প্রথম ওহী প্রাপ্তি
মুহাম্মাদ (সা) বয়স তখন চল্লিশ বছর। তিনি হিরা গুহায় বসে ভাবতেন। মাহে রমদানের শেষ ভাগ। একদিন এক ফিরিশতা এসে হাজির হলো তাঁর সামনে। এই ফিরশতার নাম জিবরাঈল। এই ফিরিশতার মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুহাম্মাদ (সা) এর নিকট পৌঁছালেন এই বাণী-
পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। জমাট বাঁধা রক্ত থেকে। পড় এবং তোমার রব অতীব সম্মানিত যিনি কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে এমন সব শিখিয়েছেন যা মানুষ জানতো না। (সূরা আল আলাক: ১-৫)
এইভাবে মুহাম্মাদ (সা) প্রথম ওহী পেলেন। তিনি হলেন নবী। অভিভূত মুহাম্মাদ (সা) বাড়ী ফিরে এলেন। স্ত্রী খাদীজাকে বললেন,
আমার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দাও। আমার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দাও।
আল্লাহর দিকে আহবানঃ
প্রথম ওহী নাযিলের পর কেটে গেলো প্রায় ছটি মাস। এবার দাওয়াতী কাজের সূচনা করার জন্য নির্দেশ এলো.....
হে কম্বল আচ্ছাদিত ব্যক্তি ওঠো এবং লোকদেরকে সাবধান কর। তোমার রবের বড়ত্ব শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ কর। পোষাক পবিত্র রাখ। অপবিত্রতা থেকে দূরে থাক। বেশী পাওয়ার উদ্দেশ্যে কারো প্রতি অনুগ্রহ করো না। তোমার রবের খাতিরে বিপদ মুসিবতে ধৈর্য ধারণ কর। সূরা আল মুদ্দাসসির: ১-৭
এই নির্দেশ পাওয়ার পর মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা) এক একজন ব্যক্তির কাছে গিয়ে আল্লাহর সঠিক পরিচয় তুলে ধরতে লাগলেন। আর এই পৃথিবীর জীবনে কর্তব্য সম্বন্ধেও তাদেরকে সচেতন করে তোলার প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন।
প্রথম যাঁরা সাড়া দিলেন
নীরবে চলছিল দাওয়াতে দীনের কাজ। একেবারে শুরুতে যাঁরা ইসলাম গ্রহণ করেন তাঁরা হচ্ছেন-
১। খাদীজা বিনতু খুয়াইলিদ (রা),
২। আলী ইবনু আবি তালিব (রা),
৩। যায়িদ ইবনু হারিসাহ (রা),
৪। উসমান ইবনু আবি কুহাফা (রা),
৫। উসমান ইবনু আফফান (রা),
৬। আযযুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা),
৭। আবদুর রাহমান ইবনু আউফ (রা),
৮। সাদ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রা),
৯। তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রা),
১০। আবু উবাইদাহ ইবনু আবদিল আসাদ (রা),
১১। আল সালামাহ ইবনু আবদিল আরকাম (রা),
১২। আল আরকাম ইবনু আবিল আরকাম (রা),
১৩। উসমান ইবনু মাযউন (রা),
১৪। কুদামা ইবনু মাযউন (রা),
১৫। আবুদুল্লাহ ইবনু মাযউন (রা),
১৬। উবাইদাহ ইবনুল হারিস (রা),
১৭। সাঈদ ইবনু যায়িদ ইবনু আমর (রা),
১৮। ফাতিমা বিনতুল খাত্তাব (রা),
১৯। আসমা বিনতু আবি বাকর (রা),
২০। আয়িশা বিনুতু আবি বাকর (রা),
২১। খাব্বাব ইবনুল আরাত (রা),
২২। উমাইর ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রা),
২৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা),
২৪। মাসউদ ইবনু কারী (রা),
২৫। সালীত ইবনু আমর (রা),
২৬। আইয়াশ ইবনু আবি রাবীয়া (রা),
২৭। আসমা বিনতু সুলামা (রা),
২৮। খুনাইস ইবনু রাবীয়া (রা),
২৯। আমের ইবনু রাবীয়া (রা),
৩০। আবদুল্লাহ ইবনু জাহাশ (রা),
৩১। আবু আহমাদ ইবনু জাহাশ (রা),
৩২। জাফর ইবনু আবিম তালিব (রা),
৩৩। আসমা বিনতু উমাইস (রা),
৩৪। হাতিব ইবনুল হারিস (রা),
৩৫। ফাতিমা বিনতু মুজাল্লাল (রা),
৩৬। হুতাব ইবনু মুহাল্লাল (রা),
৩৭। ফুকাইহা বিনতু ইয়াসার (রা),
৩৮। মামার ইবনুল হারিস (রা),
৩৯। সায়েব ইবনু উসমান ইবনু মাযউন (রা),
৪০। মুত্তালিব ইবনু আযহার (রা),
৪১। রামলাহ বিনতু আবি আউফ (রা),
৪২। নাঈম ইবনু আবদিল্লাহ (রা),
৪৩। আমের ইবনু ফুহাইরা (রা),
৪৪। খালিদ ইবনু সাঈদ ইবনুল আস (রা),
৪৫। আমীনা বিনতু খালাফ (রা),
৪৬। হাতিব ইবনু আমের (রা),
৪৭। আবু হুযাইফা ইবনু উতবা ইবনু রাবীয়া (রা),
৪৮। ওয়াকিদ ইবনু আবদিল্লাহ (রা),
৪৯। খালিদ ইবনু বুকাইর (রা),
৫০। আমের ইবনু বুকাইর (রা),
৫১। আকিল ইবনু বুকাইর (রা),
৫২। ইয়াস ইবনু বুকাইর (রা),
৫৩। আম্মার ইবনু ইয়াসার (রা),
৫৪। সুহাইব ইবনু সিনান (রা),
এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের প্রায় সকলেই ছিলেন যুবক ও যুবতী। কাবার অদূরেই ছিলো আল আরকাম ইবনু আবিল আরকামের ঘর। সেই ঘরে মুহাম্মাদুর রাসূল্লাহ (সা) মুসলিমদেরকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দিতেন। প্রকৃতপক্ষে এই দারুল আরকামই মুসলিমদের প্রথম শিক্ষালয়।
অধ্যায় ০৪ : সবার আগে যারা ইসলাম গ্রহণ করলেন
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
0 comments: