অনেক দিন পরে ব্লগে আসলাম। ব্লগে কথা বলার আগ্রহ চলে গিয়েছে। আজ ঢুকার পরে একজন বললো ব্লগে নাকি একটা ঝগড়া হচ্ছে। ইচ্ছা ছিল না, নিতান্তই লিংক পেয়ে ঢুকলাম। ঢুকেই মনটা তিতা হয়ে গেল।
পর্দা নিয়ে আমি খু্বই সেনসিটিভ। কেউ কিচ্ছু বললে সহ্য করতে পারি না। কিন্তু আমি দু:খিত, এই ধরণের কোন কথাও আমি সহ্য করতে পারি না। কারণ ইসলামে এই ধরণের কথা বলার অধিকার দেয়া হয় নি।
আমার এই পোস্টটা যদি কেউ 'ওভার রিয়েকশন' মনে করে, তাহলে বলি--আমার ইসলামের ভিতরে থাকার দাবী করে কেউ যদি কোন অন্যায় করে, তাহলে তাকেই আমি ধরব সবচেয়ে শক্ত করে।
কাউকে 'এই ধরণের মেয়েরা' বলে একটা গ্রুপে ফেলে দিয়ে 'কাপড় খুলে চলার' ইংগিত দেয়াটা কিন্তু খুব নোংরা ইংগিত। হাইপোথেটিক্যালি রাগ আপু বলেছেন তিন হাত লম্বা বোরখা তাঁর কাছে অদ্ভূত লাগে, কিন্তু কাউকে আঙ্গুল উচিয়ে বলেন নি, 'তুমি যা পড়ো তা আমার অদ্ভূত লাগে'। একজন ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত ভাবে জড়িয়ে ফেলা মানেই খুব নোংরামি করা। আর এই নোংরামি করার অধিকার কিন্তু আল্লাহ দেন নি।
ইসলামে প্রত্যেকটা ব্যক্তির উপর শ্রদ্ধাশীল করতে বলা হয়েছে। মিথ্যা, গীবত, গালি, অপবাদ, যত যা কিছু আছে যা আরেকজনের মনে আঘাত দিতে পারে, সব কিছুর কাঁটা একটা একটা করে তুলে ফেলা হয়েছে। কেউ শত্রুপক্ষের হলেও তার সাথে 'অভদ্র' হওয়ার অধিকার দেয় হয় নি।
এই ক্ষেত্রে নারী পুরুষের কোন পার্থক্য নেই।
কোন মানুষের সাথে অসম্মানজনক আচরণ করে পার পাওয়া যাবে না, আর কোন নারীর সাথে অসম্মানজনক ব্যবহার করে পার পাওয়া যাবে--এই কি হয়?
কুরআনের যেই জায়গায় মেয়েদের পর্দার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেখানে সবার আগে ছেলেদের দৃষ্টি সংযত করতে বলা হয়েছে, তারপরে মেয়েদের কথা বলেছেন আল্লাহ। মেয়েদের পর্দা নিয়ে এত কমোশন, ছেলেদের নিয়ে কিছুই দেখি না, কুরআনের অনুসারীদের এই অনুসরন দেখলে বড় দু:খ হয়!
আমাদের এখনকার সমাজে 'পর্দা' নিয়ে যত বই, যত কথা, যত তক্ক, যত ওয়াজ, বক্তৃতা তার অন্তত শতকরা নিরানব্বই ভাগই 'মেয়েদের' পর্দা নিয়ে।
কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি, হাদীস গ্রন্থগুলোতে মেয়েদের পোশাক আশাক নিয়ে যত হাদীস আছে, ছেলেদের পোশাক আশাক, সে সংক্রান্ত নির্দেশাবলী নিয়ে হাদীস আছে 'অনেক বেশি!'
অনেক বেশি!
শুনেছেন ঠিক মতো--মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের পোশাক নিয়ে আল্লাহর রসুল বেশি চিন্তিত ছিলেন!
মেয়েদের হিজাবের চেয়ে ছেলেদের দৃষ্টি সংবরন নিয়ে আল্লাহ বেশি চিন্তিত ছিলেন, তাই সেটা আগে বলেছেন!
আমি এটা জেনে হতাশায় মাথা নাড়লাম!
ইসলামে ছেলে আর মেয়েদের 'মর্যাদা' এক, 'মানুষ', আল্লাহর বান্দা হিসেবে মর্যাদা এক!
মুসলিমদের এ কি রোগ শুরু হয়েছে, 'মেয়েদের' পর্দার উপর গ্রন্থের পর গ্রন্থ, ছেলেদের পর্দার উপর কিছুই নেই!কেউ কি আজ অব্দি একটা বইও দেখেছেন শুধু ছেলেদের পর্দার উপর লেখা?
সবচেয়ে খুশি হবো সেই দিন যেই দিন পুরুষদের পর্দার বিস্তারিত আইন কানুন নিয়ে কোন বই একজন নারী লিখবেন! মেয়েদের কাপড়ের দৈর্ঘ্য, রং, হাঁটাচলা, কথাবার্তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যবচ্ছেদ পুরুষরা তো যথেষ্ট করলো! আর কত!
কিন্তু চিন্তা করুন ব্যাপারটা কেমন হবে। আমাদের সমাজে (অনাত্মীয়--বাবা না, চাচা না, ভাই না, স্বামী না) ছেলেরা (যাদের মোড়লীপনা করার কোন অধিকারই দেয়া হয় নি), তারা যেভাবে মেয়েদের পর্দার সীমাপরিসীমার উপদেশ দিতে দিতে রাতে ঘুমাতে পারে না, সেই কাজগুলো মেয়েরা শুরু করলে কেমন হতো?
কেমন লাগবে, রাস্তায় কোন ছেলে তাকালে যদি কাছে গিয়ে বোরখাওয়ালী মেয়েরা বলা শুরু করে, ওই ব্যাটা তাকাবি তো চোখ কানা করে দিব। (একটা হাদীসে কারও ঘরে মানে প্রাইভেসীতে উঁকি দিলে চোখ কানা করে দেয়ার হুমকি দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে! হিজাব পড়ার পরেও পুরুষরা যখন বলে এতেও 'ঠিকমত' পর্দা হয় নি, কিংবা কোন নারীর পোশাক আশাকের ব্যপারে মন্তব্য করে, তখন ইচ্ছা করে সত্যি সত্যি চোখ কানা করে দেই! এই অভদ্রতার অধিকার কে দিল?)
একটা হাদীসে পড়ছিলাম সেদিন, রাসূল (সা) কখনও গায়ের জামা খুলতেন না নিজের খুব কাছের ছাড়া অন্যদের সামনে। 'আজকালকার ছেলেরা' যে কোন উপলক্ষ্যে (গরম লাগা, ক্রিকেট পরবর্তী উল্লাস, সমুদ্র বিলাস) গায়ের জামা খুলতে একটুও দ্বিধা করে? কিংবা শার্টের বোতাম খোলা রাখা। ওহ, রাসুলের সুন্নত কিন্তু পুরুষদের জন্যও 'ঢিলা ঢালা' কাপড় চোপড় পড়া, এখন মেয়েরা গজ ফিতা নিয়ে পুরুষদের কাপড়ের প্রস্থ মেপে মোড়লীপনা শুরু করলে কেমন লাগতো?
কেমন হতো বোরখা পড়া খালাম্মা টাইপের কেউ গিয়ে যদি হুমকি দিত, পর্দা পুশিদার ঠিক নাই তোর!
অথবা নিজের চেয়ে বয়সে ছোট কোন বোরখাওয়ালী মেয়ে ভাব নিয়ে বলতো, আপনের ভাব সাব দেখে মনে হয় আপনে কাপড় খুলে ঘুরতে পারলেই বাঁচেন!
দাড়ি নিয়ে তো যথেষ্ট কড়া হাদীস আছে, ক্লীন শেভড প্রত্যেককে ধরে কিশোরী তরুনীরা যদি বলা শুরু করতো, আপনের সমস্যা কি? মুখে দাড়ি নাই কেন? আজকালকার মরদরা...
কেমন লাগতো?
খুব শালীন মনে হতো?
খুব স্বাভাবিক মনে হতো?
ওমর (রা) যখন একটা ভুল সিদ্ধান্ত দিলেন, তখন একজন নারী উঠে দাঁড়িয়ে কিন্তু প্রতিবাদ করতে দ্বিধা করেন নি। ওমর (রা) মাথা পেতে মেনে নিয়েছিলেন।
মুসলিম সমাজের সমস্যা নিয়ে হাজারটা প্রবন্ধ লিখেও কোথাও যাওয়া যাবে না... সমস্যাটা যে প্রায়েই থাকে নিজেরই খুব ভিতরে!
পর্দা নিয়ে আমি খু্বই সেনসিটিভ। কেউ কিচ্ছু বললে সহ্য করতে পারি না। কিন্তু আমি দু:খিত, এই ধরণের কোন কথাও আমি সহ্য করতে পারি না। কারণ ইসলামে এই ধরণের কথা বলার অধিকার দেয়া হয় নি।
আমার এই পোস্টটা যদি কেউ 'ওভার রিয়েকশন' মনে করে, তাহলে বলি--আমার ইসলামের ভিতরে থাকার দাবী করে কেউ যদি কোন অন্যায় করে, তাহলে তাকেই আমি ধরব সবচেয়ে শক্ত করে।
কাউকে 'এই ধরণের মেয়েরা' বলে একটা গ্রুপে ফেলে দিয়ে 'কাপড় খুলে চলার' ইংগিত দেয়াটা কিন্তু খুব নোংরা ইংগিত। হাইপোথেটিক্যালি রাগ আপু বলেছেন তিন হাত লম্বা বোরখা তাঁর কাছে অদ্ভূত লাগে, কিন্তু কাউকে আঙ্গুল উচিয়ে বলেন নি, 'তুমি যা পড়ো তা আমার অদ্ভূত লাগে'। একজন ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত ভাবে জড়িয়ে ফেলা মানেই খুব নোংরামি করা। আর এই নোংরামি করার অধিকার কিন্তু আল্লাহ দেন নি।
ইসলামে প্রত্যেকটা ব্যক্তির উপর শ্রদ্ধাশীল করতে বলা হয়েছে। মিথ্যা, গীবত, গালি, অপবাদ, যত যা কিছু আছে যা আরেকজনের মনে আঘাত দিতে পারে, সব কিছুর কাঁটা একটা একটা করে তুলে ফেলা হয়েছে। কেউ শত্রুপক্ষের হলেও তার সাথে 'অভদ্র' হওয়ার অধিকার দেয় হয় নি।
এই ক্ষেত্রে নারী পুরুষের কোন পার্থক্য নেই।
কোন মানুষের সাথে অসম্মানজনক আচরণ করে পার পাওয়া যাবে না, আর কোন নারীর সাথে অসম্মানজনক ব্যবহার করে পার পাওয়া যাবে--এই কি হয়?
কুরআনের যেই জায়গায় মেয়েদের পর্দার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেখানে সবার আগে ছেলেদের দৃষ্টি সংযত করতে বলা হয়েছে, তারপরে মেয়েদের কথা বলেছেন আল্লাহ। মেয়েদের পর্দা নিয়ে এত কমোশন, ছেলেদের নিয়ে কিছুই দেখি না, কুরআনের অনুসারীদের এই অনুসরন দেখলে বড় দু:খ হয়!
আমাদের এখনকার সমাজে 'পর্দা' নিয়ে যত বই, যত কথা, যত তক্ক, যত ওয়াজ, বক্তৃতা তার অন্তত শতকরা নিরানব্বই ভাগই 'মেয়েদের' পর্দা নিয়ে।
কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি, হাদীস গ্রন্থগুলোতে মেয়েদের পোশাক আশাক নিয়ে যত হাদীস আছে, ছেলেদের পোশাক আশাক, সে সংক্রান্ত নির্দেশাবলী নিয়ে হাদীস আছে 'অনেক বেশি!'
অনেক বেশি!
শুনেছেন ঠিক মতো--মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের পোশাক নিয়ে আল্লাহর রসুল বেশি চিন্তিত ছিলেন!
মেয়েদের হিজাবের চেয়ে ছেলেদের দৃষ্টি সংবরন নিয়ে আল্লাহ বেশি চিন্তিত ছিলেন, তাই সেটা আগে বলেছেন!
আমি এটা জেনে হতাশায় মাথা নাড়লাম!
ইসলামে ছেলে আর মেয়েদের 'মর্যাদা' এক, 'মানুষ', আল্লাহর বান্দা হিসেবে মর্যাদা এক!
মুসলিমদের এ কি রোগ শুরু হয়েছে, 'মেয়েদের' পর্দার উপর গ্রন্থের পর গ্রন্থ, ছেলেদের পর্দার উপর কিছুই নেই!কেউ কি আজ অব্দি একটা বইও দেখেছেন শুধু ছেলেদের পর্দার উপর লেখা?
সবচেয়ে খুশি হবো সেই দিন যেই দিন পুরুষদের পর্দার বিস্তারিত আইন কানুন নিয়ে কোন বই একজন নারী লিখবেন! মেয়েদের কাপড়ের দৈর্ঘ্য, রং, হাঁটাচলা, কথাবার্তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যবচ্ছেদ পুরুষরা তো যথেষ্ট করলো! আর কত!
কিন্তু চিন্তা করুন ব্যাপারটা কেমন হবে। আমাদের সমাজে (অনাত্মীয়--বাবা না, চাচা না, ভাই না, স্বামী না) ছেলেরা (যাদের মোড়লীপনা করার কোন অধিকারই দেয়া হয় নি), তারা যেভাবে মেয়েদের পর্দার সীমাপরিসীমার উপদেশ দিতে দিতে রাতে ঘুমাতে পারে না, সেই কাজগুলো মেয়েরা শুরু করলে কেমন হতো?
কেমন লাগবে, রাস্তায় কোন ছেলে তাকালে যদি কাছে গিয়ে বোরখাওয়ালী মেয়েরা বলা শুরু করে, ওই ব্যাটা তাকাবি তো চোখ কানা করে দিব। (একটা হাদীসে কারও ঘরে মানে প্রাইভেসীতে উঁকি দিলে চোখ কানা করে দেয়ার হুমকি দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে! হিজাব পড়ার পরেও পুরুষরা যখন বলে এতেও 'ঠিকমত' পর্দা হয় নি, কিংবা কোন নারীর পোশাক আশাকের ব্যপারে মন্তব্য করে, তখন ইচ্ছা করে সত্যি সত্যি চোখ কানা করে দেই! এই অভদ্রতার অধিকার কে দিল?)
একটা হাদীসে পড়ছিলাম সেদিন, রাসূল (সা) কখনও গায়ের জামা খুলতেন না নিজের খুব কাছের ছাড়া অন্যদের সামনে। 'আজকালকার ছেলেরা' যে কোন উপলক্ষ্যে (গরম লাগা, ক্রিকেট পরবর্তী উল্লাস, সমুদ্র বিলাস) গায়ের জামা খুলতে একটুও দ্বিধা করে? কিংবা শার্টের বোতাম খোলা রাখা। ওহ, রাসুলের সুন্নত কিন্তু পুরুষদের জন্যও 'ঢিলা ঢালা' কাপড় চোপড় পড়া, এখন মেয়েরা গজ ফিতা নিয়ে পুরুষদের কাপড়ের প্রস্থ মেপে মোড়লীপনা শুরু করলে কেমন লাগতো?
কেমন হতো বোরখা পড়া খালাম্মা টাইপের কেউ গিয়ে যদি হুমকি দিত, পর্দা পুশিদার ঠিক নাই তোর!
অথবা নিজের চেয়ে বয়সে ছোট কোন বোরখাওয়ালী মেয়ে ভাব নিয়ে বলতো, আপনের ভাব সাব দেখে মনে হয় আপনে কাপড় খুলে ঘুরতে পারলেই বাঁচেন!
দাড়ি নিয়ে তো যথেষ্ট কড়া হাদীস আছে, ক্লীন শেভড প্রত্যেককে ধরে কিশোরী তরুনীরা যদি বলা শুরু করতো, আপনের সমস্যা কি? মুখে দাড়ি নাই কেন? আজকালকার মরদরা...
কেমন লাগতো?
খুব শালীন মনে হতো?
খুব স্বাভাবিক মনে হতো?
ওমর (রা) যখন একটা ভুল সিদ্ধান্ত দিলেন, তখন একজন নারী উঠে দাঁড়িয়ে কিন্তু প্রতিবাদ করতে দ্বিধা করেন নি। ওমর (রা) মাথা পেতে মেনে নিয়েছিলেন।
মুসলিম সমাজের সমস্যা নিয়ে হাজারটা প্রবন্ধ লিখেও কোথাও যাওয়া যাবে না... সমস্যাটা যে প্রায়েই থাকে নিজেরই খুব ভিতরে!
পুরুষদের পর্দার কথা কে বলবে?
আমার চাচাত ভাই বিবাহিত। সে শুক্রবারে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়, এক সপ্তাহে ৩৫ ওয়াক্তের মধ্যে ১ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে (রমজানে ব্যতিত)। ভাবী আবার নামাজ রেগুলার পড়ে। ভাবীকে আপাদমস্তক তালিবানি স্টাইলে শুধু চোখ দেখা যায় মত বোরখা পড়তে হয়, না হয় ভাইয়া (চাচাত ভাই) বকাঝকা করবে। ভাবী যাতে দ্বীন ঠিকমত পালন করে সেটা ভাইয়া সবসময় খেয়াল রাখে! একটু এদিক ওদিক হলেই বকা চলে। কিন্তু ভাইয়ার দ্বীনের কোন খবর নাই, সে ক্লীন-শেভড, খুব আধুনিক।
আমি এটা অনেকের কাছ থেকেই শুনেছি যে যে মেয়েগুলা এসিডদগ্ধ হয়েছে সেটা নাকি মেয়েদের দোষ। তারা পর্দা করেনা, তাহলে এসিদদগ্ধ হয়ে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। যে মেয়েগুলাকে রাস্তায় বখাটে ছেলেরা বিভিন্নরকমভাবে বিরক্ত করে, টিস করে, সেটাও সেই মেয়েগুলারই দোষ। তারা বোরখা পড়েনা কেন? বোরখা পড়া কোন মেয়েকে কি কেউ টিস করে? আশেপাশে যারা থাকে তারাও মাথা নাড়ে, ঠিকই তো। "বেগানা মাইয়ামানুষ রাস্তা দিয়া হাইট্টা যাইব কেন?" এতে ছেলেপুলেদের ঈমানের ঠিক থাকবে? উত্তেজিত হয়ে তো তারা টিস করতেই পারে!
এরকম ধ্যান-ধারণা কিন্তু আমরা যতটুকু পর্যবেক্ষণ করি তার থেকে অনেক বেশি প্রচলিত। মুসলমানরা ইসলামের সবটুকুই মেয়েদের দিয়ে পালন করাতে চায়। ভাই নিজে গিয়ে সিনেমা হলে সিনেমা দেখে আসে, নেটে উল্টাপাল্টা সাইটে নিয়মিত যায়, কিন্তু বোন এদিক ওদিক করলেই তার ঈমান জেগে উঠে। বোন বাসায় বসে সিনেমা দেখলে তার ঈমানের হালত খারাপ হয়ে যাই। গত ১০০০ বছরে লক্ষ লক্ষ বই মুসলিম মেয়েদের পর্দা নিয়ে ছাপা হয়েছে। এখন আধুনিক যুগে মনে হয় প্রতিদিনই ১টা করে বই প্রকাশিত হচ্ছে মহিলাদের পর্দা করার উপদেশ দিয়ে। এসবই লিখে পুরুষরা! মহিলাদেরকে পর্দার ভিতর ঢুকানোর জন্য তাদের কি চেষ্টা! তাদের সভ্যতার কলাপসের জন্যও তারা অনেকেই মহিলাদের পর্দাহীনতাকে দায়ী করে!
অথচ পুরুষদের পর্দা ইসলামের আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য পর্দা মানে এখানে বোরখা পড়া না। শালীনতা বজায় রাখা, অনৈতিক কিছু দেখা থেকে বিরত থাকা, অনৈতিক চিন্তা-ভাবনা থেকে নিজেকে বিরত রাখা, দৃষ্টি নিচের দিকে নিবদ্ধ করা এসবই পর্দার মধ্যে পড়ে। আজ পর্যন্ত আপনাদের কারো চোখে কি পুরুষদের পর্দার ব্যাপারে কোন বই চোখে পড়েছে? কোন ইসলামিক বুকস্টোরে পুরুষদের পর্দা নিয়ে কোন বই আছে কিনা সেটা কেউ জিজ্ঞেস করতে দেখেছেন? কোন লেকচার সিরিজে পুরুষদের পর্দা কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা আলোচিত হতে দেখেছেন? কোন হুজুর সুরেলা কন্ঠে পুরুষদের পর্দা না করলে কত লক্ষ বছর জাহান্নামে জলতে হবে সেটা নিয়ে ওয়াজ করতে শুনেছেন? আমি শুনিনি, কোন বই এই বিষয়ে আমি কোথাও পাইনি। যেসব ছোটখাট দু-পাতার লেখা আমি অনলাইনে দেখেছি সেসব লেখার মধ্যেও কেমন জানি "এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না" এরকম একটা ভাব আছে। পুরুষদের পর্দার উপর কোন সম্পূর্ণ বই প্রকাশিত হতে আমি দেখিনি।
অথচ কোরানে পুরুষদের পর্দার কথা মেয়েদের পর্দার আগে বলা হয়েছে। পুরুষদের পর্দা মেয়েদের পর্দা থেকে সেজন্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে পুরুষরা পর্দা করা শুরু করলে মেয়েরা আপনাআপনিই পর্দা করা শুরু করবে।
"24:30 (Asad) Tell the believing men to lower their gaze and to be mindful of their chastity: this will be most conducive to their purity – [and,] verily, God is aware of all that they do. -
# 24:31 (Asad) And tell the believing women to lower their gaze and to be mindful of their chastity, and not to display their charms [in public] beyond what may [decently] be apparent thereof; ....."
সুরা নুরের এই আয়াতগুলো দেখলেই বুঝা যায় যে ছেলেদের পর্দা অন্ততপক্ষে মেয়েদের পর্দার সমান গুরুত্বপূর্ণ, যদি বেশি না হয়। অথচ মেয়েদেরকে পর্দার মধ্যে রাখার জন্য পুরুষদের এত চেষ্টা থাকলেও নিজেদের ব্যাপারে কোন রাখঢাকই নেই।
Hadith - Sahih Bukhari 8.248, Narrated Abu Said Al Khudri Similar narration in Sahih Muslim]
The Prophet peace and blessings of Allah be upon him said, "Beware! Avoid sitting on the roads." They (the people) said, "O Allah's Apostle! We can't help sitting (on the roads) as these are (our places) where we have talks." The Prophet peace and blessings of Allah be upon him said, "If you refuse but to sit, then pay the road its right." They said, "What is the right of the road, O Allah's Apostle?" He said, "Lowering your gaze, refraining from harming others, returning greeting, and enjoining what is good, and forbidding what is evil."
উপরের হাদিসটা যেসব লোক বখাটেদের মেয়ে দেখলে উৎপাত করাকে "মেয়েরা পর্দা কেন করেনা" বলে যুক্তি দেখায় তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব। এম্নিতে রাস্তায় দাড়িয়ে আড্ডা দিতেই নিষেধ করা হয়েছে, আর যে রাস্তা দিয়ে মেয়েরা যাতায়াত করে সেখানে দাড়িয়ে শিষ দেওয়াটা কত জগন্য অপরাধ হতে পারে সেটা তো কল্পনাই করা যায়না। যদি খুব দরকারে দাড়াতেও হয়, দৃষ্টি নীচের দিকে রাখতে বলা হয়েছে, যেটা করলে মেয়ে বেপর্দা না বেগানা নাকি অন্যকিছু সেটা তো দেখতে পাওয়ারও প্রশ্নই আসেনা।
আবার অনেককে দেখেছি কোন মেয়ে যদি একটু খোলামেলা কাপড় পড়ে তার নামে যা-তা বলে বেড়ায় ধর্মের দোহাই দিয়ে। সেসব শুনে তথাকথিত ধর্ম-রক্ষাকারী পুরুষেরা হাত-তালি দেয়। নিচের আয়াত দেখেন, তাদের জন্য কি শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে।
"# 24:23 (Asad) [But,] verily, those who [falsely, and without repentance,] accuse chaste women who may have been unthinkingly careless but have remained true to their faith, shall be rejected [from God’s grace] in this world as well as in the life to come: and awesome suffering awaits them "
সমাজে নারীরা বেপর্দা হওয়া বা লাক্স-চ্যানেল আইয়ে নিজেদেরকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করাটাও সম্পূর্ণভাবে পুরুষের দোষ। কোরানেই বলা আছে সেটা।
# 24:26 (Asad) [In the nature of things,] corrupt women are for corrupt men, and corrupt men, for corrupt women - just as good women are for good men, and good men, for good women. [Since God is aware that] these are innocent of all that evil tongues may impute to them, forgiveness of sins shall be theirs, and a most excellent sustenance!
মেয়েদেরকে ধর্মের ষোলআনা পালন করানোর জন্য বাধ্য করব আর নিজের বেলায় ধর্মের কোন খোঁজখবর নেই, এটা সম্পূর্ণভাবে মুনাফেকীর লক্ষণ। একজন মুসলমান নিজের জন্য যা পছন্দ করবে অন্যের জন্যও তাই পছন্দ করবে, নাহয় সে প্রকৃত মুসলমানই না। দেখেন পারেন কিনা, ঢাকার রাস্তায় ১ মাইল হেটে দেখেন আর যত মেয়ে আসে তাদের দিকে না তাকিয়ে দৃষ্টি নিচের দিকে করে রাখবেন, সুন্দরী হোক অসুন্দরি হোক, তাদের দিকে তাকাবেননা। যদি নিজের দৃষ্টিকে সংযত করতে না পারেন তাহলে আপনার বোন, আপনার স্ত্রী, আপনার পাড়াপ্রতিবেশী কাউকেই পর্দা করানোর জন্য জোর করার কোন অধিকার আপনার নেই। আমার চাচাত ভাই বিবাহিত। সে শুক্রবারে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়, এক সপ্তাহে ৩৫ ওয়াক্তের মধ্যে ১ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে (রমজানে ব্যতিত)। ভাবী আবার নামাজ রেগুলার পড়ে। ভাবীকে আপাদমস্তক তালিবানি স্টাইলে শুধু চোখ দেখা যায় মত বোরখা পড়তে হয়, না হয় ভাইয়া (চাচাত ভাই) বকাঝকা করবে। ভাবী যাতে দ্বীন ঠিকমত পালন করে সেটা ভাইয়া সবসময় খেয়াল রাখে! একটু এদিক ওদিক হলেই বকা চলে। কিন্তু ভাইয়ার দ্বীনের কোন খবর নাই, সে ক্লীন-শেভড, খুব আধুনিক।
আমি এটা অনেকের কাছ থেকেই শুনেছি যে যে মেয়েগুলা এসিডদগ্ধ হয়েছে সেটা নাকি মেয়েদের দোষ। তারা পর্দা করেনা, তাহলে এসিদদগ্ধ হয়ে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। যে মেয়েগুলাকে রাস্তায় বখাটে ছেলেরা বিভিন্নরকমভাবে বিরক্ত করে, টিস করে, সেটাও সেই মেয়েগুলারই দোষ। তারা বোরখা পড়েনা কেন? বোরখা পড়া কোন মেয়েকে কি কেউ টিস করে? আশেপাশে যারা থাকে তারাও মাথা নাড়ে, ঠিকই তো। "বেগানা মাইয়ামানুষ রাস্তা দিয়া হাইট্টা যাইব কেন?" এতে ছেলেপুলেদের ঈমানের ঠিক থাকবে? উত্তেজিত হয়ে তো তারা টিস করতেই পারে!
এরকম ধ্যান-ধারণা কিন্তু আমরা যতটুকু পর্যবেক্ষণ করি তার থেকে অনেক বেশি প্রচলিত। মুসলমানরা ইসলামের সবটুকুই মেয়েদের দিয়ে পালন করাতে চায়। ভাই নিজে গিয়ে সিনেমা হলে সিনেমা দেখে আসে, নেটে উল্টাপাল্টা সাইটে নিয়মিত যায়, কিন্তু বোন এদিক ওদিক করলেই তার ঈমান জেগে উঠে। বোন বাসায় বসে সিনেমা দেখলে তার ঈমানের হালত খারাপ হয়ে যাই। গত ১০০০ বছরে লক্ষ লক্ষ বই মুসলিম মেয়েদের পর্দা নিয়ে ছাপা হয়েছে। এখন আধুনিক যুগে মনে হয় প্রতিদিনই ১টা করে বই প্রকাশিত হচ্ছে মহিলাদের পর্দা করার উপদেশ দিয়ে। এসবই লিখে পুরুষরা! মহিলাদেরকে পর্দার ভিতর ঢুকানোর জন্য তাদের কি চেষ্টা! তাদের সভ্যতার কলাপসের জন্যও তারা অনেকেই মহিলাদের পর্দাহীনতাকে দায়ী করে!
অথচ পুরুষদের পর্দা ইসলামের আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য পর্দা মানে এখানে বোরখা পড়া না। শালীনতা বজায় রাখা, অনৈতিক কিছু দেখা থেকে বিরত থাকা, অনৈতিক চিন্তা-ভাবনা থেকে নিজেকে বিরত রাখা, দৃষ্টি নিচের দিকে নিবদ্ধ করা এসবই পর্দার মধ্যে পড়ে। আজ পর্যন্ত আপনাদের কারো চোখে কি পুরুষদের পর্দার ব্যাপারে কোন বই চোখে পড়েছে? কোন ইসলামিক বুকস্টোরে পুরুষদের পর্দা নিয়ে কোন বই আছে কিনা সেটা কেউ জিজ্ঞেস করতে দেখেছেন? কোন লেকচার সিরিজে পুরুষদের পর্দা কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা আলোচিত হতে দেখেছেন? কোন হুজুর সুরেলা কন্ঠে পুরুষদের পর্দা না করলে কত লক্ষ বছর জাহান্নামে জলতে হবে সেটা নিয়ে ওয়াজ করতে শুনেছেন? আমি শুনিনি, কোন বই এই বিষয়ে আমি কোথাও পাইনি। যেসব ছোটখাট দু-পাতার লেখা আমি অনলাইনে দেখেছি সেসব লেখার মধ্যেও কেমন জানি "এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না" এরকম একটা ভাব আছে। পুরুষদের পর্দার উপর কোন সম্পূর্ণ বই প্রকাশিত হতে আমি দেখিনি।
অথচ কোরানে পুরুষদের পর্দার কথা মেয়েদের পর্দার আগে বলা হয়েছে। পুরুষদের পর্দা মেয়েদের পর্দা থেকে সেজন্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে পুরুষরা পর্দা করা শুরু করলে মেয়েরা আপনাআপনিই পর্দা করা শুরু করবে।
"24:30 (Asad) Tell the believing men to lower their gaze and to be mindful of their chastity: this will be most conducive to their purity – [and,] verily, God is aware of all that they do. -
# 24:31 (Asad) And tell the believing women to lower their gaze and to be mindful of their chastity, and not to display their charms [in public] beyond what may [decently] be apparent thereof; ....."
সুরা নুরের এই আয়াতগুলো দেখলেই বুঝা যায় যে ছেলেদের পর্দা অন্ততপক্ষে মেয়েদের পর্দার সমান গুরুত্বপূর্ণ, যদি বেশি না হয়। অথচ মেয়েদেরকে পর্দার মধ্যে রাখার জন্য পুরুষদের এত চেষ্টা থাকলেও নিজেদের ব্যাপারে কোন রাখঢাকই নেই।
Hadith - Sahih Bukhari 8.248, Narrated Abu Said Al Khudri Similar narration in Sahih Muslim]
The Prophet peace and blessings of Allah be upon him said, "Beware! Avoid sitting on the roads." They (the people) said, "O Allah's Apostle! We can't help sitting (on the roads) as these are (our places) where we have talks." The Prophet peace and blessings of Allah be upon him said, "If you refuse but to sit, then pay the road its right." They said, "What is the right of the road, O Allah's Apostle?" He said, "Lowering your gaze, refraining from harming others, returning greeting, and enjoining what is good, and forbidding what is evil."
উপরের হাদিসটা যেসব লোক বখাটেদের মেয়ে দেখলে উৎপাত করাকে "মেয়েরা পর্দা কেন করেনা" বলে যুক্তি দেখায় তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব। এম্নিতে রাস্তায় দাড়িয়ে আড্ডা দিতেই নিষেধ করা হয়েছে, আর যে রাস্তা দিয়ে মেয়েরা যাতায়াত করে সেখানে দাড়িয়ে শিষ দেওয়াটা কত জগন্য অপরাধ হতে পারে সেটা তো কল্পনাই করা যায়না। যদি খুব দরকারে দাড়াতেও হয়, দৃষ্টি নীচের দিকে রাখতে বলা হয়েছে, যেটা করলে মেয়ে বেপর্দা না বেগানা নাকি অন্যকিছু সেটা তো দেখতে পাওয়ারও প্রশ্নই আসেনা।
আবার অনেককে দেখেছি কোন মেয়ে যদি একটু খোলামেলা কাপড় পড়ে তার নামে যা-তা বলে বেড়ায় ধর্মের দোহাই দিয়ে। সেসব শুনে তথাকথিত ধর্ম-রক্ষাকারী পুরুষেরা হাত-তালি দেয়। নিচের আয়াত দেখেন, তাদের জন্য কি শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে।
"# 24:23 (Asad) [But,] verily, those who [falsely, and without repentance,] accuse chaste women who may have been unthinkingly careless but have remained true to their faith, shall be rejected [from God’s grace] in this world as well as in the life to come: and awesome suffering awaits them "
সমাজে নারীরা বেপর্দা হওয়া বা লাক্স-চ্যানেল আইয়ে নিজেদেরকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করাটাও সম্পূর্ণভাবে পুরুষের দোষ। কোরানেই বলা আছে সেটা।
# 24:26 (Asad) [In the nature of things,] corrupt women are for corrupt men, and corrupt men, for corrupt women - just as good women are for good men, and good men, for good women. [Since God is aware that] these are innocent of all that evil tongues may impute to them, forgiveness of sins shall be theirs, and a most excellent sustenance!
মেয়েদেরকে ধর্মের ষোলআনা পালন করানোর জন্য বাধ্য করব আর নিজের বেলায় ধর্মের কোন খোঁজখবর নেই, এটা সম্পূর্ণভাবে মুনাফেকীর লক্ষণ। একজন মুসলমান নিজের জন্য যা পছন্দ করবে অন্যের জন্যও তাই পছন্দ করবে, নাহয় সে প্রকৃত মুসলমানই না। দেখেন পারেন কিনা, ঢাকার রাস্তায় ১ মাইল হেটে দেখেন আর যত মেয়ে আসে তাদের দিকে না তাকিয়ে দৃষ্টি নিচের দিকে করে রাখবেন, সুন্দরী হোক অসুন্দরি হোক, তাদের দিকে তাকাবেননা। যদি নিজের দৃষ্টিকে সংযত করতে না পারেন তাহলে আপনার বোন, আপনার স্ত্রী, আপনার পাড়াপ্রতিবেশী কাউকেই পর্দা করানোর জন্য জোর করার কোন অধিকার আপনার নেই।
পেজ-ভিউ
2 comments:
আছে আপু।লেখিকা মাসুদ আরা রুমীর
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
আপু!
আমি জানিনা আপনি কে? কিন্তু আপনার ইসলাম চর্চার জন্য আল্লাহর কাছে শুক্রিয়া।আমার মনেহয় আপনি খুভ রাগেরবসে এই লেখাটি লিখেছেন। যাই হোক-
নারী-পুরুষ উভয় মহান আল্লাহর সৃস্টি। একে আরেকের পরিপূরক।আপনার পৃথিবীতে আসার পেছনে যেমন আপনার মায়ের ভূমিকা বেশি কিন্তু আপনার বাবা ছাড়া তা কল্পনাতিত। ঠিক আপনার মা ছাড়া আপনার বাবার বাবা হওয়ার শপ্ন বৃথা। এমনি করে জীবনের প্রতিটি খেত্ত্রে একে আরেকের পরিপূরক। মহান আল্লাহ বলেন
فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّي لَا أُضِيعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ
অর্থাৎঃ "অতঃপর তাদের রব তাদের আহবানে সাড়া দিলেন যে আমি নর - নারী নির্বিশেষে তোমাদের কোন কাজ কখনো বিনস্ট করব না এবং তোমরাত একে অপরের অংশ"
আমরা কখনোই বলতে পারিনা যে পর্দা কেবলি নারীর বা পূরুষের একার। মহান আল্লাহ বলেন-
هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنَّ
অর্থাৎঃ "তারা (নারীরা) তোমাদের(পূরুষদের) পোষাক স্বরুপ এবং তোমারা(পূরুষেরা) তাদের(নারীদের)পোষাক স্বরুপ।"
অতয়েব এটা জগরার বিষয় নয় যে কে পর্দা করবে?? আপনি নারী হন আর পূরুষ হন- এটা আপনার দায়িত্ব।
আমি জানিনা আপনি কি মানুষের নিকট আল্লাহ ও তার রাসূলের বানী পৌছানোর জন্য লিখেছেন নাকি মনের রাগ যাড়তে?? যদি রাগের কারনে হয় তবে কোরআনের এই আয়াতটি বুঝে পরবেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
সূরা-মায়েদাঃ৮।
আর যদি আল্লাহ ও তার রাসূলের বানী পৌছানোর জন্য লিখে থাকেন তবে কোরআনের এই আয়াতটি বুঝে পরবেন
ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
সূরা-নাহলঃ১২৫।
মহান আল্লাহ আমাদের ইসলামের সঠিক বোঝ দান করুক। আমীন।