হাবিবুল্লাহ যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের (এমএম কলেজ) অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের ডা. নিয়ামত আলীর ছেলে। আহত দু’জন হলেন- বাঘারপাড়ার ছোট খুদরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে কামরুল হাসান এবং অভয়নগর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে আল-মামুন। নিহত হাবিবুল্লাহ এমএম কলেজ এলাকার নীড়ঝড়া নামক একটি মেসে থাকতেন।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে কলেজের পাশে খড়কী পীরবাড়ি এলাকার নীড়ঝড় নামে একটি ছাত্র মেসে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আল মামুনের বাড়ির মালিক হাসান উদ্দিন নিউজবাংলাদেশকে জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে একদল যুবক বাড়িতে এসে দরজা ভেঙ্গে ঘরের নিচতলায় ঢোকে। নিচতলায় ৫টি রুমে ১৭ জন ছেলে মেস বানিয়ে থাকে। উশৃঙ্খল যুবকদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা ছাত্রলীগের ছেলে বলে পরিচয় দেয়। এরপর তারা ৫টি রুমে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করে। তারা আল মামুনকে মারপিট করে তুলে নিয়ে যায়।
এমএম কলেজ এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে কলেজের পাশে খড়কী পীরবাড়ি এলাকার নীড়ঝড় নামে একটি ছাত্র মেসে হানা দেয় ওই এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত। তারা মেসটিতে গিয়ে ছাত্রদের বেধড়ক মারপিট করে। সন্ত্রাসীরা একপর্যায়ে হাবিবুল্লাহ ও কামরুল হাসান নামে শিবিরের দুই কর্মীকে ধরে এম এম কলেজের শহীদ আসাদ হলে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করে একই সন্ত্রাসীরা রেলগেট এলাকার হাসান উদ্দিনের বাড়ির মেসে হানা দিয়ে মামুন নামে আরেক শিবির কর্মীকে ধরে এনে পিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে হাবিবুল্লাহ বমি করতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে অবহিত করে।
পরে কোতয়ালি থানার এএসআই আতাউর রহমান বিকেল চারটার দিকে আসাদ হল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিন শিবির কর্মীকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বিকেল ৫টার দিকে হাবিবুল্লাহ মারা যায়।
ঘটনার অল্পসময়ের মধ্যে বিকেল ৩টায় বিষয়টি কোতয়ালী পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ প্রায় এক ঘণ্টা পর বিকেল ৪টার দিকে আসাদ হল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিন শিবিরকর্মীকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীরা থাকলেও পুলিশ তাদের ধরেনি। - See more at: http://bangla.thereport24.com/article/136033/#sthash.HmBkLwPn.dpuf
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যশোর শহরের খড়কীর আশিক ভিলা নামক একটি দোতলা ছাত্রাবাসের প্রথম তলায় শিবির নেতা হাবিবুল্লাহসহ ১৫ জন সাধারণ ছাত্র ভাড়া থাকতেন। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সেখানে হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে শিবির নেতা হাবিবুল্লাহ ও অন্যদের সেখান থেকে মোটর সাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং রড হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বেলা ৩টা ৩৭ মিনিটে কোতয়ালী থানার এসআই আতাউর রহমান হাবিবুল্লাহকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বিকাল ৫টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আহত অপর দুজন হচ্ছেন, একই কলেজের ছাত্র কামরুল ইসলাম (২২) ও আল মামুন (২২)। কামরুল বাঘারপাড়ার ছোট খুদড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র এবং মামুন মাগুরার সীমাখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের পুত্র। আহত কামরুলের অবস্থা আশংকাজনক।
এদিকে রেলগেট জনতা ছাত্রাবাসে পুলিশ ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে। বোমা উদ্ধারের সাজানো মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোর জেলা জামায়াত ও ছাত্রশিবির। তারা জানিয়েছে, পুলিশ ছাত্রদের নিরাপত্তা না দিয়ে উল্টো সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে তাদের জীবন ও লেখাপড়াকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আইন শৃঙ্খলা আরো ভেঙে পড়বে।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কলেজের পাশে খড়কী পীরবাড়ী এলাকার ‘আশিক ভিলা’ নামে একটি ছাত্রমেসে হানা দেয় শাহী, জিসান, রনি, নূর ইসলামসহ ৮-১০ জন। তারা মেসটিতে গিয়ে ছাত্রদের বেধড়ক মারধর করে। সন্ত্রাসীরা একপর্যায়ে হাবিবুল্লাহ ও কামরুল হাসান নামে শিবিরের দুই কর্মীকে ধরে আনে এমএম কলেজের শহীদ আসাদ হলে। সেখানে তাদের ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করে একই সন্ত্রাসীরা রেলগেট এলাকার একটি ছাত্রাবাসে হানা দিয়ে মামুন নামে আরেক শিবিরকর্মীকে ধরে এনে পিটুনি দেয়। - See more at: http://bangla.thereport24.com/article/136033/#sthash.HmBkLwPn.dpuf
ছাত্রলীগের হামলায় আহত আরো এক শিবির কর্মীর মৃত্যু
শীর্ষ নিউজ, যশোর : যশোর এম এম কলেজে ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলায় আহত কামরুল হাসান (২১) নামে আরো এক শিবির কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কামরুলের মৃত্যু হয়।
নিহত কামরুল হাসান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
একই হামলায় সোমবার বিকেলে হাবিবুল্লাহ (২২) নামে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছিলেন।
সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে তিন শিবির কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুল্লাহ নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং পরে মৃত্যু হল কামরুল নামে আরো একজনের।
অপর আহত শিবিরকর্মী আল-মামুন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি মাগুরার শালিখা উপজেলার আতিয়ার রহমানের ছেলে। হতাহতরা সবাই যশোর সরকারি এমএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সোমবার বিকেলে এমএম কলেজ সংলগ্ন এলাকার একটি মেসে শিবিরকর্মীরা বৈঠক করছে-এমন সংবাদে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ডেকে আনেন। পরে তাদের পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়।
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ শাখা শিবিরের সভাপতি হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা মেসে হামলা করে শিবিরের ওই তিন কর্মীকে বেদম মারধর করেছে।
0 comments: