কানে খাটো বংশীধর | |
কানে খাটো বংশীধর যায় মামাবাড়ি, গুনগুন গান গায় আর নাড়ে দাড়ি ।। চলেছে সে একমনে ভাবে ভরপুর, সহসা বাজিল কানে সুমধুর সুর ।। বংশীধর বলে, "আহা, না জানি কি পাখি সুদুরে মধুর গায় আড়ালেতে থাকি ।। দেখ, দেখ সুরে তার কত বাহাদুরি, কালোয়াতি গলা যেন খেলে কারিকুরি ।।" এদিকে বেড়াল ভাবে, "এযে বড় দায়, প্রাণ যদি থাকে তবে ল্যাজখানি যায় ।। গলা ছেড়ে এত চেঁচামেচি এত করি হায় তব যে ছাড়ে না বেটা, কি করি উপায় ।। আর তো চলে না সহা এত বাড়াবাড়ি, যা থাকে কপালে, দেই এক থাবা মারি ।।" বংশীধর ভাবে, "একি ! বেসুরা যে করে, গলা গেছে ভেঙে তাই "ফ্যাঁস্" সুর ধরে ।।" হেনকালে বেরসিক বেড়ালের চাঁটি, একেবারে সব গান করে দিল মাটি । |
আদুরে পুতুল
ঝিকিমিকি চোখ মিট্মিটি চায়, ঠোঁট দুটি তায় টাট্কা লাল ।
মোমের পুতুল ঘুমিয়ে থাকুক্ দাঁত মেলে আর চুল খুলে-
টিনের পুতুল চীনের পুতুল কেউ কি এমন তুলতুলে ?
গোব্দা গড়ন এমনি ধরন আব্দারে কেউ ঠোঁট ফুলোয় ?
মখমলি রং মিষ্টি নরম- দেখ্ছ কেমন হাত বুলোয় !
বল্বি কি বল্ হাব্লা পাগল আবোল তাবোল কান ঘেঁষে,
ফোক্লা গদাই যা বলবি তাই ছাপিয়ে পাঠাই "সন্দেশে" ।
মেঘের খেয়াল
ছোট বড় সাদা কালো কত মেঘ চরে ।
কচি কচি থোপা থোপা মেঘেদের ছানা
হেসে খেলে ভেসে যায় মেলে কচি ডানা ।
কোথা হতে কোথা যায় কোন্ তালে চলে,
বাতাসের কানে কানে কত কথা বলে ।
বুড়ো বুড়ো ধাড়ি মেঘ ঢিপি হয়ে উঠে-
শুয়ে ব'সে সভা করে সারাদিন জুটে ।
কি যে ভাবে চুপ্চাপ, কোন ধ্যানে থাকে,
আকাশের গায়ে গায়ে কত ছবি আঁকে ।
কত আঁকে কত মোছে, কত মায়া করে,
পলে পলে কত রং কত রূপ ধরে ।
জটাধারী বুনো মেঘ ফোঁস ফোঁস ফোলে,
গুরুগুরু ডাক ছেড়ে কত ঝড় তোলে ।
ঝিলিকের ঝিকিমিকি চোখ করে কানা,
হড়্ হড়্ কড়্ কড়্ দশদিকে হানা ।
ঝুল্ কালো চারিধার, আলো যায় ঘুচে,
আকাশের যত নীল সব দেয় মুছে ।
0 comments: