বিউটি পার্লার হিসেবে পারসোনা অনেক নামডাক করেছে। রাজধানী জুড়ে অনেক শাখা রয়েছে পারসোনার। আজ শুক্রবার [৩০ সেপ্টেম্বর] পারসোনার বনানী শাখা থেকে একটি লুকানো ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে । এ নিয়ে পারসোনা কর্তৃপক্ষ ও এক মহিলা গ্রাহকের সঙ্গে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক পারসোনার বনানী শাখায় স্পা করাতে যান। ওই ভদ্রমহিলা একটি বিশেষ কক্ষে স্পা করাতে চাইলে তাকে আলাদা একটি কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রথমে পোশাক পরিবর্তন করে নির্ধারিত পোশাক পড়তে বলা হয়। পোশাক পরিবর্তন শেষে তিনি ওই কক্ষে একটি গোপন ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। পরে ক্যামেরা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে পারসোনা কর্তৃপক্ষ একেক সময় একেকরকম কথা বলতে থাকেন। এর মধ্যে খবর পেয়ে নারী চিকিৎসকের স্বামী ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। পরে পারসোনা কর্তৃপক্ষ ও তাদের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভিডিও
ঘটনাস্থলে যাওয়া গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ যাওয়ার আগেই পারসোনা কর্তৃপক্ষ ভিডিও ক্যামেরাটি খুলে ফেলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায়, ওই নারী চিকিৎসকের চাপের মুখে পারসোনা কর্তৃপক্ষ গোপন ক্যামেরার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে রেকর্ডকৃত অংশটুকু নারী চিকিৎসককে দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে। রেকর্ডকৃত অংশ একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে লোড করার সময় পারসোনার দুই পুরুষকর্মী তাদের নিজেদের পেনড্রাইভে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী চিকিৎসকের স্বামী তাদের কাছ থেকে ভিডিওকৃত অংশটুকু নিয়ে নেয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পারসোনা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টির সমঝোতা করার চেষ্টা করছিল।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, পারসোনার ভেতরে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ওই নারী অভিযোগ দিলে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পারসোনার বনানী শাখার কর্মকর্তা তাহিয়া কোনো কিছু বলতে রাজী হননি। পারসোনার সত্ত্বাধিকারী কানিজ আলমাস খানের একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
যৌথবিবৃতিতে কানিজের খরচ ১৬ লাখ টাকা!
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: মাত্র ১৬ লাখ টাকায় ব্যবসায়ী ইশতিয়কের মুখ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে পারসোনা। তবে এ কাজটি করতে ঘটনার পর প্রায় প্রতিদিনই পারসোনার সত্ত্বাধিকারী কানিজ আলমাসকে বেশ কয়েকবার তার বাসায় যেতে হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে মিনতি করে যখন কাজ হচ্ছিলো না তখন সৃষ্টি করা হয় নানা ধরনের চাপ। এর মধ্যে পেশীশক্তিধারীদের ছাড়াও উর্ধ্বতন প্রভাবশালী মহলকেও ব্যবহার করেন কানিজ আলমাস।
অবশেষে ১৬ লাখ টাকা দিয়েই রফা হয় একটি যুক্ত বিবৃতির, নিশ্চিত করে সূত্রটি।
পরে দেশের একটি প্রথম সারির দৈনিক একটি বিজ্ঞাপনসহ ওই বিবৃতির খবর প্রকাশ করে। পরে অরো কয়েকটি দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেয় পারসোনা। কিন্তু এতে শেষরক্ষা এখনো হয়নি পারসোনার। পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো দেওয়া হয়নি। তদন্তকারীরা শেষ পর্যন্ত কী রিপোর্ট দেয় তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও পারসোনা তার চাপ প্রয়োগের অব্যাহত রেখেছে।
শনিবারের পাওয়া বিভিন্ন সূত্রের খবরে এসব প্রভাব খাটানোর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, পারসোনায় স্পা করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই যে ভিডিও ফুটেজের শিকার হয়েছেন তা দেখার পর মানসিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন সেই নারী চিকিৎসক।
তার ব্যবসায়ী ও ক্রীড়াসংগঠক স্বামী ইশতিয়াক প্রথমে মামলা করার উদ্যোগ নিলেও শেষপর্যন্ত পিছু হঠতে বাধ্য হন। বিভিন্ন ধরনের চাপের মুখে এক পর্যায়ে স্ত্রীর এমন চরম অপমানকেও মেনে নেন তিনি। বিনিময়ে কানিজ আলমাস তাকে দেন মাত্র ১৬ লাখ টাকা। যদিও ইশতিয়াকের স্ত্রী ওই ঘটনার পর অসুস্থ্য হয়ে কয়েকদিন কাজেও যোগ দিতে পারেন নি।
বিষয়টি এমনভাবে রফা করার কারণে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে এমনকি ক্রীড়াঙ্গনেও ব্যাপক নিন্দা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ইশতিয়াককে।
চাপ প্রয়োগের ব্যাপারে সূত্রটি জানায়, প্রায় প্রতিদিনই ৩/৪টি দামি গাড়ি হাঁকিয়ে একটি বড় দল নিয়ে কানিজ আলমাস ইশতিয়াকের বাড়িতে যান। সেখানে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
ইশতিয়াকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানায়, তাকে একই সঙ্গে পেশি শক্তির ব্যবহারের হুমকি দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে ফোন করানো হয়। এক পর্যায়ে পরিবারের সবাই ভীত সন্ত্রস্ত হয়েই এ বিষয়ে রফা করতে রাজি হয়।
বাংলাদেশ সময় ২০৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১১
প্রথম আলো পত্রিকার হলুদ সাংবাদিকতার স্বরূপ ।
ধিক প্রথম আলো!
http://www.mediafire.com/?dktb1t263gbgzik
পারসোনা- কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজছে এই অশান্ত হৃদয়- পারলে উত্তর দিয়ে যাও মক্ষীরানি কানিজ
যেখানে টাকার লোভে মানুষ হারিয়েছে মনুষ্যত্ব, বিবেককে করেছে গৃহ বন্দি। আজ বুক উঁচিয়ে প্রচার করছে নগ্নতাই অশ্লীলতা নয়। এ শ্রেণীর মানুষই আজ নারীকে বানিয়েছে পণ্য।নারীকে নিয়ে করছে খেলা। নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে করছে মানসিক ও শারীরিক ভাবে বস্ত্রহীন।
কানিজ আলমাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আজ নতুন নয়। এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছিল কিন্তু ছিলো না প্রমান। আজ প্রমান মিলেছে মুখোশ খুলেছে এক মক্ষীরানি কানিজের।
অনেকে বুঝে ফেলেছেন কেন লেখার বিষয়বস্তু কানিজ আলমাস। নাহ কানিজ নয় ঘটনা মূলত তার প্রতিষ্ঠান “পারসোনা” নিয়ে।
কি ঘটেছিলো পারসোনার বনানী শাখায়ঃ
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর, পারসোনার বনানী শাখার উদ্বোধন হয়। এরপর থেকে সৌন্দর্য পিয়াসী নারীরা এখান থেকে নিজেদের রাঙিয়ে নিতে থাকেন।
গতকাল ঘটে একটি বিপত্তি। জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালের এক নারী চিকিত্সক পারসোনার বনানী শাখায় স্পা করাতে যান। ওই ভদ্রমহিলা একটি বিশেষ কক্ষে স্পা করাতে চাইলে তাকে আলাদা একটি কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রথমে পোশাক পরিবর্তন করে নির্ধারিত পোশাক পরতে বলা হয়। পোশাক পরিবর্তন শেষে তিনি ওই কক্ষে একটি গোপন ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। পরে ক্যামেরা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে পারসোনা কর্তৃপক্ষ একেক সময় একেক রকম কথা বলতে থাকেন। খবর পেয়ে নারী চিকিত্সকের স্বামী ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। পরে পারসোনা কর্তৃপক্ষ ও তাদের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, ওই নারী চিকিত্সকের চাপের মুখে পারসোনা কর্তৃপক্ষ গোপন ক্যামেরার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে রেকর্ডকৃত অংশটুকু নারী চিকিত্সককে দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে। পরে রেকর্ডকৃত অংশ একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে লোড করার সময় পারসোনার দুই পুরুষকর্মী তাদের নিজেদের পেনড্রাইভে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী চিকিত্সকের স্বামী তাদের কাছ থেকে ভিডিওকৃত অংশটুকু নিয়ে নেয়।এরপর পুলিশ আসলে একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও কম্পিউটার হার্ডডিস্ক জব্দ করেন।পারসোনার মালকিন কানিজ আলমাস খান মিডিয়াকে জানান,‘একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের ভুলের কারনে সিসি ক্যামেরাটি সামান্য ঘুরে যায় ফলে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে’ অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
“এটা হলো মোটামুটি ঘটনার সারসংক্ষেপ”।
পুলিশের বক্তব্যঃ
“ঘটনাস্থলে যাওয়া গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ যাওয়ার আগেই পারসোনা কর্তৃপক্ষ ভিডিও ক্যামেরাটি খুলে ফেলে। পারসোনার ভেতরে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ওই নারী এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “
- আমি ভাই এত কথা বুঝি না। আমার কথা যেখানে চোর পুলিশের চোখের সামনে আমার ঘর চুরি করছে সেখানে আমাকে আবার চোরের নামে নালিশ করতে হবে কেন?? কই আজ তো জগন্নাথ বা কোন দাবী আদায়ের আন্দোলন, বা তেল-গ্যাস নিয়ে কোন আন্দোলন হলে পুলিশ স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলা করে, তাহলে এমন একটি ঘৃণ্য কাজে কেন আবার অভিযোগ করতে হবে??
- আজ যদি কানিজ আলমাস পুলিশ ও সকারের আমলাদের ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে কাল পুলিশ মাস্ট রিপোর্ট দিবে ভিডিও তে কিছু পাওয়া যায় নি।তখন আপনারা কি বলবেন??
কানিজ আলমাসের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ ছিলো। কি অভিযোগ তা জানার আগে একটু কানিজ আলমাস সম্পর্কে জেনে আসি। সৌন্দর্য সচেতন, ফ্যাশনেবল নারীরা রূপচর্চা, মেকআপের জন্য পারসোনাকে স্টাইল আইকন মানেন। এর কর্ণধার কানিজ আলমাস ’বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯’ এর পাঁচজন সেরা ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বের একজন। তিনিও বিজনেস আইকন হয়ে উঠেছেন।
কিন্তু তার এই বিজনেস আইকন হয়ে উঠার পিছনে শুধু পারসোনাই নয়, রয়েছে আরও হরেক রকম ব্যাবসা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যারা পারসোনাতে সেবা নিতে যান তাদের নগ্ন বা অর্ধনগ্ন শরীর গোপনে ভিডিও করে ব্লাকমেইল করার। এ ছাড়া মধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের ফুসলিয়ে ও অর্থ লোভ দেখিয়ে বিত্তবানদের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করেন। সোজা বাংলায়, কল গার্ল সাপ্লাইয়ার। কাল তার কিছু মাত্র প্রমান মিলেছে।
বিত্তবানদের ও সমাজের প্রভাবশালী দের সাথে উঠা বসার কারণে কেউ এসবের প্রতিবাদ ও করতে পারে না। জানি না এখন পর্যন্ত কত গুলো মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে এই নব্য পর্ণ ব্যাবসায়ী।
এবার আগের প্রসঙ্গে ফিরে যাই।
গতকাল নিউজটি প্রচার হয় মূলত ফেসবুকে “বিকল্প মিডিয়া” নামক পেজ থেকে। এরপর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবাই খবরটি ছড়িয়ে দেয়। এরপর বিক্ষুব্দ মানুষ পারসোনার ফেসবুক পেজে এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাতে থাকলে তারা সবার পোস্ট রিমুভ মারতে থাকে।আমাকে তারা ব্যান করেছে। পরিশেষে ব্যাবসায়িক সম্মান রক্ষার্থে তারা পেজটি বন্ধ করে দেয়। মূলত এর মাধ্যমে তারা প্রমান করলো, পার্লারের ব্যাবসার আড়ালে তারা কি ব্যাবসা করছে?? আজকের অনেক পত্রিকায় সংবাদটি এসেছে। আমরা যখন আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার জন্য হিডেন ক্যামেরা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করছি তখনি জানা গেলো নারীদের একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ চলছে। নারী হয়ে নারী দেহ নিয়ে ব্যাবসা করার এ কেমন খায়েস??
ব্লগার জিকসেস, পারসোনার ওয়ালে জানতে চেয়েছিলেন,
//একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের ভুলের কারনে সিসি ক্যামেরাটি সামান্য ঘুরে যায় ফলে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে ।- কানিজ আলমাস//
তোমার কি ধারনা মানুষ ঘাষ খায়? ট্রায়াল রুমে সিসি ক্যামেরা থাকবে কেন? আর অন্য রুম থেকে ক্যামেরা ঘুরে ট্রায়াল রুমে আসবে?
বিনিময়ে তাঁকে ব্যান খেতে হলো। কনজিউমার হিসাবে আমরা কি তোমাদের কাছে জবাব চাইতে পারি না??
ইলেকট্রিসিয়ানের ভুলের কারণে ক্যামেরা ঘুরে যাওয়ার বক্তব্যের আগে এটা বোঝা জরুরী, বস্তুত ক্যামেরাটিই ভুল জায়গায় ছিল। যদি এ ধরণের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কারণে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকে তবে তা এনট্র্যান্স বা প্রবেশ পথে, রিসিপশনে, ক্যাশ কাউন্টারে থাকতে পারে। একটি বিউটি পার্লারে স্পা কক্ষে অথবা পোষাক পাল্টানোর কক্ষে বা এর আশেপাশের কোন কোণে যে কোন ধরণের ক্যামেরা বসানোর উদ্দেশ্য কোনভাবেই শুভ নয়, তা সে ক্যামেরা যে দিক ঘুরিয়েই বসানো হোক না কেন।
এরপর আসা যাক ক্যামেরা মনিটরিংয়ের বিষয়ে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, পারসোনার পুরুষকর্মীরা তড়িৎ ভিডিও ফুটেজ পেন ড্রাইভে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তাহলে ওই পুরুষ কর্মীরা কানিজ আলমাসের সেই তথাকথিত ’অনিচ্ছকৃত ভুল’ বিষয়ে ভালভাবেই অবগত ছিলেন। প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ নারী ব্যবসায়ি কানিজ আলমাস এই পোষাক পরিবর্তন কক্ষে বসানো ক্যামেরা মনিটরিংয়ের জন্য পুরুষকর্মী নিয়োগ দিয়ে নিশ্চিতভাবে আরো একটি ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ করেছিলেন।
কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজছে এ অশান্ত হৃদয়--
- এ ধরনের কয়টি ক্যামেরা বসানো পাওয়া গেছে পারসোনার বনানী ব্রাঞ্চে পোষাক পরিবর্তন কক্ষে বা স্পা কক্ষে?
- যেহেতু ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ক্যামেরা বসানো হয়েছে, তাহলে একাধিক ক্যামেরা বসানো থাকার কথা!
- ক্যামেরাগুলো কবে বসানো হয়েছে?
- ক্যামেরা ঘুরে গেছে তা এতো তাড়াতাড়ি কানিজ আলমাস নিশ্চিত হলেন কিভাবে?
- ক্যামেরা ইলেকট্রিসিয়ানের দোষেই ঘুরেছে এটাই বা কানিজ আলমাস নিশ্চিত করে বলছেন কিভাবে?
- তাহলে কানিজ আলমাস এটাও জানাক, ক্যামেরাগুলো ঠিক কবে ও কখন থেকে কত ডিগ্রী কোণে ঘুরে গেছে?
- যদি ক্যামেরা আজকের আগে ঘুরে গিয়ে থাকে, তাহলে তার কর্মীরা এখন পর্যন্ত কতগুলো আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ গোপনে সংগ্রহ করেছে, তাও কানিজ আলমাস আমাদের জানাতে পারেন।
- পারসোনার অন্যান্য ব্রাঞ্চগুলোতেও কি একই ধরনের কক্ষে ক্যামেরা বসানো আছে? সেখানকার ক্যামেরাগুলো কত ডিগ্রী ঘুরে আছে, তা কানিজ আলমাসের কাছে প্রশ্ন।
- সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত নিরাপত্তাজনিত ফুটেজগুলো যে সব কর্মীরা পর্যবেক্ষণ করে, তাদের তত্বাবধান করে কে?
- নিরাপত্তাজনিত কারণে বসানো সিসি ক্যামেরা দিয়ে ধারণকৃত ভিডিও রেকর্ডগুলো কি পরবর্তীতে নিয়মিত/অনিয়মিতভাবে রিভিউ হতো?
- কে রিভিউ করতো?
- পোষাক পরিবর্তন রূমের আশেপাশে থাকা সিসি ক্যামেরায় আসলে কি ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতো পারসোনার?
উত্তরগুলো সন্তোষজনক না হলে বুঝতে হবে, পারসোনা ’ইচ্ছাকৃতভাবে’ এ ধরণের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছে। তাহলে সরল প্রশ্ন- কী করা হতে পারে এইসব ভিডিও ফুটেজ দিয়ে? উত্তরটা অবশ্য ভয়াবহ। এইসব ভিডিও ফুটেজ অবধারিতভাবে পর্নগ্রাফি হিসেবে সরবরাহ হয়।
তবে এ কথা মনে রাখতে হবে, এই ধরনের অপরাধী যে শুধু পারসোনা তা ভাবা ভূল হবে। অনন্য পার্লার গুলো নিশ্চয় এমন হীন কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের মিডিয়া কখনোই এসব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে যায় না, তাই সংবাদ গুলো বিস্তারিত না আসাই স্বাভাবিক। আপনি আপনার প্রিয় জনদের সচেতন করুন। তা না হলে কোনদিন হয়তো আপনার প্রিয়জনের নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার খবর আপনাকে শুনতে হতে পারে।
আমাদের দাবীঃ
- পুলিশ প্রশাসনকে এখনি পারসোনার সকল আউটলেট সিজ করে তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হোক।
- দেশের সকল বিউটি পার্লার সার্চ করা হোক। এ ক্ষেত্রে সকল বিউটি পার্লারকে সম্ভাব্য অপরাধী মনে করতে হবে।
- পারসোনার ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
নাহ আমরা কোন কানামাছি বা বৌছি খেলার মতো রঙ্গ করতে নামিনি। আমরা আজ কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষের শাস্তির বিধান নিশ্চয়তার দাবী নিয়ে এসেছি। নাহলে আবার শহীদ মিনার আমাদের ডাকছে, এ কথা মাথায় রাখতে হবে।
ঘটনা ১ :
স্টাফ রিপোর্টার : স্যার কোন এক জায়গায় কোনো এক মাদ্রাসার কোনো এক শিক্ষক কোনো এক ছাত্র কে থাপ্পর মেরেছে।
সম্পাদক : তারাতারি প্রথম পাতায় রিপোর্ট কর, "ছাত্রকে অকত্থ নির্যাতন , মেরে থেতলে দিয়েছে অমুক মাদ্রাসার এক শিক্ষক" !
ঘটনা ২ :
স্টাফ রিপোর্টার : স্যার কোনো এক মাদ্রাসায় একটা কৌটা পাওয়া গিয়েছে !
সম্পাদক : ব্রেকিং নিউজ দিয়ে দাও !! "একেকটি মাদ্রাসা যেন একেকটি মিনি ক্যান্টনম্যান্ট, জঙ্গী প্রশিক্ষন কেন্দ্র !!" এই শিরোনামে বিশেষ একটি প্রতিবেদন লেখ , অবশ্যই প্রথম পাতায় দিবা ।
ঘটনা ৩ :
স্টাফ রিপোর্টার : স্যার কোনো এক মাদ্রাসায় ছোট বাচ্চাকে আটকিয়ে পড়ানো হচ্ছে ।
সম্পাদক : এখনি লিখ একটি ফিচার্ড প্রতিবেদন , "মার্শাল ল তরিকায় কমলমতি শিশুদের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা : জড়িত মাদ্রাসার এক শিক্ষক" !
পরে জানা গেল আসলে ঘটনা এমন কিছুই না, যে কৌটা পাওয়া গেছে তা একটা পানের জর্দার কৌটা । পত্রিকাতে তিলকে তাল বানিয়ে ডুগডুগি পিটানো হচ্ছে । কিছু পত্রিকার এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখতে পাই ।
মাদ্রাসা নিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ক্রনিক এলার্জি আছে । এই নামটা শুনলেই তাদের চুলকানি শুরু হয়ে যায় । অবস্থা এমন হয় যে , মালেক ভাইয়ের "সিংহ মার্কা" পাগলা মলমের ডাবল ডোজ দিয়েও তাদের চুলকানোর প্রশমন হয় না । তারা মানুষের মাঝে রীতিমত একটা ধারণা সৃষ্টি করে ফেলেছে যে , "যে দাড়ি রাখে , টুপি পরে সে জঙ্গি" এবং "দাড়ি টুপি রাখলেই সবাই জঙ্গি" হয় !
তারা আবার নিজেদের নারীবাদী , আধুনিক , প্রগতিশীল ইত্যাদি নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করে । আসলেই কি তাই ?
পারসোনার কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রগতিশীল মতি মিয়ার প্রথম আলোর অনুপস্থিত কেন ? সত্য চেপে রাখাও কি মিথ্যা কে প্রশ্রয় দেওয়া নয় ?
ও ভুলেই গিয়েছিলাম, এই কুখ্যাত পারসোনার "মালিকিন" কানিজ আলমাস প্রথম আলোর নকশাতে নিয়মিত "বিউটি টিপস্" দেয়। কিভাবে সুন্দর হবেন এই বিষয়ে টিপস দেন !! কিভাবে হিডেন ক্যামেরা দিয়ে নারী ব্যবসা করতে হয় তা অবস্য লিখেন না ।
এখন মানুষের মনে প্রশ্ন তো জাগতেই পারে , এই জন্য কি প্রথম আলো এত বড় একটা ঘটনা চেপে গেছে? নাকি মতি মিয়ার সাথে কানিজ আলমাসের "মিউচুয়াল" কিছু আছে?
এই প্রথম আলোই আবার ঈদের সময় ছোট মেয়েদের পণ্য বানায় , একটা ছবিই তা প্রমানে যথেষ্ট।
এটার নাম নাকি ফ্যাশন ? উলঙ্গপনা , বেহায়াপনার চুশীল নাম হলো ফ্যাশন !! চুশীল ভোগবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে তাদের পাগল করে, উলঙ্গ করে, পণ্য বানায় আর রাতের বেলায় হোটেল কক্ষে মজা লুটে নেয়!
কালের কন্ঠ নামের আর একটা পত্রিকা আছে , তারাও নাকি সুশীল ! তো সুশীলরা এই ঘটনা কেন তালা মেরে খাটের নিচে রাখতে চাইছেন ?
নারীলোভী অরুণ চৌধুরীর ভিডিও স্ক্যানডাল নিয়ে তো কিছু লিখলেন না ? ব্যাপার কি ? নিজেদের লেজ বেরিয়ে পড়ল বলে ? নাকি আপনাদের মনে হয় , "অরুণ তো খারাপ কিছু করে নি , ওর _____ ইচ্ছে করেছিল , তাই _____ করে খাচ্ছিল !!" আহা !! বেচারা কত কেলেঙ্কারী করলো , অথচ একটা ভিডিও তার জীবনকে ধংশ করে দিল !
না না , তা হবে কেন ? এগিয়ে এলো "চ্যানেল আই" , যাকে অনেকে "বিটিভি নাম্বার দুই" বলে থাকে । চ্যানেল আই লুইচ্চা অরুণ চৌধুরীর শুধু চাকরির ব্যবস্থায় করলো না , তার জন্য একটা নতুন পদের সৃষ্টি করলো , "বিউটি রিস্যার্চার" !! হা হা ! এই লুইচ্চার চেয়ে এই পদে আর যোগ্য কে হতে পারে ?
এখনো ভুলে যাইনি ভিকারুন্নেসার ঘটনা। কিভাবে আপনারা রসিয়ে রসিয়ে মেয়েটার স্কার্টের বর্ণনা করেছিলেন ! চেয়েছিলেন পুরো ঘটনা ধামা চাপা দিতে ! তখন প্রগতি কি পিছন দিয়ে ভরে রেখেছিলেন ?
সুশীল নামের প্রগতির ধজ্জাধারীদের আজ এই অবস্থা কেন ? আপনারা না নারী বাদী ! তো নারীদের সতিত্ব যখন হুমকির মুখে তখন আপনাদের মুখে কলুপ আটা কেন ?
শুনেছিলাম গিরগিটি সময়ের সাথে রং পাল্টায় । এখন দেখি কিছু পত্রিকাও গিরগিটি হয়ে গেছে !!
4 comments:
প্রথম আলোর অংশের নিচে "সুশীল" লিখতে গিয়ে "চুশীল" লেখা হয়েছে, সংশোধন করুন, PLZ.
আমরা অনেক সভ্য ভাবে অসভ্য আচরণ করি । অসভ্যদের সভ্য আচরণকে উৎসাহ দেই । মানুষের মুখোশ পড়া অমানুষদের চিনতে পারিনা । তবে চিন্তার বিষয় হল আমাদের জাতীও আপা বা জাতীও ভাবী দেড় কেঊ PERSONA তে কখনও গিয়ে SPA নিয়েসেন কি না। তাহলে তারাও BLACKMAIL এর শিকার হবেন এবং এই ঘটনার কোণও বিচার কোড়বেণ না।
Saiful Islam সাহেব, সুশীলতার নামে যারা ভন্ডামী করে বাংলা ব্লগিঙের পরিভাষায় তাদেরকে চু-শীল বলা হয় যদ্দুর জানি :D আপনি মনে হয় ব্লগের সাথে পরিচিত না।
সালার পুত রে পুতরে