শহীদ আনিসুর রহমান , শহীদ আল মাহমুদ, শহীদ ইবনুল ইসলাম পারভেজ (জুন,২০১৬)

  • আনিস ও মাহমুদ ছিল এলাকার মেধাবী ও ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত 
  • ঈদের আগ মুহূর্তে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আল্লাহ তায়ালা করবেন

পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রশিবিরের ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক সভাপতি মো. আনিসুর রহমান (২৬) ও শিবির নেতা শহীদ আল মাহমুদ (২৫) নিহত হয়েছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের দাবি করেছে । গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের উত্তরের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গ্রেফতারের ১৭ দিন পর পুলিশ ঠা-া মাথায় গুলী করে হত্যা করে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। অপরদিকে ছাত্রশিবিরের দুই নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত নাশকতা সৃষ্টির জন্য অবস্থান করছে। এ সময় ঝিনাইদহ সদর থানার টহল পুলিশ তেঁতুলবাড়িয়ার রাস্তায় টহল দিচ্ছিল। পরে তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের উত্তর মাঠের মধ্যে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলী চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। এতে পুলিশের এসআই প্রবীর, সদস্য রাব্বি ও তরিকুল আহত হন। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
শহীদি জনপদ ঝিনাইদহ থেকে বলছি !!
গত ১৬ জুন রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নাম্বার রোডের ১১ নাম্বার বাসার ৬ তলা থেকে ইবনুল ইসলাম পারভেজকে গ্রেফতার করে সাদা পোষাকে পুলিশ। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
ওনার সাথে গ্রেফতার হওয়া ঝিনাইদহ পলিটেকনিকের সাবেক ছাত্র আনিসুর রহমানকে গতরাতে ক্রসফায়ারের নামে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ভাইটির জন্যও কি এমন কিছু অপেক্ষা করছে ?
নিহতদের মধ্যে একজন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বদনপুর গ্রামের শহীদ আল মাহমুদ (২৫) বলে নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই আব্দুর রহিম। তার বাবার নাম রজব আলী বিশ্বাস। মাহমুদ ঝিনাইদহ আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পাস করেছেন। অন্যজনের নাম আনিস, বাড়ি কুষ্টিয়া বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তিনি ২০১৩-১৪ সালে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বাড়িতে চলে যান।

ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার শেখ আলতাফ হোসেন বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তিন পুলিশ সদস্যও সেখানে আহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন হলেন ঝিনাইদহ আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পাস করা শহীদ আল মাহমুদ (২৫)। তিনি একই উপজেলার বদনপুর গ্রামের রজব আলী বিশ্বাসের ছেলে। অপরজন আনিসুর রহমান (২৬) কুষ্টিয়া সদরের যোকিয়া ভাটপাড়া এলাকার সাত্তার হোসেনের ছেলে। এদের মধ্যে প্রথমজনকে ১৩ জুন পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও পুলিশ তা স্বীকার করেনি।



নিহতদের প্রতিবেশীরা জানান, আনিস ও মাহমুদ ছিল আমাদের এলাকার মেধাবী ও ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত । তাদের নামে এমন কোন অভিযোগ ছিল না যে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। তারপরেও আটকের ১৭ দিন পরে এভাবে কেন হত্যা করা হলো তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। অপরাধী হলে তাদের আইনের আওতায় আনা যেত। তা না করে ঈদের আগ মুহূর্তে রমযানের দিনে জুম্মাতুল বিদা’র রাতে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অনেকেই আল্লাহর দরবার দু’হাত তুলে মোনাজাত করে চিৎকার করে বলতে থাকেন-হে আল্লাহ এই জালেমদের বিচার এই জমিনে আমরা যেন দেখে মরতে পারি।

ঝিনাইদহে যে দুইজন কে নিয়ে পুলিশ বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়েছে তাদের ১ জনের নাম শহিদ আল মাহমুদ,ঝিনাইদহ শহর শাখার ছাত্রকল্যাণ বিভাগের জনশক্তি, সংগঠনের সাথী, তিনি ঝিনাইদহ সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার কামিল ১ম বর্ষের ছাত্র, গত ১৩ তারিখ রাতে নিজ বাড়িথেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ২য় জনের নাম আনিসুর রহমান গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া, তিনি ঝিনাইদহ সরকারী পলিটেকনিক কলেজ এর সাবেক সভাপতি, সংগঠনের সদস্য ছিল, বর্তমানে United International university,. B.Sc তে অধ্যয়নরত। গত ১৬ তারিখ রাতে মুহাম্মদ পুরের বাসাথেকে তাকেসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে নিহত শহীদ আল মাহমুদের বড় ভাই আব্দুর রহিম দাবি করেছেন, গত ১৩ জুন মধ্যরাতে পুলিশ পরিচয়ে একদল লোক বাড়ি থেকে তার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। তবে মাহমুদকে আটক বা গ্রেফতারের কোনো তথ্য নেই বলে দাবি করা হয়েছে ঝিনাইদহ সদর থানার পক্ষ থেকে। এ ধরনের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বা ‘ক্রসফায়ারে’ মোট ৬২ জন মারা গেছে; এর মধ্যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলীতে।




ঝিনাইদহে ফের কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরেক শিবির নেতা নিহত
ঝিনাইদহে ফের কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরেক শিবির নেতা নিহত শীর্ষ নিউজ, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর কবরস্থানে পুলিশের সাথে “বন্দুকযুদ্ধে” ইবনুল ইসলাম পারভেজ (২৯) নামে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছেন। আর এই কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের রাধামদন মঠের অনতিদূরে।

যেখানে শুক্রবার ভোরে মঠের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে।

পারভেজ ঝিনাইদহ শহেরের বনানীপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুই কনস্টেবল আরিফ ও সামান্ত কুমার আহত হন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ নিহতর পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারলেও লাশটি শিবির নেতা পারভেজের বলে তার স্বজনরা সকালে হাসপাতালে এসে সনাক্ত করে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। পুলিশের টহল যানটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মধুপুর কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ওসির ভাষ্যমতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছোড়ে। শুরু হয় সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধ। বন্দুকযুদ্ধের সময় অজ্ঞাতনামা এক যুবক নিহত হয়। 

নিহতর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, গত ১৬ জুন রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নাম্বার রোডের ১১  নাম্বার বাসার ৬ তলা থেকে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যায় পারভেজকে। পারভেজের সাথে আরো তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে শিবির নেতা শহীদ আল মাহমুদ ও আনিচুর রহমান শুক্রবার ভোরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মাঠে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন।

এদিকে বুধবার (২৯ জুন) শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ইবনুল ইসলাম পারভেজ,  শহীদ আল মাহমুদ ও আনিচুর রহমান তাদের কর্মী দাবী করে বিভিন্ন গনমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায়। এদিকে ঝিনাইদহ শহরের পাবলিক হেলথ জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন সোহেল রানা (২২) ২৮ দিন ধরে ও কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা এলাকার শিবির কর্মী সবুজ হোসেন ১০ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।

গত ৩ জুন শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর একটি কালে রংয়ের হাইয়েজ গাড়িতে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কে বা করা তাকে তুলে নিয়ে যায় রানাকে। সেই থেকে তার কোন সন্ধান নেই। সোহেল রানা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কামারকুন্ডু গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।

অন্যদিকে নলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সবুজকে বাড়ি থেকে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যায়।  তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সোহেল রানা ও সবুজকে আটক করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সকাল ৮ টার দিকে যশোর সদরের হৈবতপুর ইউনিয়নের জোড়াদহ গ্রামের একটি পুকুর থেকে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ পৌরসভা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবুজর গিফারি ও অপর নেতা শামীম হোসেনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।

গত ১৮ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঝিনাইদহ জামতলা মোড় থেকে দু’টি মোটরসাইকেলযোগে ৪ ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে যশোর এমএম কলেজের ছাত্র আবুজর গিফারি এবং ২৫ মার্চ ঝিনাইদহ কে সি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র শামীম হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সে সময় অভিযোগ করেছিল তাদের পরিবার ও ছাত্রশিবির।

ইন্নালিল্লাহ......
হারিয়ে গেল আমার মামা ,নামিরা নুমাঈরের প্রিয় ভাইয়া ।মন খারাপ থাকলে এখন আর তাদের ভাইয়া পার্কে নিয়ে যাবে না ...চকলেট এর প্যাকেট লুকিয়ে বাসায় দিয়ে যাবে না ।আমার মামাকে ওরা খুচিয়ে খুচিয়ে নির্যাতন করে শহীদ করল ।ইয়া আল্লাহ ..আমাদের হাসি গুলো কেড়ে নিচ্ছে ওরা ।প্রিয় মানুষ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে ...
মাবুদ শুধু তোমার দ্বীনকে ভালবেসে তোমার সন্তুষ্টির জন্য মেনে নিয়েছে সব ।তুমি তাকে কবুল কর ।শহীদের কাতারে সামিল কর ।
(ইবনুল ইসলাম পারভেজ ,দীর্ঘ দিন ঝিনাইদহ ডিবির হাতে গুম ছিল ,আজ ভোরে লাশ পাওয়া গেল ,জালিমের নির্যাতনে শহীদ হন)
 
#‎SaveJhenaidah‬
১২ এপ্রিল থেকে শুরু যে নির্মমতার শুরু ... ১, শহীদ হাফেজ জসিম উদ্দিন
২, শহীদ আবু জর গিফারি
৩, শহীদ শামিম মাহমুদ
৪, শহীদ মহিউদ্দিন সোহান

আর আজ রাতে আরো দুই নাম যুক্ত হয়েছে...
৫, শহীদ আনিসুর রহমান
৬, শহীদ শহিদ আল মাহমুদ
৭. শহীদ ইবনুল পারভেজ।

সবাইকে গ্রেফতার করে, কিছুদিন গুম রেখে, একই কায়দায় ক্রসফায়ারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শহীদ সোহানের দুইচোখ উপড়ে নিতেও তাদের ভেতর কাঁপেনি।


ঘাতক পুলিশ সদস্যরা চিহ্নিত, একদিন কড়ায় গন্ডায় হিসাব নেয়া হবে: শিবির
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, গ্রেপ্তারের ১৭ দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে শিবির নেতা শহিদ আল মাহমুদ ও আনিসুর রহমানকে ঝিনাইদহে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে হত্যা করা হয়। আমরা এই পুলিশি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। মুলত: পুলিশ তাদের দীর্ঘদিন আটক রেখে পুরোহিত হত্যার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী আদায়ের জন্য নির্মম নির্যাতন চালায়। শত নির্যাতনের পরেও মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে পুলিশ। আমরা মনে করি, সরকার সারাদেশে পরিকল্পিত ভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা করে এর দায়ভার ছাত্রশিবিরের উপর চাপিয়ে দমন নিপীড়নের ক্ষেত্র তৈরি করতে চাইছে। এইসব হত্যার সঙ্গে সরকার সরাসরি জড়িত।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, ন্যূনতম দায়িত্ববোধ থাকলে পুলিশ পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ ছাত্রদের নৃশংসভাবে হত্যা করতে পারত না। এ বর্বরতা কোনো পুলিশের কাজ হতে পারেনা বরং তা গুপ্তঘাতকের কাজ। একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণে পুলিশ তার স্বকীয়তা হারিয়ে জনগণের কাছে অবৈধ সরকারের গুপ্তঘাতক বাহিনী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আমরা মনে করি, পুলিশ কর্তৃক প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দায় সরকার এড়াতে পারে না। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যরা জগণের কাছে চিহ্নিত। সুতরাং জনগণের টাকায় লালিত আইনের পোশাকে গুপ্তঘাতকরা রেহাই পাবে না। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের হিসাব জনগণ কড়ায় গন্ডায় আদায় করবে। সময়ের ব্যবধানে অবৈধ সরকারের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ নামধারী ঘাতকদেরকেও কঠোর বিচারের সম্মুখ্যিন হতে হবে।
তারা বলেন, গত ১৩ জুন ঝিনাইদহ শহরের বদনপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ছাত্রশিবির নেতা শহিদ আল মাহমুদকে। পুলিশ সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে উপস্থিত জনতা তাদের মধ্য থেকে এসআই আমিনুর ও এসআই উজ্জলকে চিনতে পারে। অন্যদিকে ১৬ জুন রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নাম্বার রোডের ১১ নাম্বার বাসার ৬ তলা থেকে ছাত্রশিবির ঝিনাইদহ শহর শাখার সাবেক সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ, একই শাখার ছাত্রকল্যাণ ও আইন সম্পাদক এনামুল হক, ঝিনাইদহ পলিটেকনিকের সাবেক ছাত্র আনিসুর রহমানকে সাদা পোশাকদারী পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে পুলিশ। তাদের সন্ধানের দাবিতে সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রদান করা হয়। এদের মধ্য থেকে গত ২১ জুন স্বীকারোক্তির নাটক সাজিয়ে শিবির নেতা এনামুলকে গোপনে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বাকি তিন জনের সন্ধানের দাবিতে পরিবার ও সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিবৃতি এবং সংবাদ সম্মেলন করা হয়। একই দাবিতে ২১ জুন ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এত কিছুর পরও পুলিশ তাদের বর্বরতার অবস্থান থেকে ফিরে আসতে পারেনি।
শিবির নেতারা আরও বলেন, অবিলম্বে এই পরিকল্পিত গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুই শিবির নেতা হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে আমরা দেশের বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকদের এই রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে জাতিসংঘসহ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।



শহীদ ইবনুল ইসলাম পারভেজ ভাইয়ের ফেসবুক প্রোফাইল







এক শহীদের প্রোফাইল থেকে অন্য আরো দুজন শহীদের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া।।



৩১অক্টোবর ১৯৯৮সালে এই দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান দ্বিতীয় বর্ষের শেষ পরীক্ষা দিয়ে হল থেকে বের হয়েছিল মাত্র আওয়ামী পুলিশ নিরবিচারে গুলি করে সাদ্দাম হলের সামনে আমাদের প্রিয় মহসিন ভাইকে শহিদ করে ও নিরমম ভাবে আহত হন আল মামুন ভাই তিনিও ঢাকা যাওয়ার পথে শাহাদাৎ বরন করেন।আল্লাহ তুমি আমাদের ২ ভাইকে শাহাদাতের সরবচ্চ মর্যাদা দান করুন আমিন।তারা পরীক্ষা শেষ করে মায়ের কোলে ফিরতে পারেনি আল্লাহ তুমি তাদের মা কে সাথে নিয়ে জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ করে দিও








0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম