উইকিলিকস ► দুই নেত্রীর মুক্তির পক্ষে ভারত, বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র


উইকিলিকসের তথ্য : দুই নেত্রীর মুক্তির পক্ষে ভারত, বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র

২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আটক দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার পক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির মামলা নিষ্পত্তির আগে তাঁদের মুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এক সৌজন্য সাক্ষাতে ঢাকায় নিযুক্ত তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি ও ভারতের হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী নিজ নিজ দেশের পক্ষে এ অবস্থান নেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে জেমস এফ মরিয়ার্টির পাঠানো এক গোপন বার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি বিকল্প ধারার গণমাধ্যম উইকিলিকস অন্য অনেক তারবার্তার সঙ্গে এটিও প্রকাশ করে।
পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টিকে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী-আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া জরুরি। কেননা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁদের বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে এবং কারাগারে আটক রাখায় দেশবাসীর কাছে তাঁদের জনপ্রিয়তা আরো বাড়ছে। তা ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা নির্ভর করবে এ দুই নেত্রীর মুক্তি পাওয়া-না পাওয়ার ওপর।
ভারতের হাইকমিশনারের এ অবস্থানের প্রেক্ষাপটে মরিয়ার্টি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, হাসিনা ও খালেদা সরকারের আমলে দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। এখন বিচার ছাড়া এ দুই নেত্রীকে ছেড়ে দিলে রাজনৈতিক দায়মুক্তির সংস্কৃতি আবার চালু হয়ে যাবে। তখন পিনাক রঞ্জন বলেন, তিনি তাঁদের দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহারের পক্ষে বলছেন না। তবে তিনি তাঁদের জামিনের পক্ষে। পিনাক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দুর্নীতিবাজদের বর্জন করা উচিত_এ কথা ঠিক। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমঝোতা না হলে, সেনাবাহিনী জনরোষের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন, ডিজিএফআই নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে ব্যস্ত। কিন্তু রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে যাওয়ার ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে সামরিক এ গোয়েন্দা সংস্থাটির সতর্ক হওয়া উচিত।
সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদ সম্পর্কে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে বলেন, ভারত সফরের সময় জেনারেল মঈন সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তখন মঈন জানিয়েছেন, তাঁর কোনো রাজনৈতিক উচ্ছ্বাসা নেই। তবে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে মঈন উ আহমেদ রাজনৈতিক দল গঠন করলে ভারতের কোনো সমস্যা নেই।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম