মরণজয়ী নসীম হিজাযীর দাস্তান-ই-মুজাহিদ উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ। ইসলামের ইতিহাসের পঁয়ত্রিশ থেকে পঁচাত্তর হিজরী পর্যন্ত সময়কালের পটভূমিতে এটি রচিত হয়েছে। এই চল্লিশটি বছর ছিলো সত্যিকার অর্থে বিশ্ব-ইতিহাসের এক ক্রান্তিকাল যখন আলমে-ইসলামের সীমানা একদিকে স্পেন ছাড়িয়ে ফ্রান্সের পিরিনিজ পর্বতমালা, অপরদিকে ভারতবর্ষ পর্যন্ত, একদিকে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি, অপরদিকে মধ্য এশিয়ার তুর্কিস্তান তাতারস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এ ছিলো সেই অবিষ্মরণীয় সময়কাল যখন, মুহাম্মদ বিন কাশিম সিন্ধু জয় করেন, মুসা বিন নুসায়ের স্পেন জয় করেন আর কুতায়বা বিন মুসলিম মধ্য এশিয়া জয় করেন। ইসলামের শান্তিময় শীতল ছায়াতলে সারা বিশ্বের কোটিকোটি তপ্তহৃদয় দিগভ্রান্ত মানবতাকে নিয়ে আসেন বীরত্ব ও মমতার মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে!
বসরার প্রায় বিশ মাইল দূরে একটি উর্বর সবুজে ঢাকা বাগিচার মাঝখানে একটি ছোট বসতি। তার ই একটি সাদাসিদা বাড়ির আঙিনায় এক মধ্যবয়স্কা নারী সাবেরা আসরের নামাজ পড়ছেন। আর একদিকে তিনটি বালক-বালিকা খেলাধূলায় ব্যষ্ত। বড় ছেলেটি ছড়ি ঘুড়িয়ে ছোট ছেলেটিকে বলছে, 'দেখো নয়ীম, আমার তলোয়ার!'
ছোট ছেলেটি তার ছড়ি দেখিয়ে বললো, 'আমারো আছে তলোয়ার। এসো, আমরা লড়াই করি।'
'না, তুমি কেঁদে ফেলবে।' বড় ছেলেটি বললো।
'না, তুমি-ই কেঁদে ফেলবে।' ছোটটি জবাব দিলো।
'তাহলে এসো' । বড়টি বুক ফুলিয়ে বললো।
নিষ্পাপ বালকেরা একে অপরের উপর হামলা শুরু করলো। মেয়েটি পেরেশান হয়ে তামাশা দেখতে লাগলো। মেয়েটির নাম উযরা, ছোট ছেলেটির নাম নয়ীম আর বড়টির নাম আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ নয়ীমের চেয়ে তিন বছরের বড়। তার ঠোঁটের ওপর লেগে আছে এক টুকরা মিষ্টি হাসি, কিন্তু নয়ীমের মুখ দেখে মনে হয় যেনো সে সত্যি-সত্যি লড়াইয়ের ময়দানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিডিয়াফায়ার লিঙ্ক | গুগলড্রাইভ লিঙ্ক |
৪.৭৪ মেগাবাইট | ৫.০৬ মেগাবাইট |
2 comments:
Donnobad.
Jazakallah