ভারতের পরলোকগত মনীষী হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ লিখিত একটি তাথ্যিক পুস্তিকা অবলম্বণ করে বলা যায় যে, পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আঃ) স্বর্গ হতে নেমে সর্বপ্রথম পদার্পণ করেছিলেন ভূমন্ডলের ভারত ভূমিতেই । জায়গাটা ছিল সিংহল, যেটা তখন ভারতেরই অর্ন্তভূক্ত ছিল ।
ইসলাম ধর্ম বলে, আল্লাহর প্রচূর পরিমাণে ফিরিশ্তা আছে , তাদের মধ্যে প্রধানতম হযরত জিব্রাইল (আঃ) । তার পৃথিবীতে প্রথম পদধূলি পড়েছিল আমাদেরই ভারতে । যেহেতু প্রত্যেক নবীর নিকটে তাকে আল্লাহর প্রত্যাদেশ পৌছাতে হতো । এটাও বিশ্বের মুসলমানদের নিকট ভারতের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য ।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জামাতা ও চতুর্থ খলীফা হযরত আলীর সময় ভারতের সঙ্গে আরবের কোন যোগাযোগ হয়নি । অথচ এমন কথা তিনি বলে গেছেন যাতে অবাক না হয়ে পারা যায় না । যার মর্মানুবাদ হচ্ছে এই ' ভারতভূমি - যেখানে হযরত আদম (আঃ) স্বর্গ হতে নেমে এসেছিলেন এবং মক্বার ভূমি যা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) দ্বারা সম্মন্ধযুক্ত এই দুই স্হান উত্তম ভূ-খন্ড ।' এতএব, এই মুসলমানদের ভারতপ্রেম যে এক পবিত্র ধর্মীয় কারণ তা বোঝায় ।
ভারতের অযোধ্যায় এক বিরাট মন্দিরের পাশে সুদীর্ঘ এক কবর রয়েছে যেটা সম্মন্ধে যুগ যুগ ধরে জনশ্রূতি - ঐ সামাধি হযরত শীষ (আঃ) , যিনি আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) এর পুত্র ।
You can find some old, deserted mosques adjoining the boundary wall of the acquired 67 acre land of Babri Masjid site.
And this is Hazrat Shis Jinnati Masjid in the 40 acre Muslim graveyard, hardly 1 kilometre from Hanuman Garhi. Juma is also offered here.
In the 40-acre graveyard, said to be the largest in India, there are hundreds of graves, old and new. What makes it famous is the presence of about 12 ft long grave popularly known as that of Prophet Shis (PBUH). This grave is in a walled complex which has about half a dozen other graves also – some of them with grave stones on which are encrypted names and some details about the dead
Click This Link
হযরত আলী (রাঃ) কে সিরিয়ার একজন মনীষী জিজ্ঞেস করেছিলেন, ভূ-মন্ডলে গুরুত্বব্যন্জক দেশ কোনটি ? উত্তরে তিনি বলেন- সেই দেশ , যাকে সরণদ্বীপ বলা হয় । যেখানে আদম (আঃ) স্বর্গ হতে নেমে এসেছিলেন ।
গবেষক ডাঃ মুহাম্মদ আলী তার লেখায় উল্লেখ করেছেন -'বিশ্বনবী (সাঃ) নিজেও ভারতকে ভালোবাসতেন । তিনি একবার বলেছিলেন, ভারত হতে আমার প্রতি স্নিগ্ধশীতল হাওয়ার হিল্লো ভেসে আসে । '
সুগন্ধময় স্বর্গ হতে হযরত আদম (আঃ) যখন ভারতে আসলেন তখন স্বগীয় সুগন্ধে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমোদিত ছিল । তাই লেখকের ধারণা ভারতের সুগন্ধদ্রব্য তুলনামূলক হিসেবে পৃথিবী বিখ্যাত । যেমন, ভারতের মৃগনাভি, কর্পূর, চন্দন, কাঠ, জাফরান, কেওড়া এবং তীব্র গন্ধের পুস্প প্রাচুর্য ও মাধুর্য অস্বীকার করা যায় না ।
হযরত আদম যখন স্বর্গোদ্যান থেকে পৃথিবীতে আসেন তখন স্বর্গ হতে এক খন্ড পাথর সঙ্গে এনেছিলেন যেটার নাম, হজরে আসওয়াদ । বর্তমানে পাথরটা মক্বার কাবা ঘরে বহিঃপ্রাচীরের এক কোণে লাগাণো আছে । সেই পবিত্র পাথর পৃথিবীর প্রথম যেখানে স্পর্শিত হয়েছিল সেটাও ছিল ভারতবর্ষ ।
বিশ্বনবী (সাঃ) এর র সঙ্গী হযরত আবু হোরায়রা হতে বর্ণিত আছে, হযরত আদম (আঃ) কে পৃথিবীতে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে হযরত জীব্রাঈল (আঃ) কে পাঠানো হয়েছিল । তিনি পৃথিবীতে শুভাগমন করে বর্তমানের আজান ধ্বানির মতো শব্দ করেন । তাতে মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কথাও ধ্বণিত হয়েছিল । তখন আদম (আঃ) জিব্রাঈল কে প্রশ্ন করেছিলেন 'মুহাম্মদ' ব্যাক্তিটি কে ? উত্তরে জিব্রাঈল (আঃ) বলেছিলেন , 'ইনি আপনার সন্তানদের মধ্যে সর্বশেষ নবী ' । [দ্রঃ তিবরাণী গ্রন্হ ]
[সূত্রঃ চেপে রাখা ইতিহাস, গোলাম আহমাদ মোর্তজা , মদীনা পাবলিকেশন্স । ]
আড্যাম'স পিক বা আদমের চূড়াঃ
শ্রীলংকার সবচেয়ে বিখ্যাত ভৈাগলিক স্হান - যা রত্নাপুরা জেলার
দক্ষিণ পশ্চিমের জঙ্গলে অবস্হিত ৭৩৬২ ফুট (২২৪৩ মিটার) উচ্চতা বিশিষ্ট দীর্ঘ উচু খুবই খাড়া পর্বতের চূড়ায় অবস্হিত আছে শ্রী-পদ বা "পবিত্র পদচিহ্ন" ।
সবথেকে আশ্চর্য্য হল, এটা আশেপাশের এলাকা থেকে ভিন্নতর । যেন হঠাৎ করে একটা চূড়া মাথা তুলে দাড়িয়েছে ।
এছাড়া ইহাকে আদমের চূড়া নামেও অবহিত করা হয় , যা চারটি বড় ধর্মাবলম্বীদের (হিন্দু, বোদ্ধ, খ্রীষ্টান এবং ইসলাম ) নিকট পবিত্র স্হান হিসেবে গণ্য । অনেক অনেক বছর আগে এসব বড় বড় ধর্মের প্রচারের পূর্বে এ পর্বত স্হানীয় আদিবাসীদের দ্বারা পূজিত হত , যারা মূলতঃ বেদের অনুসারী ছিল । আদমের চূড়ায় অবস্হিত এই মানুষের পদ চিহ্ন যা পাচ ফুট লম্বা এবং তিন ফুট চওড়া ।
It is on the edge of the central massif but its surrounding group of mountains called the Wilderness of the Peak, is so extensive in comparison to the bulk of the other mountain groups that it appears to form a nucleus of its own, separate from the others.
চূড়াটির চারপাশে সবুজের বিপুল সমারোহ ও আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য ছোট নদী ও ঝরণা । সবমিলে এক মায়াবী নয়নাভিরাম দৃশ্য । যেন উনার পৃথিবীতে আগমণের পূর্বে স্বর্গে অবস্হান করার কথা বিবেচনা করেই স্রষ্টা পৃথিবীর এ বাসস্হানকেও স্বর্গের মত করে দেন ।
মুসলিম এবং খ্রীষ্টানদের বিশ্বাস হল- হযরত আদম (আঃ) কে যখন আল্লাহ তার ভূলের কারণে বেহেশ্ত থেকে নামিয়ে দিলেন তখন তিনি শ্রীলংকায় এসে পড়েন এবং মা হাওয়া পড়েন মধ্যপ্রাচ্যে । শ্রীলংকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দূরুত্ব কয়েকশ হাজার বর্গ কিঃমিঃ । মহান স্রষ্ট্রার কাছে অনুতাপের পর তারা মিলিত হন মধ্যপ্রাচ্যে ।
According to ancient Arabian traditions, when Adam and Eve were cast from Paradise they fell to different parts of the earth; Adam on a mountain on the island of Serendip, or Sri Lanka, and Eve in Arabia, on the border of the Red Sea near the port of Jeddah. For two hundred years Adam and Eve wandered separate and lonely about the earth. Finally, in consideration of their penitence and wretchedness, God permitted them to come together again on Mt. Arafat, near the present city of Mecca (previously called Becca or Bakkah, meaning narrow valley)
তো আদম (আঃ) পৃথিবীতে এসে চরম অনুতপ্ত হয়ে পড়েন এবং তার ভূলের জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থণা করতে থাকেন ।
তখন তিনি ভূলের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ এক পায়ে হাজার বৎসর দাড়িয়ে থাকেন এবং কান্না-কাটি করতে থাকেন । তার ফলস্বরূপ এখানে তার পবিত্র পায়ের পদচিহ্ন এর দাগ পড়ে যায় । যেমন এরকম আরেকটি জায়গায় পায়ের দাগ আছে আরেক নবীর সেটা হল - মাকামে ইব্রাহীম এ যা মক্কায় কাবা শরীফের নিকট অবস্হিত -, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কাবাশরীফ নির্মাণের সময় এই পাথরের উপর দাড়িয়ে কাবা ঘর নির্মাণ করার সময় উনার পায়ের দাগ পড়েছিল , যা এখনও রয়ে গেছে- হাজীরা যেখানে নামাজ পড়ে থাকেন ।
বোদ্ধ ধর্মমতে , খ্রষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে এই পদচিহ্ন আবিস্কিৃত হয় । আবিস্কিৃত হওয়ার পরে পদচিহ্নির চর্তুদিকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে ।যুগ যুগ ধরে শত শত পর্যটক ভ্রমণ করেছেন এই চূড়াটি ।বিশ্বের যেসব নামকরা পর্যটক এই চূড়াটি ভ্রমণ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইবনে বতুতা ও মার্কো পোলো । বোদ্ধ ধর্মের অনুসারীরাই এই চূড়ায় বেশী যাতায়াত করে । তবে চূড়াটিতে যাওয়া এত সহজ ব্যাপার নয় । প্রথমে নৈাকা বা জলযান, তারপর পায়ে হেটে উচু পাহাড়ে ওঠা এবং সেখান থেকে অনেক কষ্টের মাধ্যমে চূড়ায় উঠতে হয় ।
ব্রিটিশ ব্যক্তিত্ব রবার্ট পারসিভাল যিনি উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে কলম্বোর সেনাদুর্গে কাজ করেছিলেন, তিনি শ্রী-পদের ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন,
" আদমের চূড়ার পর্বতে উঠার যে লোহার সিড়ি প্রেথিত বা দেখা যায় তা বহু পূর্বে থেকে আছে , কিন্তু কে বা কারা তা সেখানে স্হাপন করেছে তা জানা যায়নি । যে বিশ্বাস এবং কুসংস্কার স্হানীয়দের মধ্যে রয়েছে তাও খুব জটিল বা দুর্বোধ্য । যাই হোক, সকল সাক্ষ্য প্রমাণ এটাই নির্দেশ করে যে এই চূড়া বিখ্যাত বা লাইম লাইটে ছিলো এই দ্বীপের ইতিহাস লেখার অনেক অনেক আগে থেকেই "
বিখ্যাত মুসলিম ঐতিহাসিক ইবনে বতুতা যিনি চর্তুদশ শতাব্দীতে প্রায় সমগ্র দুনিয়া ভ্রমণ করেছিলেন, তার সংক্ষিপ্ত কিছু বর্ণনা দেয়া হল-
"WHEN we sailed, however, the wind changed upon us, and we were near being lost; but arrived at last at the island of Ceylon, a place well known, and in which is situated the mountain of Serendib........There are two roads on the mountain leading to the foot (of Adam); the one is known by "the way of Baba," the other, by "the way of Mama," by which they mean Adam and Eve. .....when the three days were expired we returned by the path of Mama, and came down to the cave of Shisham, who is Sheth, the son of Adam.
লাখ লাখ বছর ধরে চলে আসা যে রহস্য আজো মানুষ জানতে পারেনি তা হলো চূড়ার যে স্হানে আদম (আঃ) এর পায়ের চিহ্ন সেই স্হানে জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সূর্যের আলো আর মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি পড়ে না । এমন আরো অনেক রহস্য আছে এ চূড়াটিকে কেন্দ্র করে । অতি চমৎকার এ চূড়াটি বছরের পর বছর অবিকল রয়ে গেছে । এর সৈান্দর্য এতটুকু হ্রাস পায়নি । এ কারণে এ চূড়াটি মানুষের কাছে পবিত্র বলে পরিচিত ।
অ্যাডাম'স ব্রিজ বা আদমের সেতুঃ
শ্রীলংকা থেকে ভারত পর্যন্ত সাগরের তলদেশ দিয়ে একটি সংযোগ সেতুরূপী ভূমি বিদ্যমান, যা আদমের সেতু নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় এই সেতু দিয়েই আদম (আঃ) দ্বীপ থেকে মূল ভূ-খন্ডে যাতায়াত করতেন ।
বলা হয়ে থাকে শ্রীলংকায় মানব বসতির যে প্রাচীন ইতিহাস যা ১,৭৫০,০০০ বছর পুরানো , ঠিক অনুরূপভাবে এই সেতুটিও সেইরকম পুরানো ।
Also according to geological survey, it is apparent that Miocene Era limestone beds are under the Adams Bridge which connects Jaffna peninsula in Sri Lanka and Rameswaram in India. [Ref: The pre-history of Sri Lanka by S.U.Deraniyagala]. The legends as well as Archeological studies reveal that the first signs of human inhabitants in Sri Lanka date back to the a primitive age, about 1,750,000 years ago and the bridge´s age is also almost equivalent.
এই সময়কালটা হয়তো পুরোপুরি সঠিক নয় । হযরত আদম আঃ পরবর্তী মানুষগণ অনেক দিন বেচে থাকতেন । কুরআনে হযরত নূহ (আঃ) এর কথা বলা আছে যিনি ৯৫০ বৎসর বেচে ছিলেন । তিনি হযরত আদম (আঃ) এর অনেক পরের নবী ছিলেন । সুতরাং হযরত আদম আঃ ও যে হাজার বছরের উপরে বেচেছিলেন তা ধারণা করা যায় ।
হযরত আদম (আঃ) সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেছেন,
"আল্লাহ আদমকে প্রচুর চুল দিয়ে একজন লম্বা মানুষ হিসেবে তৈরী করেছিলেন যেন একটা লম্বা তাল গাছ " (বুখারী-৩৩২৬, মুসলিম-২৮৪১)
লেখক : শেখসাদী
0 comments: