২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডি-আর বিদ্রোহ শুরুর দ্বিতীয় দিন বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছিলেন বিদ্রো-হের ঘটনায় ৫০ থেকে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে কেবলবার্তা ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছিলেন তাতে একথা বলা হয়েছে। গত ৩০ আগস্ট উইকিলিকস যে মার্কিন গোপন বার্তার তালিকা প্রকাশ করে তাতে একথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে
জাতীয় দৈনিকগুলোতে মাত্র ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর ছিল। শেষ পর্যন্ত ওই ঘটনায়, বিডিআরে কর্মরত ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমদ ও তার স্ত্রীও রয়েছেন বলে মন্ত্রী নিশ্চিত করেন এবং এ দু’জনকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যদিও নিহতের সংখ্যা নিয়ে সরকারি আনুষ্ঠানিক কোনো ভাষ্য জানানো হয়নি বলে বার্তায় বলা হয়। একই মার্কিন বার্তায় আরও বলা হয়, বিদ্রোহ ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ার এবং আরও সেনা কর্মকর্তা নিহতের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ওই বার্তায় বিকাল ৫টার দিকে পিলখানার চতুর্দিকে ট্যাঙ্ক মুভ করার কথাও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল সাড়ে ৫টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ফোন করে জানান আশা করছেন ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ‘সমস্যার সমাধান’ হয়ে যাবে।
বার্তায় বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে একই দিন বেলা সোয়া ২টায় টিভিতে প্রচারিত শেখ হাসিনার ১৫ মিনিটের ভাষণের কথা উল্লেখ করা হয়। ওই সময় শেখ হাসিনাকে খুবই বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ না করলে শক্তি প্রয়োগের কথাও তিনি উল্লেখ করেন তার ভাষণে।
গোপন বার্তায় আরও বলা হয়, স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ১১টি টি-৬৯ ট্যাঙ্ক পিলখানার কাছাকাছি অবস্থান নেয়। সরকার দিনভর বিদ্রোহের কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করে বিদ্রোহ অবসানের চেষ্টা চালায় বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
1 comments:
উইকিলিকস ইহুদী নাছারাদের তৈরী আরেকটি বিশ্ব চক্রান্ত। মুসলিম বিশ্বকে ধংস করার জন্য যেমন কাল্পনিক লাদেন জন্ম দিয়েছিল ঠিক তাদের তৈরী এই উইকিলিকস যার মাধ্যমে দেশে দেশে হানহানি ও রাজনৈতিক বিরোধ সৃষ্টি করে নিজের ফাইদা হাসিল করতে চায়। আমাদের উচিত এই চক্রন্তের জালে নিজেদের না জরানে।তবে এই কথা সত্য যে তাদের দালাল এই দেশে অভাব হবে না।