বনু কুরাইযার অধিকাংশ পুরুষদের কেন হত্যা করা হয়েছিল?

খন্দকের যুদ্ধের পর বনূ কুরাইযার বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল তা নিয়ে অবিশ্বাসীরা সুযোগ পেলেই মিথ্যাচারের ফুলঝুড়ি তুলতে উঠে পড়ে লেগে যায়। জ্ঞাতি ভাইদের প্রতি অবিশ্বাসীদের এহেন টান নুতন ও অস্বাভাবিক নয়, বরং এটি তাদের প্রকৃতির সহজাত কু-প্রবৃত্তির একটি অংশ মাত্র। এসব ক্ষেত্রে মিথ্যাকে সত্য দিয়ে যাঁচাই করা তো দূ্রে থাক, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে দেবার জন্য তথ্য বিকৃতির সকল পন্থা ও কুটকৌশল অবলম্বনে তাদের তৎপরতা ধূর্ত শৃগালকেও হার মানায়।

'Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) of Sahih Bukhari
362: Narrated Ibn Umar: Bani An-Nadir and Bani Quraiza fought (against the Prophet violating their peace treaty), so the Prophet exiled Bani An-Nadir and allowed Bani Quraiza to remain at their places (in Medina) taking nothing from them till they fought against the Prophet again. He then killed their men and distributed their women, children and property among the Muslims, but some of them came to the Prophet and he granted them safety, and they embraced Islam. He exiled all the Jews from Medina. They were the Jews of Bani Qainuqa', the tribe of 'Abdullah bin Salam and the Jews of Bani Haritha and all the other Jews of Medina.

443: Narrated 'Aisha: When the Prophet returned from Al-Khandaq (i.e. Trench) and laid down his arms and took a bath, Gabriel came and said (to the Prophet ), You have laid down your arms? By Allah, we angels have not laid them down yet. So set out for them." The Prophet said, "Where to go?" Gabriel said, "Towards this side," pointing towards Banu Quraiza. So the Prophet went out towards them.

444: Narrated Anas: As if I am just now looking at the dust rising in the street of Banu Ghanm (in Medina) because of the marching of Gabriel's regiment when Allah's Apostle set out to Banu Quraiza (to attack them).

447: Narrated Abu Said Al-Khudri: The people of (Banu) Quraiza agreed to accept the verdict of Sad bin Mu'adh. So the Prophet sent for Sad, and the latter came (riding) a donkey and when he approached the Mosque, the Prophet said to the Ansar, "Get up for your chief or for the best among you." Then the Prophet said (to Sad)." These (i.e. Banu Quraiza) have agreed to accept your verdict." Sad said, "Kill their (men) warriors and take their offspring as captives, "On that the Prophet said, "You have judged according to Allah's Judgment," or said, "according to the King's judgment."

448: Narrated 'Aisha: Sad was wounded on the day of Khandaq (i.e. Trench) when a man from Quraish, called Hibban bin Al-'Araqa hit him (with an arrow). The man was Hibban bin Qais from (the tribe of) Bani Mais bin 'Amir bin Lu'ai who shot an arrow at Sad's medial arm vein (or main artery of the arm). The Prophet pitched a tent (for Sad) in the Mosque so that he might be near to the Prophet to visit. When the Prophet returned from the (battle) of Al-Khandaq (i.e. Trench) and laid down his arms and took a bath Gabriel came to him while he (i.e. Gabriel) was shaking the dust off his head, and said, "You have laid down the arms?" By Allah, I have not laid them down. Go out to them (to attack them)." The Prophet said, "Where?" Gabriel pointed towards Bani Quraiza. So Allah's Apostle went to them (i.e. Banu Quraiza) (i.e. besieged them). They then surrendered to the Prophet's judgment but he directed them to Sad to give his verdict concerning them. Sad said, "I give my judgment that their warriors should be killed, their women and children should be taken as captives, and their properties distributed." Narrated Hisham: My father informed me that 'Aisha said, "Sad said, "O Allah! You know that there is nothing more beloved to me than to fight in Your Cause against those who disbelieved Your Apostle and turned him out (of Mecca). O Allah! I think you have put to an end the fight between us and them (i.e. Quraish infidels). And if there still remains any fight with the Quraish (infidels), then keep me alive till I fight against them for Your Sake. But if you have brought the war to an end, then let this wound burst and cause my death thereby.' So blood gushed from the wound. There was a tent in the Mosque belonging to Banu Ghifar who were surprised by the blood flowing towards them . They said, 'O people of the tent! What is this thing which is coming to us from your side?' Behold! Blood was flowing profusely out of Sad's wound. Sad then died because of that."

আল-কোরআন এবং হাদিছের তথ্যের ভিত্তিতে ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বনু কুরাইযার অধিকাংশ পুরুষদের কেন হত্যা করা হয়েছিল তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারন খুব সহজেই বের হয়ে আসে এবং পরিষ্কার বুঝে নেয়া যায়-

১/ রাসূল (সাঃ) এর সাথে বনু কুরাইযা যে আপোষ ও অনাগ্রাসন চুক্তি করেছিল, খন্দকের যুদ্ধের সময় তারা তা ভঙ্গ কোরে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।

২/ রাসূল (সাঃ) বোঝাবার জন্য তাদের কাছে কয়েকজন প্রতিনিধি পাঠালে তারা অত্যন্ত জঘন্য ব্যবহার করেছিল। শুধু তাই নয়, কুরাইশ ও গাতফান গোত্রের বিশাল বাহীনিকে সাথে পেয়ে পূর্বের কৃত অঙ্গিকারের কথা অস্বীকার কোরে তারা বলেছিল, "রাসূলুল্লাহ আবার কে? মহাম্মদের সাথে কোন চুক্তি বা অঙ্গিকার নাই।"

৩/ বনু কুরাইযা ছিল সেই অঞ্চলের বাসীন্দা। তাদের সহায়তার কারনেই কুরাইশ ও গাতফান গোত্র এক বিশাল বাহীনির সমাবেশ করতে পেরেছিল। ফলে মুসলমানেরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছিল এবং তাদের অস্তিত্ব বীপন্ন হতে বসেছিল। তাদের পরিকল্পণা ছিল মুসলমানদেরকে নিশ্চহ্ন করে দেয়া।

৪/ খন্দকের যুদ্ধের সময় তাদের ও মুসলমানদের অবস্থানের মাঝে পরিখা দেখে তারা অবাক হয়েছিল। প্রথমত যুদ্ধের কৌশল ঠিক করতে না পারায় পরিখা অতিক্রম কোরে তারা সহজে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতে পারছিলনা। তাই অবরোধ ও পাল্টা অবরোধের মধ্য দিয়ে প্রায় বিশ দিন কেটে গেল। ইতিমধ্যে তাদের মাঝে জিম্মি করার বিষয় নিয়ে অন্তর্দন্দ শুরু হয় এবং আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় এক রাতের প্রচন্ড ঝঢ়ে সেই বিশাল বাহীনির সব লন্ড-ভন্ড হয়ে গেলে কুরাইশ ও গাতফান গোত্র তাদের বাহীনি নিয়ে পিছটান দেয়। ফলে অবস্থা বেগতিক দেখে বনু কুরাইযা আবারও নমনীয় ভাব দেখানোর ভান করতে থাকে। প্রথমে রাসূল (সাঃ) তাঁর বাহীনি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করে মদীনায় ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক বনু কুরাইযাকে শাস্তি না দিয়ে ফিরে যাওয়ায় এবার আল্লাহতায়ালা জিবরীল (আঃ) মারফত বনু কোরাইযার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার সংবাদ পাঠান।

৫/ রাসূলের (সাঃ) সাথে বিশ্বাসঘাতকাতা করা হলো একটি চরম অপরাধ। বনু কুরাইযার যেহেতু বিশ্বাসঘাতকাতা করে চুক্তি ভংগই শুধু নয়, মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্তের সাথেও জড়িত ছিল। তাই যুদ্ধে পরাজিত ও বন্দী হলে তদেরকে যে কঠিন শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে তা কুরাইযার নেতারা ঠিকই আন্দাজ করতে পেরেছিল।

৬/ অবস্থা বেগতিক দেখে অবশেষে বনু কুরাইযা আত্মসমর্পণ করেছিল। বনূ কুরাইযা যেহেতু তাদের ব্যাপারে যুদ্ধাহত ও মদীনার অন্যতম আওস গোত্রের নেতা সাদ ইবনে মুয়ায (রাঃ) যেরূপ বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত দেবেন (447) তা মেনে নিতে চেয়েছিল। তাই রসূল (সাঃ) তাদের বিচার ও শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্তের ভার সাদ (রাঃ) এর উপর অর্পণ করেন। চুক্তি ভংগের প্রাথমিক পর্যায়ে রসূল (সাঃ) বনু কুরাইযাকে বোঝানোর জন্য ৪ জনের যে প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছিলেন তার মধ্যে আওস গোত্রের নেতা সাদ ইবনে মুয়ায (রাঃ) ছিলেন। তিনি তাদেরকে বোঝানোর জন্য অনেক চেষ্টা কোরেও ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি খন্দকের যুদ্ধে মারাত্মকভাবকে আহত হন। সবার সমানে তিনি ঘোষণা করলেন,"আমার ফায়সালা এই যে, বনু কুরাইযার সব যুদ্ধবাজ পুরুষকে হত্যা করা হোক, সমস্ত ধন-সম্পদ বন্টন করে দেয়া হোক এবং স্ত্রী ও সন্তানদের বন্দী করা হোক।"

৭/ আল্লাহতায়ালা বনু কুরাইযা সম্পর্কে রাসূল (সাঃ)-কে যে ফায়সালা জানিয়েছিলেন, তিনি সাদ (রাঃ) এর এই ফায়সালাকে তার অনুরূপ (447) হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তাতে সম্মতি দেন। সাদ (রাঃ) এর ফায়সালা অনুসারে যুদ্ধবাজ পুরুষ বলতে যাদেরকে বোঝানো হয়েছিল তাদের মধ্যে সেই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির সকল প্রাপ্ত বয়স্ক তো বটেই, সেই সাথে অপ্রাপ্ত বয়স্করাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুদ্ধের সাথে সামিল থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কেননা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১২ থেকে ১৫ বছরের বালকেরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, এর থেকে ছোটরাও যে এই যুদ্ধকে মনেপ্রাণে সাপোর্ট করত- স্মৃতীচারণ করলে আমাদের মধ্য থেকেই তার অনেক নজির মিলবে। দয়াল নবী রাসূলাল্লাহ (সাঃ) অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মাফ করে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেন। সে সময় অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বাছাইয়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা যদি পিউবিক হেয়ার গজানোর বিষয়টিকে সেই সময়কার রীতি অনুসারে একটি পন্থা ও মানদন্ড হিসেবে ধরে নিয়ে থাকেন, তবে তা তখনকার জন্য মোটেই অযৌক্তিক ছিল না। বরং অন্তত কয়েকজনের প্রাণ রক্ষার স্বার্থে এটিকে অত্যন্ত বিচক্ষণ সিদ্ধান্তই বলতে হবে। রাসূল (সাঃ) প্রাপ্ত বয়স্ক প্ররুষদেরকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে একজন মহিলাকেও হত্যা করা হয়েছিল, যে পাথর ছুঁড়ে সাহাবি ইবনে সুয়াইদ (রাঃ)-কে হত্যা করেছিল এবং বন্দী হবার পর তার মধ্যে কোনরূপ অনুশোচনা তো ছিলই না, বরং সে হাসি-তামাশায় মেতে ছিল। (362) প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যেও কয়েকজন রাসূলের (সাঃ) কাছে এসে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ইসলাম গ্রহণ করায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছিল বলে জানা যায়।

সুতরাং বনু কোরাইজায় নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হয় নাই, বরং তাদেরই মতামতের ভিত্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তির দ্বারা বিচার কার্য সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে চুক্তি ভংগই শুধু নয়, রাসূল(সাঃ)- কে হত্যা ও মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত এবং শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুদ্ধে অংশ নেয়ার অপরাধে অনেককে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তবে এটা ঠিক, বানু কোরাইজা গোত্রের ষড়যন্ত্র সফল হলে (অর্থাৎ খন্দক যুদ্ধে কাফিররা জিতলে) তারা মুসলমানদের স্বমূলে নিশ্চিহ্ন করতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করত না। যেহেতু তাদের বিরোধিতা ইসলামের যথেষ্ট ক্ষতির কারন হয়েছিল। যেহেতু তারা চুক্তি ভংগ করেছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয় নিশ্চিত ভেবে পূর্বেকার মত নতী স্বীকারের ভান করছিল। তাই চরম শত্রুরা অস্ত্রধারী হোক বা তাদেরকে অস্ত্রধারনের সুযোগ না দিয়েই হোক কিংবা বন্দী করার পরেই হোক, তাদেরকে আবারও বিশ্বাস করা মোটেই ঠিক হতনা। যাদের থেকে কোন নমনীয় আচরন তো নয়ই বরং চাহনীতে বিরোধীতার ভাষাই প্রকাশ পাচ্ছিল, তাদেরকে হত্যা না কোরে হয়ত উপায় ছিলনা। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই যে, বনূ কুরাইযার বিরুদ্ধে এই চরম ফায়সালা নেয়ার বিষয়টি ছিল মহান আল্লাহতায়ালার সিদ্ধান্ত ও হুকুমের অন্তর্ভুক্ত, যা মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর বার্তাবাহক ফেরেস্তা (443) জীবরীল (আঃ) এর মাধ্যমে রাসূল (সাঃ) কে জানিয়েছিলেন। আর তাই ব্যক্তি স্বার্থে নয়, বরং ইসলামের স্বার্থে ও মহান স্রষ্টার আদেশে দয়াল নবী (সাঃ) এমন একটি কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

আল-কোরআনের (৩৩:২৫, ২৬, ২৭) নং আয়াতে তার সমর্থন পাওয়া যায়-
সূরা আল আহযাব ( মদীনায় অবতীর্ণ)
(৩৩:২৫) আল্লাহ কাফেরদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন। তারা কোন কল্যাণ পায়নি। যুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ মুমিনদের জন্যে যথেষ্ট হয়ে গেছেন। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।
(৩৩:২৬) কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।
(৩৩:২৭) তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা অভিযান করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান।


বিশ্বাসঘাতকতা কাকে বলে তা অবিশ্বাসীদের বোঝার কথা নয়। এই ঘটনাগুলো নিয়ে অবিশ্বাসীরা আগেও যেমন অবিশ্বাস করেছে এবং কুৎসা রটিয়েছে, এখনও তাই করছে। তাই তারা কে কি ভাবল বা বলল, সেটা তাদের ভুল চিন্তন ও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে এবং এতে বিশ্বাসীদের কিচ্ছু যায় আসে না। প্রতিটি ইমানদার মুসলমানের জন্য এগুলোকে বিশ্বাসীর দৃষ্টিকোন থেকেই বিচার বিশ্লেষণ করা উচিত। মহান আল্লাহতায়ালা যেন আমাদের সবাইকে সত্যকে জানার ও বোঝার তৌফিক দেন।




-মাহফুজশান্ত

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম