আল-কোরআনে ব্যভিচারের কাছেও যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং ব্যভিচার এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যে কোন ধরনের অশ্লীল ও মন্দ পথ অর্থাৎ অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও আকাঙ্খা থেকে ইমানদার মানুষ মাত্রই দূরে থাকা উচিত।
সূরা বণী ইসরাঈল (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১৭ : ৩২) অর্থ- আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও মন্দ পথ।
একজন ইমানদার যেহেতু মহান স্রষ্টার বিধানকেই সর্বোত্তম হিসেবে বিশ্বাস করে। কাজেই আল-কোরআনে ব্যভিচারী পুরুষ ও নারী সম্পর্কে ক্ষেত্র বিশেষে যতটুকু কাঠিন্য অবলম্বন করা বা ছাড় দেয়ার বিধান আছে, তা তো তাকে মানতেই হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আমার মনোভাবও একই এবং আমি যে এর পক্ষে কোনরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন বা ছাড় দিতে রাজি নই তা আশ্বস্ত করছি। অন্য কোন মানবতাবাদী মতবাদ নয়, বরং আল-কোরআন যতটুকু মানবতা দেখানোর পারমিশন দিয়েছে, ততটুকুই ঠিকমত মেনে চলতে পারলেই মানবতার মহৎ কর্মটিও যথাযথ ভাবে পালিত হবে বলে আমি সম্পূর্ণ আস্থা রাখি।
আল-কোরআনে সংগত কারনেই প্রাপ্ত বয়ষ্ক এবং ব্যভিচারের বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ নয় এমন ব্যভিচারী স্বাধীন পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে ক্ষেত্র বিশেষে জনসম্মুখে (২৪:০২) একশত বেত্রাঘাত করা কিংবা (নারীর ক্ষেত্রে) গৃহ বা কারাগারে (০৪:১৫) বন্দী করে রাখার বিধান দেয়া হযেছে । যুদ্ধবন্দী/দাস-দাসীদের ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমান (০৪:২৫) অর্ধেক করা হয়েছে। আর এই বিধানের ব্যপারে একজন ইমানদারের কোনই দ্বিমত থাকতে পারেনা; আমারও নেই।
সূরা আন-নূর ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(২৪:০১) এটা একটা সূরা যা আমি নাযিল করেছি, এবং আমিই ফরজ (অবশ্য পালনীয়) করেছি। আমিই এতে সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।
(২৪:০২) ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে গিয়ে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
সূরা আন নিসা ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(০৪:১৫) আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা দুষ্কর্ম (ব্যভিচারের) নিয়ে আসবে তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জনকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য পথ করে দেন।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে- পুরুষের জন্য শুধু বেত্রাঘাত, কিন্তু নারীর জন্য বেত্রাঘাত এবং গৃহবন্দী রাখার বিধান দেয়া হলো কেন?
অনেকে না ভেবে, না বুঝেই চট করে এটিকে নারীর ক্ষেত্রে আল-কোরআনের দ্বৈত-নীতি হিসেবে সমালোচনার ঝড় তুলতে শুরু করে দেন। কিন্তু কার জন্য কোনটা ভাল ও সামঞ্জস্যপূর্ণ তা সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা ভাল ভাবেই অবগত আছেন। একটু চিন্তা করলেই এর জবাব পাওয়া যায়। (০৪:১৫) নং আয়াতে কোন নারী “দুষ্কর্ম নিয়ে আসলে”- বলা হয়েছে, অর্থাৎ শুধু ব্যভিচারের অপবাদ নয়, বরং এর কারনে যদি সেই মহিলা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে, তাহলে সেটাই তার দুষ্কর্মের প্রমান বহন করে। এ অবস্থায় তাকে বেত্রাঘাতের শাস্তি দিলে পেটের বাচ্চাটির ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাচ্চা প্রসব না করা পর্যন্ত সে শাস্তি থেকে অব্যহতি পাবে, কিন্ত তাকে গৃহবন্দী থাকতে হবে। এর মধ্যে যদি কোন কারনে তার মৃত্যু ঘটে যায় তাহলে শাস্তির প্রশ্ন আসে না। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের পরও সেই মহিলা যদি বেঁচে থাকে, তাহলে তাকে (২৪:০২) বেত্রাঘাতের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
সূরা আন নিসা ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(৪:২৫) আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন বিশ্বাসী নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে যেন তোমাদের ( مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ) 'ডান হাতের অধিকারভুক্ত' বিশ্বাসী যুবতীদেরকে বিয়ে করে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা তো একে অন্য থেকে, অতএব তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতি নিয়ে বিয়ে কর, আর নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর; বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- ব্যভিচার করার জন্য নয় কিংবা রক্ষিতা রূপে গ্রহণ করার জন্যও নয়। তারপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল আচরন করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা পাপের ভয় করে। আর যদি ধৈর্য ধারন কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম-করুণাময়।
একই ভাবে কোন যুদ্ধবন্দীনি/দাসীর ক্ষেত্রে এই শাস্তির পরিমান হ্রাস করা হয়েছে। কারন যেহেতু ভিন্ন পরিবেশে ও সংস্কৃতিতে বসবাসে অভ্যস্ত থাকার কারনে তার মধ্যে ইসলামের বিধানের প্রতিফলন ঘটতে কিছু সময় লাগতে পারে। তাই তার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে অর্ধেক শাস্তির নির্দেশ এবং ধৈর্য ধারন কোরে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেয়ার পরামর্শটিও অত্যন্ত যৌক্তিক।
সূরা আন নিসা ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(০৪:১৬) তোমাদের মধ্য থেকে যে দুইজন সেই কু-কর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু।
(০৪:১৭) অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন যারা ভূল বশত মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন সর্ববিষয়ে জ্ঞানী ও কুশলী।
সূরা আন-নূর ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(২৪:০৩) ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারী ছাড়া অন্য কোন ভাল নারীকে বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণী নারী কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষ ছাড়া অন্য কোন ভাল পুরুষকে বিয়ে করবে না, এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।
(২৪:২৬) দুশ্চরিত্রা নারীকুল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
(০৪:১৬) নং আয়াতে যেহেতু তওবা করার অপশনও রয়েছে, সুতরাং অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক এবং এই বিধান সম্পর্কে অজ্ঞদের (০৪:১৭) ক্ষেত্রে প্রথমবার শাস্তি লাঘব ও তওবার সুযোগও রয়েছে। শাস্তি ভোগের ও তওবা করার পর একজন ব্যভিচারীর যে বিবাহ করে বেঁচে থাকার সুযোগ রয়েছে তা এই আয়াত গুলো (২৪:০৩), (২৪:২৬) লক্ষ করলে বুঝে নেয়াটা খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
আল্লাহতায়ালা আল-কোরআনের বিভিন্ন স্থানে একই বক্তব্য ও বিধান একাধিকবার রিপিট করেছেন। কিন্তু ব্যভিচারের জন্য পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদন্ড দেবার কথা কি একটিবারও বলা হয়েছে? এ ধরনের একটি সাংঘাতিক শাস্তির বিধান তো অন্তত একবার স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকার কথা- কেননা এ বিষয়ে তো বিস্তারিত বিবরণের কথাই বলা আছে।
তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এ ধরনের বিচার করার অধিকার কোন গ্রাম্য মোল্লা ও সালিশকারীর নেই। যদি কোন অবাঞ্চিত ব্যাক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এ ধরনের আইন নিজের হাতে তুলে নেয়, তবে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। আল-কোরআনের আইনে বিচার করার জন্য ইসলামি রাষ্ট্রের বিজ্ঞ বিচারকই একমাত্র যোগ্য ব্যাক্তি। এক্ষেত্রে অবশ্যই চারজন বা তার অধিক সাক্ষী থাকতে হবে। সাক্ষী তিন জন হলেও হবেনা। এটাই ফাইনাল। আর সাক্ষী একজন/দুইজন হলে বিচার চাওয়ার পূর্বে আরও সাক্ষী না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এ অবস্থায় বিচার চাইলে যদি অগত্যা সাক্ষীরা মিথ্যা বলেছে বলে প্রমানিত হয়, তাহলে সাক্ষীদেরকেই জনসম্মুখে আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের সাক্ষী আর গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। স্বামী/স্ত্রী পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে এক্ষেত্রে উভয়কেই লিয়ান করতে বলা হয়। অর্থাৎ আল্লাহর নামে শপথ করে নিজেকে নির্দোষ হিসেবে কসম করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি তারা মিথ্যা বলে- তবে তাদের শাস্তি পরকালে মহান আল্লাহর উপর ন্যস্ত করা হবে।
বেশ কিছু হাদিছের উদ্ধৃতি দিয়ে এখনও পাথর ছুঁড়ে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার দাবি তোলা হয়। এই হাদিছ গুলোকে সরাসরি অস্বীকার করার মত ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি বিশ্বাস করি যে, রাসূল (সাঃ) কোন সময় যদি এ বিধানটি কার্যকর করে থাকেন, তাহলে তখনকার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রুক্ষ মরু-এলাকার বর্বর স্বভাবের মানুষ গুলোর জন্য নিশ্চয় তা সঠিক ছিল। একটি হাদিছে (4211) ইহুদিকে ব্যভিচারের শাস্তি দেবার জন্য ইহুদি সম্প্রদায়ের স্মরণাপন্ন হওয়ার এবং তাদের কিতাব অনুসারে শাস্তি কার্যকর করার বিবরন এসেছে।
Sahih Muslim
(4211) Abdullah b. 'Umar reported that a Jew and a Jewess were brought to Allah's Messenger (may peace be upon him) who had committed adultery. Allah's Messenger (may peace be upon him) came to the Jews and said: What do you find in Torah for one who commits adultery? They said: We darken their faces and make them ride on the donkey with their faces turned to the opposite direction (and their backs touching each other), and then they are taken round (the city). He said: Bring Torah if you are truthful. They brought it and recited it until when they came to the verse pertaining to stoning, the person who was reading placed his hand on the verse pertaining to stoning, and read (only that which was) between his hands and what was subsequent to that. Abdullah b. Salim who was at that time with the Messenger of Allah (may peace be upon him) said: Command him (the reciter) to lift his hand. He lifted it and there was, underneath that, the verse pertaining to stoning. Allah's Messenger (may peace be upon him) pronounced judgment about both of them and they were stoned. Abdullah b. 'Umar said: I was one of those who stoned them, and I saw him (the Jew) protecting her (the Jewess) with his body.
এখানে দেখুন ইহুদিদের কাছে তাদের ধর্মগ্রন্থের সমাধান বের করতে বলা হয়েছে এবং অনেকের উপস্থিতিতে এবং সাক্ষী ছিল বলেই তো তাদের ধর্মগ্রন্থ মতে শাস্তি দেয়া হযেছে।
তাছাড়া অন্য হাদিছের (4206) বর্ণনা অনুসারে বোঝা যায় যে, তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসামীকে বার বার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আসামিরা তাদের কৃতকর্মের জন্য এতটাই অনুতপ্ত ছিল যে তারা পরকালীন মুক্তি পাবার আশায় পার্থিব শাস্তি বরন করে নেবার জন্য নিজেরাই ব্যতিব্যস্ত ছিল। রসূল (সাঃ) এর ওফাতের (ইন্তেকাল) পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যেহেতু ওয়াহী আসার সম্ভাবনা ছিল। তাই পূর্ববর্তী কিতাবের এই বিধানটি সম্পর্কে তিনি হঠাৎ করে নেগেটিভ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নাই। এ কারনেই হয়ত নতুন কোন বিধান আসে কিনা সেই আশায় বার বার আসামীকে ফিরিয়ে দেবার পরও অগত্যা তাদের মনের বাসনা পূরণের জন্য পূর্বের কিতাবের বিধানটি কার্যকর করেছিলেন।
(4206) 'Abdullah b. Buraida reported on the authority of his father that Ma'iz b. Malik al-Aslami came to Allah's Messenger (may peace be upon him) and said: Allah's Messenger, I have wronged myself; I have committed adultery and I earnestly desire that you should purify me. He turned him away. On the following day, he (Ma'iz) again came to him and said: Allah's Messenger, I have committed adultery. Allah's Messenger (may peace be upon him) turned him away for the second time, and sent him to his people saying: Do you know if there is anything wrong with his mind. They denied of any such thing in him and said: We do not know him but as a wise good man among us, so far as we can judge. He (Ma'iz) came for the third time, and he (the Holy Prophet) sent him as he had done before. He asked about him and they informed him that there was nothing wrong with him or with his mind. When it was the fourth time, a ditch was dug for him and he (the Holy Prophet) pronounced judg- ment about him and he wis stoned. He (the narrator) said: There came to him (the Holy Prophet) a woman from Ghamid and said: Allah's Messenger, I have committed adultery, so purify me. He (the Holy Prophet) turned her away. On the following day she said: Allah's Messenger, Why do you turn me away? Perhaps, you turn me away as you turned away Ma'iz. By Allah, I have become pregnant. He said: Well, if you insist upon it, then go away until you give birth to (the child). When she was delivered she came with the child (wrapped) in a rag and said: Here is the child whom I have given birth to. He said: Go away and suckle him until you wean him. When she had weaned him, she came to him (the Holy Prophet) with the child who was holding a piece of bread in his hand. She said: Allah's Apostle, here is he as I have weaned him and he eats food. He (the Holy Prophet) entrusted the child to one of the Muslims and then pronounced punishment. And she was put in a ditch up to her chest and he commanded people and they stoned her. Khalid b Walid came forward with a stone which he flung at her head and there spurted blood on the face of Khalid and so he abused her. Allah's Apostle (may peace be upon him) heard his (Khalid's) curse that he had huried upon her. Thereupon he (the Holy Prophet) said: Khalid, be gentle. By Him in Whose Hand is my life, she has made such a repentance that even if a wrongful tax-collector were to repent, he would have been forgiven. Then giving command regarding her, he prayed over her and she was buried.
কিন্তু দেখা যায যে, রাসূলের (সাঃ) ওফাতের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত রজমের বিধানটি আল্লাহর কিতাবে ওয়াহী হিসেবে সংযোজিত হয়নি। যেহেতু আল-কোরআনের বিধান শুধু আরবের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে। তাই সমগ্র মানবজাতির জন্য আল-কোরআনে বিদ্যমান বিধানই সর্বোত্তম হিসেবে গ্রহন ও কার্যকর করাই মুসলিমদের ইমানী দায়িত্ব এবং এর মধ্যেই মানবজাতির কল্যাণ রয়েছে।
সুতরাং ব্যভিচারের জন্য বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর মেরে মেরে প্রাণ সংহার আর নয়। বরং এই বিধানটি যেহেতু আল-কোরআনে নেই, তাই ইমানদার হিসেবে এই বিশ্বাস তো অবশ্যই রাখতে হবে রজমের বিধানটি আল্লাহতায়ালার ইচ্ছাতেই তুলে নেয়া হয়েছে। আর যা নেই তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে জালিম সেজে জুলুম করা কোন মুসলিমের কর্ম হতে পারে না। রসূল (সাঃ) এর উপর অতিরিক্ত ভক্তির অজুহাত দেখিয়ে কোনরূপ বাড়াবাড়ি করা সঠিক কিনা তা ভেবে দেখা উচিত।
সূরা বণী ইসরাঈল (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১৭ : ৩২) অর্থ- আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও মন্দ পথ।
একজন ইমানদার যেহেতু মহান স্রষ্টার বিধানকেই সর্বোত্তম হিসেবে বিশ্বাস করে। কাজেই আল-কোরআনে ব্যভিচারী পুরুষ ও নারী সম্পর্কে ক্ষেত্র বিশেষে যতটুকু কাঠিন্য অবলম্বন করা বা ছাড় দেয়ার বিধান আছে, তা তো তাকে মানতেই হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আমার মনোভাবও একই এবং আমি যে এর পক্ষে কোনরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন বা ছাড় দিতে রাজি নই তা আশ্বস্ত করছি। অন্য কোন মানবতাবাদী মতবাদ নয়, বরং আল-কোরআন যতটুকু মানবতা দেখানোর পারমিশন দিয়েছে, ততটুকুই ঠিকমত মেনে চলতে পারলেই মানবতার মহৎ কর্মটিও যথাযথ ভাবে পালিত হবে বলে আমি সম্পূর্ণ আস্থা রাখি।
আল-কোরআনে সংগত কারনেই প্রাপ্ত বয়ষ্ক এবং ব্যভিচারের বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ নয় এমন ব্যভিচারী স্বাধীন পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে ক্ষেত্র বিশেষে জনসম্মুখে (২৪:০২) একশত বেত্রাঘাত করা কিংবা (নারীর ক্ষেত্রে) গৃহ বা কারাগারে (০৪:১৫) বন্দী করে রাখার বিধান দেয়া হযেছে । যুদ্ধবন্দী/দাস-দাসীদের ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমান (০৪:২৫) অর্ধেক করা হয়েছে। আর এই বিধানের ব্যপারে একজন ইমানদারের কোনই দ্বিমত থাকতে পারেনা; আমারও নেই।
সূরা আন-নূর ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(২৪:০১) এটা একটা সূরা যা আমি নাযিল করেছি, এবং আমিই ফরজ (অবশ্য পালনীয়) করেছি। আমিই এতে সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।
(২৪:০২) ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে গিয়ে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
সূরা আন নিসা ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(০৪:১৫) আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা দুষ্কর্ম (ব্যভিচারের) নিয়ে আসবে তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জনকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য পথ করে দেন।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে- পুরুষের জন্য শুধু বেত্রাঘাত, কিন্তু নারীর জন্য বেত্রাঘাত এবং গৃহবন্দী রাখার বিধান দেয়া হলো কেন?
অনেকে না ভেবে, না বুঝেই চট করে এটিকে নারীর ক্ষেত্রে আল-কোরআনের দ্বৈত-নীতি হিসেবে সমালোচনার ঝড় তুলতে শুরু করে দেন। কিন্তু কার জন্য কোনটা ভাল ও সামঞ্জস্যপূর্ণ তা সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা ভাল ভাবেই অবগত আছেন। একটু চিন্তা করলেই এর জবাব পাওয়া যায়। (০৪:১৫) নং আয়াতে কোন নারী “দুষ্কর্ম নিয়ে আসলে”- বলা হয়েছে, অর্থাৎ শুধু ব্যভিচারের অপবাদ নয়, বরং এর কারনে যদি সেই মহিলা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে, তাহলে সেটাই তার দুষ্কর্মের প্রমান বহন করে। এ অবস্থায় তাকে বেত্রাঘাতের শাস্তি দিলে পেটের বাচ্চাটির ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাচ্চা প্রসব না করা পর্যন্ত সে শাস্তি থেকে অব্যহতি পাবে, কিন্ত তাকে গৃহবন্দী থাকতে হবে। এর মধ্যে যদি কোন কারনে তার মৃত্যু ঘটে যায় তাহলে শাস্তির প্রশ্ন আসে না। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের পরও সেই মহিলা যদি বেঁচে থাকে, তাহলে তাকে (২৪:০২) বেত্রাঘাতের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
সূরা আন নিসা ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(৪:২৫) আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন বিশ্বাসী নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে যেন তোমাদের ( مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ) 'ডান হাতের অধিকারভুক্ত' বিশ্বাসী যুবতীদেরকে বিয়ে করে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা তো একে অন্য থেকে, অতএব তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতি নিয়ে বিয়ে কর, আর নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর; বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- ব্যভিচার করার জন্য নয় কিংবা রক্ষিতা রূপে গ্রহণ করার জন্যও নয়। তারপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল আচরন করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা পাপের ভয় করে। আর যদি ধৈর্য ধারন কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম-করুণাময়।
একই ভাবে কোন যুদ্ধবন্দীনি/দাসীর ক্ষেত্রে এই শাস্তির পরিমান হ্রাস করা হয়েছে। কারন যেহেতু ভিন্ন পরিবেশে ও সংস্কৃতিতে বসবাসে অভ্যস্ত থাকার কারনে তার মধ্যে ইসলামের বিধানের প্রতিফলন ঘটতে কিছু সময় লাগতে পারে। তাই তার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে অর্ধেক শাস্তির নির্দেশ এবং ধৈর্য ধারন কোরে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেয়ার পরামর্শটিও অত্যন্ত যৌক্তিক।
সূরা আন নিসা ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(০৪:১৬) তোমাদের মধ্য থেকে যে দুইজন সেই কু-কর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু।
(০৪:১৭) অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন যারা ভূল বশত মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন সর্ববিষয়ে জ্ঞানী ও কুশলী।
সূরা আন-নূর ( মদীনায় অবতীর্ণ )
(২৪:০৩) ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারী ছাড়া অন্য কোন ভাল নারীকে বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণী নারী কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষ ছাড়া অন্য কোন ভাল পুরুষকে বিয়ে করবে না, এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।
(২৪:২৬) দুশ্চরিত্রা নারীকুল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
(০৪:১৬) নং আয়াতে যেহেতু তওবা করার অপশনও রয়েছে, সুতরাং অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক এবং এই বিধান সম্পর্কে অজ্ঞদের (০৪:১৭) ক্ষেত্রে প্রথমবার শাস্তি লাঘব ও তওবার সুযোগও রয়েছে। শাস্তি ভোগের ও তওবা করার পর একজন ব্যভিচারীর যে বিবাহ করে বেঁচে থাকার সুযোগ রয়েছে তা এই আয়াত গুলো (২৪:০৩), (২৪:২৬) লক্ষ করলে বুঝে নেয়াটা খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
আল্লাহতায়ালা আল-কোরআনের বিভিন্ন স্থানে একই বক্তব্য ও বিধান একাধিকবার রিপিট করেছেন। কিন্তু ব্যভিচারের জন্য পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদন্ড দেবার কথা কি একটিবারও বলা হয়েছে? এ ধরনের একটি সাংঘাতিক শাস্তির বিধান তো অন্তত একবার স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকার কথা- কেননা এ বিষয়ে তো বিস্তারিত বিবরণের কথাই বলা আছে।
তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এ ধরনের বিচার করার অধিকার কোন গ্রাম্য মোল্লা ও সালিশকারীর নেই। যদি কোন অবাঞ্চিত ব্যাক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এ ধরনের আইন নিজের হাতে তুলে নেয়, তবে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। আল-কোরআনের আইনে বিচার করার জন্য ইসলামি রাষ্ট্রের বিজ্ঞ বিচারকই একমাত্র যোগ্য ব্যাক্তি। এক্ষেত্রে অবশ্যই চারজন বা তার অধিক সাক্ষী থাকতে হবে। সাক্ষী তিন জন হলেও হবেনা। এটাই ফাইনাল। আর সাক্ষী একজন/দুইজন হলে বিচার চাওয়ার পূর্বে আরও সাক্ষী না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এ অবস্থায় বিচার চাইলে যদি অগত্যা সাক্ষীরা মিথ্যা বলেছে বলে প্রমানিত হয়, তাহলে সাক্ষীদেরকেই জনসম্মুখে আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের সাক্ষী আর গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। স্বামী/স্ত্রী পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে এক্ষেত্রে উভয়কেই লিয়ান করতে বলা হয়। অর্থাৎ আল্লাহর নামে শপথ করে নিজেকে নির্দোষ হিসেবে কসম করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি তারা মিথ্যা বলে- তবে তাদের শাস্তি পরকালে মহান আল্লাহর উপর ন্যস্ত করা হবে।
বেশ কিছু হাদিছের উদ্ধৃতি দিয়ে এখনও পাথর ছুঁড়ে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার দাবি তোলা হয়। এই হাদিছ গুলোকে সরাসরি অস্বীকার করার মত ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি বিশ্বাস করি যে, রাসূল (সাঃ) কোন সময় যদি এ বিধানটি কার্যকর করে থাকেন, তাহলে তখনকার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রুক্ষ মরু-এলাকার বর্বর স্বভাবের মানুষ গুলোর জন্য নিশ্চয় তা সঠিক ছিল। একটি হাদিছে (4211) ইহুদিকে ব্যভিচারের শাস্তি দেবার জন্য ইহুদি সম্প্রদায়ের স্মরণাপন্ন হওয়ার এবং তাদের কিতাব অনুসারে শাস্তি কার্যকর করার বিবরন এসেছে।
Sahih Muslim
(4211) Abdullah b. 'Umar reported that a Jew and a Jewess were brought to Allah's Messenger (may peace be upon him) who had committed adultery. Allah's Messenger (may peace be upon him) came to the Jews and said: What do you find in Torah for one who commits adultery? They said: We darken their faces and make them ride on the donkey with their faces turned to the opposite direction (and their backs touching each other), and then they are taken round (the city). He said: Bring Torah if you are truthful. They brought it and recited it until when they came to the verse pertaining to stoning, the person who was reading placed his hand on the verse pertaining to stoning, and read (only that which was) between his hands and what was subsequent to that. Abdullah b. Salim who was at that time with the Messenger of Allah (may peace be upon him) said: Command him (the reciter) to lift his hand. He lifted it and there was, underneath that, the verse pertaining to stoning. Allah's Messenger (may peace be upon him) pronounced judgment about both of them and they were stoned. Abdullah b. 'Umar said: I was one of those who stoned them, and I saw him (the Jew) protecting her (the Jewess) with his body.
এখানে দেখুন ইহুদিদের কাছে তাদের ধর্মগ্রন্থের সমাধান বের করতে বলা হয়েছে এবং অনেকের উপস্থিতিতে এবং সাক্ষী ছিল বলেই তো তাদের ধর্মগ্রন্থ মতে শাস্তি দেয়া হযেছে।
তাছাড়া অন্য হাদিছের (4206) বর্ণনা অনুসারে বোঝা যায় যে, তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসামীকে বার বার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আসামিরা তাদের কৃতকর্মের জন্য এতটাই অনুতপ্ত ছিল যে তারা পরকালীন মুক্তি পাবার আশায় পার্থিব শাস্তি বরন করে নেবার জন্য নিজেরাই ব্যতিব্যস্ত ছিল। রসূল (সাঃ) এর ওফাতের (ইন্তেকাল) পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যেহেতু ওয়াহী আসার সম্ভাবনা ছিল। তাই পূর্ববর্তী কিতাবের এই বিধানটি সম্পর্কে তিনি হঠাৎ করে নেগেটিভ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নাই। এ কারনেই হয়ত নতুন কোন বিধান আসে কিনা সেই আশায় বার বার আসামীকে ফিরিয়ে দেবার পরও অগত্যা তাদের মনের বাসনা পূরণের জন্য পূর্বের কিতাবের বিধানটি কার্যকর করেছিলেন।
(4206) 'Abdullah b. Buraida reported on the authority of his father that Ma'iz b. Malik al-Aslami came to Allah's Messenger (may peace be upon him) and said: Allah's Messenger, I have wronged myself; I have committed adultery and I earnestly desire that you should purify me. He turned him away. On the following day, he (Ma'iz) again came to him and said: Allah's Messenger, I have committed adultery. Allah's Messenger (may peace be upon him) turned him away for the second time, and sent him to his people saying: Do you know if there is anything wrong with his mind. They denied of any such thing in him and said: We do not know him but as a wise good man among us, so far as we can judge. He (Ma'iz) came for the third time, and he (the Holy Prophet) sent him as he had done before. He asked about him and they informed him that there was nothing wrong with him or with his mind. When it was the fourth time, a ditch was dug for him and he (the Holy Prophet) pronounced judg- ment about him and he wis stoned. He (the narrator) said: There came to him (the Holy Prophet) a woman from Ghamid and said: Allah's Messenger, I have committed adultery, so purify me. He (the Holy Prophet) turned her away. On the following day she said: Allah's Messenger, Why do you turn me away? Perhaps, you turn me away as you turned away Ma'iz. By Allah, I have become pregnant. He said: Well, if you insist upon it, then go away until you give birth to (the child). When she was delivered she came with the child (wrapped) in a rag and said: Here is the child whom I have given birth to. He said: Go away and suckle him until you wean him. When she had weaned him, she came to him (the Holy Prophet) with the child who was holding a piece of bread in his hand. She said: Allah's Apostle, here is he as I have weaned him and he eats food. He (the Holy Prophet) entrusted the child to one of the Muslims and then pronounced punishment. And she was put in a ditch up to her chest and he commanded people and they stoned her. Khalid b Walid came forward with a stone which he flung at her head and there spurted blood on the face of Khalid and so he abused her. Allah's Apostle (may peace be upon him) heard his (Khalid's) curse that he had huried upon her. Thereupon he (the Holy Prophet) said: Khalid, be gentle. By Him in Whose Hand is my life, she has made such a repentance that even if a wrongful tax-collector were to repent, he would have been forgiven. Then giving command regarding her, he prayed over her and she was buried.
কিন্তু দেখা যায যে, রাসূলের (সাঃ) ওফাতের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত রজমের বিধানটি আল্লাহর কিতাবে ওয়াহী হিসেবে সংযোজিত হয়নি। যেহেতু আল-কোরআনের বিধান শুধু আরবের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে। তাই সমগ্র মানবজাতির জন্য আল-কোরআনে বিদ্যমান বিধানই সর্বোত্তম হিসেবে গ্রহন ও কার্যকর করাই মুসলিমদের ইমানী দায়িত্ব এবং এর মধ্যেই মানবজাতির কল্যাণ রয়েছে।
সুতরাং ব্যভিচারের জন্য বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর মেরে মেরে প্রাণ সংহার আর নয়। বরং এই বিধানটি যেহেতু আল-কোরআনে নেই, তাই ইমানদার হিসেবে এই বিশ্বাস তো অবশ্যই রাখতে হবে রজমের বিধানটি আল্লাহতায়ালার ইচ্ছাতেই তুলে নেয়া হয়েছে। আর যা নেই তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে জালিম সেজে জুলুম করা কোন মুসলিমের কর্ম হতে পারে না। রসূল (সাঃ) এর উপর অতিরিক্ত ভক্তির অজুহাত দেখিয়ে কোনরূপ বাড়াবাড়ি করা সঠিক কিনা তা ভেবে দেখা উচিত।
-মাহফুজশান্ত
0 comments: