শহীদ রমজান দাখিল পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছেন ! আজ চার পাঁচ বছর ধরে তারাবীর নামাজ পড়াচ্ছেন স্থানীয় মসজিদে । একজন ভালো ও মেধাবী ছাত্র তিনি- এলাকাবাসীর কাছে তার চেয়েও সম্মানীয় পরিচয়- তিনি একজন হাফেজে কুরআন । তিরিশ পারা কোরান শরীফ যিনি যতনে পুষে রেখেছেন বুকের মাঝে !
হাফেজ রমজান আসরের নামাজের পরে অফিস থেকে সবে বেরিয়েছেন । কিছুক্ষণের মধ্যে সরকারী দলের ছাত্রসংগঠনের কিলিং গ্রুপ তাকে ঘিরে ফেলেছে বিনা উষ্কানীতে । উদ্দেশ্য একে হত্যা করা হবে আজ ! আজ আল্লাহর এক বান্দার অন্তিম মুহুর্ত উপস্থিত হয়েছে !
হয়তো তখন ফেরেশতারাও ফিসফিসিয়ে বলতেছিলো, একজন কুরআনের হাফেজ- যে কিনা শুধু কুরআন মুখস্ত করেনি , যে কিনা কুরআন থেকে শিখে নিয়েছে
- আমি একনিষ্ঠ হয়ে সেই মহান সার্বভৌম মালিকের দিকেই আমার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি যিনি এই আসমানসমূহ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন , আমি মুশরিকদের দলভূক্ত নই !
- তুমি বলো আমার নামাজ , আমার কুরবানী , আমার জীবন আমার মৃত্যু সব কিছুই সারা জাহানের মালিক আল্লাহর জন্য !
-তার চেয়ে উত্তম কথা আর কোন ব্যক্তির হতে পারে , যে মানুষদদেরকে আল্লাহর দিকে ডাকে , নেক কাজ করে এবঙ বলে , আমি মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত !
-তোমরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে ধারন করো এবঙ পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা !
- নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের জান ও মা’ল কিনে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে !
...........................যে কিনা নিজেকে আল্লাহর রঙে রাঙিয়ে আল্লার জমীনে আল্লাহর বিধানকে প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করছিলেন !
ঘাতকরা হাফেজ রমজানকে চুড়ান্ত ঘোষণা শুনিয়ে দিলো , “আজ তোমার জীবনের শেষ দিন , কাউকে কিছু বলার থাকলে দোকান থেকে ফোন করতে পারো” .. ওরা দোকানের চারিদিক ঘিরে দাড়ালো ! ... কি অদ্ভূত মিল ............ এ যেন ঠিক আসহাবে রাসুল খুবাইব ইবনে আদী রা: এর ঘটনা যাকে কুরাইশ কাফেরেরা হত্যা-মঞ্চে উঠিয়ে শেষবারের মত দুরাকাত নামাজের সময় দিয়েছিলো , হযরত খুবাইব রা: মুনাজাতে বলেছিলেন, , হে আল্লাহ, আমার সালাম তোমার রাসুলের কাছে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করো !
হাফেজ রমজান !! আল্লাহর এই নির্ভিক বান্দা - যিনি শিখেছেন আল্লাহ ছাড়া আর কারো সামনে মাথা নোয়ানো যায় না , মৃত্যুর ফায়সালা হয় আসমানে , জমীনে না ............. ৫ জায়গায় ফোন করেছেন , সবাইকে বলেছেন শুধু এটুকু , “ভাই , সম্ভবত আজ আমার জীবনের শেষ দিন , আমার জন্য দোয়া করবেন !”
কথা শেষে দোকানদার মোবাইল মালিককে বলেছে , "...আমার জীবনের আজ শেষ দিন, .... ভাই, আমার কাছে কোন টাকা নাই , মোবাইলের বিলটা আমার থানা সেক্রেটারী দিয়ে দেবেন ইনশাআল্লাহ ! “ ............কেন্দ্রীয় সভাপতির থেকে এই কথা আজ শুনে মুক্তাঙ্গনে একজনও ছিলোনা , যার চোখ ছলছল করে ওঠেনি !
হায়!! এমন পরিকল্পিত ভাবে -----এমন ঠান্ডা মাথায় একজন হাফেজকে হত্যা করা সম্ভব !!
হাফেজ রমজান আলীর শরীরের একটা অংশও ছিলোনা যেখানে বর্বর খুনীদের ধারালো অস্ত্রের ঘা ছিলোনা ! নির্মম অত্যাচার চালিয়ে শহীদের মৃত শরীরটা ওরা নিয়ে ছেড়ে দিলো চলন্ত ট্রেনের নীচে ! ! !
এক হাফেজে কুরানকে হত্যা করে ওদের কি লাভ হলো ? ওরা কি জানতে পেরেছে , একজন শহীদ হাফেজ রমজানের রক্তের উষ্ণতা থেকে শহীদের কত লক্ষ সাথীরা খোদার দ্বীনকে বিজয়ী করার আন্দোলনে আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবার শপথ নিলো !
___________________
___________________
update :
শহীদ হাফেজ রমজান আলীর বায়োডাটা
নাম : হাফেজ রমজান আলী
পিতার নাম : কে.এম মঈনুদ্দিন
মাতার নাম : আনোয়ারা বেগম
ভাই-বোন : ৮ভাই ৩বোন (সে সপ্তম)
ইউনিয়ন : বাহাদুরাবাদ
গ্রাম : নাজির পুর
থানা : দেওয়ানগঞ্জ
জেলা : জামালপুর
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : দেওয়ানগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা।
শ্রেনী : আলিম ১ম বর্ষ (দাখিলে এ প্লাস)
সাংগঠনিক মান : সাথী
সর্বশেষ দায়িত্ব : দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সাথী শাখার সভাপতি
শহীদ হওয়ার তারিখ : ০৯/০৩/০৯ (সন্ধা ০৭.০০টায়)
আক্রান্ত হওয়ার স্থান : দিঘল কান্দি (বেলতৈল রেল ষ্টেশন)
মুজিব বাদী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণকারী মেধাবী ছাত্র ও শিবির নেতা শহীদ হাফেজ রমজান আলীর খুনীদের ফাঁসির দাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবির জামালপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগন,
আসসলামু আ’লাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আজ আমরা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির গভীর দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের সামনে হজির হয়েছি। আপনারা নিশ্চই জানেন গত ০৯/০৩/২০০৯ তারিখে সোমবার প্রতি দিনের ন্যায় জামালপুরে জেলা ও থানা শহর গুলোতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অতিবাহিত হচ্ছিল। হঠাৎ ৯ মার্চ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় খবর এল ইসলামী ছাত্রশিবির দেওয়ানগঞ্জ থানা সভাপতি মেধাবী ছাত্র নেতা হাফেজ রমজান আলী ভাইকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তাৎনিক বিভিন্ন জায়গায় খুজাখুজি হল। এরপর দিঘল কান্দি রেললাইনের পার্শে আহত আবস্থায় একজন পড়ে আছে এ মর্মে খবর পাওয়া গেল। তৎনাৎ স্থানীয় শিবির নেতৃবৃন্দসহ প্রতিবেশীরা ঐ জায়গায় ছুটে যাচ্ছিলেন। নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছার পূর্বেই স্থানীয় লোকজন এম্বুলেন্স এ তুলে নিয়ে হাসপাতালে পৌছার পরই কর্তব্যরত ডাক্তারগন তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না.....................রাজিউন)। উল্লেখ্য এ ঘটনার আনুমানিক আধা ঘন্টা পর ছাত্রশিবিরের থানা অফিস কাম আবাসিক বাসায় ছাত্রলীগ নেতা সজল পিতা-কামাল চৌধুরী, সাং চিকাজানী, নারু পিতা-জিতু বাবু সাং দেওয়ানগঞ্জ বাজার, রিপন পিতা-ইউসুফ আলী, কলেজ রোড়, দেওয়ানগঞ্জ, ইমরান পিতা-অজ্ঞাত প্রমূখ এর নেতৃত্বে বিভিন্ন অস্ত্র-সস্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে অফিসে রক্ষিত ২ টি মোটর সাইকেল, আসবাব পত্র, কোরআন-হাদিস, বই-পুস্তক তছনছ করে ফেলে যায়, সেখানে অবস্থানরত শিবিরের নেতাকর্মীদেরকে মারপিট খুন জখমের ভয় দেখায়, বাসাবাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিদেয়। এ ঘটনায় প্রমান করে ছাত্রলীগের দ্বারাই এ নির্মম হত্যা কান্ড সংগঠিত হয়েছে। ঘটনার ২ দিন পূর্বে হাফেজ রমজান এর বড় ভাইকে অজ্ঞাত মোবাইল ফোন হইতে হুমকি দিয়ে জানায় যে তোর ভাই বেড়ে গিয়েছে বড় নেতা হয়ে গেছে, তাকে থামাবি নইলে খবর আছে।
উল্লেখ্য ঘটনার দিন সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মোবাইল ০১৯১২৪৭০৫০০ নং হইতে শিবির এর দেওয়ানগঞ্জ থানা সেক্রেটারী সবুজ কে জানায় যে রমজান আলী নামে একজন লোক দিঘলকান্দী রের লাইনের পার্শ্বে পড়ে আছে, তাকে নিয়ে যা। একথা বলেই মোবাইল লাইন কেটে দেয়। উক্ত নম্বরটি এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনাদের মাধ্যমে, গোটা জাতির কাছে জিজ্ঞাসা কি অপরাধ ছিল হাফেজ রমজান আলীর ? কেন এই মেধাবী ছাত্রকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো ? যিনি ছোট্ট বয়সে ৩০ পারা কোরআন কে বুকে ধারন করে রেখেছিলেন। হাফেজ রমজান আলী গত বৎসর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ+ পেয়ে ছাত্র সমাজের মাঝে মেধার স্বার রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসায় আলিম শ্রেনী ১ম বর্ষের ছাত্র।
জাতীর জাগ্রত বিবেক সন্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা,
মানুষ এত নিষ্ঠূর হতে পারে তা ভাবতেও বুক কেঁপে উঠে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে তাকে নির্মম ভাবে হত্যাকরেই ক্ষান্ত হয়নি, খুনিরা হত্যাকান্ডকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার মন্দ অভিপ্রায়ে হাফেজ রমজান আলীকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রেললাইনে উপর ফেলে রাখে, যাতে খুনীরা নিজেদেরকে আডাল করতে পারে। তাৎনিক আসা এক ট্রেন হাফেজ রমজান আলীর দেহের উপর দিয়ে গিয়ে তার দুটি পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সন্ত্রাষী খুনিরা হাফেজ রমজান আলীকে ধারালো অস্র দিয়ে আঘাতকরে হত্যা করে, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রহিয়াছে, যার ছবি আমাদের কাছে আছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
এ মিথ্যাচারের শেষ কোথায় একজন নিরাপরাধ হাফেজ এ কোরআন ও মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করার পর এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ঘটনাকে অপমৃত্যু বলে চালানোর ব্যার্থ চেষ্টা করা হয়েছে। যা আবারও ৭২-৭৪ সালের রী বাহিনীর বর্বরতাকে স্বরন করিয়ে দেয়। আমরা এ জাতীয় কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জাতীয় নিকৃষ্ট হত্যাকান্ডের তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত খুনীদের দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছি। সেই সাথে খুনিদের ফাসির দাবীতে নিম্নোক্ত কর্মসূচী ঘোষণা করছি।
০১। (ক) আজ ১১.০৩.২০০৯ সংবাদ সম্মেলন এর মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা।
(খ) বিকাল ৫ টায় জামালপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল।
০২। আগামী ১৩.০৩.২০০৯ শুক্রবার শহীদ হাফেজ রমজান আলীর বাড়ীতে কোরআনখানি ও জেলার সকল মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান।
০৩। আগামী ১৫.০৩.২০০৯ মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্বারক লিপি প্রদান।
আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিস্কার জানিয়ে দিতে চাই, প্রশাসন যদি ঘটনার সঠিক তদন্ত না করেন, খুনীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা না করেন, জনগন কখনই তাদেরকে ক্ষমা করতে পারেনা। আমরা আশা করি কারো চাপের কাছে মাথা নত না করে প্রশাসন তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবেন।
- তরঙ্গ (ব্লগার ভালো)
প্রিয় কাফেলার একশত বত্রিশতম শহীদ হাফেজ রমজান আলী। তিনি আমার বড় ভাই। আমরা আট ভাই তিন বোন। আমি এবং রমজান ভাই এক সাথে সংগঠন করতাম। রমজান ভাই সাথী হয়েছিল ২০০৫ সালে। আর আমি সাথী হয়েছিলাম ২০০৬ সালে। রমজান ভাই পড়ালেখা করত সদরে আর আমি পড়ালেখা করতাম বাড়ি থেকে। কিন্তু ছোট সাংগঠনিক দায়িত্বের কারনে সদরে যেতে হত। আর প্রোগ্রামের আগে ও পড়ে কথা বলতাম, পরামর্শ নিতাম আর ভাইয়াও আমার কাজের খোঁজ নিত,পড়াশুনার খোঁজ নিত এবং পরামর্শ দিত। আর যে কোন সমস্যার কথা বললে তিনি বলতেন আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। আমার অজান্তে আমার জন্য বাড়ী থেকে সবকিছুর ব্যবস্থা করত। কারণ আমি মনে করতাম বাড়ী থেকে পড়ালেখা করা কষ্ট আর সদরে থেকে পড়ালেখা করতে কোন কষ্ট নেই কিন্তু ভাইয়া সেটা বুঝতে দিত না। আর সাংগঠনিক জীবন মোটামুটিভাবে একসাথে হওয়ার কারনে জেলার প্রোগ্রামগুলোতে একসাথে যাতায়াত করতাম, সবসময় কাছে রাখতো আদর করতো। এদিকে বাড়ী থেকে বাবা মা বলতো রমজান প্রোগ্রামে গেছে তোর যেতে হবে না। তারপরেও আমি চলে যেতাম, তখন ভাইয়া আমাকে বুঝাতো, বাড়িতে বুঝাতো। এই কাজগুলিসহ আরও অনেক কাজ এবং পরামর্শ ও অনুপ্রেরনা দিত, উৎসাহ দিত। এর মধ্যে আমি দুটি কাজের কথা বলব। এক. রমজান ভাই যে মাদ্রাসা থেকে হাফেজ শেষ করেছেন আর সেখানে সেই মাদ্রাসার মসজিদে মুয়াজ্জিন এর দায়িত্ব পালন করতেন। আর শুক্রবারের জন্য অন্য এলাকায় নির্ধারিত মসজিদে জুমার নামাজ পড়াতেন, রমজান মাসে তারাবিহ পড়াতেন, ঈদের নামাজ পড়াতেন। এ সবের মাঝেও দাখিলে পেয়েছিলেন এ+ এবং সাংগঠনিক কাজকে তিনি অগ্রাধিকার দিতেন সর্বাগ্রে। দুই. আমি বাড়িতে থাকার কারনে এ বিষয়টি ভালভাবে দেখেছি যে, যখনি বাড়িতে আসতেন একটি দুটি করে ফুলের চারা এবং একটি দুটি করে ফলের চারা নিয়ে আসতেন এবং লাগাতেন ও পরিচর্যা করতেন। আমাদের বাড়ির ফুলের গাছ, ফলের গাছ, নারিকেল গাছ, সুপারি গাছ তার হাতে লাগানো। এই কাজগুলো আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যোগায় প্রতিটি মুহূর্তে,নাড়া দিয়ে উঠে সেই সব স্মৃতিগুলো। মাঝে মাঝে চমকে উঠি। মনে হয় যেন রমযান ভাই আমাদের মাঝেই আছেন। কিন্তু সবার যে পরিণতি, সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে, সে জন্যই তিনি জীবন দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের পথে শাহাদাতবরণ করেছেন। এ জন্য শহীদের ছোট ভাই হিসেবে গর্ববোধ করি এবং আরো বেশি গর্ববোধ করি এ জন্য যে, জামালপুর জেলার প্রথম শহীদ হওয়ার কারনে। আর একটু বেশি আনন্দিত যে ২০০৮ সালের সাজানো নির্বাচনে জয়ী মহাজোট সরকারের গুন্ডাবাহিনীর হিংস্র মনোভাব ও চিন্তার কারনে শহীদ হয়েছেন। চলে গেছেন আল্লাহর দরবারে আর এ জন্য সরকারের আমলে প্রথম শহীদ হাফেজ রমজান আলী। আর আমি যাতে যতদিন বেঁচে থাকি ইসলামী আন্দোলনের সফল কর্মী হিসেবে বেঁচে থাকতে পারি। আর মরণ আসলে যেন শহীদি মরণই হয় এই প্রত্যাশায় সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিদায় নিচ্ছি।
লেখক
মোকাদ্দেছ আলী
শহীদের ছোট ভাই
1 comments:
প্রিয় মোকাদ্দেস ভাই!
ইনশাআল্লাহ আর বেশি সময় নেই!
আপনার ভাইয়ের হত্যাকারিদের এই বাংলার মাটিতে বিচার করা হবে।