রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যে মুসলমান আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে লড়াই করবে, কেবলমাত্র সেই-ই আল্লাহর পথে লড়াই করল’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৮১৪)।
অতএব যারা তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত করার খালেছ নিয়তে আল্লাহর পথে লড়াই করে মারা যাবে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত শহীদ। আর শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য হবে এই যে, সে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে লড়াই করবে না, তাকে বাহাদুর বলা হবে এ উদ্দেশ্যে বা লোককে শুনানোর উদ্দেশ্যে লড়াই করবে না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৩১৬; মুসলিম, মিশকাত হা/২০৫)।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যুবরণ করে অথবা নিহত হয়, সে ব্যক্তি জান্নাতী এবং শহীদ (আহমাদ হা/২৮৫, ১০৭৭২; ইবনু মাজাহ হা/২৯১০; মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১১)।
তিনি বলেন, যে মুসলমান (১) তার দ্বীনের জন্য নিহত হ’ল, সে শহীদ (২) যে তার জীবন রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ (৩) যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ (৪) যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ (তিরমিযী, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৫২৯)।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় বা মৃত্যুবরণ করে, সে ব্যক্তি শহীদ, যে ব্যক্তি মহামারীতে মারা যায়, সে ব্যক্তি শহীদ, যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় (কলেরা, ডায়রিয়া) মারা যায়, সে ব্যক্তি শহীদ, যে ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায়, সে ব্যক্তি শহীদ’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১১, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৯)।
তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি মযলূম অবস্থায় নিহত হয়, সে ব্যক্তি শহীদ’ (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৭)।
অন্য হাদীছে এসেছে, যে ব্যক্তি তার ন্যায্য অধিকার রক্ষায় নিহত হয়, সে ব্যক্তি শহীদ’ (আবু ইয়ালা হা/৬৭৭৫, সনদ হাসান)।
- রক্তাক্ত জনপদ -(শাহাদাতের ইতিহাস সঙ্কলণ)
- শহীদি প্রোফাইল সংকলণ
- ইফফাতুদ্দোহা সাদিয়া - শহীদি ঈদগাহে বাংলাদেশী মুসলিমাদের প্রতিনিধি
- শহীদ এমদাদ উল্লাহ (মীরপুর-০১.০২.২০১৫ )
- শহীদ আমিনুর রহমান
- হেফাজতের ওপর গণহত্যার ভিডিও আর্কাইভ | VDO archive of Genocide on Hefajat
- ইসলামী শিক্ষা দিবস (১৫ আগষ্ট-১৯৬৯) ► আব্দুল মালেক নামের এক ছাত্রের শহীদ হবার ইতিহাস
- শহীদ মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান - আর্কাইভ
- আলী আহসান মুজাহিদের শেষ সাক্ষাৎ ও অসিয়ত
- শহীদ হাবিবুল্লাহ হোসাইন ও শহীদ কামরুল হাসান (যশোরঃ২৩.১১.২০১৫)
- তওবা পড়তে হবে না- আমি দোয়া পড়েছি - প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি বোগাস
- শহীদ খলিলুর রহমান মল্লিক (১৭৮তম -যাত্রাবাড়ী)
- মীর কাসেম আলীর শাহাদাতঃ একটি নক্ষত্রের পতন
- শহীদ রাশেদুল হক রান্টু (রাজশাহী-২৬.১০.২০১৩) (১৮১ তম)
- শহীদ আহমদ জায়েদ (লক্ষীপুর-১৭.০৮.১৯৯৯)-১০২তম শহীদ
- শহীদ আনিসুর রহমান , শহীদ আল মাহমুদ, শহীদ ইবনুল ইসলাম পারভেজ (জুন,২০১৬)
- মাওলানা নিজামীর শাহাদাৎ পরবর্তি আলেম-ওলামাগণের প্রতিক্রিয়া
- নির্মম ভাবে আব্দুস সালামকে শহীদ করা হল
- শহীদ জাফর জাহাঙ্গীর -(১৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮৬)
- মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীঃ শাহাদাৎপূর্ব পারিবারিক সাক্ষাৎকার
- স্মৃতিতে শহীদ রবিউল
- জান্নাতের আরেক পাখি শহীদ মুজাহিদ
- শহীদ আসগর আলী চেতনায় যার বসবাস
- কেমন ছিলেন ছাত্রশিবির কর্মী শহীদ আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর?
- ২২৩. শহীদ ওমর ফারুক চৌধুরী (নোয়াখালী-০৬.০৪.২০১৫)
- শহীদ ফরিদ আহমেদ (গাজীপুর-১১.০৩.২০১৫)
- শহীদ মাহমুদুল হোসাইন (নোয়াখালি)
- ১৪০. শহীদ বদিউজ্জামান (জয়পুরহাট)
- শহীদ রেজাউল হায়াত রোমান (৩১.০৩.২০১৩)
- ১৩২. শহীদ হাফেজ রমজান আলী
- শহীদ মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী (মুন্না) (১৬-২২.০৩.১৩ চট্টগ্রাম)
- ১৪৬. হাস্যোজ্জ্বল শহীদ হাফেজ রাশেদুল ইসলাম
- ২১৫. শহীদ আসাদুল্লাহ তুহিন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ - ২৬.০১.২০১৫)
- শহীদ খালেদ মাহমুদ সাইফুল্লাহ (০৬ মে, ২০১৩, সাইনবোর্ড)
- শহীদ নাজমুল হুদা লাবলু (০৯.০৩.২০১৫)
- শহীদ মাহমুদ রামাদান (Mahmoud Ramadan) -মিশর (ইখওয়ান)
- শহীদ নাজীর এবং ঢাবি'র প্রথম হত্যাকান্ড (১৯৪৩ সাল)
- শাহাদাতের সাক্ষী হয়ে রইল ফেসবুক!
- শহীদ আসগর খান রাহাত
- শহীদ মতিয়ার রহমান - চিরিরবন্দর (১৪.০২.২০১৫)
- শহীদ সাংবাদিক শেখ বেলাল
- শহীদ ইমরান খান : সত্যের আকাশে এক ধ্রুবতারা (১৪৩-চট্টগ্রাম)
- জান্নাতের মেহমান শহীদ আবিদ বিন ইসলাম (১৪৪-চট্টগ্রাম)
- শহীদ মুনিরা - বাংলার জমীনে শাহাদাতের পথ প্রদর্শনকারী প্রথম ছাত্রী বোন
- শহীদ জসিম উদ্দিন (২১৯-শ্যামলী)
- শহীদ শাহাবুদ্দিন (রাবি-০৬.০২.২০১৫)
- শহীদ সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারী (চৌদ্দগ্রাম-০৬.০২.২০১৫)
- শহীদ সাইফুল ইসলাম মামুন (ঝিনাইদহ: ১৯.০৭.২০১৬)
- বুয়েটিয়ান শহীদ রেহান আহসান
- শহীদ মুহিউদ্দিন সোহান (ঝিনাইদহ-২০.০৪.২০১৬)
- ৫৭. শহীদ শেখ আমানুল্লাহ আমান (খুলনা-২০.০৯.১৯৯৩)
- শহীদ আবু হানিফ ছোটন
- শহীদ আরিফুল ইসলাম (১২.০৩.২০১৫-চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
- শিবিরের প্রথম ১৩৯ জন শহীদ
- সাতক্ষীরার ১৩ শহীদের ক্ষত (২০১৩)
- ইসলামী ছাত্রমজলিসের সাত শহীদ
- খুলনা বি.এল. কলেজের শহীদ্গণ
- শহীদ জোবায়ের হোসেন
- শহীদ আইনুল হক
- শাহাদাৎ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষিপ্ত বিবরণ)
- শহীদ মো: সাব্বির আহমদ
- শহীদ মো: আব্দুল হামিদ
- শহীদ মো: আইয়ুব আলী
- শহীদ মো: আব্দুল জব্বার
- শহীদ মো: আসলাম হোসাইন
- শহীদ মো: আসগর আলী
- শহীদ মো: শফিকুল ইসলাম
- শহীদ মো: খলিলুর রহমান
- শহীদ আজিবর রহমান
- শহীদ মো: ইয়াহিয়া
- শহীদ মো: রবিউল ইসলাম
- শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান (রাবি-০৬.০২.১৯৯৩)
- শহীদ মো: মুস্তাফিজুর রহমান
- শহীদ মো: ইসমাইল হোসেন সিরাজী
- ১৩৩. শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী
- সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রহ.) -(দুর্লভ ভিডিও)
- শহীদ আনিসুর রহমান (সিরাজগঞ্জ-১৩.০৪.২০১৫)
- শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের শাহাদাৎ (রাজশাহী-১৩.০৪.২০১৫)
- শহীদ আবু যর গিফারী ও শহীদ শামীম হোসেন (ঝিনাইদহ-১৩.০৪.১৬)
- শহীদ গোলাম রাব্বানী (বিশ্বনাথ, সিলেট: ২০.০৩.২০১৩)
- ১৩৬. শহীদ হারুন-অর-রশীদ কায়সার (২৮.০৩.২০১০-চবি)
- শহীদ মু. মাহমুদুল হাসান
- শহীদ রহিম উদ্দিন
- শহীদ আলগীর হোসেন সুমন (সিরাজগঞ্জ-১২.১২.২০১৩)
- শহীদ রফিকুল ইসলাম (চুয়াডাঙ্গা-১০.১১.২০১৩)
- শহীদ জয়নাল আবেদিন (ফার্মগেট - ১৫.১২.১৯৯৫)
- জামায়াত নেতা সাইদুল ইসলামের শাহাদাৎ
- শহীদ শাহরুল ইসলাম
- ১৬০. শহীদ আকমল হোসেন (০২.০৩.২০১৩-)
- শাহাদাতের সুধায় সিক্ত ঈমানদীপ্ত তরুণেরা- ১১ই মার্চ : শহীদ দিবস
- শহীদেরা সত্যের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে (এক নজরে শাহাদাতের ইতিহাস)
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: রক্তেভেজা এক শহীদি ময়দান
- শাহাদাতের অমিয় সূধা পান করতে কেন এই তীব্র আকাঙক্ষা?
- ছাত্রসংঘঃ শহীদ সৈয়দ শাহ জামাল চৌধুরী (মন্ত্রী আব্দুল মুহিত মাল ও আবুল মোমেনের মামা)
- ছাত্রসংঘঃ আবু মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
- ছাত্রসংঘঃ শহীদ ইলিয়াস - ফেনী
- ছাত্রসংঘঃ শহীদ মোস্তফা শওকত ইমরান
ইসলাম কাদেরকে শহীদ বলে, শাহাদাতের অনন্য মর্যাদা ইসলাম কাদের জন্য নির্ধারিত করে রেখেছে, সে সঙ্ক্রান্ত মৌলিক কথাবার্তা ও কুরআন হাদীসের রেফারেন্স পরবর্তীতে যোগ করার চেষ্টা করবো ।
ভাইরাস! বলেছেন: এরা কি করেছিলো যে পাবলিক মাইর দিসিলো?
লেখক বলেছেন: এরা মানুষকে কোরআন শেখাতো । সত্য কথা বলতো, কাউকে কখনো কষ্ট দিতোনা । ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে সংগঠিত আন্দোলনের সাথে এরা যুক্ত হয়েছিলো । একারনে, যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক, তা চায় না, তারা এদেরকে পছন্দ করতোনা । অথচ, এরা সবচেয়ে ভালো আর অমায়িক ব্যবহার করতো সবার সাথে ।
আবুল বাহার বলেছেন: ইহারা কোন যুদ্ধে শহীদ হয়েছে বলবেন কি ? রাজনৈতিক হানাহানিতে মারা গেলে শহীদ হয় কেমনে? তাহলেতো বাংলাদেশে শহীদের অভাব হবেনা ..... শহীদ ও কি আপনারা লিজ নিয়েছেন কি ?
লেখক বলেছেন: এটা নিছক রাজনৈতিক হানাহানি না । যাদের প্রাণ কেড়ে নেয়া হলো তারাও নিছক কোন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মী ছিলো না ।
এরা ছিলো ইসলামী সংগঠনের কর্মী । এরা ছিলো ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মী । যারা এদের প্রাণ কেড়ে নিলো , খুব স্পষ্ট তাদের পরিচয় । তাদের কেউ ছিলো নাস্তিক (স্রস্টাকেই বিশ্বাস করেনা) , কেউ ছিলো ধর্মনিরপেক্ষ (বাস্তবে ধর্মহীনতা) বিশ্বাসের অধিকারী ।
তাহলে বলুন, যে দু'পক্ষ পল্টনের রাস্তায় মুখোমুখী হয়েছিলো তাদের বিশ্বাসের পরিচয়টা কি সুস্পষ্ট না ?
ইসলামী সংগঠনের কর্মীদের যদি বিশ্বাসের ভিন্নতার কারনে নাস্তিক এবং যারা ইসলাম বাস্তবায়িত হোক-তা চায় না, তারা হত্যা করে, তবে তাদের শাহাদাতের ব্যাপারে নূনতম সন্দেহ ও থাকেনা ।
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: যে কোন অপমৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং কষ্টদায়ক।।। অবশ্যই চাই এইসব নিহত মানুষদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক এবং খুনীরা শাস্তি পাক।।
তবে শহীদ শব্দটি ব্যবহারে আমার আপত্তি আছে, বাঁচলে গাজী, মরলে শহীদ.....এইসব উস্কানীমূলক কথা-বার্তাই অনেক নিরীহ ধর্মপ্রাণ যুবকদেরকে এইসব নোংরা রাজনীতিতে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করছে।। সুতরাং শহীদের" বদলে "মরহুম" লেখার অনুরোধ করছি, তাতে অন্তত মৃত লোকগুলির প্রতি কেউ খারাপ মন্তব্য করবেনা।।
লেখক বলেছেন: শহীদ সম্পর্কিত জবাব দেয়া হয়েছে ওপরের মন্তব্যে । এরপরেও এদের "শাহাদাত" সম্পর্কিত কনফিউশন থাকার কথা না ।
"বাঁচলে গাজী, মরলে শহীদ "
মানুষকে আমি এত বোকা মনে করিনা যে , তারা কোন ঘটনা বা কথার প্রেক্ষাপট না জেনে তার সম্পর্কে বিরুপ ধারনা পোষণ করে । উপরে উল্লেখিত কথাটা বলে আসলে যে এরা কি বোঝাতে চাচ্ছে, তাই বুঝিনা । কথাটা তো শতভাগ সত্য কথা ।
হাতে গোনা গুটিকয়েক ইসলামপন্থী মানুষকে যখন চতুর্দিক থেকে ঘোষণা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য একটা মাত্র গলিতে ঘিরে ফেলা হলো, চারিদিক থেকে আঘাত করা শুরু হলো, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরব হয়ে দাড়িয়ে রইলো, মৃত্যুর সামনা সামনি দাড়িয়ে সেই অল্পকয়েকটা ইট পাটকেল হাতে নেয়া মানুষ, আর কি করতে পারে ????????
বাঁচা আর মরে যাওয়া, এই দুইটা ছাড়া তাদের তো আর কিছু তখন করার ছিলোনা । সংখ্যাধিক্যের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার এই অন্তিম লড়াইয়ের ইতিহাস এটা নতুন কিছু না । রাসুল সা: এর সময় হতে এ ধারা চলে আসছে । প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইসলামপন্থীদের সংখ্যা ছিলো নগন্য এবং আত্মরক্ষার লড়াই তাদেরকে করতে হয়েছে ।
ওই সময়ে, বাঁচলে গাজী- মারা গেলে শহীদ, এছাড়া আর কোন কথাই তাদের জন্য সত্য ছিলোনা ।
জামাতে পিছলামি বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা নিছক রাজনৈতিক হানাহানি না । যাদের প্রাণ কেড়ে নেয়া হলো তারাও নিছক কোন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মী ছিলো না ।এরা ছিলো ইসলামী সংগঠনের কর্মী । এরা ছিলো ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মী ।
আপনার ইসলামী সংগঠনের কর্মীরা সেদিন রাজপথে কি করতে গিয়েছিলো? সে দিনতো কোন ইসলামী আন্দোলন ছিলোনা । মগজ দোলাই ভালই দিয়েছে দেখি। ২
লেখক বলেছেন: মজার প্রশ্ন করেছেন । এরকম বিকৃত নাম নিয়ে কেন বললেন, সেটা বুঝলাম না ।
আপনার প্রশ্নের জবাবেই আমি প্রশ্ন করতে পারি । সেদিন কম্যুনিষ্ট ও ধর্মহীনপন্থীরা পল্টনে কি উদ্দেশ্যে আক্রমন করেছিলো ? কয়েকশ গুন বেশি মানুষ নিয়ে ক্ষুদ্র একটি দলের উপর আক্রমন কেন করেছিলো ?
আপনি কি বাংলাদেশে থাকেন ? অথবা ঢাকায় থাকেন কিনা ?
ঢাকায় থাকলে জানার কথা যে , ইসলামী মুভমেন্টের ঢাকামহানগরীর প্রধান অফিস পল্টনে অবস্থিত । ওরা ভেবেছিলো হাতে গোনা এইকটা মানুষকে খুন করে সেই অফিসের দখল নিয়ে নেবে ।
এখন বুঝতে পারছেন, সেদিন সেই অফিস পাহারা দেয়াটা কতটা জরুরী ছিলো ?
ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: হল দখলের রাজনীতি করে কোন ধরনের শান্তির ধর্ম ইসলাম কায়েম করছে শিবির? হল দখল করতে গিয়ে যদি কেউ মারা যায়, তাহলে তাকে যে শহীদ বলে, তা জানতাম না। আপনাদের কাছ থেকে শিখলাম।
ব্রেন ওয়াশ কাহাকে বলে, আপনি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
লেখক বলেছেন: শহীদ শরিফুজ্জামান নোমানী ভাই কিভাবে শহীদ হলেন , আশা করি এতক্ষণে জানতে পেরেছেন । হল দখলের রাজনীতি ইসলামী ছাত্রশিবির কখনো করেনাই , করবেও না । একটা ঘরের ৪ জন সদস্য, সবাই যদি শিবির হয়ে যায় , সবাই যদি শিবিরের অনুপম আদর্শ আর চরিত্র মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে শিবিরের শুভাকাংখী হয়ে যায়, তাহলে ওই ঘরটা শিবিরের ঘর বলেই পরিচিত হয় । লক্ষ্য করুন , ওই ঘরটা ঘরের মালিকদের ই আছে , শুধু ঘরের মালিকদের মন-মানসিকতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন চলে এসেছে । শিবিরের কোন নেতা বা কর্মী বাইরে থেকে কাউকে ওই ঘরে ঢুকায়নি । ওই ঘরের বাসিন্দাদেরকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে নিজেদের আত্মীয়-বন্ধু কাউকে নিয়ে আসেনি , খুব সিম্পল যে কাজটা করেছে, তা হলো, ওই ঘরের বাসিন্দাদেরকেই শিবির বানিয়ে ফেলেছে । এটা হল দখল না, মানুষের মন দখল । সাধ্য থাকে, করে দেখান এটা !!
১১ মার্চ ছিলো ইসলামী ছাত্রশিবিরের জন্য শহীদ দিবস । ৮২-র এই দিনে ছাত্রশিবিরের চারজন কে শহীদ করা হয় । এ উপলক্ষ্যে রাবিতে শিবির আয়োজিত সমাবেশে ছাত্রলীগ তাদের মিছিল নিয়ে হামলা করে ।
সব হিসাব বাদ দিলাম , একটা সংগঠন তাদের "নিহত" কর্মীদের স্মরণে সমাবেশ করছে । সেই সমাবেশে অন্য সংগঠন থেকে মিছিল নিয়ে আক্রমন করাটা কি সন্ত্রাস না ?
এই ঘটনার পরদিন শিবিরের রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বেশ কয়েকজনকে আটকে রেখে মারপিট করে ছাত্রলীগ । একটা দলের শীর্ষ পর্যায়ে নেতা এই খবর শুনে ভাইয়ের চাইতে প্রিয় কর্মীদের- সহচরদের উদ্ধার করতে যাবে না ?
নোমানী ভাই প্রথমে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেন "বন্দী" কর্মীদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে । কিন্তু আওয়ামী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের নির্দেশে পুলিশ কিছুই করতে পারেনি । ভাইদেরকে মেরে ফেলতেছে, প্রসাশন তাদের উদ্ধার করতে অপারগ, এই অবস্থায় নেতা ছুটে যাবেন না , তাদেরকে উদ্ধার করতে ?
নোমানী ভাইয়ের শেষ সময়টা কেমন ছিলো ? পুলিশ, ছাত্রলীগের স্বশস্ত্র আক্রমনের মুখে শিবির কর্মীরা যখন পিছু হটছিলো, প্রত্যেকটা কর্মী নিরাপদে চলে গেছে - আর তাদের নেতা তখনো অপেক্ষা করছেন, সবশেষ কর্মীটিকে দেয়াল পার করিয়ে দিতে ?
এই সময় ছাত্রলীগের খুনীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ।
ভাবতে পারেন এটা কিভাবে সম্ভব ? কর্মীদের প্রতি কতটা দায়িত্বশীলতা , কতটা ভালোবাসা থাকলে এমন অবস্থায় নিজে সরে না গিয়ে প্রত্যেককে সরানোর জন্য সবটুকু সময় ব্যয় করতে পারেন !
ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রঅঙ্গনে ইসলামের দাওয়াতের কাজ করে । শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা-মুল্যবোধ ও চরিত্রগঠনের উপাদান সংযোজন করার আন্দোলন করে । ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে ।
নোমানী ভাইএর অসাধারন কুরআন তেলাওয়াত শুনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাই তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছিলেন । নোমানী ভাই নিয়মিত নামাজের ইমামতি করতেন ।
ইসলামী আন্দোলনের পথে থাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সা অনেক সাহাবীর অসুস্স্থতাজনিত মৃত্যুতেও শাহাদাতের সুসংবাদ দিয়েছেন, আর ইসলামী আন্দোলনের এমন অসাধারন একজন নেতা, একজন ক্বারী, একজন মেধাবী ছাত্র, সবস্তরের মানুষের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয় একজন নোমানী ভাই যিনি নিহত হয়েছেন পুরোপুরি ইসলাম-বিরোধী শক্তি ছাত্রলীগের খুনীদের হাতে , যিনি সুনিশ্চিতভাবে পার্থিক-ব্যক্তিগত কোন স্বার্থের জন্য নিহত হন নি, তাকে শহীদ বলার যৌক্তিকতা না বুঝে থাকলে কুরআন থেকে শাহাদাত সম্পর্কিত আয়াত আর হাদীসে রাসুল থেকে সাহাবাগনের শাহাদাতে ঘটনাগুলো আরেকবার জেনে নেবেন ।
হাসান তারেক বলেছেন: উনি শহীদ কেম্নে হলেন???? দেশের জন্নে হল দখল করে মারা গেশেন নাকি?? কথায় কথায় শহীদ বলা বন্ধ করেন.।।পুরাই ফাউল.।.।.।.।।।
লেখক বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটা অন্ধকার সময় ছিলো, আপনি যদি তখন সেখানে থাকতেন, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারতেন না । তাবলীগের ভাইদের কাজ ও নিরাপদ ছিলোনা । তখন ছিলো ছাত্রমৈত্রীর দাপট । নামাজী যেকোন ছাত্র নির্যাতিত হত । অনেক ছাত্র ভয়ে মসজিদে না গিয়ে রুমের ভেতরে নামাজ পড়তো ।
আপনি হয়তো একজন সাধারন মুসলমান হিসেবে আপত্তি তুলেছেন, এজন্য মুসলমানদের সাধারন পরিচয়, বেসিক পরিচয় যা যেকোন মানুষ ই জানে, সেই নামাজের উদাহরন দিলাম ।
কিন্তু সত্যি কথা হলো, মুসলমানদেরকে আল্লাহ শুধু নামাজ পড়ার দায়িত্ব দেন নি । মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে, আমল বিল মা'রূফ, নেহি আনিল মুনকার- সৎ কাজের আদেশ দেয়া, অসৎ কাজ হতে সবাইকে দূরে রাখা । এটা আল্লাহর সরাসরি নির্দেশ- সুরা আল ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াত পড়ে নেবেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ কায়েমের প্রাথমিক দায়িত্বটুকুর কথা বাদ দিলাম, আপনি জাবি আর রাবির পরিবেশের একটু তুলনা করেন প্লিজ !!!!!! খোলামনে ভাবুন, এই দুটো জায়গার আকাশ-পাতাল পার্থক্য ।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ তুলনামুলক স্বস্তিকর ? কোনখানে অন্যায়-অশালীনতার চর্চা কম হয় ? কোনখানে সৎ কাজ (ছাত্রদের বিনামুল্যে বই, নোট দেয়া, বৃত্তি দেয়া, ভালো আচরন করা ,............) বেশি হয় ? কোনখানে অসৎ (টেন্ডারবাজী , নিরীহ ছাত্রদের নির্যাতন , ছেলে-মেয়েদের অশালীন উদ্ধ্যত মেলামেশা....................)কাজ হতে বাধা দেয়া বেশি হয় ?
ভাবতে পারছেন ? নাকি মনটা মানা করছে ভাবতে ????
প্লিজ ভাবুন ।
এগুলো কি ইসলামের শিক্ষা না ??????????
ইসলামের সপক্ষে এই যে অর্জন, রাবিকে আবার এক অসভ্য জাবিতে পরিনত করার চেষ্টাকে বাধা দিতে গিয়ে যদি কেউ জীবন দিয়ে দেয়, সে কি এই অর্জনগুলো, এই ইসলামী পরিবেশ রক্ষার চেষ্টায় তার জীবন দিলোনা ? সে কি খুব মোটা দাগে হল দখল রাখতে জীবন দিলো ? খোলা মনে ভাবুন, আবারো বলি । রাবি আর জাবির পার্থক্য, শুধু একটা ব্যাপার ভাবুন ।
মদীনায় একবার যখন ইসলামের বিধান আর নিয়মভিত্তিক পরিবেশ আল্লাহর নবী সা: প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছিলেন, কুরাইশদের শত চেষ্টায়ও সেই মদীনা আর মক্কার কুফরী পরিবেশে পরিনত হতে পারেনি , যত সাহাবী এজন্য জীবন দিয়েছেন, তারা প্রত্যেকে শহীদ । ইসলামী ছাত্রশিবির রাসুল সা: এর সাহাবীদের অনুসারী । এজন্য যে যা বলে বলুক, উই ডোন্ট কেয়ার । আল্লাহ জানেন আমাদের নিয়্যত । সামান্যতম পার্থিব ব্যক্তি স্বার্থেও আমরা এই আন্দোলনে জড়াইনি !
নোমানী ভাই অবশ্যই শহীদদের সব গুনাবলী অর্জন করছিলেন । তার সাথীরা স্বাক্ষী ! বাকিটুকু আল্লাহ জানেন । দোয়া করছি, আল্লাহ নোমানী ভাইয়ের শাহাদাত কবুল করে নেন ।
আপনার জন্য পরামর্শ : এই পোষ্টের কয়েকটা কমেন্টে শাহাদাত সম্পর্কিত কিছু কথা বলেছি , সেগুলো মন দিয়ে পড়বেন এবং অবশ্যই কুরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করবেন, অন্তত একবারের জন্য হলেও ।
লেখক বলেছেন: যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে , তাদেরকে কোন অবস্থাতেই মৃত বলোনা , বরং তারা জীবিত, তাদের মালিকের পক্ষ হতে রিযিকপ্রাপ্ত হয় ।
আল্লাহতায়ালা নিজ অনুগ্রহ দিয়ে তাদের যা কিছু দান করেছেন , তাতেই তারা পরিতৃপ্ত এবং যারা এখনো তাদের পেছনে রয়ে গেছে , যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হতে পারেনি , তাদের ব্যাপারেও এরা খুশি, কেননা এমন ধরনের লোকদের জন্য কোনো ভয় নেই এবং তারা উৎকণ্ঠিতও হবেনা - আল ইমরান : ১৬৯-১৭০
যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে তোমরা মৃত বলোনা, বরং তারা জীবিত, যদিও এ ব্যাপারে তোমরা কিছু জানোনা - বাকারা:১৫৪
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: রাজনীতি করতে গিয়ে আর পিটাপিটি করতে গিয়ে মারা গেলে কি শহীদ হয়?
লেখক বলেছেন: ইসলামী রাজনীতি (ইসলামী আন্দোলন-আরবী: জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ) করার কারনে যখন কাউকে হত্যা করা হয়, তাদেরকে শহীদ বলা হয় । অকারনে খুব ভালো একজন সাধারন মুসলমানকে-ও যদি হত্যা করা হয়, শাহাদাতের ক্রাইটেরিয়ায় তিনিও শহীদ । নোমানী ভাই নিজ এলাকা এবং রাবিতে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন । খুব কম মানুষ ই ছিলো যারা তাকে পছন্দ করতে পারত না । খুব ভদ্র আর নম্র স্বভাবের ছিলেন । সুন্দর কন্ঠের ক্বারী ছিলেন.... সবচেয়ে বড় ব্যাপার, তিনি এই জনপদে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের "কর্মী" ছিলেন ।
...তাদের রব তাদের আহবানে সাড়া দিলেন যে , আমি তোমাদের কোন আমল কখনো বিনষ্ট করবো না, পুরুষ হোক -মহিলা হোক নির্বিশেষে তোমরা তো একে অপরের ই অংশ , অতএব যারা নিজেদের মাতৃভূমি ছেড়ে হিজরত করেছে, এবং যারা নিজেদের জন্মভূমি থেকে বিতারিত হয়েছে , আমার ই পথে যারা নির্যাতিত হয়েছে, যারা লড়াই করেছে এবং জীবন দিয়েছে- আমি এদের গুনাহসমূহ মাফ করে দেব । অবশ্যই আমি এদের এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবো, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত থাকবে । এ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার দেয়া পুরস্কার । আর আল্লার কাছেই তো রয়েছে উত্তম পুরস্কার । - আল ইমরান : ১৯৫
নুরুল আফছার বলেছেন: ঘটনাটা দুঃখজনক।আমি সমব্যথি।কিন্তু শহিদ হওয়ার ব্যপারটা অত সোজা না।ইসলাম আর জামাত এক কথা না।ইসলামের তরে জামাত না, জামাতের তরে ইসলাম।
লেখক বলেছেন: হ্যা, শহীদ হবার ব্যাপারটা আল্লাহ ই নির্ধারন করে দিয়েছেন । দ্বীন কায়েমের পথে যারা নিহত হয়, তারাই শহীদ । শাহাদাতের মৃত্যু সবচেয়ে সৌভাগ্যের-সবচেয়ে মর্যাদার ।
ইসলামের তরে "জামাত" কিনা, সে তর্কে যাওয়ার ইচ্ছা নাই, তবে ইসলামের জন্য জামাতবদ্ধ (..জামাত নামের দলটি নয় , জামাত= সংঘবদ্ধ হওয়া) হওয়া আল্লাহর সরাসরি নির্দেশ ।
তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্তকরে আকড়ে ধরো এবং পরস্পর কখনো বিচ্ছিন্ন হয়োনা । - আল ইমরান: ১০৩
আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে পছন্দ করেন, যারা তার পথে এমনভাবে সারিবদ্ধ হয়ে লড়াই করে, যেন তারা সীসা-ঢালা প্রাচীর । - আস-সফ : ০৪
হারেসুল আশয়ারী রা: থেকে বর্নিত হাদীসে রাসুল সা: পাচটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন
১. জামায়াতবদ্ধ হবে (..সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া..)
২. নেতার আদেশ মনোযোগ দিয়ে শুনবে
৩. তার আদেশ মেনে চলবে
৪. আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ বর্জন করবে
৫. আল্লাহর পথে লড়াই করবে ।
................যে ব্যক্তি ইসলামী সঙ্গঠন থেকে এক বিঘৎ দূরে সরে গেলো, সে নিজের গলা থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলল ।
....যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের নিয়ম-নীতির দিকে লোকদেরকে ডাকবে, সে জাহান্নামের জ্বালানী হবে - যদিও সে রোযা রাখে, নামাজ পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে মনে করে । আহমদ-তিরমীজী ।
[এই পুরোটা এক ই হাদীস । ভেবে দেখুন, সঙ্ঘবদ্ধ জীবনযাপন ইসলামে কতটা গুরুত্বপূর্ণ । নামাজ পড়ে -রোজা রেখে মুসলমান বলে মনে করার পরেও কি জাহান্নামের জ্বালানী হতে চায় কেউ ? এই হাদীসের জামাত মানে হলো ইসলামী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া , ছাত্রশিবিরকে বহুদিন ধরে চিনি-জানি, এই সংগঠন ই এইদেশে ইসলামী আন্দোলনের সবচেয়ে সক্রিয় এবং কুরআন ও রাসুল-জীবনী মেনে চলা সংগঠন , আমাদের ভালো না লাগলে অন্য কোন ইসলামী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হন, তবুও একাকী থাকতে পারবেন না, পারবেন না কোন সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের দলভুক্ত হতে - এই হাদীস অনুযায়ী ]
*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.*.
link
0 comments: