Mass killing on protesters in Dhaka-5 may-2013 (৫ মে গণহত্যা)

Mass killing on protesters in Dhaka at night by armed Joint forces.Killed thousands (06-05-13)


Today is the another black day of Bangladesh history ..In day time on 5th of May police killed around 25 protesters in Dhaka while the protesters protest at Motijhil in Dhaka for implementing their 13 points demand.At evening the protesters took decision to stay on street of Motijhil Shapla Square in  Dhaka...But at night (2:30 AM) when the protesters were sleeping the joint forces of government silently killing innocent protesters in street by firing , throwing tear shell ..even they conducted brutality by riot car and demolished the sleeping protesters to kill ..Not only joint forces , some ruling party's activists join to kill unarmed protesters by shot gun and stick .Some media person said joint forces have taken 5 truck of dead body to disappear..Even some journalists said the number of death will be 3000 ...Now you will see the some heart broken pictures ..




The dead body of Hefajot activists have been disappeared  by Joint forces after killing by This sort of van and truck 




















































































































































This is the small part of the joint forces brutality .More picture are coming soon ...

Here is Some live video footage of Mass killing in Dhaka on 6th May






এই সম্পর্কিত আরো খবর ....

Human rights watch Asia report...BANGLADESH: A massacre of demonstrators.... several internet reports have mentioned that the number of deaths could be as high as 2,500 or more. Pictures of dead bodies have also been distributed over the internet.

কুরআন পুড়ানোর ঘটনায় স্বার্থবাদী মিডিয়া যুবলীগের সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে মরিয়া .. যুবলীগ সন্ত্রাসীরা দক্ষিণ গেটের ফুটপাতে বন্ধ থাকা ইসলামী বই ও কোরআন শরীফের দোকানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া তারা ১৫-২০টি জুতার দোকানেও তারা একইভাবে আগুন দেয়। সংঘর্ষ পরিস্থিতির কারণে রোববার বন্ধ ছিলো ফুটপাতের এসব দোকান। মোড়ানো ছিলো পলিথিন দিয়ে। আগুনের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। প্যান্ট-গেঞ্জির দোকান ছাড়াও এসময় পুড়ে যায় কোরআন শরীফসহ বিভিন্ন ধর্মীয় পুস্তকের দোকান।

গভীর রাতে ঘুমন্তদের ওপর হামলা চালিয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির যৌথ বাহিনী ৩ হাজার আলেম-উলামা এবং হেফাজত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হেফাজতের এক কেন্দ্রীয় নেতা।

৩ হাজার আলেম-উলামার লাশ গুম করেছে সরকার

২৫মার্চের কালো রাতকেও হার মানিয়েছে রবিবার রাতের গণহত্যা

মতিঝিলে ঠাণ্ডা মাথায় হেফাজত কর্মীদের খুন করা হয়েছে


মতিঝিলে নিহত ৩ হাজার, আহত ১০ হাজার: হেফাজতের বিবৃতি


ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদন: বাংলাদেশে আরেকটি গণহত্যা

মতিঝিল থেকে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানে লাশ সরিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: মানবাধিকার সংগঠন অধিকার
কপি ফ্রম 


ভয়াল ৫ই মে গণহত্যা – বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম বর্বরতা


গত ৫মে ২০১৩ দিবাগত গভীর রাতে আওয়ামী লীগ সরকার এই দেশের ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুসারে রাজধানী ঢাকার মতিঝিলে অবস্থান ধর্মঘট করছিলো অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে দিয়ে চারপাশ থেকে ঘিরে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও সাঁজোয়া গাড়ির বহর নিয়ে তাদের উপর চালানো হয় তথাকথিত ‘অপারেশন ফ্রিডম’ বা অপারেশন শাপলা। দশ হাজার পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি এবং গুপ্তবাহিনী সদস্যের সম্মিলিত আক্রমনে মতিঝিল শাপলা চত্বর কয়েক মুহুর্তে হত্যা করা হয়েছে শত শত নিরীহ শান্তিপ্রিয় মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্রকে। এই গণহত্যাকে লুকিয়ে রাখার জন্য সমস্ত মিডিয়াকে বাধ্যতামূলকভাবে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো মধ্যরাতের ভেতরে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কারণে হত্যাকান্ড চলাকালীন মধ্যরাতেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দুইটি টিভি চ্যানেল; দিগন্ত টিভি এবং ইসলামিক টিভি। অসংখ্য আলেমে দ্বীনের রক্তে সেই কালোরাতে শাপলা চত্বর ডুবে গিয়েছিলো। সরকার তার সমস্ত শক্তি দিয়ে এ অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ অপকর্মে প্রধান সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে বামপন্থী ও আওয়ামী নাস্তিক সাংবাদিকদের পরিচালিত মিডিয়া চ্যানেলগুলো।
Abdullahpur Morning 02

Gabtoli Morning 01
Police
Police Friendly 3Police Friendly
এই বর্বর হত্যাকান্ড কোন ধর্মের বিবেকবান মানুষের পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব না। আর আমরা যারা মুসলিম, তাদের হৃদয় আজ বেদনাহত। আজ বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়, যে আলেমদের আজান শুনে বাংলার মানুষ জেগে ওঠে প্রতি দিন, শুধুমাত্র রাসূল (সাঃ) এর ইজ্জতের অবমাননার প্রতিবাদ করার অপরাধে তাদের নির্বিচারে হত্যা করে দমন করা হবে এই বাংলাদেশে, ৯০% মুসলিম জনসংখ্যার এই দেশে। এই আলেমে দ্বীন ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কি অপরাধ ছিলো? শুধুমাত্র ঈমানের তাগিদে রাস্তায় নেমে শহীদ হতে হলো হাজারো মসজিদের ঈমাম, মুয়াজ্জিন, হাফেজে কোরআন, মুফতি, মাওলানা এবং সাধারণ মুসলিমদেরকে, যাদের অনেকের লাশও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না কোনদিন।
Kakrail 2 pm
Gulistan 1 pm 02
কি ঘটেছিলো সেই দিন?
পূর্বঘোষিত ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অনেকটা উৎসব মুখর পরিবেশেই সারা দেশ থেকে আলেম উলামারা আসতে থাকেন। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং আল্লাহপ্রেমী মানুষের ঢল নামা এই অবরোধ অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকার ছয়টি প্রবেশমুখে চলতে থাকে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও স্বতঃস্ফূর্ত সহায়তা করতে দেখা যায়।
Awami Thug Action Gulistan
Gulistan 1 pm
Police Action Kakrail 5 pm
বেলা এগারোটার দিকে প্রশাসনের কাছ থেকে অবরোধ শেষে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি পায় হেফাজতে ইসলাম। যদিও হেফাজত নেতাদের দাবী ছিলো বায়তুল মুকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশ করবার, কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে শাপলা চত্বরেই সমাবেশ করবার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন স্থান থেকে ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতার ঢল নামে শাপলা চত্বর অভিমুখে। ইতোমধ্যে একটি ছোট মিছিল গুলিস্তান হয়ে শাপলাচত্বর আসবার পথে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। নিরস্ত্র ও নিরীহ আলেমদের উপর সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় মুহূর্তেই রঞ্জিত হয়ে ওঠে রাজপথ, লগি-বৈঠার তান্ডব ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রের হামলায় শাহাদত বরণ করেন দুই জন আলেম। পুলিশ সম্পূর্ণ দর্শক হিসেবে তা অবলোকন করে। এভাবেই পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। খালি হাতে ও ইট পাটকেল নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা, কিন্তু পুলিশ ও আওয়ামী-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নৃশংসতায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পল্টন, কাকরাইল, বিজয়নগর এলাকাতেও। একের পর এক গুলিবিদ্ধ লাশ পড়তে থাকে হেফাজত কর্মীদের। এইসব খবর আসতে থাকলে শাপলাচত্বরে জড়ো হওয়া লাখ লাখ মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠতে থাকেন, কিন্তু হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ চরম ধৈর্য ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে সবাইকে শান্ত করে রাখেন।
Motijheel Meeting 01
Paltan Killing 2
Police Action Paltan 4 pm
Motijheel Stay at Night 2
Motijheel Meeting 12 am
এভাবেই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে এশার আজান পড়ে যায়। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী শাপলাচত্বরে আসতে চাইলেও পলাশী এলাকায় তার গাড়িবহর আটকে দেয়া হয়, পরে বাধ্য হয়ে লালবাগ মাদ্রাসায় ফিরে গিয়ে আহমদ শফী নির্দেশনা প্রেরণ করেন, ১৩ দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট চলতে থাকবে। মুহূর্তেই ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতার কুরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মশগুল হয়ে ওঠে পুরো মতিঝিল এলাকা ও তার আশপাশ। অপরদিকে থেমে থেমে বায়তুল মুকাররম, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় তখনও চলতে থাকে সংঘর্ষ।
BGB Deployment
Motijheel Killing 12
এ অবস্থায় চরমতম অ্যাকশনে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মতিঝিল শাপলাচত্বরের এই জনসমুদ্রকে ঘিরে র‍্যাব-পুলিশ ও বিজিবির প্রায় দশ হাজার সদস্যের একটি যৌথবাহিনী এবং সাঁজোয়া গাড়িবহর নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলার অপেক্ষায় পজিশন নেয় কাকরাইল, দৈনিক বাংলা মোড়, ইত্তেফাক মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে। এক পর্যায়ে মতিঝিল এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়, ওখানে উপস্থিত সকল মিডিয়া ও সাংবাদিকদের সরিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য মোবাইল ফোন ও ফেসবুক-টুইটারের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে পৌছে যায় পুলিশের এই রণপ্রস্তুতির কথা। এক অজানা আশংকায় সময় কাটাতে থাকে সবাই।
কালোরাতের হত্যাযজ্ঞ
৫ই মে দিবাগত রাত তখন প্রায় আড়াইটা। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আগত আলেমে দ্বীন ও মুসল্লিদের অনেকেই ক্লান্ত শরীর নিয়ে তখন ঘুমিয়ে পড়েছেন। অসংখ্য মুসল্লি তখনও জিকিরে মশগুল। এ অবস্থায় মাইকে ভেসে আসে পুলিশের একটি ঘোষণাঃ “আপনারা সরে যান। এখন আমরা শাপলা চত্বর খালি করার জন্য যা করা দরকার তাই করব।“ স্বাভাবিকভাবেই এতে রাজি না হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের অবস্থানে থেকে যান আল্লাহর পথে নিবেদিতপ্রাণ মুসল্লিরা। বেশিরভাগই এসময় ঘুমিয়ে ছিলেন। জেগে থাকা মুসল্লিরা জিকির করছিলে। কিন্তু আর কোন কথা বাড়ায়নি সরকারের পেটোয়া সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী। আর কোন সুযোগ না দিয়ে ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ,র‍্যাব,বিজিবি ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা সব দিক থেকে ঘিরে হামলা শুরু করে। ব্রাশফায়ারের মুহুর্মুহু গুলি, গ্রেনেড, টিয়ারশেল আর সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে নিরস্ত্র মুসল্লিদের ওপর হিংস্র হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে এই অমানুষগুলো। ঐ মুহুর্তে শাপলাচত্বরে থাকা মুসল্লিদের দিকে বৃষ্টির মতো গুলি আর বোমা আসতে থাকে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঘটে যায় পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বরতম এক হত্যাযজ্ঞ। পনেরো থেকে বিশ মিনিটের মাঝে সরকারী হায়েনারা তাদের হিংস্রতা চরিতার্থ করে উল্লসিত হয়ে উঠে। উপস্থিত জনতার অনেকে কোন কিছু বুঝে উঠারই সুযোগ পাননি। অনেকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই গুলী ও বোমার শিকার হয়ে চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন। বেশিরভাগ মুসল্লি ঘুম ভেঙ্গে হতবিহবল অবস্থাতে কিছু বুঝে উঠার আগেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
Motijheel Killing 10Motijheel Killing 09Motijheel Killing 08Motijheel Killing 06Motijheel Killing 05Motijheel Killing 04Motijheel Killing 03Motijheel Killing 02Motijheel ArrestMotijheel After Killing 3Motijheel After Killing
এভাবে নির্বিচার গুলি চালিয়ে অবশেষে পুলিশ দখল করে নেয় শাপলা চত্বর। যারা অন্ধকারের মধ্যে খালি হাতেই কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন, নির্মম বুলেট আর সাউন্ড গ্রেনেড তাদের চিরতরে থামিয়ে দিয়েছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই পুলিশের জলকামান, ওয়াসা ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দিয়ে ঐ এলাকা ধুয়ে মুছে রক্তের সব চিহ্ন পরিস্কার করে ফেলা হয়েছে। অসংখ্য লাশ গাড়িভর্তি করে গুপ্তস্থানে ডাম্পিং করা হয়েছে অথবা বৈদ্যুতিক চুল্লীতে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
Police Action Paltan 7 pm
Motijheel After Killing 2
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন,প্রথমেই ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। এতে হেফাজত কর্মীদের প্রতিরোধ করার মনোবল ভেঙে যায়। মিডিয়াতে সম্পূর্ণ ব্ল্যাক আউটের পরও ইন্টারনেটে প্রকাশিত স্বল্পসংখ্যক ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়,শাপলা চত্বরের আশপাশে অমানবিকভাবে রাস্তায় সিড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য লাশ। অনেক জায়গায় জমে গেছে কয়েকজনের লাশের স্তুপ। গোপন ছবিতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে শুধু সোনালী ব্যাংকের সিঁড়ি ও এর আশপাশে পড়ে আছে অসংখ্য লাশ। শাপলা চত্বরের সবচেয়ে কাছের এই ভবনটিতে গতকাল আশ্রয় নিয়েছিলেন হেফাজতকর্মীরা। জীবন বাঁচাতে তাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় নির্বিচার গুলি,গ্রেনেড আর ব্রাশফায়ারে। এরপর মতিঝিল ও আরামবাগের বিভিন্ন অলিগলিতে আশ্রয় নেয়া আলেমদের উপ অ্যাকশন শুরু করে পুলিশ। সেখানেও ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুরো এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় এক নারকীয় পরিবেশ নেমে আসে মতিঝিল ও শাপলা চত্বরে।
After Motijheel
কত লোক নিহত হয়েছে?
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ৬ মে রাতে কত লোক নিহত হয়েছে? বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গতকাল এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন জানায়,নিহতের সংখ্যা ২,৫০০ এরও বেশি হতে পারে। হেফাজতের ইসলামের হিসাবে নিহতের সংখ্যা ২,০০০ থেকে ৩,০০০ হতে পারে, এর বেশিও হওয়া অসম্ভব কিছু না। বিরোধী দল বিএনপি বলছে, শাপলা চত্বরে সহস্রাধিক লোককে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একজন রিপোর্টার দাবি করেছেন, তিনি নিজে পাঁচটি ট্রাকে করে লাশ স্তুপ করে বয়ে নিয়ে যেতে দেখেছেন। তাৎক্ষণিক লাইভ রিপোর্টিংয়ে তার সেই মন্তব্য প্রচার হলেও এরপর থেকে সেই খবর আর প্রচার করেনি চ্যানেলটি। এদিকে মার্কিন টিভি স্টেশন সিএনএন বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে জানায়,৬ই মে রাতের নিহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়তো কখনোই জানা যাবে না। ঘটনাস্থলে মিডিয়া কাভারেজে অংশগ্রহণরত সাংবাদিকদের মতে, শত শত লোককে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে ৬ই মে কালোরাতে। মানবাধিকার কর্মীদের ধারণা হলো, নিহতের সংখ্যা এতোই বেশি যে সরকার কোনো দিনই তা প্রকাশ হওয়ার কোন সুযোগ দেবে না। এ কারণেই মহানগর পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, “ঐ রাতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি”।
মিডিয়া ব্ল্যাকআউট, পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তার জবাব
হেফাজতে ইসলামের সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এই অবস্থান কর্মসূচিতে নির্বিচার হত্যাকান্ড চালানোর পর তা চাপা দেয়ার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হতে থাকে। প্রায় সকল মিডিয়ায় চলতে থাকে ব্ল্যাকআউট, হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় পরিকল্পিতভাবে শুরু করা হয় পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়া সহ স্বর্ণ -গহনার দোকান লুটপাট করার ঘৃণ্য ও কল্পিত অভিযোগ। লাশের মিছিলের চেয়ে হেফাজতের তথাকথিত ধ্বংসযজ্ঞই হয়ে ওঠে মুখ্য আলোচ্য বিষয়। এমনকি সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার পর্যন্ত বলেন হেফাজত মতিঝিলের সকল ব্যাংক লুট করতে চেয়েছিলো বলেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
SHAPLA
সরকারী নিষেধাজ্ঞা আসবার পরও দিগন্ত টিভি  গোপনে তার কাভারেজ চালিয়ে যেতে থাকে। এ কারণে মধ্যরাতেই পুলিশ হানা দেয় দিগন্ত অফিসে, মূল্যবান যন্ত্রপাতি আটক করে নিয়ে যায় এবং বন্ধ করে দেয় চ্যানেলটি। একইভাবে কোন কারণ ছাড়াই ইসলামিক টিভিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে রাত ৮-৯টার দিকে বায়তুল মুকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের নিকটবর্তী জুয়েলারী মার্কেট এবং ইসলামী বইপুস্তকের দোকানে রহস্যজনকভাবে আগুন ধরানো হয়। এতে ইসলামী বইপুস্তকের সাথে পুড়ে যায় বেশ কিছু কুরআনও। আশ্চর্যজনক হলো, যে আলেম উলামারা সারা জীবন কুরআনকে ধারণ করেন, কুরআনের আন্দোলনের জন্যই মাঠে নেমে রক্ত ঝরাচ্ছেন, তাদের উপরই এই নাশকতার দায়ভার চাপায় একশ্রেণীর বামঘেষা নাস্তিকবাদী মিডিয়া ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট।
RTNNN RTNN
উপসংহা
নাস্তিক ও বাম মতাদর্শ প্রভাবিত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এই দেশ পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। একের পর এক দুর্নীতি, কেলেংকারী, শেয়ার বাজার ধ্বস, গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংস করে দেশের অর্থনীতিকে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে পুরোমাত্রায়। আর তাই বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়ে জঙ্গীবাদের ধুঁয়া তুলে বিদেশী শান্তিরক্ষী বাহিনী আনার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে এই দুর্নীতিবাজ দলটি কোনভাবেই আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে না তা আজ সকলের সামনেই সুস্পষ্ট। সে কারণেই দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে আফগানিস্তানের মতো যুদ্ধপরিস্থিতি করে হামিদ কারজাই হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই ক্ষমতালিপ্সার জন্য তিনি হাজার হাজার নিরীহ শান্তিপ্রিয় আলেমে দ্বীন ও মুসল্লিদের উপর বর্বরতম হত্যাকান্ড চালাতেও দ্বিধাবোধ করছেন না। এইসকল আলেমদের কোন ক্ষমতালিপ্সা ছিলো না, ছিলো না কোন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাস। শুধুমাত্র ইসলাম ও আল্লাহর রাসূলের (সাঃ) অবমাননার প্রতিবাদেই তারা নেমে এসেছিলেন রাজপথে। কিন্তু যে কোন বিরোধী দল-মতকে স্তব্ধ করে দেয়ায় সুপটু এই স্বৈরাচারী সরকার ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা চালিয়ে তাদের দমন করার চেষ্টা করেছে। জাতির এই বিপর্যয়কর মুহুর্তে আসুন আমরা ধৈয্যধারণ করে মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করি। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বশক্তিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায়বিচারকারী। এছাড়াও নিজ নিজ এলাকায় জনসচেতনতা গড়ে তুলুন, আলেমে দ্বীনদের যৌক্তিক দাবীর সাথে একাত্নতা ঘোষণা করুন এবং যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে আমরা এইসব হিংস্র ষড়যন্ত্রকারী খুনীদের বধ্যভূমি কিংবা কোন বৈদেশিক অপশক্তির ক্রীড়াক্ষেত্র বানাতে দেবো না ইনশাআল্লাহ।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম