আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম মেনে নাও, যাতে দয়া করা যায়। (সূরা আলে ইমরান : ১৩২)
وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَه وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَأُوْلئِكَ هُمْ الْفَائِزُوْنَ ـ (النور : 52)
উচ্চারণ: : ওয়া মাই ইয়ুতিয়ি’ল্লাহা ওয়া রাসূল্লাহূ ওয়া ইয়াখশাল্লাহা ওয়া ইয়াতকহি ফাউলাইকা হুমুল ফাইযুন।
(৪) আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে এবং আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর নাফরমানী হতে দূরে থাকে এসব লোকই সফলকাম হবে। (সূরা আন-নূর : ৫২)
وَاَنْ تُطِيْعُوْهُ تَهْتَدُوْا ـ وَمَا عَلَى الرَّسُوْلِ اِلاَّ الْبَلغُ الْمُبِيْنَ ـ
উচ্চারণ: : ওয়া ইন-তুতীউ’হু তাহতাদূ, ওয়া মা আ’লার রাসূলি ইল্লাল বালাগুল মুবীন।
(৫) যদি তোমরা রাসূলের আনুগত্য কর, তাহলে হেদায়েতপ্রাপ্ত হবে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র দ্বীনের দাওয়াত সুস্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দেয়া। (সূরা আন-নূর : ৫৪)
অনুসন্ধান করুন (সূরা নিসা : ৬৫, সূরা মুহাম্মাদ : ৩, সূরা মায়েদা : ২)
হাদীস
عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) اَنَّ رَسُوْلُ اللهَ (ص) قَالَ مَنْ اَطَاعَنِيْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَقَدْ اَبِيْ ـ (بخاري)
(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো সে জান্নাতে প্রবেশ করলো, আর যে ব্যক্তি আমার বিরোধিতা করলো সে আমাকে অস্বীকার করলো। (বুখারী)
عَنْ عَلِيِّ (رض) قَاَلَ قَالَ رَسُوْلُ اللهَ (صلعم) لاَ طَاعَةَ فِيْ مَعْصِيْةِ اِنَّمَا الطَّاعَةُ فِيْ الْمَعْرُوْفِ ـ (بخاري ـ مسلم)
(২) হযরত আলী (রা) বলেন, নবী করীম (সা) বলেছেন, গোনাহের কাজে কোন আনুগত্য নেই, আনুগত্য শুধু নেক কাজের ব্যাপারে। (বুখারী, মুসলিম)
قَاَلَ رَسُوْلُ اللهَ (ص) مَِنْ اَطَاعَنِيْ فَقَدْ اَطَعَ اللهَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَقَدْ عَصَا اللهُ وَمَنْ يُّطِعِ الاَمِيْرَ فَقَدْ اَطَاعَنِيْ وَمَنْ عَصَي الاَمِيْرَ فَقَدْ عَصَانِيْ ـ (متفق عليه)
(৩) রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, যে আমার এতায়াত বা আনুগত্য করল সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে আমার হুকুম অমান্য করল সে আল্লাহর হুকুমই অমান্য করল। যারা আমীরের আনুগত্য করল তারা আমার আনুগত্য করল। আর যারা আমীরের আদেশ অমান্য করল সে প্রকৃতপক্ষে আমারই আদেশ অমান্য করল। (বুখারী, মুসলিম)
কুরআন
يَآَيُّهَا االَّذِيْنَ اَمَنُوا اَطَيْعُوْا اللهَ وَاَطِيْعُوْا الرَّسُوْالَ وَاُوْلِيْ الاَمْرِ مِنْكُمْ ـ (نساء :59)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ আতিক’ল্লাহা ওয়া আতিউ’র রাসূলা ওয়া উ’লিল আমরি মিনকুম।
(১) হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে থেকে যে উকিল আমর তার আনুগত্য কর। (সূরা নিসা : ৫৯)
وَمَنْ يٌُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَه يُدْخِلْهُ جَنَّتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الاَنْهَارُ خلِدِيْنَ فِيْهَا ـ وَذَلِكَ الْفَوْزُ العَظِيْمُ ـ (نساء : 13)
উচ্চারণ: : ওয়া মাই ইয়ুতিয়ি’ল্লাহা ওয়া রাসূলাহূ ইয়ুদখিলহু জান্নাতিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারি খালিদীনা ফীহা, ওয়া যালিকাল ফাউযুল আযীম।
(২) যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, আল্লাহ তাকে এমন জান্নাতে দাখিল করবেন যার নির্দেশ হতে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হতে থাকবে এবং তারা অনন্তকাল তাতে অবস্থান করবে। আর প্রকৃতপক্ষে তাই হচ্ছে বিরাট সফলতা। (সূরা : নিসা :১৩)
وَاَطِيْعُوْا اللهَ وَالرَّسُوْلَ لَعَلَّّكُمْ تُرْحَمُوْنَ ـ امران : 132)
উচ্চারণ: : ওয়া আতীউ’ল্লাহ ওয়াররাসূলা লাআ’ল্লাকুম তুরহামূন।
(৩) এবং আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম মেনে নাও, যাতে দয়া করা যায়। (সূরা আলে ইমরান : ১৩২)
وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَه وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَأُوْلئِكَ هُمْ الْفَائِزُوْنَ ـ (النور : 52)
উচ্চারণ: : ওয়া মাই ইয়ুতিয়ি’ল্লাহা ওয়া রাসূল্লাহূ ওয়া ইয়াখশাল্লাহা ওয়া ইয়াতকহি ফাউলাইকা হুমুল ফাইযুন।
(৪) আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে এবং আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর নাফরমানী হতে দূরে থাকে এসব লোকই সফলকাম হবে। (সূরা আন-নূর : ৫২)
وَاَنْ تُطِيْعُوْهُ تَهْتَدُوْا ـ وَمَا عَلَى الرَّسُوْلِ اِلاَّ الْبَلغُ الْمُبِيْنَ ـ
উচ্চারণ: : ওয়া ইন-তুতীউ’হু তাহতাদূ, ওয়া মা আ’লার রাসূলি ইল্লাল বালাগুল মুবীন।
(৫) যদি তোমরা রাসূলের আনুগত্য কর, তাহলে হেদায়েতপ্রাপ্ত হবে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র দ্বীনের দাওয়াত সুস্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দেয়া। (সূরা আন-নূর : ৫৪)
অনুসন্ধান করুন (সূরা নিসা : ৬৫, সূরা মুহাম্মাদ : ৩, সূরা মায়েদা : ২)
হাদীস
عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) اَنَّ رَسُوْلُ اللهَ (ص) قَالَ مَنْ اَطَاعَنِيْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَقَدْ اَبِيْ ـ (بخاري)
(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো সে জান্নাতে প্রবেশ করলো, আর যে ব্যক্তি আমার বিরোধিতা করলো সে আমাকে অস্বীকার করলো। (বুখারী)
عَنْ عَلِيِّ (رض) قَاَلَ قَالَ رَسُوْلُ اللهَ (صلعم) لاَ طَاعَةَ فِيْ مَعْصِيْةِ اِنَّمَا الطَّاعَةُ فِيْ الْمَعْرُوْفِ ـ (بخاري ـ مسلم)
(২) হযরত আলী (রা) বলেন, নবী করীম (সা) বলেছেন, গোনাহের কাজে কোন আনুগত্য নেই, আনুগত্য শুধু নেক কাজের ব্যাপারে। (বুখারী, মুসলিম)
قَاَلَ رَسُوْلُ اللهَ (ص) مَِنْ اَطَاعَنِيْ فَقَدْ اَطَعَ اللهَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَقَدْ عَصَا اللهُ وَمَنْ يُّطِعِ الاَمِيْرَ فَقَدْ اَطَاعَنِيْ وَمَنْ عَصَي الاَمِيْرَ فَقَدْ عَصَانِيْ ـ (متفق عليه)
(৩) রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, যে আমার এতায়াত বা আনুগত্য করল সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে আমার হুকুম অমান্য করল সে আল্লাহর হুকুমই অমান্য করল। যারা আমীরের আনুগত্য করল তারা আমার আনুগত্য করল। আর যারা আমীরের আদেশ অমান্য করল সে প্রকৃতপক্ষে আমারই আদেশ অমান্য করল। (বুখারী, মুসলিম)
তাকওয়া
কুরআন
1. اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ اَتَقكُمْ ـ اِنَّ اللهَ عَلَيْمٌ خَبَيْرٌ ـ (حجرات ـ 13)
উচ্চারণ: : ইন্না আকরামাকুম ইন’দাল্লাহি আতকাকুম, ইন্নাল্লাহা আ’লীমুন খাবীর।
(১) নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত, যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাভীরু। নি:সন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত। (সূরা-হুজরাত : ১৩)
يَآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا التَّقُوْ اللهَ حَقَّ تُقَاتِه وَلاَ تَمُوْتُنَّ اِلاً وَاَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ ـ (ال عمران ـ 102)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূতু তাকাল্লাহা হাক্কা তুকাতিহী ওয়া লা তামূতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমূন।
(২) হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাকে যেরূপ ভয় করা উচিত। তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান : ১০২)
وَمَااتَكُمْ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَانَهَكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوَا وَاتَّقُوْا اللهَ اَنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ ـ (الحشر : 7)
উচ্চারণ: : ওয়া মা আতাকুমুর রাসূল ফাখযূহু ওয়া মা নাহাকুম আ’নহু ফানতাহূ ওয়াত্তাকুল্লাহা ইন্নাল্লাহা শাদীদুল ই’কাব।
(৩) রাসূল তোমাদের যা দান করেন তা তোমরা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা (সূরা হাশর : ৭)
অনুসন্ধান করুন : (সূরা মায়েদা : ৪, ৭, সূরা : ১৮, সূরা আযহাব : ৭০)
يَآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا لِمَ تَقُوْلُوْنَ مَالاَ تَفْعَلُوْنَ ـ كَبُرَ مَقْتًا عَنْدَ اللهِ اَنْ تَقُوْلُوْا مَالاَ تَقُوْلُوْا مَالاَ تَفْعَلُوْنَ ـ (الصف : 2,3)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ লিমা তাকুলূনা মালা তাফআলূন। কাবুরা মাকতান ই’নদাল্লাহি আন তাকূলূ তাফআ’লূন।
(৪) হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা করো না, তা তোমরা কেনো বলো? আল্লাহর কাছে এটা খুবই অপছন্দনীয় যে, তোমরা যা করো না তা তোমরা বলো। (সূরা ছফ : ২,৩)
হাদীস
عَنْ عَطَيَّةَ السَّعْدِيْ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (ص) يَبْلُغُ الْعَبْدُ اَنْ تَكُوْنَ مِنَ الْمُتَّقِيْنَ حَتّى يَدَعَ مَالاَ بَاسَ بِه حَذَرًا لِّمَا بِه بَاسَ ـ (ترمذي ـ ابن ماجه)
(১) আতিয়া আস-সাদী (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, কোন ব্যক্তি পাপ কাজ জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যেসব কাজে গুনাহ নেই তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত খোদাভীরু লোকদের শ্রেণীভূক্ত হতে পারে না। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
عَنْ عَائِشَةَ (رض) اَنَّ رَسُوْلَ اللهَ (صلعم) قَالَ يَاعَائِشَةُ اِيُّاكَ وَمُحَقِّرَاتِ الذُّنُوْبِ فِانَّ لَهَا مِنَ اللهِ طَالِبًا ـ (ابن ماجة)
(২) হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, হে আয়েশা! ক্ষুদ্রু ও নগণ্য গুনাহ থেকে ও আত্মরক্ষা করে চলবে। কারণ আল্লাহর দরবারে সেগুলো সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (ইবনে মাজাহ)
عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) اَلْمُسْلِمُ اَخُوْالْمُسْلِمُ اَلاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يَخْذُلُهُ وَلاَيَحْقِرْهُ التَّقْوي هَهُنَا وَيُشِيْرُ اِلى صَدْرِه ثَلثَ مِرَارٍ بِحَسْبِ اِمْرِءٍ مِنَ الشَّرِاَنْ يُّحْقِرَ اَخَاهُ الْمُسْلِمِ كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَي الْمُسْلِمِ حَرَامُ دَمُه وَمَالَه عِرْضُه ـ
(৩) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না, তাকে অসহায় অবস্থায় পরিত্যাগও করবে না এবং তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করে বলেন, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে। কোল লোকের নিকৃষ্ট সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। প্রতিটি মুসলমানের জীবন, ধন-সম্পদ ও মান-সম্মান সকল মুসলমানের সম্মানের বস্তু (এর উপর হস্তক্ষেপ করা তাদের জন্য হারাম)। (মুসলিম)
কুরআন
1. اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ اَتَقكُمْ ـ اِنَّ اللهَ عَلَيْمٌ خَبَيْرٌ ـ (حجرات ـ 13)
উচ্চারণ: : ইন্না আকরামাকুম ইন’দাল্লাহি আতকাকুম, ইন্নাল্লাহা আ’লীমুন খাবীর।
(১) নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত, যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাভীরু। নি:সন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত। (সূরা-হুজরাত : ১৩)
يَآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا التَّقُوْ اللهَ حَقَّ تُقَاتِه وَلاَ تَمُوْتُنَّ اِلاً وَاَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ ـ (ال عمران ـ 102)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূতু তাকাল্লাহা হাক্কা তুকাতিহী ওয়া লা তামূতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমূন।
(২) হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাকে যেরূপ ভয় করা উচিত। তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান : ১০২)
وَمَااتَكُمْ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَانَهَكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوَا وَاتَّقُوْا اللهَ اَنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ ـ (الحشر : 7)
উচ্চারণ: : ওয়া মা আতাকুমুর রাসূল ফাখযূহু ওয়া মা নাহাকুম আ’নহু ফানতাহূ ওয়াত্তাকুল্লাহা ইন্নাল্লাহা শাদীদুল ই’কাব।
(৩) রাসূল তোমাদের যা দান করেন তা তোমরা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা (সূরা হাশর : ৭)
অনুসন্ধান করুন : (সূরা মায়েদা : ৪, ৭, সূরা : ১৮, সূরা আযহাব : ৭০)
يَآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا لِمَ تَقُوْلُوْنَ مَالاَ تَفْعَلُوْنَ ـ كَبُرَ مَقْتًا عَنْدَ اللهِ اَنْ تَقُوْلُوْا مَالاَ تَقُوْلُوْا مَالاَ تَفْعَلُوْنَ ـ (الصف : 2,3)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ লিমা তাকুলূনা মালা তাফআলূন। কাবুরা মাকতান ই’নদাল্লাহি আন তাকূলূ তাফআ’লূন।
(৪) হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা করো না, তা তোমরা কেনো বলো? আল্লাহর কাছে এটা খুবই অপছন্দনীয় যে, তোমরা যা করো না তা তোমরা বলো। (সূরা ছফ : ২,৩)
হাদীস
عَنْ عَطَيَّةَ السَّعْدِيْ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (ص) يَبْلُغُ الْعَبْدُ اَنْ تَكُوْنَ مِنَ الْمُتَّقِيْنَ حَتّى يَدَعَ مَالاَ بَاسَ بِه حَذَرًا لِّمَا بِه بَاسَ ـ (ترمذي ـ ابن ماجه)
(১) আতিয়া আস-সাদী (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, কোন ব্যক্তি পাপ কাজ জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যেসব কাজে গুনাহ নেই তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত খোদাভীরু লোকদের শ্রেণীভূক্ত হতে পারে না। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
عَنْ عَائِشَةَ (رض) اَنَّ رَسُوْلَ اللهَ (صلعم) قَالَ يَاعَائِشَةُ اِيُّاكَ وَمُحَقِّرَاتِ الذُّنُوْبِ فِانَّ لَهَا مِنَ اللهِ طَالِبًا ـ (ابن ماجة)
(২) হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, হে আয়েশা! ক্ষুদ্রু ও নগণ্য গুনাহ থেকে ও আত্মরক্ষা করে চলবে। কারণ আল্লাহর দরবারে সেগুলো সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (ইবনে মাজাহ)
عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) اَلْمُسْلِمُ اَخُوْالْمُسْلِمُ اَلاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يَخْذُلُهُ وَلاَيَحْقِرْهُ التَّقْوي هَهُنَا وَيُشِيْرُ اِلى صَدْرِه ثَلثَ مِرَارٍ بِحَسْبِ اِمْرِءٍ مِنَ الشَّرِاَنْ يُّحْقِرَ اَخَاهُ الْمُسْلِمِ كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَي الْمُسْلِمِ حَرَامُ دَمُه وَمَالَه عِرْضُه ـ
(৩) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না, তাকে অসহায় অবস্থায় পরিত্যাগও করবে না এবং তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করে বলেন, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে। কোল লোকের নিকৃষ্ট সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। প্রতিটি মুসলমানের জীবন, ধন-সম্পদ ও মান-সম্মান সকল মুসলমানের সম্মানের বস্তু (এর উপর হস্তক্ষেপ করা তাদের জন্য হারাম)। (মুসলিম)
পর্দা
কুরআন
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوَا مِنْ اَبْصَارِهِمْ وَيَحْفِظُوْا فُرُوْجُهُمْ ذَلِكَ اَزْكى لَهُمْ ـ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَايَصْنَعُوْنَ ـ (نور ـ 30)
উচ্চারণ: : কুল লিলমু’মিনীনা ইয়াগদূ মিন আবছারিহিম ওয়া ইয়াহফাযূ ফুরূজাহুম যালিকা আযকা লাহুম, ইন্নাল্লাহা খাবীরুন বিমা ইয়াছনাউ’ন।
(১) হে নবী! মুমিন পুরুষদের বল; তারা যেন নিজেদের চোখকে বাঁচিয়ে চলে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাযত করে। ইহা তাদের পক্ষে পবিত্রতম নীতি। তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত। (সূরা আন-নূর: ৩০)
وَالَّذِيْنَ هُمْ لِفُوْرُوْجِهِمْ حفِظُوْنَ ـ (المؤمنون ـ 5)
উচ্চারণ: : ওয়াল্লাযীনা হুম লিফুরুজিহিম হাফিযূন।
(২) (মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে) তারা তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। (সূরা মু’মিনুন: ৫)
وَقِرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ وَلاَتَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةَ اْلاُوْلى ـ (الاحزاب : 33)
(৩) আর তোমরা নিজেদেরে ঘরে অবস্থান কর। পূর্বতন জাহেলী যুগের মত সেঁজেগুজে নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়িও না। (সূরা আহযাব: ৩৩)
يآيُّهَا الَّذِيْنَا امَنُوْا لاَتَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غِيْرَ بُيوْتِكُمْ حَتَّى تَسْتَانِسُوْا وَتُسَلِّمُوْا عَلىِ اَهْلِهَا ـ ذَلِكُمْ خِيْرٌلَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ ـ (النور : 27)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ লা তাদখুল বুইয়ূতান গাইরা বুইতিকুম হাত্তা তাসতা’নিসূ ওয়া তুসাল্লিম আ’লা আহলিহা, যালিকুম খাইরুল লাকুম লাআ’ল্লাকুম তাযাক্কারুন।
(৪) হে ঈমানদার লোকেরা নিজেদের ঘর ব্যতীত অন্য ঘরে প্রবেশ কর না। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘরের লোকদের নিকট হতে অনুমতি না পাও ও ঘরের লোকদের প্রতি সালাম না পাঠাও। এ নিয়ম তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আশা করা যায় যে, তোমরা এর প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখবে। (সূরা আন-নূর: ২৭)
হাদীস
وَعَنْ جَرِيْنِ عِنْدِ اللهِ (رض) قَالَ سَالْتُ رَسُوْلَ اللهِ (صلعم) عَنْ نَظرِ الْفُجَاءَةَ فَاَمَرَنِيْ اِنْ اَصْرِفَ بَصَرَكَ ـ (مسلم)
(১) হযরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে এই মর্মে প্রশ্ন করেছিলাম যে, হঠাৎ যদি কোন মহিলার উপর দৃষ্টি নিপতিত হয়, তাহলে কি করতে হবে? হুযুর (সা) আমাকে নির্দেশ দিলেন যে, তুমি তোমার দৃষ্টিকে কালবিলম্ব না করে ফিরিয়ে নেবে। (মুসলিম)
وَعَنْ اِبْنِ مَسْعُوْدٍ (رض) عَنْ النَّبِيِّ (صلعم) قَالَ اَلْمَرْأَةُ عَوْرَةُ فَاِذَا خَرَجَتْ اِسْتَشْرَ فَهَا الشَّيْطَانُ ـ (ترمذى)
(২) ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সা) বলেছেন, মহিলারা হল পর্দায় থাকার বস্তু। সুতরাং তারা যখন (পর্দা উপেক্ষা করে) বাইরে আসে, তখন শয়তান তাদেরকে (অন্য পুরুষের চোখে) সুসজ্জিত করে দেখায়। (তিরমিযী)
اِنَّ النَّظْرَ سَهَمٌ مِنْ سَهَمِ اِبْلِيْسَ مَسْمُوْمُ مَنْ تَرَكَهَا مَخَافَتِيْ اَبْدَلْتَهُ اِيْمَانًا يَجِدُ حَلاَوَتَهُ فِيْ قَلْبِه ـ (ترمذى)
(৩) দৃষ্টি তো ইবলীসের বিষাক্ত তীরগুলোর মধ্যে একটি। যে ব্যক্তি আমাকে ভয় করে এ দৃষ্টি ত্যাগ করবে, তার বিনিময়ে আমি তাকে এমন ঈমান দেব, যার স্বাদ সে অন্তরে অনুভব করতে পারবে। (তিরমিযী)
কুরআন
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوَا مِنْ اَبْصَارِهِمْ وَيَحْفِظُوْا فُرُوْجُهُمْ ذَلِكَ اَزْكى لَهُمْ ـ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَايَصْنَعُوْنَ ـ (نور ـ 30)
উচ্চারণ: : কুল লিলমু’মিনীনা ইয়াগদূ মিন আবছারিহিম ওয়া ইয়াহফাযূ ফুরূজাহুম যালিকা আযকা লাহুম, ইন্নাল্লাহা খাবীরুন বিমা ইয়াছনাউ’ন।
(১) হে নবী! মুমিন পুরুষদের বল; তারা যেন নিজেদের চোখকে বাঁচিয়ে চলে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাযত করে। ইহা তাদের পক্ষে পবিত্রতম নীতি। তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত। (সূরা আন-নূর: ৩০)
وَالَّذِيْنَ هُمْ لِفُوْرُوْجِهِمْ حفِظُوْنَ ـ (المؤمنون ـ 5)
উচ্চারণ: : ওয়াল্লাযীনা হুম লিফুরুজিহিম হাফিযূন।
(২) (মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে) তারা তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। (সূরা মু’মিনুন: ৫)
وَقِرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ وَلاَتَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةَ اْلاُوْلى ـ (الاحزاب : 33)
(৩) আর তোমরা নিজেদেরে ঘরে অবস্থান কর। পূর্বতন জাহেলী যুগের মত সেঁজেগুজে নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়িও না। (সূরা আহযাব: ৩৩)
يآيُّهَا الَّذِيْنَا امَنُوْا لاَتَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غِيْرَ بُيوْتِكُمْ حَتَّى تَسْتَانِسُوْا وَتُسَلِّمُوْا عَلىِ اَهْلِهَا ـ ذَلِكُمْ خِيْرٌلَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ ـ (النور : 27)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ লা তাদখুল বুইয়ূতান গাইরা বুইতিকুম হাত্তা তাসতা’নিসূ ওয়া তুসাল্লিম আ’লা আহলিহা, যালিকুম খাইরুল লাকুম লাআ’ল্লাকুম তাযাক্কারুন।
(৪) হে ঈমানদার লোকেরা নিজেদের ঘর ব্যতীত অন্য ঘরে প্রবেশ কর না। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘরের লোকদের নিকট হতে অনুমতি না পাও ও ঘরের লোকদের প্রতি সালাম না পাঠাও। এ নিয়ম তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আশা করা যায় যে, তোমরা এর প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখবে। (সূরা আন-নূর: ২৭)
হাদীস
وَعَنْ جَرِيْنِ عِنْدِ اللهِ (رض) قَالَ سَالْتُ رَسُوْلَ اللهِ (صلعم) عَنْ نَظرِ الْفُجَاءَةَ فَاَمَرَنِيْ اِنْ اَصْرِفَ بَصَرَكَ ـ (مسلم)
(১) হযরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে এই মর্মে প্রশ্ন করেছিলাম যে, হঠাৎ যদি কোন মহিলার উপর দৃষ্টি নিপতিত হয়, তাহলে কি করতে হবে? হুযুর (সা) আমাকে নির্দেশ দিলেন যে, তুমি তোমার দৃষ্টিকে কালবিলম্ব না করে ফিরিয়ে নেবে। (মুসলিম)
وَعَنْ اِبْنِ مَسْعُوْدٍ (رض) عَنْ النَّبِيِّ (صلعم) قَالَ اَلْمَرْأَةُ عَوْرَةُ فَاِذَا خَرَجَتْ اِسْتَشْرَ فَهَا الشَّيْطَانُ ـ (ترمذى)
(২) ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সা) বলেছেন, মহিলারা হল পর্দায় থাকার বস্তু। সুতরাং তারা যখন (পর্দা উপেক্ষা করে) বাইরে আসে, তখন শয়তান তাদেরকে (অন্য পুরুষের চোখে) সুসজ্জিত করে দেখায়। (তিরমিযী)
اِنَّ النَّظْرَ سَهَمٌ مِنْ سَهَمِ اِبْلِيْسَ مَسْمُوْمُ مَنْ تَرَكَهَا مَخَافَتِيْ اَبْدَلْتَهُ اِيْمَانًا يَجِدُ حَلاَوَتَهُ فِيْ قَلْبِه ـ (ترمذى)
(৩) দৃষ্টি তো ইবলীসের বিষাক্ত তীরগুলোর মধ্যে একটি। যে ব্যক্তি আমাকে ভয় করে এ দৃষ্টি ত্যাগ করবে, তার বিনিময়ে আমি তাকে এমন ঈমান দেব, যার স্বাদ সে অন্তরে অনুভব করতে পারবে। (তিরমিযী)
ত্যাগ / কুরবানী/পরীক্ষা
কুরআন
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيٍْ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوْعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الاَمْوَالِ وَاْلاَنْفُسِ وَالثَّمَرتِ وَبَشِّرِ الصّبِرِيْنَ ـ
উচ্চারণ: : ওয়া লানাবলুওয়ান্নাকুম বিশাইয়িন মিনাল খাওফি ওয়াল জুয়ি ওয়া নাকছিম মিনাল আমওয়ালি ওয়াল আনফুসি ওয়াছ ছামারাতি ওয়া বাশশিরিছ ছাবিরীন।
(১) নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয় ভীতি (ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি) ক্ষুধা এবং মাল,জান ও ফল-ফসলের ক্ষতির দ্বারা। আর ধৈর্য অবলম্বনকারীদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা : বাকারা : ১৫৫)
أَحَسِبَ النَّاسُ اَنْ يُّتْرَكُوْا اَنْ يَّقُوْلُوْا امَنَّا وَهُمْ لاَيُفْتَنُوْنَ ـ وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمُنَّ اللهُ الَّذِيْنَ صَدَقُوْا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكذِبِيْنَ ـ (عنكبوت : 2-3)
উচ্চারণ: : আহাসিবান্নাসু আনই উতরাকূ আন ইয়াকূল আমান্না লা ইয়ুফতানূন, ওয়া লাকাদ ফাতান্নাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফালাইয়া লামান্নাল্লাহুযীনা ছাদাকূ ওয়াইয়া’লামান্নাল কাযিবীন।
(২) মানুষেরা কি মনে করেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি একথা বললেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের কোন পরীক্ষা হবে না? অথচ আমি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে পরীক্ষা করেছি। শেষ পর্যন্ত তোমাদের সকলকে আমাদের দিকেই আসতে হবে। (সূরা আম্বিয়া : ৩৫)
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ اْلَمَوْتِ ـ وَنَبْلُوْكُمْ بِالشَّرِّ وَالخَيْرِ فِتْنَةً وَاِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ ـ (انبياء : 35)
উচ্চারণ: : মা আছাবা মিম মুছিবাতিন ইল্লা বিইযনিল্লাহি, ওয়া মাই ইয়ুমিন বিল্লাহি ইয়াহদি কালবিহী, ওয়াল্লাহু বিকুল্লি শাইয়িন আ’লীম।
(৪) কোন বিপদ কখনও আসে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবগত। (সূরা তাগাবুন: ১১)
আরো দেখুন : সূরা বাকারা : ১৫৫, ২১৪, সূরা তওবা : ১১১, ১৬, সূরা আনয়াম : ১৬২, সূরা মুহাম্মাদ : ৩১।
হাদীস
عَنْ الْمِقدَادِيْنِ الاَسْوَادٍ (رض) قَالَ سَعْتُ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) يَقُوْلُ اِنَّ السَّعِيْدَ لِمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ ثَلاَثُا وَلَمَنِ ابْتُلِىْ فَصَبَرَ فَوَاهَا ـ (ابوداود)
(১) মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি নি:সন্দেহে সে ব্যক্তি সৌভাগ্যবান যে পরীক্ষা ফিতনা হতে মুক্ত আছে। রাসূল (সা) তিনবার এ কথাটি উচ্চারণ: করলেন। আর যে ব্যক্তিকে পরীক্ষায় ফেলা সত্ত্বেও সত্যের উপর অবিচল রয়েছে তার জন্য তো অশেষ ধন্যবাদ। (আবু দাউদ)
عَنْ اَنَسَ (رض) قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) يَاتِيْ عَلى النَّاسِ زَمَانٌ الصَّبْرُ فِيْهِمْ عِلى دِيْنِه كَالْقَابِضَ عَلَى الْجَمْرَ ـ (ترمذي)
(২) হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে যখন দ্বীনদারদের জন্যে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা জ্বলন্ত আঙ্গার হাতে রাখার মতো কঠিন হবে। (তিরমিযী)
وَعَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) اَلدُّنْيَا يِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ ـ (مسلم)
(৩) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, দুনিয়াটা হলো ঈমানদারদের জন্য কারাগার এবং কাফেরদের জন্য বেহেশত। (মুসলিম)
কুরআন
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيٍْ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوْعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الاَمْوَالِ وَاْلاَنْفُسِ وَالثَّمَرتِ وَبَشِّرِ الصّبِرِيْنَ ـ
উচ্চারণ: : ওয়া লানাবলুওয়ান্নাকুম বিশাইয়িন মিনাল খাওফি ওয়াল জুয়ি ওয়া নাকছিম মিনাল আমওয়ালি ওয়াল আনফুসি ওয়াছ ছামারাতি ওয়া বাশশিরিছ ছাবিরীন।
(১) নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয় ভীতি (ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি) ক্ষুধা এবং মাল,জান ও ফল-ফসলের ক্ষতির দ্বারা। আর ধৈর্য অবলম্বনকারীদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা : বাকারা : ১৫৫)
أَحَسِبَ النَّاسُ اَنْ يُّتْرَكُوْا اَنْ يَّقُوْلُوْا امَنَّا وَهُمْ لاَيُفْتَنُوْنَ ـ وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمُنَّ اللهُ الَّذِيْنَ صَدَقُوْا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكذِبِيْنَ ـ (عنكبوت : 2-3)
উচ্চারণ: : আহাসিবান্নাসু আনই উতরাকূ আন ইয়াকূল আমান্না লা ইয়ুফতানূন, ওয়া লাকাদ ফাতান্নাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফালাইয়া লামান্নাল্লাহুযীনা ছাদাকূ ওয়াইয়া’লামান্নাল কাযিবীন।
(২) মানুষেরা কি মনে করেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি একথা বললেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের কোন পরীক্ষা হবে না? অথচ আমি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে পরীক্ষা করেছি। শেষ পর্যন্ত তোমাদের সকলকে আমাদের দিকেই আসতে হবে। (সূরা আম্বিয়া : ৩৫)
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ اْلَمَوْتِ ـ وَنَبْلُوْكُمْ بِالشَّرِّ وَالخَيْرِ فِتْنَةً وَاِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ ـ (انبياء : 35)
উচ্চারণ: : মা আছাবা মিম মুছিবাতিন ইল্লা বিইযনিল্লাহি, ওয়া মাই ইয়ুমিন বিল্লাহি ইয়াহদি কালবিহী, ওয়াল্লাহু বিকুল্লি শাইয়িন আ’লীম।
(৪) কোন বিপদ কখনও আসে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবগত। (সূরা তাগাবুন: ১১)
আরো দেখুন : সূরা বাকারা : ১৫৫, ২১৪, সূরা তওবা : ১১১, ১৬, সূরা আনয়াম : ১৬২, সূরা মুহাম্মাদ : ৩১।
হাদীস
عَنْ الْمِقدَادِيْنِ الاَسْوَادٍ (رض) قَالَ سَعْتُ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) يَقُوْلُ اِنَّ السَّعِيْدَ لِمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ ثَلاَثُا وَلَمَنِ ابْتُلِىْ فَصَبَرَ فَوَاهَا ـ (ابوداود)
(১) মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি নি:সন্দেহে সে ব্যক্তি সৌভাগ্যবান যে পরীক্ষা ফিতনা হতে মুক্ত আছে। রাসূল (সা) তিনবার এ কথাটি উচ্চারণ: করলেন। আর যে ব্যক্তিকে পরীক্ষায় ফেলা সত্ত্বেও সত্যের উপর অবিচল রয়েছে তার জন্য তো অশেষ ধন্যবাদ। (আবু দাউদ)
عَنْ اَنَسَ (رض) قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) يَاتِيْ عَلى النَّاسِ زَمَانٌ الصَّبْرُ فِيْهِمْ عِلى دِيْنِه كَالْقَابِضَ عَلَى الْجَمْرَ ـ (ترمذي)
(২) হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে যখন দ্বীনদারদের জন্যে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা জ্বলন্ত আঙ্গার হাতে রাখার মতো কঠিন হবে। (তিরমিযী)
وَعَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) اَلدُّنْيَا يِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ ـ (مسلم)
(৩) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, দুনিয়াটা হলো ঈমানদারদের জন্য কারাগার এবং কাফেরদের জন্য বেহেশত। (মুসলিম)
1 comments:
Alhamdulillah. I have no perfect word to give you thanks. Just I say Jazakumullah Kairun. May Allah accept your all good deeds ameen. InshaaAllah if we work hard we will change our nation and islam will be only solution of next generation.
Syed Anwar
Accountant
England