শেখ মুজিবকে বঙ্গশত্রু উপাধি দিয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী

"আওয়ামী লীগ নেতা মালেক উকিল তো ১৫ আগস্টের পর লন্ডনে বলেছিলেন, বাংলার ফেরাউনের পতন হইয়াছে। " আওয়ামী কলমবাজ অমি রহমান পিয়াল গং তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলেও একেবারে অস্বীকার করতে পারেনি।

শুধু মালেক উকিলই নন। দুর্দান্ড প্রত্যাবশালী শেখ মুজিব বেঁচে থাকতেই তাকে বঙ্গশত্রু বা জনশত্রু উপাধি দেয়া হয়েছিল। আর এ উপাধিদাতারা এখন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। অবাক হচ্ছেন ! তাহলে পড়ে দেখুন:


১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম সংহতি মিছিলে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট চক্র গুলি চালালে সারাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। সে সময় আওয়ামী ক্যাডাররা প্রেসক্লাবের পেছনে ন্যাপের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি জ্বালিয়ে দেয়। ন্যাপের তৎকালীন নেত্রী মতিয়া চৌধুরী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিবাদ সভায় শেখ মুজিবের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি আর বঙ্গবন্ধু নও। আজ থেকে তুমি বঙ্গশত্রু। সেই সময় শাহরিয়ার কবির গলাবাড়িয়ে আরও একধাপ উচ্চস্বরে লিখে বসলো, “ মুজিব আর বঙ্গবন্ধু নয়, এখন থেকে মুজিব জনশত্রু।” সেই মতিয়া এখন আওয়ামী লীগ নেত্রী আর শাহরিয়ার কবির আওয়ামী কলমবাজ! আরও অনেকেই আছে, আগাচৌ তাদের একজন। শেখ মুজিব সম্পর্কে তার অতীত মন্তব্য সুখকর নয়। এ ব্যাপারে আগামীতে লেখার ইচ্ছে রইল।

এভাবে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, প্রচন্ড শেখ মুজিব বিরোধী এমনকি পাকিস্তানপন্থী হবার পরও কেবলমাত্র আওয়ামীলীগ করার কারণে অনেকেই আজ আওয়ামীমহলে আজ পরম পুজনীয়। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ করার পরও কেবল আওয়ামী বিরোধী হবার কারণে আজ অনেকেই স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে আওয়ামী মহলে পরিচিত। এদের এ স্ববিরোধী আচরণের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।

1 comments:

নামহীন বলেছেন...

vai ei lekhagulo boi akare toire kore pdf hisebe download korar babostha korun ,ar ''amar fasi cay'' boiti ei link e jukto korun

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম