১. হজ্ব ইসলামের অন্যতম ফরয রুকন। ইসলামে ধনীদের প্রতি হজ্ব ফরয করা হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় আমাদের বাবা-মা দাদা-দাদী বা নানা-নানী রা হজ্বে যান।কিন্তু পারতপক্ষে আরো অল্প বয়সে হজ্ব করা উচিৎ।হজ্ব যেমন কস্টের কাজ তেমনি এর সওয়াবও অসীম বলা হয় এক কবুল হজ্বের বিনিময় জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয় ....আর হজ্বের নিয়তে হজ্ব সম্পাদন করলে হজ্ব কবুল হয়েছে এটা ভেবে নিতে হবে।হজ্ব ফেরৎ মানুষ এতটাই পবিত্র যেন এখনি ভুমিষ্ট হয়েছে।
হজ্বের ব্যাপারে আসলে যত বিধিনিষেধ আছে তার মধ্যে একটি অন্যতম বিশ্বাস হলো যে বিয়ে না করে হজ্ব করলে পূর্ন সওয়াব পাওয়া যায়না ও মেয়ে বিয়ে না দিয়ে হজ্বে গেলে হজ্ব কবুল হয়না আসলে এ দুটোরই কোন ভিত্তি নেই...একেবারেই নাই। আপনার কাছে যদি সে পরিমান অর্থ থাকে যে আপনি হজ্বে যেতে পারবেন এবং সে সময় আপনার পরিবার আপনার অনুপস্হিতিতে ব্যায়ভার বহন করতে পারবে তবে আপনার উপর হজ্ব ফরয।আর হজ্ব করতে হবে হালাল অর্থে...এদুটি ছাড়া হজ্বের আর কোন শক্ত শর্ত নেই।তবে মহিলাডের সাথে মাহরাম থাকে আবশ্যক। গতবার আমাদের সাথে বেশ কিছু মহিলা হজ্বে এসেছিলেন মোয়াল্লেম কে মাহরাম করে আসলে এটা ঠিক না মহিলাদের মাহরাম তারাই হতে পারবেন যাদের সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ।
আবার আসি সেসব বিষয় যা আসলে কোন বইতে পাবেন না কিন্তু চলার পথে বার বার এসবের সম্মুখীন হবেন ...সে সবের সমাধান
১। পাসপোর্ট ও এয়ার টিকিট একটি পলিথিন প্যাকেটে পেচিয়ে রাখুন। বার বার বের করার জন্য নেতিয়ে পরবে না ।
২। রিয়ালের সাথে কিছু ডলারও নিয়ে যান। তাহলে পরে ভাঙিয়ে সুবিধা মত খরচ করতে পারবেন।
৩। রিয়ালের ছোট নোট মানে ৫ টাকা ১০ টাকা ও এক টাকা বেশী করে নিবেন। নামাজ পড়তে যাবার সময় দান করার জন্য ১ রিয়াল নিয়ে যাবেন এবং খাবার বা কাপড় কেনার জন্য ৫-২০ রিয়ালই যথেস্ট। ৫ রিয়ালে ঘড়ি,স্কার্ফ,মাথার ওড়না,টেবিল ক্লথ,ছাতা,আতর ইত্যাদি পাবেন খাবারের মধ্যে রুটি , দই,পাউরুটি জুস ৫ রিয়ালে পাবেন।১০-২০ রিয়ালে ভালো কোরানশরীফ ,তজবী,স্যান্ডেল ,জোব্বা পাবেন। মক্কায় হারাম শরীফে যাবার পথে রাস্তার পাশে এসব পেয়ে যাবেন।
৪। কিছু শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট ,চানাচুর নিয়ে যাবেন মক্কায় এসব নেই ,বিস্কুট কিছু দোকানে পাওয়া যায় কিন্তু দাম বেশী।
৫। অবশ্যই আচার ও মরিচ নিয়ে যাবেন একই রকম খাবের খেতে খেতে যখন বিরক্ত হয়ে যাবেন তখন ভালো লাগবে।চাটনীর প্যাকেট গুলোও নিয়ে যেতে পারেন।
৬। চা বানানোর সরন্জাম নিয়ে যাবেন যেমন ইলেকট্রিক কেতলি,টি ব্যাগ চিনি ও দুধ। তাছেড়া গরম পানি রাখার ফ্লাস্ক নিয়ে যাবেন ,কারন মক্কায় যেয়ে কাশি হয় আর যাদের শ্বাস কস্ট আছে তাদের ভীষন কস্ট হয় ।মক্কায় সাপ্লাইয়ের পানি কনকনে ঠান্ডা সবাই গরমে অতিস্ট হয়ে এই ঠান্ডা পানি খেয়ে আরও বেশী ঠান্ডা বাধায়। তাই একটু গরম পানি আপনার শরীর সুস্হ রাখবে।
৭। আমাদের দেশের হাজী দের সোনালী ব্যাংক একটা বুকে বাধার ব্যাগ দেয় এই ব্যাগটা অনেক কার্যকারী।টাকা ,ডলার বা রিয়াল প্যাকেটে করে এই ব্যাগে রেখে বুকে বেধে রাখবেন।সবসময় তাতে হারানোর ভয় থাকবেনা ।কখনো ব্যাগে বা হোটেলে টাকা রেখে যাবেন না ।
৮। তোয়াফ বা সায়ী করার জন্য ৭ দানার তজবী পাওয়া যায় ,হয় কিনে নিবেন নাহয় বানিয়ে নিবেনকাজে লাগবে।
৯। কাধে ঝোলানোর জন্য কাপড়ের ব্যাগ বানিয়ে নিবেন,মসজিদে যাবার সময় এতে পানির বোতল,পলিথিন ব্যাগ নিয়ে যাবেন ।মসজিদ চত্বরে ঢুকে স্যান্ডেল খুলে পলিথিন ব্যাগে মুড়ে সেই ঝোলানো ব্যাগে রাখবেন।
১০। কোরান শরীফ নিয়ে যাবার দরকার নেই হারাম শরীফে অনেক অনেক প্রকারের কোরান শরীফ আছে।তবে জায়নামাজ অবশ্যই নিয়ে যাবেন।
১১। আমাদের দএশের যে বাটার স্পন্জের স্যান্ডেল আছে না সেগুলি নিবেন এক জোড়া করে ।বেশী নেবার দরকার নেই যেভাবে বললাম সেভাবে রাখলে হারানোর ভয় নেই।
১২। যাবার আগে নিজস্ব ওষুধ দেখেনিন।কিছু ঠান্ডার ওষুধ যেমন ফেক্সোফেনাডিন বা ডেসলোরাটাডিন,কিছু এন্টিবায়োটিক যেমন এজিথ্রোমাইসিন এবং এমোক্সাসিলিন নিয়ে যাবেন। কফ সিরাপ,নেসাল ড্রপ নিয়ে যাবেন।তুলা গজ ডেটল বা পভিসেপ,ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ ,মাইক্রোপোর নিয়ে যাবেন। ডায়াবেটিস ও প্রেশারের ওষুধ হিসাব করে নিয়ে নিবেন ,এজমার রোগীরা অবশ্যই ইনহেলার নিবেন কখনই যেন ভুল না হ্য়।ওখানে ওষুধের দাম আকাশচুম্বী।
১৩। সুই সুতা, নেল কাটার, ছোট কাচি ,রেজার নিয়ে যাবেন।বার বার ওমরা করলে বারবার নাপিতের কাছে যাবার দরকার নেই রেজার দিয়ে মাথা কামিয়ে নিবেন।
১৪। প্লাস্টিকের প্লেট ,মগ,ছোট বাটি নিয়ে যাবেন কাচের নিবেন না ভারী হবে তাছাড়া ভেন্গেও যাতে পারে।
১৫। অনেকবইয়ে অনেক দোয়া দুরুদ পাবেন অনেক জায়গায় ছড়ানো ছিটানো ...আমি নিজে কি করেছিলাম তাই বলি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন দোয়া একত্রে ফটোকপি করে একটা খাতার মতো বানিয়ে নিয়েছিলাম ।আপনিও সেটা করতে পারেন সুবিধা হবে।
১৬। নামাজ ছাড়া অন্য কোথাও গেলে পিটি সু নিয়ে যাওয়া ভালো কারন অনেক পথ হাটার জন্য এ জুতো গুলো উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই পাতলা কাপড়ের স্যু নিবেন এবং হেটে আসার পর পা ভালো করে হাল্কা সুসুম গরম পানিতে দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন
১৭। দেশথেকে যাবার আগে দুই ধরনের টিকা দেয়া হয় অবশ্যই টিকা নিয়ে নিবেন একটি মেনিনজাইটিসের অপরটি ইনফ্লুয়েন্জার ।হাজী ক্যাম্প,ঢাকা মেডিকেল,সোহরাওয়ারদী মেডিকেলে বিনামূল্যে দেয়া হয়।এই টিকা যত আগে নেয়া যায় ততই ভালো কারন টিকা নেয়ার পর একটু জ্বর হবে তা দেশেই হয়ে যাওয়া ভালো
১৮। এক প্যাকেট ওয়ান টাইম গ্লাভস নিয়ে যাবেন
১৯।তায়াম্মুমের জন্য মাটি নিতে হবে। আবার মাটি টা এমন ব্যাগে রাখবেন যেটা বিমানে আপনার হাতে থাকবে।
১। বাসা থেকে গোসল করে ইহরামের নিয়তে ইহরাম পরে দুই রাকআত নামাজ পরে নিবেন ইহরামের উপরে বেল্ট পরে নিবেন।এহরাম পড়া অবস্হায় নিষিদ্ধ কাজ গুলো মনে গেথে নিবেন । গামোছা,পুরুষের মাথায় কাপড় দেয়া ,চুলকানো ,মাথা আচড়ানো ,সুগন্ধি ব্যাবহার,সাবান ব্যাবহার ঝগড়া ঝাটি সবই ইহরাম অবস্হায় নিষিদ্ধ।ইহরাম পড়ার নিয়ম- http://youtu.be/2zSO70ZgE5o
২। মক্কায় যেয়ে হোটেল রুমে বা বাসায় যেখানেই থাকেন না কেন ,প্রথমেই ফ্রেশ হয়ে মোয়াল্লেমের বলা সময়ে হারাম শরীফে যাবেন । আশে পাশের জিনিস খেয়াল রাখবেন,কারন মক্কায় হারানোর সম্ভাবনা নেই ।বড় কোন হোটেল যেমন হিলটন বা মেরিডিয়ান বা কোন রাস্তার উপরে চিহ্ন খেয়াল রাখুন । ভুলেও মক্কা তাওয়ার বা মক্কার ঘড়ি দিক নির্দেশনার জন্য রাখবেন না কারন সেটা সব জায়গা থেকে একই রকম দেখায়।
৩। হারিয়ে গেলে বিচলিত না হয়ে নিজের কাজ সারতে থাকুন তওয়াফ বা সায়ী .. আর সন্গীদের আগে থেকেই বলে রাখুন .।হারিয়ে গেলে হারাম শরীফের সবুজ বাতির সামনের সিড়িতে থাকবেন ,সেখানে পেতে সহজ হবে।
৪। যাবার আগেই সিম পেয়ে যাবেন ওখানে গেলে ১০ রিয়াল ভরে নিবেন ও নিজেদের মানে পরিবারের নম্বর কাছে রাখবেন।হঠাৎ মসজিদে পথ হারিয়ে গেলে মসজিদের ঝারুদার বা কোরানশরীফের রাখওয়ালাদের জিগেস করুন তাদের বেশীর ভাগই বাঙালী।
৫। মসজিদে এতেকাফের নিয়তে ঢুকবেন অযথা কথা বলবেন না । বেশী বেশী ইস্তগফার দোয়া দুরুদ পড়ুন।
৬। তওয়াফ মাতাবে করবেন ।দোতালা তিনতলায় যাবার দরকার নেই। একটো খালি পাবেন সকালে ৯-১০টা ও এশার নামাজের পরে।এই মাতাবে অনেক সাহাবীদের কবর আছে সে কথা খেয়াল রাখবেন আল্লাহর প্রতি একাগ্রচিত্তে তোয়াফ করবেন ।অযথা কথা বলবেন না ।
৭। হাজরে আসওয়াদ পেলে চুম্বন করবেন। না পেলে এমন ঠেলাঠেলি করবেন না যাতে আহত হবার সুযোগ থাকে কারন এটা আবশ্যক কিছু নয়।
৮। হাতীমের মধ্যে নামাজ পড়ার চেস্টা করবেন।(এশায় ও সকালে খোলা থাকে)।
৯। ওয়াক্তের নামাজের জন্য মসজিদের দোতালায় উঠে যাবেন ভীড় কম পাবেন ।সাথে মহিলা থাকলে আব্দুল আজিজ গেট থেকে ২ তলায় উঠে হাতের বামে যেয়ে উমরা গেটের কাছে যাবেন ।সেখানে অনেক প্রশস্ত জায়গা পাবেন
কাবা শরীফে র মধ্যে কিন্তু বেশ কিছু ইমারজেন্সী মেডিকেল সেন্টার আছে ।প্রত্যেক টি গেট থেকে ঢুকে দোতালায় হাতের বায়ে দরকার হলে যেতে পারেন।
আরেকটা হলো- প্রতি নামাজের পর সেখানে বেশ কটি জানাজার নামাজ হয় তাই ফরয পড়ার পর । একটু দেরী করতে হবে । জানাজার নামাজ পরে বাকী সুন্নত পড়বেন।
১০। হারাম শরীফে আসার সময় কিছু দান করবেন। আবার দেখবেন অনেকেই জুস ,রুটি বই ফল বিলাচ্ছে.... নিয়ে নিবেন।জুম্মার দিনে দুপুরের খাবারও বিলি করে।
১১। মক্কায় কোরান শরীফের দাম বেশী,পারলে মদিনা থেকে কিনবেন ।বাকী জিনিস যেমন তজবী,জায়নামাজ মক্কা থাকে কিনতে পারেন।
১২। সাফা মারওয়ার পিছনে হুজুর (সাঃ) বাড়ীর সামনে দিয়ে যেয়ে বাস স্ট্যান্ড পাওয়া যায় সেখান থেকে ১০ রিয়ালে আয়েশা মসজিদে যাওয়া যায় যেখানে যেয়ে বার বার ওমরার জন্য ইহরাম বাধতে পারবেন।
১৩।হজ্বের আগে ২-৩ দিন নামাজ ছাড়া অযথা গোরাফিরা করবেন না ।কারন হজ্বের ৫ দিন খুবই পরিশ্রম যাবে ।নিজেকে প্রস্তুত রাখুন।
হজ্বের ব্যাপারে আসলে যত বিধিনিষেধ আছে তার মধ্যে একটি অন্যতম বিশ্বাস হলো যে বিয়ে না করে হজ্ব করলে পূর্ন সওয়াব পাওয়া যায়না ও মেয়ে বিয়ে না দিয়ে হজ্বে গেলে হজ্ব কবুল হয়না আসলে এ দুটোরই কোন ভিত্তি নেই...একেবারেই নাই। আপনার কাছে যদি সে পরিমান অর্থ থাকে যে আপনি হজ্বে যেতে পারবেন এবং সে সময় আপনার পরিবার আপনার অনুপস্হিতিতে ব্যায়ভার বহন করতে পারবে তবে আপনার উপর হজ্ব ফরয।আর হজ্ব করতে হবে হালাল অর্থে...এদুটি ছাড়া হজ্বের আর কোন শক্ত শর্ত নেই।তবে মহিলাডের সাথে মাহরাম থাকে আবশ্যক। গতবার আমাদের সাথে বেশ কিছু মহিলা হজ্বে এসেছিলেন মোয়াল্লেম কে মাহরাম করে আসলে এটা ঠিক না মহিলাদের মাহরাম তারাই হতে পারবেন যাদের সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ।
আবার আসি সেসব বিষয় যা আসলে কোন বইতে পাবেন না কিন্তু চলার পথে বার বার এসবের সম্মুখীন হবেন ...সে সবের সমাধান
দেশে যে যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন-
১। পাসপোর্ট ও এয়ার টিকিট একটি পলিথিন প্যাকেটে পেচিয়ে রাখুন। বার বার বের করার জন্য নেতিয়ে পরবে না ।
২। রিয়ালের সাথে কিছু ডলারও নিয়ে যান। তাহলে পরে ভাঙিয়ে সুবিধা মত খরচ করতে পারবেন।
৩। রিয়ালের ছোট নোট মানে ৫ টাকা ১০ টাকা ও এক টাকা বেশী করে নিবেন। নামাজ পড়তে যাবার সময় দান করার জন্য ১ রিয়াল নিয়ে যাবেন এবং খাবার বা কাপড় কেনার জন্য ৫-২০ রিয়ালই যথেস্ট। ৫ রিয়ালে ঘড়ি,স্কার্ফ,মাথার ওড়না,টেবিল ক্লথ,ছাতা,আতর ইত্যাদি পাবেন খাবারের মধ্যে রুটি , দই,পাউরুটি জুস ৫ রিয়ালে পাবেন।১০-২০ রিয়ালে ভালো কোরানশরীফ ,তজবী,স্যান্ডেল ,জোব্বা পাবেন। মক্কায় হারাম শরীফে যাবার পথে রাস্তার পাশে এসব পেয়ে যাবেন।
৪। কিছু শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট ,চানাচুর নিয়ে যাবেন মক্কায় এসব নেই ,বিস্কুট কিছু দোকানে পাওয়া যায় কিন্তু দাম বেশী।
৫। অবশ্যই আচার ও মরিচ নিয়ে যাবেন একই রকম খাবের খেতে খেতে যখন বিরক্ত হয়ে যাবেন তখন ভালো লাগবে।চাটনীর প্যাকেট গুলোও নিয়ে যেতে পারেন।
৬। চা বানানোর সরন্জাম নিয়ে যাবেন যেমন ইলেকট্রিক কেতলি,টি ব্যাগ চিনি ও দুধ। তাছেড়া গরম পানি রাখার ফ্লাস্ক নিয়ে যাবেন ,কারন মক্কায় যেয়ে কাশি হয় আর যাদের শ্বাস কস্ট আছে তাদের ভীষন কস্ট হয় ।মক্কায় সাপ্লাইয়ের পানি কনকনে ঠান্ডা সবাই গরমে অতিস্ট হয়ে এই ঠান্ডা পানি খেয়ে আরও বেশী ঠান্ডা বাধায়। তাই একটু গরম পানি আপনার শরীর সুস্হ রাখবে।
৭। আমাদের দেশের হাজী দের সোনালী ব্যাংক একটা বুকে বাধার ব্যাগ দেয় এই ব্যাগটা অনেক কার্যকারী।টাকা ,ডলার বা রিয়াল প্যাকেটে করে এই ব্যাগে রেখে বুকে বেধে রাখবেন।সবসময় তাতে হারানোর ভয় থাকবেনা ।কখনো ব্যাগে বা হোটেলে টাকা রেখে যাবেন না ।
৮। তোয়াফ বা সায়ী করার জন্য ৭ দানার তজবী পাওয়া যায় ,হয় কিনে নিবেন নাহয় বানিয়ে নিবেনকাজে লাগবে।
৯। কাধে ঝোলানোর জন্য কাপড়ের ব্যাগ বানিয়ে নিবেন,মসজিদে যাবার সময় এতে পানির বোতল,পলিথিন ব্যাগ নিয়ে যাবেন ।মসজিদ চত্বরে ঢুকে স্যান্ডেল খুলে পলিথিন ব্যাগে মুড়ে সেই ঝোলানো ব্যাগে রাখবেন।
১০। কোরান শরীফ নিয়ে যাবার দরকার নেই হারাম শরীফে অনেক অনেক প্রকারের কোরান শরীফ আছে।তবে জায়নামাজ অবশ্যই নিয়ে যাবেন।
১১। আমাদের দএশের যে বাটার স্পন্জের স্যান্ডেল আছে না সেগুলি নিবেন এক জোড়া করে ।বেশী নেবার দরকার নেই যেভাবে বললাম সেভাবে রাখলে হারানোর ভয় নেই।
১২। যাবার আগে নিজস্ব ওষুধ দেখেনিন।কিছু ঠান্ডার ওষুধ যেমন ফেক্সোফেনাডিন বা ডেসলোরাটাডিন,কিছু এন্টিবায়োটিক যেমন এজিথ্রোমাইসিন এবং এমোক্সাসিলিন নিয়ে যাবেন। কফ সিরাপ,নেসাল ড্রপ নিয়ে যাবেন।তুলা গজ ডেটল বা পভিসেপ,ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ ,মাইক্রোপোর নিয়ে যাবেন। ডায়াবেটিস ও প্রেশারের ওষুধ হিসাব করে নিয়ে নিবেন ,এজমার রোগীরা অবশ্যই ইনহেলার নিবেন কখনই যেন ভুল না হ্য়।ওখানে ওষুধের দাম আকাশচুম্বী।
১৩। সুই সুতা, নেল কাটার, ছোট কাচি ,রেজার নিয়ে যাবেন।বার বার ওমরা করলে বারবার নাপিতের কাছে যাবার দরকার নেই রেজার দিয়ে মাথা কামিয়ে নিবেন।
১৪। প্লাস্টিকের প্লেট ,মগ,ছোট বাটি নিয়ে যাবেন কাচের নিবেন না ভারী হবে তাছাড়া ভেন্গেও যাতে পারে।
১৫। অনেকবইয়ে অনেক দোয়া দুরুদ পাবেন অনেক জায়গায় ছড়ানো ছিটানো ...আমি নিজে কি করেছিলাম তাই বলি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন দোয়া একত্রে ফটোকপি করে একটা খাতার মতো বানিয়ে নিয়েছিলাম ।আপনিও সেটা করতে পারেন সুবিধা হবে।
১৬। নামাজ ছাড়া অন্য কোথাও গেলে পিটি সু নিয়ে যাওয়া ভালো কারন অনেক পথ হাটার জন্য এ জুতো গুলো উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই পাতলা কাপড়ের স্যু নিবেন এবং হেটে আসার পর পা ভালো করে হাল্কা সুসুম গরম পানিতে দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন
১৭। দেশথেকে যাবার আগে দুই ধরনের টিকা দেয়া হয় অবশ্যই টিকা নিয়ে নিবেন একটি মেনিনজাইটিসের অপরটি ইনফ্লুয়েন্জার ।হাজী ক্যাম্প,ঢাকা মেডিকেল,সোহরাওয়ারদী মেডিকেলে বিনামূল্যে দেয়া হয়।এই টিকা যত আগে নেয়া যায় ততই ভালো কারন টিকা নেয়ার পর একটু জ্বর হবে তা দেশেই হয়ে যাওয়া ভালো
১৮। এক প্যাকেট ওয়ান টাইম গ্লাভস নিয়ে যাবেন
১৯।তায়াম্মুমের জন্য মাটি নিতে হবে। আবার মাটি টা এমন ব্যাগে রাখবেন যেটা বিমানে আপনার হাতে থাকবে।
এবার আসুন মক্কায় কি কি খেয়াল রাখবেন-
২। মক্কায় যেয়ে হোটেল রুমে বা বাসায় যেখানেই থাকেন না কেন ,প্রথমেই ফ্রেশ হয়ে মোয়াল্লেমের বলা সময়ে হারাম শরীফে যাবেন । আশে পাশের জিনিস খেয়াল রাখবেন,কারন মক্কায় হারানোর সম্ভাবনা নেই ।বড় কোন হোটেল যেমন হিলটন বা মেরিডিয়ান বা কোন রাস্তার উপরে চিহ্ন খেয়াল রাখুন । ভুলেও মক্কা তাওয়ার বা মক্কার ঘড়ি দিক নির্দেশনার জন্য রাখবেন না কারন সেটা সব জায়গা থেকে একই রকম দেখায়।
৩। হারিয়ে গেলে বিচলিত না হয়ে নিজের কাজ সারতে থাকুন তওয়াফ বা সায়ী .. আর সন্গীদের আগে থেকেই বলে রাখুন .।হারিয়ে গেলে হারাম শরীফের সবুজ বাতির সামনের সিড়িতে থাকবেন ,সেখানে পেতে সহজ হবে।
৪। যাবার আগেই সিম পেয়ে যাবেন ওখানে গেলে ১০ রিয়াল ভরে নিবেন ও নিজেদের মানে পরিবারের নম্বর কাছে রাখবেন।হঠাৎ মসজিদে পথ হারিয়ে গেলে মসজিদের ঝারুদার বা কোরানশরীফের রাখওয়ালাদের জিগেস করুন তাদের বেশীর ভাগই বাঙালী।
৫। মসজিদে এতেকাফের নিয়তে ঢুকবেন অযথা কথা বলবেন না । বেশী বেশী ইস্তগফার দোয়া দুরুদ পড়ুন।
৬। তওয়াফ মাতাবে করবেন ।দোতালা তিনতলায় যাবার দরকার নেই। একটো খালি পাবেন সকালে ৯-১০টা ও এশার নামাজের পরে।এই মাতাবে অনেক সাহাবীদের কবর আছে সে কথা খেয়াল রাখবেন আল্লাহর প্রতি একাগ্রচিত্তে তোয়াফ করবেন ।অযথা কথা বলবেন না ।
৭। হাজরে আসওয়াদ পেলে চুম্বন করবেন। না পেলে এমন ঠেলাঠেলি করবেন না যাতে আহত হবার সুযোগ থাকে কারন এটা আবশ্যক কিছু নয়।
৮। হাতীমের মধ্যে নামাজ পড়ার চেস্টা করবেন।(এশায় ও সকালে খোলা থাকে)।
৯। ওয়াক্তের নামাজের জন্য মসজিদের দোতালায় উঠে যাবেন ভীড় কম পাবেন ।সাথে মহিলা থাকলে আব্দুল আজিজ গেট থেকে ২ তলায় উঠে হাতের বামে যেয়ে উমরা গেটের কাছে যাবেন ।সেখানে অনেক প্রশস্ত জায়গা পাবেন
কাবা শরীফে র মধ্যে কিন্তু বেশ কিছু ইমারজেন্সী মেডিকেল সেন্টার আছে ।প্রত্যেক টি গেট থেকে ঢুকে দোতালায় হাতের বায়ে দরকার হলে যেতে পারেন।
আরেকটা হলো- প্রতি নামাজের পর সেখানে বেশ কটি জানাজার নামাজ হয় তাই ফরয পড়ার পর । একটু দেরী করতে হবে । জানাজার নামাজ পরে বাকী সুন্নত পড়বেন।
১০। হারাম শরীফে আসার সময় কিছু দান করবেন। আবার দেখবেন অনেকেই জুস ,রুটি বই ফল বিলাচ্ছে.... নিয়ে নিবেন।জুম্মার দিনে দুপুরের খাবারও বিলি করে।
১১। মক্কায় কোরান শরীফের দাম বেশী,পারলে মদিনা থেকে কিনবেন ।বাকী জিনিস যেমন তজবী,জায়নামাজ মক্কা থাকে কিনতে পারেন।
১২। সাফা মারওয়ার পিছনে হুজুর (সাঃ) বাড়ীর সামনে দিয়ে যেয়ে বাস স্ট্যান্ড পাওয়া যায় সেখান থেকে ১০ রিয়ালে আয়েশা মসজিদে যাওয়া যায় যেখানে যেয়ে বার বার ওমরার জন্য ইহরাম বাধতে পারবেন।
১৩।হজ্বের আগে ২-৩ দিন নামাজ ছাড়া অযথা গোরাফিরা করবেন না ।কারন হজ্বের ৫ দিন খুবই পরিশ্রম যাবে ।নিজেকে প্রস্তুত রাখুন।
২.
হজ্বের ব্যাপারে নিজেকে প্রস্তুত করুন মনে মনে। মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার আগে মানসিক প্রস্তুতু নিন । এখন থেকেই শুরু হবে হজ্বের ফরয সমস্ত রুকন।
১। নিজের জন্য একটি ব্যাগ আলাদা করে গুছিয়ে নিন ।সাধারনত হজ্ব যাত্রীদের একটি কালো রংয়ের সাইড ব্যাগ দেয়া হয়।সেটাতে প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে নিন।ইহরামের কাপড় ত পরেই যাবেন।সাথে নিবেন আরেকটি কাপড় হতে পারে জোব্বা বা পাজামা-পান্জাবী মেয়েদের ক্ষেত্রে আরেক জোড়া সালোয়ার কামিজ।
২। ব্যাগে পাতলা চাদর নিবেন সাথে একটা প্লাস্টিকের বোতল।গ্লাস নেবার দরকার নেই।
৩। পাথরের জন্য ছোট একটি বটুয়া/কাপড়ের ব্যাগ বানিয়ে নিয়ে যাবেন।
৪।জায়নামাজ ,তজবী,ওজিফার বই ইত্যাদি সাথে নিবেন।
৫।পায়ে এবার অবশ্যই থাকবে পিটি স্যু।স্পন্জের স্যান্ডেল একজোড়া নিতে পারেন বাথরূমের জন্য।
৬। হাতের গ্লাভসের প্যাকেট নিবেন।
৭। মিনায় যাবার আগে হাতের ব্যান্ড, মিনার তাবুর আই ডি কার্ড ও ঠিকানা লেখা কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নিবেন।
৮। সেই যে টাকার প্যাকেটের কথা বলেছিলাম সেটা বুকে বাধার ব্যাগে বুকে বেধে রাখবেন।
৯।অন্যান্য জিনিসপত্র হোটেল রুমে তালা দিয়ে রেখে আসবেন।
৬-৭ জিলহজ্ব তারিখে আপনাকে গাড়ীতে করে মিনায় তাবুতে নিয়ে যাওয়া হবে.হয়তো পুরোটা পথ যেতে পারবেন অথবা কিছু পথ হেটেও যেতে হতে পারে । সেজন্যই হাতে যত কম জিনিস থাকে ততই ভালো। বাংলাদেশের তাবু সাধারনত খুটি নম্বর ৫-৭ এর মধ্যে থাকে । মিনাতে যেয়ে নিজের তাবু বুঝে নিন। তাবু চিনাতে প্রথমে একটু কস্ট হতে পারে দেখবেন তাবুর উপরে গোলাপপ কাগজে তাবু নম্বর দেয়া আছে । আবার বাংলাদেশের এড়িয়া ছেড়ে না গেলে তাবু হারাবেনা ।তাবু মনে রাখার অন্যতম উপায় হলো বাথরুম দিয়ে খেয়াল করুন আপনার তাবুটি বাথরুম হতে কোন দিকে কত দুরে।
১০।তাবু পেলে চেস্টা করবেন নিজের বিছানাটা যেন এসির ঠিক নীচে হয় কারন রাতে মারাত্মক ঠান্ডা পরে এসি থেকে মুখোমুখি দুরে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে।
১১।তাবুতে যেয়ে নিজের অবস্হান ঘুরে বুঝে নিন ।এড়িয়ার বাইরে যেয়ে রাস্তার অপর পাশে বেশ কিছু বাঙালী হোটেল আছে সেখানে খাবার পাওয়া যায় ।
১২।অবশ্যই তাবুর আই ডি ও ঠিকানা সম্বলিত কার্ডটি কাছে রাখবেন।নিজ মোয়াল্লেমের মোবাইল নম্বরও কাছে রাখুন।
১৩।নিজের জিনিস নিজ বিছানায় গুছিয়ে রাখুন ।বাঠরুমের স্যান্ডেল পলিথিনে করে পায়ের কাছএ রেখে দিবেন।
রাতের খাবার খেয়ে অযথা ঘোরাঘুরি না করে ইবাদতে মশগুল থাকুন।
১৪। বাথরুমে যেয়ে লাইনে দাড়ান ।অবশ্যই গ্লাভস সাথে নিয়ে যাবেন ।কারন আপনি জানেন না বাথরুমের পরিবেশ কেমন ।বেশীরভাগ সময়ই নোংরা প্যানে পানি ঢালার নলটি গড়াগড়ি খায়।সেজন্য গ্লাভস ব্যাভার করুন ।ভালো মত নলটি ধুয়ে ব্যাবহার করুন ।কাজশেষে গ্লাভসটি পাশের ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।
১৫। অনেকেই বাথরুমে ঢুকে গোসল করে এটা করবেন না।অন্যের কস্ট বুঝুন । বাহিরে কেউ না কেউ আপনার বের হবার অপেক্ষা করছে।
১৬। রাতে বের হয়ে ছোট ছোট পাথর কুড়িয়ে আনুন। মোট ৭০ টি পাথর লাগবে (২১+২১+২১=৬৩+৭=৭০)
১। পরেরদিন সকালে যাত্রা শুরু হবে জামারাতের উদ্দেশ্যে। মনে রাখবেন এদিন হাতে শুধু পানির বোতল নিবেন।পায়ে পিটি স্যু। আই ডি কার্ড বুকে ঝোলানো । আর টাকার ব্যাগ বুকে ।ব্যাস ।
২। জামারাতের পথে যাবার জন্য কখনও ই ছাতা নিবেন না।কারন সমস্ত পথই বলতে গেলে শেড দেয়া তাতে বাতাসের ব্যাবস্হা আছে আর একটা হলো শেডে ঢুকার আগে নিরাপত্তা রক্ষীরা ছাতা হাতে থেকে নিয়ে ফেলে দেয় ।কারন এটা লোকের চলার পথে বাধার সৃস্টি করে।
৩। জামরায় যাবার সময় আপনার মোয়াল্লেম পতাকা হাতে এগিয়ে যাবেন । আপনি সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেস্টা করবেন।শহরের মানুষ যাদের বেশী হাটার অভনেই তারা অন্তত পতাকার রং খেয়েল রাখবেন এবং তাল মেলাতে চেস্টা করবেন। হারিয়ে গেলে বিচলিত হবেন না সবাই একই পথে যাবে। জামারায় পৌছে মোয়াল্লামকে ফোন করে নিজের অবস্হান সম্পর্কে বলুন।
৪। জামারাতে যাবার পথের দুই পাশে ঠান্ডা পানির কল ও বাথরুম রয়েছে ।খেয়াল রাখবেন পানি খাবার তালে যেন কাফেলা বেশী দুর এগিয়ে না যায়
৫। জামারাতে যেয়ে ভীড় এড়াবার জন্য একটু ঘুরে যান মানে সরাসরি কোনাকুনি চলে যাবেন না ঘুরে সামনে যান।বিসমিল্লাহ বলে ৭ টি পাথর একেএকে ছুড়ে মারুন তারপর জয়গা ছেড়ে পিছনে এসে মন ভরে দোয়া করুন। এটি দোয়া কবুলের স্হান
৬। ফিরে আসার সময় হাতের ডানে মসজিদ আল খায়েফ পরবে সেখানে ওয়াক্তের নামাজ বা দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়বেন।
৭। ফিরে আসার সময় অনেকটা দুর কিন্তু পানির কল নেই তাই পানির বোতলে আসার পথে পানি ভরে নিবেন। তাবুতে ফিরে এসে বিশ্রাম নিন।রাতে যেতে হবে আরাফাতে
আরাফাত- রাতে এশার নামাজের পর সাধারনত গাড়ী করে অথবা হেটে নিয়ে যাবে আরাফাত ময়দানে সেখানে রাতে তাবুতে কাটাতে হবে ।
সকালে মসজিদে নামিরাতে খুৎবা হবে ।যেখানে বাঙালীদের তাবু তা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরে।খুব ভোরে উঠে সেখানে চাইলে যেতে পারেন।তবে অবশ্যই যদি চিনে ফিরে আসতে পারেন তবেই যাবেন।সাধারনত একটি দলে যে মুফতি সাহেব থাকে ওনারা যান পারলে ওনাদের সাথে যোগাযোগ করে নিবেন।
২। আরাফাত দুয়া কবুল হবার স্হান।এখানে বেশী বেশী দোয়া করবেন আল্লাহর কাছে একাগ্রচিত্তে ক্ষমা চাইবেন।খোলা ময়দানে দোয়া চাইবেন এ ময়দানে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে হবে।সময়টি কাজে লাগান।হয়ত জীবনে ২য় বার না ও আসতে পারেন।
৩। আরাফাতে জাবলে রাহমাতে হয়ত হজ্বের দিন যেতে পারবেন না তাই আগেই সেই জায়গা যখন ঘুরাবে তখন জিয়ারত দোয়া দুরুদ পড়ে নিবেন।
আরাফাতের রাত কাটাতে হবে মুজদালেফায় সেদিন সন্ধ্যার পর আরাফাতের পর মুজদালেফায় চলে আসবেন তারপর এক নিয়তে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়তে হবে ।এক্ষেত্রে আগে মাগরিবের ফরয তারপর এশার ফরয এরপর মাগরিবের সুন্নত তারপর এশার সুন্নত এরপর বিতরের নামাজ পড়তে হবে। মুজদালেফায় সারারাত খোলা আকাশের নীচে থেকে দোয়া ইস্তেগফার পড়তে হবে। এসময় আবার জামারাতে মারার জন্য পাথর নিয়ে নিতে পারেন।
তারপরের দিন আবার জামারায় পাথর মেরে তারপর ফরয তওয়াফের জন্য মক্কায় আসতে হবে। তারপর আবার মিনায় যেয়ে জামারায় পাথর মেরে কুরবানী দিয়ে মাথা মুড়িয়ে ইহরাম মুক্ত হবেন।
মাথা মুড়ানোর জন্য নিজের রেজার ব্যাবহার করবেন ।একজন অন্যজনকে সাহায্য করতে পারেন।তবে আগে যাদের মাথা মুড়িয়েছে তারাই অপরকে সাহায্য করবেন। এরপর মক্কায় ফেরার পালা তারপর বিদায় তওয়াফ।
১। নিজের জন্য একটি ব্যাগ আলাদা করে গুছিয়ে নিন ।সাধারনত হজ্ব যাত্রীদের একটি কালো রংয়ের সাইড ব্যাগ দেয়া হয়।সেটাতে প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে নিন।ইহরামের কাপড় ত পরেই যাবেন।সাথে নিবেন আরেকটি কাপড় হতে পারে জোব্বা বা পাজামা-পান্জাবী মেয়েদের ক্ষেত্রে আরেক জোড়া সালোয়ার কামিজ।
২। ব্যাগে পাতলা চাদর নিবেন সাথে একটা প্লাস্টিকের বোতল।গ্লাস নেবার দরকার নেই।
৩। পাথরের জন্য ছোট একটি বটুয়া/কাপড়ের ব্যাগ বানিয়ে নিয়ে যাবেন।
৪।জায়নামাজ ,তজবী,ওজিফার বই ইত্যাদি সাথে নিবেন।
৫।পায়ে এবার অবশ্যই থাকবে পিটি স্যু।স্পন্জের স্যান্ডেল একজোড়া নিতে পারেন বাথরূমের জন্য।
৬। হাতের গ্লাভসের প্যাকেট নিবেন।
৭। মিনায় যাবার আগে হাতের ব্যান্ড, মিনার তাবুর আই ডি কার্ড ও ঠিকানা লেখা কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নিবেন।
৮। সেই যে টাকার প্যাকেটের কথা বলেছিলাম সেটা বুকে বাধার ব্যাগে বুকে বেধে রাখবেন।
৯।অন্যান্য জিনিসপত্র হোটেল রুমে তালা দিয়ে রেখে আসবেন।
৬-৭ জিলহজ্ব তারিখে আপনাকে গাড়ীতে করে মিনায় তাবুতে নিয়ে যাওয়া হবে.হয়তো পুরোটা পথ যেতে পারবেন অথবা কিছু পথ হেটেও যেতে হতে পারে । সেজন্যই হাতে যত কম জিনিস থাকে ততই ভালো। বাংলাদেশের তাবু সাধারনত খুটি নম্বর ৫-৭ এর মধ্যে থাকে । মিনাতে যেয়ে নিজের তাবু বুঝে নিন। তাবু চিনাতে প্রথমে একটু কস্ট হতে পারে দেখবেন তাবুর উপরে গোলাপপ কাগজে তাবু নম্বর দেয়া আছে । আবার বাংলাদেশের এড়িয়া ছেড়ে না গেলে তাবু হারাবেনা ।তাবু মনে রাখার অন্যতম উপায় হলো বাথরুম দিয়ে খেয়াল করুন আপনার তাবুটি বাথরুম হতে কোন দিকে কত দুরে।
১০।তাবু পেলে চেস্টা করবেন নিজের বিছানাটা যেন এসির ঠিক নীচে হয় কারন রাতে মারাত্মক ঠান্ডা পরে এসি থেকে মুখোমুখি দুরে থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে।
১১।তাবুতে যেয়ে নিজের অবস্হান ঘুরে বুঝে নিন ।এড়িয়ার বাইরে যেয়ে রাস্তার অপর পাশে বেশ কিছু বাঙালী হোটেল আছে সেখানে খাবার পাওয়া যায় ।
১২।অবশ্যই তাবুর আই ডি ও ঠিকানা সম্বলিত কার্ডটি কাছে রাখবেন।নিজ মোয়াল্লেমের মোবাইল নম্বরও কাছে রাখুন।
১৩।নিজের জিনিস নিজ বিছানায় গুছিয়ে রাখুন ।বাঠরুমের স্যান্ডেল পলিথিনে করে পায়ের কাছএ রেখে দিবেন।
১৪। বাথরুমে যেয়ে লাইনে দাড়ান ।অবশ্যই গ্লাভস সাথে নিয়ে যাবেন ।কারন আপনি জানেন না বাথরুমের পরিবেশ কেমন ।বেশীরভাগ সময়ই নোংরা প্যানে পানি ঢালার নলটি গড়াগড়ি খায়।সেজন্য গ্লাভস ব্যাভার করুন ।ভালো মত নলটি ধুয়ে ব্যাবহার করুন ।কাজশেষে গ্লাভসটি পাশের ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।
১৫। অনেকেই বাথরুমে ঢুকে গোসল করে এটা করবেন না।অন্যের কস্ট বুঝুন । বাহিরে কেউ না কেউ আপনার বের হবার অপেক্ষা করছে।
১৬। রাতে বের হয়ে ছোট ছোট পাথর কুড়িয়ে আনুন। মোট ৭০ টি পাথর লাগবে (২১+২১+২১=৬৩+৭=৭০)
জামারাত-
১। পরেরদিন সকালে যাত্রা শুরু হবে জামারাতের উদ্দেশ্যে। মনে রাখবেন এদিন হাতে শুধু পানির বোতল নিবেন।পায়ে পিটি স্যু। আই ডি কার্ড বুকে ঝোলানো । আর টাকার ব্যাগ বুকে ।ব্যাস ।
২। জামারাতের পথে যাবার জন্য কখনও ই ছাতা নিবেন না।কারন সমস্ত পথই বলতে গেলে শেড দেয়া তাতে বাতাসের ব্যাবস্হা আছে আর একটা হলো শেডে ঢুকার আগে নিরাপত্তা রক্ষীরা ছাতা হাতে থেকে নিয়ে ফেলে দেয় ।কারন এটা লোকের চলার পথে বাধার সৃস্টি করে।
৩। জামরায় যাবার সময় আপনার মোয়াল্লেম পতাকা হাতে এগিয়ে যাবেন । আপনি সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেস্টা করবেন।শহরের মানুষ যাদের বেশী হাটার অভনেই তারা অন্তত পতাকার রং খেয়েল রাখবেন এবং তাল মেলাতে চেস্টা করবেন। হারিয়ে গেলে বিচলিত হবেন না সবাই একই পথে যাবে। জামারায় পৌছে মোয়াল্লামকে ফোন করে নিজের অবস্হান সম্পর্কে বলুন।
৪। জামারাতে যাবার পথের দুই পাশে ঠান্ডা পানির কল ও বাথরুম রয়েছে ।খেয়াল রাখবেন পানি খাবার তালে যেন কাফেলা বেশী দুর এগিয়ে না যায়
৫। জামারাতে যেয়ে ভীড় এড়াবার জন্য একটু ঘুরে যান মানে সরাসরি কোনাকুনি চলে যাবেন না ঘুরে সামনে যান।বিসমিল্লাহ বলে ৭ টি পাথর একেএকে ছুড়ে মারুন তারপর জয়গা ছেড়ে পিছনে এসে মন ভরে দোয়া করুন। এটি দোয়া কবুলের স্হান
৬। ফিরে আসার সময় হাতের ডানে মসজিদ আল খায়েফ পরবে সেখানে ওয়াক্তের নামাজ বা দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়বেন।
৭। ফিরে আসার সময় অনেকটা দুর কিন্তু পানির কল নেই তাই পানির বোতলে আসার পথে পানি ভরে নিবেন। তাবুতে ফিরে এসে বিশ্রাম নিন।রাতে যেতে হবে আরাফাতে
আরাফাত- রাতে এশার নামাজের পর সাধারনত গাড়ী করে অথবা হেটে নিয়ে যাবে আরাফাত ময়দানে সেখানে রাতে তাবুতে কাটাতে হবে ।
সকালে মসজিদে নামিরাতে খুৎবা হবে ।যেখানে বাঙালীদের তাবু তা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরে।খুব ভোরে উঠে সেখানে চাইলে যেতে পারেন।তবে অবশ্যই যদি চিনে ফিরে আসতে পারেন তবেই যাবেন।সাধারনত একটি দলে যে মুফতি সাহেব থাকে ওনারা যান পারলে ওনাদের সাথে যোগাযোগ করে নিবেন।
২। আরাফাত দুয়া কবুল হবার স্হান।এখানে বেশী বেশী দোয়া করবেন আল্লাহর কাছে একাগ্রচিত্তে ক্ষমা চাইবেন।খোলা ময়দানে দোয়া চাইবেন এ ময়দানে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে হবে।সময়টি কাজে লাগান।হয়ত জীবনে ২য় বার না ও আসতে পারেন।
৩। আরাফাতে জাবলে রাহমাতে হয়ত হজ্বের দিন যেতে পারবেন না তাই আগেই সেই জায়গা যখন ঘুরাবে তখন জিয়ারত দোয়া দুরুদ পড়ে নিবেন।
মুজদালেফা-
আরাফাতের রাত কাটাতে হবে মুজদালেফায় সেদিন সন্ধ্যার পর আরাফাতের পর মুজদালেফায় চলে আসবেন তারপর এক নিয়তে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়তে হবে ।এক্ষেত্রে আগে মাগরিবের ফরয তারপর এশার ফরয এরপর মাগরিবের সুন্নত তারপর এশার সুন্নত এরপর বিতরের নামাজ পড়তে হবে। মুজদালেফায় সারারাত খোলা আকাশের নীচে থেকে দোয়া ইস্তেগফার পড়তে হবে। এসময় আবার জামারাতে মারার জন্য পাথর নিয়ে নিতে পারেন।
তারপরের দিন আবার জামারায় পাথর মেরে তারপর ফরয তওয়াফের জন্য মক্কায় আসতে হবে। তারপর আবার মিনায় যেয়ে জামারায় পাথর মেরে কুরবানী দিয়ে মাথা মুড়িয়ে ইহরাম মুক্ত হবেন।
মাথা মুড়ানোর জন্য নিজের রেজার ব্যাবহার করবেন ।একজন অন্যজনকে সাহায্য করতে পারেন।তবে আগে যাদের মাথা মুড়িয়েছে তারাই অপরকে সাহায্য করবেন। এরপর মক্কায় ফেরার পালা তারপর বিদায় তওয়াফ।
৩.
এবারের পর্ব মদীনা-
যারা প্রথম দিকে যাচ্ছেন তাদের প্রথম গন্তব্য হবে প্রিয় নবীর শহর মদীনাতে। প্রথমে আপনারা বায়তুল্লাহ শরীফে উমারাহ করে পরের দিন রওয়ানা হয়ে যাবেন মদীনার উদ্দেশ্যে-
১। শুকনো কিছু খাবার হাতে নেয়ার ব্যাগে রাখুন কারন জেদ্দা এয়ারপোর্টে নেমে আপনার নির্দিস্ট গন্তব্যে যেতে আপনার ৬-১০ ঘন্টা সময় লেগে যেতে পারে। বিমান বন্দরে অনেকক্ষন অপেক্ষা করতে হবে।
২। উমরা করে আপনারা যেদিন মদীনার পথে রওয়ানা দেবেন সে সময়ের সফর বেশ লম্বা প্রায় ৬-১০ ঘন্টার ব্যাপার ।এতে তেমন বিচলিত হবার দরকার নেই গাড়ী পথে দুটি জায়গায় থামে।প্রয়োজনীয় কাজ বা খাবার খেতে পারবেন।
৩। এ সময় আপনারা যারা উমরা করবেন তারা বেশীর ভাগ কাজ করে ফেলার চেস্টা করবেন যেমন হাজরে আসওয়াদ চুমু খাওয়া বা হাতীমে নামাজ পড়া ইত্যাদি।কারন পরবর্তীতে যখন ফিরে আবার মক্কায় আসবেন তখন মক্কা থাকবে লোকেলোকারন্য।
৪।মদীনা যাবার সময়টি যদি হয় রাত্রি তবে একটা জিনিস খেয়াল করবেন মক্কা থেকে মদীনা পুরো পথটি অন্ধকারে ঢাকা এত উন্নত দেশেও সে পথটি অন্ধকার রাখা হয়েছে কারন আমাদের হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) যখন মদীনায় হিযরত করেন তখন পুরো পথটিই ছিলো অন্ধকারে ঢাকা আর তাই এখনও সেই পথটি অন্ধকার করে রাখা হয়েছে।
৫। মদীনা অনেক শান্ত শহর। মদীনাবাসী দের দান করার কথা বলা হয়েছে। এ শহরের বাসীদের সাথে আচার আচরনে মার্জিত হতে হবে,মনে রাখতে হবে এই মদীনা বাসী দের কাছেই আমাদের নবী আশ্রয় নিয়াছিলেন।এ শহরে প্রতি মুহুর্তে মনে করতে হবে আমার নবীর শহর ,তিনি এখানেই আছেন আর তাই আদব কায়দাও সেভাবেই করতে হবে।
৬। বাসে থাকা অবস্হায়ই আপনি মসজিদে নববীর মিনার দেখতে পারবেন। আমরা বাঙালীরা মসজিদ থেকে বেশ খানিকটা দূরে থাকি তাই পথ ভালো ভাবে চিনে নিতে হবে।এক্ষেত্রে ফ্লাই ওভার ও চৌরাস্তা দেখে পথ সহজেই চিনতে পারবেন।
৭। মদীনায় যে বাসা বা হোটেলে থাকবেন তার ঠিকানা লেখা কার্ড সবসময় সাথে রাখবেন।
৮। মসজিদে নববীতে পুরুষ ও মহিলাদের নামাজ পড়ার জায়গা ভিন্ন। মহিলাদের জায়গা অনেক ভিতরের দিকে তাই সাথে মহিলা থাকলে আযানের বেশ কিছুটে আগেই মসজিদে পৌছানোর চেস্টা করুন।
৯। মসজিদে যদি ৬ নং গেট দিয়ে ঢুকেন তবে রওজা মোবারক সামনে পরে আদাবের সহিত হূজুর (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ ও সালাম পড়ে মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করুন।
১০। মহিলাদের জায়গা পিছনের দিকে।এখানে জায়গা চেনার উপায় হলো বাথরুমের নম্বর দিয়ে গেটের কাছে ৪ নং ও ৫ নং বাথরুম থাকবে সেখানে অপেক্ষা করতে বলবেন।
১১। মসজিদের মধ্যে চলাচলের জন্য বেশ কিছু গাড়ী বা শ্যাটল সার্ভিস আছে।হাত দেখালেই থামবে ও জায়গা মতো পৌছে দেবে।সাধারনত মহিলাদের জন্য।
১২। মহিলাদের নামাজের গেট নং ১১ ও ২৮।
১৩। রওজা মোবারক জিয়ারতের জন্য নির্দিস্ট সময় আছে ।মহিলারা ফজর নামাজের ও এশার নামাজের পর রওজা জিয়ারত করতে পারবেন ।মহিলাদের জন্য ২৮ ও ৫৪ নম্বর গেট দিয়ে রওজায় ঢুকতে হবে। সেখানে মসজিদের খাদেমরা বাকী পথ দেখিয়ে দিবে। আদাবের সাথে কাজ করবেন ।সবাই জিয়ারতে যথেস্ট সময় পাবেন মন ভরে নামাজ পড়ার সময় পাবেন তাই অযথা দৌড়াদৌড়ি বা অন্যের অসুবিধা করবেন না ।পুরুষদের জন্য বাকী সবসময়ের জন্য রওজা মোবারক জোয়ারতের জন্য খোলা থাকে। রওজার সামনে যে সবুজ বা সাদা কার্পেটের জায়গা টুকু আছে তাকে রিয়াজুল জান্নাত বা জান্নাতের টুকরা বলে ।অবশ্যই সেখানে নামাজ পড়বেন ও মন ভরে দোয়া করবেন। হুজুরে (সাঃ) এর রওজা মোবারক
রিয়াজুল জান্নাত
মসজিদের মেহরাব যেখনে হুজুর মোহাম্মদ (সাঃ) নামাজ পড়তেন
১৪। মসজিদের পিছনেই জান্নাতুল বাকী এখানে অনেক সাহাবীগনের কবর রয়েছে পুরুষেরা জিয়ারতে যেতে পারবেন।মহিলাদের জিয়ারতের জন্য যেতে দেয়া হয়না ।মহিলারা দূরে দাড়িয়ে দোয়া করবেন।
১৫। মদীনায় জিনিসের দাম মক্কার তুলনায় কম তাই এখান থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারেন ।বিশেষ করে খেজুর মসজিদের ৬ নং গেট থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হয়ে কিছুদুর এগুলেই বিখ্যাত খেজুর মার্কেট এখান থেকে বিভিন্ন দামে খেজুর কিনতে পারবেন।
১৬। জমজমের পানি দেশে আনার জন্য মসজিদের ৪ নং গেটের বাম পাশে ১০ লিটারের ক্যান বেচে সেখান থেকে কিনে পাশেই লেমিনেটিং করিয়ে নিতে হবে কারন লেমিনেটিং না করালে ফেরৎ বিমানে নিতে দিবে না।খরচ পরবে ১০ রিয়াল।
১৭। মসজিদে ঢোকার পথের বাম পাশে বেশ কিছু দোকান দেখবেন- সেখান থেকে কোরান শরীফ , তজবী,যায়নামাজ কিনতে পারেন সাশ্রয়ী হবে।
১৮। মসজিদে নববি থেকে প্রায় ৩ কিমি দুরে মসজিদে কুবা । এটা মদীনার প্রথম মসজিদ।হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) মদীনাতে এসে প্রথম এখানে নামাজ পড়েন ।এমসজিদে নামাজ পড়লে একটি উমরার সওয়াব পাওয়া যায়। মসজিদে নববীর সামনে থেকে ট্যাক্সি তে মাসজিদে কুবায় যাওয়া যায় ১০ রিয়ালে । হেটে ও যাওয়া যায়, হেটে যাওয়া সুন্নাত ।হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ফযরের নামাজ নিজের মসজিদে শেষ করে হেটে মসজিদে কুবায় যেতেন।
আরেকটি মসজিদ আছে মসজিদে কিবলাতাঈন ।এই মসজিদে নামাজ পড়ার সময়ই ওহী নাযিল হয় এবং হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) নামাজের মধ্যেই কিবলা বায়তুল মোকাদ্দেস থেকে বায়তুল্লাহ কাবার দিকে ফিরিয়ে নেন। এখন ও সে মসজিদে দুইটি কিবলা বিদ্যমান। ২টি কিবলার মসজিদ পৃথিবীতে এই একটিই।অবশ্য বায়তুল মোকাদ্দেসের দিকের কিবলার পথ বন্ধ করে দেয়া আছে।
১৯। অনেকেই নানা জায়গায় ঘুরতে যাবেন তার মধ্যে অবশ্যই ওহূদ পাহাড়ে যাবেন। এখানে অনেক ফজিলত আছে।বলা হয় এ পাহাড় জান্নাতের একটি দরজা হবে।এ পাহাড়ে উঠে দোয়া করবেন এবং খেজুর বা মিষ্টি কিছু খাবেন।পাশেই সাহাবীদের কবরস্হান এটা জিয়ারত করবেন ,তারও পাশে একটি মিউজিয়ামের মত আছে সেখানেও ঘুরে দেখতে পারেন।তাছাড়াও রয়েছে খন্দকের ময়দান,যেখানে ৪টি মসজিদ এখনও আছে পারেল ২ রাকাত নামাজ পড়ে নিবেন।
২০। বিখ্যাত আজওয়া খেজুরের বাগান আছে দেখতে যেতে পারেন ।গাছ থেকে পেরে খেতেও পারবেন।
২১। মসজিদে নববীতে ঢোকার সময় মোবাইল সাথে নিতে দেয়না তাই মোবাইল নিতে হলে বুকের ব্যাগের ভিতরে নিতে হবে।জিয়ারতের সময় রওজা মোবারকের ছবি তোলা নিষেধ।এটা মেনে চলুন।
২২। মসজিদে নামাজ পড়ার সময় ফজরে ও এশাতে ভিতরে পড়ার চেস্টা করবেন কারন বাহিরে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে।এ দুই সময় অবশ্যই গরম কাপড় নিয়ে যাবেন। শাল বা মফলার হলে ভালো হয়।দুপুরে বাহিরে পড়তে পারেন কারন সেখানে অনেক সয়ংক্রিয় ছাতা থাকে যেটা আপনা আপনি দুপুর ১১ টায় খুলে ও বিকাল ৫ টায় বন্ধ হয়ে যায়।কিছু গুম্বুজও এসময়ে একি সাথে খুলে ও বন্ধ হয়।খুবই সুন্দর লাগে দেখতে।
২৩। মসজিদের দক্ষিন দিকে একটি মিউজিয়াম আছে সেখনে মোহাম্মদ (সাঃ) এর উপর বিভিন্ন বই , সিডি,মসজিদের পোস্টার বিনামূল্যে পাবেন। মাগরীব নামাজের পরে যেতে হবে।
অবশেষে সবাই কে শুভেচ্ছা ও আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে মকবুল হজ্বের তৌফিক দান করুক । আমীন।
লেখক : রুদ্রাক্ষী
লেখাটি ডাউনলোড করুন
► পিডিএফ ► ফ্লিপবুক
► টেক্সট ফাইল
আরো পড়ুন:বই - হজ্জ্বের হাকীকত
x 2 ভিউ
0 comments: