A Little Clarification
জামায়াত অধ্যয়ন সিরিজের এই পর্যায়ে এসে একটু clarification দরকার মনে করছি।অনেকে বলেছেন তারা অনেক কিছু নতুন করে জেনেছেন,অনেকে তাদের আবেগ প্রকাশ করেছেন,কেউ কেউ আবার এক্সট্রিম লেবেলে গিয়ে জামায়াত ছেড়ে সমমনা অন্য দলে যাওয়ারও চিন্তা করছেন।যে যেটাই করুক সে তার নিজের বিবেক,বুদ্ধি কাজে লাগিয়েই সীদ্ধান্ত নেয় বলে আমার বিশ্বাস।একটা বিষয় আমাদের পরিষ্কার হওয়া উচিৎ, "একটি কর্ম তার উদ্দেশ্য বা নিয়ত দ্বারা বিচার্য হওয়া উচিত-একটি কর্ম তার ফল দ্বারা বিচার্য হওয়া উচিত-প্রথম বাক্যটি সকল ধর্মের প্রস্তাবনা, দ্বিতীয়টি সকল বিপ্লবের মূলমন্ত্র" (1)।
জামায়াতের বিভিন্ন ঘটনাবলীর বিভিন্ন চরিত্রের কাউকে নায়ক বা খলনায়ক হিসেবে কেউ কেউ হয়ত ভাবতে পারেন কিন্তু কে কোন নিয়তে তার দ্বারা গঠিত কাজটি করেছেন তা আমাদের অজানা তাই কারো নিয়ত নিয়ে কটাক্ষ করা,নিয়তের উপর হামলা করা আমার চিন্তার বাহিরে।নিয়ত দেখা যায়না,ছোঁয়াও যায়না কারন এটা মানুষের মনের ভিতরে গড়ে উঠে। "অন্তরে জেগে ওঠা একটি নিয়ত শাশ্বত ও শর্তমুক্ত।কিন্তু বাহ্য জগতে বাস্তাবায়ন কালেই তা জাগতিকতা ও শর্তসাপেক্ষ হয়ে পড়ে" (2)।এই সিরিজে আমাদের আলোচনা হচ্ছে কোন ব্যাক্তির বা ব্যাক্তিবর্গের দ্বারা সংগঠিত কাজের ফলাফলের পর্যালোচনা, কোন ব্যাক্তির নয়,তাই খুব তাড়াহুরো করে কোন ব্যাক্তিকে মুনাফিক,বিভ্রান্ত ইত্যাদি বলে উপসংহারে পৌঁছা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির প্রতি জুলুমই মনে করি।
(মুল আলোচনা)
মাছিগোট সম্মেলনেই মাওলানা মওদুদী পূনরায় আমীর নির্বাচিত হন।আমীর হওয়ার পর প্রদত্ত ভাষনে মাওলানা মওদুদী বলেছিলেন; চিন্তা ও মতামতের ঐক্যই জামায়াতের আসল শক্তি।প্রায় এক হাজার লোকের চেয়ে পনের বছর আগে মাত্র ৭৫ জন লোক নিয়ে কায়েম হওয়া জামায়াতকে আমি অনেক শক্তিশালী অনুভব করতাম।সংখ্যায় বিরাট হলেও ঐক্যের অভাব হলে জামায়াত দুর্বল হতে বাধ্য।আলহামদুলিল্লাহ,আমরা এ সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছি। তিনি আরো বলেন যারা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন,তাদের মতামতের পক্ষে যথেষ্ঠ যুক্তি থাকতে পারে।কিন্তু তারা জামায়াতের রুকন হিসেবে খোলামনে সম্মেলনের সীদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে আশাকরি।(3)
তারপরেও ভিন্নমত পোষণকারী ১৮ জন পদত্যাগ করেন।১৮ জনের পদত্যাগের প্রতি প্রশ্ন তুলে গোলাম আযম সাহেব লিখেন মাছিগোট সম্মেলনের ৯৮% রুকনের সীদ্ধান্ত মেনে নিতে তারা ব্যর্থ হলেন?কোন ইস্যুতে ভিন্ন মত পোষণ করলেই জামায়াত ত্যাগ করতে হবে কেন?(4) এই কেন এর উত্তর নিচে উল্লেখ করা হল।
Kot Shair Sangh(কোট শাইর সংঘ)
আগেই জেনেছেন মাছিগোট সম্মেলনের পর জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব Kot Shair Sangh(কোট শাইর সংঘ)নামে পাশ্ববর্তি আরেকটি গ্রামে মিলিত হন। মাওলানা মওদুদী জামায়াতের শৃংখলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মনযোগী হলেন।রিভিউ কমিটির রিপোর্ট ধ্বংস করে ফেলা হল যাতে করে রিপোর্টের কোন বিষয় জামায়াতের ভিতর সম্ভাব্য বিভাজন তৈরি করতে না পারে।নঈম সিদ্দিকীকে পূনরায় রুকন পদে ফিরিয়ে নেয়া হয়।কোট শাইর সংঘে যে সীদ্ধান্তটি পরাজিতদের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিশোধ নেয়ার মত মনে হবে তা হল,যারা মাছিগোটে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন তারা জামায়াতের ভিতর থাকতে পারবেন ঠিকই কিন্তু কোন ধরনের পদে আসীন থাকতে পারবেন না!এই ধরনের সীদ্ধান্তকে অনেকে প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচনা করলেন এবং যার ফলসরুপ আরেক দফা পদত্যাগ জামায়াত থেকে।ইসরার আহমেদ,মুস্তফা সাদিক এবং আব্দুল গাফ্ফার হাসান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ফিগার।আশরাফ এই ঘটনাকে চিহ্নিত করেছেন "জামায়াতের কারবালা" হিসেবে।(5)
মাছিগোট সম্মেলনের প্রভাব
মাছিগোট সম্মেলনের পদত্যাগের প্রভাব সাথে সাথে বুঝা যায়নি।মাওলানা আমিন আহসান ইসলাহির পদত্যাগ ছিল সবচেয়ে damaging কারন জামায়াতের একটা অংশ (বিশেষ করে সিনিয়র নেতৃত্ব)তার কাছে কোরআন শিখতেন।মাওলানা মওদুদী ও তার সহযোগীরা হয়ত ভেবেছেন খুব অল্পেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন। In the long run, however, the purge had a debilitating effect on the intellectual calibre of the party's members. মাছিগোট সম্মেলন ও কোট শাইর সংঘ এর পরবর্তি কয়েক মাসে সর্বমোট ৫৬ জন জামায়াত থেকে বেড়িয়ে যান most were ulama and represented the party's religious weight and intellect. They were replaced by lay activists and functionaries. (6)
মাওলানা মনজুর নোমানী মাছিগোটের প্রেক্ষাপটে বলেন ;গাজী আব্দুল জব্বার, মাওলানা হাকীম আব্দুর রহীম আশরাফ, আব্দুল গফফার হাসান এবং এ পর্যায়ে তাদের অন্যান্য সহযোগী বন্ধুরা একান্ত দ্বীনি বুনিয়াদের ভিত্তিতে সৃষ্ট মতবিরোধ থেকেই পদত্যাগ করেন।আমি একথা প্রকাশ করতেও অসুবিধা বোধ করিনা যে, অন্ততঃ আমার ব্যক্তিগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা মতে এ সব সম্মানিত ব্যক্তি দ্বীনদার ও তাকওয়ার দিক দিয়ে মাওলানা মওদুদী সাহেবের চেয়ে অধিক নির্ভরযোগ্য ছিলেন(7)
জামায়াত থেকে যারা বেড়িয়ে যান তাদের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য ব্যাক্তিত্বগনের কয়েকজন নিন্মরুপ:
Amin Ahsan Islahi (Jama'at's second highest ranking leader, provisional amir, 1954; and later an important scholar and commentator of the Qur'an); Sultan Ahmad (member of the shura'; provisional amir, 1953-1954); 'Abdu'l-Jabbar Ghazi (member of the shura'; provisional amir, 1948-1949); 'Abdu'l-Ghaffar Hasan (member of the shura' provisional amir, 1948-1949 and 1956); 'Abdu'l-Rahim Ashraf and Sardar Muhammad Ajmal Khan (both members of the shura'); Mawlana Abu'l-Haqq Jama'i (former amir of Bhawalpur); Sa'id Ahmad Malik (former amir of Punjab); Muhammad 'Asimu'l-Haddad (director of the Arabic Translation Bureau); Arshad Ahmad Haqqani (editor of Tasnim); and Israr Ahmad and Mustafa Sadiq (both of whom became notable political and religious figures in later years).
১৯৪১ সালে যে ৭৫ জনকে নিয়ে জামায়াত কায়েম হয়েছিল তাদের থেকে ১৯৪২ সালে মাওলানা মনজুর নোমানী ও মাওলানা হাসান আলী নদভী সহ কয়েকজন এবং ১৯৫৭ সালে আরো ৫৬ জন বেরিয়ে গেলেন।প্রতিষ্ঠাকালীন মেম্বারদের মধ্যে মাওলানা মওদুদী এবং মিয়া তুফায়েল ছাড়া আর খুবই কম সংখ্যক লোক রয়ে গেলেন জামায়াতে ইসলামীতে।এদের জায়গা পূরণ করেছেন সেকুলার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত সদস্যবৃন্দ যারা মাওলানা মওদুদীর বই পড়ে ইসলামী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। তারাই হন পরবর্তিতে ইসলামি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক।
এই সিরিজের চতুর্থ পর্বটা একটা প্রশ্ন দিয়ে শেষ করেছিলাম যেটা contemporary প্রশ্ন হিসেবে অনেকের কাছে শুনেছি, প্রশ্নটা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠাকালীন জামায়াতে বিভিন্ন মতাদর্শের আলেমদের উপস্থিতি দেখা গেলেও বর্তমানে এর অনুপস্থিতি কেন??? এই পোষ্ট শেষে আশাকরি অনেকের প্রশ্নের উত্তর মিললেও মিলতে পারে।
এই পোষ্টের মাধ্যমে শেষ করছি আদর্শিক আন্দোলন হিসেবে জামায়াত অধ্যয়ন।কারন মাছিগোটেই ইসলামী আন্দোলন হিসেবে আদর্শিক জামায়াতের ভাগ্য নির্ধারন হয়ে যায়।পরবর্তি ইতিহাস হচ্ছে রাজনৈতিক জামায়াতের ইতিহাস।রাজনৈতিক জামায়াতের ইতিহাস পড়তে যেয়ে মাওলানা আমিন আহসান ইসলাহির কথা বার বার মনে পড়ে যায়।তিনি বলেছিলেন,নীতির সাথে আপস ব্যাতীত নির্বাচনে(রাজনীতিতে)অংশগ্রহন কোনভাবেই সম্ভব নয়।He alleged that candidature which had been condemned on the basis of Quran and Hadith, was now being justified without any reference to the Book and Sunnah.এটা হচ্ছে নীতির সাথে আপসের শুরু মাত্র এবং জামায়াত তা করতে বাধ্য হবে।
জামায়াত অধ্যয়ন সিরিজের এই পর্যায়ে এসে একটু clarification দরকার মনে করছি।অনেকে বলেছেন তারা অনেক কিছু নতুন করে জেনেছেন,অনেকে তাদের আবেগ প্রকাশ করেছেন,কেউ কেউ আবার এক্সট্রিম লেবেলে গিয়ে জামায়াত ছেড়ে সমমনা অন্য দলে যাওয়ারও চিন্তা করছেন।যে যেটাই করুক সে তার নিজের বিবেক,বুদ্ধি কাজে লাগিয়েই সীদ্ধান্ত নেয় বলে আমার বিশ্বাস।একটা বিষয় আমাদের পরিষ্কার হওয়া উচিৎ, "একটি কর্ম তার উদ্দেশ্য বা নিয়ত দ্বারা বিচার্য হওয়া উচিত-একটি কর্ম তার ফল দ্বারা বিচার্য হওয়া উচিত-প্রথম বাক্যটি সকল ধর্মের প্রস্তাবনা, দ্বিতীয়টি সকল বিপ্লবের মূলমন্ত্র" (1)।
জামায়াতের বিভিন্ন ঘটনাবলীর বিভিন্ন চরিত্রের কাউকে নায়ক বা খলনায়ক হিসেবে কেউ কেউ হয়ত ভাবতে পারেন কিন্তু কে কোন নিয়তে তার দ্বারা গঠিত কাজটি করেছেন তা আমাদের অজানা তাই কারো নিয়ত নিয়ে কটাক্ষ করা,নিয়তের উপর হামলা করা আমার চিন্তার বাহিরে।নিয়ত দেখা যায়না,ছোঁয়াও যায়না কারন এটা মানুষের মনের ভিতরে গড়ে উঠে। "অন্তরে জেগে ওঠা একটি নিয়ত শাশ্বত ও শর্তমুক্ত।কিন্তু বাহ্য জগতে বাস্তাবায়ন কালেই তা জাগতিকতা ও শর্তসাপেক্ষ হয়ে পড়ে" (2)।এই সিরিজে আমাদের আলোচনা হচ্ছে কোন ব্যাক্তির বা ব্যাক্তিবর্গের দ্বারা সংগঠিত কাজের ফলাফলের পর্যালোচনা, কোন ব্যাক্তির নয়,তাই খুব তাড়াহুরো করে কোন ব্যাক্তিকে মুনাফিক,বিভ্রান্ত ইত্যাদি বলে উপসংহারে পৌঁছা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির প্রতি জুলুমই মনে করি।
(মুল আলোচনা)
মাছিগোট সম্মেলনেই মাওলানা মওদুদী পূনরায় আমীর নির্বাচিত হন।আমীর হওয়ার পর প্রদত্ত ভাষনে মাওলানা মওদুদী বলেছিলেন; চিন্তা ও মতামতের ঐক্যই জামায়াতের আসল শক্তি।প্রায় এক হাজার লোকের চেয়ে পনের বছর আগে মাত্র ৭৫ জন লোক নিয়ে কায়েম হওয়া জামায়াতকে আমি অনেক শক্তিশালী অনুভব করতাম।সংখ্যায় বিরাট হলেও ঐক্যের অভাব হলে জামায়াত দুর্বল হতে বাধ্য।আলহামদুলিল্লাহ,আমরা এ সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছি। তিনি আরো বলেন যারা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন,তাদের মতামতের পক্ষে যথেষ্ঠ যুক্তি থাকতে পারে।কিন্তু তারা জামায়াতের রুকন হিসেবে খোলামনে সম্মেলনের সীদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে আশাকরি।(3)
তারপরেও ভিন্নমত পোষণকারী ১৮ জন পদত্যাগ করেন।১৮ জনের পদত্যাগের প্রতি প্রশ্ন তুলে গোলাম আযম সাহেব লিখেন মাছিগোট সম্মেলনের ৯৮% রুকনের সীদ্ধান্ত মেনে নিতে তারা ব্যর্থ হলেন?কোন ইস্যুতে ভিন্ন মত পোষণ করলেই জামায়াত ত্যাগ করতে হবে কেন?(4) এই কেন এর উত্তর নিচে উল্লেখ করা হল।
Kot Shair Sangh(কোট শাইর সংঘ)
আগেই জেনেছেন মাছিগোট সম্মেলনের পর জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব Kot Shair Sangh(কোট শাইর সংঘ)নামে পাশ্ববর্তি আরেকটি গ্রামে মিলিত হন। মাওলানা মওদুদী জামায়াতের শৃংখলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মনযোগী হলেন।রিভিউ কমিটির রিপোর্ট ধ্বংস করে ফেলা হল যাতে করে রিপোর্টের কোন বিষয় জামায়াতের ভিতর সম্ভাব্য বিভাজন তৈরি করতে না পারে।নঈম সিদ্দিকীকে পূনরায় রুকন পদে ফিরিয়ে নেয়া হয়।কোট শাইর সংঘে যে সীদ্ধান্তটি পরাজিতদের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিশোধ নেয়ার মত মনে হবে তা হল,যারা মাছিগোটে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন তারা জামায়াতের ভিতর থাকতে পারবেন ঠিকই কিন্তু কোন ধরনের পদে আসীন থাকতে পারবেন না!এই ধরনের সীদ্ধান্তকে অনেকে প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচনা করলেন এবং যার ফলসরুপ আরেক দফা পদত্যাগ জামায়াত থেকে।ইসরার আহমেদ,মুস্তফা সাদিক এবং আব্দুল গাফ্ফার হাসান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ফিগার।আশরাফ এই ঘটনাকে চিহ্নিত করেছেন "জামায়াতের কারবালা" হিসেবে।(5)
মাছিগোট সম্মেলনের প্রভাব
মাছিগোট সম্মেলনের পদত্যাগের প্রভাব সাথে সাথে বুঝা যায়নি।মাওলানা আমিন আহসান ইসলাহির পদত্যাগ ছিল সবচেয়ে damaging কারন জামায়াতের একটা অংশ (বিশেষ করে সিনিয়র নেতৃত্ব)তার কাছে কোরআন শিখতেন।মাওলানা মওদুদী ও তার সহযোগীরা হয়ত ভেবেছেন খুব অল্পেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন। In the long run, however, the purge had a debilitating effect on the intellectual calibre of the party's members. মাছিগোট সম্মেলন ও কোট শাইর সংঘ এর পরবর্তি কয়েক মাসে সর্বমোট ৫৬ জন জামায়াত থেকে বেড়িয়ে যান most were ulama and represented the party's religious weight and intellect. They were replaced by lay activists and functionaries. (6)
মাওলানা মনজুর নোমানী মাছিগোটের প্রেক্ষাপটে বলেন ;গাজী আব্দুল জব্বার, মাওলানা হাকীম আব্দুর রহীম আশরাফ, আব্দুল গফফার হাসান এবং এ পর্যায়ে তাদের অন্যান্য সহযোগী বন্ধুরা একান্ত দ্বীনি বুনিয়াদের ভিত্তিতে সৃষ্ট মতবিরোধ থেকেই পদত্যাগ করেন।আমি একথা প্রকাশ করতেও অসুবিধা বোধ করিনা যে, অন্ততঃ আমার ব্যক্তিগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা মতে এ সব সম্মানিত ব্যক্তি দ্বীনদার ও তাকওয়ার দিক দিয়ে মাওলানা মওদুদী সাহেবের চেয়ে অধিক নির্ভরযোগ্য ছিলেন(7)
জামায়াত থেকে যারা বেড়িয়ে যান তাদের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য ব্যাক্তিত্বগনের কয়েকজন নিন্মরুপ:
Amin Ahsan Islahi (Jama'at's second highest ranking leader, provisional amir, 1954; and later an important scholar and commentator of the Qur'an); Sultan Ahmad (member of the shura'; provisional amir, 1953-1954); 'Abdu'l-Jabbar Ghazi (member of the shura'; provisional amir, 1948-1949); 'Abdu'l-Ghaffar Hasan (member of the shura' provisional amir, 1948-1949 and 1956); 'Abdu'l-Rahim Ashraf and Sardar Muhammad Ajmal Khan (both members of the shura'); Mawlana Abu'l-Haqq Jama'i (former amir of Bhawalpur); Sa'id Ahmad Malik (former amir of Punjab); Muhammad 'Asimu'l-Haddad (director of the Arabic Translation Bureau); Arshad Ahmad Haqqani (editor of Tasnim); and Israr Ahmad and Mustafa Sadiq (both of whom became notable political and religious figures in later years).
১৯৪১ সালে যে ৭৫ জনকে নিয়ে জামায়াত কায়েম হয়েছিল তাদের থেকে ১৯৪২ সালে মাওলানা মনজুর নোমানী ও মাওলানা হাসান আলী নদভী সহ কয়েকজন এবং ১৯৫৭ সালে আরো ৫৬ জন বেরিয়ে গেলেন।প্রতিষ্ঠাকালীন মেম্বারদের মধ্যে মাওলানা মওদুদী এবং মিয়া তুফায়েল ছাড়া আর খুবই কম সংখ্যক লোক রয়ে গেলেন জামায়াতে ইসলামীতে।এদের জায়গা পূরণ করেছেন সেকুলার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত সদস্যবৃন্দ যারা মাওলানা মওদুদীর বই পড়ে ইসলামী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। তারাই হন পরবর্তিতে ইসলামি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক।
এই সিরিজের চতুর্থ পর্বটা একটা প্রশ্ন দিয়ে শেষ করেছিলাম যেটা contemporary প্রশ্ন হিসেবে অনেকের কাছে শুনেছি, প্রশ্নটা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠাকালীন জামায়াতে বিভিন্ন মতাদর্শের আলেমদের উপস্থিতি দেখা গেলেও বর্তমানে এর অনুপস্থিতি কেন??? এই পোষ্ট শেষে আশাকরি অনেকের প্রশ্নের উত্তর মিললেও মিলতে পারে।
এই পোষ্টের মাধ্যমে শেষ করছি আদর্শিক আন্দোলন হিসেবে জামায়াত অধ্যয়ন।কারন মাছিগোটেই ইসলামী আন্দোলন হিসেবে আদর্শিক জামায়াতের ভাগ্য নির্ধারন হয়ে যায়।পরবর্তি ইতিহাস হচ্ছে রাজনৈতিক জামায়াতের ইতিহাস।রাজনৈতিক জামায়াতের ইতিহাস পড়তে যেয়ে মাওলানা আমিন আহসান ইসলাহির কথা বার বার মনে পড়ে যায়।তিনি বলেছিলেন,নীতির সাথে আপস ব্যাতীত নির্বাচনে(রাজনীতিতে)অংশগ্রহন কোনভাবেই সম্ভব নয়।He alleged that candidature which had been condemned on the basis of Quran and Hadith, was now being justified without any reference to the Book and Sunnah.এটা হচ্ছে নীতির সাথে আপসের শুরু মাত্র এবং জামায়াত তা করতে বাধ্য হবে।
1 comments:
"মাওলানা মনজুর নোমানী মাছিগোটের প্রেক্ষাপটে বলেন ;গাজী আব্দুল জব্বার, মাওলানা হাকীম আব্দুর রহীম আশরাফ, আব্দুল গফফার হাসান এবং এ পর্যায়ে তাদের অন্যান্য সহযোগী বন্ধুরা একান্ত দ্বীনি বুনিয়াদের ভিত্তিতে সৃষ্ট মতবিরোধ থেকেই পদত্যাগ করেন।আমি একথা প্রকাশ করতেও অসুবিধা বোধ করিনা যে, অন্ততঃ আমার ব্যক্তিগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা মতে এ সব সম্মানিত ব্যক্তি দ্বীনদার ও তাকওয়ার দিক দিয়ে মাওলানা মওদুদী সাহেবের চেয়ে অধিক নির্ভরযোগ্য ছিলেন(7) " Surprisingly we don't see any historical or revolutionary job done by them for the cause of Islam what Maolana Maududi (Rh.) did.. Yes they all were very Mashhur islamic intellectuals in that era. May Allah Award them Jannah..