লেখক |
৬ নং গান্না ইউনিয়ন ছিলো সব চেয়ে ঝুকিপূর্ণ নিবাচনী এলাকা। গান্না ইউনিয়ন খুলনা বিভাগে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত । ১৯৯২ সালে ইউনিয়ন চেয়ারম্যার পদ প্রার্থী হাকিম খাঁর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুরু হয় গান্না ইউনিয়নে চরমপন্থীদের হত্যাযজ্ঞ। এরপরই ঘটে চরম পন্থীদের উত্থান। ১৯৯৬ সালে ডিসেম্বর মাসে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পাটির নেতা আক্কাস আলীকে বেতাই বাজার থেকে সন্ধ্যায় বাজার করে ফেরার পথে তার বাড়ির পাশেই কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এর বদলা নিতে তার পার্টির লোকেরা এলাকায় মাইকিং করে ঘোষণা দিয়ে গুলি করে হত্যা করে ৩ জনকে। এর পরের বছর গান্না বাজারে প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় পার্শ¦বর্তী ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যানকে। ২০০৮ সালে কুঠিদুর্গাপুর বাজারে হাটের দিনে প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় গান্না ইউনিয়নের তত্কালিন চেয়াম্যান শরাফত হোসেনকে । এভাবে প্রকাশ্যে হত্যার নজির দেশের কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। ১৯৯২ সালের পর ইউনিয়ন নির্বাচন, চাঁদা দাবি ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ইউনিয়নে মারা গেছে কয়েক ডজন মানুষ। এমন কোন গ্রাম পাওয়া যাবে না যে গ্রামের দুই একজন জন খুন হয় নি। এসব হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে ইউনিয়নের চেয়াম্যান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিরাই জড়িত এবং এরা সবাই চরমপন্থীদের সঙ্গে যুক্ত বলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে। এসব দেখতে দেখতে এখানকার মানুষ কান্ত হয়ে পড়েছে। তারা এঅবস্থার পরিবর্তন চায় কিন্তু তারা হতাশ কারণ সেরকম কোন সম্ভাবনার পথ খোলা নেই। এখানে নির্বাচনে দু'মেরুকরণ অবস্থা। একদিকে আছে বিএনপিপন্থী নিহত শরাফত চেয়ারম্যানের গ্রুপ অন্যদিকে আছে আওয়ামী প্রার্থী আব্দুল ওহাব চেয়ারম্যানের গ্রুপ। গত ২৫ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে এ দুজনই এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছেন। গত ইউনিয়ন নির্বাচনগুলোতে ভয়ে কিংবা অন্য কোন কারণে এরা ছাড়া নতুন মুখও আসে নি প্রার্থী হয়ে ।
ইউনিয়ন নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পর এবারই দেখলাম ভিন্ন প্রেক্ষাপট। আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত তিন দলের তিন প্রার্থীসহ একজন তরুণ স্বতন্ত্রপ্রার্থীও দণ্ডায়মান।
বর্তমানে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তাই সরকার দলীয় প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা তো আছেই। এসরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির নেতা কর্মীরা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মারাও পড়েছে কয়েকজন ত্যাগী নেতা। জনগণ নির্বাচনে তার পাল্টা দেবে- এটাই বিএনপিপন্থীদের আশা। কিন্তু জামায়াতের নেতা কর্মীদের আত্মবিশ্বাস দেখলাম একটু বেশিই। তারা বলছেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, খুনের অসুস্থ রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে চায়। জামায়াত প্রার্থী এলাকায় ভালো মানুষ বলে পরিচিত। এ ইউনিয়নে দু’তিনটি কেন্দ্রে জামায়াত বরাবরই ফাস্ট হয়। তাছাড়া এখানে জামায়াতের মহিলা সংগঠনের ভালো তত্পরতা থাকায় মহিলাদের একটা বড় অংশের ভোট জামায়াত পাবে। সব মিলিয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের দৃঢ় মনোবল তাদের প্রার্থীই পাশ করবে। ব্যাপক উদ্দীপনা নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত-যা এর আগে কখনো দেখা যায় নি।
কিন্তু নির্বাচনের পূর্ব দিন গ্রামে গিয়ে আমার মনে হলো , নির্বাচনী হাওয়া অন্যদিকে বইছে। এলাকার সবার মুখে মুখে স্বতন্ত্র প্রাথী লিটন বিশ্বাসের নাম।
আমি যে ভ্যানে করে বাড়ি পৌঁছলাম সে ভ্যানের চালকও বলল, লিটন বিশ্বাসের কথা। আমার মনে হলো, একটি গাছকে যদি প্রশ্ন করি সেও বোধ হয় লিটন বিশ্বাসের কথা বলবে।
এবিষয়ে আমি যখন জামায়াত নেতাদের সঙ্গে কথা বললাম তারা বলল, লিটন বিশ্বাস নির্বাচনে চতুর্থ হবে, তার পাশের কোন সম্ভাবনাই নেই। তারা প্রতিটি গ্রামের ভোটের পরিসংখ্যানের হিসাব কষে দেখেছেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তবে জামায়াত প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত। তবে একটি বিষয় আমি লক্ষ করলাম, যুদ্ধাপরাধ ইস্যু নিয়ে সাধারণ মানুষের তেমন কোন মাথা নেই । এটি জামায়াতের জন্য বড় কোন সমস্যা নয়। জামায়াতের নেতৃবৃন্দ যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন এটি গ্রামের নিরক্ষর কৃষকটিও বুঝতে পারে। আশঙ্কা একটাই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা কারণ আওয়ামীপন্থীরা নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে।
২২ জুন সকাল ৮ টা থেকে যথা সময়ে ভোট গ্রহণ শুরু হলো। আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়লো। অবাধ ও সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হলো। কারো কারো মতে, এতোটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখা যায় না।
বিকেল ৫টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হলো, প্রায় সব কেন্দ্র থেকেই লিটন বিশ্বাসের জয়ের খবর আসতে লাগলে । সন্ধ্যার পর খবর পেলাম, প্রায় ১২০০ ভোটের ব্যবধানে জামায়াত প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন বিশ্বাসের নিকট পরাজিত হয়েছে।
জামায়াত নেতাদের কাছে জানতে চাইলাম, এতো দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ করার পর কেন জামায়াত প্রার্থী এতো বিপুল ভোটের ব্যাবধানে হারলো?
তারা হতাশা প্রকাশ করে বললেন, জামাতের সমর্থকরাই জামাতকে ভোট দেয় নি , তারা তাদের ইমানী দায়িত্ব পালন না করে লিটন বিশ্বাসকে ভোট দিয়েছে।
কিন্তু কেন?- এর সদুত্তর জামাতের নেতাদের কাছে নেই।
গ্রামের আমার এক চাচা বলেন, জামায়াত হলো সেই কৃষকের মতো যে মাঠে শষ্য ছিটিয়ে সার/পানি সবই দেয় কিন্তু সঠিক পরিচর্যার অভাবে ঘরে ফসল তুলতে পারে না। জামায়াত গণতন্ত্রকামী নির্বাচনমুখী দল, ভোটের রাজনীতি করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায় । অথচ তাদের সাংগঠনিক কাঠামো/ কর্মপদ্ধতিতে রয়েছে বৈপ্লবিক চিন্তার প্রতিফলন। লিটন বিশ্বাস তার পরোক্ষ নির্বাচনী তত্পরতা শুরু করেছে ৪/৫ বছর আগে, আর জামায়াত মাঠে নেমেছে নির্বাচনের মাত্র ২ মাস আগে-এযেন কচ্ছপ ও খরগোসের গল্পের মতো।
প্রায় ৫ বছর আগে লিটন বিশ্বাস যখন ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা আমাকে বলেছিলো তখন আমি তাকে সে হাদিসটি শুনিয়েছিলাম, ‘খোদাভীরুতার জন্য মর্যাদা, মৌনতার জন্য শান্তি আর সেবার জন্য নেতুত্ব।' আমি তাকে বলেছিলাম, আপনি যদি এলাকার মানুষের সেবা করতে পারেন, তবে নেতৃত্ব আপনার হাতে এসে ধরা দেবে।
৫ বছর পর আজ আমি উপলব্ধি করছি, সেদিন কথাটা তাকে আমি তামাশাছলে বললেও সে ইসলামের একনিষ্ঠ অনুসারী না হয়েও হাদিসের নির্দেশিত কাজটিই সে করেছে। এ ইউনিয়নের এমন কোন গ্রাম পাওয়া যাবে না, যে গ্রামের দু’ চার জন লোকের উপকার করে সে কৃতজ্ঞতাবশে আবদ্ধ করতে পারে নি। এমন কোন বাড়ি পাওয়া যাবে না, যে বাড়িতে সে একাধিকবার আতিথিয়তা গ্রহণ করেনি। লিটন বিশ্বাস তার নির্বাচনী ইউনিয়ন থেকে ১০/১২ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইদহ শহরে অবস্থান করলেও মানুষের বিপদে, সমস্যা সংকটে সে থাকতো অনেক কাছে । কারো অসুস্থতার খবর শুনলেই সে ছুটে গিয়ে ঝিনাইদহের শামিমা ক্লিনিকে তার চিকিত্সার ব্যবস্থা করেছে। কেউ কোন সামাজিক সমস্যায় পড়লে তা স্ব-উদ্যেগে মেটানোর চেষ্টা করেছে। জামাতের অনেক সমর্থককে বলতে শুনেছি , আমি তার উপকারে কৃতজ্ঞ হয়ে কথা দিয়ে ফেলেছি, তাকে ভোট দেবো। আমি তো জানতাম না, জামায়াত নির্বাচন করবে। আর এভাবেই সে মানুষের খুব কাছে আসতে পেরেছে। আর জামায়াত প্রার্থী নিজ এলাকায় অবস্থান করেও মানুষের সঙ্গে দূরত্ব ঘোঁচাতে পারলেন না।
জামায়াতের মতে, সমর্থকরা তাদের ভোট দিয়ে ইমানী দায়িত্ব পালন করেনি। কিন্তু একজন দ্বীনি ভাইয়ের দুর্দিনে তার পাশে দাড়ানোর ইমানী দায়িত্ব কেন পালন করতে পারেন না সেটাও একটা প্রশ্ন।
এবার দেশের ইউনিয়ন নির্বাচনে জামায়াত আশাতীত ফল করেছে। খোজঁ নিলে জানা যাবে যারা পাশ করেছে তাদের অধিকাংশই বিজয়ী হয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত প্রভাব প্রতিপত্তি ও ইমেজের কারণে। প্রার্থী বদল হলেই সেসব পদ হারানোর সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া পর পর দু’বার চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়েছে এমন জামায়াত প্রার্থীর নজির খুবই কম। নিঃসন্দেহে জামাত সত্ লোকদের মনোনয়ন দেয়। যোগ্যতা ও সেবার মানসিকতার দৃষ্টান্ত দেখাতে পারলে অধিকাংশ ইউনিয়নে জামায়াত প্রার্থীই বিজয়ী হওয়ার কথা, কারণ ভোটাররা ইউনিয়ন চেয়াম্যান-প্রার্থীকে খুব কাছ থেকে দেখে মূল্যায়ন করার সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে মিডিয়ার অপপ্রচারে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার সুযোগ খুবই কম।
এখানে জামায়াত প্রার্থী মতিন ভাই এলাকায় ভালো মানুষ বলে পরিচিত। তিনি কারো কোন ক্ষতি করেন নি, কিন্তু কারো কোন উপকার করেছেন তাও শোনা যায় না।
শুধু মতিন ভাই কেন? জামাতের কোন নেতা অসুস্থ কোন রুগীকে দেখতে হাসপাতালে যান না, কেউ মামলা-মকদ্দমায় জড়ালে তাকে সহায়তা করার জন্য কোর্টে যান না। তারা চায়ের দোকানে বসেন না। অথচ তারা ভোটের রাজনীতি করেন।
গ্রামে জামাতের কোন রুকন যদি কোন সামজিক সমস্যায় পড়ে, এক্ষেত্রে সে যদি জুলুমেরও শিকার হয় সাংঘটনিকভাবে জামায়াত তাকে কোন সহায়তা দেয় না। উল্টো তাকেই দোষারোপ করা হয়, কেন সে সামাজিক সমস্যায় নিজেকে জড়ালো?
এটাতো ইসলামের দৃষ্টীভঙ্গি নয়। সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধের অর্থ কী? মানুষ সামাজিক জীব। এসামাজিকতাকে ইসলাম গুরুত্বের সঙ্গে স্বীকৃতি দিয়েছে। হয় মজলুমের নয় জালেমের, যে কোন পক্ষ তাকে নিতেই হয়। ন্যায় অথবা অন্যায় কোন পক্ষেই নেই - তাতো হতে পারে না। সাধারণ মানুষ তো ন্যায়ের পক্ষে, তাহলে জামায়াত কোন পক্ষে?
কোন ইসলামী সংগঠনই কোন মজলুমকে সম্ভাব্য সহযোগিতা করার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। নতুবা দ্বীনি ভাইয়ের সঙ্গে শিশাঢালা প্রাচীরের মতো সম্পর্কের- একথাগুলো বুলি সর্বস্ব হয়ে পড়ে। আদর্শের কথা শুনে শুনে মানুষ কান্ত । তাদেরকে এর কার্যকারিতা তথা বাস্তবায়ন দেখাতে হবে। নতুবা প্রচলিত অন্য দলগুলোর সঙ্গে ইসলামী দল হিসেবে জামায়াতের কোন পার্থক্য থাকে না।
বাস্তবতা হলো জামাতের নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক কাজে এতো ব্যস্ত থাকেন যা অন্য কোন সংগঠনের নেতারা থাকেন না। রিপোর্টিং বৈঠক, দায়িত্বশীল বৈঠক, পাঠচক্র, তরবিয়াতি বৈঠক, জরুরি বৈঠক, পরিকল্পনা বৈঠক , পর্যালোচনা বৈঠক - এরকম কত শত বৈঠক যে তাদের করতে হয়, সময় কথায়?
আমার বিশ্ময় লাগে, সাংগঠনিক মান-উন্নয়ন, নৈতিক মান উন্নয়ন নিয়ে এতো মাথা ব্যথা যে সংগঠনের, সে সংগঠন ভোটের রাজনীতি করে কেন? আর যে সংগঠন ভোটের রাজনীতি করে সে দল গণ-বিচ্ছিন্ন কেন? নির্বাচনই যদি ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ হয় তাহলে এতো সাংগঠনিক মান-উন্নয়নের প্রয়োজন কী? বিএনপির মতো দুর্বল কাঠামোর দল যদি দেশ চালাতে পারে, তাহলে জনসমর্থন পেলে জামায়াতও দেশ চালাতে ব্যর্থ হবার কথা নয়।
বছরের পর বছর মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকার পর ভোটের সময় কোরান হাদিসের বয়ান শুনেই মানুষ ভোট দেবে কেন? লোকমুখে একটি কথা বেশ জোড়ালোভাবে শোনা যায়, জামাতের নেতারা কারো উপকার করে অভ্যস্ত নয়। ভাঙা রাস্তায় দু’চার ঝুড়ি মাটি ফেলে কিংবা অন্যদের মতো লোক দেখানো কিছু ত্রাণ বিতরণ করলেই সাংগঠনিকভাবে সব সামাজিক দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। চরম ঋণগ্রস্থ কিংবা কন্যা দায়গ্রস্থ কোন পিতাকে নিয়ে জামায়াতের কোন মাথা ব্যথা নেই। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তির টাকা শোধ করতে না পেরে বিপদগ্রস্থ কোন মানুষ যদি জামায়াতের কাছে হাত পাতে, তখন হয়তো বলা হবে, ‘কেন ঋণ নিয়েছিলে? জান না সুদ নেয়া এবং দেয়া দুটোই পাপ। পাপ করেছো এখন পাপের ঘানি টানো গিয়ে যাও ।’
এনজিওর সঙ্গে সুদের কারবারে জড়িত হতে নিষেধ করা হয়, কিন্তু সুদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার বিকল্প পথ কি?- তাতো বাতলে দেয়া হয় না । সারা জীবন সংগঠনকে ইয়ানতসহ বিভিন্ন চাঁদার টাকা শুধু দিয়েই যাবো , আর বিপদের সময় সংগঠন এসে পাশে দাড়াবে না তাতো হতে পারে না। প্রশ্ন উঠতে পারে সংগঠনের আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে। কিন্তু এক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থের থেকে গুরুত্বপূর্ন সাংগঠনিক কমসূচি এবং উদ্যোগ। তাছাড়া মানসিক সাপোর্ট দিয়ে বিপদাপন্ন একজন মানুষের পাশে দাড়ানোও একজন মুসলমানের অন্যতম দায়িত্ব। আর সেটাই যদি এসংগঠনের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা না যায় তাহলে কীভাবে আম জনতা এদ্বীনি সংগঠনে এসে একীভূত হবে?
লিখেছেন: ব্লগার ধুমকেতু১০
0 comments: