
মবিন তোদের ইসলাম কি দিয়েছে? বল, তরবারী দিয়ে তোরা ধর্ম কে প্রতিষ্ঠা করেছিস। কেবল চেয়েছিস মানুষ কে তরবারীর মুখ দমিয়ে রাখতে। কৈ কোথাও তো তোদের নবী কে দেখলাম না মানুষকে বুঝিয়ে ধর্মের পথে আনতে। বলে আম মিচকা হেসে, আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টেপে।
আমি চিন্তা করি এর মধ্যে কোন কথা না বলাই ভালো। (ওহ, যারা আমার লেখা আগে পড়েন নি, তাদের কে আমার এই দুই বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। মবিন, ও পেশায় ডাক্তার। নেশায় লেখক। আর আম মাস্টার্স করেছে বহুদিন একটা এ্যড ফার্মে চাকুরী করে প্রচন্ড প্রগতিশীল। ও, আর একটা কথা। ওর নাম কেনো, আম হইলো সেটা অন্য কোন একদিন বলবো। আর নাবল্যেই বা কি? গল্পের চরিত্র আমা, জাম, জদু, মদু, যাই হোকনা তাতে কি বা এসে যায়।)
আমি বুঝতে পারি পরিবেশ আবার গরম হচ্ছে, এবার খেলা জমবে। কারন মবিন ইসলাম নিয়া কোন বেফাস কথা সহ্য করতে পারেনা। অন্য দিকে আমের খোচানোর টপিকসই হইলো ধর্ম।
যাহোক মবিন কিছুট বিরক্ত হয়। ও ভ্রু কুচকে বলে, তুই সব ধর্ম বাদ দিয়ে কি ধরনের সমাজ ব্যাবস্হা চাস?
-ক্যানো, কমিনজম খারপ কিসে?
আমি আগ্রহ নিয়ে মবিনের দিকে তাকাই,
মবিন বলে,
শোন দুই যুগও হয়নি পৃথিবীর অর্ধেকটাই শাসন করত নাস্তিক শাসকেরা, কিন্তু বলতে পারিস হত্যা, রক্তপাত আর লুন্ঠন ছাড়া তার মানব সভ্যতার ইতিহাসে কি দেয়েছে?
- কেনো কমিউনিষ্টরা ছিলেন ধর্ম নিরপেক্ষ, তারা মানবতার কথা বলে গেছেন, তারা সব মানুষ কে এক শ্রনীতে আনার কথা বলেছেন। শ্রেনী হীন সমাজের বাসনায় একটু আধটু রক্ত পাত হতেই পারে।
মবিন বলে, ভালোই বল্লি, শ্রেনী হীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে কেনো

চেঙ্গিস খান সম্পদ লুট করেছেন, কেন সেই সম্পদ নিয়ে তিনি পালিয়ে গেলেন? আবার সেই সম্পদ নাকি উনার করে দিয়ে দেয়া হলো? কেনইবা আবার সম্রাটের কবর নিয়ে এতট ধুম্রজাল তৈরী করা হল? একবার ভাব প্রগতী শিল চিন্তার একজন মানুষ তার কবরের চার পাশে মংগলিয়ান অভিসাপের ব্যাবস্হা করে গেলেন? উনি জীবিত অবস্হায় তো কত মানুষ হত্যা করিয়েছেন বা করেছিলেন তার কোন হিসাব খুজে পাওয়া যাবেনা। আবার মৃত্যুর পর, তার কবর কে পৃথিবীর কাছ থেকে লুকিয়ে ফেলার জন্য, চেঙ্গিসখানের একদল সৈন্যের মাধ্যমে হত্যা করা হলো চেঙ্গিস খানের কবর খোঁড়ার কাজে নিয়োজিত ২৫০০ শ্রমিককে, যাতে কোনোভাবেই কবরটিকে আর খুজে না পাওয়া যায়। এটা আরও নিশ্চিত করতে সেই সৈন্য দলকেও পরবর্তীতে হত্যা করে আরেকদল সৈন্য যারা সেই স্থানে উপস্থিত ছিল না। এছাড়া তার সময়ে চেষ্টা করা হয় মংগোলিয়া থেকে সব ধর্মকে মুছে ফলতে। তার জন্য সে হত্যা করে তার রাজ্যে যে কোন ধর্মের ধর্মীয় গুরুদের। লামাইজমকে সম্পুর্ন ভাবে মুছে ফলা হয়। এমন কি বুদ্ধের সেক্যুলার ধর্মকেও তার ধংস করছিলো। এই একনায়ক ছিলো স্তালিনের সাগরেদ। এর হাতে জীবন দিয়েছিলো ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ।

এবার চল খোদ

স্তলিন কি করেছিলো তাই দেখি, স্তালিনের সময়ে অর্থনৈতিক উত্থানপতনের দরুন কোটি কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যায়। ১৯৩০-এর দশকে স্তালিন নিজের ক্ষমতা শক্ত করার জন্য নিপীড়ন শুরু করেন, যার ফলে কমিউনিস্ট পার্টির শত্রু সন্দেহে কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করা হয়, অথবা সাইবেরিয়া ও কেন্দ্রীয় এশিয়ার নির্যাতনকেন্দ্রে নির্বাসিত করা হয়। রাশিয়ার অনেক জাতিগোষ্ঠীকে তাদের বসতবাড়ি থেকে উৎখাত করে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়।, পৃথিবী প্রথম জানতে পারে সদ্য প্রয়াত লেখক,


ততদিনে নিজের নাম থেকে রুশ গন্ধ মুছে ফেলেছেন স্তালিন তনয়া। নাম হয়েছে লানা পেটারস।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে শ্বেতলানা প্রেমে পড়েছিলেন এক সোভিয়েত চলচ্চিত্রকারের। তাঁর বয়স তখন ৪০। নাম আলেক্সেই কাপলার। বাবা মেয়ের এই অসম-বয়সি প্রেম মানতে পারেননি। পরে কাপলারের দশ বছরের জেল হয়। তাঁকেও হাজার হাজার হতভাগ্যের মতো আর্কটিক অঞ্চলে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করেন স্তালিন।আলিলুয়েভারের স্মৃতিকথা থেকে রুশ কমিউনিজমের পর্দাফাঁস হয়েছে অনেক খানি, গত বছর উইসকনসিন স্টেট জার্নালে আরও একটি সাক্ষাতকার ছাপা হয় ভদ্র মহিলার সেখানে তিনি বলেন, আমেরিকায় আসা আমার উচিত হয়নি। সুইতজারল্যান্ডের মতো কোনও নিরপেক্ষ দেশে বসবাস করা উচিত ছিল।
তবে যেখানেই যাই না কেন, বাবার নাম আমার পিছু ছাড়ে না। আমি যেন আমার বাবার নামের ‘রাজনৈতিক বন্দি’। ছ’বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিলেন মা। ভাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত হন। এছাড়া স্তালিনের গোপন পুলিশ বাহিনী এনকেভিডির প্রধান লাভরেনতি বেরিয়ার ডায়েরি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে তিনি লিখেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে ব্রিটেন-সোভিয়েত এক অস্বস্তিকর জোট বাঁধতে বাধ্য হয়। মস্কোতে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল কীভাবে স্তালিনের সঙ্গে মদ্যপানে মেতে উঠতেন তার বর্ণনাও তিনি দিয়েছেন।
সোভিয়েত রাশিয়া ও ব্রিটেনের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহের দেয়ালটি বেশ শক্তই ছিল। বেরিয়া দাবি করেন, ১৯৪২ সালের আগস্টে স্তালিনের সঙ্গে অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য একবার চার্চিল মাতাল হয়ে গিয়েছিলেন।
তার ভাষায়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্তালিনের মতো একজন স্বৈরাচারের সুসম্পর্ক গড়তে এবং কোনো বিষয়ে তার সম্মতি নিতে সুরাই ছিল সবচেয়ে ভাল উপায়।
এবার বল তোরা কিভাবে মানবতার কথা বলিস ধর্ম কে গলা টিপে হত্যা করতে পারলেই কি মানুষ সামাজিক জীব হয়ে যাবে। আমি বুঝিনা, ধর্ম থাকলে কি সমস্যা। মদ নাখলে বুঝি প্রগতী শিল হওয়া যায় না?
-আরে ধর্মের কারনেই তো এতো হানা হানি রাহাজানি, এক মাত্র ধর্ম হীনতাই পারে মানুষ কে এক কাতারে এনে দাড় করাতে। আজকে যদি পৃথিবীতে ধর্মিয় বিধি নিষেধ না থাকতো তাহলে দুনিয়া টা আরো সান্তিতে থাকতো। দেখ আফগানি স্হানে কট্রর পন্থি আলাকায়দাদের কারনে আজ কে কি অবস্হা স্ব দেশটার।
মবিন বলে, ভালোই বলেছিস, আফগানিস্তানে মোহাম্মদ দাউদকে হত্যা করে যখন কমিউন্যিজম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়, তখন প্রথম ধাক্কা তে ১১ হাজার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হত্যা করা হয়। অন্যান্য কমুনিষ্ট শাসকদের মতন সেখানেও ধর্মকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ করা হয়,


আর তাছাড়া, শুধুমাত্র তালেবানরাই কি বুদ্ধমুর্তি ধংস করেছিল, নাস্তিকেরাও তাদের শাসনামলে কম্বোডিয়ায় বুদ্ধমুর্তি ধংস করেছিল। প্রার্থনা করলে কিংবা ধর্মীয় আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করলে সাথে সাথে মেরে ফেলা হত। মুসলমানদেরকে বাধ্য করা হত শুয়োরের মাংস খেতে। এদের হাতে ৮০% খ্রিষ্টান মারা পড়ে। মারা পড়েন অনেক ইমাম, পাদ্রী।
চীনের বিরুদ্ধে এখনো মানবাধিকার লংঘন কিংবা বাকস্বাধীনতা হরনের অভিযোগ করা হয়। ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে ঝিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্বশাসিত এলাকা (এক্সইউএআর)-র গুলজাতে আদিবাসী মুসলিম উইঘুর প্রতিবাদকারীদের উপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে কয়েক ডজন লোক হতাহত হয়।




উত্তর কোরিয়ার এখনো মুক্তি ঘটেনি অর্ধ উন্মাদ একনায়কের হাত থেকে। ১৯৯৪ সালে বাবা কিম ইল সংয়ের মৃত্যুর পর কিম জং-ইল সমাজতান্ত্রিক এ দেশটির হাল ধরেন। সেই সঙ্গে নানা ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে’ জড়িয়ে বিশ্ব থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। ক্ষমতা গ্রহণ করে বাবার পথ অনুসরণ করে ‘সামরিক বাহিনীই প্রথম’—এই নীতি পালনে ব্রত হন কিম। এ জন্য দেশের অধিকাংশ সম্পদই সামরিক খাতে নিয়োজিত করেন। এমনকি দেশটিতে চরম দুর্ভিক্ষের সময়ও এ নীতি থেকে পিছু হটেননি তিনি। তিনি নিজে ছিলেন এই ‘কোরিয়ান পিপলস আর্মির’ প্রধান।


জনগন যখন না খেয়ে মরছে, এ তখন জৌলুষময় জীবন যাপনে ব্যস্ত। এদেশটির রয়েছে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম মানবাধিকার লংঘনের ইতিহাস। এর বাবার বিরুদ্ধে রয়েছে অন্যদেশে বোমাবাজির মত সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ।
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের ছোট্ট দেশ আলবেনিয়া। এটি ছিলো ইউরপের একমাত্র মুসলিম দেশ, পর্বতময় এ দেশটির উত্তর-পশ্চিমে মন্টেনেগ্রো, উত্তর-পূর্বে সাইবেরিয়া, পূর্বে মেসিডোনিয়া এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে গ্রিস। পশ্চিমে আড্রিয়াটিক সাগর ও দক্ষিণ-পশ্চিমে আয়োনীয় সাগর (ভূমধ্য সাগরের অংশ)। আড্রিয়াটিক সাগর দিয়ে পশ্চিমে ইতালির সঙ্গে যুক্ত আলবেনিয়া।
ইতালি থেকে এর দূরত্ব ৭৬ কিলোমিটার। আলবেনিয়া ইতিহাসে বহুবার পূর্বের ইতালীয় শক্তি ও পশ্চিমের বলকান শক্তির কাছে নত হয়েছে। পনেরো শ শতকে আলবেনিয়া উসমানীয়া সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। ১৯১২ সালে তারা উসমানীয়া সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৪৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়া সাম্যবাদী রাষ্ট্র ছিল। এটই ছিলো প্রথম কমিউনিষ্ট রাষ্ট্র। ঐ সময় কালের মধ্যে হোজ্জাও চেয়েছিলো ধর্মকে মুছে ফেলতে। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো।
রমজানের মত পবিত্রদিনগুলোতে তারা হারাম খাদ্য পরিবেশন করা শুরু করে কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিস্ঠান গুলোতে। খাবার গ্রহনে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে লান্ছ্বিত করা হত। ১৯৬৭সালের ফেব্রুয়ারীতে আরো আক্রমনাত্বক পন্হা নেয় হয় নাস্তিকীয় শিক্ষা প্রচার করার জন্য।
যদিও হোজ্জা বলেন যে তিনি যে কোন সন্ত্রাসী পন্হা অবলম্বনের বিরোধী, তিনি চান বুঝিয়ে শুনিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে যে কোন একশন গ্রহনের শক্ত ভিত গঠন করা হোক।
এক্ষেত্রে তরুনদেরকে বেছে নেয়া হয়।
২,১৮৯টি মসজিদ এবং চার্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। নাস্তিকবাদ অফিসিয়াল পলিসিতে পরিনত হয়। ধর্মীয় নামের শহর, নগরগুলোকে নতুন নাম দেয়া হয়, ব্যক্তির নামও বদলে ফেলা হয়। ১৯৮২ মানুষের নামের ডিকশনারি বের করা হয়। যার মধ্যে ৩,০০০ সেক্যুলার নাম ছিল। এরা ক্ষমতায় আসার সময় ৩০০ প্রিষ্ট ছিলেন, যাদের মধ্যে মাত্র ৩০জন প্রানে বাচতে পেরেছিলেন।
সমস্ত ধর্মীয় আচার অনুস্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৬৭সাল থেকে ১৯৯১সাল পর্যন্ত এই নাস্তিক দেশটিতে যারা জন্ম নিয়েছিল তারা ধর্মের ব্যপারে কিছুই জানত না। তাই তাই তারা ছিল হয় নাস্তিক নয়ত এ্যাগোনস্টিক।
আনোয়ার হোজ্জাকে চিত্রায়িত করা হয় এমন একজন জিনিয়সা হিসাবে যিনি কিনা সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সামরিক ইত্যাদি জীবনের প্রতিটি নৈতিক উপদেশ দান করে গেছেন। প্রত্যেকটা স্কুলের বইতে সে যে বিষয়ের উপরই হোক না কেন তার উক্তি উদ্ধৃত করা হত। . এক আলবেনিয়ান তাই আক্ষেপ করে বলেছিলেন ফিজিক্সের ক্লাসে মধ্যাকর্ষ শক্তির সুত্রটির জন্য কৃতিত্বটা পেতেন হোজ্জা যা ছিল কিনা নিউটনের পাওনা। আলবেনিয়া সিক্রেট পুলিশ এজেন্সি কে জি মত সবধরনের দমনমুলক পন্হা অবলম্বন করত। আলবেনিয়ার প্রতি তিনজন নাগরিকের একজনকে হয়ত লেবার ক্যাম্পে কাটাতে হত কিংবা সম্মুখীন হতে হত আলবেনিয়া সিক্রেট পুলিশ অফিসারদের জেরার। ভিন্ন মতালম্বীদের দমনের জন্য সিস্টেমেটিক সব পন্হা অবলম্বন করা হত। চাকুরিচ্যুত করা, লেবার ক্যাম্পে আটকে এবং প্রায়শ:ই মৃত্যদন্ড দেয়া। সরকারী কর্মকর্তাদের সরকারি সফর ছাড়া কাউকে বিদেশ যেতে দেওয়া হত না। পশ্চিমা নাচ নিষিদ্ধ ছিল, আর্টকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল সোসালিস্ট রিয়ালিজমের মধ্যে।
১৯৮১সালে হোজ্জা অনেক পার্টির নেতা এবং সরকারী কর্মকর্তাকে শুলে চড়ান। প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শেহু এইসময় আত্মহত্যা করেন অন্তর্দলীয় কোন্দলের কারনে। এটি ব্যপকভাবে বিস্বাস করা হয় যে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
১৯৮৫সালে হোজ্জা যখন মারা যান আলবেনিয়া তখন সারা বিশ্বের কাছে একটি নিষিদ্ধ দেশ, যারা বহির্বিশ্বের কাছে থেকে বিচ্ছিন্ন। তার শাসনামলের প্রায় সবটুকু জুড়েই আলবেনিয়া ছিল ইউরোপের সবচাইতে গরীব দেশ।
১৯৯০ সালে হোজ্জার প্রতিষ্ঠিত একদলীয় শাসনের অবসান ঘটে। ১৯৯২ সালে পরাজিত হয় সোসালিস্ট পার্টি।
আজ আলবেনিয়া হোজ্জা লিগ্যাসীর সামান্য কিছুই অবশিস্ট আছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা জনগনকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আরও মজার ব্যপার আলবেনিয়া এখন ওআইসির সদস্য।
আম বলে তোর লেকচার ভালো লাগলো কিন্ত এতকিছুর পরো কমিনিষ্টরা কি পৃথিবীর জন্য কিছুই করেনি? তার অকাতরে জীবন দিয়েছে, তারা চেয়েছে শ্রমিকের অধিকার।
মবিনঃ শোন অদিকার আডায় করতে গেয়ে কমিউনিষ্ট নেতার নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার লোভে এক এক জন লৌহ দানবে পরিনত হয়েছিলো। দানব দিয়ে হত্যা বাধংস হয় জাতীয় উন্নয়ন হয়না কখোন। দেজখ এখোন ভারতে মাও বাদিরা হানা দেয় হত্যা করে ভু মানুষ কে কৈ তোরা তোসে বিষয়ে মুখ খুলিসনা, আল কায়দা যদিও তোদের সৃষ্টি তার পরো এটা ইসলামের ছত্র ছায়া গড়া বেলে ওরা কিছু করলেই তোর চায়ের দোকানে ঝড় উঠাস, তোরা যেভাবে সব মানুষ কে এক কাতারে দাড় করাতে চাস সে পথ সঠিক নয়, একমাত্র ইসলামই পেরেছে সব মানুষ কে এক কাতারে আনতে, দেখ মুসলমানের নামাজের ব্যাবস্হ।


কমরেড লাল সেলাম।
আমি বসে থাকি মুখ বুজে আম কিছু বলতে চায়, আমি চিন্তার ঘোরে কম্বডিয়ায় কমিউনিষ্ট যুগে চলে যাই, চোখের সামনে দেখতে পাই, সন্যরা আমার বাবার দাড়ি ছেচে দিচ্ছে। ঘরথেকে নিয়ে পুরিয়ে দিচ্ছে কোরআন শরিফ আমি আর ভাবতে পারিনা, কষ্ট হয়।
লিখেছেন : মেংগো পিপোল
1 comments:
I don't like the tone and style of writing of some of the topics in this blog.
Can you people take care of this?