দশ লক্ষাধিক কৌতুহলী দর্শক স্যার জর্জকে বিদায় জানাবার জন্য সমবেত হয়েছিলো। উল্লাসে গগনবিদারী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল তারা। মহাশূণ্যে তীব্র গতিতে ছুটে চলা এক অগ্নিশিখা মুহূর্তে তাদের দৃষ্টির অগোচরে চলে গেল।
ঘোষক বললেন, এখন রকেট এতদূরে চলে গেছে যে, তার আলো দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও আর দেখা যাচ্ছে না। মি. জর্জ এখন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে মহাশূণ্যে উড়ে চলছেন।
এবার রকেটের স্টেশনের কন্ট্রোল রুম থেকে রেডিওর সাহায্যে মি. জর্জকে জরুরী নির্দেশ দিচ্ছেন এবং আপনারা তাদের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছেন। হ্যালো! হ্যালো! স্যার জর্জ! হ্যালো! হ্যালো! হ্যালো! স্যার জর্জ আপনি জবাব দিচ্ছেন না কেন? আপনি কেমন আছেন? সুধী মন্ডলী! রকেট থেকে কোন কথা শোনা যাচ্ছেনা। মনে হয় স্যার জর্জ বেহুশ হয়ে পড়েছেন।
: আমি বেহুশ হইনি।
: তাহলে আপনি কথা বলছেন না কেন? স্যার জর্জ! দুনিয়ার কোটিকোটি মানুষ আপনার আওয়াজ শোনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আপনি তাদের নিরাশ করতে পারেন না। আপনার মানসিক অবস্থা কেমন আছে?
: এখন আমি একটা মজবুত হাতুড়ির প্রয়োজন বোধ করছি, স্যার জর্জের...
(কিং সায়মনের রাজত্ব বইয়ে দেখানো হয়েছে একটি জাতি কিভাবে নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে। কিভাবে সে নিজের ভাগ্যের জন্য নিজেই দায়ী)
ডাউনলোড
মিডিয়াফায়ার লিঙ্ক | গুগলড্রাইভ লিঙ্ক |
৬.০০ মেগাবাইট | ৬.৪৪ মেগাবাইট |
পুরোনো ভার্সন
0 comments: