An Untold Shame শিরোনামে 3,300 people were massacred in Assam but no one is punished এ ভাবেই ভুমিকা শুরু হয়ছে টেহেলকা ডট কম আসামের নিলায় ম্যচাকারের এক রিপোর্ট।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আসামের ব্রমপুত্র নদের অববাহিকায় বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের এক জনপথ গড়ে উঠে। এ অভিবাসী নতুন না। দেশ বিভাগের আগে এ উপমহাদেশে এটা হয়ে এসেছে বারবার। কখনো বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায়, কখনো ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে বা পাকিস্তান থেকে ইন্ডিয়াতে অথবা ইন্ডিয়া থেকে পাকিস্তানে অভিবাসি হয়ে এসেছেন অনেকজন।ভারতের জ্যোতি বসু, সুচিত্রা সেন, সমরেশ মজুমদার, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশারফ, বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ মাইগ্রেট করে আসার অন্যতম উদাহরণ। সেই একই ধারাবাহিকতার ব্রমপুত্র নদের অববাহিকায় আবাস গড়ে উঠে কয়েক হাজার বাংলাদেশীর। যারা আসামে অনেকদিন ধরেই বসবাস করে আসছিলেন।
১৯৭৯ সালের শুরুর দিকে, আসামে নির্বাচন কমিশন ৪৫ হাজার বিদেশী ভোটারকে ভোটের অধিকার দেন । ঘটনার শুরুটা এখানেই। অল আসাম স্টুডেন্ট ফোরাম ঘোষণা করে বিদেশীদের ভোটার হিসাবে এদের অন্তর্ভুক্ত করলে আসামে রক্তের হলী খেলা বয়ে দেয়া হবে। শুরু হয় বাংলাদেশী খেদাও আন্দোলন। সাথে যোগ দেয় আরও কিছু রাজনৈতিক সংগঠন। গঠন হয় All Assam Gana Sangram Parishad (AGSP)।AGSP বাংলাদেশী খেদাও আন্দোলনে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ এর মত খুন দেড় হাজার এর বেশী মানুষ আহত, জ্বালাও পোড়াও সহ অনেক ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন গোষনা করেন। এ নির্বাচন আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেত্রী ইন্দ্রাগান্ধীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনের আয়োজন হয়। সেই দিন থেকেই আসাম অগ্নিগর্ভ ধারণ করে। AGSP নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়। কংগ্রেস সহ কিছু দল নির্বাচনের পক্ষেও মিছিল বের হয়। জনতা নির্বাচনের দাবিতে মিছিল করেন। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে তারা জোড় দাবিতে সোচ্ছার হন।
সারা আসামে রিউমার ছড়ানো হয় হাজার হাজার বাংলাদেশী বাংলাদেশ থেকে এসে ভোটে অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশীদের শিক্ষা দেয়ার জন্য AGSP শপথ নেয়। গঠন করা হয় আলাদা আরেকটি ফোরাম। এদিকে ভোট গ্রহন চলছিলো। আসামের মরিগণ জেলার একটা অংশের কথা। সেখানে মোহাম্মাদ হোসেন নামের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমান্দ্র নারায়ণ নামের এক প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। হেমান্দ্র নারায়ণ ২৫ বছর ধরে ঐ এলাকা শাসন করে আসছিলেন। এতে করে আরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠা AGSP। প্রতিশোধ নেশায় পাগল হয়ে যায়। ১৯৮৩ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারির দিনের বেলায় মাত্র ৬ ঘণ্টায় আসামের Nellie য় হত্যা করা হয় ৫০০০ মানুষকে যার মধ্যে ৩৫০০-ই ছিল শিশু(মুসলিম)। এ হত্যাকান্ডের এখনো একটিরও বিচার হয়নি।
Death count: 1,800 (official) 3,300 (unofficial)
Villages affected: 14
Cases filed: 668
Chargesheets submitted: 310
Compensation for survivors: Rs 2,000 and tin to build a house
Compensation for kin of dead: Rs 5,000
ইতিহাসের এ নিষ্ঠুর হত্যকান্ড নিয়ে ৬৮৮ টা মামলা ফাইল হয় এর মধ্য ৩৭৮টি মামলা প্রমাণের অভাবে ক্লোজ করা হয় এবং ৩১০টি মামলা ফাইল হয় পরে আসাম এজিপি সরকার ড্রপ করেন। একটা মামলারো বিচার হয়নি এবং একজনেরও শাস্তি পায়নি।
৭৫ বছর বয়স্ক নরুজ্জাম ভুইয়া যিনি জারিরোড পুলিশ ষ্টেশনে একটি মামলা ফাইল করেন। যেটার এফ আই আর নং (FIR no 86/1983, GR number 231/1983) । ঐ ম্যাচাকারে নুরুজ্জাম ভুইয়া নিজে আহত হন এবং ভুইয়া পরিবারের ১২ জনক খুন হোন । এই হত্যা কন্ডের সাথে জড়িত ১৩ জনকে তিনি চিনেন। তার এই মামলাটিও বাতিল করা হয়।
আসামের Nellie ম্যচাকারের আরেকজন সারভাইভার নবি হোসেনের সাক্ষাৎকার দেখুন ইউটিউবে।
https://www.youtube.com/watch?v=lwiodzxebw0
আসামের Nellie ম্যচাকারের হত্যকান্ডের বিচারের দাবিতে ২০০৪ সালে গোহাটিতে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেটাও তৎকালিন বিজেপি সরকার ব্যান করে।
shame ইন্ডিয়া shame ........
তথ্য সুত্র:
১। http://www.tehelka.com/story_main41.asp?filename=Ne140309an_untold.asp
২। http://twocircles.net/2009feb20/genesis_anti_foreigners_movement_assam.html
৩। http://en.wikipedia.org/wiki/Nellie_massacre
৪। http://twocircles.net/2009feb22/nellie_1983_crime_no_punishment.html
৫। http://www.somewhereinblog.net/blog/ushra91/29498460Assam agitation:
৬। http://www.milligazette.com/Archives/2005/16-31Jan05-Print-Edition/163101200549.htm
লেখক :সরকার সেলিম
0 comments: