এই বিষয়টা নিয়ে লেখার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল। আজ শুরু করলাম
১। অ্যামেরিকা নাকি কানাডা? : খুব কঠিন প্রশ্ন। তবে আমি যথাসাধ্য নিরপেক্ষভাবে কিছু পয়েন্ট দেবার চেষ্টা করব। আপনি বেছে নিন।
আমি আমার লেখায় অ্যামেরিকা আর কানাডা সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতাগুলো বলব। ইউরোপ সম্পর্কে আমার জ্ঞান কম, তবুও যতটুকু জানি বলব। কোন জ্ঞানী ব্লগার কমেন্ট দিয়ে গেলে সেই পয়েন্টও অ্যাড করার চেষ্টা করব।
# অ্যামেরিকায় অনেক ভাল ভাল ইউনিভার্সিটি আছে। তাই, তাদের কোয়ালটির পাশাপাশি কোয়ান্টিটিও ভাল। কেউ যদি পরবর্তিতে এখানে সেটেল হতে চান, কানাডের চেয়ে জব অপর্চুনিটি ভাল। আবহাওয়া একটা প্লাস পয়েন্ট, খুব নর্থের দিকে না গেলে আবহাওয়া কানাডার চেয়ে ভাল। আরো অনেক আছে।
* অ্যামেরিকায় কম্পিটিশনও বেশি হয় বিশেয করে প্রতিটা ইউনিতে চাইনিজ আর ভারতীয়দের সাথে কঠিন ফাইট দিতে হবে আপনাকে। এই দুই দেশের প্রফেসররা ছড়িয়ে আছে সবখানে। কানাডার কাছাকাছি ঠান্ডাও পরে অনেক জায়গায়। আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারটাও একটু নাজুক। অ্যামেরিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটা বিরাট আজব বস্তু, বহুত ক্যাচাল।
আরেকটা জিনিস হল, অ্যামেরিকাতে গ্রাজুয়েট স্টাডিতে রিসার্চ ছাড়াও অনেক কোর্স নিতে হয়। (এটা ভালও না আবার খারাপও না)
আরো বহু কিছু আছে যেটা অ্যামেরিকার চেয়ে কানডায় ভাল।
# কানাডার বেশ ভালো ভালো কয়েকটা ইউনি আছে। কানাডায় অ্যাডমিশন হলে ফান্ডসহই সাধারণত হয়। কানাডায় সাধারণত কোর্সওয়ার্কের লোড কম চাপানো হয়। কানাডায় ভাল করলে অনেকে টিচার হিসেবে জয়েন করতে পারেন। ইউএসএতেও অনেকে টিচিং করেন, তবে তুলানমূলক হার কানাডায় বেশি। কানাডায় নিরপত্তা কিছুটা ভাল। কানাডার স্বাস্থ্যসেবা অনেক ফ্রেন্ডলি। কানাডার ওভারঅল স্টেবিলিটি বেশি।
কানাডায় কম্পিটিশন কিছুটা কম ভাববেন না। ওখানে ইরানিদের বিশাল স্টুডেন্ট + ফ্যাকাল্টি বেজ আছে। কানাডার ঠান্ডা সবাই মানিয়ে নিতে পারে না।
আরো বহু কিছু আছে যেটা কানডার চেয়ে অ্যামেরিকায় সুবিধাজনক।
ইউএসএ তে জিআরই লাগবেই, টোফেলও লাগবে। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া আর টরেন্টো, (ক্যালগেরি? মনে নাই ঠিক) ছাড়া জিআরই চায় না এবং অনেক জায়গায় টোফেল/আইইএলটিএস যে কোন একটা হলেই হয়।
ইদানিং আইইএলটিএস ইউএসএর কিছু কিছু জায়গায়ও চলছে।
কানাডায় ব্যাচেলর ডিগ্রীর পর মাস্টার্স করে তারপর পিএইচডি শুরু করতে হয়, ইউএসএতে ব্যাচেলর ডিগ্রীর পর সরাসরি পিএইচডি অ্যাপ্লাই করা যায়। (অনেক ইউনিতে ব্যতিক্রম আছে)
২। কোথায় অ্যাপ্লাই করব?
কানাডারটা আগে বলি কারণ ওটা অনেক সহজে বলা যাবে। কানাডার বেশিরভাগ গ্র্যাড অ্যাডমিশনই হয় প্রফেসরের হাত দিয়ে। আপনি আগে প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করুন, যদি তিনি পজিটিভ কিছু বলেন তাহলে অ্যাপ্লাই করুন। কানাডার নীতি হল যার সত্যিকারের আগ্রহ আছে তারাই যেন অ্যাপ্লাই করে। তাই ওদের অ্যাপ্লিকেশন ফি অনেক বেশি। তবে মনে রাখবেন: ব্রিটিশ কলাম্বিয়া আর অ্যালবার্টা বাংলাদেশের অ্যাপ্লিক্যান্টদের থেকে ফি নেয় না
প্রফেসরের রেকমেন্ডেশন ছাড়া কানাডায় একটা অ্যাপ্লাই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর সাকসেস রেট বেশ কম।
ইউএসএতে আপনি প্রফেসরের সরাসরি রেকমেন্ডেশন ছাড়াও ভর্তির আশা রাখতে পারেন। তবে প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ থাকলে তো সোনায় সোহাগা।
- আবেদনের খরচপাতি: ৮০, ১০০ বা ১৫০ ডলারও হয় কানাডায়। ইউএসএতে এটা ২৫ থেকে ১০০ ডলারের মধ্যে হয়। (সাধারণত) টোফেল ও জিআরই স্কোর ফরোয়ার্ড করতে যথাক্রমে ১৭ আর ২৩ মোট ৪০ ডলার লাগত (২০০৯ এ)। কাগজ পাঠাতে কুরিয়াররা ১০০০ (৭ দিন) থেকে ২০০০ টাকা(দ্রুত) নেয়।
আপনি ইউনি নির্বাচনে যেসব মাথায় রাখতে পারেন:
ক. কোন প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ এবং পজিটিভ সারা পাওয়া।
খ. ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং, (এটা নিয়ে একটা আলাদা পোস্টে বলব)
গ. আপনার সহ্যক্ষমতা (আবহাওয়া)
ঘ. ওখানে বাঙালিদের সাকসেস রেট কেমন?
ঙ. পরিচিত কেউ থাকলে সেটা প্লাস পয়েন্ট।
চ. আপনার সিভি স্ট্রং হলে ভাল স্কুলে ট্রাই করতে পারেন।
ছ. আপনার মনের মত কাজটি যেখানে হচ্ছে সেটা আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা জায়গা।
আরো অনেক কিছু......
রুল অভ থাম্ব: আপনার স্ট্যান্ডার্ড বা যোগ্যতা অনুযায়ী ২ বা ৩ টি অ্যাপ্লাই করুন, চান্স হিসেবে আরো উপরের দিকের ২ আর সেফ থাকার জন্য আপনার লেভেলের চেয়ে নিচে ২ টা অ্যাপ্লাই করুন।
পরের পোস্টে প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ, জিআরই, টোফেল, স্টেটমেন্ট, আমার বোকামিগুলো , ভিসা প্রিপারেশন এসব নিয়ে বলার ইচ্ছা থাকল।
আমি আমার লেখায় অ্যামেরিকা আর কানাডা সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতাগুলো বলব। ইউরোপ সম্পর্কে আমার জ্ঞান কম, তবুও যতটুকু জানি বলব। কোন জ্ঞানী ব্লগার কমেন্ট দিয়ে গেলে সেই পয়েন্টও অ্যাড করার চেষ্টা করব।
# অ্যামেরিকায় অনেক ভাল ভাল ইউনিভার্সিটি আছে। তাই, তাদের কোয়ালটির পাশাপাশি কোয়ান্টিটিও ভাল। কেউ যদি পরবর্তিতে এখানে সেটেল হতে চান, কানাডের চেয়ে জব অপর্চুনিটি ভাল। আবহাওয়া একটা প্লাস পয়েন্ট, খুব নর্থের দিকে না গেলে আবহাওয়া কানাডার চেয়ে ভাল। আরো অনেক আছে।
* অ্যামেরিকায় কম্পিটিশনও বেশি হয় বিশেয করে প্রতিটা ইউনিতে চাইনিজ আর ভারতীয়দের সাথে কঠিন ফাইট দিতে হবে আপনাকে। এই দুই দেশের প্রফেসররা ছড়িয়ে আছে সবখানে। কানাডার কাছাকাছি ঠান্ডাও পরে অনেক জায়গায়। আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারটাও একটু নাজুক। অ্যামেরিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একটা বিরাট আজব বস্তু, বহুত ক্যাচাল।
আরেকটা জিনিস হল, অ্যামেরিকাতে গ্রাজুয়েট স্টাডিতে রিসার্চ ছাড়াও অনেক কোর্স নিতে হয়। (এটা ভালও না আবার খারাপও না)
আরো বহু কিছু আছে যেটা অ্যামেরিকার চেয়ে কানডায় ভাল।
# কানাডার বেশ ভালো ভালো কয়েকটা ইউনি আছে। কানাডায় অ্যাডমিশন হলে ফান্ডসহই সাধারণত হয়। কানাডায় সাধারণত কোর্সওয়ার্কের লোড কম চাপানো হয়। কানাডায় ভাল করলে অনেকে টিচার হিসেবে জয়েন করতে পারেন। ইউএসএতেও অনেকে টিচিং করেন, তবে তুলানমূলক হার কানাডায় বেশি। কানাডায় নিরপত্তা কিছুটা ভাল। কানাডার স্বাস্থ্যসেবা অনেক ফ্রেন্ডলি। কানাডার ওভারঅল স্টেবিলিটি বেশি।
কানাডায় কম্পিটিশন কিছুটা কম ভাববেন না। ওখানে ইরানিদের বিশাল স্টুডেন্ট + ফ্যাকাল্টি বেজ আছে। কানাডার ঠান্ডা সবাই মানিয়ে নিতে পারে না।
আরো বহু কিছু আছে যেটা কানডার চেয়ে অ্যামেরিকায় সুবিধাজনক।
ইউএসএ তে জিআরই লাগবেই, টোফেলও লাগবে। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া আর টরেন্টো, (ক্যালগেরি? মনে নাই ঠিক) ছাড়া জিআরই চায় না এবং অনেক জায়গায় টোফেল/আইইএলটিএস যে কোন একটা হলেই হয়।
ইদানিং আইইএলটিএস ইউএসএর কিছু কিছু জায়গায়ও চলছে।
কানাডায় ব্যাচেলর ডিগ্রীর পর মাস্টার্স করে তারপর পিএইচডি শুরু করতে হয়, ইউএসএতে ব্যাচেলর ডিগ্রীর পর সরাসরি পিএইচডি অ্যাপ্লাই করা যায়। (অনেক ইউনিতে ব্যতিক্রম আছে)
২। কোথায় অ্যাপ্লাই করব?
কানাডারটা আগে বলি কারণ ওটা অনেক সহজে বলা যাবে। কানাডার বেশিরভাগ গ্র্যাড অ্যাডমিশনই হয় প্রফেসরের হাত দিয়ে। আপনি আগে প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করুন, যদি তিনি পজিটিভ কিছু বলেন তাহলে অ্যাপ্লাই করুন। কানাডার নীতি হল যার সত্যিকারের আগ্রহ আছে তারাই যেন অ্যাপ্লাই করে। তাই ওদের অ্যাপ্লিকেশন ফি অনেক বেশি। তবে মনে রাখবেন: ব্রিটিশ কলাম্বিয়া আর অ্যালবার্টা বাংলাদেশের অ্যাপ্লিক্যান্টদের থেকে ফি নেয় না
প্রফেসরের রেকমেন্ডেশন ছাড়া কানাডায় একটা অ্যাপ্লাই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর সাকসেস রেট বেশ কম।
ইউএসএতে আপনি প্রফেসরের সরাসরি রেকমেন্ডেশন ছাড়াও ভর্তির আশা রাখতে পারেন। তবে প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ থাকলে তো সোনায় সোহাগা।
- আবেদনের খরচপাতি: ৮০, ১০০ বা ১৫০ ডলারও হয় কানাডায়। ইউএসএতে এটা ২৫ থেকে ১০০ ডলারের মধ্যে হয়। (সাধারণত) টোফেল ও জিআরই স্কোর ফরোয়ার্ড করতে যথাক্রমে ১৭ আর ২৩ মোট ৪০ ডলার লাগত (২০০৯ এ)। কাগজ পাঠাতে কুরিয়াররা ১০০০ (৭ দিন) থেকে ২০০০ টাকা(দ্রুত) নেয়।
আপনি ইউনি নির্বাচনে যেসব মাথায় রাখতে পারেন:
ক. কোন প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ এবং পজিটিভ সারা পাওয়া।
খ. ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং, (এটা নিয়ে একটা আলাদা পোস্টে বলব)
গ. আপনার সহ্যক্ষমতা (আবহাওয়া)
ঘ. ওখানে বাঙালিদের সাকসেস রেট কেমন?
ঙ. পরিচিত কেউ থাকলে সেটা প্লাস পয়েন্ট।
চ. আপনার সিভি স্ট্রং হলে ভাল স্কুলে ট্রাই করতে পারেন।
ছ. আপনার মনের মত কাজটি যেখানে হচ্ছে সেটা আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা জায়গা।
আরো অনেক কিছু......
রুল অভ থাম্ব: আপনার স্ট্যান্ডার্ড বা যোগ্যতা অনুযায়ী ২ বা ৩ টি অ্যাপ্লাই করুন, চান্স হিসেবে আরো উপরের দিকের ২ আর সেফ থাকার জন্য আপনার লেভেলের চেয়ে নিচে ২ টা অ্যাপ্লাই করুন।
পরের পোস্টে প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ, জিআরই, টোফেল, স্টেটমেন্ট, আমার বোকামিগুলো , ভিসা প্রিপারেশন এসব নিয়ে বলার ইচ্ছা থাকল।
লেখক : ব্লগার মেঘলা মানুষ
0 comments: