বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ ২৪২৯ কিলোমিটার বিস্তৃত সীমান্তরেখা বিদ্যমান। এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বাস করে দুটি দেশেরই সীমান্তবর্তী লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই বিষয়ে একটি অনস্বীকার্য সত্য হলো যে উভয় দেশেরই সীমান্তবর্তী মানুষেরা ভাগ্য-পীড়িত হতদরিদ্র। এই সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বেঁচে থাকার তাগিদে সীমান্তের এপাড়ে-ওপাড়ে বিভিন্ন ধরনের বৈধ-অবৈধ লেন-দেন ও ব্যবসার উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। উদাহরণস্বরূপ: গরু চোরাচালান, মাদক চোরাচালান, কাপড় চোরাচালান, খাদ্য-পণ্য চোরাচালান ইত্যাদি ইত্যাদি। এরই খাতিরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মানুষেরা যেমন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতীয় অংশে প্রবেশ করে তেমনি ভারতের সীমান্তবর্তী অংশের মানুষেরাও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের অংশে প্রবেশ করে।
এই বিষয়ে ছোট্ট একটা উদাহরণ দেয়া যাক, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপন করা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কারণে দুটি দেশের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে চোরাচালানভিত্তিক ছোটখাটো যে ব্যবসাগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে তাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্রেফ ভারতের ত্রিপুরাতেই ২.৫ থেকে ৩.০ লক্ষ মানুষ। কারণ, ত্রিপুরার এই মানুষেরা তাদের জীবিকার জন্য বাংলাদেশের মানুষদের উপরেই নির্ভর করে থাকতো, যে কারণে ত্রিপুরার এই সকল মানুষেরা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কারণে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের উপর অত্যন্ত নাখোশ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজে প্রকাশিত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার উপর ক্ষুব্ধ ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী মানুষদের নিয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদন
আশা করি এর থেকে কিছুটা হলেও অনুমান করা যাচ্ছে যে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন কি পরিমাণ ভারতীয় বৈধ-অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বা প্রবেশ করতে চায়। অথচ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সবসময় দাবি করে আসছে যে কেবল বাংলাদেশীরাই ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য উন্মুখ এবং ভারতীয় সীমানার ভেতরে প্রবেশ করার অপরাধেই বিএসএফ তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে কিংবা বিভিন্ন উপায়ে শারীরিক নির্যাতন করে।
কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই যে বাংলাদেশীদের চেয়ে ভারতীয়রাই সবথেকে বেশী সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিডিআর কোন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে দেখামাত্র গুলি ছুঁড়ে না বলে কখনোই কেউ জানতে পারে না যে কতোজন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ঢুকেছিলো কিংবা অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ঠিক কতো হতে পারে। বিডিআর এর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কিংবা নির্যাতনের শিকার হয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা কখনো মৃত্যুবরণ করে না বলে দেশী ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে কখনোই ফলাও করে সীমান্তে ভারতীয় হত্যার খবর বের হয় না। যে কারণে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও বিশ্ববিবেক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধ ভারতীয় অনুপ্রবেশের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী কোন ভারতীয় যদি বিডিআর কিংবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যথাযথ আইনগত প্রতিবিধান নিশ্চিত করে।
সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশী হত্যা বিএসএফ কর্তৃক সংগঠিত কোন বিচ্ছন্ন ঘটনা নয়, এটা দিল্লীর একটি পরিকল্পিত নীলনকশা। বিভিন্ন ভারতীয় পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন সময়ে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের সাক্ষাতকার পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশকে তারা বাংলাদেশী ‘অভিবাসন’ বা Immigration হিসেবে প্রতিপন্ন করছেন এবং এই অভিবাসনকে তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশ কর্তৃক সীমান্ত দিয়ে অবাধ মুসলিম-জনসাধারণের অনুপ্রবেশের মাধ্যমে হিন্দুপ্রধান ভারতে পরিকল্পিত ‘ইসলামীকরণ’ বা Islamization সংঘটন হিসেবে মনে করছেন। এ কথা থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে দিল্লীর ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা তাদের স্ব-সংজ্ঞায়িত এই ‘ইসলামীকরণ’ বা Islamization কে অনতিবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে তৎপর হয়েছেন এবং এরপরেও কোন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ করলে তাকে দেখিবামাত্র গুলি (Shoot-at-Sight) করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
পরিকল্পিত ‘ইসলামীকরণ’ বা Islamization এর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। হিন্দুপ্রধান ভারতে মুসলিম জনসংখ্যার হার ১৩.৪%, কাজেই ১২১ কোটি জনসংখ্যার ভারতে মুসলিম জনসাধারণের সংখ্যাগত পরিমাণ ১৬.২১৪ কোটি যা বাংলাদেশের সর্বমোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশী। যে দেশে বাংলাদেশের সর্বমোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশী মুসলিম বসবাস করে সেই দেশে বাংলাদেশ কি করে মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পরিকল্পিত ‘ইসলামীকরণ’ বা Islamization সংঘটিত করে? আর তা ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের কেবলমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরাই ভারতে অভিবাসী হওয়ার জন্য সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে থাকে। এটা বাদে অন্য যারা অনুপ্রবেশ করে তারা জীবিকার প্রয়োজনেই অনুপ্রবেশ করে পরে আবার ফিরে আসে, চিরস্থায়ীভাবে ভারতে থেকে যাওয়ার জন্য যায় না কিংবা অভিবাসী হওয়ার জন্য যায় না।
ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে আরেকটা অভিযোগ করা হয়, সেটা হলো বাংলাদেশ নাকি পরিকল্পিতভাবে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের মুসলিম জনসংখ্যার হার অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এই কারণে নিকট ভবিষ্যতে আসাম নাকি একটি মুসলিম-প্রধান প্রদেশে পরিণত হবে!
এই অভিযোগও সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আসামে মুসলিম মোট জনসংখ্যার হার ৩০.৯% এবং এই হার ’৪৭ এর দেশভাগের আগ থেকেই বিদ্যমান ছিলো। কারণ, আসামের দুটা জেলা করিমঞ্জ(৫৩%) ও হাইলাকান্দি(৫৭%) মুসলিম প্রধান জেলা এবং অন্য আরেকটি জেলা কাছারের মুসলিম(৪৬%) জনসংখ্যাও প্রায় হিন্দুদের(৫০%) কাছাকাছি। এর কারণ প্রধানত দুটি। প্রথমত, আসামের বরাক উপত্যকার অর্ধেকই ছিলো ১৪ শতক থেকে মুসলিম তুর্ক-আফগান শাসনামল ও পরবর্তিতে মুঘল শাসনের অন্তর্ভুক্ত, যে কারণে বরাক উপত্যকায় মুসলিম জনসংখ্যা ও মুসলিম সংস্কৃতির বিকাশ ঘটতে থাকে সেই ১৪ শতক থেকেই। দ্বিতীয়ত, বঙ্গভঙ্গের ফলশ্রুতিতে ১৯০৫ সালে ভাইসরয় লর্ড কার্জন অবিভক্ত বাংলাকে ভেঙে দুই ভাগ করেন। সিলেট তো আগেই ছিল, এবার গোটা পূর্ববাংলাই অন্তর্ভুক্ত হয় চিফ কমিশনার্স প্রভিন্সে। নতুন নাম হলো 'ইস্টবেঙ্গল-আসাম' প্রভিন্স। প্রধান হলেন ইংরেজ লেফটেন্যান্ট গভর্নর, রাজধানী শিলং থেকে স্থানান্তর হলো ঢাকায়। এ সময় রাজস্ব আদায় আরো বাড়ানোর জন্য ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয় সরকার। স্থানীয় অহমিয়ারা কৃষিকাজে অনভ্যস্ত থাকার কারণে পূর্ববাংলার মুসলিম চাষীদের নিয়ে আসা হয় সরকারি উদ্যোগে। শুরু হয় স্থানান্তর ও বসতি স্থাপনের নতুন অধ্যায়। এর আগে এ অঞ্চলে কখনো পাট চাষ না হলেও প্রথমে ৩০ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় পাট চাষের জন্য। তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে অর্থকরী এই ফসলের উৎপাদনে বাঙালি কৃষকদের দক্ষতা অতুলনীয় ছিল বলে ১৯১৯-২০ সালে পাট চাষের জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ছয় হাজার একর, একই সঙ্গে মুসলিম অভিবাসীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৭৫ হাজারে। আশা করি এখন বুঝা যাচ্ছে, কেন আসামে মুসলিম বাঙ্গালীদের সংখ্যা ৩০.৯%।
তথ্যসূত্র: আসামের বরাক উপত্যকা
তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদন
আশা করি এখন বুঝা যাচ্ছে যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যে সব কারণে এবং যে সব সন্দেহের ভিত্তিতে সীমান্তে কোন বাংলাদেশী দেখামাত্র নির্বিচারে গুলি করে ও নির্যাতন করে হত্যা করছে সেইসব কারণসমূহ একেবারেই ভিত্তিহীন এবং তীব্র অবিশ্বাসে ভরা অলীক কল্পনাপ্রসূত। বরং তারা এইকথা ঘুনাক্ষরেও জানে না যে তাদের দেশের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও সীমান্তবর্তী ভারতীয় অধিবাসীরা কিভাবে বিভিন্ন প্রয়োজনে দলে দলে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করে এবং বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর সব কর্মকান্ডে জড়িত হয়। বাংলাদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন নিষিদ্ধ ভারতীয় মাদকদ্রব্যের চালান বয়ে আনা, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ইলিশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিচরণস্থলগুলোতে এসে ভারতীয় জেলেদের কোটি কোটি টাকার ইলিশ চুরি করে নিয়ে যাওয়া, বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বাংলাদেশী কৃষকদের ক্ষেতের ফসল কেটে নিয়ে যাওয়া নয়তো ক্ষেতের ফসল ট্রাক্টর নিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয়া, ভালো চাকরীর লোভে বাংলাদেশে ঢুকে ভারতীয় আত্মপরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নারী ও শিশু পাচার, জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটানোর জন্য ভারতীয় ইসলামী জঙ্গীদের অনুপ্রবেশ, এমন কি পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগরাছড়িতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী সংঘর্ষে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইন্ধন যোগানোর কাজেও জড়িত হওয়া, কি কি অপরাধ করছে না ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা?
বাংলাদেশের সীমান্তের ভিতরে ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কিছু কৃতকর্মের উদাহরণ উল্লেখ করছি:
অবৈধভাবে সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরস্থ ইলিশের সবথেকে প্রসিদ্ধ বিচরণস্থলগুলো থেকে ভারতীয় জেলেরা কোটি কোটি টাকার ইলিশ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে:
ইলিশের ভরা মৌসুমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ইলিশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিচরণস্থলগুলো থেকে কোটি কোটি টাকার ইলিশ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জেলেরা, তাদের দৌরাত্ম্যে বাংলাদেশী জেলেরাই নিজেদের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরতে যেতে পারছে না। একদিকে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে কম দামে ইলিশ বাগিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন আর অন্যদিকে উনার দেশের জেলেরা বিনা পয়সাতেই ফ্রি ইলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, কি অসাধারণ ইলিশলোভী ভারতীয় তৎপরতা !!
পৃথিবীর মোট ইলিশের ৫০-৬০% আহরিত হয় বাংলাদেশ থেকে, যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে হয়তো অচিরেই পাটশিল্পের মতো ইলিশও আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলিতে এই নিয়ে কিছু সংবাদ প্রতিবেদন:
দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন
দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদন
দৈনিক সমকালের প্রতিবেদন
দৈনিক আমার দেশের প্রতিবেদন
দৈনিক সকালের খবরের প্রতিবেদন
দৈনিক সংগ্রামের প্রতিবেদন
কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনী একই অপরাধে শত শত ভারতীয় জেলেকে গ্রেফতার করেছিলো এবং বেশ কিছু জেলেকে গুলি করে হত্যাও করেছিলো, কিন্তু আমাদের নৌবাহিনী ভারতীয় জেলেদের এইসকল অপরাধ স্রেফ চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
তথ্যসূত্র: NDTV News - Indian fisherman killed as Lankan Navy opens fire
তথ্যসূত্র: BBC News - Sri Lanka arrests Indian fishermen 'in its waters'
ভালো চাকরীর লোভে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে ভারতীয় আত্মপরিচয় গোপন করে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করছে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা:
বিএসএফ এর নির্বিচার সীমান্তহত্যার পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে প্রায় সবসময়েই বাংলাদেশের ব্লগগুলোতে আগত ভারতীয় দাদারা বলে থাকেন যে দরিদ্র বাংলাদেশীরা নাকি ভালো চাকরীর লোভে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্য সর্বদা উন্মুখ হয়ে থাকে, ফেলানী হত্যার সময়েও কলকাতার ব্লগসাইট লোটাকম্বলে দাদারা ফেলানী-হত্যার বিচার না চেয়ে বরং ভারতে যেন কাজের সন্ধানে আসতে না হয় সেই জন্য বাংলাদেশীদেরকে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং এই সেইদিনও সামুর কলকাতাবাসী এক ব্লগার দাদা বলে গেলেন যে ভালো কাজ পাওয়ার জন্যই বাংলাদেশীরা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যায়। কিন্তু, বড়লোক ভারতীয়রাও যে চোরের মতোন চুপি চুপি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গরীব বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরী করার লোভ সামলাতে পারে না সেটা দাদারা বোধহয় জানেন না। বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালের নার্স থেকে শুরু করে স্বর্ণকার, বাংলাদেশী অয়েল মিলের কর্মচারী কোন চাকরীর লোভ ছাড়তে পেরেছে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা?
ভারতীয় আত্মপরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালে কর্মরত এক নারী
চট্টগ্রামে জুয়েলারী কারখানার কর্মচারী দুই অবৈধ ভারতীয় আটক
পাবনার ঈশ্বরদীতে অয়েল মিলের প্রজেক্টে কর্মরত অবৈধ ভারতীয় নাগরিক আটক
বাংলাদেশে জঙ্গী তত্পরতা বাড়াতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে ভারতীয় ইসলামী জঙ্গীরা:
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে একথা ফলাও করে প্রচার করা হয় যে বাংলাদেশের ইসলামী জঙ্গীরা নাকি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সেদেশে জঙ্গী তৎপরতা বাড়াচ্ছে, ভারতে অভ্যন্তরে ইসলামী জঙ্গী তৎপরতার জন্য বাংলাদেশ দায়ী ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু বাস্তবতা বলছে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা, ভারত থেকে ইসলামী জঙ্গীরা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতা বাড়াচ্ছে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্নস্থানে ভারতীয় ইসলামী জঙ্গী গ্রেফতারের ঘটনা এ কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ২ভারতীয় জঙ্গি আটক
ভারতীয় জঙ্গী মনসুর ঢাকায় গ্রেপ্তার
ভারতীয় জঙ্গী ওবায়দুল্লাহ ঢাকায় গ্রেফতার
ভারতীয় জঙ্গী এমদাদুল্লাহ ঢাকায় গ্রেফতার ও ৪ দিনের রিমান্ডে
ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আমাদের কৃষকদের ক্ষেতের ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে এবং কৃষকদের ক্ষেতের ফসল ট্রাক্টর দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে:
সিলেটের তামাবিল সীমান্তে বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতীয় নাগরিকরা সীমান্তের ১৫০ গজ ভেতরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে কৃষকদের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিডিআর বাধা দিলেও সে বাধা মানছে না তারা। নিজেদের জমির ধান অন্যরা কেটে নেয়া সত্ত্বেও কিছু করতে না পারার ক্ষোভ ও আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সীমান্তের কৃষকরা।
এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয়রা ট্রাক্টর দিয়ে বাংলাদেশী কৃষকদের ফসলের মাঠ চষে দেয়ার ঘটনায় সীমান্তে এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উপজেলার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন মোহাম্মদপুর এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিল। গতকাল বিকালে ভারতের বাউশমারী এলাকার শত শত ভারতীয় কৃষক লাঠিসোটা নিয়ে বিএসএফের সহযোগিতায় ১৫৭ নম্বর সীমান্ত পিলার পার হয়ে অনুপ্রবেশ করে ট্রাক্টর দিয়ে বাংলাদেশী কৃষকদের ওই ফসলের মাঠ চষে দেয়। মোহাম্মদপুর সীমান্তবাসী এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে। সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে এ নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার বগমারী ক্যাম্পের বিডিআরের পক্ষ থেকে ভারতের বাউশমারী ক্যাম্পের বিএসএফের কাছে বাংলাদেশী কৃষকদের জমি চষে দেয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়।
সিলেটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয়রা : সহযোগিতা করছে বিএসএফ
বাংলাদেশী কৃষকদের ফসল নষ্ট করে দিল ভারতীয়রা : দৌলতপুর সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গ্রেফতার হওয়া ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কর্মকান্ড নিয়ে আরও কিছু সচিত্র সংবাদ প্রতিবেদন:
জয়পুরহাটে বৈধ পাসর্পোট ছাড়া অনুপ্রবেশকারী ৩ ভারতীয় নাগরিক কে আটক করেছে র্যাব
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে মদ্যপ অবস্থায় র্যাবের হাতে তিন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী আটক
হিলি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নাগরিক আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিংনগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা
By বাংলা-নিউজ ২৪ দিনাজপুর সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক হিন্দিভাষী এক ভারতীয় পাগল প্রকৃতির যুবক আটক
বেনাপোলে জাল পাসপোর্টসহ তিন ভারতীয় নাগরিক আটক
সাতক্ষীরায় ভারতীয় মালবাহী ট্রাক বিক্রির সময় ভারতীয় চালক ও হেলপার আটক
ভূরুঙ্গামারী হাটে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী আটক, ১৮টি গরু ও ১টি হোন্ডার হদিস নেই
আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়া ভারতীয় ফারুক মাদ্রাজি সহযোগীসহ গ্রেফতার
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা চেঁচড়া গ্রাম থেকে পুলিশ ভারতীয় শরণার্থী শিবিরের পিতাকন্যাকে আটক করেছে।
ভারতীয় জামাইকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার দায়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
অনুপ্রবেশের দায়ে সিলেটের তামাবিলে ৭ ভারতীয় আটক
জাফলংয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ৬ ভারতীয়
বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নারী-শিশুসহ ১৫ জন আটক
বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে অবৈধভাবে মাছ চুরি করার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের কাছেই আশ্রয় নিলো ৭৯ জন ভারতীয় জেলে
ভারতীয় ১৫ জেলেসহ একটি মাছ ধরা ট্রলার উদ্ধার
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে বিভিন্ন সময়ে বিএসএফ তাদের ভারতীয় নাগরিকদেরকেই মেরে কেটে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ফেলে রেখে যায়:
গত মে মাসে রাজশাহীর খানপুর সীমান্তে বিএসএফর নির্যাতনে আহত এক ভারতীয় নাগরিককে মুমূর্ষু অবস্থায় বুধবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গরু ব্যবসায়ী ভারতীয় ওই নাগরিকের নাম রঞ্জিৎ মণ্ডল (৩২)। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার কাতলামারি থানার বানু সরকারের পাড়ার রঘুনাথ মণ্ডলের পুত্র বলে জানা গেছে।
এদিকে গত জুলাই মাসে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত ভারতীয় নাগরিক আলমগীর হোসেন কালুর লাশ ভারতীয় হাই কমিশনের সম্মতিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই দাফনের উদ্যোগ নিয়েছে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
ভারতীয়কে পিটিয়ে মুমূর্ষু করে বাংলাদেশে ফেললো বিএসএফ
বিএসএফ’র গুলিতে নিহত ভারতীয়’র দাফন বাংলাদেশেই
পরিশেষে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আটককৃত অবৈধ ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ-প্রতিবেদনসমূহের একটি তালিকাভিত্তিক আর্কাইভ:
ভারতীয় আত্মপরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালে কর্মরত এক নার্স
লামায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করার অপরাধে ভারতীয় নাগরিকের ১ বছর সশ্রম কারাদন্ড
বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জেলেদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধভাবে বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ আহরণ
বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জেলেদের অবৈধ প্রবেশ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইলিশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিচরণস্থলগুলো থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ইলিশ চুরি করার সাথে বাংলাদেশী জেলে-নৌকায় ডাকাতি সংঘটন
সিলেটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয়রা : সহযোগিতা করছে বিএসএফ
বাংলাদেশী কৃষকদের ফসল নষ্ট করে দিল ভারতীয়রা : দৌলতপুর সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা
জয়পুরহাটে তিন ভারতীয় গ্রেফতার
শিবগঞ্জ উপজেলার শিংনগর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কেটে বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্যসহ বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৫ ভারতীয় গ্রেফতার
বান্দরবানে আবারও ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
জয়পুরহাটে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
গোদাগাড়ী সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকসহ গ্রেফতার ৪
পানছড়িতে ১৯ ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
চাকুলিয়ায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
যশোরে কোকেনসহ ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
বান্দরবানে এক ভারতীয় আটক
বেনাপোলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৪ ভারতীয় আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাঁটাতারের বেড়া কেটে অনুপ্রবেশের সময়ে পাঁচ ভারতীয় আটক
বৈকারী সীমান্তে বিনা পাসপোর্টে অনুপ্রবেশকারী ১৩ ভারতীয় আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জন ভারতীয় আটক
পাদুয়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় আটক
চট্টগ্রামে জুয়েলারী কারখানার কর্মচারী দুই অবৈধ ভারতীয় আটক
বেনাপোলে বাংলাদেশে পাচারকালে শিশু ও মহিলাসহ ১০ ভারতীয় নাগরিককে আটক
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সাতক্ষীরায় ১৩ জন ভারতীয় আটক
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে মদ্যপ ৩ ভারতীয় আটক
শেরপুর ও ময়মনসিংহ কারাগারে আটক বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন ভারতীয় বন্দী
ভোমরায় ট্রাক বিক্রির সময় ভারতীয় চালক ও হেলপার আটক
বেনাপোলে জাল পাসপোর্টে অনুপ্রবেশের সময়ে তিন ভারতীয় আটক
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে দুই ভারতীয় আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দুই ভারতীয়কে আটক
পুঠিয়ায় ভারতীয় নাগরিক আটক
হিলি সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় এক ভারতীয় নাগরিককে আটক
জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন পাঁচুর মোড় এলাকায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ৩ জন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
বিরামপুর সীমান্তে ফেনসিডিলসহ ভারতীয় আটক বেনাপোলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৪ ভারতীয় আটক
বেনাপোলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৪ ভারতীয় আটক
দিনাজপুর সুন্দরা সীমান্তে ভারতীয় আটক
জৈন্তাপুরে অনুপ্রবেশকারী ছয় ভারতীয় আটক
মানিকগঞ্জে এক ভারতীয় নাগরিক আটক
দিনাজপুর সীমান্তে হিন্দিভাষী ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী আটক
পাবনার ঈশ্বরদীতে অয়েল মিলের প্রজেক্টে কর্মরত অবৈধ ভারতীয় নাগরিক আটক
বাংলাবান্ধায় ভারতীয় প্রেমিকযুগল আটক, পরে ফেরত
অনুপ্রবেশের অভিযোগে সিলেট সীমান্ত থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক ও পরে পুশব্যাক
পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার থেকে মাদক চোরাচালান চক্রের সদস্য দুই ভারতীয় গ্রেপ্তার
ভারতীয় জামাইয়ের অবৈধ অনুপ্রবেশ, অতঃপর গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়ে ৬ ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে প্রেরণ
ভারতীয় জঙ্গি মনসুর ঢাকায় গ্রেপ্তার
রাজধানীতে জঙ্গি সন্দেহে আরেক ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে বেনাপোলে আটক ১৯ ভারতীয়
কাঁটাতারের বেড়া কেটে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দিনাজপুরে এক ভারতীয় নাগরিক আটক
দিনাজপুরে আটক ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ’র নিকট হস্তান্তর
সাজা শেষে ৭ ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে হস্তান্তর
মংলায় গুপ্তচর সন্দেহে আটক ভারতীয় যুবককে আদালতে প্রেরণ
বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের পরে শিশু সহ ৪ ভারতীয় নাগরিক আটক
অনুপ্রবেশের দায়ে সিলেটে ৭ ভারতীয় আটক
খাগড়াছড়িতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পাঁচ ভারতীয় আটক
অবৈধ অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতারকৃত ভারতীয় বন্দীদের মধ্যে ৫৭ জন সম্প্রতি কারা-কর্তৃপক্ষের মানবিক উদ্যোগে মুক্তি পেলো
বার পঠিত
এই বিষয়ে ছোট্ট একটা উদাহরণ দেয়া যাক, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপন করা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কারণে দুটি দেশের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে চোরাচালানভিত্তিক ছোটখাটো যে ব্যবসাগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে তাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্রেফ ভারতের ত্রিপুরাতেই ২.৫ থেকে ৩.০ লক্ষ মানুষ। কারণ, ত্রিপুরার এই মানুষেরা তাদের জীবিকার জন্য বাংলাদেশের মানুষদের উপরেই নির্ভর করে থাকতো, যে কারণে ত্রিপুরার এই সকল মানুষেরা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কারণে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের উপর অত্যন্ত নাখোশ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজে প্রকাশিত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার উপর ক্ষুব্ধ ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী মানুষদের নিয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদন
আশা করি এর থেকে কিছুটা হলেও অনুমান করা যাচ্ছে যে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন কি পরিমাণ ভারতীয় বৈধ-অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বা প্রবেশ করতে চায়। অথচ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সবসময় দাবি করে আসছে যে কেবল বাংলাদেশীরাই ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য উন্মুখ এবং ভারতীয় সীমানার ভেতরে প্রবেশ করার অপরাধেই বিএসএফ তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে কিংবা বিভিন্ন উপায়ে শারীরিক নির্যাতন করে।
কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই যে বাংলাদেশীদের চেয়ে ভারতীয়রাই সবথেকে বেশী সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিডিআর কোন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে দেখামাত্র গুলি ছুঁড়ে না বলে কখনোই কেউ জানতে পারে না যে কতোজন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ঢুকেছিলো কিংবা অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ঠিক কতো হতে পারে। বিডিআর এর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কিংবা নির্যাতনের শিকার হয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা কখনো মৃত্যুবরণ করে না বলে দেশী ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে কখনোই ফলাও করে সীমান্তে ভারতীয় হত্যার খবর বের হয় না। যে কারণে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও বিশ্ববিবেক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধ ভারতীয় অনুপ্রবেশের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী কোন ভারতীয় যদি বিডিআর কিংবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যথাযথ আইনগত প্রতিবিধান নিশ্চিত করে।
সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশী হত্যা বিএসএফ কর্তৃক সংগঠিত কোন বিচ্ছন্ন ঘটনা নয়, এটা দিল্লীর একটি পরিকল্পিত নীলনকশা। বিভিন্ন ভারতীয় পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন সময়ে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের সাক্ষাতকার পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশকে তারা বাংলাদেশী ‘অভিবাসন’ বা Immigration হিসেবে প্রতিপন্ন করছেন এবং এই অভিবাসনকে তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশ কর্তৃক সীমান্ত দিয়ে অবাধ মুসলিম-জনসাধারণের অনুপ্রবেশের মাধ্যমে হিন্দুপ্রধান ভারতে পরিকল্পিত ‘ইসলামীকরণ’ বা Islamization সংঘটন হিসেবে মনে করছেন। এ কথা থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে দিল্লীর ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা তাদের স্ব-সংজ্ঞায়িত এই ‘ইসলামীকরণ’ বা Islamization কে অনতিবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে তৎপর হয়েছেন এবং এরপরেও কোন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ করলে তাকে দেখিবামাত্র গুলি (Shoot-at-Sight) করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
পরিকল্পিত ‘ইসলামীকরণ’ বা Islamization এর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। হিন্দুপ্রধান ভারতে মুসলিম জনসংখ্যার হার ১৩.৪%, কাজেই ১২১ কোটি জনসংখ্যার ভারতে মুসলিম জনসাধারণের সংখ্যাগত পরিমাণ ১৬.২১৪ কোটি যা বাংলাদেশের সর্বমোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশী। যে দেশে বাংলাদেশের সর্বমোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশী মুসলিম বসবাস করে সেই দেশে বাংলাদেশ কি করে মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পরিকল্পিত ‘ইসলামীকরণ’ বা Islamization সংঘটিত করে? আর তা ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের কেবলমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরাই ভারতে অভিবাসী হওয়ার জন্য সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে থাকে। এটা বাদে অন্য যারা অনুপ্রবেশ করে তারা জীবিকার প্রয়োজনেই অনুপ্রবেশ করে পরে আবার ফিরে আসে, চিরস্থায়ীভাবে ভারতে থেকে যাওয়ার জন্য যায় না কিংবা অভিবাসী হওয়ার জন্য যায় না।
ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে আরেকটা অভিযোগ করা হয়, সেটা হলো বাংলাদেশ নাকি পরিকল্পিতভাবে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের মুসলিম জনসংখ্যার হার অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এই কারণে নিকট ভবিষ্যতে আসাম নাকি একটি মুসলিম-প্রধান প্রদেশে পরিণত হবে!
এই অভিযোগও সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আসামে মুসলিম মোট জনসংখ্যার হার ৩০.৯% এবং এই হার ’৪৭ এর দেশভাগের আগ থেকেই বিদ্যমান ছিলো। কারণ, আসামের দুটা জেলা করিমঞ্জ(৫৩%) ও হাইলাকান্দি(৫৭%) মুসলিম প্রধান জেলা এবং অন্য আরেকটি জেলা কাছারের মুসলিম(৪৬%) জনসংখ্যাও প্রায় হিন্দুদের(৫০%) কাছাকাছি। এর কারণ প্রধানত দুটি। প্রথমত, আসামের বরাক উপত্যকার অর্ধেকই ছিলো ১৪ শতক থেকে মুসলিম তুর্ক-আফগান শাসনামল ও পরবর্তিতে মুঘল শাসনের অন্তর্ভুক্ত, যে কারণে বরাক উপত্যকায় মুসলিম জনসংখ্যা ও মুসলিম সংস্কৃতির বিকাশ ঘটতে থাকে সেই ১৪ শতক থেকেই। দ্বিতীয়ত, বঙ্গভঙ্গের ফলশ্রুতিতে ১৯০৫ সালে ভাইসরয় লর্ড কার্জন অবিভক্ত বাংলাকে ভেঙে দুই ভাগ করেন। সিলেট তো আগেই ছিল, এবার গোটা পূর্ববাংলাই অন্তর্ভুক্ত হয় চিফ কমিশনার্স প্রভিন্সে। নতুন নাম হলো 'ইস্টবেঙ্গল-আসাম' প্রভিন্স। প্রধান হলেন ইংরেজ লেফটেন্যান্ট গভর্নর, রাজধানী শিলং থেকে স্থানান্তর হলো ঢাকায়। এ সময় রাজস্ব আদায় আরো বাড়ানোর জন্য ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয় সরকার। স্থানীয় অহমিয়ারা কৃষিকাজে অনভ্যস্ত থাকার কারণে পূর্ববাংলার মুসলিম চাষীদের নিয়ে আসা হয় সরকারি উদ্যোগে। শুরু হয় স্থানান্তর ও বসতি স্থাপনের নতুন অধ্যায়। এর আগে এ অঞ্চলে কখনো পাট চাষ না হলেও প্রথমে ৩০ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় পাট চাষের জন্য। তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে অর্থকরী এই ফসলের উৎপাদনে বাঙালি কৃষকদের দক্ষতা অতুলনীয় ছিল বলে ১৯১৯-২০ সালে পাট চাষের জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ছয় হাজার একর, একই সঙ্গে মুসলিম অভিবাসীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৭৫ হাজারে। আশা করি এখন বুঝা যাচ্ছে, কেন আসামে মুসলিম বাঙ্গালীদের সংখ্যা ৩০.৯%।
তথ্যসূত্র: আসামের বরাক উপত্যকা
তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদন
আশা করি এখন বুঝা যাচ্ছে যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যে সব কারণে এবং যে সব সন্দেহের ভিত্তিতে সীমান্তে কোন বাংলাদেশী দেখামাত্র নির্বিচারে গুলি করে ও নির্যাতন করে হত্যা করছে সেইসব কারণসমূহ একেবারেই ভিত্তিহীন এবং তীব্র অবিশ্বাসে ভরা অলীক কল্পনাপ্রসূত। বরং তারা এইকথা ঘুনাক্ষরেও জানে না যে তাদের দেশের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও সীমান্তবর্তী ভারতীয় অধিবাসীরা কিভাবে বিভিন্ন প্রয়োজনে দলে দলে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করে এবং বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর সব কর্মকান্ডে জড়িত হয়। বাংলাদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন নিষিদ্ধ ভারতীয় মাদকদ্রব্যের চালান বয়ে আনা, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ইলিশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিচরণস্থলগুলোতে এসে ভারতীয় জেলেদের কোটি কোটি টাকার ইলিশ চুরি করে নিয়ে যাওয়া, বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বাংলাদেশী কৃষকদের ক্ষেতের ফসল কেটে নিয়ে যাওয়া নয়তো ক্ষেতের ফসল ট্রাক্টর নিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয়া, ভালো চাকরীর লোভে বাংলাদেশে ঢুকে ভারতীয় আত্মপরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নারী ও শিশু পাচার, জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটানোর জন্য ভারতীয় ইসলামী জঙ্গীদের অনুপ্রবেশ, এমন কি পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগরাছড়িতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী সংঘর্ষে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইন্ধন যোগানোর কাজেও জড়িত হওয়া, কি কি অপরাধ করছে না ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা?
বাংলাদেশের সীমান্তের ভিতরে ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কিছু কৃতকর্মের উদাহরণ উল্লেখ করছি:
অবৈধভাবে সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরস্থ ইলিশের সবথেকে প্রসিদ্ধ বিচরণস্থলগুলো থেকে ভারতীয় জেলেরা কোটি কোটি টাকার ইলিশ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে:
ইলিশের ভরা মৌসুমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ইলিশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিচরণস্থলগুলো থেকে কোটি কোটি টাকার ইলিশ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জেলেরা, তাদের দৌরাত্ম্যে বাংলাদেশী জেলেরাই নিজেদের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরতে যেতে পারছে না। একদিকে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে কম দামে ইলিশ বাগিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন আর অন্যদিকে উনার দেশের জেলেরা বিনা পয়সাতেই ফ্রি ইলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, কি অসাধারণ ইলিশলোভী ভারতীয় তৎপরতা !!
পৃথিবীর মোট ইলিশের ৫০-৬০% আহরিত হয় বাংলাদেশ থেকে, যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে হয়তো অচিরেই পাটশিল্পের মতো ইলিশও আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলিতে এই নিয়ে কিছু সংবাদ প্রতিবেদন:
দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন
দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদন
দৈনিক সমকালের প্রতিবেদন
দৈনিক আমার দেশের প্রতিবেদন
দৈনিক সকালের খবরের প্রতিবেদন
দৈনিক সংগ্রামের প্রতিবেদন
কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনী একই অপরাধে শত শত ভারতীয় জেলেকে গ্রেফতার করেছিলো এবং বেশ কিছু জেলেকে গুলি করে হত্যাও করেছিলো, কিন্তু আমাদের নৌবাহিনী ভারতীয় জেলেদের এইসকল অপরাধ স্রেফ চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
তথ্যসূত্র: NDTV News - Indian fisherman killed as Lankan Navy opens fire
তথ্যসূত্র: BBC News - Sri Lanka arrests Indian fishermen 'in its waters'
ভালো চাকরীর লোভে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে ভারতীয় আত্মপরিচয় গোপন করে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করছে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা:
বিএসএফ এর নির্বিচার সীমান্তহত্যার পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে প্রায় সবসময়েই বাংলাদেশের ব্লগগুলোতে আগত ভারতীয় দাদারা বলে থাকেন যে দরিদ্র বাংলাদেশীরা নাকি ভালো চাকরীর লোভে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্য সর্বদা উন্মুখ হয়ে থাকে, ফেলানী হত্যার সময়েও কলকাতার ব্লগসাইট লোটাকম্বলে দাদারা ফেলানী-হত্যার বিচার না চেয়ে বরং ভারতে যেন কাজের সন্ধানে আসতে না হয় সেই জন্য বাংলাদেশীদেরকে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং এই সেইদিনও সামুর কলকাতাবাসী এক ব্লগার দাদা বলে গেলেন যে ভালো কাজ পাওয়ার জন্যই বাংলাদেশীরা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যায়। কিন্তু, বড়লোক ভারতীয়রাও যে চোরের মতোন চুপি চুপি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গরীব বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরী করার লোভ সামলাতে পারে না সেটা দাদারা বোধহয় জানেন না। বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালের নার্স থেকে শুরু করে স্বর্ণকার, বাংলাদেশী অয়েল মিলের কর্মচারী কোন চাকরীর লোভ ছাড়তে পেরেছে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা?
ভারতীয় আত্মপরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালে কর্মরত এক নারী
চট্টগ্রামে জুয়েলারী কারখানার কর্মচারী দুই অবৈধ ভারতীয় আটক
পাবনার ঈশ্বরদীতে অয়েল মিলের প্রজেক্টে কর্মরত অবৈধ ভারতীয় নাগরিক আটক
বাংলাদেশে জঙ্গী তত্পরতা বাড়াতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে ভারতীয় ইসলামী জঙ্গীরা:
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে একথা ফলাও করে প্রচার করা হয় যে বাংলাদেশের ইসলামী জঙ্গীরা নাকি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সেদেশে জঙ্গী তৎপরতা বাড়াচ্ছে, ভারতে অভ্যন্তরে ইসলামী জঙ্গী তৎপরতার জন্য বাংলাদেশ দায়ী ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু বাস্তবতা বলছে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা, ভারত থেকে ইসলামী জঙ্গীরা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতা বাড়াচ্ছে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্নস্থানে ভারতীয় ইসলামী জঙ্গী গ্রেফতারের ঘটনা এ কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ২ভারতীয় জঙ্গি আটক
ভারতীয় জঙ্গী মনসুর ঢাকায় গ্রেপ্তার
ভারতীয় জঙ্গী ওবায়দুল্লাহ ঢাকায় গ্রেফতার
ভারতীয় জঙ্গী এমদাদুল্লাহ ঢাকায় গ্রেফতার ও ৪ দিনের রিমান্ডে
ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আমাদের কৃষকদের ক্ষেতের ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে এবং কৃষকদের ক্ষেতের ফসল ট্রাক্টর দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে:
সিলেটের তামাবিল সীমান্তে বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতীয় নাগরিকরা সীমান্তের ১৫০ গজ ভেতরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে কৃষকদের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিডিআর বাধা দিলেও সে বাধা মানছে না তারা। নিজেদের জমির ধান অন্যরা কেটে নেয়া সত্ত্বেও কিছু করতে না পারার ক্ষোভ ও আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সীমান্তের কৃষকরা।
এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয়রা ট্রাক্টর দিয়ে বাংলাদেশী কৃষকদের ফসলের মাঠ চষে দেয়ার ঘটনায় সীমান্তে এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উপজেলার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন মোহাম্মদপুর এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিল। গতকাল বিকালে ভারতের বাউশমারী এলাকার শত শত ভারতীয় কৃষক লাঠিসোটা নিয়ে বিএসএফের সহযোগিতায় ১৫৭ নম্বর সীমান্ত পিলার পার হয়ে অনুপ্রবেশ করে ট্রাক্টর দিয়ে বাংলাদেশী কৃষকদের ওই ফসলের মাঠ চষে দেয়। মোহাম্মদপুর সীমান্তবাসী এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে। সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে এ নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার বগমারী ক্যাম্পের বিডিআরের পক্ষ থেকে ভারতের বাউশমারী ক্যাম্পের বিএসএফের কাছে বাংলাদেশী কৃষকদের জমি চষে দেয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়।
সিলেটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয়রা : সহযোগিতা করছে বিএসএফ
বাংলাদেশী কৃষকদের ফসল নষ্ট করে দিল ভারতীয়রা : দৌলতপুর সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গ্রেফতার হওয়া ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কর্মকান্ড নিয়ে আরও কিছু সচিত্র সংবাদ প্রতিবেদন:
জয়পুরহাটে বৈধ পাসর্পোট ছাড়া অনুপ্রবেশকারী ৩ ভারতীয় নাগরিক কে আটক করেছে র্যাব
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে মদ্যপ অবস্থায় র্যাবের হাতে তিন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী আটক
হিলি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নাগরিক আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিংনগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা
By বাংলা-নিউজ ২৪ দিনাজপুর সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক হিন্দিভাষী এক ভারতীয় পাগল প্রকৃতির যুবক আটক
বেনাপোলে জাল পাসপোর্টসহ তিন ভারতীয় নাগরিক আটক
সাতক্ষীরায় ভারতীয় মালবাহী ট্রাক বিক্রির সময় ভারতীয় চালক ও হেলপার আটক
ভূরুঙ্গামারী হাটে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী আটক, ১৮টি গরু ও ১টি হোন্ডার হদিস নেই
আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়া ভারতীয় ফারুক মাদ্রাজি সহযোগীসহ গ্রেফতার
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা চেঁচড়া গ্রাম থেকে পুলিশ ভারতীয় শরণার্থী শিবিরের পিতাকন্যাকে আটক করেছে।
ভারতীয় জামাইকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার দায়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
অনুপ্রবেশের দায়ে সিলেটের তামাবিলে ৭ ভারতীয় আটক
জাফলংয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ৬ ভারতীয়
বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নারী-শিশুসহ ১৫ জন আটক
বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে অবৈধভাবে মাছ চুরি করার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের কাছেই আশ্রয় নিলো ৭৯ জন ভারতীয় জেলে
ভারতীয় ১৫ জেলেসহ একটি মাছ ধরা ট্রলার উদ্ধার
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে বিভিন্ন সময়ে বিএসএফ তাদের ভারতীয় নাগরিকদেরকেই মেরে কেটে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ফেলে রেখে যায়:
গত মে মাসে রাজশাহীর খানপুর সীমান্তে বিএসএফর নির্যাতনে আহত এক ভারতীয় নাগরিককে মুমূর্ষু অবস্থায় বুধবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গরু ব্যবসায়ী ভারতীয় ওই নাগরিকের নাম রঞ্জিৎ মণ্ডল (৩২)। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার কাতলামারি থানার বানু সরকারের পাড়ার রঘুনাথ মণ্ডলের পুত্র বলে জানা গেছে।
এদিকে গত জুলাই মাসে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত ভারতীয় নাগরিক আলমগীর হোসেন কালুর লাশ ভারতীয় হাই কমিশনের সম্মতিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই দাফনের উদ্যোগ নিয়েছে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
ভারতীয়কে পিটিয়ে মুমূর্ষু করে বাংলাদেশে ফেললো বিএসএফ
বিএসএফ’র গুলিতে নিহত ভারতীয়’র দাফন বাংলাদেশেই
পরিশেষে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আটককৃত অবৈধ ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ-প্রতিবেদনসমূহের একটি তালিকাভিত্তিক আর্কাইভ:
ভারতীয় আত্মপরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালে কর্মরত এক নার্স
লামায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করার অপরাধে ভারতীয় নাগরিকের ১ বছর সশ্রম কারাদন্ড
বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জেলেদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধভাবে বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ আহরণ
বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জেলেদের অবৈধ প্রবেশ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইলিশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিচরণস্থলগুলো থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ইলিশ চুরি করার সাথে বাংলাদেশী জেলে-নৌকায় ডাকাতি সংঘটন
সিলেটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয়রা : সহযোগিতা করছে বিএসএফ
বাংলাদেশী কৃষকদের ফসল নষ্ট করে দিল ভারতীয়রা : দৌলতপুর সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা
জয়পুরহাটে তিন ভারতীয় গ্রেফতার
শিবগঞ্জ উপজেলার শিংনগর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কেটে বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্যসহ বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৫ ভারতীয় গ্রেফতার
বান্দরবানে আবারও ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
জয়পুরহাটে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
গোদাগাড়ী সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকসহ গ্রেফতার ৪
পানছড়িতে ১৯ ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
চাকুলিয়ায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
যশোরে কোকেনসহ ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
বান্দরবানে এক ভারতীয় আটক
বেনাপোলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৪ ভারতীয় আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাঁটাতারের বেড়া কেটে অনুপ্রবেশের সময়ে পাঁচ ভারতীয় আটক
বৈকারী সীমান্তে বিনা পাসপোর্টে অনুপ্রবেশকারী ১৩ ভারতীয় আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জন ভারতীয় আটক
পাদুয়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় আটক
চট্টগ্রামে জুয়েলারী কারখানার কর্মচারী দুই অবৈধ ভারতীয় আটক
বেনাপোলে বাংলাদেশে পাচারকালে শিশু ও মহিলাসহ ১০ ভারতীয় নাগরিককে আটক
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সাতক্ষীরায় ১৩ জন ভারতীয় আটক
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে মদ্যপ ৩ ভারতীয় আটক
শেরপুর ও ময়মনসিংহ কারাগারে আটক বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন ভারতীয় বন্দী
ভোমরায় ট্রাক বিক্রির সময় ভারতীয় চালক ও হেলপার আটক
বেনাপোলে জাল পাসপোর্টে অনুপ্রবেশের সময়ে তিন ভারতীয় আটক
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে দুই ভারতীয় আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দুই ভারতীয়কে আটক
পুঠিয়ায় ভারতীয় নাগরিক আটক
হিলি সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় এক ভারতীয় নাগরিককে আটক
জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন পাঁচুর মোড় এলাকায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ৩ জন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
বিরামপুর সীমান্তে ফেনসিডিলসহ ভারতীয় আটক বেনাপোলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৪ ভারতীয় আটক
বেনাপোলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৪ ভারতীয় আটক
দিনাজপুর সুন্দরা সীমান্তে ভারতীয় আটক
জৈন্তাপুরে অনুপ্রবেশকারী ছয় ভারতীয় আটক
মানিকগঞ্জে এক ভারতীয় নাগরিক আটক
দিনাজপুর সীমান্তে হিন্দিভাষী ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী আটক
পাবনার ঈশ্বরদীতে অয়েল মিলের প্রজেক্টে কর্মরত অবৈধ ভারতীয় নাগরিক আটক
বাংলাবান্ধায় ভারতীয় প্রেমিকযুগল আটক, পরে ফেরত
অনুপ্রবেশের অভিযোগে সিলেট সীমান্ত থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক ও পরে পুশব্যাক
পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার থেকে মাদক চোরাচালান চক্রের সদস্য দুই ভারতীয় গ্রেপ্তার
ভারতীয় জামাইয়ের অবৈধ অনুপ্রবেশ, অতঃপর গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়ে ৬ ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে প্রেরণ
ভারতীয় জঙ্গি মনসুর ঢাকায় গ্রেপ্তার
রাজধানীতে জঙ্গি সন্দেহে আরেক ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে বেনাপোলে আটক ১৯ ভারতীয়
কাঁটাতারের বেড়া কেটে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দিনাজপুরে এক ভারতীয় নাগরিক আটক
দিনাজপুরে আটক ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ’র নিকট হস্তান্তর
সাজা শেষে ৭ ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে হস্তান্তর
মংলায় গুপ্তচর সন্দেহে আটক ভারতীয় যুবককে আদালতে প্রেরণ
বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের পরে শিশু সহ ৪ ভারতীয় নাগরিক আটক
অনুপ্রবেশের দায়ে সিলেটে ৭ ভারতীয় আটক
খাগড়াছড়িতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পাঁচ ভারতীয় আটক
অবৈধ অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতারকৃত ভারতীয় বন্দীদের মধ্যে ৫৭ জন সম্প্রতি কারা-কর্তৃপক্ষের মানবিক উদ্যোগে মুক্তি পেলো
এই অসাধারণ সঙ্কলনটি তৈরী করেছেন ব্লগার : দিগন্তের পথিক । প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীর পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা! এই কপিটি আপনার মূল পোষ্টের একটা নিরাপদ ব্যাকাপ হিসেবে রইলো ।
বার পঠিত
2 comments:
ভূমিকা (দিগন্তের পথিকের পোষ্ট থেকে কপি):
সম্মানিত ব্লগারবৃন্দের নিকট আমার একটি বিশেষ অনুরোধ: বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্লগে ভারতীয় দাদা, ভাদা, ভাকু, ভাজাকাররা সীমান্তে বিএসএফ এর নির্বিচার হত্যা ও নির্যাতনের সপক্ষে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সীমান্ত-হত্যাকে বৈধ ও আইনসঙ্গত হিসেবে তুলে ধরার জন্য সাফাই গায় কিংবা সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেইসব ভারতীয় দাদা, ভাদা, ভাকু, ভাজাকাররা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের স্বগোত্রীয় ভারতীয়দের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধকর্ম সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না কিংবা জ্ঞান রাখলেও সেটা কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের সেই বিষদাঁতকে ভেঙ্গে দেয়ার জন্যই গত বেশ কয়েকদিন ধরে আমি অনেক খাটাখাটি করে অনেক তথ্য খুঁজে পেতে বিভিন্ন সংবাদ-প্রতিবেদনের আর্কাইভমূলক এই পোস্টটি তৈরী করেছি। আপনাদের সকলের নিকট আমার একটি একান্ত অনুরোধ রইলো, আপনারা এই পোস্টটি কিংবা পোস্টের লিঙ্কটি অনুগ্রহ করে সংগ্রহ করে রাখুন। কেননা, কোন ভারতীয় দালাল যদি ভবিষ্যতে কখনো বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএসএফ এর সীমান্ত-হত্যাকে বৈধ করার চেষ্টা করে তাহলে সাথে সাথে এই পোস্টটি সেখানে তুলে ধরে তাদের বিষদাঁতকে ভেঙ্গে দিবেন। বিএসএফ এর অন্যায় সীমান্ত-হত্যাকান্ডের সপক্ষে সাফাই গাওয়া ভারতীয় দালালদের বিষদাঁতকে যদি এর মাধ্যমে চিরতরে ভেঙ্গে দেয়া যায় তাহলেই আমার এতদিনের পরিশ্রম সার্থক হবে। সবাইকে ধন্যবাদ।
vy mukhe bolar moto vasa ney...khub sundor lekhsen