সংগঠনের ভিতরেই যখন রাজনীতিঃজামায়াত অধ্যয়ন-৮

বিশেষ অনুভূতি: এই সিরিজের কয়েকটা পোষ্ট পড়ে আমার খুব কাছের বড় ভাই,সংগঠনের সাবেক সদস্য অভিমত দিলেন কেউ কেউ এই সিরিজ পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে আন্দোলন ছেড়ে দিতে পারে, আমি ওনাকে বলেছি, যারা এরকম দুই একটা পোষ্ট পড়ে আণ্দোলন ছেড়ে দেবে বলে মনে হয় তাদের মত লোক আন্দোলনে দরকার নাই। সব কিছু জেনে শুনেই আন্দোলন করতে হবে কারন till now we don't have any alternative neither a morally inspire political party or Movement.
মূল আলোচনা; আগের পর্বের ধারাবাহিকতা লেখাটা একটু বড়,দয়া করে ধৈর্য নিয়ে পড়ুন।

কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলন ও জামায়াত

আগেই বলেছি জামায়াত দেশভাগের পরপরই ইসলামিক সংবিধানের পক্ষে নিজেদের কর্মসূচী নেয় এবং তাতেই দৃষ্টি দেয়।এর মধ্যেই ঘটে গেল এক মহা ঘটনা।১৯৫৩ সালে আহমেদিয়া কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলন শুরু করে সাধারণ উলেমাগন।এই আন্দোলন এক সময় খুবই খারাপ সংঘর্ষের দিকে মোড় নেয়।উলেমাগন আহমেদিয়াদেরকে অমুসলিম দাবীর জন্য সরকারের কাছে দাবী জানায় এবং পাকিস্তানের মন্ত্রী সভায় তখন একজন মন্ত্রী ছিলেন কাদিয়ানী তার পদত্যাগও দাবী করেন।জামায়াত খুব আন্তরিকতার সাথেই এই দাবীর পক্ষে ছিল কিন্তু সংবিধানের মত মুল দাবী থেকে ফোকাস সরে যাওয়ার আশংকায় কোন প্রকার গনমুখী আন্দোলন শুরু করা থেকে বিরত ছিল।তারপরেও মাওলানা মওদুদী কাদিয়ানী সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একটি বই লিখেন কিন্তু সরকার ঐ বইকে provocative(উস্কানীমুলক) হিসেবে চিহ্নিত করে।অনেক মানুষ ঐ সময় সংঘর্ষে মারা যার ফলে সামরিক শাসন জারী হয় এবং মাওলানা মওদুদী সহ আরো অনেক আলেমকে গ্রেফতার করে।মাওলানা মওদুদীকে ফাঁসি দেয়ারও চেষ্টা করে আর্মি প্রশাসন কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপে তা না করে যাবতজীবন কারাদন্ড দেয়,প্রায় ৩বছর পরে আদালত তার আটকাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করলে তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসেন।(1)

আপনাদেরকে আগেই জানিয়েছি ১৯৫১ এর নির্বাচন পরবর্তী ভিন্ন মতের কোন সফল সমাধান করার আগেই মাওলানাকে জেলে যেতে হয়।১৯৫৪ সালে মাওলানা মওদুদী জেল থেকে বের হওয়ার পর করাচীতে একটি সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সমাবেশ হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিতভাবে অন্যদিকে মোড় নেয়।সংগঠন পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ,১৯৫১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের কারন এবং ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সাল অবদি সরকারের নির্যাতন ইত্যাদি নিয়ে সড়গরম হয়ে উঠে সমাবেশ।(2)
ঐ সমাবেশেই এক সময়ের পান্জাব প্রদেশের আমীর সাইদ আহমেদ মালিক অপর একজন উচ্চ পদস্থ দায়িত্বশীলের ethical misconduct and financial embezzlement(অনৈতিক ও অর্থনৈতিক অপব্যবহার)বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।মাওলানা মওদুদী খুবই বিব্রত হন এবং অনেকটা বাধ্য হয়েই মালিক সহ শুরার ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন এবং তাদেরকে তদন্ত সাপেক্ষে মালিকের আনা অভিযোগ ও সমাবেশে উথ্থাপিত বিষয়াদী নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়।

কমিটি খুব অল্প কিছু দিনের মধ্যে সংগঠনের ভিতর লুকায়িত এক অজানা শক্তির আবিষ্কার করে।তা জানতে আমাদের চিন্তাকে একটু পেছনে নিয়ে যেতে হবে। প্রথম দিকের বছরগুলোতে(১৯৪১-৪৭) জামায়াত সদস্যরা সাংগঠনিক ও দাওয়াতী কাজ করতেন part time(খন্ডকালীন)(3)।১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাস্তবিক কারনে সংগঠন বড় হয়ে যাওয়ায় লাহোর হেড অফিস কেন্দ্রীক জামায়াত শক্ত সাংঠনিক কাঠামো তৈরি করে।তবে পার্থক্য হল ঐ অফিসে যারা কাজ করত তাদের অনেকেই ছিল full-time employees (4),যারা ১৯৫৪ সাল অবদি সংগঠনের উপর যথেষ্ঠ প্রভাবশালী হয়ে উঠে।They were mainly younger and more politically inclined members and had vested interests of their own, both with regards to the Jama'at's internal policies and its stand on national issues. (5)

ঐ সমস্ত ষ্টাফ কাম দায়ীত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ সাইদ আহমেদ মালিক যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তার পক্ষেই অবস্থান নেন।অভিযোগের সত্যতা খুজতে কমিটি জামায়াতের লাহোর অফিসের প্রায় সকল পলিসি ও পরিচালনা পদ্ধতি ঘেটে দেখার সীদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু জামায়াতের তৎকালীন সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া তোফায়েল আহমেদ তাকে দোষারোপ করা হবে এই ভয়ে কমিটিকে কাজ শুরু করতে দেরি করাতে থাকেন।কমিটির প্রধান আবদুল রহিম আশরাফ এই ইস্যুটি ১৯৫৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্টিত শুরার সামনে পেশ করেন।(6)

শুরার প্রত্যক্ষ প্রেসারে কমিটি পরবর্তিতে কাজ শুরু করেন ঠিকই কিন্তু bureaucracy (অফিস বিভাগ) কমিটির সদস্য সংখ্যা ৪ জনে নামিয়ে আনতে সফল হন, তাদের মধ্যে তিন জনই(আব্দুল গাফ্ফার হাসান, আব্দুল জব্বার গাজী এবং সুলতান আহমাদাল)ছিলেন আলেম ও বড় দায়িত্বশীল কিন্তু তাদের কেউই জামায়াত অফিসের ষ্টাফ ছিলেননা এমনকি লাহোরে থাকতেননা।

কমিটি কাজ শুরু করতে না করতেই এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে,অভিযোগ ও অনিয়মের ধারণা শুরুতে যা করা হয়েছিল তার পরিমাণ বাস্তবে আরো বেশি ও গুরুতর এবং আরো জঘন্য হল they reached far up in the hierarchy(অনেক উপরের দায়িত্বশীল পর্যন্ত।)ঐ সময় মাওলনা মওদুদী আরব বিশ্ব ভ্রমণে ছিলেন ফলে তিনি কমিটির কাজের পরিধি সম্পর্কে জানতেন না।আবদুল গাফ্ফার হাসান ছিলেন ঐ সময় মাওলানার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বশীল ফলে কমিটির কাজে কেউ কোন ধরনের বাধাঁ সৃষ্টি করতে পারেনি।কমিটি দীর্ঘ এক বছর যাবত তদন্ত করে,তদন্তকালীন সময় কমিটি প্রায় ২০০ সদস্যের ইন্টারভিউ নেয় সারা পাকিস্তান জুড়ে এবং তাদের অভিযোগ,অনুযোগ এবং সংগঠনের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী জানতে চায়। (7)

তদন্তের ফলাফল মোটেই ভাল ছিলনা বরং ছিল খুবই disturbing।ব্যাপক অনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অনিয়ম ও অপব্যবহারের ঘটনা পাওয়া যায়, সাথে সাথে লাহোর অফিসের ব্যবহার ও পদ্ধতির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ গৃহীত হয়। কমিটি একটি comprehensive report তৈরি করে ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে শুরার সামনে পেশ করে। শুরার মিটিংয়ের স্থায়িত্ব ছিল ১৫দিন, রেজা নাসরের মতে এটা ছিল জামায়াতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সেশান।

কমটির রিপোর্টের সামারি ছিল এরকম, জামায়াত তার আসল পথ বিপথে চলে গেছে, "upholding the truth" (সত্যের সাক্ষ্য)থেকে opportunism(সুযোগ সন্ধানী) এবং জনগনের ইচ্ছার দলে পরিণত হয়েছে,জামায়াত তার আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শিক্ষার আলোয় উৎসর্গীকৃত দল থেকে একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে,তার নৈতিক মানে খুবই বড় ধরনের পতন ঘটেছে,রাজনৈতিক কর্মসুচী পুরো সংগঠনের এতটা সময় দখল করে ফেলেছে যে ধর্মীয় পড়াশুনা এমনকি ইবাদতের প্রতিও গুরুত্ব কমে গেছে।অর্থবিভাগ অর্থের জন্য খুব বেশি সংগঠনের বাহিরের সোর্সের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে,যা কিনা সংগঠনকে ও তার সদস্যদের সীদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে।রিপোর্টে আরো বলা হয়, ৬.৭% সদস্যই সংগঠনের ভাতায় চলার ফলে তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করার স্পৃহা হারিয়ে ফেলেছে।(8)
আবদুল রহিম আশরাফের নেতৃত্বে ৪ সদস্য কমিটির বক্তব্যের সারমর্ম ছিল নিন্মরুপ;
১। যে হারে অভিযোগ এবং তাদের ধরন রিপোর্টে উঠে এসেছে তা সহজে বলে দেয় যে জামায়াত পুরোপুরি বিপথে চলে গেছে
২। খুব খারাপ ফলাফল নিয়ে রাজনীতি জামায়াতের কর্মসূচীকে ঘিরে ফেলেছে
৩। জামায়াত যদি রাজনীতি থেকে সড়ে না আসে তাহলে এতদিন যা অর্জন করেছে সব হারাতে হবে।
আবদুল রহিম আশরাফ তার নয় ঘন্টার বক্তব্যে তাদের পয়েন্ট তুলে ধরেন এবং যুক্তি দিয়ে আরো বলেন,১৯৫১ সালের চার দফা থেকে এক বিন্দু সড়ে আসা মানে জামায়াতের মৌলিক আদর্শের সাথে আপোষ করা হবে। (9)

মাওলানা মওদুদী, মাওলানা আমীন আহসান ইসলাহী সহ অন্যান্য শুরা সদস্যগন রিপোর্টের আদলে করা জামায়াতের এ ধরনের কঠিন সমালোচনার কোন রকম পাল্টা জবাব দিতে পারেন নি। মাওলানা মওদুদী শুরার বৈঠক চলাকালীন কয়েক বারই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু কমিটি যুক্তি দিয়ে বলেন তাদের উদ্দেশ্য তাকে সড়ানো নয় বরং সংগঠনের নৈতিক অবস্থানকে পূনরায় স্থাপন করা।Mawdudi was not, however, thoroughly convinced, but he was outvoted(10)

নিন্ম লিখিত ৪টি বিষয়ে ঐক্যমত্য নিয়ে ১৫ দিন ব্যাপী শুরা সেশান শেষ হয় (11);

১। জামায়াত তার মুল কাজ থেকে দুরে সড়ে গেছে।পার্টির অর্জন হয়েছে অনেক কিন্তু ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক তাই এই ক্ষতি পোষাতে হবে
২। ১৯৫১ সালের জুলাই মাসে শুরায় গৃহীত ৪ দফা যেখানে রাজনীতির উপর কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা চালু থাকবে,ফলে ১৯৫১ সাল থেকে সংগঠনের কর্মসূচীতে রাজনীতির যে আধিক্য ও চাপ গেছে তা কমানো হবে।
৩। বিভিন্ন বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান কোন পক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে নয় এমনকি তাতে মাওলানা মওদুদীর সাহিত্য কর্ম কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারবেনা।বরং সকল সীদ্ধান্ত হবে কোরআন, হাদীস, আমীর ও শুরার সীদ্ধান্তের উপর
৪। সবশেষে, মাওলানা আমীন আহসান ইসলাহী ও আরো দুই জন সিনিয়র দায়ীত্বশীলের সমন্বয়ে একটি গঠিত হবে যারা শুরার সীদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

উপেক্ষিত শুরা

শুরার সীদ্ধান্ত ও প্রস্তাবনায় মাওলানা মওদুদী খুবই মর্মাহত হলেন কিন্তু সংবিধানিকভাবে তিনি তা মানতে বাধ্য।১৫ দিন ব্যাপী শুরা জামায়াতকে শুধু রাজনীতি থেকে দুরে সরে আসার সীদ্ধান্তই নেয়নি বরং দলের প্রধান হিসেবে তার ক্ষমতাকেও চ্যালেন্জ করেছে।For the first time in the Jama'at's history it was the shura', rather than he, who was deciding the party's future. He was by no means reconciled to the decision of the shura', and this allowed the Lahore bureaucracy to enter the fray. (12)
তদন্ত কমিটির সীদ্ধান্ত লাহোর অফিস কোন ভাবেই মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলনা কারন তা নিঃসন্দেহে তাদের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে।তাদের অধিকাংশই ছিল সাধারণ ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন ও বয়সে তরুন,দলের সিনিয়র আলেমদের সাথে তাদের নৈতিকতা ও রাজনীতি নিয়ে চিন্তার পার্থক্য ছিল ব্যাপক।তারা আসন্ন নির্বাচনে (১৯৬২সালে)জয়ী হওয়ার ব্যাপারে প্রচন্ড আশাবাদী হয়ে উঠে এবং ১৯৫১ সালের ৪ দফাকে উপেক্ষা করে আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাতারাতি জামায়াতকে একটি জাতীয় দলে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছিল।কিন্তু দলের চিন্তাশীল সদস্যরা যেমন আশরাফের মত লোকেরা তাদের দূরদর্শীতা দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন অদূর ভবিষ্যতেও ১৯৫১ সালের ফলাফল বরণ করতে হবে জামায়াতকে।(13)

মাওলানা মওদুদী লাহোর পৌঁছার সাথে সাথেই সাইয়েদ আসাদ গিলানী, আবদুল গাফ্ফার আহমেদ এবং কাউসার নিয়াজীর নেতৃত্বে সাধারন সদস্যরা মাওলানা মওদুদীকে শুরার সীদ্ধান্ত উপেক্ষা করতে উৎসাহ দিতে লাগলেন।তাদের যুক্তি ছিল ছিল শুরার সীদ্ধান্ত ছিল biased এবং রেসুলুশান মাওলানার বিরুদ্ধে এক ধরনের বিদ্রোহ,এ ধরনের কাজ দলের ভিতর বিভক্তি তৈরি করবে এমনকি সংগঠন ভেঙ্গেও যেতে পারে।তারা(শুরা)আমীরকে অমান্য করেছে যা জামায়াতের সংবিধানের স্পষ্ট লংঘন।তারা আরো যুক্তি দেয় যে কমিটির প্রস্তাবনা ছিল ভুলের ভিত্তিতে এবং কমিটির সদস্যদের গোপন কোন অভিসন্ধি আছে ফলে শুরার ঐ সীদ্ধান্ত মানা জরুরী নয়।তারা আমীরে জামায়াতকে এভাবে প্রভাবিত করতে থাকে।(14)

রাজনীতিকদের জয়, তাকওয়াশীলদের পরাজয়

লাহোর অফিসের প্রভাবে মাওলানা মওদুদী অবশেষে দলের ভিতরে রাজনীতির দাবার গুটি হয়ে গেলেন।এই সুযোগে তিনি তার উপর শুরার অপ্রত্যাশিত হস্তক্ষেপ ও চাপকে দমনের সুযোগ পেয়ে গেলেন।মাওলানা মওদুদীর দুই বছর জেলে খাটার ফলে এমনিতেই তার প্রতি দলের সম্মান বেড়ে গিয়েছিল এবং তা তাকে এক প্রকার হিরো বানিয়ে দিয়েছিল।আমীন আহসান ইসলাহী তার উচ্চ প্রশংসা করে বলেন, আমি নিজে খুবই আন্তরিকতার সাথে তার হাতে চুমু খেয়েছিলাম এজন্য যে Allah had endowed with the help of the pen to be testimony to the Truth.(15)

২৩ ডিসেম্বর ১৯৫৬, শুরা সমাবেশের ১৩ দিন পর মাওলানা মওদুদী তদন্ত কমিটিকে চিঠি লিখে বললেন যে, তারা তাদের উপর অর্পিত ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছে এবং অজান্তেই জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।তিনি আরো অভিযোগ করেন যে তারা তাদের নিজস্ব উচ্চাকাঙ্খার লক্ষ্যে দলের ভিতর ভাঙ্গন সৃষ্টি করতে চায়।এই ধরনের গভীর অপরাধের কারনে শুরার মাঝে তীব্র ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে,তাই তিনি তাদের পদত্যাগ দাবী করেন অন্যথায় তিনি তাদের স্ব স্ব এলাকায় গিয়ে জামায়াত সদস্যদেরকে তাদের থেকে দুরে থাকার আহবান জানাবেন। (16)

আমার মতে এটি ছিল মাওলানা মওদুদীর জীবনে সবচেয়ে বড় ভূল সীদ্ধান্ত। যেই ভূল জামায়াতকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঐতিহাসিক মাছিগোটে পৌঁছে দেয়(পরবর্তী পোষ্টে এই নিয়ে আলোচনা থাকবে)

সংগঠনের বাইতুল মালের অপব্যবহার আজও দেখা যায় কিন্তু ইতিহাস যেহেতু ঐ সমস্ত লোকদের হাতেই গড়ে উঠেছে ফলে এই বিষয়ে কথা বলা মানে হচ্ছে আনুগত্যের বরখেলাপ, আনুগত্যের বরখেলাপ মানে out of structure, মানে নিজের গর্দান থেকে দ্বীনের রশি খুলে ফেলা এবং.......অতপর..?

1 comments:

ABAD বলেছেন...

very good effort to expose the truth. We should not hide any truth if it for the cause of the benefit of Islamic movement. Such as same thing Maolana Maududi (Rh.) also said in his book Khilafat aur Muliqiyaat. Where he shows the same cause to expose the truth of conflicts Among Sahaba (RD). But I will suggest the writer to be more specific to mention the source of information. We need to know specific source of information so that we the readers know to judge the authenticity of the information provided.I also suggest the writer to avoid using such comments against Maolana Maududi (Rh.) like "তা তাকে এক প্রকার হিরো বানিয়ে দিয়েছিল". Because It takes a century to born a Maududi (Rh.). Undoubtedly he sacrificed his whole life simply for the cause of Islam. He did not want to be hero.. This type of simple and baseless comment will create the question of authenticity of your writing. "সংগঠনের বাইতুল মালের অপব্যবহার আজও দেখা যায় কিন্তু ইতিহাস যেহেতু ঐ সমস্ত লোকদের হাতেই গড়ে উঠেছে ফলে এই বিষয়ে কথা বলা মানে হচ্ছে আনুগত্যের বরখেলাপ, আনুগত্যের বরখেলাপ মানে out of structure, মানে নিজের গর্দান থেকে দ্বীনের রশি খুলে ফেলা এবং.......অতপর."
I am 100% agree with the writer. Again I appreciate your effort because the fundamental of this writing has the truth.

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম